আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৮ টি
হাদীস নং: ১৭০৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭০৫. হযরত ইবন উমর (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: আল্লাহর পথে মুজাহিদ, হজ্জ পালনকারী এবং উমরা পালনকারী আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ্ তাদেরকে ডাক দিয়েছেন, তারা সাড়া দিয়েছে। তারা আল্লাহর কাছে চেয়েছে, আল্লাহ তাদেরকে দিয়েছেন।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন হিব্বনও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়েই এটি ইমরান ইবন উয়ায়না থেকে আতা ইবনুস সায়েব সূত্রে বর্ণনা করেন।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন হিব্বনও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তাঁরা উভয়েই এটি ইমরান ইবন উয়ায়না থেকে আতা ইবনুস সায়েব সূত্রে বর্ণনা করেন।
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1705- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الْغَازِي فِي سَبِيل الله
والحاج والمعتمر وَفد الله دعاهم فَأَجَابُوهُ وسألوه فَأَعْطَاهُمْ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة عمرَان بن عُيَيْنَة عَن عَطاء بن السَّائِب
والحاج والمعتمر وَفد الله دعاهم فَأَجَابُوهُ وسألوه فَأَعْطَاهُمْ
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه كِلَاهُمَا من رِوَايَة عمرَان بن عُيَيْنَة عَن عَطاء بن السَّائِب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭০৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭০৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: হজ্জ পালনকারী ও উমরা পালনকারীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি আল্লাহর কাছে দু'আ করে, তিনি কবুল করবেন। আর যদি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি ক্ষমা করে দেবেন।
(হাদীসটি নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিববান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানের ভাষ্যটি হল এরূপ: আল্লাহর মেহমান হল তিনজন; হাজী, উমরা পালনকারী ও মুজাহিদ। অবশ্য ইব্ন খুযায়মা প্রথমে মুজাহিদের উল্লেখ করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিববান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানের ভাষ্যটি হল এরূপ: আল্লাহর মেহমান হল তিনজন; হাজী, উমরা পালনকারী ও মুজাহিদ। অবশ্য ইব্ন খুযায়মা প্রথমে মুজাহিদের উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1706- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْحجَّاج والعمار وَفد الله إِن دَعوه أجابهم وَإِن استغفروه غفر لَهُم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَلَفْظهمَا قَالَ وَفد الله ثَلَاثَة الْحَاج والمعتمر والغازي
وَقدم ابْن خُزَيْمَة الْغَازِي
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَلَفْظهمَا قَالَ وَفد الله ثَلَاثَة الْحَاج والمعتمر والغازي
وَقدم ابْن خُزَيْمَة الْغَازِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭০৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭০৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: হাজীকেও ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং হাজী যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাকেও।
(হাদীসটি বায্যার ও তাবারানী তাঁর 'সগীরে' বর্ণনা করেছেন।খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হাকিমও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁদের ভাষা হল। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ হে আল্লাহ্। তুমি হাজীকে ক্ষমা করে দাও এবং হাজী যাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাদেরকেও ক্ষমা করে দাও!
(হাকিম বলেছেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। (হাফিয (র) বলেন। এ হাদীসটির সনদে শরীক কাযী নামে একজন রাবী রয়েছেন, যার বর্ণিত কোন হাদীস সমর্থনের ক্ষেত্র ব্যতীত মুসলিম গ্রহণ করেন না। এ ব্যাপারে আরও আলোচনা ইনশা আল্লাহ্ সামনে আসবে।)
(হাদীসটি বায্যার ও তাবারানী তাঁর 'সগীরে' বর্ণনা করেছেন।খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং ইবন হাকিমও এ হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁদের ভাষা হল। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ হে আল্লাহ্। তুমি হাজীকে ক্ষমা করে দাও এবং হাজী যাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাদেরকেও ক্ষমা করে দাও!
(হাকিম বলেছেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। (হাফিয (র) বলেন। এ হাদীসটির সনদে শরীক কাযী নামে একজন রাবী রয়েছেন, যার বর্ণিত কোন হাদীস সমর্থনের ক্ষেত্র ব্যতীত মুসলিম গ্রহণ করেন না। এ ব্যাপারে আরও আলোচনা ইনশা আল্লাহ্ সামনে আসবে।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1707- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يغْفر للْحَاج وَلمن اسْتغْفر لَهُ الْحَاج
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَلَفْظهمَا قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر للْحَاج وَلمن اسْتغْفر لَهُ الْحَاج
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم قَالَ مُسلم قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده شريك القَاضِي وَلم يخرج لَهُ مُسلم إِلَّا فِي المتابعات وَيَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ إِن شَاءَ الله
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَلَفْظهمَا قَالَ اللَّهُمَّ اغْفِر للْحَاج وَلمن اسْتغْفر لَهُ الْحَاج
وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرط مُسلم قَالَ مُسلم قَالَ الْحَافِظ فِي إِسْنَاده شريك القَاضِي وَلم يخرج لَهُ مُسلم إِلَّا فِي المتابعات وَيَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ إِن شَاءَ الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭০৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭০৮. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ তোমরা বায়তুল্লাহর দ্বারা উপকৃত হও। কেননা এটি দু'বার বিধ্বস্ত হয়েছে আর তৃতীয়বার এটি উঠিয়ে নেয়া হবে।
(হাদীসটি বাযযার এবং তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বান এটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। ইবন খুযায়মা বলেন, 'এটি তৃতীয়বারে উঠিয়ে নেয়া হবে' এরদ্বারা উদ্দেশ্যে হচ্ছে তৃতীয়বারের পর।)
(হাদীসটি বাযযার এবং তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বান এটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। ইবন খুযায়মা বলেন, 'এটি তৃতীয়বারে উঠিয়ে নেয়া হবে' এরদ্বারা উদ্দেশ্যে হচ্ছে তৃতীয়বারের পর।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1708- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتَمْتعُوا بِهَذَا الْبَيْت فقد هدم مرَّتَيْنِ وَيرْفَع فِي الثَّالِثَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ ابْن خُزَيْمَة قَوْله وَيرْفَع فِي الثَّالِثَة يُرِيد بعد الثَّالِثَة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَالَ ابْن خُزَيْمَة قَوْله وَيرْفَع فِي الثَّالِثَة يُرِيد بعد الثَّالِثَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭০৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭০৯. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আল্লাহ যখন আদম (আ)-কে জান্নাত থেকে নীচে নামিয়ে দিলেন তখন বললেন, আমি তোমার সাথে একটি ঘর অথবা অবতরণস্থলও নামিয়ে দেব, যার চতুষ্পার্শ্বে এমনভাবে তওয়াফ করা হবে যেমন আমার আরশের চতুষ্পার্শ্বে তওয়াফ করা হয়ে থাকে, তার কাছে সালাত আদায় করা হবে যেমন আমার আরশের কাছে সালাত আদায় করা হয়ে থাকে। তারপর যখন মহা প্লাবন আসল, তখন এটি উঠিয়ে নেয়া হল। তখন নবী-রাসূলগণ এর হজ্জ করতেন, কিন্তু এর আসল অবস্থানটি তাঁরা জানতেন না। অতঃপর আল্লাহ ইবরাহীম (আ)-কে এর স্থানে নির্দেশ করে দিলেন। তিনি তখন পাঁচটি পাহাড় যথা: হেরা, সাবীর, লুবনান, তূর ও জাবালে খায়বর-এর অংশ দিয়ে এটি নির্মাণ করলেন। অতএব তোমরা যথাসম্ভব এরদ্বারা উপকৃত হও।
(হাদীসটি তাবারানী তার 'কবীর'-এ মাওকুফ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। এর সনদের রাবীগণ সহীহ গ্রন্থসমূহের রাবীদের মতই নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি তাবারানী তার 'কবীর'-এ মাওকুফ পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। এর সনদের রাবীগণ সহীহ গ্রন্থসমূহের রাবীদের মতই নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1709- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ لما أهبط الله آدم عَلَيْهِ السَّلَام من الْجنَّة قَالَ إِنِّي مهبط مَعَك بَيْتا أَو منزلا يُطَاف حوله كَمَا يُطَاف حول عَرْشِي وَيصلى عِنْده كَمَا يصلى عِنْد عَرْشِي فَلَمَّا كَانَ زمن الطوفان رفع وَكَانَ الْأَنْبِيَاء يحجونه وَلَا يعلمُونَ مَكَانَهُ فبوأه لإِبْرَاهِيم عَلَيْهِ الصَّلَاة وَالسَّلَام فبناه من خَمْسَة أجبل حراء وثبير ولبنان وجبل الطّور وجبل الْخَيْر فتمتعوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا وَرِجَال إِسْنَاده رجال الصَّحِيح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير مَوْقُوفا وَرِجَال إِسْنَاده رجال الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১০. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা ফরয হজ্জ আদায়ে তাড়াতাড়ি কর। কেননা তোমাদের কেউই জানে না যে, তার সামনে কি বাধা এসে পড়বে।
(হাদীসটি আবুল কাসিম ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আবুল কাসিম ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1710- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تعجلوا إِلَى الْحَج يَعْنِي الْفَرِيضَة فَإِن أحدكُم لَا يدْرِي مَا يعرض لَهُ
رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ
رَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১১. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন। আল্লাহ তা'আলা আদম (আ)-এর নিকট এই মর্মে ওহী পাঠালেন যে, হে আদম! তুমি এই ঘরের হজ্জ করে নাও তোমার মৃত্যু সংঘটিত হবার পূর্বে। তিনি বললেন, প্রভু। আমার উপর কি সংঘটিত হবে? আল্লাহ বললেন, তুমি যা জান না আর সেটা হল মৃত্যু। তিনি বললেন, মৃত্যু কি? আল্লাহ বললেন, তুমি অচিরেই এর স্বাদ আস্বাদন করবে। আদম (আ) বললেন, আমার পরিজনের জন্য কাকে স্থলাভিষিক্ত করব? আল্লাহ বললেন, তুমি এ দায়িত্বটি আসমান-যমীনের সামনে পেশ কর। তিনি আসমানকে এ দায়িত্ব দিতে চাইলেন; কিন্তু সে অস্বীকার করল। অতঃপর যমীনের সামনে তা পেশ করলেন, সেও অস্বীকার করল, পাহাড়সমূহকে এ দায়িত্ব পেশ করলেন। কিন্তু তারাও অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করল। অবশেষে তার ভ্রাতৃহন্তা সন্তানটি এ দায়িত্ব গ্রহণ করল। আদম (আ) ভারত-ভূমি থেকে হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। তিনি যে সকল স্থানে অবতরণ করে পানাহার করেছেন, পরবর্তীতে এগুলো আবাদ ভূমি ও জনপদ হয়ে গিয়েছিল। এভাবে তিনি মক্কায় এসে পৌছলেন। ফিরিশতাগণ তাঁকে এভাবে অভ্যর্থনা জানালঃ আসসালামু আলাইকা ইয়া আদম। আপনার হজ্জ পুণ্যময় হোক। মনে রাখবেন, আপনার দু'হাজার বছর পূর্ব থেকে আমরা এ ঘরের হজ্জ করে আসছি।
আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: বায়তুল্লাহ তখন ফাঁপা লাল চুণি পাথরের ছিল। আর তার দু'টি দরজা ছিল। তওয়াফকারীগণ বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজনকে দেখতে পেত আর বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজন তওয়াফকারীদেরকে দেখতে পেত। আদম (আ) হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেন। আল্লাহ তা'আলা তখন তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণ করলেনঃ হে আদম। তুমি কি হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছ? তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ, প্রভু! আল্লাহ্ বললেন, এখন তোমার অভাব-অনটন সম্পর্কে প্রার্থনা কর, তোমাকে প্রাথিত বস্তু প্রদান করা হবে। আদম (আ) বললেন, আমার মুখ্য প্রার্থনা তো এই যে, আমার এবং আমার সন্তানের গুনাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ্ বললেন, তোমার গুনাহ তো তখনিই মাফ করে দিয়েছি যখন তা সংঘটিত হয়েছিল। আর তোমার সন্তানের গুনাহ, তবে মনে রেখো যে ব্যক্তি, আমাকে চিনেছে, আমার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমার নবী-রাসূল ও কিতাবকে সত্য বলে স্বীকার করেছে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি
(এ হাদীসটিও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: বায়তুল্লাহ তখন ফাঁপা লাল চুণি পাথরের ছিল। আর তার দু'টি দরজা ছিল। তওয়াফকারীগণ বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজনকে দেখতে পেত আর বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরের লোকজন তওয়াফকারীদেরকে দেখতে পেত। আদম (আ) হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা পালন করলেন। আল্লাহ তা'আলা তখন তাঁর প্রতি ওহী প্রেরণ করলেনঃ হে আদম। তুমি কি হজ্জের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছ? তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ, প্রভু! আল্লাহ্ বললেন, এখন তোমার অভাব-অনটন সম্পর্কে প্রার্থনা কর, তোমাকে প্রাথিত বস্তু প্রদান করা হবে। আদম (আ) বললেন, আমার মুখ্য প্রার্থনা তো এই যে, আমার এবং আমার সন্তানের গুনাহ মাফ করে দিবেন। আল্লাহ্ বললেন, তোমার গুনাহ তো তখনিই মাফ করে দিয়েছি যখন তা সংঘটিত হয়েছিল। আর তোমার সন্তানের গুনাহ, তবে মনে রেখো যে ব্যক্তি, আমাকে চিনেছে, আমার প্রতি ঈমান এনেছে এবং আমার নবী-রাসূল ও কিতাবকে সত্য বলে স্বীকার করেছে, আমি তার গুনাহ মাফ করে দিয়েছি
(এ হাদীসটিও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1711- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أوحى الله تَعَالَى إِلَى آدم عَلَيْهِ السَّلَام أَن يَا آدم حج هَذَا الْبَيْت قبل أَن يحدث بك حدث الْمَوْت
قَالَ وَمَا يحدث عَليّ يَا رب قَالَ مَا لَا تَدْرِي وَهُوَ الْمَوْت
قَالَ وَمَا الْمَوْت قَالَ سَوف تذوق
قَالَ وَمن أستخلف فِي أَهلِي قَالَ اعْرِض ذَلِك على السَّمَوَات وَالْأَرْض وَالْجِبَال فَعرض ذَلِك على السَّمَوَات فَأَبت وَعرض على الأَرْض فَأَبت وَعرض على الْجبَال فَأَبت وَقَبله ابْنه قَاتل أَخِيه فَخرج آدم عَلَيْهِ السَّلَام من أَرض الْهِنْد حَاجا فَمَا نزل منزلا أكل فِيهِ وَشرب إِلَّا صَار عمرانا بعده وقرى حَتَّى قدم مَكَّة فاستقبلته الْمَلَائِكَة فَقَالُوا السَّلَام عَلَيْك يَا آدم بر حجك أما إِنَّا قد حجَجنَا هَذَا الْبَيْت قبلك بألفي عَام
قَالَ أنس قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالْبَيْت يَوْمئِذٍ ياقوتة حَمْرَاء جوفاء لَهَا بَابَانِ من يطوف يرى من فِي جَوف الْبَيْت وَمن فِي جَوف الْبَيْت يرى من يطوف فَقضى آدم نُسكه فَأوحى الله تَعَالَى إِلَيْهِ يَا آدم قضيت نسكك قَالَ نعم يَا رب
قَالَ فسل حَاجَتك تعط قَالَ جلّ حَاجَتي أَن تغْفر لي ذَنبي وذنب وَلَدي قَالَ أما ذَنْبك يَا آدم فقد غفرنا حِين وَقعت بذنبك
وَأما ذَنْب ولدك فَمن عرفني وآمن بِي وَصدق رُسُلِي وكتابي غفرنا لَهُ ذَنبه
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ أَيْضا
قَالَ وَمَا يحدث عَليّ يَا رب قَالَ مَا لَا تَدْرِي وَهُوَ الْمَوْت
قَالَ وَمَا الْمَوْت قَالَ سَوف تذوق
قَالَ وَمن أستخلف فِي أَهلِي قَالَ اعْرِض ذَلِك على السَّمَوَات وَالْأَرْض وَالْجِبَال فَعرض ذَلِك على السَّمَوَات فَأَبت وَعرض على الأَرْض فَأَبت وَعرض على الْجبَال فَأَبت وَقَبله ابْنه قَاتل أَخِيه فَخرج آدم عَلَيْهِ السَّلَام من أَرض الْهِنْد حَاجا فَمَا نزل منزلا أكل فِيهِ وَشرب إِلَّا صَار عمرانا بعده وقرى حَتَّى قدم مَكَّة فاستقبلته الْمَلَائِكَة فَقَالُوا السَّلَام عَلَيْك يَا آدم بر حجك أما إِنَّا قد حجَجنَا هَذَا الْبَيْت قبلك بألفي عَام
قَالَ أنس قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالْبَيْت يَوْمئِذٍ ياقوتة حَمْرَاء جوفاء لَهَا بَابَانِ من يطوف يرى من فِي جَوف الْبَيْت وَمن فِي جَوف الْبَيْت يرى من يطوف فَقضى آدم نُسكه فَأوحى الله تَعَالَى إِلَيْهِ يَا آدم قضيت نسكك قَالَ نعم يَا رب
قَالَ فسل حَاجَتك تعط قَالَ جلّ حَاجَتي أَن تغْفر لي ذَنبي وذنب وَلَدي قَالَ أما ذَنْبك يَا آدم فقد غفرنا حِين وَقعت بذنبك
وَأما ذَنْب ولدك فَمن عرفني وآمن بِي وَصدق رُسُلِي وكتابي غفرنا لَهُ ذَنبه
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১২. হযরত আবু জাফর মুহাম্মদ ইবন আলী থেকে তাঁর পিতা ও পিতামহ সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আল্লাহ্ কোন বান্দা-বাঁদী যখন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে নিজের সম্পদ ব্যয় করতে কার্পণ্য করে, তখন অনিবার্যভাবে সে এর চেয়ে বহুগুণ অর্থ আল্লাহর অসন্তুষ্টির কাজে ব্যয় করে ফেলে। আল্লাহর কোন বান্দা যখন দুনিয়ার কোন প্রয়োজনে ইসলামের ফরয হজ্জ পরিত্যাগ করে, তখন সে দেখবে যে, তার সে প্রয়োজন পূরণের পূর্বেই তার পিছনে অবস্থানকারীদের প্রয়োজন মিটে গিয়েছে। আর যে ব্যক্তি তার মুসলমান ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণে এগিয়ে আসে না, সে এমন মানুষের দায়িত্ব গ্রহণে বাধ্য হবে, যাতে সে গুনাহই বহন করবে, কোনরূপ পুণ্যপ্রাপ্ত হবে না।
(এ হাদীসটিও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন। আর এতে 'মুনকার'-এর দোষ রয়েছে।)
(এ হাদীসটিও ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন। আর এতে 'মুনকার'-এর দোষ রয়েছে।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1712- وَرُوِيَ عَن أبي جَعْفَر مُحَمَّد بن عَليّ عَن أَبِيه عَن جده رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من عبد وَلَا أمة يضن بِنَفَقَة ينفقها فِيمَا يُرْضِي الله إِلَّا أنْفق أضعافها فِيمَا يسْخط الله وَمَا من عبد يدع الْحَج لحَاجَة من حوائج الدُّنْيَا إِلَّا رأى الْمُخلفين قبل أَن يقْضِي تِلْكَ الْحَاجة يَعْنِي حجَّة الْإِسْلَام وَمَا من عبد يدع الْمَشْي فِي حَاجَة أَخِيه الْمُسلم قضيت أَو لم تقض إِلَّا ابْتُلِيَ بمعونة من يَأْثَم عَلَيْهِ وَلَا يُؤجر فِيهِ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ أَيْضا وَفِيه نَكَارَة
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ أَيْضا وَفِيه نَكَارَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৩. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। নিশ্চয়ই কা'বা শরীফের একটি জিহ্ববা ও দু'টি ঠোঁট রয়েছে। সে আল্লাহর কাছে অভিযোগ করে বলেছিল। হে আমার রব। আমার নিকট আগমনকারী ও আমার যিয়ারতকারী তো খুবই কম। মহান আল্লাহ তাকে ওহীর মাধ্যমে বললেন: আমি অবশ্যই বিনয়ী, নম্র ও সিজদাকারী কিছু মানুষ সৃষ্টি করব যারা তোমার দিকে এমন পাগল পারা হয়ে ছুটে আসবে, যেমন কবুতর তার ডিমের দিকে ছুটে যায়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1713- وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْكَعْبَة لَهَا لِسَان وشفتان وَلَقَد اشتكت فَقَالَت يَا رب قل عوادي وَقل زواري فَأوحى الله عز وَجل إِنِّي
خَالق بشرا خشعا سجدا يحنون إِلَيْك كَمَا تحن الْحَمَامَة إِلَى بيضها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
خَالق بشرا خشعا سجدا يحنون إِلَيْك كَمَا تحن الْحَمَامَة إِلَى بيضها
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৪. হযরতআবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ বলেছেন: আল্লাহর নবী দাউদ (আ) বলেছিলেন, হে আমার মাবুদ। তোমার বান্দারা যখন তোমার ঘরে যিয়ারত করতে আসবে, তখন তোমার ওপর তাদের কি হক হবে? আল্লাহ বললেন, প্রত্যেক যিয়ারতকারীরই যিয়ারতকৃত ব্যক্তির উপর হক ও অধিকার থাকে। আমার যিয়ারতকারীদের হক হল এই যে, আমি দুনিয়ায় তাদরকে শান্তিতে রাখব, আর যখন তাদের সাথে সাক্ষাত করব, তখন ক্ষমা করে দিব।
(এ হাদীসটিও তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(এ হাদীসটিও তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1714- وَرُوِيَ عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن دَاوُد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إلهي مَا لِعِبَادِك عَلَيْك إِذا هم زاروك فِي بَيْتك قَالَ لكل زائر حق على المزور حَقًا يَا دَاوُد إِن لَهُم عَليّ أَن أعافيهم فِي الدُّنْيَا وأغفر لَهُم إِذا لقيتهم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط أَيْضا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৫
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৫. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: কোন মুসলমান যখন কোন সন্ধ্যায় আল্লাহর পথে জিহাদে বের হয়। অথবা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' এবং তালবিয়া পাঠ করতে করতে হজ্জে রওয়ানা হয়, তখন ঐ দিনে সূর্য তার গুনাহকে নিয়ে অস্তমিত হয় এবং সে ব্যক্তি গুনাহ থেকে বেরিয়ে আসে।
(এ হাদীসটিও তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। বেরিয়ে আসে।)
(এ হাদীসটিও তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। বেরিয়ে আসে।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1715- وَرُوِيَ عَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا رَاح مُسلم فِي سَبِيل الله مُجَاهدًا أَو حَاجا مهلا أَو ملبيا إِلَّا غربت الشَّمْس بذنوبه وَخرج مِنْهَا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط أَيْضا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৬
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৬. হযরত ইবন উমর (রা) বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ আমি নবী করীম ﷺ -এর সাথে মিনার মসজিদে উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় তাঁর নিকট আনসারদের এক ব্যক্তি ও সাকীফ গোত্রের এক ব্যক্তি আসল। তারা উভয়েই সালাম করল এবং বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমরা আপনার নিকট একটি বিষয় জিজ্ঞাসা করতে, এসেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তোমরা যদি চাও তাহলে তোমরা কি ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে এসেছ, তা আমি বলে দিতে পারি। আর যদি তোমরা চাও, তাহলে আমি আগে কিছু বলব না। তোমরা জিজ্ঞাসা করবে আর আমি উত্তর দিয়ে যাব। তারা বলল ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনিই বলুন। তখন সাকাফী লোকটি আনসারী লোকটিকে বলল, তুমি প্রশ্ন কর। তখন আনসারী লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনিই বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি আমার নিকট একথা জিজ্ঞেস করতে এসেছ যে, তুমি যে বায়তুল্লাহ শরীফের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছ, এতে তোমার কি পুণ্য হবে? তওয়াফের পরে যে দু'রাকাআত সালাত আদায় করেছ, এতে তুমি কি পাবে। সাফা ও মারওয়ার মাঝে তুমি যে তওয়াফ করেছ, এতে কি পাবে? আরাফার দিন বিকালে আরাফায় যে তুমি অবস্থান করেছ, এতে তোমার কি পুণ্য হবে? তুমি যে শয়তানকে কঙ্কর মেরেছ, এতে তুমি কি পাবে? তুমি যে কুরবানী করেছ এবং তওয়াফে যিয়ারত করেছ, এতে কি পাবে?
তখন লোকটি বলল, ঐ সত্তার শপথ। যিনি আপনাকে সত্য দীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, এ সম্পর্কেই আমি জিজ্ঞেস করতে এসেছি। রাসুলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন, তুমি যখন বায়তুল্লাহ শরীফের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়েছ, তখন তোমার। উটনীর পথ চলার প্রতি কদমে আল্লাহ একটি করে নেকী লিখে দিয়েছেন এবং একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দিয়েছেন। তওয়াফের পর তোমার দু'রাকাআত নামায আদায় বনী ইসমাঈলের একটি দাস মুক্তির মত, সাফা-মারওয়ার মাঝে তোমার তাওয়াফটি যেন সত্তরটি দাস মুক্তকরণ। আর আরাফার বিকালের অবস্থান, তবে মনে রাখবে যে তখন আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং তোমাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। তিনি বলতে থাকেন। আমার বান্দারা ধূলিমলিন বদনে দূর-দূরান্ত থেকে আমার নিকট জান্নাতলাভের আশায় এসেছে। তোমাদের পাপরাশি যদি বালুকণার পরিমাণও হয় অথবা বৃষ্টির ফোঁটার সমানও হয় অথবা সাগরের ফেনা পরিমাণও হয়, তবুও আমি এগুলো ক্ষমা করে দেব। হে আমার বান্দারা। তোমরা এমন অবস্থায় ফিরে যাও যে, তোমাদেরকে এবং তোমরা যাদের জন্য সুপারিশ করেছ, সবাইকে মাফ করে দেয়া হয়েছে। তুমি যে শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করেছ তার প্রতিটি কঙ্কর দানার পরিবর্তে একটি মারাত্মক ও কবীরা গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। আর তোমরা কুরবানী-এর পুণ্য তোমার প্রতিপালকের নিকট সঞ্চিত থাকবে। তোমার মাথা মুড়ানোর বিষয়টি, এর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে তোমার একটি করে পুণ্য হবে এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে। তারপর তোমার বায়তুল্লাহর তওয়াফটি, এটি এমন অবস্থায় হবে যে, তোমার কোন গুনাহই নেই। একজন ফিরিশতা এসে তোমার পিঠে হাত রেখে বলবেন, ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাও, তোমার অতীতের সব কিছু মাফ করে দেয়া হয়েছে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর'-এ বর্ণনা করেছেন। বাযযারও এটি বর্ণনা করেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। বাযযার বলেন, হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আমার জানামতে এর চেয়ে উত্তম কোন সূত্র নেই। [সংকলক (র) বলেন : এ হাদীসটির সনদে কোন দোষ নেই। এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য। এটি ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের বর্ণনাটি ইনশাআল্লাহ্ 'আরাফায় অবস্থান' শিরোনামে সামনে আসবে।)
তখন লোকটি বলল, ঐ সত্তার শপথ। যিনি আপনাকে সত্য দীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, এ সম্পর্কেই আমি জিজ্ঞেস করতে এসেছি। রাসুলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন, তুমি যখন বায়তুল্লাহ শরীফের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়েছ, তখন তোমার। উটনীর পথ চলার প্রতি কদমে আল্লাহ একটি করে নেকী লিখে দিয়েছেন এবং একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দিয়েছেন। তওয়াফের পর তোমার দু'রাকাআত নামায আদায় বনী ইসমাঈলের একটি দাস মুক্তির মত, সাফা-মারওয়ার মাঝে তোমার তাওয়াফটি যেন সত্তরটি দাস মুক্তকরণ। আর আরাফার বিকালের অবস্থান, তবে মনে রাখবে যে তখন আল্লাহ পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং তোমাদেরকে নিয়ে ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। তিনি বলতে থাকেন। আমার বান্দারা ধূলিমলিন বদনে দূর-দূরান্ত থেকে আমার নিকট জান্নাতলাভের আশায় এসেছে। তোমাদের পাপরাশি যদি বালুকণার পরিমাণও হয় অথবা বৃষ্টির ফোঁটার সমানও হয় অথবা সাগরের ফেনা পরিমাণও হয়, তবুও আমি এগুলো ক্ষমা করে দেব। হে আমার বান্দারা। তোমরা এমন অবস্থায় ফিরে যাও যে, তোমাদেরকে এবং তোমরা যাদের জন্য সুপারিশ করেছ, সবাইকে মাফ করে দেয়া হয়েছে। তুমি যে শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপ করেছ তার প্রতিটি কঙ্কর দানার পরিবর্তে একটি মারাত্মক ও কবীরা গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে। আর তোমরা কুরবানী-এর পুণ্য তোমার প্রতিপালকের নিকট সঞ্চিত থাকবে। তোমার মাথা মুড়ানোর বিষয়টি, এর প্রতিটি চুলের বিনিময়ে তোমার একটি করে পুণ্য হবে এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে। তারপর তোমার বায়তুল্লাহর তওয়াফটি, এটি এমন অবস্থায় হবে যে, তোমার কোন গুনাহই নেই। একজন ফিরিশতা এসে তোমার পিঠে হাত রেখে বলবেন, ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে যাও, তোমার অতীতের সব কিছু মাফ করে দেয়া হয়েছে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর'-এ বর্ণনা করেছেন। বাযযারও এটি বর্ণনা করেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। বাযযার বলেন, হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আমার জানামতে এর চেয়ে উত্তম কোন সূত্র নেই। [সংকলক (র) বলেন : এ হাদীসটির সনদে কোন দোষ নেই। এর সকল বর্ণনাকারীই নির্ভরযোগ্য। এটি ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানের বর্ণনাটি ইনশাআল্লাহ্ 'আরাফায় অবস্থান' শিরোনামে সামনে আসবে।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1716- وروى ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كنت جَالِسا مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي مَسْجِد منى فَأَتَاهُ رجل من الْأَنْصَار وَرجل من ثَقِيف فسلما ثمَّ قَالَا يَا رَسُول الله جِئْنَا نَسْأَلك فَقَالَ إِن شئتما أخبرتكما بِمَا جئتما تسألاني عَنهُ فعلت وَإِن شئتما أَن أمسك وتسألاني فعلت فَقَالَا أخبرنَا يَا رَسُول الله فَقَالَ الثَّقَفِيّ للْأَنْصَارِيِّ سل فَقَالَ أَخْبرنِي يَا رَسُول الله فَقَالَ جئتني تَسْأَلنِي عَن مخرجك من بَيْتك تؤم الْبَيْت الْحَرَام وَمَا لَك فِيهِ وَعَن ركعتيك بعد الطّواف وَمَا لَك فيهمَا وَعَن طوافك بَين الصَّفَا والمروة وَمَا لَك فِيهِ وَعَن وقوفك عَشِيَّة عَرَفَة وَمَا لَك فِيهِ وَعَن رميك الْجمار وَمَا لَك فِيهِ وَعَن نحرك وَمَا لَك فِيهِ مَعَ الْإِفَاضَة فَقَالَ وَالَّذِي بَعثك بِالْحَقِّ لعن هَذَا جِئْت أَسأَلك
قَالَ فَإنَّك إِذا خرجت من بَيْتك تؤم الْبَيْت الْحَرَام لَا تضع نَاقَتك خفا وَلَا ترفعه إِلَّا كتب الله لَك بِهِ حَسَنَة ومحا عَنْك خَطِيئَة وَأما ركعتاك بعد الطّواف كعتق رَقَبَة من بني إِسْمَاعِيل عَلَيْهِ السَّلَام وَأما طوافك بالصفا والمروة كعتق سبعين رَقَبَة وَأما وقوفك عَشِيَّة عَرَفَة فَإِن الله يهْبط إِلَى سَمَاء الدُّنْيَا فيباهي بكم الْمَلَائِكَة يَقُول عبَادي جاؤوني شعثا من كل فج عميق يرجون جنتي فَلَو كَانَت ذنوبكم كعدد الرمل أَو كقطر الْمَطَر أَو كزبد الْبَحْر لغفرتها أفيضوا عبَادي مغفورا لكم وَلمن شفعتم لَهُ وَأما رميك الْجمار فلك بِكُل حَصَاة رميتها تَكْفِير كَبِيرَة من الموبقات وَأما نحرك فمذخور لَك عِنْد رَبك وَأما حلاقك رَأسك فلك بِكُل شَعْرَة حلقتها حَسَنَة ويمحى عَنْك بهَا خَطِيئَة وَأما طوافك بِالْبَيْتِ بعد ذَلِك فَإنَّك تَطوف وَلَا ذَنْب لَك
يَأْتِي ملك حَتَّى يضع يَدَيْهِ بَين كتفيك فَيَقُول اعْمَلْ فِيمَا تسْتَقْبل فقد غفر لَك مَا مضى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث من وُجُوه وَلَا نعلم لَهُ أحسن من هَذَا الطَّرِيق
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَهِي طَرِيق لَا بَأْس بهَا رواتها كلهم موثقون وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَيَأْتِي لَفظه فِي الْوُقُوف إِن شَاءَ الله تَعَالَى
قَالَ فَإنَّك إِذا خرجت من بَيْتك تؤم الْبَيْت الْحَرَام لَا تضع نَاقَتك خفا وَلَا ترفعه إِلَّا كتب الله لَك بِهِ حَسَنَة ومحا عَنْك خَطِيئَة وَأما ركعتاك بعد الطّواف كعتق رَقَبَة من بني إِسْمَاعِيل عَلَيْهِ السَّلَام وَأما طوافك بالصفا والمروة كعتق سبعين رَقَبَة وَأما وقوفك عَشِيَّة عَرَفَة فَإِن الله يهْبط إِلَى سَمَاء الدُّنْيَا فيباهي بكم الْمَلَائِكَة يَقُول عبَادي جاؤوني شعثا من كل فج عميق يرجون جنتي فَلَو كَانَت ذنوبكم كعدد الرمل أَو كقطر الْمَطَر أَو كزبد الْبَحْر لغفرتها أفيضوا عبَادي مغفورا لكم وَلمن شفعتم لَهُ وَأما رميك الْجمار فلك بِكُل حَصَاة رميتها تَكْفِير كَبِيرَة من الموبقات وَأما نحرك فمذخور لَك عِنْد رَبك وَأما حلاقك رَأسك فلك بِكُل شَعْرَة حلقتها حَسَنَة ويمحى عَنْك بهَا خَطِيئَة وَأما طوافك بِالْبَيْتِ بعد ذَلِك فَإنَّك تَطوف وَلَا ذَنْب لَك
يَأْتِي ملك حَتَّى يضع يَدَيْهِ بَين كتفيك فَيَقُول اعْمَلْ فِيمَا تسْتَقْبل فقد غفر لَك مَا مضى
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث من وُجُوه وَلَا نعلم لَهُ أحسن من هَذَا الطَّرِيق
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَهِي طَرِيق لَا بَأْس بهَا رواتها كلهم موثقون وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَيَأْتِي لَفظه فِي الْوُقُوف إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৭
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৭. এ হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। তুমি যখন বায়তুল্লাহর উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হবে, তখন তোমার ও তোমার বাহনটির প্রতি কদমে একটি করে নেকী লিখা হবে এবং মর্যাদায় একটি স্তর বুলন্দ করা হবে। আর তুমি যখন আরাফায় অবস্থান করবে, আল্লাহ্ তখন ফিরিশতাদেরকে বলবেন, হে আমার ফিরিশতাগণ। আমার বান্দাদেরকে কিসে এখানে নিয়ে এসেছে? ফিরিশতাগণ বলবেন, তারা আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতলাভের আশায় এসেছে। মহান আল্লাহ কখন বলবেন। আমি আমাকে এবং সকল সৃষ্টি জগতকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, আমি তাদেরকে মাফ করে দিলাম। যদিও তাদের পাপরাশি পৃথিবীর দিবসসমূহের সংখ্যায় হয় অথবা আলিজের ঘন বালি রাশির পরিমাণ হয়। আর তোমার শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের পুণ্য, আল্লাহ বলেন:
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থ: কেউই জানে না তার জন্য কি কি নয়ন জুড়ানো প্রতিদান লুক্কায়িত রয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরষ্কার স্বরূপ। (সূরা সাজদাহ, আয়াত নং- ১৭)
আর তোমার মাথা মুড়ানের ব্যাপার, তবে তুমি মনে রাখবে যে, তোমার যে চুলটিই মাটিতে পড়বে, এটি কিয়ামতের দিন তোমার জন্য নূর হয়ে প্রকাশিত হবে। আর তোমার বিদায়ী তওয়াফটি হবে এমন যে, তুমি মাতৃগর্ভ থেকে যেমন নিষ্পাপ এসেছিলে, এরদ্বারা তোমার গুনাহ থেকে তুমি সেরূপ হয়ে যাবে।
(আবুল কাসিম ইস্পাহানীও এ হাদীসটি হযরত আনাস (রা)-এর হাদীসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এরূপ বলেছেন। তোমরা আরাফার অবস্থান (এ ব্যাপারে জেনে নাও যে.) আল্লাহ্ তা'আলা আরাফাবাসীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং বলেন, আমার বান্দাগণ মলিন বসনে ও মলিন দেহে দূর-দূরান্ত থেকে আমার নিকট এসেছে। এই বলে তিনি ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। তোমার গুনাহ যদি আলিজের ঘন বালুস্তূপের ন্যায়ও হয়, আকাশের তারকারাজির সমতুল্যও হয় অথবা সমুদ্র ও বৃষ্টির ফোঁটার সমানও হয়, তবুও আল্লাহ তোমাকে মাফ করে দেবেন। আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপের পুণ্যটি আল্লাহর কাছে ঐ দিনের জন্য সঞ্চিত থাকবে, যে দিন তোমার এর সর্বাধিক প্রয়োজন হবে। আর তোমার মাথা মুড়ানো, তবে তোমার মাথার প্রতিটি চুলের পরিবর্তে কিয়ামতের দিন তুমি নূর লাভ করবে। আর বিদায়ী তওয়াফ করে তুমি সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে।)
فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَا أُخْفِيَ لَهُمْ مِنْ قُرَّةِ أَعْيُنٍ جَزَاءً بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অর্থ: কেউই জানে না তার জন্য কি কি নয়ন জুড়ানো প্রতিদান লুক্কায়িত রয়েছে তাদের কৃতকর্মের পুরষ্কার স্বরূপ। (সূরা সাজদাহ, আয়াত নং- ১৭)
আর তোমার মাথা মুড়ানের ব্যাপার, তবে তুমি মনে রাখবে যে, তোমার যে চুলটিই মাটিতে পড়বে, এটি কিয়ামতের দিন তোমার জন্য নূর হয়ে প্রকাশিত হবে। আর তোমার বিদায়ী তওয়াফটি হবে এমন যে, তুমি মাতৃগর্ভ থেকে যেমন নিষ্পাপ এসেছিলে, এরদ্বারা তোমার গুনাহ থেকে তুমি সেরূপ হয়ে যাবে।
(আবুল কাসিম ইস্পাহানীও এ হাদীসটি হযরত আনাস (রা)-এর হাদীসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ এরূপ বলেছেন। তোমরা আরাফার অবস্থান (এ ব্যাপারে জেনে নাও যে.) আল্লাহ্ তা'আলা আরাফাবাসীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং বলেন, আমার বান্দাগণ মলিন বসনে ও মলিন দেহে দূর-দূরান্ত থেকে আমার নিকট এসেছে। এই বলে তিনি ফিরিশতাদের সাথে গর্ব করেন। তোমার গুনাহ যদি আলিজের ঘন বালুস্তূপের ন্যায়ও হয়, আকাশের তারকারাজির সমতুল্যও হয় অথবা সমুদ্র ও বৃষ্টির ফোঁটার সমানও হয়, তবুও আল্লাহ তোমাকে মাফ করে দেবেন। আর তোমার কঙ্কর নিক্ষেপের পুণ্যটি আল্লাহর কাছে ঐ দিনের জন্য সঞ্চিত থাকবে, যে দিন তোমার এর সর্বাধিক প্রয়োজন হবে। আর তোমার মাথা মুড়ানো, তবে তোমার মাথার প্রতিটি চুলের পরিবর্তে কিয়ামতের দিন তুমি নূর লাভ করবে। আর বিদায়ী তওয়াফ করে তুমি সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1717- وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من حَدِيث عبَادَة بن الصَّامِت وَقَالَ فِيهِ فَإِن لَك من الْأجر إِذا أممت الْبَيْت الْعَتِيق أَلا ترفع قدما أَو تضعها أَنْت ودابتك إِلَّا كتبت لَك حَسَنَة وَرفعت لَك دَرَجَة وَأما وقوفك بِعَرَفَة فَإِن الله عز وَجل يَقُول لملائكته يَا ملائكتي مَا جَاءَ بعبادي قَالُوا جاؤوا يَلْتَمِسُونَ رضوانك وَالْجنَّة فَيَقُول الله عز وَجل فَإِنِّي أشهد نَفسِي وَخلقِي أَنِّي قد غفرت لَهُم وَلَو كَانَت ذنوبهم عدد أَيَّام الدَّهْر وَعدد رمل عالج وَأما رميك الْجمار قَالَ الله عز وَجل {فَلَا تعلم نفس مَا أُخْفِي لَهُم من قُرَّة أعين جَزَاء بِمَا كَانُوا يعْملُونَ} السَّجْدَة 71
وَأما حلقك رَأسك فَإِنَّهُ لَيْسَ من شعرك شَعْرَة تقع فِي الأَرْض إِلَّا كَانَت لَك نورا يَوْم الْقِيَامَة وَأما طوافك بِالْبَيْتِ إِذا ودعت فَإنَّك تخرج من ذنوبك كَيَوْم وَلدتك أمك
وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ من حَدِيث أنس بن مَالك نَحوه إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ وَأما وقوفك بِعَرَفَات فَإِن الله تَعَالَى يطلع على أهل عَرَفَات فَيَقُول عبَادي أَتَوْنِي شعثا غبرا أَتَوْنِي من كل فج عميق فيباهي بهم الْمَلَائِكَة فَلَو كَانَ عَلَيْك من الذُّنُوب مثل رمل عالج ونجوم السَّمَاء وقطر الْبَحْر والمطر غفر الله لَك وَأما رميك الْجمار فَإِنَّهُ مدخور لَك عِنْد رَبك أحْوج مَا تكون إِلَيْهِ وَأما حلقك رَأسك فَإِن لَك بِكُل شَعْرَة تقع مِنْك نورا يَوْم الْقِيَامَة وَأما طوافك بِالْبَيْتِ فَإنَّك تصدر وَأَنت من ذنوبك كَهَيئَةِ يَوْم وَلدتك أمك
وَأما حلقك رَأسك فَإِنَّهُ لَيْسَ من شعرك شَعْرَة تقع فِي الأَرْض إِلَّا كَانَت لَك نورا يَوْم الْقِيَامَة وَأما طوافك بِالْبَيْتِ إِذا ودعت فَإنَّك تخرج من ذنوبك كَيَوْم وَلدتك أمك
وَرَوَاهُ أَبُو الْقَاسِم الْأَصْبَهَانِيّ من حَدِيث أنس بن مَالك نَحوه إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ وَأما وقوفك بِعَرَفَات فَإِن الله تَعَالَى يطلع على أهل عَرَفَات فَيَقُول عبَادي أَتَوْنِي شعثا غبرا أَتَوْنِي من كل فج عميق فيباهي بهم الْمَلَائِكَة فَلَو كَانَ عَلَيْك من الذُّنُوب مثل رمل عالج ونجوم السَّمَاء وقطر الْبَحْر والمطر غفر الله لَك وَأما رميك الْجمار فَإِنَّهُ مدخور لَك عِنْد رَبك أحْوج مَا تكون إِلَيْهِ وَأما حلقك رَأسك فَإِن لَك بِكُل شَعْرَة تقع مِنْك نورا يَوْم الْقِيَامَة وَأما طوافك بِالْبَيْتِ فَإنَّك تصدر وَأَنت من ذنوبك كَهَيئَةِ يَوْم وَلدتك أمك
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৮
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি হজ্জ করতে রওয়ানা হল এবং পথিমধ্যে মারা গেল, কিয়ামত পর্যন্ত তার আমলনামায় হজ্জকারীর পুণ্য লিখা হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি উমরা আদায় করতে গিয়ে মারা গেল, কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য উমরা পালনকারীর পুণ্য লিখা হতে থাকবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি জিহাদের জন্য রওয়ানা হয়ে মারা গেল, তার আমলনামায় কিয়ামত পর্যন্ত মুজাহিদের পুণ্য লিপিবদ্ধ হতে থাকবে।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সনদের অন্যান্যা রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি আবু ইয়ালা মুহাম্মদ ইবন ইসহাক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। সনদের অন্যান্যা রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1718- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من خرج حَاجا فَمَاتَ كتب لَهُ أجر الْحَاج إِلَى يَوْم الْقِيَامَة وَمن خرج مُعْتَمِرًا فَمَاتَ كتب لَهُ أجر الْمُعْتَمِر إِلَى يَوْم الْقِيَامَة وَمن خرج غازيا فَمَاتَ كتب لَهُ أجر الْغَازِي إِلَى يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ أَبُو يعلى من رِوَايَة مُحَمَّد بن إِسْحَاق وَبَقِيَّة رُوَاته ثِقَات
رَوَاهُ أَبُو يعلى من رِوَايَة مُحَمَّد بن إِسْحَاق وَبَقِيَّة رُوَاته ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭১৯
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭১৯. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে হজ্জ অথবা উমরা আদায় করতে বের হল এবং এ পথে মারা গেল, তার কোন হিসাব-নিকাশ নেয়া হবে না। তাকে বলা হবে, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ আরও বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তওয়াফকারীদের নিয়ে গর্ব করেন।
(হাদীসটি তাবারানী, আবু ইয়ালা, দারা কুতনী ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী, আবু ইয়ালা, দারা কুতনী ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1719- وَرُوِيَ عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من خرج فِي هَذَا الْوَجْه لحج أَو عمْرَة فَمَاتَ فِيهِ لم يعرض وَلم يُحَاسب وَقيل لَهُ ادخل الْجنَّة
قَالَت وَقَالَ
رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله يباهي بالطائفين
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَأَبُو يعلى وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالْبَيْهَقِيّ
قَالَت وَقَالَ
رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله يباهي بالطائفين
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَأَبُو يعلى وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭২০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭২০. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই এ ঘরটি (বায়তুল্লাহ শরীফ) ইসলামের একটি স্তম্ভ বিশেষ। অতএব যে ব্যক্তি হজ্জ অথবা উমরা আদায় করল, সে আল্লাহর যিম্মায় চলে গেল। সে যদি মারা যায়, তবে আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন। আর যদি তার পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরিয়ে আনেন, তবে পুণ্য ও মর্যাদাসহ ফিরিয়ে আনবেন।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1720- وَرُوِيَ عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن هَذَا الْبَيْت دعامة من دعائم الْإِسْلَام فَمن حج الْبَيْت أَو اعْتَمر فَهُوَ ضَامِن على الله فَإِن مَاتَ أدخلهُ الْجنَّة وَإِن رده إِلَى أَهله رده بِأَجْر وغنيمة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭২১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭২১. হযরত জাবির (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি মক্কা যাওয়ার পথে অথবা মক্কা থেকে ফেরার পথে মারা যাবে, তার কোন হিসাব-নিকাশ হবে না। অথবা তিনি বলেছেন, তাকে মার্জনা করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1721- وَرُوِيَ عَنهُ أَيْضا رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من مَاتَ فِي طَرِيق مَكَّة ذَاهِبًا أَو رَاجعا لم يعرض وَلم يُحَاسب أَو غفر لَهُ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭২২
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭২২. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক সময় জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সঙ্গে আরাফায় অবস্থান করছিল। হঠাৎ লোকটি তার বাহনটি থেকে ছিটকে নীচে পড়ে গেল এবং সেটি তাকে মেরে ফেলল। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ তখন বললেন, এ লোকটিকে বরইপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল দাও এবং তার গায়ের দু'টি কাপড় দিয়েই কাফন পরিয়ে দাও। তার মাথাটি ঢাকবে না। কেননা তালবিয়া পাঠরত অবস্থায়ই তাকে উঠানো হবে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও ইবন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন। তদের অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ জনৈক ব্যাক্তি নবী করীম ﷺ -এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিল। আর উষ্ট্রীটি তাকে নীচে ফেলে দিলে এবং সে মারা গেল। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন : তাকে বরইপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল দাও এবং তার গায়ের দুটি কাপড় দিয়েই কাফন পরিয়ে নাও। তাকে কোন প্রকার সুগন্ধ স্পর্শ করিও না এবং তার মাথা ঢেকে দিও না।* কেননা কিয়ামতের দিন তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় সে উত্থিত হবে।)
*হজের সময় তালবিয়া পাঠকালে যেহেতু ইহরাম পরা থাকে এবং ইহরামকালে মাথা খোলা রাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার না করাটি শরীয়তের বিধান, এজন্য তাঁর ক্ষেত্রে এরূপ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও ইবন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন। তদের অপর এক বর্ণনায় রয়েছেঃ জনৈক ব্যাক্তি নবী করীম ﷺ -এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিল। আর উষ্ট্রীটি তাকে নীচে ফেলে দিলে এবং সে মারা গেল। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন : তাকে বরইপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল দাও এবং তার গায়ের দুটি কাপড় দিয়েই কাফন পরিয়ে নাও। তাকে কোন প্রকার সুগন্ধ স্পর্শ করিও না এবং তার মাথা ঢেকে দিও না।* কেননা কিয়ামতের দিন তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় সে উত্থিত হবে।)
*হজের সময় তালবিয়া পাঠকালে যেহেতু ইহরাম পরা থাকে এবং ইহরামকালে মাথা খোলা রাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার না করাটি শরীয়তের বিধান, এজন্য তাঁর ক্ষেত্রে এরূপ আদেশ দেয়া হয়েছিল।
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1722- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ بَينا رجل وَاقِف مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِعَرَفَة إِذْ وَقع عَن رَاحِلَته فأقصعته فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اغسلوه بِمَاء وَسدر وكفنوه بثوبيه وَلَا تخمروا رَأسه وَلَا تحنطوه فَإِنَّهُ يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة ملبيا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَابْن خُزَيْمَة
وَفِي رِوَايَة لَهُم أَن رجلا كَانَ مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فوقصته نَاقَته وَهُوَ محرم فَمَاتَ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اغسلوه بِمَاء وَسدر وكفنوه فِي ثوبيه وَلَا تمسوه بِطيب وَلَا تخمروا رَأسه فَإِنَّهُ يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة ملبيا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَابْن خُزَيْمَة
وَفِي رِوَايَة لَهُم أَن رجلا كَانَ مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فوقصته نَاقَته وَهُوَ محرم فَمَاتَ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اغسلوه بِمَاء وَسدر وكفنوه فِي ثوبيه وَلَا تمسوه بِطيب وَلَا تخمروا رَأسه فَإِنَّهُ يبْعَث يَوْم الْقِيَامَة ملبيا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭২৩
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: হজ্জ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
হজ্জ ও উমরার প্রতি উৎসাহ দান এবং এগুলো আদায় করতে বের হয়ে যারা মারা যায় তাদের প্রসঙ্গ
১৭২৩. মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে। তারপর রাসুলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে নির্দেশ দিলেন যে, তাকে বরইপাতা সিদ্ধ পানিতে গোসল দাও এবং তার মুখ খোলা রাখ। রাবী বলেন, আমার ধারণা যে, তিনি মাথা খোলা রাখার কথাও বলেছিলেন। কেননা সে তালবিয়া পাঠরত অবস্থায় উত্থিত হবে।
كتاب الْحَج
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
التَّرْغِيب فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن خرج يقصدهما فَمَاتَ
1723- وَفِي رِوَايَة لمُسلم فَأَمرهمْ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يغسلوه بِمَاء وَسدر وَأَن يكشفوا وَجهه حسبته قَالَ وَرَأسه فَإِنَّهُ يبْعَث وَهُوَ يهل
وقصته نَاقَته مَعْنَاهُ رمته نَاقَته فَكسرت عُنُقه
وَكَذَلِكَ فأقصعته
وقصته نَاقَته مَعْنَاهُ رمته نَاقَته فَكسرت عُنُقه
وَكَذَلِكَ فأقصعته
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭২৪
অধ্যায়ঃ হজ্জ
পরিচ্ছেদঃ হজ্জ ও উমরা আদায়ে অর্থ ব্যয়ের প্রতি উৎসাহ দান এবং হজ্জ ও উমরা পালনে হারাম মাল
ব্যয় করা প্রসঙ্গ
ব্যয় করা প্রসঙ্গ
১৭২৪. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাঁকে উমরা পালনের সময় বলেছিলেন, তোমার কষ্ট স্বীকার ও অর্থ ব্যয় অনুযায়ী তোমার জন্য পুণ্য রয়েছে।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্। হাকিমের আরও একটি বিশুদ্ধ বর্ণনায় এমন রয়েছে। তোমার উমরা পালনে তোমার অর্থ ব্যয় অনুযায়ী পুণ্য রয়েছে।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এটি বুখারী ও মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ্। হাকিমের আরও একটি বিশুদ্ধ বর্ণনায় এমন রয়েছে। তোমার উমরা পালনে তোমার অর্থ ব্যয় অনুযায়ী পুণ্য রয়েছে।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي النَّفَقَة فِي الْحَج وَالْعمْرَة وَمَا جَاءَ فِيمَن أنْفق فيهمَا من مَال حرَام
1724- عَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهَا فِي عمرتها إِن لَك من
الْأجر على قدر نصبك ونفقتك
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
وَفِي رِوَايَة لَهُ وصححها إِنَّمَا أجرك فِي عمرتك على قدر نَفَقَتك
النصب هُوَ التَّعَب وزنا وَمعنى
الْأجر على قدر نصبك ونفقتك
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
وَفِي رِوَايَة لَهُ وصححها إِنَّمَا أجرك فِي عمرتك على قدر نَفَقَتك
النصب هُوَ التَّعَب وزنا وَمعنى
তাহকীক: