আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৫ টি

হাদীস নং: ১৫০৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৭. হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, রমযানে যারা আল্লাহর যিকির করে, তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যারা আল্লাহর কাছে কোন কিছু প্রার্থনা করে, তারা বঞ্চিত হয় না।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী এবং ইস্পাহানীও এটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1507- وَرُوِيَ عَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَاكر الله فِي رَمَضَان مغْفُور لَهُ وَسَائِل الله فِيهِ لَا يخيب

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْبَيْهَقِيّ والأصبهاني
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫০৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৮. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদিন বললেন: তোমাদের সামনে কি আসছে এবং তোমরা কিসের মুখোমুখি হচ্ছ? কথাটি তিনি তিনবার বললেন। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আল্লাহর পক্ষ থেকে কি কোন ওহী অবতীর্ণ হয়েছে? তিনি বললেন, না। উমর বললেন, তা হলে কি কোন শত্রু এসে গিয়েছে? তিনি বললেন, না। উমর বললেন, তাহলে সেটি কি? রাসূলুল্লাহ বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ রমযানের প্রথম রাত্রিতে সকল কিবলা অনুসারীকে মাফ করে দেন। এই বলে তিনি কিবলার দিকে হাতে ইশারা করলেন। একথা শুনে এক ব্যক্তি তাঁর সামনে মাথা নাড়তে লাগল এবং বলতে লাগল, বাহ বাহ। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, এতে কি তোমার অন্তর সংকীর্ণ হয়ে গেল? সে বলল, না, বরং আমি মুনাফিকদের কথা ভাবছি। তিনি বললেন, মুনাফিকরা হল কাফির। আর এতে কাফিরদের জন্য কোন কিছু নেই।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেন, হাদীসটি যদি সহীহ হয়ে থাকে তবুও আমি খালাফ আবুর রবী ও তার পরবর্তী বর্ণনাকারী আমর ইবন হামযা কায়সীর নির্ভরযোগ্যতা-অনির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে অনবহিত।) |
(হাফিয বলেন), ইব্‌ন আবূ হাতিম তাদের দু'জনেরই আলোচনা করেছেন কিন্তু তাদের সমালোচনায় কিছু বলেননি। আল্লাহ্ ভাল জানেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1508- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَاذَا يستقبلكم وتستقبلون ثَلَاث مَرَّات فَقَالَ عمر بن الْخطاب يَا رَسُول الله وَحي نزل قَالَ لَا
قَالَ عَدو حضر قَالَ لَا
قَالَ فَمَاذَا قَالَ إِن الله يغْفر فِي أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان لكل أهل هَذِه الْقبْلَة
وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلَيْهَا فَجعل رجل بَين يَدَيْهِ يهز رَأسه وَيَقُول بخ بخ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا فلَان ضَاقَ بِهِ صدرك
قَالَ لَا وَلَكِن ذكرت الْمُنَافِق فَقَالَ إِن الْمُنَافِقين هم الْكَافِرُونَ وَلَيْسَ للْكَافِرِينَ فِي ذَلِك شَيْء

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِنِّي لَا أعرف خلفا أَبَا الرّبيع بعدالة وَلَا جرح وَلَا عَمْرو بن حَمْزَة الْقَيْسِي الَّذِي دونه
قَالَ الْحَافِظ قد ذكرهمَا ابْن أبي حَاتِم وَلم يذكر فيهمَا جرحا وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫০৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৯. হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ্ মাদ্রির একবার অন্যান্য মাসের তুলনায় রমযানের মর্যাদার উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি রমযান মাসে রাত্রি জাগরণ করবে (সালাতুত তারাবীহ আদায় করবে), সে গুনাহ থেকে এমনভাবে বেরিয়ে আসবে যেমন (নিষ্পাপ অবস্থায়) তার মা তাকে প্রসব করেছিল।
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এখানে সাহাবীর নামটি ভুল উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এটি আবু হুরায়রা (রা)-এর বর্ণিত হাদীস।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1509- وَعَن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذكر رَمَضَان يفضله على الشُّهُور فَقَالَ من قَامَ رَمَضَان إِيمَانًا واحتسابا خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَقَالَ هَذَا خطأ وَالصَّوَاب أَنه عَن أبي هُرَيْرَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫১০. নাসাঈর অপর এক বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ রমযানের রোযা ফরয করে দিয়েছেন। আর আমি তোমাদের জন্য এর রাত্রি জাগরণ (সালাতুত তারাবীহকে) সুন্নত করে দিয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও পুণ্যলাভের আশায় এ মাসে রোযা পালন ও রাত্রি জাগরণ করবে, সে নিজের পাপরাশি থেকে এভাবে বেরিয়ে আসবে যেমন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1510- وَفِي رِوَايَة لَهُ قَالَ إِن الله فرض صِيَام رَمَضَان وسننت لكم قِيَامه فَمن صَامَهُ وقامه إِيمَانًا واحتسابا خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫১১. হযরত আমর ইবন মুররা জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার জনৈক ব্যক্তি নবী করীম ﷺ-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনি বলুন তো আমি যদি এ কথার সাক্ষ্য নেই যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নেই, আর আপনি আল্লাহর রাসূল এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি, যাকাত প্রদান করি, রমযানের সাওম পালন করি ও রাত্রি জাগরণ করি। তখন আমি কাদের অন্তর্ভুক্ত হব? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, তুমি সিদ্দীক ও শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ ইবন হিব্বানের।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1511- وَعَن عَمْرو بن مرّة الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ جَاءَ رجل إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله أَرَأَيْت إِن شهِدت أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَأَنَّك رَسُول الله وَصليت الصَّلَوَات الْخمس وَأديت الزَّكَاة وَصمت رَمَضَان وقمته فَمِمَّنْ أَنا قَالَ من الصديقين وَالشُّهَدَاء

رَوَاهُ الْبَزَّار وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَاللَّفْظ لِابْنِ حبَان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫১২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও পুণ্যলাভের আশায়, লায়লাতুল কদরে ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
ইতিপূর্বে মুসলিমের একটি বর্ণনা এভাবে এসেছে যেঃ যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদরে রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করবে এবং এ রাত পেয়ে যাবে বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা যে, এ কথাটিও হাদীসে রয়েছে। "ঈমানের সাথে এবং পুণ্যলাভের আশায়" তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1512- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَامَ لَيْلَة الْقدر إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
الحَدِيث أَخْرجَاهُ فِي الصَّحِيحَيْنِ
وَتقدم فِي رِوَايَة لمُسلم قَالَ من يقم لَيْلَة الْقدر فيوافقها وَأرَاهُ قَالَ إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫১৩. হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে লায়লাতুল কদর সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি রমযান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রির একুশতম অথবা তেইশতম অথবা পঁচিশতম অথবা সাতাশতম অথবা উনত্রিশতম রাত্রিতে অথবা রমযানের শেষ রাত্রিতে হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি পুণ্যলাভের আশায় এ রাত্রিতে ইবাদত করবে, তার পূর্বাপর সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
এ হাদীসের প্রতিপাদ্য এই অতিরিক্ত বিষয়বস্তুটি এ অধ্যায়ের শুরুতে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণিত হাদীসটিতে আসে নাই।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1513- وروى أَحْمد من طَرِيق عبد الله بن مُحَمَّد بن عقيل عَن عَمْرو بن عبد الرَّحْمَن عَن عبَادَة بن الصَّامِت قَالَ أخبرنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن لَيْلَة الْقدر
قَالَ هِيَ فِي شهر رَمَضَان فِي الْعشْر الْأَوَاخِر لَيْلَة إِحْدَى وَعشْرين أَو ثَلَاث وَعشْرين أَو خمس وَعشْرين أَو سبع وَعشْرين أَو تسع وَعشْرين أَو آخر لَيْلَة من رَمَضَان
من قامها احتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه وَمَا تَأَخّر
وَمَا تقدّمت هَذِه الزِّيَادَة فِي حَدِيث أبي هُرَيْرَة فِي أول الْبَاب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫১৪. মালিক (র) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে একথা বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ -কে পূর্ববর্তী মানুষের বয়স ও এ বিষয়ে আল্লাহ্ আরও যা ইচ্ছা করেছিলেন, সবকিছু দেখানো হল। এতে তিনি যেন আপন উম্মতের বয়সকে পূর্ববর্তী মানুষের আমলের পর্যায়ে পৌঁছাবার পক্ষে অপ্রতুল মনে করলেন। তাই আল্লাহ্ তাকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই লায়লাতুল কদর দান করলেন।
(মালিক এ হাদীসটি তাঁর মুয়াত্তা গ্রন্থে এভাবেই উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1514- وَعَن مَالك رَحمَه الله أَنه سمع من يَثِق بِهِ من أهل الْعلم يَقُول إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أرِي أَعمار النَّاس قبله أَو مَا شَاءَ الله من ذَلِك فَكَأَنَّهُ تقاصر أَعمار أمته أَن يبلغُوا من الْعَمَل مثل الَّذِي بلغ غَيرهم فَأعْطَاهُ الله لَيْلَة الْقدر خيرا من ألف شهر

ذكره فِي الْمُوَطَّأ هَكَذَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে রমযানের কোন একদিনের রোযা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সতর্কবাণী
১৫১৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, শরীয়তসম্মত ওযর ও অসুস্থতা ছাড়া যে ব্যক্তি রমযানের একদিনের রোযা ছেড়ে দিল, সারা জীবন রোযা রাখলেও সে এর কাযা আদায় ও ক্ষতিপূরণ করতে পারবে না।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। আবু দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। ইব্‌ন খুযায়মাও হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেছেন। এঁরা সবাই ইবনুল মুতাওয়াস সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেন। এও বলা হয় যে, বর্ণনাকারী হলেন আবুল মুতাওয়াস। তিনি তাঁর পিতার সূত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। বুখারী এ হাদীসটি তালীক হিসেবে খুব নিশ্চয়তা ছাড়া এভাবে বর্ণনা করেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) থেকে মারফু' সূত্রে উল্লেখ করা হয় যে, যে ব্যক্তি রমযানের একদিনের রোযা কোন ওযর ও অসুস্থতা ব্যতীত ছেড়ে দিল, সে যদি সারা জীবন রোযা রাখে তবুও এর কাযা আদায় বা ক্ষতিপূরণ হবে না।
তিরমিযী বলেছেন, এই সূত্রটি ছাড়া অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমি মুহাম্মদ অর্থাৎ ইমাম বুখারীকে বলতে শুনেছি যে, আবুল মুতাওয়াস-এর নাম ইয়াযীদ ইবনুল মুতাওয়াস। এ হাদীসটি ছাড়া তাঁর অন্য কোন হাদীস আমার জানা নেই। বুখারী আরো বলেছেন, আবুল মুতাওয়াস-এর পিতা হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে কোন হাদীস শুনেছেন কিনা; আমি জানি না। ইবন হিব্বান বলেন, আবুল মুতাওয়াস একা কোন হাদীস বর্ণনা করলে এরদ্বারা দলীল দেয়া যাবে না। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْهِيب من إفطار شَيْء من رَمَضَان من غير عذر
1515- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أفطر يَوْمًا من رَمَضَان من غير رخصَة وَلَا مرض لم يقضه صَوْم الدَّهْر كُله وَإِن صَامَهُ

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة ابْن المطوس وَقيل أبي المطوس عَن أَبِيه عَن أبي هُرَيْرَة وَذكره البُخَارِيّ تَعْلِيقا غير مجزوم فَقَالَ وَيذكر عَن أبي هُرَيْرَة رَفعه
من أفطر يَوْمًا من رَمَضَان من غير عذر وَلَا مرض لم يقضه صَوْم الدَّهْر وَإِن صَامَهُ
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ لَا نعرفه إِلَّا من هَذَا الْوَجْه وَسمعت مُحَمَّدًا يَعْنِي البُخَارِيّ يَقُول أَبُو المطوس اسْمه يزِيد بن المطوس وَلَا أعرف لَهُ غير هَذَا الحَدِيث انْتهى
وَقَالَ البُخَارِيّ أَيْضا لَا أَدْرِي سمع أَبوهُ من أبي هُرَيْرَة أم لَا وَقَالَ ابْن حبَان لَا يجوز الِاحْتِجَاج بِمَا انْفَرد بِهِ وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে রমযানের কোন একদিনের রোযা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সতর্কবাণী
১৫১৬. হযরত আবু উমামা বাহিলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, একদিন নিদ্রাবস্থায় দু'জন লোক আমার কাছে আসল এবং বাহু চেপে ধরল। তারপর তারা আমাকে নিয়ে এমন এক পাহাড়ের কাছে আসল যাতে আরোহণ করা খুবই কঠিন। তারা আমাকে বলল, আপনি উপরে উঠুন। আমি বললাম, আমি উঠতে পারব না। তারা বলল, আমরা আপনার জন্য তা সহজসাধ্য করে দিব। তখন আমি আরোহণ করতে লাগলাম। আমি যখন পাহাড়ের মাঝখানে এসে পৌঁছলাম, তখন হঠাৎ বিকট চিৎকার শুনতে পেলাম। আমি বললাম, এগুলো কিসের শব্দ? তারা বলল, এটি জাহান্নামীদের আর্তনাদ। আবার তারা আমাকে নিয়ে চলল। হঠাৎ দেখি কিছু লোককে পা বেঁধে লটকিয়ে রাখা হয়েছে। আর তাদের চোয়ালগুলো বিভক্ত, ক্ষত-বিক্ষত এবং তাঁ থেকে রক্তের ধারা বয়ে যাচ্ছে। আমি বললাম এরা কারা? সে (ফিরিশতা) বলল, যারা সময় হওয়ার পূর্বেই ইফতার করে ফেলত .....।
(এ হাদীসটি ইব্‌ন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْهِيب من إفطار شَيْء من رَمَضَان من غير عذر
1516- وَعَن أبي أُمَامَة الْبَاهِلِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول بَينا أَنا نَائِم أَتَانِي رجلَانِ فأخذا بضبعي فَأتيَا بِي جبلا وعرا فَقَالَا اصْعَدْ فَقلت إِنِّي لَا أُطِيقهُ فَقَالَا إِنَّا سنسهله لَك فَصَعدت حَتَّى إِذا كنت فِي سَوَاء الْجَبَل إِذا بِأَصْوَات شَدِيدَة
قلت مَا هَذِه الْأَصْوَات قَالُوا هَذَا عواء أهل النَّار ثمَّ انْطلق بِي فَإِذا أَنا بِقوم معلقين بعراقيبهم مشققة أشداقهم تسيل أشداقهم دَمًا قَالَ قلت من هَؤُلَاءِ قَالَا الَّذين يفطرون قبل تَحِلَّة صومهم
الحَدِيث رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
وَقَوله قبل تَحِلَّة صومهم مَعْنَاهُ يفطرون قبل وَقت الْإِفْطَار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে রমযানের কোন একদিনের রোযা ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সতর্কবাণী
১৫১৭. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। হাম্মাদ বলেন, আমার জানামতে এটি হযরত (ইবন আব্বাস (রা) মারফু’ভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেনঃ ইসলামের রজু ও দীনের ভিত্তি তিনটি, এগুলোর উপরই ইসলাম প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটি পরিত্যাগ করবে, সে এগুলোর অস্বীকারকারী বলে সাব্যস্ত হবে এবং তাকে হত্যা করা বৈধ হবে। বিষয় তিনটি হল এই'। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই একথার সাক্ষ্য প্রদান, ফরয সালাত আদায় ও রমযানের সাওম পালন।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। অপর এক বর্ণনায় এরূপ এসেছে। যে ব্যক্তি এগুলোর কোন একটি ছেড়ে দেবে, সে আল্লাহকে অগ্রাহ্যকারী কাফির বলে গণ্য হবে। তার ফরয-নফল কোন ইবাদতই কবুল করা হবে না এবং তার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিনষ্ট হয়ে যাবে।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْهِيب من إفطار شَيْء من رَمَضَان من غير عذر
1517- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ حَمَّاد بن زيد وَلَا أعلمهُ إِلَّا قد رَفعه إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ عرى الْإِسْلَام وقواعد الدّين ثَلَاثَة عَلَيْهِنَّ أسس الْإِسْلَام من ترك وَاحِدَة مِنْهُنَّ فَهُوَ بهَا كَافِر حَلَال الدَّم شَهَادَة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَالصَّلَاة الْمَكْتُوبَة وَصَوْم رَمَضَان رَوَاهُ أَبُو يعلى بِإِسْنَاد حسن
وَفِي رِوَايَة من ترك مِنْهُنَّ وَاحِدَة فَهُوَ بِاللَّه كَافِر وَلَا يقبل مِنْهُ صرف وَلَا عدل وَقد حل دَمه وَمَاله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫১৮. হযরত আবূ আইয়ুব (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল,তারপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোযা পালন করল, সে যেন সারা বছর রোযা পালন করল।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ ও তাবারানী বর্ণনা করেছেন। তাবারানী নীচের অংশটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন:
বর্ণনাকারী (আবু আইয়ূব) বলেন, আমি বললাম, তাহলে কি প্রতি দিনে দশ দিন? রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, হ্যাঁ। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থসমূহের বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم سِتّ من شَوَّال
1518- عَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ رَمَضَان ثمَّ أتبعه سِتا من شَوَّال كَانَ كصيام الدَّهْر

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ
وَزَاد قَالَ قلت بِكُل يَوْم عشرَة قَالَ نعم
وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫১৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫১৯. হযরত সাওবান (রা) (রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর আযাদকৃত দাস) রাসূলুল্লাহ্ ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: ঈদুল ফিতরের পর যে ব্যক্তি ছয়টি রোযা পালন করবে, সে পূর্ণ বছর রোযা পালনকারী হিসেবে গণ্য হবে। কেননা যে একটি পুণ্য করবে, তাকে দশগুণ বিনিময় দেয়া হবে।
(হাদীসাটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। নাসাঈও এটি নিম্নরূপ বর্ণনা করেছেনঃ
আল্লাহ্ একটি পুণ্যের বিনিময় দশগুণ করে দিয়েছেন। অতএব একমাসে দশমাস। আর ঈদুল ফিতরের পর ছয় দিন রোযা পালনে পূর্ণ বছরের রোযা হয়ে যায়।
ইবন খুযায়মা এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনা এবং নাসাঈর অপর একটি বর্ণনা নিম্নরূপ: রমযানের এক মাসের রোযা দশ মাসের রোযার সমান। আর (শাওয়ালের) ছয়দিনের রোযা দু'মাসের রোযার সমান। অতএব এতে পূর্ণ বৎসরের রোখা হয়ে গেল।
ইবন হিব্বানও এ হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে নিম্নরূপ বর্ণনা করেছেন: যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল এবং শাওয়ালেরও ছয়দিন রোযা পালন করল, সে যেন পূর্ণ বৎসর রোযা রাখল।
এ হাদীসটি আহমদ, বাযযার ও তাবারানী হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم سِتّ من شَوَّال
1519- وَعَن ثَوْبَان رَضِي الله عَنهُ مولى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ سِتَّة أَيَّام بعد الْفطر كَانَ تَمام السّنة {من جَاءَ بِالْحَسَنَة فَلهُ عشر أَمْثَالهَا} الْأَنْعَام 061
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالنَّسَائِيّ وَلَفظه جعل الله الْحَسَنَة بِعشر أَمْثَالهَا فشهر بِعشْرَة أشهر وَصِيَام سِتَّة أَيَّام بعد الْفطر تَمام السّنة
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه وَهُوَ رِوَايَة النَّسَائِيّ قَالَ صِيَام شهر رَمَضَان بِعشْرَة أشهر وَصِيَام سِتَّة أَيَّام بشهرين فَذَلِك صِيَام السّنة
وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه من صَامَ رَمَضَان وستا من شَوَّال فقد صَامَ السّنة
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ من حَدِيث جَابر بن عبد الله
হাদীস নং: ১৫২০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫২০. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানে রোযা। রাখল, তারপর শাওয়ালে আরও ছয়টি রোযা পালন করল, সে যেন সারা বছরই সাওম পালন করল।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। বর্ণনার একটি সূত্র বিশুদ্ধ। তাবারানী এটি তাঁর 'আওসাত' নামক কিতাবে সমালোচনাযোগ্য সনদে বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাটি নিম্নরূপ:
যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের পর একাধারে ছয়টি রোযা পালন করল, সে যেন পূর্ণ বছর রোযা রাখল।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم سِتّ من شَوَّال
1520- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ رَمَضَان وَأتبعهُ بست من شَوَّال فَكَأَنَّمَا صَامَ الدَّهْر

رَوَاهُ الْبَزَّار وَأحد طرقه عِنْده صَحِيح وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد فِيهِ نظر قَالَ من صَامَ سِتَّة أَيَّام بعد الْفطر متتابعة فَكَأَنَّمَا صَامَ السّنة كلهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫২১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাওয়াল মাসের ছয়টি রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫২১. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল এবং তারপর শাওয়ালে ছয়টি রোযা পালন করল, সে নিজের গুনাহ থেকে এমনভাবে বেরিয়ে আসল যেমন তার মা তাকে প্রসব করেছিল।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم سِتّ من شَوَّال
1521- وَرُوِيَ عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ رَمَضَان وَأتبعهُ سِتا من شَوَّال خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫২২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২২. হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে আরাফার দিনের রোযা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি তখন বলেছিলেনঃ এদিনের রোযা বিগত ও আগত বছরের গুনাহসমূহের কাফফারা স্বরূপ হয়ে যাবে।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। আবূ দাউদ, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। তিরমিযী এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন:
নবী করীম ﷺ বলেছেন, আরাফার দিনের রোযা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে এ আশা পোষণ করি যে, তিনি এরদ্বারা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বছরের গুনাহসমূহ মাফ করে দেবেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1522- عَن أبي قَتَادَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سُئِلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن صَوْم يَوْم عَرَفَة قَالَ
يكفر السّنة الْمَاضِيَة والباقية

رَوَاهُ مُسلم وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَلَفظه إِن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ صِيَام يَوْم عَرَفَة إِنِّي أحتسب على الله أَن يكفر السّنة الَّتِي بعده وَالسّنة الَّتِي قبله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫২৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৩. ইবন মাজাহ কাতাদা ইব্‌ন নুমান থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ ﷺ -কে একথা বলতে শুনেছি। যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোযা রাখবে, তার সামনের এক বছরের ও পিছনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1523- وروى ابْن مَاجَه أَيْضا عَن قَتَادَة بن النُّعْمَان قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صَامَ يَوْم عَرَفَة غفر لَهُ سنة أَمَامه وَسنة بعده
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫২৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৪. আতা খুরাসানী (র) থেকে বর্ণিত যে, আবদুর রহমান ইব্‌ন আবু বকর আরাফার দিন হযরত আয়েশা। (রা)-এর বাড়িতে গিয়ে দেখলেন যে, তিনি রোযা রেখেছেন এবং তাঁর গায়ে পানি ছিটানো হচ্ছে। আবদুর রহমান তাঁকে বললেন, তুমি রোযা ভেঙ্গে ফেল। আয়েশা বললেন, রোযা ছেড়ে দেব? অথচ আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি। নিশ্চয়ই আরাফার দিনের রোযা পূর্ববর্তী বছরের গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যাবে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। হাদীসের সকল বর্ণনাকারী সহীহ গ্রন্থসমূহের বর্ণনাকারীদের মতই নির্ভরযোগ্য। তবে আতা খুরাসানী আবদুর রহমান ইবন আবু বকর থেকে হাদীস শোনেননি।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1524- وَعَن عَطاء الْخُرَاسَانِي أَن عبد الرَّحْمَن بن أبي بكر رَضِي الله عَنْهُمَا دخل على عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا يَوْم عَرَفَة وَهِي صَائِمَة وَالْمَاء يرش عَلَيْهَا فَقَالَ لَهَا عبد الرَّحْمَن أفطري فَقَالَت أفطر وَقد سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن صَوْم يَوْم عَرَفَة يكفر الْعَام الَّذِي قبله

رَوَاهُ أَحْمد وَرُوَاته ثِقَات مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح إِلَّا أَن عَطاء الْخُرَاسَانِي لم يسمع من عبد الرَّحْمَن بن أبي بكر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫২৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৫. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোযা রাখবে, তার একাধারে দু'বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ গ্রন্থসমূহের বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1525- وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْم عَرَفَة غفر لَهُ ذَنْب سنتَيْن متتابعتين

رَوَاهُ أَبُو يعلى وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫২৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আরাফার দিনের রোযা রাখবে, তার পরবর্তী এক বছর ও পিছনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি আশুরার রোযা রাখবে, তার এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।।
(হাদীসটি তাবারানী হাসান সনদে তাঁর 'আওসাত' নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1526- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْم عَرَفَة غفر لَهُ سنة أَمَامه وَسنة خَلفه وَمن صَامَ عَاشُورَاء غفر لَهُ سنة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক: