আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৫ টি
হাদীস নং: ১৪৮৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ একবার মিম্বরে আরোহণ করলেন এবং তিনবার 'আমীন' বললেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনি মিম্বরে উঠলেন ও তিনবার আমীন বললেন? তিনি বললেন, জিবরাঈল (আ) আমার কাছে আসলেন এবং বললেনঃ যে রমযান মাস পেল, অথচ তাকে ক্ষমা করা হল না এবং সে জাহান্নামী হয়ে গেল, তাকে আল্লাহর রহমত থেকে দূর করুন। আপনি এতে 'আমীন' বলুন। অতএব আমি আমীন বললাম…………………।
(হাদীসটি ইব্ন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান 'সহীহ' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ ইবন হিব্বানের।)
(হাদীসটি ইব্ন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান 'সহীহ' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ ইবন হিব্বানের।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1487- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صعد الْمِنْبَر فَقَالَ آمين
آمين
آمين
قيل يَا رَسُول الله إِنَّك صعدت الْمِنْبَر فَقلت آمين آمين آمين فَقَالَ إِن جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام أَتَانِي فَقَالَ من أدْرك شهر رَمَضَان فَلم يغْفر لَهُ فَدخل النَّار فَأَبْعَده الله قل آمين فَقلت آمين
الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
آمين
آمين
قيل يَا رَسُول الله إِنَّك صعدت الْمِنْبَر فَقلت آمين آمين آمين فَقَالَ إِن جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام أَتَانِي فَقَالَ من أدْرك شهر رَمَضَان فَلم يغْفر لَهُ فَدخل النَّار فَأَبْعَده الله قل آمين فَقلت آمين
الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৮. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: রমযানের প্রথম রজনী যখন আসে, আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং শেষ রজনী না আসা পর্যন্ত তার কোন দরজা বন্ধ করা হয় না। যে কোন মু'মিন বান্দা-এর রাতসমূহে নামায আদায় করে, আল্লাহ তার প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে একহাজার পাঁচশ' নেকী দান করেন এবং তার জন্য লাল চুণি পাথর দ্বারা এমন একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেন যার ষাট হাজার দরজা রয়েছে। প্রতিটি দরজার জন্যে আবার একটি করে অট্টালিকা রয়েছে, যেগুলো সোনার তৈরি এবং চুণি কারুকার্য মণ্ডিত। সে যখন রমযানের প্রথম দিনে রোযা রাখে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয় এবং তার জন্য দৈনিক সত্তর হাজার ফিরিশতা ফজরের নামাযের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মাগফিরাতের দু'আ করে। রমতেরযানের দিনের অথবা রা প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ সৃষ্টি হয়, যার ছায়ায় একজন আরোহী পাঁচশ' বছর ভ্রমণ করতে পারবে।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, প্রসিদ্ধ হাদীসসমূহের দ্বারা এই বিষয়টির অথবা এর অংশবিশেষের পোষকতা পাওয়া যায়।)
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, প্রসিদ্ধ হাদীসসমূহের দ্বারা এই বিষয়টির অথবা এর অংশবিশেষের পোষকতা পাওয়া যায়।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1488- وَرُوِيَ عَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَ أول لَيْلَة من رَمَضَان فتحت أَبْوَاب السَّمَاء فَلَا يغلق مِنْهَا بَاب حَتَّى يكون آخر لَيْلَة من رَمَضَان وَلَيْسَ عبد مُؤمن يُصَلِّي فِي لَيْلَة فِيهَا إِلَّا كتب الله لَهُ ألفا وَخَمْسمِائة حَسَنَة بِكُل سَجْدَة وَبنى لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة من ياقوتة حَمْرَاء لَهَا سِتُّونَ ألف بَاب لكل بَاب قصر من ذهب موشح بياقوتة حَمْرَاء فَإِذا صَامَ أول يَوْم من رَمَضَان غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه إِلَى مثل ذَلِك الْيَوْم من شهر رَمَضَان واستغفر لَهُ كل يَوْم سَبْعُونَ ألف ملك من صَلَاة الْغَدَاة إِلَى أَن توارى بالحجاب وَكَانَ لَهُ بِكُل سَجْدَة يسجدها فِي شهر رَمَضَان بلَيْل أَو نَهَار شَجَرَة يسير الرَّاكِب فِي ظلها خَمْسمِائَة عَام
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ قد روينَا فِي الْأَحَادِيث الْمَشْهُورَة مَا يدل على هَذَا أَو لبَعض مَعْنَاهُ كَذَا قَالَ رَحمَه الله
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ قد روينَا فِي الْأَحَادِيث الْمَشْهُورَة مَا يدل على هَذَا أَو لبَعض مَعْنَاهُ كَذَا قَالَ رَحمَه الله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৯. হযরত সালমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একবার শা'বান মাসের শেষ তারিখে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেনঃ হে লোক সকল! একটি মহান পুণ্যময় মাস তোমাদের উপর ছায়াপাত করেছে। এটি এমন মাস যাতে হাজার রজনীর চেয়েও উত্তম একটি রাত রয়েছে। এ মাসের রোযাকে আল্লাহ ফরয ও রাতের নামাযকে নফল করে দিয়েছেন। এ মাসে যে ব্যক্তি একটি (নফল) পুণ্য কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্ নৈকট্য লাভে তৎপর হল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করল। আর এ মাসে যে একটি ফরয আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। এটি ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। এটি সহমর্মিতার মাস, মু'মিনের রিযিক বৃদ্ধির মাস।
যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, তার গুনাহসমূহের মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে তার গ্রীবা মুক্ত হয়ে গেল। আর রোযাদারের পুণ্যে কোন কমতি ছাড়াই তার সম পরিমাণ পুণ্য সে পেয়ে গেল। সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাদের প্রত্যেকের তো রোযাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই? রাসূলুল্লাহ মা তখন বললেন, এই পুণ্য তো আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে দান করবেন যে একটি খুরমা অথবা সামান্য একটু পানি অথবা এক ঢোক দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে রোযাদারকে ইফতার করাল। এটি এমন মাস, যার প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে সাক্ষাৎ মুক্তি। যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের চাকর-নফরের বোঝা হালকা করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।
তোমরা এ মাসে চারটি কাজ বেশি করে করবে। দু'টি কাজ দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করতে পারবে। আর দু'টি কাজ এমন, যেগুলো ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই। যে দু'টি কাজে তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করবে, সেগুলো হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য দান ও ইসতিগফার। আর যে দু'টি কাজ ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই, সেগুলো হল এই যে, তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাতের প্রার্থনা করবে ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে।
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে আমার হাউয থেকে এমন পানীয় পান করাবেন যে, জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তার আর পিপাসাই হবে না।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। বায়হাকী থেকেও তিনি এটি বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' ইবন খুযায়মা ও বায়হাকী থেকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।)
যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, তার গুনাহসমূহের মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে তার গ্রীবা মুক্ত হয়ে গেল। আর রোযাদারের পুণ্যে কোন কমতি ছাড়াই তার সম পরিমাণ পুণ্য সে পেয়ে গেল। সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাদের প্রত্যেকের তো রোযাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই? রাসূলুল্লাহ মা তখন বললেন, এই পুণ্য তো আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে দান করবেন যে একটি খুরমা অথবা সামান্য একটু পানি অথবা এক ঢোক দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে রোযাদারকে ইফতার করাল। এটি এমন মাস, যার প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে সাক্ষাৎ মুক্তি। যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের চাকর-নফরের বোঝা হালকা করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।
তোমরা এ মাসে চারটি কাজ বেশি করে করবে। দু'টি কাজ দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করতে পারবে। আর দু'টি কাজ এমন, যেগুলো ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই। যে দু'টি কাজে তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করবে, সেগুলো হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য দান ও ইসতিগফার। আর যে দু'টি কাজ ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই, সেগুলো হল এই যে, তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাতের প্রার্থনা করবে ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে।
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে আমার হাউয থেকে এমন পানীয় পান করাবেন যে, জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তার আর পিপাসাই হবে না।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। বায়হাকী থেকেও তিনি এটি বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' ইবন খুযায়মা ও বায়হাকী থেকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1489- وَعَن سلمَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ خَطَبنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي آخر يَوْم من شعْبَان قَالَ يَا أَيهَا النَّاس قد أظلكم شهر عَظِيم مبارك شهر فِيهِ لَيْلَة خير من ألف شهر شهر جعل الله صِيَامه فَرِيضَة وَقيام ليله تَطَوّعا من تقرب فِيهِ بخصلة من الْخَيْر كَانَ كمن أدّى فَرِيضَة فِيمَا سواهُ وَمن أدّى فَرِيضَة فِيهِ كَانَ كمن أدّى سبعين فَرِيضَة فِيمَا سواهُ وَهُوَ شهر الصَّبْر وَالصَّبْر ثَوَابه الْجنَّة وَشهر الْمُوَاسَاة وَشهر يُزَاد فِي رزق الْمُؤمن فِيهِ من فطر فِيهِ صَائِما كَانَ مغْفرَة لذنوبه وَعتق رقبته من النَّار وَكَانَ لَهُ مثل أجره من غير أَن ينقص من أجره
شَيْء
قَالُوا يَا رَسُول الله لَيْسَ كلنا يجد مَا يفْطر الصَّائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُعْطي الله هَذَا الثَّوَاب من فطر صَائِما على تَمْرَة أَو على شربة مَاء أَو مذقة لبن وَهُوَ شهر أَوله رَحْمَة وأوسطه مغْفرَة وَآخره عتق من النَّار من خفف عَن مَمْلُوكه فِيهِ غفر الله لَهُ وَأعْتقهُ من النَّار واستكثروا فِيهِ من أَربع خِصَال خَصْلَتَيْنِ ترْضونَ بهما ربكُم وخصلتين لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فَأَما الخصلتان اللَّتَان ترْضونَ بهما ربكُم فشهادة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وتستغفرونه وَأما الخصلتان اللَّتَان لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فتسألون الله الْجنَّة وتعوذون بِهِ من النَّار وَمن سقى صَائِما سقَاهُ الله من حَوْضِي شربة لَا يظمأ حَتَّى يدْخل الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه ثمَّ قَالَ صَحَّ الْخَبَر وَرَوَاهُ من طَرِيق الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي الثَّوَاب بِاخْتِصَار عَنْهُمَا
شَيْء
قَالُوا يَا رَسُول الله لَيْسَ كلنا يجد مَا يفْطر الصَّائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُعْطي الله هَذَا الثَّوَاب من فطر صَائِما على تَمْرَة أَو على شربة مَاء أَو مذقة لبن وَهُوَ شهر أَوله رَحْمَة وأوسطه مغْفرَة وَآخره عتق من النَّار من خفف عَن مَمْلُوكه فِيهِ غفر الله لَهُ وَأعْتقهُ من النَّار واستكثروا فِيهِ من أَربع خِصَال خَصْلَتَيْنِ ترْضونَ بهما ربكُم وخصلتين لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فَأَما الخصلتان اللَّتَان ترْضونَ بهما ربكُم فشهادة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وتستغفرونه وَأما الخصلتان اللَّتَان لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فتسألون الله الْجنَّة وتعوذون بِهِ من النَّار وَمن سقى صَائِما سقَاهُ الله من حَوْضِي شربة لَا يظمأ حَتَّى يدْخل الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه ثمَّ قَالَ صَحَّ الْخَبَر وَرَوَاهُ من طَرِيق الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي الثَّوَاب بِاخْتِصَار عَنْهُمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯০. আবুশ শায়খের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি রমযান মাসে হালাল উপার্জন থেকে কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, পূর্ণ রমযানের রাতসমূহে ফিরিশতাগণ তার জন্য দু'আ করতে থাকবে এবং লায়লাতুল কদরে জিবরাঈল (আ) তার সাথে মুসাফাহা করবেন। আর যার সাথে জিবরাঈল (আ) মুসাফাহা করবেন, তার অন্তর কোমল হয়ে যাবে এবং তার কান্না বেড়ে যাবে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বলুন তো যার এই সামর্থ্য নেই? তিনি বললেন, তা হলে এক মুঠো খাবার। আমি বললাম, আপনি বলুন, যদি তার কাছে এক টুকরো রুটিও না থাকে? তিনি বললেন, তাহলে এক ঢোক দুধ। আমি বললাম, তাও যদি তার নিকট না থাকে? তিনি বললেন, তাহলে একঢোক পানি।
(হাফিয (যাকী উদ্দীন) বলেন। তাঁদের সনদসমূহে আলী ইবন যায়দ ইবন জুদআন-এর উল্লেখ রয়েছে। হাদীসটি ইব্ন খুযায়মা ও বায়হাকী সংক্ষিপ্তভাবে তাঁর সূত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। এই সনদে কাসীর ইব্ন যায়দ নামে একজন সন্দিগ্ধ বর্ণনাকারী রয়েছেন।)
বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বলুন তো যার এই সামর্থ্য নেই? তিনি বললেন, তা হলে এক মুঠো খাবার। আমি বললাম, আপনি বলুন, যদি তার কাছে এক টুকরো রুটিও না থাকে? তিনি বললেন, তাহলে এক ঢোক দুধ। আমি বললাম, তাও যদি তার নিকট না থাকে? তিনি বললেন, তাহলে একঢোক পানি।
(হাফিয (যাকী উদ্দীন) বলেন। তাঁদের সনদসমূহে আলী ইবন যায়দ ইবন জুদআন-এর উল্লেখ রয়েছে। হাদীসটি ইব্ন খুযায়মা ও বায়হাকী সংক্ষিপ্তভাবে তাঁর সূত্রে আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। এই সনদে কাসীর ইব্ন যায়দ নামে একজন সন্দিগ্ধ বর্ণনাকারী রয়েছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1490- وَفِي رِوَايَة لابي الشَّيْخ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من فطر صَائِما فِي شهر رَمَضَان من كسب حَلَال صلت عَلَيْهِ الْمَلَائِكَة ليَالِي رَمَضَان كلهَا وَصَافحهُ جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام لَيْلَة الْقدر وَمن صافحه جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام يرق قلبه وتكثر دُمُوعه
قَالَ فَقلت يَا رَسُول الله أَفَرَأَيْت من لم يكن عِنْده قَالَ فقبضة من طَعَام
قلت أَفَرَأَيْت إِن لم يكن عِنْده لقْمَة خبز قَالَ فمذقة من لبن
قَالَ أَفَرَأَيْت إِن لم تكن عِنْده قَالَ فشربة من مَاء
قَالَ الْحَافِظ وَفِي أسانيدهم عَليّ بن زيد بن جدعَان وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة أَيْضا وَالْبَيْهَقِيّ بِاخْتِصَار عَنهُ من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَفِي إِسْنَاده كثير بن زيد
قَالَ فَقلت يَا رَسُول الله أَفَرَأَيْت من لم يكن عِنْده قَالَ فقبضة من طَعَام
قلت أَفَرَأَيْت إِن لم يكن عِنْده لقْمَة خبز قَالَ فمذقة من لبن
قَالَ أَفَرَأَيْت إِن لم تكن عِنْده قَالَ فشربة من مَاء
قَالَ الْحَافِظ وَفِي أسانيدهم عَليّ بن زيد بن جدعَان وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة أَيْضا وَالْبَيْهَقِيّ بِاخْتِصَار عَنهُ من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَفِي إِسْنَاده كثير بن زيد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯১. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের এই মাসটি তোমাদের উপর ছায়াপাত করেছে। রাসুলুল্লাহ ﷺ শপথ করে বলেছেন যে, মুসলমানদের উপর দিয়ে এর চাইতে উত্তম কোন মাস অতিক্রম করে নাই। আর মুনাফিকদের জন্য এর চেয়ে মন্দ কোন মাস অতিক্রম করে নাই। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ শপথ করে বলেছেন যে, মুসলমানদের জন্য এ মাসের আগমনের পূর্বেই এর পুণ্য ও বর্ধিত বিনিময় আল্লাহ তা'আলা লিপিবদ্ধ করেন এবং মুনাফিকদের জন্য এর পাপ ও দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি লিপিবদ্ধ করেন। এটা এজন্য যে, মু'মিন এ মাসের ইবাদতের জন্য পূর্ব থেকেই আহার্য সঞ্চয় করে প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে আর মুনাফিক ব্যক্তি মু'মিনদের অসতর্ক মহূর্তের ত্রুটি-বিচ্যুতি ও তাদের দোষ ধরার প্রস্তুতি নিতে থাকে। অতএব এটি এমন একটি সুবর্ণ সুযোগ, মু'মিন যার সদ্ব্যবহার করে থাকে।
বুন্দার-এর বর্ণনায় রয়েছে এরূপ: এটি মু'মিনদের জন্য সুবর্ণ-সুযোগ- পাপী ব্যক্তিরাও যার সুযোগ গ্রহণ করে থাকে।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং অপরাপর মুহাদ্দিসগণও বর্ণনা করেছেন।)
বুন্দার-এর বর্ণনায় রয়েছে এরূপ: এটি মু'মিনদের জন্য সুবর্ণ-সুযোগ- পাপী ব্যক্তিরাও যার সুযোগ গ্রহণ করে থাকে।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং অপরাপর মুহাদ্দিসগণও বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1491- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أظلكم شهركم هَذَا بمحلوف رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا مر بِالْمُسْلِمين شهر خير لَهُم مِنْهُ وَلَا مر بالمنافقين شهر شَرّ لَهُم مِنْهُ بمحلوف رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله ليكتب أجره ونوافله قبل أَن يدْخلهُ وَيكْتب إصره وشقاءه قبل أَن يدْخلهُ وَذَلِكَ أَن الْمُؤمن يعد فِيهِ الْقُوت من النَّفَقَة لِلْعِبَادَةِ ويعد فِيهِ الْمُنَافِق اتِّبَاع غفلات الْمُؤمنِينَ وَاتِّبَاع عَوْرَاتهمْ فغنم يغنمه الْمُؤمن وَقَالَ بنْدَار فِي حَدِيثه فَهُوَ غنم للْمُؤْمِنين يغتنمه الْفَاجِر
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَغَيره
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَغَيره
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যখন রমযান মাস আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদেরকে বন্দী করে রাখা হয়।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1492- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا جَاءَ رَمَضَان فتحت أَبْوَاب الْجنَّة وغلقت أَبْوَاب النَّار وصفدت الشَّيَاطِين
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৩. মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে। রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদেরকে শিকল পরিয়ে দেয়া হয়।
তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মা এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁরা সবাই এটি আবু বকর ইবন আইয়াশ… আমাশ... আবু সালিহ... আবূ হুরায়রা (রা) এই সনদে বর্ণনা করেন। তাঁদের শব্দমালা এরূপ:
রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: রমযানের প্রথম রাতটি যখন আসে, তখন শয়তান ও দুর্ধর্ষ জিন্নগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। ইবন খুযায়মা বলেন, দুর্ধর্ষ জিন্ন অথবা শয়তানগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এগুলো আর খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় আর এগুলো বন্ধ করা হয় না। একজন আহবানকারী এই বলে আহ্বান করতে থাকে, হে কল্যাণকামী। তুমি অগ্রসর হও, আর হে অকল্যাণ অভিলাসী। তুমি ক্ষান্ত হও। আল্লাহ জাহান্নাম থেকে প্রচুর লোককে মুক্তি দেবেন। আর এ আহবান প্রতি রাতেই চলতে থাকে।
(তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। নাসাঈ ও হাকিম এ হাদীসটি প্রায় এভাবেই বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, এটি বুখারী ও মুসলিমের মাপকাঠিতে সহীহ।)
তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মা এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁরা সবাই এটি আবু বকর ইবন আইয়াশ… আমাশ... আবু সালিহ... আবূ হুরায়রা (রা) এই সনদে বর্ণনা করেন। তাঁদের শব্দমালা এরূপ:
রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: রমযানের প্রথম রাতটি যখন আসে, তখন শয়তান ও দুর্ধর্ষ জিন্নগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। ইবন খুযায়মা বলেন, দুর্ধর্ষ জিন্ন অথবা শয়তানগুলোকে শিকলে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। আর জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এগুলো আর খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় আর এগুলো বন্ধ করা হয় না। একজন আহবানকারী এই বলে আহ্বান করতে থাকে, হে কল্যাণকামী। তুমি অগ্রসর হও, আর হে অকল্যাণ অভিলাসী। তুমি ক্ষান্ত হও। আল্লাহ জাহান্নাম থেকে প্রচুর লোককে মুক্তি দেবেন। আর এ আহবান প্রতি রাতেই চলতে থাকে।
(তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। নাসাঈ ও হাকিম এ হাদীসটি প্রায় এভাবেই বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, এটি বুখারী ও মুসলিমের মাপকাঠিতে সহীহ।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1493- وَفِي رِوَايَة لمُسلم فتحت أَبْوَاب الرَّحْمَة وغلقت أَبْوَاب جَهَنَّم وسلسلت الشَّيَاطِين
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة أبي بكر بن عَيَّاش عَن الْأَعْمَش عَن أبي صَالح عَن أبي هُرَيْرَة وَلَفْظهمْ قَالَ إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان صفدت الشَّيَاطِين ومردة الْجِنّ وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة الشَّيَاطِين مَرَدَة الْجِنّ بِغَيْر وَاو وغلقت أَبْوَاب النَّار فَلم يفتح مِنْهَا بَاب وَفتحت أَبْوَاب الْجنَّة فَلم يغلق مِنْهَا بَاب وينادي مُنَاد يَا باغي الْخَيْر أقبل وَيَا باغي الشَّرّ أقصر وَللَّه عُتَقَاء من النَّار وَذَلِكَ كل لَيْلَة
قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم بِنَحْوِ هَذَا اللَّفْظ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرطهمَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من رِوَايَة أبي بكر بن عَيَّاش عَن الْأَعْمَش عَن أبي صَالح عَن أبي هُرَيْرَة وَلَفْظهمْ قَالَ إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان صفدت الشَّيَاطِين ومردة الْجِنّ وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة الشَّيَاطِين مَرَدَة الْجِنّ بِغَيْر وَاو وغلقت أَبْوَاب النَّار فَلم يفتح مِنْهَا بَاب وَفتحت أَبْوَاب الْجنَّة فَلم يغلق مِنْهَا بَاب وينادي مُنَاد يَا باغي الْخَيْر أقبل وَيَا باغي الشَّرّ أقصر وَللَّه عُتَقَاء من النَّار وَذَلِكَ كل لَيْلَة
قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْحَاكِم بِنَحْوِ هَذَا اللَّفْظ وَقَالَ الْحَاكِم صَحِيح على شَرطهمَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: রমযানের প্রথম রাতটি যখন আসে, আল্লাহ তার সৃষ্টিকূলের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। আর আল্লাহ যখন তাঁর কোন বান্দার প্রতি দৃষ্টি দেন, তখন আর কখনও তাকে শাস্তি দেন না। আর রমযানের প্রতি রাতে আল্লাহ্ এক লক্ষ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। যখন উনত্রিশতম রাত আগমন করে, তখন সারা মাসে মুক্তিপ্রাপ্তদের সমপরিমাণ লোককে তিনি এই এক রাতেই মুক্তি দিয়ে থাকেন। তারপর যখনই ঈদুল ফিতরের রাত আসে, তখন ফিরিশতাগণ কলরব করতে থাকেন। আর এদিকে আল্লাহ্ তা'আলা আপন নূরের তাজাল্লী প্রকাশ করতে থাকেন, যার স্বরূপ কোন বর্ণনাকারীই বর্ণনা করতে পারে না। আগামী দিনের ঈদকে সামনে নিয়ে একদল ফিরিশতা বলতে থাকেন: হে ফিরিশতাদের দল। শ্রমিক যখন কাজ শেষ করে ফেলে তখন তার কি বিনিময় হওয়া উচিত? অন্য দল বলে, তার পূর্ণ পারিশ্রমিক আদায় করে দেয়া। আল্লাহ্ তা'আলা তখন বলেনঃ আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, অবশ্যই আমি ওদেরকে ক্ষমা করে দিলাম।
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইস্পাহানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1494- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة أَيْضا رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان نظر الله إِلَى خلقه وَإِذا نظر الله إِلَى عبد لم يعذبه أبدا وَللَّه فِي كل يَوْم ألف ألف عَتيق من النَّار فَإِذا كَانَت لَيْلَة تسع وَعشْرين أعتق الله فِيهَا مثل جَمِيع مَا أعتق فِي الشَّهْر كُله فَإِذا كَانَت لَيْلَة الْفطر ارتجت الْمَلَائِكَة وتجلى الْجَبَّار تَعَالَى بنوره مَعَ أَنه لَا يصفه الواصفون فَيَقُول للْمَلَائكَة وهم فِي عيدهم من الْغَد يَا معشر الْمَلَائِكَة يُوحى إِلَيْهِم مَا جَزَاء الْأَجِير إِذا وفى عمله تَقول الْمَلَائِكَة يُوفى أجره فَيَقُول الله تَعَالَى أشهدكم أَنِّي قد غفرت لَهُم
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
رَوَاهُ الْأَصْبَهَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের নিকট রমযান মাস এসেছে। এটি একটি বরকতময় মাস। আল্লাহ এ মাসের রোযা তোমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। এ মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে রাখা হয়। আর দুর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বেড়ি পরিয়ে দেয়া হয়। এ মাসে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম একটি রাত রয়েছে। যে ব্যক্তি এর পুণ্য থেকে বঞ্চিত রইল, সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত রইল।
(হাদীসটি নাসাঈ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি আবু কিলাবা সূত্রে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে আমার জানামতে আবু কিলাবা হাদীসটি আবু হুরায়রা (রা) থেকে শোনেন নি।)
[ হালীমী (র) বলেন। রমযান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখার অর্থ হলো, এ মাসে ঐ সকল শয়তানকে বন্দী করে রাখা হতো যারা ওঁৎ পেতে গোপনে কুরআনের বাণী শোনার চেষ্টা করত। এই জন্যই দূর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বলা হয়েছে। কেননা রমযান মাস পৃথিবীর আকাশে কুরআন নাযিলের সময় ছিল। আর দূর্ধর্ষ শয়তানগুলো থেকে কুরআনকে হিফাযত করার জন্য ওদের প্রতি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করা হতো। যেমন: আল্লাহ বলেন: প্রতিটি দুষ্ট শয়তান থেকে হিফাযতের উদ্দেশ্যে। রমযান মাসে হিফাযতের এ ব্যবস্থা আরও কঠোর করার জন্য তাদেরকে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, রমযান ও রমযানের পরও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ শয়তান মানুষকে এ মাসে পথভ্রষ্ট করতে পারে না, অন্যান্য মাসে যেরূপ সম্ভব হয়। কেননা মুসলমানগণ এ মাসে সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকে যাতে তাদের প্রবৃত্তির কামনার মূল্যোৎপাটন হয়ে যায়। তাছাড়া কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতে তারা মশগুল থাকে।
(হাদীসটি নাসাঈ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি আবু কিলাবা সূত্রে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে আমার জানামতে আবু কিলাবা হাদীসটি আবু হুরায়রা (রা) থেকে শোনেন নি।)
[ হালীমী (র) বলেন। রমযান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখার অর্থ হলো, এ মাসে ঐ সকল শয়তানকে বন্দী করে রাখা হতো যারা ওঁৎ পেতে গোপনে কুরআনের বাণী শোনার চেষ্টা করত। এই জন্যই দূর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বলা হয়েছে। কেননা রমযান মাস পৃথিবীর আকাশে কুরআন নাযিলের সময় ছিল। আর দূর্ধর্ষ শয়তানগুলো থেকে কুরআনকে হিফাযত করার জন্য ওদের প্রতি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করা হতো। যেমন: আল্লাহ বলেন: প্রতিটি দুষ্ট শয়তান থেকে হিফাযতের উদ্দেশ্যে। রমযান মাসে হিফাযতের এ ব্যবস্থা আরও কঠোর করার জন্য তাদেরকে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, রমযান ও রমযানের পরও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ শয়তান মানুষকে এ মাসে পথভ্রষ্ট করতে পারে না, অন্যান্য মাসে যেরূপ সম্ভব হয়। কেননা মুসলমানগণ এ মাসে সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকে যাতে তাদের প্রবৃত্তির কামনার মূল্যোৎপাটন হয়ে যায়। তাছাড়া কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতে তারা মশগুল থাকে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1495- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَتَاكُم شهر رَمَضَان شهر مبارك فرض الله عَلَيْكُم صِيَامه تفتح فِيهِ أَبْوَاب السَّمَاء وتغلق فِيهِ أَبْوَاب الْجَحِيم وتغل فِيهِ مَرَدَة الشَّيَاطِين لله فِيهِ لَيْلَة خير من ألف شهر من حرم خَيرهَا فقد حرم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن أبي قلَابَة عَن أبي هُرَيْرَة وَلم يسمع مِنْهُ فِيمَا أعلم
قَالَ الْحَلِيمِيّ وتصفيد الشَّيَاطِين فِي شهر رَمَضَان يحْتَمل أَن يكون المُرَاد بِهِ أَيَّامه
خَاصَّة وَأَرَادَ الشَّيَاطِين الَّتِي مسترقة السّمع أَلا ترَاهُ قَالَ مَرَدَة الشَّيَاطِين لِأَن شهر رَمَضَان كَانَ وقتا لنزول الْقُرْآن إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا وَكَانَت الحراسة قد وَقعت بِالشُّهُبِ كَمَا قَالَ تَعَالَى {وحفظا من كل شَيْطَان مارد} الصافات 7
فزيدوا التصفيد فِي شهر رَمَضَان مُبَالغَة فِي الْحِفْظ وَالله أعلم وَيحْتَمل أَن يكون المُرَاد أَيَّامه وَبعده
وَالْمعْنَى أَن الشَّيَاطِين لَا يخلصون فِيهِ من إِفْسَاد النَّاس إِلَى مَا كَانُوا يخلصون إِلَيْهِ فِي غَيره لاشتغال الْمُسلمين بالصيام الَّذِي فِيهِ قمع الشَّهَوَات وبقراءة الْقُرْآن وَسَائِر الْعِبَادَات
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن أبي قلَابَة عَن أبي هُرَيْرَة وَلم يسمع مِنْهُ فِيمَا أعلم
قَالَ الْحَلِيمِيّ وتصفيد الشَّيَاطِين فِي شهر رَمَضَان يحْتَمل أَن يكون المُرَاد بِهِ أَيَّامه
خَاصَّة وَأَرَادَ الشَّيَاطِين الَّتِي مسترقة السّمع أَلا ترَاهُ قَالَ مَرَدَة الشَّيَاطِين لِأَن شهر رَمَضَان كَانَ وقتا لنزول الْقُرْآن إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا وَكَانَت الحراسة قد وَقعت بِالشُّهُبِ كَمَا قَالَ تَعَالَى {وحفظا من كل شَيْطَان مارد} الصافات 7
فزيدوا التصفيد فِي شهر رَمَضَان مُبَالغَة فِي الْحِفْظ وَالله أعلم وَيحْتَمل أَن يكون المُرَاد أَيَّامه وَبعده
وَالْمعْنَى أَن الشَّيَاطِين لَا يخلصون فِيهِ من إِفْسَاد النَّاس إِلَى مَا كَانُوا يخلصون إِلَيْهِ فِي غَيره لاشتغال الْمُسلمين بالصيام الَّذِي فِيهِ قمع الشَّهَوَات وبقراءة الْقُرْآن وَسَائِر الْعِبَادَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৬. হযরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ একদিন রমযান আসলে বলেছিলেনঃ তোমাদের নিকট বরকতের মাস রমযান এসেছে। আল্লাহ এ মাসে তোমাদেরকে রহমত দ্বারা ঢেকে ফেলেন। অতএব তিনি রহমত নাযিল করেন, পাপরাশি মিটিয়ে দেন এবং দু'আ কবুল করেন। এ মাসে আল্লাহ ইবাদতের ক্ষেত্রে তোমাদের প্রতিযোগিতা প্রত্যক্ষ করেন এবং তোমাদের নিয়ে তাঁর ফিরিশতাকুলের সাথে গর্ব করেন। তাই তোমাদের পক্ষ থেকে আল্লাহকে সৎকর্ম প্রদর্শন কর। কেননা হতভাগা ঐ ব্যক্তি, যে এ মাসে মহান আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত থাকে।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীর নির্ভরযোগ্য। তবে রাবী হিসেবে মুহাম্মদ ইবন কায়স-এর দোষগুণ আমার নিকট উপস্থিত নেই।)
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। এর সকল বর্ণনাকারীর নির্ভরযোগ্য। তবে রাবী হিসেবে মুহাম্মদ ইবন কায়স-এর দোষগুণ আমার নিকট উপস্থিত নেই।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1496- وَعَن عبَادَة بن الصَّامِت رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يَوْمًا وَحضر رَمَضَان أَتَاكُم رَمَضَان شهر بركَة يغشاكم الله فِيهِ فَينزل الرَّحْمَة ويحط الْخَطَايَا ويستجيب فِيهِ الدُّعَاء ينظر الله تَعَالَى إِلَى تنافسكم فِيهِ ويباهي بكم مَلَائكَته فأروا الله من أَنفسكُم خيرا فَإِن الشقي من حرم فِيهِ رَحْمَة الله عز وَجل
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن مُحَمَّد بن قيس لَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا تَعْدِيل
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا أَن مُحَمَّد بن قيس لَا يحضرني فِيهِ جرح وَلَا تَعْدِيل
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৭. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একবার রমযান মাস আসল, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ হয় তখন বললেন: তোমাদের কাছে এ মাসটি এসেছে, এতে এমন একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। যে ব্যক্তি এর পুণ্য থেকে বঞ্চিত রইল, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রইল। আর অভাগা ব্যক্তি ছাড়া কেউই এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থাকে না।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি হাসান।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি হাসান।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1497- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ دخل رَمَضَان فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن هَذَا الشَّهْر قد حضركم وَفِيه لَيْلَة خير من ألف شهر من حرمهَا فقد حرم الْخَيْر كُله وَلَا يحرم خَيرهَا إِلَّا محروم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَإِسْنَاده حسن إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَإِسْنَاده حسن إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৮. তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আনাস (রা) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ র-কে বলতে শুনেছি। রমযান মাস এসেছে। এ মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজাসমূহ রুদ্ধ করে দেয়া হয়; শয়তানগুলোকে শিকল পরিয়ে দেয়া হয়। ধ্বংস ঐ ব্যক্তির জন্য যে, রমযান পেল অথচ তাকে ক্ষমা করা হল না। এ মাসে যখন সে ক্ষমা পেল না, তখন আর কবে?
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1498- وروى الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول هَذَا رَمَضَان قد جَاءَ تفتح فِيهِ أَبْوَاب الْجنَّة وتغلق فِيهِ أَبْوَاب النَّار وتغل فِيهِ الشَّيَاطِين بعدا لمن أدْرك رَمَضَان فَلم يغْفر لَهُ إِذا لم يغْفر لَهُ فَمَتَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৯৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৯. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে একথা বলতে শুনেছেন: রমযান মাসের আগমন উপলক্ষে জান্নাতকে এক বৎসর পর্যন্ত সজ্জিত করা হতে থাকে। তারপর থেকে রমযানের প্রথম রাত আসে তখন আরশের নীচ থেকে একটি বায়ু প্রবাহ প্রবাহিত হয় যাকে 'মুসীরা' নামে অভিহিত করা হয়, এতে জান্নাতের বৃক্ষসমূহের পাতা ও দরজার পাটসমূহের কড়াগুলো দুলতে থাকে এবং এতে এমন একটি মধুর আওয়ায় শ্রুত হয় যে, এর চেয়ে সুন্দর আওয়ায কোন শ্রোতাই কোনদিন শুনেনি। এ সময় জান্নাতের হূরগণ এসে জান্নাতের উঁচু স্থানে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে। আল্লাহর নিকট কেউ কি প্রস্তাব দেয়ার মত আছে যে, তিনি তাকে বিয়ে দিবেন? তারপর হুরগণ বলে, হে জান্নাতের রক্ষী রিদওয়ান। এটি কোন রাত ? রিদওয়ান উত্তর দিয়ে বলে এটি রমযান মাসের প্রথম রাত। আজ মুহাম্মদ ﷺ -এর উম্মতের রোযাদারদের জন্য জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ্ তখন বলেন, হে রিদওয়ান। আহমদ ﷺ -এর উম্মতের রোযাদারদের জন্য জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে রাখ। হে জিবরাঈল। তুমি পৃথিবীতে অবতরণ কর এবং দুর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বন্দী করে শিকল পরিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে দাও, যাতে তারা আমার প্রিয় নবী মুহাম্মদ-এর উম্মতের রোযাগুলো নষ্ট করতে না পারে।
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ্ রমযানের প্রতি রাতে এক ঘোষণাকারীকে তিনবার এ ঘোষণা দিতে বলেন: কোন প্রার্থনাকারী আছে যে, আমি তার প্রার্থিত বস্তু প্রদান করব? কোন তাওবাকারী আছে যে, আমি তার তওবার কবুল করব? কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে যে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? কে আছে যে ধনী ও সামর্থ্যবানকে করয প্রদান করবে, যে নিঃস্ব নয়। ঠিকমত ঋণ পরিশোধকারী যালিম নয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ্ রমযানের প্রতিদিন ইফতারের সময় এমন দশ লক্ষ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। তারপর যখন রমযানের শেষ দিনটি আসে, তখন আল্লাহ্ এ মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে পরিমাণ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন, এই এক দিনেই সেই পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। আর যখন লায়লাতুল কদর আসে, মহান আল্লাহ্ জিবরাঈল (আ)-কে পৃথিবীতে অবতরণের নির্দেশ দেন। জিবরাঈল (আ) তখন ফিরিশতাদের একটি জামা'আত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তাদের সাথে একটি সবুজ পতাকা থাকে। তারা এটি কা'বা শীর্ষে উড্ডীন করেন। জিবরাঈল (আ)-এর একশত পাখা রয়েছে। এগুলোর দু'টি পাখা এমন যে, এই রাত্র ছাড়া অন্য কোন সময় এগুলো তিনি বিস্তৃত করেন না। এই রাত্রে যখন এগুলো বিস্তৃত করেন তখন পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। জিবরাঈল (আ) ফিরিশতাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন যাতে করে তারা প্রতিটি দণ্ডায়মান উপবিষ্ট নামাযে রত ও যিকিরকারী ব্যক্তিকে সালাম করতে থাকে। তারা তাদের সাথে মুসাফাহা করে ও তাদের দু'আয় আমীন বলতে থাকে। এ অবস্থাটি ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে। যখন ফজর উদিত হয়, তখন জিবরাঈল (আ) ডাক দিয়ে বলেন: হে ফিরিশতাদের দল। ফিরে চল। ফিরে চল। ফিরিশতাগণ তখন বলে, হে জিবরাঈল। আহমদ ﷺ -এর উম্মতের মু'মিনদের প্রয়োজনের ব্যাপারে আল্লাহ্ কি করেছেন ? জিবরাঈল বলেন, আল্লাহ এ রাতে তাদের প্রতি কৃপা দৃষ্টি করেছেন। তাই তাদের চার প্রকার লোক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ও গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ তারা কারা? তিনি বললেন: মদ্যপানে অভ্যন্ত ব্যক্তি, পিতামাতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ও মুশাহিন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল। মুশাহিন কে? তিনি বললেন, হিংসুক ও শত্রুতার অগ্নি প্রজ্জলনকারী ব্যক্তি। তারপর যখন ঈদুল ফিতরের রাত আসে, তখন একে পুরস্কার বিতরণের রাত বলে অভিহিত করা হয়। তারপর যখন ঈদের দিনের সকাল হয়, আল্লাহ্ তা'আলা প্রতি জনপদের ফিরিশতাদেরকে প্রেরণ করেন। তারা পৃথিবীতে অবতরণ করে এবং প্রতিটি গলি মুখে দাঁড়িয়ে যায়। তারপর তারা এমনভাবে ডাক দেন যে, জিন্ন ও মানুষ ব্যতীত সবাই এর আওয়ায শুনতে পান। তারা বলতে থাকেন হে উম্মতে মুহাম্মদী। তোমরা দয়ালু প্রভুর দিকে বেরিয়ে আস। তিনি বিরাট পুরস্কার দিবেন এবং বড় গুনাহও ক্ষমা করে দিবেন। তারা যখন ঈদগাহে বেরিয়ে আসে, তখন মহান আল্লাহ্ ফিরিশতাদেরকে বলেন, শ্রমিক যখন কাজ সম্পন্ন করে ফেলে, তখন তার কি প্রতিদান হওয়া উচিত? রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, ফিরিশতাগণ তখন বলতে থাকেন, হে আমাদের ইলাহ্ ও প্রভু! তার প্রতিদান তো এটিই যে, আপনি তাদের পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে আদায় করে দেবেন। আল্লাহ তখন বলেন, হে আমার ফিরিশতাগণ। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, রমযানে রোযা পালন ও রাত্রি জাগরণের বিনিময়ে আমি তাদের জন্য আমার মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি দিয়ে দিলাম। তিনি আরও বলেন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা কর। আমার ইয্যত ও মহত্বের শপথ। আজ তোমাদের এই সমাবেশে তোমরা আখিরাতের জন্য যাই প্রার্থনা করবে, আমি দিয়ে দিব। আর দুনিয়ার জন্য যা প্রার্থনা করবে তাতে তোমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখব। আমার ইযযতের শপথ যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে ভয় করে চলবে, আমি তোমাদেরকে অপমানিত করব না, হকদারদের সম্মুখে তোমাদেরকে অপদস্থ করব না। তোমরা ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় ফিরে যাও। তোমরা আমাকে খুশি করেছ, আমিও তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। অতএব ফিরিশতাগণ খুশি হন এবং মহান আল্লাহর এই উম্মতকে রমযান মাস শেষে যা দান করেন তা দেখে তারা আনন্দিত হয়।
(হাদীসটি শায়খ ইবন হিব্বান 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। হাদীসটির সনদে এমন কোন বর্ণনাকারী নেই, যিনি সর্ব সম্মতভাবেই দুর্বল।)
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ্ রমযানের প্রতি রাতে এক ঘোষণাকারীকে তিনবার এ ঘোষণা দিতে বলেন: কোন প্রার্থনাকারী আছে যে, আমি তার প্রার্থিত বস্তু প্রদান করব? কোন তাওবাকারী আছে যে, আমি তার তওবার কবুল করব? কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে যে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? কে আছে যে ধনী ও সামর্থ্যবানকে করয প্রদান করবে, যে নিঃস্ব নয়। ঠিকমত ঋণ পরিশোধকারী যালিম নয়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, মহান আল্লাহ্ রমযানের প্রতিদিন ইফতারের সময় এমন দশ লক্ষ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন, যাদের উপর জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গিয়েছিল। তারপর যখন রমযানের শেষ দিনটি আসে, তখন আল্লাহ্ এ মাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে পরিমাণ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন, এই এক দিনেই সেই পরিমাণ মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন। আর যখন লায়লাতুল কদর আসে, মহান আল্লাহ্ জিবরাঈল (আ)-কে পৃথিবীতে অবতরণের নির্দেশ দেন। জিবরাঈল (আ) তখন ফিরিশতাদের একটি জামা'আত নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তাদের সাথে একটি সবুজ পতাকা থাকে। তারা এটি কা'বা শীর্ষে উড্ডীন করেন। জিবরাঈল (আ)-এর একশত পাখা রয়েছে। এগুলোর দু'টি পাখা এমন যে, এই রাত্র ছাড়া অন্য কোন সময় এগুলো তিনি বিস্তৃত করেন না। এই রাত্রে যখন এগুলো বিস্তৃত করেন তখন পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত ছড়িয়ে যায়। জিবরাঈল (আ) ফিরিশতাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন যাতে করে তারা প্রতিটি দণ্ডায়মান উপবিষ্ট নামাযে রত ও যিকিরকারী ব্যক্তিকে সালাম করতে থাকে। তারা তাদের সাথে মুসাফাহা করে ও তাদের দু'আয় আমীন বলতে থাকে। এ অবস্থাটি ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে। যখন ফজর উদিত হয়, তখন জিবরাঈল (আ) ডাক দিয়ে বলেন: হে ফিরিশতাদের দল। ফিরে চল। ফিরে চল। ফিরিশতাগণ তখন বলে, হে জিবরাঈল। আহমদ ﷺ -এর উম্মতের মু'মিনদের প্রয়োজনের ব্যাপারে আল্লাহ্ কি করেছেন ? জিবরাঈল বলেন, আল্লাহ এ রাতে তাদের প্রতি কৃপা দৃষ্টি করেছেন। তাই তাদের চার প্রকার লোক ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছেন ও গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন। আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ তারা কারা? তিনি বললেন: মদ্যপানে অভ্যন্ত ব্যক্তি, পিতামাতার অবাধ্য সন্তান, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী ও মুশাহিন। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল। মুশাহিন কে? তিনি বললেন, হিংসুক ও শত্রুতার অগ্নি প্রজ্জলনকারী ব্যক্তি। তারপর যখন ঈদুল ফিতরের রাত আসে, তখন একে পুরস্কার বিতরণের রাত বলে অভিহিত করা হয়। তারপর যখন ঈদের দিনের সকাল হয়, আল্লাহ্ তা'আলা প্রতি জনপদের ফিরিশতাদেরকে প্রেরণ করেন। তারা পৃথিবীতে অবতরণ করে এবং প্রতিটি গলি মুখে দাঁড়িয়ে যায়। তারপর তারা এমনভাবে ডাক দেন যে, জিন্ন ও মানুষ ব্যতীত সবাই এর আওয়ায শুনতে পান। তারা বলতে থাকেন হে উম্মতে মুহাম্মদী। তোমরা দয়ালু প্রভুর দিকে বেরিয়ে আস। তিনি বিরাট পুরস্কার দিবেন এবং বড় গুনাহও ক্ষমা করে দিবেন। তারা যখন ঈদগাহে বেরিয়ে আসে, তখন মহান আল্লাহ্ ফিরিশতাদেরকে বলেন, শ্রমিক যখন কাজ সম্পন্ন করে ফেলে, তখন তার কি প্রতিদান হওয়া উচিত? রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, ফিরিশতাগণ তখন বলতে থাকেন, হে আমাদের ইলাহ্ ও প্রভু! তার প্রতিদান তো এটিই যে, আপনি তাদের পারিশ্রমিক পরিপূর্ণভাবে আদায় করে দেবেন। আল্লাহ তখন বলেন, হে আমার ফিরিশতাগণ। আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, রমযানে রোযা পালন ও রাত্রি জাগরণের বিনিময়ে আমি তাদের জন্য আমার মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি দিয়ে দিলাম। তিনি আরও বলেন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা আমার কাছে প্রার্থনা কর। আমার ইয্যত ও মহত্বের শপথ। আজ তোমাদের এই সমাবেশে তোমরা আখিরাতের জন্য যাই প্রার্থনা করবে, আমি দিয়ে দিব। আর দুনিয়ার জন্য যা প্রার্থনা করবে তাতে তোমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখব। আমার ইযযতের শপথ যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে ভয় করে চলবে, আমি তোমাদেরকে অপমানিত করব না, হকদারদের সম্মুখে তোমাদেরকে অপদস্থ করব না। তোমরা ক্ষমাপ্রাপ্ত অবস্থায় ফিরে যাও। তোমরা আমাকে খুশি করেছ, আমিও তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম। অতএব ফিরিশতাগণ খুশি হন এবং মহান আল্লাহর এই উম্মতকে রমযান মাস শেষে যা দান করেন তা দেখে তারা আনন্দিত হয়।
(হাদীসটি শায়খ ইবন হিব্বান 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। হাদীসটির সনদে এমন কোন বর্ণনাকারী নেই, যিনি সর্ব সম্মতভাবেই দুর্বল।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1499- وَرُوِيَ عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن الْجنَّة لتنجد وتزين من الْحول إِلَى الْحول لدُخُول شهر رَمَضَان فَإِذا كَانَت أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان هبت ريح من تَحت الْعَرْش يُقَال لَهَا المثيرة فتصفق ورق أَشجَار الْجنان وَحلق المصاريع فَيسمع لذَلِك طنين لم يسمع السامعون أحسن مِنْهُ فَتبرز الْحور الْعين حَتَّى يَقِفن بَين شرف الْجنَّة فينادين هَل من خَاطب إِلَى الله فيزوجه ثمَّ يقلن الْحور الْعين يَا رضوَان الْجنَّة مَا هَذِه اللَّيْلَة فيجيبهن بِالتَّلْبِيَةِ ثمَّ يَقُول هَذِه أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان فتحت
أَبْوَاب الْجنَّة للصائمين من أمة مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ وَيَقُول الله عز وَجل يَا رضوَان افْتَحْ أَبْوَاب الْجنان وَيَا مَالك أغلق أَبْوَاب الْجَحِيم عَن الصائمين من أمة أَحْمد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَيَا جِبْرَائِيل اهبط إِلَى الأَرْض فاصفد مَرَدَة الشَّيَاطِين وغلهم بالأغلال ثمَّ اقذفهم فِي الْبحار حَتَّى لَا يفسدوا على أمة مُحَمَّد حَبِيبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صِيَامهمْ
قَالَ وَيَقُول الله عز وَجل فِي كل لَيْلَة من شهر رَمَضَان لمناد يُنَادي ثَلَاث مَرَّات هَل من سَائل فَأعْطِيه سؤله هَل من تائب فأتوب عَلَيْهِ هَل من مُسْتَغْفِر فَأغْفِر لَهُ من يقْرض المليء غير العدوم والوفي غير الظلوم
قَالَ وَللَّه عز وَجل فِي كل يَوْم من شهر رَمَضَان عِنْد الْإِفْطَار ألف ألف عَتيق من النَّار كلهم قد استوجبوا النَّار فَإِذا كَانَ آخر يَوْم من شهر رَمَضَان أعتق الله فِي ذَلِك الْيَوْم بِقدر مَا أعتق من أول الشَّهْر إِلَى آخِره وَإِذا كَانَت لَيْلَة الْقدر يَأْمر الله عز وَجل جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام فيهبط فِي كبكبة من الْمَلَائِكَة وَمَعَهُمْ لِوَاء أَخْضَر فيركزوا اللِّوَاء على ظهر الْكَعْبَة وَله مائَة جنَاح مِنْهَا جَنَاحَانِ لَا ينشرهما إِلَّا فِي تِلْكَ اللَّيْلَة فينشرهما فِي تِلْكَ اللَّيْلَة فيجاوزان الْمشرق إِلَى الْمغرب فيحث جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام الْمَلَائِكَة فِي هَذِه اللَّيْلَة فيسلمون على كل قَائِم وقاعد ومصل وذاكر ويصافحونهم ويؤمنون على دُعَائِهِمْ حَتَّى يطلع الْفجْر فَإِذا طلع الْفجْر يُنَادي جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام معاشر الْمَلَائِكَة الرحيل الرحيل فَيَقُولُونَ يَا جِبْرَائِيل فَمَا صنع الله فِي حوائج الْمُؤمنِينَ من أمة أَحْمد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَيَقُول نظر الله إِلَيْهِم فِي هَذِه اللَّيْلَة فَعَفَا عَنْهُم وَغفر لَهُم إِلَّا أَرْبَعَة فَقُلْنَا يَا رَسُول الله من هم قَالَ رجل مدمن خمر وعاق لوَالِديهِ وقاطع رحم ومشاحن
قُلْنَا يَا رَسُول الله مَا المشاحن قَالَ هُوَ المصارم فَإِذا كَانَت لَيْلَة الْفطر سميت تِلْكَ اللَّيْلَة لَيْلَة الْجَائِزَة فَإِذا كَانَت غَدَاة الْفطر بعث الله عز وَجل الْمَلَائِكَة فِي كل بِلَاد فيهبطون إِلَى الأَرْض فَيقومُونَ على أَفْوَاه السكَك فينادون بِصَوْت يسمع من خلق الله عز وَجل إِلَّا الْجِنّ وَالْإِنْس فَيَقُولُونَ يَا أمة مُحَمَّد اخْرُجُوا إِلَى رب كريم يُعْطي الجزيل وَيَعْفُو عَن الْعَظِيم فَإِذا برزوا إِلَى مصلاهم يَقُول الله عز وَجل للْمَلَائكَة مَا جَزَاء الْأَجِير إِذا عمل عمله قَالَ فَتَقول الْمَلَائِكَة إلهنا وَسَيِّدنَا جَزَاؤُهُ أَن توفيه أجره
قَالَ فَيَقُول فَإِنِّي أشهدكم يَا ملائكتي أَنِّي قد جعلت ثوابهم من صِيَامهمْ شهر رَمَضَان وقيامهم رضاي ومغفرتي وَيَقُول يَا عبَادي سلوني فَوَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا تَسْأَلُونِي الْيَوْم شَيْئا فِي جمعكم لآخرتكم إِلَّا أَعطيتكُم وَلَا لدنياكم إِلَّا نظرت لكم فَوَعِزَّتِي لأسترن عَلَيْكُم عثراتكم مَا راقبتموني وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا أخزيكم وَلَا أفضحكم بَين أَصْحَاب
الْحُدُود وَانْصَرفُوا مغفورا لكم قد أرضيتموني ورضيت عَنْكُم فتفرح الْمَلَائِكَة وتستبشر بِمَا يُعْطي الله عز وَجل هَذِه الْأمة إِذا أفطروا من شهر رَمَضَان
رَوَاهُ الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب وَالْبَيْهَقِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَلَيْسَ فِي إِسْنَاده من أجمع على ضعفه
أَبْوَاب الْجنَّة للصائمين من أمة مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ وَيَقُول الله عز وَجل يَا رضوَان افْتَحْ أَبْوَاب الْجنان وَيَا مَالك أغلق أَبْوَاب الْجَحِيم عَن الصائمين من أمة أَحْمد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَيَا جِبْرَائِيل اهبط إِلَى الأَرْض فاصفد مَرَدَة الشَّيَاطِين وغلهم بالأغلال ثمَّ اقذفهم فِي الْبحار حَتَّى لَا يفسدوا على أمة مُحَمَّد حَبِيبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صِيَامهمْ
قَالَ وَيَقُول الله عز وَجل فِي كل لَيْلَة من شهر رَمَضَان لمناد يُنَادي ثَلَاث مَرَّات هَل من سَائل فَأعْطِيه سؤله هَل من تائب فأتوب عَلَيْهِ هَل من مُسْتَغْفِر فَأغْفِر لَهُ من يقْرض المليء غير العدوم والوفي غير الظلوم
قَالَ وَللَّه عز وَجل فِي كل يَوْم من شهر رَمَضَان عِنْد الْإِفْطَار ألف ألف عَتيق من النَّار كلهم قد استوجبوا النَّار فَإِذا كَانَ آخر يَوْم من شهر رَمَضَان أعتق الله فِي ذَلِك الْيَوْم بِقدر مَا أعتق من أول الشَّهْر إِلَى آخِره وَإِذا كَانَت لَيْلَة الْقدر يَأْمر الله عز وَجل جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام فيهبط فِي كبكبة من الْمَلَائِكَة وَمَعَهُمْ لِوَاء أَخْضَر فيركزوا اللِّوَاء على ظهر الْكَعْبَة وَله مائَة جنَاح مِنْهَا جَنَاحَانِ لَا ينشرهما إِلَّا فِي تِلْكَ اللَّيْلَة فينشرهما فِي تِلْكَ اللَّيْلَة فيجاوزان الْمشرق إِلَى الْمغرب فيحث جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام الْمَلَائِكَة فِي هَذِه اللَّيْلَة فيسلمون على كل قَائِم وقاعد ومصل وذاكر ويصافحونهم ويؤمنون على دُعَائِهِمْ حَتَّى يطلع الْفجْر فَإِذا طلع الْفجْر يُنَادي جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام معاشر الْمَلَائِكَة الرحيل الرحيل فَيَقُولُونَ يَا جِبْرَائِيل فَمَا صنع الله فِي حوائج الْمُؤمنِينَ من أمة أَحْمد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَيَقُول نظر الله إِلَيْهِم فِي هَذِه اللَّيْلَة فَعَفَا عَنْهُم وَغفر لَهُم إِلَّا أَرْبَعَة فَقُلْنَا يَا رَسُول الله من هم قَالَ رجل مدمن خمر وعاق لوَالِديهِ وقاطع رحم ومشاحن
قُلْنَا يَا رَسُول الله مَا المشاحن قَالَ هُوَ المصارم فَإِذا كَانَت لَيْلَة الْفطر سميت تِلْكَ اللَّيْلَة لَيْلَة الْجَائِزَة فَإِذا كَانَت غَدَاة الْفطر بعث الله عز وَجل الْمَلَائِكَة فِي كل بِلَاد فيهبطون إِلَى الأَرْض فَيقومُونَ على أَفْوَاه السكَك فينادون بِصَوْت يسمع من خلق الله عز وَجل إِلَّا الْجِنّ وَالْإِنْس فَيَقُولُونَ يَا أمة مُحَمَّد اخْرُجُوا إِلَى رب كريم يُعْطي الجزيل وَيَعْفُو عَن الْعَظِيم فَإِذا برزوا إِلَى مصلاهم يَقُول الله عز وَجل للْمَلَائكَة مَا جَزَاء الْأَجِير إِذا عمل عمله قَالَ فَتَقول الْمَلَائِكَة إلهنا وَسَيِّدنَا جَزَاؤُهُ أَن توفيه أجره
قَالَ فَيَقُول فَإِنِّي أشهدكم يَا ملائكتي أَنِّي قد جعلت ثوابهم من صِيَامهمْ شهر رَمَضَان وقيامهم رضاي ومغفرتي وَيَقُول يَا عبَادي سلوني فَوَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا تَسْأَلُونِي الْيَوْم شَيْئا فِي جمعكم لآخرتكم إِلَّا أَعطيتكُم وَلَا لدنياكم إِلَّا نظرت لكم فَوَعِزَّتِي لأسترن عَلَيْكُم عثراتكم مَا راقبتموني وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لَا أخزيكم وَلَا أفضحكم بَين أَصْحَاب
الْحُدُود وَانْصَرفُوا مغفورا لكم قد أرضيتموني ورضيت عَنْكُم فتفرح الْمَلَائِكَة وتستبشر بِمَا يُعْطي الله عز وَجل هَذِه الْأمة إِذا أفطروا من شهر رَمَضَان
رَوَاهُ الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب وَالْبَيْهَقِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَلَيْسَ فِي إِسْنَاده من أجمع على ضعفه
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০০. আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই রমযান মাস আমার উম্মতের মাস। তাদের রোগীগণ রুগ্ন হলে তারা তাদেরকে দেখতে যায়। কোন মুসলমান যখন রোযা রাখে, তখন সে মিথ্যাচার করে না এবং পরনিন্দা করে না। তার ইফতার হয় পবিত্র। সে আপন ফরযসমূহের হিফাযতের উদ্দেশ্যে অন্ধকারে নামাযের দিকে যায়। এমন ব্যক্তি আপন গুনাহ থেকে এমনভাবে বেরিয়ে আসে, যেমন সাপ তার পুরনো দেহাবরণ থেকে বেরিয়ে আসে।
(এ হাদীসটি আবুশ শায়খ বর্ণনা করেছেন।)
(এ হাদীসটি আবুশ শায়খ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1500- وَرُوِيَ عَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن شهر رَمَضَان شهر أمتِي يمرض مريضهم فيعودونه فَإِذا صَامَ مُسلم لم يكذب وَلم يغتب وفطره طيب سعى إِلَى العتمات محافظا على فَرَائِضه خرج من ذنُوبه كَمَا تخرج الْحَيَّة من سلخها
رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ أَيْضا
رَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০১. হযরত আবূ মাসউদ গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযান আগমন করলে একদিন আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এ-কে বলতে শুনেছি। মানুষ যদি জানত যে, রমযান কি, তাহলে আমার উম্মত এ আকাঙ্ক্ষা পোষণ করত যে, সারাটি বৎসরই যদি রমযান হতো।
বনু খুযা'আর জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ্। আপনি এ সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ রমযানের আগমনে জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সজ্জিত করা হয়। তারপর যখন রমযানের প্রথম দিনটি আসে, তখন আরশের নীচ থেকে একটি বাতাস বইতে শুরু করে। এতে জান্নাতের বৃক্ষসমূহের পাতাগুলো দুলতে থাকে। জান্নাতের হুরগণ এ দৃশ্যটি দেখে বলতে থাকে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ মাসে তোমার বান্দাগণের মধ্য থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচিত করে দাও, যাদের দ্বারা আমাদের চোখ জুড়াব আর আমাদের দ্বারাও তাদের চোখ জুড়াবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন। যে বান্দা রমযানের একটি দিন রোযা রাখে, তাকে মণিমুক্তার তাঁবুতে অবস্থানকারী একজন আয়তলোচনা হুরের সাথে বিয়ে দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা হুরদের বর্ণনায় বলেছেনঃ
حُورٌ مَقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ। (সূরা আর-রহমান, আয়াত ৭২)
প্রত্যেক হূরের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের সত্তর জোড়া করে কাপড় থাকবে, এদের সত্তর ধরনের সুগন্ধি দেয়া হবে। আর এগুলোর ঘ্রাণ হবে ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি হুবের জন্য সত্তর হাজার করে মহিলা খাদিম ও সত্তর হাজার পুরুষ খাদিম থাকবে। প্রত্যেক খাদিমের হাতে এক-একটি সোনার পেয়ালা থাকবে। এই পেয়ালাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী থাকবে। একজন বেহেশতী ব্যক্তি এ খাদ্যের প্রতিটি পরবর্তী গ্রাসে এমন স্বাদ অনুভব করবে যা যে প্রথমটিতে পায়নি। বেহেশতী হুরের প্রত্যেকের জন্য সত্তরটি করে লাল চুণির তৈরি পালক থাকবে। প্রতিটি পালকের উপর রেশমের আস্তর বিশিষ্ট সত্তরটি করে বিছানা থাকবে। প্রতিটি বিছানার উপর সত্তরটি করে হেলান দেয়ার সিংহাসন থাকবে। তাদের স্বামীদেরকেও অনুরূপ দেয়া হবে। লাল চুণির তৈরি ও মুক্তার কারুকার্যমণ্ডিত একটি পালকে সোনার দুটি কাঁকন থাকবে। এসব নিয়ামত হবে অন্যান্য পুণ্য ছাড়া শুধু রমযানের প্রতিটি রোযার বিনিময়ে।
(হাদীসটি ইবন মুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। আবুশ শায়খণ্ড এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। ইবনু খুযায়মা বলেনঃ আমার মনে জারীর ইবন আইয়ুব সম্পর্কে খটকা রয়েছে।)
(হাফিয বলেন।) জারীর ইবন আইউব বাজালী অনির্ভরযোগ্য। আল্লাহই ভাল জানেন।)
বনু খুযা'আর জনৈক ব্যক্তি বলল, ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ্। আপনি এ সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ রমযানের আগমনে জান্নাতকে বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সজ্জিত করা হয়। তারপর যখন রমযানের প্রথম দিনটি আসে, তখন আরশের নীচ থেকে একটি বাতাস বইতে শুরু করে। এতে জান্নাতের বৃক্ষসমূহের পাতাগুলো দুলতে থাকে। জান্নাতের হুরগণ এ দৃশ্যটি দেখে বলতে থাকে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ মাসে তোমার বান্দাগণের মধ্য থেকে আমাদের জন্য স্বামী নির্বাচিত করে দাও, যাদের দ্বারা আমাদের চোখ জুড়াব আর আমাদের দ্বারাও তাদের চোখ জুড়াবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন। যে বান্দা রমযানের একটি দিন রোযা রাখে, তাকে মণিমুক্তার তাঁবুতে অবস্থানকারী একজন আয়তলোচনা হুরের সাথে বিয়ে দেয়া হবে। যেমন আল্লাহ্ তা'আলা হুরদের বর্ণনায় বলেছেনঃ
حُورٌ مَقْصُورَاتٌ فِي الْخِيَامِ
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ। (সূরা আর-রহমান, আয়াত ৭২)
প্রত্যেক হূরের গায়ে বিভিন্ন রংয়ের সত্তর জোড়া করে কাপড় থাকবে, এদের সত্তর ধরনের সুগন্ধি দেয়া হবে। আর এগুলোর ঘ্রাণ হবে ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি হুবের জন্য সত্তর হাজার করে মহিলা খাদিম ও সত্তর হাজার পুরুষ খাদিম থাকবে। প্রত্যেক খাদিমের হাতে এক-একটি সোনার পেয়ালা থাকবে। এই পেয়ালাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী থাকবে। একজন বেহেশতী ব্যক্তি এ খাদ্যের প্রতিটি পরবর্তী গ্রাসে এমন স্বাদ অনুভব করবে যা যে প্রথমটিতে পায়নি। বেহেশতী হুরের প্রত্যেকের জন্য সত্তরটি করে লাল চুণির তৈরি পালক থাকবে। প্রতিটি পালকের উপর রেশমের আস্তর বিশিষ্ট সত্তরটি করে বিছানা থাকবে। প্রতিটি বিছানার উপর সত্তরটি করে হেলান দেয়ার সিংহাসন থাকবে। তাদের স্বামীদেরকেও অনুরূপ দেয়া হবে। লাল চুণির তৈরি ও মুক্তার কারুকার্যমণ্ডিত একটি পালকে সোনার দুটি কাঁকন থাকবে। এসব নিয়ামত হবে অন্যান্য পুণ্য ছাড়া শুধু রমযানের প্রতিটি রোযার বিনিময়ে।
(হাদীসটি ইবন মুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। আবুশ শায়খণ্ড এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। ইবনু খুযায়মা বলেনঃ আমার মনে জারীর ইবন আইয়ুব সম্পর্কে খটকা রয়েছে।)
(হাফিয বলেন।) জারীর ইবন আইউব বাজালী অনির্ভরযোগ্য। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1501- وَعَن أبي مَسْعُود الْغِفَارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَات يَوْم وَأهل رَمَضَان فَقَالَ لَو يعلم الْعباد مَا رَمَضَان لتمنت أمتِي أَن تكون السّنة كلهَا رَمَضَان فَقَالَ رجل من خُزَاعَة يَا نَبِي الله حَدثنَا فَقَالَ إِن الْجنَّة لتزين لرمضان من رَأس الْحول إِلَى الْحول فَإِذا كَانَ أول يَوْم من رَمَضَان هبت ريح من تَحت الْعَرْش فصفقت ورق أَشجَار الْجنَّة فتنظر الْحور الْعين إِلَى ذَلِك فيقلن يَا رَبنَا اجْعَل لنا من عِبَادك فِي هَذَا الشَّهْر أَزْوَاجًا تقر أَعيننَا بهم وتقر أَعينهم بِنَا قَالَ فَمَا من عبد يَصُوم يَوْمًا من رَمَضَان إِلَّا زوج زَوْجَة من الْحور الْعين فِي خيمة من درة كَمَا نعت الله عز وَجل {حور مقصورات فِي الْخيام} الرَّحْمَن 27
على كل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ حلَّة لَيْسَ مِنْهَا حلَّة على لون الْأُخْرَى وتعطى سبعين لونا من الطّيب لَيْسَ مِنْهُ لون على ريح الآخر لكل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ ألف وصيفة لحاجتها وَسَبْعُونَ ألف وصيف مَعَ كل وصيف صَحْفَة من ذهب فِيهَا لون طَعَام يجد لآخر لقْمَة مِنْهَا لَذَّة لم يجده لاوله وَلكُل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ سريرا من ياقوتة حَمْرَاء على كل سَرِير سَبْعُونَ فراشا بطائنها من إستبرق فَوق كل فرَاش سَبْعُونَ أريكة وَيُعْطى زَوجهَا مثل ذَلِك على سَرِير من ياقوت أَحْمَر موشحا بالدر عَلَيْهِ سواران من ذهب هَذَا بِكُل يَوْم صَامَهُ من رَمَضَان سوى مَا عمل من الْحَسَنَات
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَأَبُو الشَّيْخ فِي الثَّوَاب وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة وَفِي الْقلب من جرير بن أَيُّوب شَيْء
قَالَ الْحَافِظ جرير بن أَيُّوب البَجلِيّ واه وَالله أعلم
الأريكة اسْم لسرير عَلَيْهِ فرَاش وبشخانة وَقَالَ أَبُو إِسْحَاق الأرائك الْفرش فِي الحجال يَعْنِي البشخانات وَفِي الحَدِيث مَا يفهم أَن الأريكة اسْم للبشخانة فَوق الْفراش والسرير وَالله أعلم
على كل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ حلَّة لَيْسَ مِنْهَا حلَّة على لون الْأُخْرَى وتعطى سبعين لونا من الطّيب لَيْسَ مِنْهُ لون على ريح الآخر لكل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ ألف وصيفة لحاجتها وَسَبْعُونَ ألف وصيف مَعَ كل وصيف صَحْفَة من ذهب فِيهَا لون طَعَام يجد لآخر لقْمَة مِنْهَا لَذَّة لم يجده لاوله وَلكُل امْرَأَة مِنْهُنَّ سَبْعُونَ سريرا من ياقوتة حَمْرَاء على كل سَرِير سَبْعُونَ فراشا بطائنها من إستبرق فَوق كل فرَاش سَبْعُونَ أريكة وَيُعْطى زَوجهَا مثل ذَلِك على سَرِير من ياقوت أَحْمَر موشحا بالدر عَلَيْهِ سواران من ذهب هَذَا بِكُل يَوْم صَامَهُ من رَمَضَان سوى مَا عمل من الْحَسَنَات
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ من طَرِيقه وَأَبُو الشَّيْخ فِي الثَّوَاب وَقَالَ ابْن خُزَيْمَة وَفِي الْقلب من جرير بن أَيُّوب شَيْء
قَالَ الْحَافِظ جرير بن أَيُّوب البَجلِيّ واه وَالله أعلم
الأريكة اسْم لسرير عَلَيْهِ فرَاش وبشخانة وَقَالَ أَبُو إِسْحَاق الأرائك الْفرش فِي الحجال يَعْنِي البشخانات وَفِي الحَدِيث مَا يفهم أَن الأريكة اسْم للبشخانة فَوق الْفراش والسرير وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০২. হযরত আবু উমামা (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: মহান আল্লাহ প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
(হাদীসটি আহমদ এমন সনদে বর্ণনা করেছেন, যাতে কোন আপত্তি নেই। তাবারানীও এটি বর্ণনা করেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ছোটদের থেকে বড়দের বর্ণনায় এটি একটি গরীব পর্যায়ের হাদীস, সনদটি হচ্ছে আমাশ... হুসায়ন ইব্ন ওয়াকিদ।)
(হাদীসটি আহমদ এমন সনদে বর্ণনা করেছেন, যাতে কোন আপত্তি নেই। তাবারানীও এটি বর্ণনা করেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, ছোটদের থেকে বড়দের বর্ণনায় এটি একটি গরীব পর্যায়ের হাদীস, সনদটি হচ্ছে আমাশ... হুসায়ন ইব্ন ওয়াকিদ।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1502- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لله عز وَجل عِنْد كل فطر عُتَقَاء
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَالطَّبَرَانِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ هَذَا حَدِيث غَرِيب فِي رِوَايَة الأكابر عَن الأصاغر وَهُوَ رِوَايَة الْأَعْمَش عَن الْحُسَيْن بن وَاقد
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَالطَّبَرَانِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ هَذَا حَدِيث غَرِيب فِي رِوَايَة الأكابر عَن الأصاغر وَهُوَ رِوَايَة الْأَعْمَش عَن الْحُسَيْن بن وَاقد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৩. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: রমযানের প্রতিদিন ও রাত্রে মহান আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে অগণিত মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। আর প্রত্যেক মুসলমানের রমযানের দিন ও রাতের বেলায় একটি দু'আ রয়েছে, যা অবশ্যই কবুল করা হয়।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1503 - وروى عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ إِنَّ لِلَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى عُتَقَاءَ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ ، يَعْنِي فِي رَمَضَانَ ، وَإِنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ دَعْوَةٌ مُسْتَجَابَةً - رواه البزار
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৪. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন। তিন ব্যক্তির দু'আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না। রোযাদার যে পর্যন্ত না সে ইফতার করে, ন্যায়পরায়ণ শাসক ও মযলুম ব্যক্তির দু'আ। মযলুমের দু'আকে আল্লাহ্ মেঘমালার উপর উঠিয়ে নেন এবং আসমানের দরজাসমূহ এর জন্য খুলে দেয়া হয়। আল্লাহ্ তখন বলেন, আমার ইয্যতের শপথ! আমি অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও তা কিছু সময় পরে হয়।
(হাদীসটি আহমদ একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের 'সহীহ'-এ বর্ণনা করেন। বাযযার এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দসমূহে বর্ণনা করেছেন:
তিন ব্যক্তির বেলায় আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাদের দু'আ প্রত্যাখ্যান করা হবে না। রোযাদার, যে পর্যন্ত না সে ইফতার করে, মযলুম ব্যক্তি, যে পর্যন্ত না সে প্রতিশোধ গ্রহণ করে এবং মুসাফির, যে পর্যন্ত না সে বাড়িতে ফিরে আসে।)
(হাদীসটি আহমদ একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের 'সহীহ'-এ বর্ণনা করেন। বাযযার এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দসমূহে বর্ণনা করেছেন:
তিন ব্যক্তির বেলায় আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তাদের দু'আ প্রত্যাখ্যান করা হবে না। রোযাদার, যে পর্যন্ত না সে ইফতার করে, মযলুম ব্যক্তি, যে পর্যন্ত না সে প্রতিশোধ গ্রহণ করে এবং মুসাফির, যে পর্যন্ত না সে বাড়িতে ফিরে আসে।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1504- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا ترد دعوتهم الصَّائِم حَتَّى يفْطر وَالْإِمَام الْعَادِل ودعوة الْمَظْلُوم يرفعها الله فَوق الْغَمَام وتفتح لَهَا أَبْوَاب السَّمَاء وَيَقُول الرب وَعِزَّتِي لأنصرنك وَلَو بعد حِين
ৎرَوَاهُ أَحْمد فِي حَدِيث وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْبَزَّار وَلَفظه ثَلَاثَة حق على الله أَن لَا يرد لَهُم دَعْوَة الصَّائِم حَتَّى يفْطر والمظلوم حَتَّى ينتصر وَالْمُسَافر حَتَّى يرجع
ৎرَوَاهُ أَحْمد فِي حَدِيث وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْبَزَّار وَلَفظه ثَلَاثَة حق على الله أَن لَا يرد لَهُم دَعْوَة الصَّائِم حَتَّى يفْطر والمظلوم حَتَّى ينتصر وَالْمُسَافر حَتَّى يرجع
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৫. হযরত হাসান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহর সদয় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি রমযানের প্রতি রাতে ছয় লক্ষ করে মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। তারপর যখন রমযানের শেষ রাতটি আগমন করে, তখন আল্লাহ্ বিগত সংখ্যার পরিমাণ( অর্থাৎ পুরো মাসে যত লোককে মুক্তি প্রদান করেছেন, তার সমষ্টির পরিমাণ।)লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি প্রদান করেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি মুরসালভাবেই এসেছে।)
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি মুরসালভাবেই এসেছে।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1505- وَعَن الْحسن قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن لله عز وَجل فِي كل لَيْلَة من رَمَضَان سِتّمائَة ألف عَتيق من النَّار فَإِذا كَانَ آخر لَيْلَة أعتق الله بِعَدَد من مضى
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ هَكَذَا جَاءَ مُرْسلا
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَقَالَ هَكَذَا جَاءَ مُرْسلا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫০৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫০৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং সারা মাস আর একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না; জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর সারা মাস একটি দরজাও খোলা হয় না। আর দুষ্ট জিন্নদেরকে শিকল পরিয়ে দেয়া হয়। প্রতি রাতে প্রভাত পর্যন্ত আসমান থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকে। হে, কল্যাণ প্রত্যাশী। তুমি কল্যাণের ইচ্ছা কর এবং সুসংবাদ গ্রহণ কর। হে অকল্যাণ অভিলাষী। বিরত হও এবং পরিণাম চিন্তা কর। কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। কোন তওবাকারী আছে কি? আল্লাহ তার তাওবা কবুল করবেন। কোন দু'আকারী আছে কি? তার দু'আ কবুল করা হবে। কোন প্রার্থনা কারী আছে কি? তার প্রার্থনা পূর্ণ করা হবে।
রমযানের প্রতিদিনের ইফতারের সময় আল্লাহর সদয় প্রতিশ্রুতিতে ষাট হাজার লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তারপর যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন সারা মাসে যে পরিমাণ লোককে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন, সেই পরিমাণ অর্থাৎ দৈনিক ষাট হাজার হিসাবে ত্রিশ দিনে আঠার লক্ষ লোককে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। এটি হাসান পর্যায়ের হাদীস। এরদ্বারা অন্য হাদীসের সমর্থন ও পোষকতায় কোন দোষ নেই। এ হাদীসের সনদে নাশিব ইবন আমর শায়বানী নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যাকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য বলেছেন। অবশ্য দারু কুতনী তাঁর সমালোচনা করেছেন।
রমযানের প্রতিদিনের ইফতারের সময় আল্লাহর সদয় প্রতিশ্রুতিতে ষাট হাজার লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়া হয়। তারপর যখন ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন সারা মাসে যে পরিমাণ লোককে আল্লাহ জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন, সেই পরিমাণ অর্থাৎ দৈনিক ষাট হাজার হিসাবে ত্রিশ দিনে আঠার লক্ষ লোককে মুক্তি দিয়ে থাকেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। এটি হাসান পর্যায়ের হাদীস। এরদ্বারা অন্য হাদীসের সমর্থন ও পোষকতায় কোন দোষ নেই। এ হাদীসের সনদে নাশিব ইবন আমর শায়বানী নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন যাকে অনেকেই নির্ভরযোগ্য বলেছেন। অবশ্য দারু কুতনী তাঁর সমালোচনা করেছেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1506- وَعَن عبد الله بن مَسْعُود رَضِي الله عِنْده عَن رَسُول الله صلى الله عيه وَسلم قَالَ إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان فتحت أَبْوَاب الْجنان فَلم يغلق مِنْهَا بَاب وَاحِد الشَّهْر كُله وغلقت أَبْوَاب النَّار فَلم يفتح مِنْهَا بَاب الشَّهْر كُله وغلت عتاة الْجِنّ ونادى مُنَاد من السَّمَاء كل لَيْلَة إِلَى انفجار الصُّبْح يَا باغي الْخَيْر يمم وأبشر وَيَا باغي الشَّرّ أقصر وَأبْصر هَل من مُسْتَغْفِر يغْفر لَهُ هَل من تائب يَتُوب الله عَلَيْهِ هَل من دَاع يُسْتَجَاب لَهُ هَل من سَائل يعْطى سُؤَاله وَللَّه عز وَجل عِنْد كل فطر من شهر رممضان كل لَيْلَة عتقا من النَّار سِتُّونَ ألف فَإِذا كَانَ يَوْم الْفطر أعتق الله مثل مَا أعتق فِي جَمِيع الشَّهْر ثَلَاثِينَ مرّة سِتِّينَ ألف سِتِّينَ ألف رَوَاهُ
الْبَيْهَقِيّ وَهُوَ حَدِيث حسن لَا بَأْس بِهِ فِي المتابعات فِي إِسْنَاده ناشب بن عَمْرو الشيبان وثق وَتكلم فِيهِ الدَّارَقُطْنِيّ
الْبَيْهَقِيّ وَهُوَ حَدِيث حسن لَا بَأْس بِهِ فِي المتابعات فِي إِسْنَاده ناشب بن عَمْرو الشيبان وثق وَتكلم فِيهِ الدَّارَقُطْنِيّ
তাহকীক: