আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৫ টি
হাদীস নং: ১৪৬৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৭. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ আমাকে কোন। আমলের নির্দেশ দিন। তিনি বললেন, তুমি রোযা রাখ। কেননা এর পুণ্যের কোন পরিমাপ নেই। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে কোন আমলের কথা বলুন। তিনি বললেন, রোযা রাখ। কারণ এর পূণ্যের কোন পরিমাপ নেই। আমি আবার বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমাকে আমলের কথা বলুন। তিনি বললেন, তুমি রোযা পালন কর। কেননা এর কোন তুলনা নেই।
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে পুনরাবৃত্তিসহ এবং পুনরাবৃত্তি ছাড়া বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে একে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে পুনরাবৃত্তিসহ এবং পুনরাবৃত্তি ছাড়া বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে একে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1467- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قلت يَا رَسُول الله مرني بِعَمَل قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا عدل لَهُ
قلت يَا رَسُول الله مرني بِعَمَل قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا عدل لَهُ
قلت يَا رَسُول الله مرني بِعَمَل قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا مثل لَهُ
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه هَكَذَا بالتكرار وبدونه وللحاكم وَصَححهُ
قلت يَا رَسُول الله مرني بِعَمَل قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا عدل لَهُ
قلت يَا رَسُول الله مرني بِعَمَل قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا مثل لَهُ
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه هَكَذَا بالتكرار وبدونه وللحاكم وَصَححهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৮. নাসাঈর অপর এক বর্ণনায় এমন রয়েছে। আবু উমামা বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ -এর নিকট এসে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমাকে এমন বিষয়ের কথা বলুন, যার দ্বারা আল্লাহ্ আমাকে উপকৃত করবেন। তিনি বললেন, তুমি রোযা রাখ। কেননা এর কোন তুলনা নেই।
(ইব্ন হিব্বান এ হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ
আবু উমামা বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন আমলের সন্ধান দিন যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি বললেন, তুমি রোযা পালন কর। কেননা এর কোন তুলনা নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এ কারণেই আবু উমামার বাড়িতে দিনের বেলায় কখনও আগুনের ধোঁয়া দেখা যেত না। তবে যদি কখনও মেহমান এসে পড়ত।)
(ইব্ন হিব্বান এ হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ
আবু উমামা বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে এমন আমলের সন্ধান দিন যার দ্বারা আমি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব। তিনি বললেন, তুমি রোযা পালন কর। কেননা এর কোন তুলনা নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এ কারণেই আবু উমামার বাড়িতে দিনের বেলায় কখনও আগুনের ধোঁয়া দেখা যেত না। তবে যদি কখনও মেহমান এসে পড়ত।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1468- وَفِي رِوَايَة للنسائي قَالَ أتيت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقلت يَا رَسُول الله مرني بِأَمْر يَنْفَعنِي الله بِهِ قَالَ عَلَيْك بالصيام فَإِنَّهُ لَا مثل لَهُ
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه فِي حَدِيث قَالَ قلت يَا رَسُول الله دلَّنِي على عمل أَدخل بِهِ الْجنَّة قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا مثل لَهُ
قَالَ فَكَانَ أَبُو أُمَامَة لَا يرى فِي بَيته الدُّخان نَهَارا إِلَّا إِذا نزل بهم ضيف
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه فِي حَدِيث قَالَ قلت يَا رَسُول الله دلَّنِي على عمل أَدخل بِهِ الْجنَّة قَالَ عَلَيْك بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَا مثل لَهُ
قَالَ فَكَانَ أَبُو أُمَامَة لَا يرى فِي بَيته الدُّخان نَهَارا إِلَّا إِذا نزل بهم ضيف
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৬৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৬৯. হযরত আবু সাঈদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোযা পালন করে, আল্লাহ্ তা'আলা এই একদিনের বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে তার চেহারাকে সত্তর বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে বছরের দূরত্বে নিয়ে যান।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1469- وَعَن أبي سعيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا من عبد يَصُوم يَوْمًا فِي سَبِيل الله تَعَالَى إِلَّا باعد الله بذلك الْيَوْم وَجهه عَن النَّار سبعين خَرِيفًا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭০. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ মার বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোযা রাখে, আল্লাহ তার মধ্যে ও জাহান্নামের মধ্যে আসমান-যমীনের দূরত্বের সমান একটি পরিখা সৃষ্টি করে দেন।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' ও 'সগীর' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' ও 'সগীর' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1470- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله جعل الله بَينه وَبَين النَّار خَنْدَقًا كَمَا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالصَّغِير بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭১. হযরত আমর ইবন আবাসা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোযা রাখল, তার থেকে জাহান্নামকে একশ' বছরের দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হবে।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' ও 'আওসাত' নামক গ্রন্থে নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' ও 'আওসাত' নামক গ্রন্থে নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1471- وَعَن عَمْرو بن عبسة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله بَعدت مِنْهُ النَّار مسيرَة مائَة عَام
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭২. মু'য়ায় ইব্ন আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাস ছাড়া অন্য সময়ে একদিন আল্লাহর রাহে রোযা রাখল, তাকে জাহান্নাম থেকে একটি হালকাদেহী ও দ্রুতগামী অশ্বের একশ' বছরের পথ অতিক্রমের দূরত্বে সরিয়ে নেয়া হবে।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা যবান ইব্ন ফাইদ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আবু ইয়ালা যবান ইব্ন ফাইদ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1472- وَعَن معَاذ بن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله فِي غير رَمَضَان بعد من النَّار مائَة عَام سير الْمُضمر الْجواد
رَوَاهُ أَبُو يعلى من طَرِيق زبان بن فائد
رَوَاهُ أَبُو يعلى من طَرِيق زبان بن فائد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে একদিন রোযা রাখল, আল্লাহ্ এই দিনের বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে নিয়ে যাবেন।
(হাদীসটি নাসাঈ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি ইব্ন লাহীআহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং মন্তব্য করেছেন যে, হাদীসটি গরীব; এটি ইব্ন মাজাহ আবদুল আযীয লায়সী সনদে বর্ণনা করেছেন। সনদের অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি নাসাঈ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি ইব্ন লাহীআহ সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং মন্তব্য করেছেন যে, হাদীসটি গরীব; এটি ইব্ন মাজাহ আবদুল আযীয লায়সী সনদে বর্ণনা করেছেন। সনদের অন্যান্য বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1473- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله زحزح الله وَجهه عَن النَّار بذلك الْيَوْم سبعين خَرِيفًا
رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد حسن وَالتِّرْمِذِيّ من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه من رِوَايَة عبد الله بن عبد الْعَزِيز اللَّيْثِيّ وَبَقِيَّة الْإِسْنَاد ثِقَات
رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد حسن وَالتِّرْمِذِيّ من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه من رِوَايَة عبد الله بن عبد الْعَزِيز اللَّيْثِيّ وَبَقِيَّة الْإِسْنَاد ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭৪. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে একদিন রোযা পালন করল, আল্লাহ তার মধ্যে ও জাহান্নামের মধ্যে আসমান-যমীনের দূরত্ব সমান একটি, পরিখা সৃষ্টি করে দিবেন।
(হাদীসটি তিরমিযী ওলীদ ইবন জামীল... কাসিম ইবন আবদুর রহমান ... আবু উমামা সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব; তাবারানীও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এভাবে বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে একদিন রোযা পালন করল, আল্লাহ্ তার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে এত দূরে নিয়ে যাবেন, একটি হালকাদেহী ও দ্রুতগামী অশ্ব একশ বছরে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে।
অনেক আলিমের মতে এই সকল হাদীস জিহাদের ময়দানে রোযা পালনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিরমিযী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এই প্রসঙ্গে পৃথক অনুচ্ছেদও এনেছেন। আবার কতিপয় আলিম বলেন, সকল রোযাই আল্লাহর রাহে রোযার অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যদি তা একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয়। 'আল্লাহর রাহে রোযা' শীর্ষক একটি অনুচ্ছেদ এ কিতাবেও ইনশা আল্লাহ্ সামনে আসবে।)
(হাদীসটি তিরমিযী ওলীদ ইবন জামীল... কাসিম ইবন আবদুর রহমান ... আবু উমামা সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব; তাবারানীও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এভাবে বলেছেন যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে একদিন রোযা পালন করল, আল্লাহ্ তার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে এত দূরে নিয়ে যাবেন, একটি হালকাদেহী ও দ্রুতগামী অশ্ব একশ বছরে যতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করে।
অনেক আলিমের মতে এই সকল হাদীস জিহাদের ময়দানে রোযা পালনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তিরমিযী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এই প্রসঙ্গে পৃথক অনুচ্ছেদও এনেছেন। আবার কতিপয় আলিম বলেন, সকল রোযাই আল্লাহর রাহে রোযার অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যদি তা একমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে হয়। 'আল্লাহর রাহে রোযা' শীর্ষক একটি অনুচ্ছেদ এ কিতাবেও ইনশা আল্লাহ্ সামনে আসবে।)
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1474- وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله جعل الله بَينه وَبَين النَّار خَنْدَقًا كَمَا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة الْوَلِيد بن جميل عَن الْقَاسِم بن عبد الرَّحْمَن عَن أبي أُمَامَة وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ إِلَّا أَنه قَالَ من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله بعد الله وَجهه عَن النَّار مسيرَة مائَة عَام ركض الْفرس الْجواد الْمُضمر
وَقد ذهب طوائف من الْعلمَاء إِلَى أَن هَذِه الْأَحَادِيث جَاءَت فِي فضل الصَّوْم فِي الْجِهَاد
وَبَوَّبَ على هَذَا التِّرْمِذِيّ وَغَيره وَذَهَبت طَائِفَة إِلَى أَن كل الصَّوْم فِي سَبِيل الله إِذا كَانَ خَالِصا لوجه الله تَعَالَى وَيَأْتِي بَاب فِي الصَّوْم فِي الْجِهَاد إِن شَاءَ الله تَعَالَى
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ من رِوَايَة الْوَلِيد بن جميل عَن الْقَاسِم بن عبد الرَّحْمَن عَن أبي أُمَامَة وَقَالَ حَدِيث غَرِيب وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ إِلَّا أَنه قَالَ من صَامَ يَوْمًا فِي سَبِيل الله بعد الله وَجهه عَن النَّار مسيرَة مائَة عَام ركض الْفرس الْجواد الْمُضمر
وَقد ذهب طوائف من الْعلمَاء إِلَى أَن هَذِه الْأَحَادِيث جَاءَت فِي فضل الصَّوْم فِي الْجِهَاد
وَبَوَّبَ على هَذَا التِّرْمِذِيّ وَغَيره وَذَهَبت طَائِفَة إِلَى أَن كل الصَّوْم فِي سَبِيل الله إِذا كَانَ خَالِصا لوجه الله تَعَالَى وَيَأْتِي بَاب فِي الصَّوْم فِي الْجِهَاد إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৭৫. আবদুল্লাহ্ ইব্ন আবূ মুলায়কা সূত্রে হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই ইফতারের সময় রোযাদারের এমন একটি দু'আ রয়েছে, যা প্রত্যাখ্যান করা হয় না। আবদুল্লাহ বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবন আমরকে ইফতারের সময় এই দু'আটি পাঠ করতে শুনেছিঃ
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي
"হে আল্লাহ্। তোমার সর্বব্যাপী রহমতের ওসীলায় তোমার দরবারে প্রার্থনা জানাচ্ছি যে, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।"
অপর এক বর্ণনায় ذنوبی কথাটি অতিরিক্ত রয়েছে।
(হাদীসটি বায়হাকী ইসহাক ইব্ন উবায়দুল্লাহ্ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু মুলায়কা থেকে বর্ণনা করেছেন। এই ইসহাক মদীনার অধিবাসী। হাদীস বর্ণনায় তার তেমন কোন পরিচিতি নেই। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي
"হে আল্লাহ্। তোমার সর্বব্যাপী রহমতের ওসীলায় তোমার দরবারে প্রার্থনা জানাচ্ছি যে, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।"
অপর এক বর্ণনায় ذنوبی কথাটি অতিরিক্ত রয়েছে।
(হাদীসটি বায়হাকী ইসহাক ইব্ন উবায়দুল্লাহ্ সূত্রে আবদুল্লাহ ইবন আবু মুলায়কা থেকে বর্ণনা করেছেন। এই ইসহাক মদীনার অধিবাসী। হাদীস বর্ণনায় তার তেমন কোন পরিচিতি নেই। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الصَّوْم
فصل
1475- عَن عبد الله يَعْنِي ابْن أبي مليكَة عَن عبد الله يَعْنِي ابْن عَمْرو بن العَاصِي رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن للصَّائِم عِنْد فطره لدَعْوَة مَا ترد قَالَ وَسمعت عبد الله يَقُول عِنْد فطره اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك بِرَحْمَتك الَّتِي وسعت كل شَيْء أَن تغْفر لي
زَاد فِي رِوَايَة ذُنُوبِي
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ عَن إِسْحَاق بن عبيد الله عَنهُ وَإِسْحَاق هَذَا مدنِي لَا يعرف وَالله أعلم
زَاد فِي رِوَايَة ذُنُوبِي
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ عَن إِسْحَاق بن عبيد الله عَنهُ وَإِسْحَاق هَذَا مدنِي لَا يعرف وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ অনুচ্ছেদ
১৪৭৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তিন ব্যক্তির দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না। ইফতারকালে রোযাদারের দু'আ, ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু'আ এবং মযলুম ব্যক্তির দু'আ। মযলুমের আহাজারীকে আল্লাহ্ মেঘমালার উপর উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়। এবং আল্লাহ বলেন: আমার ইয্যত ও মাহাত্ম্যের শপথ। আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করব, যদিও অনেকটা পরে হয়।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। বর্ণিত পাঠ তিরমিযীরই। ইবন মাজাহ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানও এটি বর্ণনা করেন। তবে তাঁদের বর্ণনায় حتي يفطر (ইফতারের সময় পর্যন্ত) উল্লেখিত হয়েছে। বাযযারও এটি সংক্ষিপ্তাকারে এভাবে বর্ণনা করেছেন: আল্লাহ নিজের জন্য অনিবার্য করে নিয়েছেন যে, তিন ব্যক্তির দু'আ তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন না। রোযাদার যে পর্যন্ত ইফতার না করে, মযলুম ব্যক্তি যে পর্যন্ত প্রতিশোধ গ্রহণ না করে এবং মুসাফির যে পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসে।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। বর্ণিত পাঠ তিরমিযীরই। ইবন মাজাহ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানও এটি বর্ণনা করেন। তবে তাঁদের বর্ণনায় حتي يفطر (ইফতারের সময় পর্যন্ত) উল্লেখিত হয়েছে। বাযযারও এটি সংক্ষিপ্তাকারে এভাবে বর্ণনা করেছেন: আল্লাহ নিজের জন্য অনিবার্য করে নিয়েছেন যে, তিন ব্যক্তির দু'আ তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন না। রোযাদার যে পর্যন্ত ইফতার না করে, মযলুম ব্যক্তি যে পর্যন্ত প্রতিশোধ গ্রহণ না করে এবং মুসাফির যে পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসে।
كتاب الصَّوْم
فصل
1476- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا ترد دعوتهم
الصَّائِم حِين يفْطر وَالْإِمَام الْعَادِل ودعوة الْمَظْلُوم يرفعها الله فَوق الْغَمَام وتفتح لَهَا أَبْوَاب السَّمَاء وَيَقُول الرب وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لأنصرنك وَلَو بعد حِين
رَوَاهُ أَحْمد فِي حَدِيث وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا إِلَّا أَنهم قَالُوا حَتَّى يفْطر
وَرَوَاهُ الْبَزَّار مُخْتَصرا ثَلَاث حق على الله أَن لَا يرد لَهُم دَعْوَة الصَّائِم حَتَّى يفْطر والمظلوم حَتَّى ينتصر وَالْمُسَافر حَتَّى يرجع
الصَّائِم حِين يفْطر وَالْإِمَام الْعَادِل ودعوة الْمَظْلُوم يرفعها الله فَوق الْغَمَام وتفتح لَهَا أَبْوَاب السَّمَاء وَيَقُول الرب وَعِزَّتِي وَجَلَالِي لأنصرنك وَلَو بعد حِين
رَوَاهُ أَحْمد فِي حَدِيث وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا إِلَّا أَنهم قَالُوا حَتَّى يفْطر
وَرَوَاهُ الْبَزَّار مُخْتَصرا ثَلَاث حق على الله أَن لَا يرد لَهُم دَعْوَة الصَّائِم حَتَّى يفْطر والمظلوم حَتَّى ينتصر وَالْمُسَافر حَتَّى يرجع
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম প্রায় থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি লায়লাতুল কদরে ঈমানের সাথে পুণ্যের আশায় ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা রাখবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইব্ন মাজাহও এটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইব্ন মাজাহও এটি সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1477- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَامَ لَيْلَة الْقدر إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه وَمن صَامَ رَمَضَان إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭৮. নাসাঈর অপর এক বর্ণনায় রয়েছে যে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও পুণ্যের আশায় রমযানের রোযা রাখল, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও পুণ্য লাভের আশায় লায়লাতুল কদরে ইবাদত করল, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। কুতায়বার বর্ণনায় পরবর্তী গুনাহসমূহও মাফ করে দেয়া হবে বলে বলা হয়েছে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1478- وَفِي رِوَايَة للنسائي أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ رَمَضَان إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه وَمن قَامَ لَيْلَة الْقدر إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
قَالَ وَفِي حَدِيث قُتَيْبَة وَمَا تَأَخّر
قَالَ وَفِي حَدِيث قُتَيْبَة وَمَا تَأَخّر
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৭৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৭৯. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ প্রায় রমযানের রাত জেগে ইবাদত করতে উৎসাহ দান করতেন কিন্তু আবশ্যিকভাবে এর নির্দেশ দিতেন না। তিনি বলতেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও পুণ্য লাভের আশায় রমযানের রাত্রি জাগরণ করবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1479- وَعنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يرغب فِي قيام رَمَضَان من غير أَن يَأْمُرهُم بعزيمة ثمَّ يَقُول من قَامَ رَمَضَان إِيمَانًا واحتسابا غفر لَهُ مَا تقدم من ذَنبه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি রমযানের রোযা রাখল, এর সীমানা চিনে নিল এবং যথাযথ এর দাবি পূরণ করল, সে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ দূর করে দিল।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তার 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেন।)
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তার 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি রিওয়ায়াত করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1480- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صَامَ رَمَضَان وَعرف حُدُوده وَتحفظ مِمَّا يَنْبَغِي لَهُ أَن يتحفظ كفر مَا قبله
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮১. হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন। যে ব্যক্তি মক্কা শরীফে রমযানের মাস পেল, রোযা রাখল এবং তার সাধ্যানুযায়ী রাত্রে ইবাদত করল, আল্লাহ্ তার আমলনামায় এক লক্ষ রমযানের পুণ্য লিখে দিবেন। প্রতিটি দিনের বিনিময়ে একটি দাসমুক্ত করার সওয়াব লিখা হবে, প্রতিটি রাতের পরিবর্তে একটি দাস মুক্ত করার সওয়াব লিখা হবে, প্রতিদিন আল্লাহর পথে জিহাদের জন্য একটি অশ্বদানের সওয়াব লিখা হবে এবং প্রতিদিনে একটি বিশেষ পুণ্য ও প্রতি রাতে একটি বিশেষ গুণ্য লিখা হবে।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন, তবে এর সনদটি বর্তমানে আমার নিকট উপস্থিত নেই।)
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন, তবে এর সনদটি বর্তমানে আমার নিকট উপস্থিত নেই।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1481- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أدْرك شهر رَمَضَان بِمَكَّة فصامه وَقَامَ مِنْهُ مَا تيَسّر كتب الله لَهُ مائَة ألف شهر رَمَضَان فِيمَا سواهُ وَكتب لَهُ بِكُل يَوْم عتق رَقَبَة وَبِكُل لَيْلَة عتق رَقَبَة وكل يَوْم حملان فرس فِي سَبِيل الله وَفِي كل يَوْم حَسَنَة وَفِي كل لَيْلَة حَسَنَة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَلَا يحضرني الْآن سَنَده
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَلَا يحضرني الْآن سَنَده
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার উম্মতকে রমযান মাসে পাঁচটি বিষয় দেয়া হয়েছে যা পূর্বেকার কোন উম্মতকে প্রদান করা হয়নি। (১) রোযাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর নিকট মিশুকের সুগন্ধির চেয়েও বেশি পবিত্র; (২) ইফতার করা পর্যন্ত তাদের জন্য সমুদ্রের মাছগুলো পর্যন্ত দু'আ করে; (৩) রমযানের প্রতি রাতে আল্লাহ্ তাদের জন্য জান্নাতকে সুসজ্জিত করেন; তারপর বলেন, অচিরেই আমার নেক বান্দাগণ তাদের বোঝা নিক্ষেপ করে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (৪) দুর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে এ মাসে বন্দী করে রাখা হয়, এজন্য তারা অন্য সময় যা করার সুযোগ পায়, এ সময় তা করতে পারে না এবং (৫) রমযানের শেষ রাত্রিতে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। প্রশ্ন করা হলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ। এটা কি লায়লাতুল কদর? তিনি বললেন, না; বরং কোন শ্রমিককে তার কার্য শেষেই বিনিময় প্রদান করা হয়ে থাকে।
(হাদীসটি আহমদ, বাযযার ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইব্ন হিব্বানও এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় মাছের স্থলে "ফিরিশতাগণ রোযাদারের জন্য দু'আ করে" বলে বলা হয়েছে।)
(হাদীসটি আহমদ, বাযযার ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইব্ন হিব্বানও এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় মাছের স্থলে "ফিরিশতাগণ রোযাদারের জন্য দু'আ করে" বলে বলা হয়েছে।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1482- وَرُوِيَ عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَعْطَيْت أمتِي خمس خِصَال فِي رَمَضَان لم تعطهن أمة قبلهم خلوف فَم الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وَتَسْتَغْفِر لَهُم الْحيتَان حَتَّى يفطروا ويزين الله عز وَجل كل يَوْم جنته ثمَّ يَقُول يُوشك عبَادي الصالحون أَن يلْقوا عَنْهُم الْمُؤْنَة ويصيروا إِلَيْك وتصفد فِيهِ مَرَدَة الشَّيَاطِين فَلَا يخلصوا فِيهِ إِلَى مَا كَانُوا يخلصون إِلَيْهِ فِي غَيره وَيغْفر لَهُم فِي آخر لَيْلَة
قيل يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَهِي لَيْلَة الْقدر قَالَ لَا وَلَكِن الْعَامِل إِنَّمَا يُوفى أجره إِذا قضى
عمله
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب إِلَّا أَن عِنْده وَتَسْتَغْفِر لَهُم الْمَلَائِكَة
بدل الْحيتَان
قيل يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَهِي لَيْلَة الْقدر قَالَ لَا وَلَكِن الْعَامِل إِنَّمَا يُوفى أجره إِذا قضى
عمله
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَالْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب إِلَّا أَن عِنْده وَتَسْتَغْفِر لَهُم الْمَلَائِكَة
بدل الْحيتَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৩. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। আমার উম্মতকে রমযান মাসে পাঁচটি জিনিস দান করা হয়েছে, আমার পূর্ববর্তী কোন নবীকে যা দান করা হয়নি। প্রথমটি এই যে, রমযানের প্রথম রাত্রিতে আল্লাহ্ তা'আলা তাদের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন। আর আল্লাহ্ যার প্রতি দৃষ্টি দেন, তিনি তাকে কখনও আযাব দেন না। দ্বিতীয়টি হল, সন্ধ্যাবেলার তাদের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়। তৃতীয়ত, ফিরিশতাগণ তাদের জন্য প্রতিদিন ও প্রতিরাত্রে মাগফিরাতের দু'আ করে। চতুর্থত, আল্লাহ তার জান্নাতকে নির্দেশ দেন যে, তুমি আমার বান্দাদের জন্য প্রস্তুত হও এবং সুসজ্জিত হও, অচিরেই আমার বান্দাগণ দুনিয়ার কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়ে আমার ঘর ও আমার আতিথেয়তার দিকে ফিরে আসবে। পঞ্চমত, যখন রমযানের শেষ রজনী আসে, তখন তাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।
উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে একজন বলল, এটা কি লায়লাতুল কদর? তিনি বললেন, না। তুমি কি শ্রমিকদেরকে দেখনি যে, তারা যখন কাজ শেষ করে, তখনই তাদেরকে পারিশ্রমিক দেয়া হয়?
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন, এর সনদটি বিশুদ্ধতার নিকটবর্তী ও পূর্ববর্তীটির চেয়ে উত্তম।)
উপস্থিত লোকদের মধ্য থেকে একজন বলল, এটা কি লায়লাতুল কদর? তিনি বললেন, না। তুমি কি শ্রমিকদেরকে দেখনি যে, তারা যখন কাজ শেষ করে, তখনই তাদেরকে পারিশ্রমিক দেয়া হয়?
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন, এর সনদটি বিশুদ্ধতার নিকটবর্তী ও পূর্ববর্তীটির চেয়ে উত্তম।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1483- وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَعْطَيْت أمتِي فِي شهر رَمَضَان خمْسا لم يُعْطهنَّ نَبِي قبلي
أما وَاحِدَة فَإِنَّهُ إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان نظر الله عز وَجل إِلَيْهِم وَمن نظر الله إِلَيْهِ لم يعذبه أبدا
وَأما الثَّانِيَة فَإِن خلوف أَفْوَاههم حِين يمسون أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
وَأما الثَّالِثَة فَإِن الْمَلَائِكَة تستغفر لَهُم فِي كل يَوْم وَلَيْلَة
وَأما الرَّابِعَة فَإِن الله عز وَجل يَأْمر جنته فَيَقُول لَهَا استعدي وتزيني لعبادي أوشك أَن يستريحوا من تَعب الدُّنْيَا إِلَى دَاري وكرامتي
وَأما الْخَامِسَة فَإِنَّهُ إِذا كَانَ آخر لَيْلَة غفر الله لَهُم جَمِيعًا
فَقَالَ رجل من الْقَوْم أَهِي لَيْلَة الْقدر فَقَالَ لَا ألم تَرَ إِلَى الْعمَّال يعْملُونَ فَإِذا فرغوا من أَعْمَالهم وفوا أُجُورهم
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَإِسْنَاده مقارب أصلح مِمَّا قبله
أما وَاحِدَة فَإِنَّهُ إِذا كَانَ أول لَيْلَة من شهر رَمَضَان نظر الله عز وَجل إِلَيْهِم وَمن نظر الله إِلَيْهِ لم يعذبه أبدا
وَأما الثَّانِيَة فَإِن خلوف أَفْوَاههم حِين يمسون أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
وَأما الثَّالِثَة فَإِن الْمَلَائِكَة تستغفر لَهُم فِي كل يَوْم وَلَيْلَة
وَأما الرَّابِعَة فَإِن الله عز وَجل يَأْمر جنته فَيَقُول لَهَا استعدي وتزيني لعبادي أوشك أَن يستريحوا من تَعب الدُّنْيَا إِلَى دَاري وكرامتي
وَأما الْخَامِسَة فَإِنَّهُ إِذا كَانَ آخر لَيْلَة غفر الله لَهُم جَمِيعًا
فَقَالَ رجل من الْقَوْم أَهِي لَيْلَة الْقدر فَقَالَ لَا ألم تَرَ إِلَى الْعمَّال يعْملُونَ فَإِذا فرغوا من أَعْمَالهم وفوا أُجُورهم
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَإِسْنَاده مقارب أصلح مِمَّا قبله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৪. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। যে রাসূলুল্লাহ বলেছেন: পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমু'আ থেকে অপর জুমু'আ ও এক রমযান থেকে অপর রমযান মধ্যবর্তী সময়ের পাপমোচনকারী। যখন কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকা হয়।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1484- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الصَّلَوَات الْخمس وَالْجُمُعَة إِلَى الْجُمُعَة ورمضان إِلَى رَمَضَان مكفرات مَا بَينهُنَّ إِذا اجْتنبت الْكَبَائِر
رَوَاهُ مُسلم
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৫. হযরত কা'ব ইবন উজরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা মিম্বরের কাছে আস। আমরা মিম্বরের নিকটে এলাম। তিনি যখন প্রথম সিঁড়িতে উঠলেন তখন বললেন, 'আমীন।' দ্বিতীয় সিঁড়িতে যখন পা রাখলেন, এখনও বললেন, 'আমীন!' তৃতীয় সিঁড়িতে উঠার সময়ও বললেন, 'আমীন!' তিনি যখন মিম্বর থেকে নেমে আসলেন, আমরা বললাম, আজ আপনাকে এমন একটি বাক্য বলতে শুনলাম, যা আর কোন দিন শুনিনি। তিনি বললেন, জিবরাঈল (আ) আমার কাছে আসলেন এবং বললেন, ঐ ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে দূর হোক যে, রমযান পেল, অথচ তাকে ক্ষমা করা হল না। আমি তখন বললাম, আমীন। তারপর যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠলাম, জিবরাঈল বললেন, আল্লাহর রহমত থেকে ঐ ব্যক্তি দূর হোক যার সামনে আপনার নাম নেয়া হল, অথচ সে দরূদ পাঠ করল না। তখন আমি বললাম, আমীন। আবার যখন তৃতীয় সিঁড়িতে উঠলাম, তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি তার বার্ধক্যে উপনীত পিতামাতা অথবা তাদের দু'জনের কোন একজনকে পেল, অথচ তারা তাকে জান্নাতে দাখিল করল না,(অর্থাৎ তাদের খিদমত করে সে নিজেকে জান্নাতের উপযুক্ত করে তুলল না।) সে আল্লাহর রহমত থেকে দূর হোক। আমি বললাম, আমীন।
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং এর সনদ সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি হাকিম বর্ণনা করেছেন এবং এর সনদ সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1485- وَعَن كَعْب بن عجْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم احضروا الْمِنْبَر فحضرنا فَلَمَّا ارْتقى دَرَجَة قَالَ آمين فَلَمَّا ارْتقى الدرجَة الثَّانِيَة قَالَ آمين فَلَمَّا ارْتقى الدرجَة الثَّالِثَة قَالَ آمين فَلَمَّا نزل قُلْنَا يَا رَسُول الله لقد سمعنَا مِنْك الْيَوْم شَيْئا مَا كُنَّا نَسْمَعهُ قَالَ إِن جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام عرض لي فَقَالَ بعد من أدْرك رَمَضَان فَلم يغْفر لَهُ قلت آمين فَلَمَّا رقيت الثَّانِيَة قَالَ بعد من ذكرت عِنْده فَلم يصل عَلَيْك فَقلت آمين فَلَمَّا رقيت الثَّالِثَة قَالَ بعد من أدْرك أَبَوَيْهِ الْكبر عِنْده أَو أَحدهمَا فَلم يدْخلَاهُ الْجنَّة قلت آمين
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৪৮৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৬. হাসান ইবন মালিক ইবনুল হুয়ায়রিস থেকে তাঁর পিতা ও পিতামহ (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ ﷺ মিম্বরে আরোহণ করলেন। তিনি যখন প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলেন, তখন বললেন, 'আমীন!' তারপর দ্বিতীয় সিঁড়িতে আরোহণ করলেন এবং বললেন, 'আমীন!' তারপর তৃতীয় সিঁড়িতে আরোহণ করলেন এবং বললেন, 'আমীন!'। পরে তিনি বললেন, জিবরাঈল (আ) আমার কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! যে ব্যক্তি রমযান পেল, অথচ তার পাপমোচন হল না, আল্লাহ্ তাকে আপন রহমত থেকে দূর করুন। আমি বললাম, আমীন। জিবরাঈল বললেন, যে ব্যক্তি নিজের পিতামাতা অথবা তাদের কোন একজনকে পেল, অথচ সে জাহান্নামে প্রবেশ করল, আল্লাহ তাকে আপন রহমত থেকে দূর করুন। আমি বললাম, আমীন। তিনি আবার বললেন, যার নিকট আপনার নাম নেয়া হল অথচ সে দরূদ পাঠ করল না, আল্লাহ তাকে নিজ রহমত থেকে দূর করুন। আমি বললাম, আমীন।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1486- وَعَن الْحسن بن مَالك بن الْحُوَيْرِث عَن أَبِيه عَن جده رَضِي الله عَنهُ قَالَ صعد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْمِنْبَر فَلَمَّا رقي عتبَة
قَالَ آمين ثمَّ رقي أُخْرَى فَقَالَ آمين ثمَّ رقي عتبَة ثَالِثَة فَقَالَ آمين ثمَّ قَالَ أَتَانِي جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَقَالَ يَا مُحَمَّد من أدْرك رَمَضَان فَلم يغْفر لَهُ فَأَبْعَده الله فَقلت آمين قَالَ وَمن أدْرك وَالِديهِ أَو أَحدهمَا فَدخل النَّار فَأَبْعَده الله فَقلت آمين
قَالَ وَمن ذكرت عِنْده فَلم يصل عَلَيْك فَأَبْعَده الله فَقلت آمين
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَالَ آمين ثمَّ رقي أُخْرَى فَقَالَ آمين ثمَّ رقي عتبَة ثَالِثَة فَقَالَ آمين ثمَّ قَالَ أَتَانِي جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَقَالَ يَا مُحَمَّد من أدْرك رَمَضَان فَلم يغْفر لَهُ فَأَبْعَده الله فَقلت آمين قَالَ وَمن أدْرك وَالِديهِ أَو أَحدهمَا فَدخل النَّار فَأَبْعَده الله فَقلت آمين
قَالَ وَمن ذكرت عِنْده فَلم يصل عَلَيْك فَأَبْعَده الله فَقلت آمين
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক: