আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২১৫ টি
হাদীস নং: ১৫২৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৭. মাসরূক (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার আরাফার দিবসে হযরত আয়েশা (রা)-এর কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমাকে পানিপান করান। আয়েশা বললেন, হে খাদিম! একে মধুপান করিয়ে দাও। এরপর তিনি বললেন, হে মাসরুক। তুমি কি রোযা রাখনি? তিনি বললেন, আমার আশঙ্কা হচ্ছিল যে, এটি যদি ঈদুল আযহার দিন হয়ে থাকে। আয়েশা বললেন, এমন হবে কেন? আরাফার দিন তো ঐদিন, যখন ইমাম আরাফায় অবস্থান করবে। আর কুরবানীর দিন হল ঐ দিন যেদিন, ইমাম কুরবানী করবে। হে মাসরুক। তুমি কি শোননি যে, রাসূলুল্লাহ (সা) আরাফার দিনকে হাজার দিবসের সমান মনে করতেন?
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক কিতাবে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন; বায়হাকীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক কিতাবে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন; বায়হাকীও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1527- وَعَن مَسْرُوق أَنه دخل على عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا يَوْم عَرَفَة فَقَالَ اسقوني فَقَالَت عَائِشَة يَا غُلَام اسْقِهِ عسلا ثمَّ قَالَت وَمَا أَنْت بصائم يَا مَسْرُوق قَالَ لَا إِنِّي أَخَاف أَن يكون يَوْم الْأَضْحَى فَقَالَت عَائِشَة لَيْسَ ذَلِك إِنَّمَا عَرَفَة يَوْم يعرف الإِمَام وَيَوْم النَّحْر يَوْم ينْحَر الإِمَام أوما سَمِعت يَا مَسْرُوق أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يعدله بِأَلف يَوْم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن وَالْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن وَالْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫২৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৮. বায়হাকীর এক বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন: আরাফার দিনের রোযা হাজার দিবসের রোযার সমান।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1528- وَفِي رِوَايَة للبيهقي قَالَت كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول صِيَام يَوْم عَرَفَة كصيام ألف يَوْم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫২৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫২৯. সাঈদ ইবন জুবায়র (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-কে আরাফার দিনের রোযা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল, তিনি বলেছিলেন। আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর আমলে এটিকে দু'বছরের রোযার সমান মনে করতাম।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে নাসাঈর বর্ণনায় এখানে এক বছরের উল্লেখ করা হয়েছে।)
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে নাসাঈর বর্ণনায় এখানে এক বছরের উল্লেখ করা হয়েছে।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1529- وَعَن سعيد بن جُبَير قَالَ سَأَلَ رجل عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن صَوْم يَوْم عَرَفَة فَقَالَ كُنَّا وَنحن مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعدله بِصَوْم سنتَيْن
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن وَهُوَ عِنْد النَّسَائِيّ بِلَفْظ سنة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن وَهُوَ عِنْد النَّسَائِيّ بِلَفْظ سنة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫৩০. হযরত যায়দ ইবন আরকাম (রা) সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত যে তাঁকে আরাফার দিনের রোযা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি তখন বলেছিলেন, আরাফার রোযা-তুমি যে বছরটি অতিবাহিত করছ, এ বছরের ও এর পরের বছরের (গুনাহর) কাফ্ফারা হয়ে যায়।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে রিশদীন ইবন সা'দ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে রিশদীন ইবন সা'দ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1530- وَعَن زيد بن أَرقم رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه سُئِلَ عَن صِيَام يَوْم عَرَفَة قَالَ يكفر السّنة الَّتِي أَنْت فِيهَا وَالسّنة الَّتِي بعْدهَا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة رشدين بن سعد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة رشدين بن سعد
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আরাফার বাইরে অবস্থানকারীদের জন্য আরাফার রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং হজ্জের উদ্দেশ্যে আরাফায় অবস্থানরত ব্যক্তিদের জন্য এর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গ
১৫৩১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আরাফায় অবস্থানকালে আরাফার দিবসের রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তাবারানী তাঁর 'আওসাত' নামক কিতাবে এ হাদীসটি হযরত আয়েশা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাফিয (যাকীউদ্দীন) বলেন: আরাফায় অবস্থানকালে আরাফার রোযা রাখার ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। হযরত ইবন উমর (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু বকর, উমর, উসমান (রা) কেউই এমতাবস্থায় রোযা রাখেননি, তাই আমিও রোযা পালন করি না। ইমাম মালিক ও সুফিয়ান সাওরী (র) রোযা না রাখাকেই বেশি ভাল মনে করতেন। এদিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ও হযরত আয়েশা (রা) এমন অবস্থায় রোযা রাখতেন।
উসমান ইবন আবুল আস-এরও এ মতের বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম ইসহাকও রোযার পক্ষে ছিলেন। আতা ইবন আবু রাবাহ বলেন, শীতকাল হলে আমি রোযা রাখি; কিন্তু গ্রীষ্মকালে রাখি না। কাতাদা বলেন, রোযা পালনে কোন ক্ষতি নেই যদি দুর্বলতার কারণে দু'আ থেকে অক্ষম হয়ে যাবার আশংকা না থাকে। ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, হাজীগণ ব্যতীত অন্যদের জন্য আরাফার রোযা রাখা মুস্তাহাব। আর হাজীদের জন্য রোযা না রাখাই আমার কাছে বেশি পসন্দনীয় যাতে তারা দু'আ করার শক্তি পায়। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) বলেন, যদি রোযা রাখার মত শক্তি থাকে, তবে রোযা রাখবে। অন্যথায় এ দিনটিতে তো শক্তি-সামর্থ্যের প্রয়োজন দেখা দেয়।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মাও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তাবারানী তাঁর 'আওসাত' নামক কিতাবে এ হাদীসটি হযরত আয়েশা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন।)
(হাফিয (যাকীউদ্দীন) বলেন: আরাফায় অবস্থানকালে আরাফার রোযা রাখার ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। হযরত ইবন উমর (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ আবু বকর, উমর, উসমান (রা) কেউই এমতাবস্থায় রোযা রাখেননি, তাই আমিও রোযা পালন করি না। ইমাম মালিক ও সুফিয়ান সাওরী (র) রোযা না রাখাকেই বেশি ভাল মনে করতেন। এদিকে হযরত আবদুল্লাহ ইবন যুবায়র ও হযরত আয়েশা (রা) এমন অবস্থায় রোযা রাখতেন।
উসমান ইবন আবুল আস-এরও এ মতের বর্ণনা পাওয়া যায়। ইমাম ইসহাকও রোযার পক্ষে ছিলেন। আতা ইবন আবু রাবাহ বলেন, শীতকাল হলে আমি রোযা রাখি; কিন্তু গ্রীষ্মকালে রাখি না। কাতাদা বলেন, রোযা পালনে কোন ক্ষতি নেই যদি দুর্বলতার কারণে দু'আ থেকে অক্ষম হয়ে যাবার আশংকা না থাকে। ইমাম শাফিঈ (র) বলেন, হাজীগণ ব্যতীত অন্যদের জন্য আরাফার রোযা রাখা মুস্তাহাব। আর হাজীদের জন্য রোযা না রাখাই আমার কাছে বেশি পসন্দনীয় যাতে তারা দু'আ করার শক্তি পায়। ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল (র) বলেন, যদি রোযা রাখার মত শক্তি থাকে, তবে রোযা রাখবে। অন্যথায় এ দিনটিতে তো শক্তি-সামর্থ্যের প্রয়োজন দেখা দেয়।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام يَوْم عَرَفَة لمن لم يكن بهَا وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَنْهَا لمن كَانَ بهَا حَاجا
1531- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن صَوْم يَوْم عَرَفَة بِعَرَفَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط عَن عَائِشَة
قَالَ الْحَافِظ اخْتلفُوا فِي صَوْم يَوْم عَرَفَة بِعَرَفَة فَقَالَ ابْن عمر لم يصمه النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَا أَبُو بكر وَلَا عمر وَلَا عُثْمَان وَأَنا لَا أصومه وَكَانَ مَالك وَالثَّوْري يختاران الْفطر وَكَانَ ابْن الزبير وَعَائِشَة يصومان يَوْم عَرَفَة
وَرُوِيَ ذَلِك عَن عُثْمَان بن أبي العَاصِي وَكَانَ إِسْحَاق يمِيل إِلَى الصَّوْم وَكَانَ عَطاء يَقُول أَصوم فِي الشتَاء وَلَا أَصوم فِي الصَّيف وَقَالَ قَتَادَة لَا بَأْس بِهِ إِذا لم يضعف عَن الدُّعَاء
وَقَالَ الشَّافِعِي يسْتَحبّ صَوْم يَوْم عَرَفَة لغير الْحَاج فَأَما الْحَاج فَأحب إِلَيّ أَن يفْطر لتقويته على الدُّعَاء
وَقَالَ أَحْمد بن حَنْبَل إِن قدر على أَن يَصُوم صَامَ وَإِن أفطر فَذَلِك يَوْم يحْتَاج فِيهِ إِلَى الْقُوَّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط عَن عَائِشَة
قَالَ الْحَافِظ اخْتلفُوا فِي صَوْم يَوْم عَرَفَة بِعَرَفَة فَقَالَ ابْن عمر لم يصمه النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَلَا أَبُو بكر وَلَا عمر وَلَا عُثْمَان وَأَنا لَا أصومه وَكَانَ مَالك وَالثَّوْري يختاران الْفطر وَكَانَ ابْن الزبير وَعَائِشَة يصومان يَوْم عَرَفَة
وَرُوِيَ ذَلِك عَن عُثْمَان بن أبي العَاصِي وَكَانَ إِسْحَاق يمِيل إِلَى الصَّوْم وَكَانَ عَطاء يَقُول أَصوم فِي الشتَاء وَلَا أَصوم فِي الصَّيف وَقَالَ قَتَادَة لَا بَأْس بِهِ إِذا لم يضعف عَن الدُّعَاء
وَقَالَ الشَّافِعِي يسْتَحبّ صَوْم يَوْم عَرَفَة لغير الْحَاج فَأَما الْحَاج فَأحب إِلَيّ أَن يفْطر لتقويته على الدُّعَاء
وَقَالَ أَحْمد بن حَنْبَل إِن قدر على أَن يَصُوم صَامَ وَإِن أفطر فَذَلِك يَوْم يحْتَاج فِيهِ إِلَى الْقُوَّة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ মুহররম মাসের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৫৩২. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: রমযানের পর সর্বোত্তম রোযা হল মুহররম মাসের রোযা। আর ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হল রাতের নামায (তাহাজ্জুদ)।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈও এটি বর্ণনা করেন। ইবন মাজাহ সংক্ষেপে শুধু এর নামায় সম্পর্কিত অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈও এটি বর্ণনা করেন। ইবন মাজাহ সংক্ষেপে শুধু এর নামায় সম্পর্কিত অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام شهر الله الْمحرم
1532- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أفضل الصّيام بعد رَمَضَان شهر الله الْمحرم وَأفضل الصَّلَاة بعد الْفَرِيضَة صَلَاة اللَّيْل
رَوَاهُ مُسلم وَاللَّفْظ
لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه بِاخْتِصَار ذكر الصَّلَاة
رَوَاهُ مُسلم وَاللَّفْظ
لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه بِاخْتِصَار ذكر الصَّلَاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ মুহররম মাসের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৫৩৩. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তাঁকে জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিল যে, আপনি আমাকে রমযানের পর কোন মাসে রোযা রাখার আদেশ দেন? তিনি তখন বলেছিলেন, এ ব্যাপারে আমি কাউকে জিজ্ঞাসা করতে শুনিনি। তবে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর নিকট এসে প্রশ্ন করেছিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনি আমাকে রমযানের পর কোন মাসে রোযা রাখার নির্দেশ দেন? এ প্রশ্নের সময় আমি রাসূলুল্লাহ-এর কাছে উপবিষ্ট ছিলাম। রাসুলুল্লাহ্ ﷺ তখন বললেনঃ রমযানের পর তুমি যদি রোযা রাখতে চাও, তাহলে মুহররম মাসের রোযা রেখো। কারণ এটি আল্লাহর (সম্মানিত) মাস। এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহ্ এক সম্প্রদায়ের উপর অনুগ্রহ করেছিলেন এবং ভবিষ্যতেও তিনি এদিনে অনেক সম্প্রদায়ের উপর অনুগ্রহ করবেন।
(হাদীসটি ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের পুত্র আবদুল্লাহ তাঁর পিতা ছাড়া অন্য এক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এটি আবদুর রহমান ইবন ইসহাক ইবন আবু শায়বা... নু'মান ইবন সা'দ... আলী (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
(হাদীসটি ইমাম আহমদ ইবন হাম্বলের পুত্র আবদুল্লাহ তাঁর পিতা ছাড়া অন্য এক সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এটি আবদুর রহমান ইবন ইসহাক ইবন আবু শায়বা... নু'মান ইবন সা'দ... আলী (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام شهر الله الْمحرم
1533- وَعَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ وَسَأَلَهُ رجل فَقَالَ أَي شهر تَأْمُرنِي أَن أَصوم بعد شهر رَمَضَان فَقَالَ لَهُ مَا سَمِعت أحدا يسْأَل عَن هَذَا إِلَّا رجلا سمعته يسْأَل رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنا قَاعد عِنْده فَقَالَ يَا رَسُول الله أَي شهر تَأْمُرنِي أَن أَصوم بعد شهر رَمَضَان قَالَ إِن كنت صَائِما بعد شهر رَمَضَان فَصم الْمحرم فَإِنَّهُ شهر الله فِيهِ يَوْم تَابَ الله فِيهِ على قوم وَيَتُوب فِيهِ على قوم آخَرين
رَوَاهُ عبد الله ابْن الإِمَام أَحْمد عَن غير أَبِيه وَالتِّرْمِذِيّ من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن إِسْحَاق وَهُوَ ابْن أبي شيبَة عَن النُّعْمَان بن سعد عَن عَليّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
رَوَاهُ عبد الله ابْن الإِمَام أَحْمد عَن غير أَبِيه وَالتِّرْمِذِيّ من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن إِسْحَاق وَهُوَ ابْن أبي شيبَة عَن النُّعْمَان بن سعد عَن عَليّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ মুহররম মাসের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৫৩৪. হযরত জুনদুব ইব্ন সুফিয়ান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন। নিশ্চয়ই ফরয নামাযের পর শ্রেষ্ঠ নামায হচ্ছে মধ্য রাতের নামায। আর রমযানের পর শ্রেষ্ঠ রোযা হচ্ছে আল্লাহর মাসের রোযা, যাকে তোমরা মুহররম বলে থাক।
(হাদীসটি নাসাঈ ও তাবারানী বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ ও তাবারানী বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام شهر الله الْمحرم
1534- وَعَن جُنْدُب بن سُفْيَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول إِن أفضل الصَّلَاة الْمَفْرُوضَة الصَّلَاة فِي جَوف اللَّيْل وَأفضل الصّيام بعد رَمَضَان شهر الله الَّذِي تَدعُونَهُ الْمحرم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ মুহররম মাসের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৫৩৫. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোযা রাখে, তার দু'বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি মুহররম মাসের একদিন রোযা রাখে, তাকে প্রতি দিনে এক মাসের রোযার পুণ্য দেয়া হয়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'সগীর' নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গরীব পর্যায়ের এবং এর সনদে কোন দোষ নেই। হায়সাম ইবন হাবীবকে ইবন হিব্বান নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলে মন্তব্য করেছেন।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'সগীর' নামক কিতাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গরীব পর্যায়ের এবং এর সনদে কোন দোষ নেই। হায়সাম ইবন হাবীবকে ইবন হিব্বান নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলে মন্তব্য করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام شهر الله الْمحرم
1535- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْم عَرَفَة كَانَ لَهُ كَفَّارَة سنتَيْن وَمن صَامَ يَوْمًا من الْمحرم فَلهُ بِكُل يَوْم ثَلَاثُونَ يَوْمًا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَهُوَ غَرِيب وَإِسْنَاده لَا بَأْس بِهِ
والهيثم بن حبيب وَثَّقَهُ ابْن حبَان
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَهُوَ غَرِيب وَإِسْنَاده لَا بَأْس بِهِ
والهيثم بن حبيب وَثَّقَهُ ابْن حبَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৩৬. হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে আশুরা দিবসের রোযা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি তখন বলেছিলেন যে, এ রোযা বিগত এক বছরের গুনাহসমূহকে মিটিয়ে দেয়।
(হাদীসটি মুসলিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ এটি নিম্নরূপ শব্দে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আশূরা দিবসের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা পোষণ করি যে, তা পরবর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।)
(হাদীসটি মুসলিম প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ এটি নিম্নরূপ শব্দে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আশূরা দিবসের রোযার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা পোষণ করি যে, তা পরবর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যাবে।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1536- عَن أبي قَتَادَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سُئِلَ عَن صِيَام يَوْم عَاشُورَاء فَقَالَ يكفر السّنة الْمَاضِيَة
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ صِيَام يَوْم عَاشُورَاء إِنِّي أحتسب على الله أَن يكفر السّنة الَّتِي بعْدهَا
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ صِيَام يَوْم عَاشُورَاء إِنِّي أحتسب على الله أَن يكفر السّنة الَّتِي بعْدهَا
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৩৭. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আশুরার রোযা রেখেছিলেন অথবা রোযা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1537- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَامَ يَوْم عَاشُورَاء أَو أَمر بصيامه
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৩৮. ইবন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত যে, তাঁকে আশুরার রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি তখন বলেছিলেন, আমি জানি না যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ অন্যান্য দিনের উপর কোন বিশেষ দিনের মর্যাদা দিয়ে অধিক সওয়াবের আশায় রোযা রেখেছেন; কিন্তু এই আশূরার দিবস। অনুরূপভাবে কোন মাসের উপর অন্য মাসের মর্যাদা দিয়ে তিনি রোযা রাখেন নি; কিন্তু এই মাস অর্থাৎ রমযান মাস।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1538- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَنه سُئِلَ عَن صِيَام يَوْم عَاشُورَاء
فَقَالَ مَا علمت أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَامَ يَوْمًا يطْلب فَضله على الْأَيَّام إِلَّا هَذَا الْيَوْم وَلَا شهرا إِلَّا هَذَا الشَّهْر يَعْنِي رَمَضَان
رَوَاهُ مُسلم
فَقَالَ مَا علمت أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَامَ يَوْمًا يطْلب فَضله على الْأَيَّام إِلَّا هَذَا الْيَوْم وَلَا شهرا إِلَّا هَذَا الشَّهْر يَعْنِي رَمَضَان
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৩৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৩৯. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ রমযানের পর কোন দিনের উপর অন্য কোন দিনের ফযীলত খুঁজে রোযা রাখতেন না; কিন্তু আশূরা দিবস এর ব্যতিক্রম।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি পূর্বে এসেছে।)
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি পূর্বে এসেছে।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1539- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لم يكن يتوخى فضل يَوْم على يَوْم بعد رَمَضَان إِلَّا عَاشُورَاء
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَإِسْنَاده حسن بِمَا قبله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَإِسْنَاده حسن بِمَا قبله
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৪০. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: রোযা রাখার ক্ষেত্রে কোন দিনের অপর কোন দিনের উপর কোন বৈশিষ্ট্য নেই; কিন্তু রমযান মাস এবং আশূরার দিন।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাবারানীর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাবারানীর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1540- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْسَ ليَوْم فضل على يَوْم فِي الصّيام إِلَّا شهر رَمَضَان وَيَوْم عَاشُورَاء
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَيْهَقِيّ ورواة الطَّبَرَانِيّ ثِقَات
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَيْهَقِيّ ورواة الطَّبَرَانِيّ ثِقَات
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৪১. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোযা রাখে, তার সামনের ও পিছনের এক বছরের গুনাহরাশি মাফ করে দেয় হয়। আর যে ব্যক্তি আশুরার রোযা রাখে, তার এক বছরের গুনাহরাশি মাফ করে দেয়া হয়।
(হাদীসটি তাবারানী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। এটি আরাফার রোযা প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে এসেছে।)
(হাদীসটি তাবারানী হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। এটি আরাফার রোযা প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে এসেছে।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1541- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ يَوْم عَرَفَة غفر لَهُ سنة أَمَامه وَسنة خَلفه وَمن صَامَ عَاشُورَاء غفر لَهُ سنة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن وَتقدم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن وَتقدم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ আশূরার রোযার প্রতি উৎসাহ দান এবং এই দিন পরিবার-পরিজনের জন্য উদার হতে খরচ করা
প্রসঙ্গে
প্রসঙ্গে
১৫৪২. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আশূরার দিন আপন পরিবার-পরিজনের জন্য মুক্ত হস্তে ব্যয় করে, আল্লাহ্ পূর্ণ বছর তাকে সচ্ছলতা দান করবেন।
(হাদীসটি বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বিভিন্ন সূত্রে ও বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী বলেনঃ এই সনদসমূহ যদিও দুর্বল, কিন্তু একটি অপরটির পোষকতার কারণে এতে শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ ভাল জানেন।)
(হাদীসটি বায়হাকী প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ বিভিন্ন সূত্রে ও বিভিন্ন সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী বলেনঃ এই সনদসমূহ যদিও দুর্বল, কিন্তু একটি অপরটির পোষকতার কারণে এতে শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ ভাল জানেন।)
كتاب الصَّوْم
الترغيب في صوم يوم عاشوراء والتوسيع فيه على العيال
1542- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أوسع على عِيَاله وَأَهله يَوْم عَاشُورَاء أوسع الله عَلَيْهِ سَائِر سنته
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَغَيره من طرق وَعَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وَقَالَ الْبَيْهَقِيّ هَذِه الْأَسَانِيد وَإِن كَانَت ضَعِيفَة فَهِيَ إِذْ ضم بَعْضهَا إِلَى بعض أخذت قُوَّة وَالله أعلم
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَغَيره من طرق وَعَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وَقَالَ الْبَيْهَقِيّ هَذِه الْأَسَانِيد وَإِن كَانَت ضَعِيفَة فَهِيَ إِذْ ضم بَعْضهَا إِلَى بعض أخذت قُوَّة وَالله أعلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৩. হযরত উসামা ইব্ন যায়দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো আপনাকে অন্য কোন মাসে এমনভাবে রোযা রাখতে দেখি না যেমনটি শাবান মাসে রাখেন। তিনি বললেন, রজব ও রমযানের মাঝে এ মাসে মানুষ গাফিল হয়ে থাকে। অথচ এ মাসে মানুষের আমলসমূহ আল্লাহর দরবারে উঠানো হয়। তাই আমি চাই যে, আমার রোযাদার অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক।
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1543- عَن أُسَامَة بن زيد رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قلت يَا رَسُول الله لم أرك تَصُوم من شهر من الشُّهُور مَا تَصُوم من شعْبَان
قَالَ ذَاك شهر يغْفل النَّاس عَنهُ بَين رَجَب ورمضان وَهُوَ شهر ترفع فِيهِ الْأَعْمَال إِلَى رب الْعَالمين وَأحب أَن يرفع عَمَلي وَأَنا صَائِم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ
قَالَ ذَاك شهر يغْفل النَّاس عَنهُ بَين رَجَب ورمضان وَهُوَ شهر ترفع فِيهِ الْأَعْمَال إِلَى رب الْعَالمين وَأحب أَن يرفع عَمَلي وَأَنا صَائِم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৪. হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ কোন কোন সময় রোযা রাখতে শুরু করতেন আর তা ছাড়তেন না। এমনকি আমরা বলতাম যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর হয়ত এ বছর আর রোযা ছাড়ার ইচ্ছা নেই। তারপর তিনি রোযা ছাড়তে থাকতেন আর রোযা রাখতেন না। এমন কি আমরা বলতাম যে, তাঁর বোধহয় এ বছর আর রোযা রাখার ইচ্ছা নেই। আর তাঁর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল শাবানের রোযা।
(হাদীসটি আহমদ এবং ত্ববরানী বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ এবং ত্ববরানী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1544- وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَصُوم وَلَا
يفْطر حَتَّى نقُول مَا فِي نفس رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يفْطر الْعَام ثمَّ يفْطر فَلَا يَصُوم حَتَّى نقُول مَا فِي نَفسه أَن يَصُوم الْعَام وَكَانَ أحب الصَّوْم إِلَيْهِ فِي شعْبَان
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ
يفْطر حَتَّى نقُول مَا فِي نفس رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يفْطر الْعَام ثمَّ يفْطر فَلَا يَصُوم حَتَّى نقُول مَا فِي نَفسه أَن يَصُوم الْعَام وَكَانَ أحب الصَّوْم إِلَيْهِ فِي شعْبَان
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৫. তিরমিযী হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণনা করেন। আনাস বলেন, নবী করীম ﷺ -কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, রমযানের পর সর্বোত্তম রোযা কোনটি? তিনি বলেছিলেন, রমযানের সম্মান প্রদর্শনের জন্য শাবান মাসের রোযা। প্রশ্নকারী বলেছিল, কোন দানটি সর্বোত্তম? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, রমযানের দান।
(তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।)
(তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1545- وروى التِّرْمِذِيّ عَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ سُئِلَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَي الصَّوْم أفضل بعد رَمَضَان قَالَ شعْبَان لتعظيم رَمَضَان
قَالَ فَأَي الصَّدَقَة أفضل قَالَ صَدَقَة فِي رَمَضَان
قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
قَالَ فَأَي الصَّدَقَة أفضل قَالَ صَدَقَة فِي رَمَضَان
قَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ১৫৪৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৬. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম হয় প্রায় সারা শাবান মাস রোযা রাখতেন। আয়েশা বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আপনার রোযার জন্য সবচেয়ে প্রিয় মাস কি শা'বান? তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এ মাসে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর ফায়সালা লিখে থাকেন। তাই আমি পসন্দ করি যে, রোযা থাকা অবস্থায় আমার মৃত্যু আসুক।
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গরীব, তবে-এর সনদ হাসান)
(হাদীসটি আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি গরীব, তবে-এর সনদ হাসান)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1546- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَصُوم شعْبَان كُله
قَالَت قلت يَا رَسُول الله أحب الشُّهُور إِلَيْك أَن تصومه شعْبَان قَالَ إِن الله يكْتب فِيهِ على كل نفس ميتَة تِلْكَ السّنة فَأحب أَن يأتيني أَجلي وَأَنا صَائِم
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَهُوَ غَرِيب وَإِسْنَاده حسن
قَالَت قلت يَا رَسُول الله أحب الشُّهُور إِلَيْك أَن تصومه شعْبَان قَالَ إِن الله يكْتب فِيهِ على كل نفس ميتَة تِلْكَ السّنة فَأحب أَن يأتيني أَجلي وَأَنا صَائِم
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَهُوَ غَرِيب وَإِسْنَاده حسن
তাহকীক: