আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৫ টি

হাদীস নং: ১৫৪৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৭. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ রোযা রাখতে শুরু করতেন। এমনকি আমরা বলতাম যে, তিনি আর রোযা ছাড়বেন না। আবার রোযা ছাড়তে থাকতেন, এমন কি আমরা বলতাম যে, তিনি আর রোযা রাখবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে রমযান ছাড়া কখনও পূর্ণ মাসের রোযা রাখতে দেখিনি। আর শা'বান ছাড়া অন্য কোন মাসে অধিক রোযা রাখতে দেখিনি।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী, নাসাঈ প্রমুখ মুহাদ্দিসগণ এটি এভাবে বর্ণনা করেছেন।)
হযরত আয়েশা (রা) বলেনঃ আমি নবী করীম মা-কে কোন মাসে শা'বান মাসের চেয়ে বেশি রোযা রাখতে দেখিনি। তিনি প্রায় পূর্ণ শা'বান রোযা রাখতেন, বরং পূর্ণ শা'বানই রোযা রাখতেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1547- وعنها رَضِي الله عَنْهَا قَالَت كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَصُوم حَتَّى نقُول لَا يفْطر وَيفْطر حَتَّى نقُول لَا يَصُوم وَمَا رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْتكْمل صِيَام شهر قطّ إِلَّا شهر رَمَضَان وَمَا رَأَيْته فِي شهر أَكثر صياما مِنْهُ فِي شعْبَان

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَغَيرهمَا قَالَت مَا رَأَيْت النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي شهر أَكثر صياما مِنْهُ فِي شعْبَان كَانَ يَصُومهُ إِلَّا قَلِيلا بل كَانَ يَصُومهُ كُله
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৪৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৮. আবু দাউদের একটি বর্ণনায় এমন রয়েছে। হযরত আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর কাছে রোযা রাখার জন্য প্রিয়তম মাস ছিল শা'বান। তারপর এর সাথেই তিনি রমযানের রোযা মিলিয়ে নিতেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1548- وَفِي رِوَايَة لابي دَاوُد قَالَت كَانَ أحب الشُّهُور إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن يَصُومهُ شعْبَان ثمَّ يصله برمضان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৪৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৪৯. নাসাঈর একটি বর্ণনায় এমন রয়েছে। হযরত আয়েশা (রা) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন মাসেই শা'বানের চেয়ে বেশি রোযা রাখতেন না। তিনি পূর্ণ শা'বান অথবা অধিকাংশ শা'বান রোযা রাখতেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1549- وَفِي رِوَايَة للنسائي قَالَت لم يكن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لشهر أَكثر صياما مِنْهُ لشعبان كَانَ يَصُومهُ أَو عامته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫০. বুখারী ও মুসলিমের এক বর্ণনায় রয়েছে। হযরত আয়েশা (রা) বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ কোন মাসেই শা'বানের চেয়ে অধিক রোযা রাখতেন না। কেননা তিনি পূর্ণ শা'বান রোযা রাখতেন, আর তিনি বলতেন, তোমরা এমন আমলই কর, যা করার তোমাদের শক্তি রয়েছে। কেননা আল্লাহ ক্লান্ত হবেন না, তোমরাই শেষে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। নবী করীম ﷺ -এর নিকট উত্তম সালাত ঐ সালাতই ছিল যার পাবন্দী করা হয়-যদিও তা অল্প হয়। আর তিনি যখন কোন সালাত আদায় করতেন, তখন তা নিয়মিত আদায় করতেন।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1550- وَفِي رِوَايَة للْبُخَارِيّ وَمُسلم قَالَت لم يكن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَصُوم شهرا أَكثر من شعْبَان فَإِنَّهُ كَانَ يَصُوم شعْبَان كُله وَكَانَ يَقُول خُذُوا من الْعَمَل مَا تطيقون فَإِن الله لَا يمل حَتَّى تملوا وَكَانَ أحب الصَّلَاة إِلَى النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَا دووم عَلَيْهَا وَإِن قلت
وَكَانَ إِذا صلى صَلَاة داوم عَلَيْهَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫১. হযরত উম্মে সালামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ ﷺ -কে শা'বান ও রমযান ছাড়া একাধারে দু'মাস রোযা পালন করতে দেখি নাই।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। আবূ দাউদও হাদীসটি এভাবে বর্ণনা করেনঃ
হযরত উম্মে সালামা (রা) বলেন, নবী করীম বছরে কোন পূর্ণ মাস (নফল) রোযা রাখেননি, তবে শা'বান মাস এর ব্যতিক্রম। তিনি এ মাসটিকে রমযানের সাথে যুক্ত করে নিতেন।
(নাসাঈ এ হাদীসটির উভয় বক্তব্যই বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1551- وَعَن أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت مَا رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَصُوم شَهْرَيْن مُتَتَابعين إِلَّا شعْبَان ورمضان

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَأَبُو دَاوُد وَلَفظه قَالَت لم يكن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَصُوم من السّنة شهرا تَاما إِلَّا شعْبَان كَانَ يصله برمضان
رَوَاهُ النَّسَائِيّ باللفظين جَمِيعًا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫২. হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম ﷺ বলেছেন: মধ্য শা'বানের রজনীতে আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং সবাইকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু মুশরিক ও কপট হিংসুককে ক্ষমা করেন না।
(হাদীসটি তাবারানী বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1552- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يطلع الله إِلَى جَمِيع خلقه لَيْلَة النّصْف من شعْبَان فَيغْفر لجَمِيع خلقه إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَو مُشَاحِن

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫৩. বায়হাকী হযরত আয়েশা (রা)-এর হাদীস থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার নিকট জিবরাঈল (আ) এসে বললেন, এটি হচ্ছে মধ্য শা'বানের রজনী। আল্লাহ্ এ রাতে বনু কালব গোত্রের ছাগলগুলোর পশমের সম-সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। কিন্তু তিনি এ রাতেও মুশরিক, হিংসুক, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী, পায়ের গিরার নীচে বস্ত্র পরিধানকারী, পিতামাতার অবাধ্য ও শরাব পানে অভ্যস্ত ব্যক্তিদের প্রতি কৃপা দৃষ্টি দেন না।
(তারপর বায়হাকী দীর্ঘ হাদীসটি বর্ণনা করেন। পূর্ণ হাদীসটি 'পারস্পরিক কথা বন্ধ রাখা' অধ্যায়ে সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1553- وروى الْبَيْهَقِيّ من حَدِيث عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ أَتَانِي جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام فَقَالَ هَذِه لَيْلَة النّصْف من شعْبَان وَللَّه فِيهَا عُتَقَاء من النَّار بِعَدَد شُعُور غنم كلب وَلَا ينظر الله فِيهَا إِلَى مُشْرك وَلَا إِلَى مُشَاحِن وَلَا إِلَى قَاطع رحم وَلَا إِلَى مُسبل وَلَا إِلَى عَاق لوَالِديهِ وَلَا إِلَى مدمن خمر
فَذكر الحَدِيث بِطُولِهِ وَيَأْتِي بِتَمَامِهِ فِي التهاجر إِن شَاءَ الله تَعَالَى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫৪. ইমাম আহমদ (র) হযরত আবদুল্লাহ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: মধ্য শা'বানের রজনীতে আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিকুলের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং আপন বান্দাদেরকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু হিংসুক ও হত্যাকারীকে তিনি ক্ষমা করেন না।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1554- وروى الإِمَام أَحْمد عَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يطلع الله عز وَجل إِلَى خلقه لَيْلَة النّصْف من شعْبَان فَيغْفر لِعِبَادِهِ إِلَّا اثْنَيْنِ مُشَاحِن وَقَاتل نفس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫৫. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক রাতে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ নিদ্রা থেকে উঠলেন ও নামায পড়তে লাগলেন। তিনি নামাযের সিজদাকে এত দীর্ঘায়িত করলেন যে, আমার ধারণা হয়ে গেল, তিনি বুঝি ইন্তিকাল করে গিয়েছেন। আমি যখন এ অবস্থা দেখলাম, তখন উঠে গিয়ে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলিকে নাড়া দিলাম। তখন এটি একটু নড়চড়া করল। আমি তখন ফিরে আসলাম। তাঁকে সিজদা অবস্থায় এই দু'আ পড়তে শুনলামঃ
أعوذُ بِعَغُوكَ مِنْ عِقابِكَ، وَأَعوذ برضاك من سخطك، وأعوذ بكَ مِنْكَ إِلَيْكَ لَا أَحْصي ثناء عليك أنت كما أثنيت على نفسك

অর্থঃ "আমি তোমার শাস্তি থেকে ক্ষমার আশ্রয় চাই, তোমার অসন্তুষ্টি থেকে সন্তুষ্টির আশ্রয় চাই, তোমার ক্রোধ থেকে দয়ার আশ্রয় চাই। আমি তোমার প্রশংসা করে শেষ করতে পারব না। তুমি তেমনই, যেমন তুমি নিজের প্রশংসা করেছ।"
তিনি যখন সিজদা থেকে মাথা উঠালেন ও নামায শেষ করলেন, তখন বললেন, হে আয়েশা অথবা হে হুমায়রা। তুমি কি ধারণা করেছ যে, নবী করীম ﷺ তোমার হক নষ্ট করেছেন? আমি বললাম, জ্বী না, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আল্লাহর শপথ। তবে আমি আপনার দীর্ঘ সিজদা দেখে আপনার মৃত্যু হয়ে গেল নাকি, এ আশংকা করছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কি জান এটি কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, এটি হল মধ্য শা'বানের রজনী। মহান আল্লাহ্ মধ্য শা'বানের রজনীতে তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং ক্ষমা প্রার্থনাকারীদেরকে ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহপ্রার্থীদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং হিংসুকদেরকে তাদের অবস্থার উপরই ছেড়ে দেন।
(হাদীসটি বায়হাকী আলা ইবনুল হারিস সূত্রে আয়েশা থেকে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকী বলেন, এটি একটি উত্তম মুরসাল হাদীস। এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই যে, আলা আয়েশা থেকে এ হাদীসটি শোনেন নাই। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1555- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت قَامَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اللَّيْل فصلى فَأطَال
السُّجُود حَتَّى ظَنَنْت أَنه قد قبض فَلَمَّا رَأَيْت ذَلِك قُمْت حَتَّى حركت إبهامه فَتحَرك فَرَجَعت فَسَمعته يَقُول فِي سُجُوده أعوذ بعفوك من عقابك وَأَعُوذ برضاك من سخطك وَأَعُوذ بك مِنْك إِلَيْك لَا أحصي ثَنَاء عَلَيْك أَنْت كَمَا أثنيت على نَفسك فَلَمَّا رفع رَأسه من السُّجُود وَفرغ من صلَاته قَالَ يَا عَائِشَة أَو يَا حميراء أظننت أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قد خاس بك قلت لَا وَالله يَا رَسُول الله وَلَكِنِّي ظَنَنْت أَنَّك قبضت لطول سجودك فَقَالَ أَتَدْرِينَ أَي لَيْلَة هَذِه
قلت الله وَرَسُوله أعلم
قَالَ هَذِه لَيْلَة النّصْف من شعْبَان إِن الله عز وَجل يطلع على عباده فِي لَيْلَة النّصْف من شعْبَان فَيغْفر للمستغفرين وَيرْحَم المسترحمين وَيُؤَخر أهل الحقد كَمَا هم

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ من طَرِيق الْعَلَاء بن الْحَارِث عَنْهَا وَقَالَ هَذَا مُرْسل جيد يَعْنِي أَن الْعَلَاء لم يسمع من عَائِشَة وَالله سُبْحَانَهُ أعلم
يُقَال خاس بِهِ إِذا غدره وَلم يوفه حَقه وَمعنى الحَدِيث أظننت أنني غدرت بك وَذَهَبت فِي ليلتك إِلَى غَيْرك وَهُوَ بِالْخَاءِ الْمُعْجَمَة وَالسِّين الْمُهْملَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ শাবানের রোযার প্রতি উৎসাহ প্রদান, এ মাসে নবী করীম ﷺ -এর রোযা পালন ও মধ্য শাবানের রাত্রির ফযীলত প্রসঙ্গ
১৫৫৬. হযরত আলী (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: মধ্য শা'বানের রাত যখন আসে, তখন তোমরা রাত্রি জাগরণ কর এবং এ রাতের পর দিন রোযা রাখ। কেননা মহান আল্লাহ্ সূর্যাস্তের পর এ রাতে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করেন এবং বলতে থাকেন। কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিয্‌কপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিয্‌ক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ আছে কি? আমি তাকে শান্তি দিব। এভাবে ফজর পর্যন্ত তিনি ডাকতে থাকেন।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم شعْبَان وَمَا جَاءَ فِي صِيَام النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَهُ وَفضل لَيْلَة نصفه
1556 - وَرُوِيَ عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا كَانَت لَيْلَة النّصْف من شعْبَان فَقومُوا لَيْلهَا وصوموا يَوْمهَا فَإِن الله تبَارك وَتَعَالَى ينزل فِيهَا لغروب الشَّمْس إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا فَيَقُول أَلا من مُسْتَغْفِر فَأغْفِر لَهُ أَلا من مسترزق فأرزقه أَلا من مبتلى فأعافيه أَلا كَذَا أَلا كَذَا حَتَّى يطلع الْفجْر

رَوَاهُ ابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৫৭. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু রাসূল ﷺ আমাকে তিনটি বিষয়ের ওসীয়াত করেছেন। প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন, চাশতের দু'রাকাত নামায এবং নিদ্রা যাবার পূর্বেই বিতর নামায আদায়।।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1557- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَوْصَانِي خليلي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِثَلَاث صِيَام ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر وركعتي الضُّحَى وَأَن أوتر قبل أَن أَنَام

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৫৮. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমার হাবীব (রাসুল ﷺ আমাকে তিনটি বিষয়ের ওসীয়াত করেছেন। আমি যতদিন বেঁচে থাকব এগুলো ছাড়ব না। প্রতি মাসে তিন দিনের রোযা, চাশতের নামায এবং বিতর নামায আদায় না করে যেন নিদ্রা না যাই।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1558- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَوْصَانِي حَبِيبِي بِثَلَاث لن أدعهن مَا عِشْت بصيام ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر وَصَلَاة الضُّحَى وَبِأَن لَا أَنَام حَتَّى أوتر
رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৫৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৫৯. হযরত আবদুল্লাহ ইব্‌ন আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন সারা জীবন রোযা পালনের মত।
(হাদীসটি বুখারী ও মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1559- وَعَن عبد الله بن عَمْرو بن الْعَاصِ رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر صَوْم الدَّهْر كُله

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৬০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬০. হযরত আবদুল্লাহ ইবনুল আমর (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, নূহ (আ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন বাদে যারা বছর রোযা রাখতেন। দাউদ (আ) অর্ধকাল রোযা রাখতেন। আর ইবরাহীম (আ) প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখতেন। তিনি সারা বছর রোযা রেখেছেন এবং সারা বছরই রোযা ছেড়েছেন।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাঁদের উভয়ের সনদেই আবু ফিরাস নামক একজন বর্ণনাকারী রয়েছেন, আমি যার নির্ভরযোগ্যতা-অনির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে অবগত নই। আমার ধারণায় তিনি কোন সুপরিচিত বর্ণনাকারী নন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1560- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول صَامَ نوح عَلَيْهِ السَّلَام الدَّهْر كُله إِلَّا يَوْم الْفطر والأضحى وَصَامَ دَاوُد عَلَيْهِ السَّلَام نصف الدَّهْر وَصَامَ إِبْرَاهِيم عَلَيْهِ السَّلَام ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر صَامَ الدَّهْر وَأفْطر الدَّهْر

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَالْبَيْهَقِيّ وَفِي إسنادهما أَبُو فراس لم أَقف فِيهِ على جرح وَلَا تَعْدِيل وَلَا أرَاهُ يعرف وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৬১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬১. হযরত আবু কাতাদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: প্রতি মাসে তিন দিনের রোযা এবং এক রমযান থেকে আরেক রমযান-এটিই হল সারা জীবনের রোযা।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1561- وَعَن أبي قَتَادَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاث من كل شهر ورمضان إِلَى رَمَضَان فَهَذَا صِيَام الدَّهْر كُله

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৬২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬২. হযরত কুররা ইবন ইয়াস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করা যেন সারা জীবন রোযা পালন করার মত। আবার এটি সারা জীবন রোযা না রাখাও।
(হাদীসটি আহমদ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। বাযযার এবং, তাবারানীও এটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1562- وَعَن قُرَّة بن إِيَاس رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صِيَام ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر صِيَام الدَّهْر وإفطاره

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৬৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬৩. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: ধৈর্যের মাসের রোযা এবং প্রতি মাসে তিন দিনের রোযা অন্তরের কলুষতা ও হিংসা-বিদ্বেষাদি দূর করে দেয়।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের বর্ণনাকারীগণ 'সহীহ' গ্রন্থের বর্ণনাকারীদের মতই। আহমদ, ইবন হিব্বান এবং বায়হাকী এটি জনৈক বেদুঈনের হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং তাঁর নাম উল্লেখ করেননি। বাযযার এটি হযরত আলী (রা) সূত্রেও বর্ণনা করেছেন। হাদীসে উল্লেখিত 'ধৈর্যের মাস' হচ্ছে রমযানের মাস।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1563- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَوْم شهر الصَّبْر وَثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر يذْهبن وحر الصَّدْر

رَوَاهُ الْبَزَّار وَرِجَاله رجال الصَّحِيح وَرَوَاهُ أَحْمد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ الثَّلَاثَة من حَدِيث الْأَعرَابِي وَلم يسموه وَرَوَاهُ الْبَزَّار أَيْضا من حَدِيث عَليّ
شهر الصَّبْر هُوَ رَمَضَان
ووحر الصَّدْر هُوَ بِفَتْح الْوَاو والحاء الْمُهْملَة بعدهمَا رَاء هُوَ غشه وحقده ووساوسه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৬৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬৪. হযরত মায়মুনা বিনত সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আমাদেরকে রোযা সম্পর্কে কিছু বলুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বসলেন, যাদের শক্তি রয়েছে, তারা যেন প্রতি মাসে তিন দিন রোযা রাখে। কেননা প্রতিদিনের রোযা তার দশটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেবে এবং গুনাহ থেকে এমনভাবে পবিত্র করে ফেলবে, যেমন পানি কাপড়কে পরিষ্কার করে দেয়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1564- وَرُوِيَ عَن مَيْمُونَة بنت سعد رَضِي الله عَنْهَا أَنَّهَا قَالَت يَا رَسُول الله أَفْتِنَا عَن الصَّوْم فَقَالَ من كل شهر ثَلَاثَة أَيَّام من اسْتَطَاعَ أَن يصومهن فَإِن كل يَوْم يكفر عشر سيئات وينقي من الْإِثْم كَمَا ينقي المَاء الثَّوْب

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫৬৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬৫. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করবে, এটি তার জন্য সারা জীবন রোযা রাখা হিসাবে গণ্য হবে। তারপর আল্লাহ তাঁর কিতাবে এর সত্যতা নাযিল করলেন: مَن جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا একটি সৎকর্ম করবে, সে তার দশ গুণ পাবে।" একদিন দশ দিন হিসাবে গণ্য হবে।
(হাদীসটি আহমদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তিরমিযীর। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। নাসাঈ এবং ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1565- وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صَامَ من كل شهر ثَلَاثَة أَيَّام فَذَلِك صِيَام الدَّهْر فَأنْزل الله تَصْدِيق ذَلِك فِي كِتَابه {من جَاءَ بِالْحَسَنَة فَلهُ عشر أَمْثَالهَا}
الْأَنْعَام 061 الْيَوْم بِعشْرَة أَيَّام

رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
হাদীস নং: ১৫৬৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ প্রতি মাসে তিন দিন, বিশেষত আইয়ামে বীয-এর রোযার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৫৬৬. নাসাঈর অপর বর্ণনায় এরূপ রয়েছে। যে ব্যক্তি প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখল, তার মাসের রোযা পূর্ণ হয়ে গেল অথবা তার জন্য এক মাসের রোযা হয়ে গেল।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَوْم ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر سِيمَا الْأَيَّام الْبيض
1566- وَفِي رِوَايَة للنسائي من صَامَ ثَلَاثَة أَيَّام من كل شهر فقد تمّ صَوْم الشَّهْر أَو فَلهُ صَوْم الشَّهْر
tahqiq

তাহকীক: