আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৫ টি

হাদীস নং: ১৬৪৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের নিকট বে-রোযাদারদের খাদ্য গ্রহণ প্রসঙ্গ
১৬৪৭. হযরত সুলাইমান ইবন বুরায়দা (রা) সূত্রে তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ একদিন বিলাল (রা)-কে বললেনঃ হে বিলাল। নাশ্‌তা খেতে এসো। বিলাল বললেন, আমি রোযা রেখেছি। রাসূলুল্লাহ তখন বললেন, আমরা আমাদের আহার্য খেয়ে নিচ্ছি। আর বিলালের আহার্য্য জান্নাতের জন্য অবশিষ্ট রয়ে গেল। হে বিলাল। তুমি কি জান যে, রোযাদারের নিকট বসে যতক্ষণ পর্যন্ত আহার করা হয়, ততক্ষন পর্যন্ত তার হাড়গুলো পর্যন্ত তাসবীহ পাঠ করতে থাকে এবং ফিরিশতাগণ তার জন্য দু'আ করতে থাকে।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এ হাদীসটি বাকিয়া সূত্রে বর্ণনা করেন। বাকিয়্যা বলেন। আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান সুলায়মান থেকে। কিন্তু এই মুহাম্মদ ইবন আবদুর রহমান হাসীস বর্ণনায় কোন পরিচিতি ব্যক্তিত্ব নন। আর বাকিয়্যা হচ্ছেন 'মুদাল্লিস'। সুতরাং আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।" এরূপ উক্তি সত্ত্বেও বর্ণনাকারী অপরিচিত হওয়ার কারণে হাদীসটি দুর্বলই থেকে যাবে। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الصَّوْم
ترغيب الصَّائِم فِي أكل المفطرين عِنْده
1647- وَعَن سُلَيْمَان بن بُرَيْدَة رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لِبلَال الْغَدَاء يَا بِلَال فَقَالَ إِنِّي صَائِم
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَأْكُل أرزاقنا وَفضل رزق بِلَال فِي الْجنَّة شَعرت يَا بِلَال أَن الصَّائِم تسبح عِظَامه وَتَسْتَغْفِر لَهُ الْمَلَائِكَة مَا أكل عِنْده

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا من رِوَايَة بَقِيَّة حَدثنَا مُحَمَّد بن عبد الرَّحْمَن عَن سُلَيْمَان وَمُحَمّد بن عبد الرَّحْمَن هَذَا مَجْهُول وَبَقِيَّة مُدَلّس وتصريحه بِالتَّحْدِيثِ لَا يُفِيد مَعَ الْجَهَالَة وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৪৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যাকথন ও মিথ্যাচার ত্যাগ করল না, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
(হাদীসটি বুখারী, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহর বর্ণনাটি নিম্নরূপ:
"যে ব্যক্তি মিথ্যা, মূর্খতা ও সে অনুযায়ী কর্ম পরিত্যাগ করল না।" নাসাঈর একটি বর্ণনাও এরূপ রয়েছে। তাবারানী এ হাদীসটি 'সগীর' ও 'আওসাত' নামক গ্রন্থদ্বয়ে হযরত আনাস (রা) সূত্রে এভাবে বর্ণনা করেছেনঃ রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অশ্লীল বাক্য ও মিথ্য পরিত্যাগ করল না। তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1648- عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لم يدع قَول الزُّور وَالْعَمَل بِهِ فَلَيْسَ لله حَاجَة فِي أَن يدع طَعَامه وَشَرَابه

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَعِنْده من لم يدع قَول الزُّور وَالْجهل وَالْعَمَل بِهِ
وَهُوَ رِوَايَة للنسائي
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط من حَدِيث أنس بن مَالك وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من لم يدع الْخَنَا وَالْكذب فَلَا حَاجَة لله أَن يدع طَعَامه وَشَرَابه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৪৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: মহান আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তানের সকল কাজ তার জন্যই। কিন্তু রোযা, এটি আমার। আর আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযা ঢাল স্বরূপ। তাই যখন তোমাদের কারো রোযার দিন আসে, তখন যেন সে অশ্লীল কথা না বলে ও উচ্চৈস্বরে (উত্তেজিত) বাক্যালাপ না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় অথবা ঝগড়া করতে আসে, তখন যেন সে বলে দেয়, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার...
(হাদীসটি বুখারী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহও এটি বর্ণনা করেন। এসব সূত্রে হাদীসটি ইতিপূর্বেও বর্ণিত হয়েছে। এর গরীব সূত্রটি 'সিয়াম' অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1649- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَيْضا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الله عز وَجل كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصّيام فَإِلَيَّ وَأَنا أجزي بِهِ وَالصِّيَام جنَّة فَإِذا كَانَ يَوْم صَوْم أحدكُم فَلَا يرْفث وَلَا يصخب فَإِن سابه أحد أَو قَاتله فَلْيقل إِنِّي صَائِم إِنِّي صَائِم
الحَدِيث
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَتقدم بِطرقِهِ وَذكر غَرِيبه فِي الصّيام
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৫০. হযরত আবু উবায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি: রোযা হচ্ছে একটি ঢাল যে পর্যন্ত কেউ এটা ছিদ্র করে না ফেলে।
(হাদীসটি নাসাঈ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। তাবারানী এই হাদীসটি 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে এ অংশটি অতিরিক্ত রয়েছে:
রাসূলুল্লাহর-কে প্রশ্ন করা হল, এ ঢাল কিসের দ্বারা ছিদ্র করে ফেলা হয়? তিনি বললেন, মিথ্যা ও পরনিন্দা দ্বারা।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1650- وَعَن أبي عُبَيْدَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الصّيام جنَّة مَا لم يخرقها

رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد حسن وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من حَدِيث أبي هُرَيْرَة وَزَاد قيل وَبِمَ يخرقها قَالَ بكذب أَو غيبَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৫১. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: রোযা কেবল পানাহার ত্যাগের নয়, বরং রোযা হচ্ছে বেহুদা ও অশ্লীল বচন ত্যাগেরও। কেউ যদি তোমাকে গালি দেয় অথবা মূর্খ সুলভ আচরণ করে, তবে তুমি বলে দেবে, আমি রোযাদার, আমি রোযাদার।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকীমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, যে এ হাদীসটি মুসলিমের মাপকাঠিতে সহীহ।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1651- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْسَ الصّيام من الْأكل وَالشرب إِنَّمَا الصّيام من اللَّغْو والرفث فَإِن سابك أحد أَو جهل عَلَيْك فَقل إِنِّي صَائِم إِنِّي صَائِم

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৫২. ইবন খুযায়মার অপর এক বর্ণনায় হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেন, রোযাদার অবস্থায় তুমি কাউকে গালি দিও না। এতদসত্ত্বেও যদি কেউ তোমাকে গালি দেয়, তবে তুমি বলে দেবে। আমি রোযাদার। আর যদি তুমি তখন দণ্ডায়মান থাক, তবে বসে পড়বে।
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1652- وَفِي رِوَايَة لِابْنِ خُزَيْمَة عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا تساب وَأَنت صَائِم فَإِن سابك أحد فَقل إِنِّي صَائِم وَإِن كنت قَائِما فاجلس
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৫৩. উক্ত হযরত আবু হুরায়রা (রা) সূত্রেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: অনেক রোযাদার রয়েছে, যাদের রোযা নিছক ক্ষুধা বৈ-কিছু নয় এবং এমন অনেক রাত্রি জাগরণকারী (আবিদ) রয়েছে, যাদের রাত্রি জাগরণ, অনিদ্রা ছাড়া আর কিছুই নয়।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। নাসাঈ, ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করে বলেছেন, হাদীসটি বুখারীর মাপকাঠিতে সহীহ। ইবন খুযায়মা ও হাকিমের ভাষ্যটি এরূপ:
অনেক রোযাদার রয়েছে, যাদের রোযায় ক্ষুৎ-পিপাসাই শুধু তাদের ভাগ্যে জোটে। আর অনেক ইবাদতকারী রয়েছে, যাদের ভাগ্যে শুধু রাত্রি জাগরণই জোটে। বায়হাকীও এটি এভাবে বর্ণনা করেনঃ
অনেক ইবাদতকারীর ভাগ্যে শুধু রাত্রি জাগরণই জোটে আর অনেক রোযাদারের ক্ষুৎ-পিপাসাই তাদের রোযার সার হয়।
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1653- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رب صَائِم لَيْسَ لَهُ من صِيَامه إِلَّا
الْجُوع وَرب قَائِم لَيْسَ لَهُ من قِيَامه إِلَّا السهر

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَلَفْظهمَا رب صَائِم حَظه من صِيَامه الْجُوع والعطش وَرب قَائِم حَظه من قِيَامه السهر
وَرَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ وَلَفظه رب قَائِم حَظه من الْقيام السهر وَرب صَائِم حَظه من الصّيام الْجُوع والعطش
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৫৪. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: অনেক রোযাদার এমন রয়েছে, ক্ষুৎ-পিপাসাই যাদের রোযার সার। আর অনেক ইবাদতকারী এমন রয়েছে, রাত্রি জারগরণই যাদের ইবাদতের সার।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে নির্দোষ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1654 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رب صَائِم حَظه من صِيَامه الْجُوع والعطش وَرب قَائِم حَظه من قِيَامه السهر

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَإِسْنَاده لَا بَأْس بِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্য, মিথ্যা ইত্যাদি থেকে সতর্কীকরণ
১৬৫৫. রাসুলুল্লাহ-এর আযাদকৃত দাস হযরত উবায়দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, দুজন মহিলা একবার রোযা রেখেছিল। জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এখানে দু'টি মহিলা রোযা রেখেছে এবং তারা পিপাসায় কাতর হয়ে মরণাপন্ন হয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন মুখ ফিরিয়ে নিলেন অথবা চুপ করে থাকলেন। লোকটি আবার আসল এবং আমার ধারণা যে, সে দুপুরে এসে বলল, হে আল্লাহর নবী। আল্লাহর শপথ! এ দু'জন মহিলা মারাই গিয়েছে অথবা মরণাপন্ন হয়ে পড়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন, এদেরকে ডেকে আন। বর্ণনাকারী বলেন, ওরা দু'জন এল। তিনি বলেন, এরপর একটি বড় পাত্র অথবা পেয়ালা আনা হল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তাদের একজনকে বললেন, তুমি এতে বমি কর। সে এতে পিত্ত, রক্ত, পুঁজ ও গোশত বমি করে অর্ধেক পাত্র ভরে ফেলল। তারপর তিনি অপর মহিলাটিকে বললেন, তুমিও এতে বমি কর। সেও পিত্ত, রক্ত, পুঁজ ও তাজা গোশ্ত বমি করে পাত্রটি ভরে ফেলল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেনঃ এরা দু'জন আল্লাহর দেয়া হালাল খাদ্য দিয়ে রোযা রেখেছিল; কিন্তু আল্লাহর হারামকৃত বস্তু দ্বারা ওরা রোযা ভেঙ্গে ফেলল। এদের একজন অপরজনের কাছে এসে বসল এবং মানুষের গোশত খেতে (গীবত করতে) লাগল।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন আবিদ-দুনিয়া এবং আবু ইয়ালাও এটি বর্ণনা করেন। তাঁরা সবাই উবায়দ থেকে একজন এমন বর্ণনাকারী সূত্রে রিওয়ায়াত করেছেন, যার নাম উল্লেখ করা হয়নি। আবু দাউদ তায়ালিসী এবং ইবন আবিদ-দুনিয়া এ হাদীসটি পরনিন্দাবাদ প্রসঙ্গে- বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি আনাস (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন। গীবত অধ্যায়ে এটি সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ্।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الصَّائِم من الْغَيْبَة وَالْفُحْش وَالْكذب وَنَحْو ذَلِك
1655- وَعَن عبيد مولى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن امْرَأتَيْنِ صامتا وَأَن رجلا قَالَ يَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن هَاهُنَا امْرَأتَيْنِ قد صامتا وإنهما قد كادتا أَن تموتا من الْعَطش فَأَعْرض عَنهُ أَو سكت ثمَّ عَاد وَأرَاهُ قَالَ بالهاجرة قَالَ يَا نَبِي الله إنَّهُمَا وَالله قد ماتتا أَو كادتا أَن تموتا قَالَ ادعهما قَالَ فجاءتا
قَالَ فجيء بقدح أَو عس فَقَالَ لإحداهما قيئي فقاءت قَيْحا ودما وصديدا وَلَحْمًا حَتَّى مَلَأت نصف الْقدح ثمَّ قَالَ لِلْأُخْرَى قيئي فقاءت من قيح وَدم وصديد وَلحم عبيط وَغَيره حَتَّى مَلَأت الْقدح ثمَّ قَالَ إِن هَاتين صامتا عَمَّا أحل الله لَهما وأفطرتا على مَا حرم الله عَلَيْهِمَا جَلَست إِحْدَاهمَا إِلَى الْأُخْرَى فجعلتا تأكلان من لُحُوم النَّاس

رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن أبي الدُّنْيَا وَأَبُو يعلى كلهم عَن رجل لم يسم عَن عبيد وَرَوَاهُ أَبُو دَاوُد الطَّيَالِسِيّ وَابْن أبي الدُّنْيَا فِي ذمّ الْغَيْبَة وَالْبَيْهَقِيّ من حَدِيث أنس وَيَأْتِي فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله
الْعس بِضَم الْعين وَتَشْديد السِّين الْمُهْمَلَتَيْنِ هُوَ الْقدح الْعَظِيم
والعبيط بِفَتْح الْعين الْمُهْملَة بعْدهَا بَاء مُوَحدَة ثمَّ يَاء مثناة تَحت وطاء مُهْملَة هُوَ الطري
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ ই'তিকাফের প্রতি উৎসাহ প্রদান প্রসঙ্গ
১৬৫৬. হযরত আলী ইবন হুসায়ন তাঁর পিতা হযরত হুসায়ন (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানে দশদিন ইতিকাফ করবে, সে দু'টি হজ্জ ও দু'টি উমরার পুণ্য লাভ করবে।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الِاعْتِكَاف
1656- رُوِيَ عَن عَليّ بن حُسَيْن عَن أَبِيه رَضِي الله عَنْهُم قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من اعْتكف عشرا فِي رَمَضَان كَانَ كحجتين وعمرتين

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ ই'তিকাফের প্রতি উৎসাহ প্রদান প্রসঙ্গ
১৬৫৭. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার মসজিদে নববীতে ই'তিকাফরত ছিলেন। এমন সময় তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে সালাম দিল। তারপর সে মসজিদে বসে পড়ল। ইবন আব্বাস তাকে বললেন, ওহে অমুক! তোমাকে যে বিষন্ন ও চিন্তিত দেখছি? লোকটি বলল, জ্বী হ্যাঁ, হে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর পিতৃব্য তনয়। অমুকের আমার উপর বন্ধুত্বের কিছু হক রয়েছে; কিন্তু এই কবরে শায়িত মহাত্মার (রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর) মর্যাদার দোহাই। আমি তার হকটি আদায় করতে পারছি না। ইবন আব্বাস বললেন, আমি কি তোমার ব্যাপারে তার সাথে কথা বলব? লোকটি বলল, আপনি যদি ভাল মনে করেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবন আব্বাস তৎক্ষণাৎ জুতা পরলেন এবং মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলেন। লোকটি তখন ইব্‌ন আব্বাসকে বলল, আপনি কি ভুলে গিয়েছেন যে, আপনি কিসে রত ছিলেন? তিনি বললেন, না। তবে আমি এই কবরের অধিবাসী রাসূলুল্লাহ-কে বলতে শুনেছি-আর তাঁর সাহচর্যের কালটি তো খুব দূরের নয়- একথা বলার সময় ইবন আব্বাসের দু'চোখ অশ্রুসজল হয়ে উঠল। তিনি বলেছিলেন: যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের কোন প্রয়োজন পূরণে পথ চলল ও তা সম্পন্ন করল, এ কাজটি তার জন্য দশ বছরের ইতিকাফের চেয়ে উত্তম হবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় একদিন ইতিকাফ করল, আল্লাহ্ তা'আলা তার ও জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক দূরত্ব সৃষ্টি করে দেবেন। এক-একটি খন্দকের দূরত্ব হবে আসমান-যমীনের দূরত্বের চেয়েও বেশি।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাতে' বর্ণনা করেছেন। বায়হাকীও এটি বর্ণনা করেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। হাকিমও হাদীসটি সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেছেন, হাদীসটি সহীহ সনদবিশিষ্ট। (হাফিয (র) বলেন: নবী করীম-এর ইতিকাফ সম্পর্কিত হাদীসসমূহ সিহাহ গ্রন্থাবলীতে সুপ্রসিদ্ধ রয়েছে। যেগুলো আমাদের প্রতিপাদ্য নয়।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الِاعْتِكَاف
1657- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه كَانَ معتكفا فِي مَسْجِد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَأَتَاهُ رجل فَسلم عَلَيْهِ ثمَّ جلس فَقَالَ لَهُ ابْن عَبَّاس يَا فلَان أَرَاك مكتئبا حَزينًا قَالَ نعم يَا ابْن عَم رَسُول الله لفُلَان عَليّ حق وَلَاء وَحُرْمَة صَاحب هَذَا الْقَبْر مَا أقدر عَلَيْهِ
قَالَ ابْن عَبَّاس أَفلا ُأكَلِّمهُ فِيك فَقَالَ إِن أَحْبَبْت قَالَ فانتعل ابْن عَبَّاس ثمَّ خرج من الْمَسْجِد
فَقَالَ لَهُ الرجل أنسيت مَا كنت فِيهِ قَالَ لَا وَلَكِنِّي سَمِعت صَاحب هَذَا الْقَبْر صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والعهد بِهِ قريب فَدَمَعَتْ عَيناهُ وَهُوَ يَقُول من مَشى فِي حَاجَة أَخِيه وَبلغ فِيهَا كَانَ خيرا لَهُ من اعْتِكَاف عشر سِنِين وَمن اعْتكف يَوْمًا ابْتِغَاء وَجه الله تَعَالَى جعل الله بَينه وَبَين النَّار ثَلَاث خنادق أبعد مِمَّا بَين الْخَافِقين

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَالْبَيْهَقِيّ وَاللَّفْظ لَهُ
وَالْحَاكِم مُخْتَصرا وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد كَذَا قَالَ
قَالَ الْحَافِظ وَأَحَادِيث اعْتِكَاف النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مَشْهُورَة فِي الصِّحَاح وَغَيرهَا لَيست من شَرط كتَابنَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাদকা-ই-ফিতরের প্রতি উৎসাহ দান ও এর তাকীদ প্রসঙ্গ
১৬৫৮. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ রোযাদারকে বেহুদা ও অশ্লীল বাক্যাদি (জনিত ত্রুটি-বিচ্যুতি) থেকে পবিত্রকরণের উদ্দেশ্যে ও মিস্ফীনদেরকে কিছু আহার্য দ্যনের উদ্দেশ্যে সাদকা-ই-ফিতর নির্ধারণ করে দিয়েছেন। অতএব যে ব্যক্তি ঈদের নামাযের পূর্বে তা আদায় করে দেবে, সেটি হবে গ্রহণীয় দান। আর যে ব্যক্তি নামাযের পর আদায় করবে, সেটি অন্যান্য দানের মতই একটি সাধারণ দান বলে গণ্য হবে।
(হাদীসটি আবু দাউদ, ইবন মাজাহ এবং হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, হাদীসটি বুখারীর মাপকাঠিতে সহীহ।)
{খাত্তাবী (র) বলেনঃ হাদীসে উক্ত فرض رسول الله ﷺ বাক্যাটিতে ইঙ্গিত রয়েছে যে, সাদ্‌কা -ই ফিতর অন্যান্য সম্পদের যাকাতের মতই ফরয। এখানে এ কথারও প্রমাণ রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্-এর নির্দেশিত বিধি-নিষেধও আল্লাহর ফরযকৃত বিধি-নিষেধের মতই অলঙ্ঘনীয়। কেননা তাঁর আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্য থেকেই উৎসারিত। সাদ্‌কা-ই-ফিতরের ফরয ও ওয়াজিব হওয়ার পক্ষেই অধিকাংশ আলিমগণ মত প্রকাশ করেছেন। সাদকা-ই-ফিতর-এর কারণ সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে যে, এরদ্বারা রোযাদারের বেহুদা ও অশ্লীল বাক্যাদিজনিত ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে পবিত্রতা সাধিত হয়ে থাকে। তাই এটি সামর্থ্যবান ধনী ও এমন দরিদ্রের উপরও ওয়াজিব হবে, যার ঘরে একদিনের প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার রয়েছে। আর যেহেতু সকল রোযাদারেরই পবিত্রতার প্রয়োজন রয়েছে, তাই সবার উপরই এ সাদকা-ই-ফিতর ওয়াজিব হবে।
হাফিয আবু বকর ইবনুল মুনযির বলেন, অধিকাংশ আলিম এই ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছেন যে, সাদ্‌কা-ই-ফিতর ফরয। আমরা যে সব আলিম থেকে এ অভিমতটি জানতে পেরেছি, তাঁরা হলেন: মুহাম্মদ ইবন সীরীন, আবুল আলিয়া, যাহহাক, আতা, মালিক, সুফয়ান সাওরী, শাফিয়ী, আবু সাওর, আহমদ, ইসহাক (র) ও কিয়াসপন্থীগণ। ইসহাক বলেন, এটি আলিমদের ইজমা-এর মতই অনুপেক্ষনীয়।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَدَقَة الْفطر وَبَيَان تأكيدها
1658- عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ فرض رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَدَقَة الْفطر طهرة للصَّائِم من اللَّغْو والرفث وطعمة للْمَسَاكِين فَمن أَدَّاهَا قبل الصَّلَاة فَهِيَ زَكَاة مَقْبُولَة وَمن أَدَّاهَا بعد الصَّلَاة فَهِيَ صَدَقَة من الصَّدَقَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ
قَالَ الْخطابِيّ رَحمَه الله قَوْله فرض رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم زَكَاة الْفطر فِيهِ بَيَان أَن صَدَقَة الْفطر فرض وَاجِب كافتراض الزَّكَاة الْوَاجِبَة فِي الْأَمْوَال وَفِيه بَيَان أَن مَا فرض رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَهُوَ كَمَا فرض الله لِأَن طَاعَته صادرة عَن طَاعَة الله وَقد قَالَ بفرضية زَكَاة الْفطر
ووجوبها عَامَّة أهل الْعلم وَقد عللت بِأَنَّهَا طهرة للصَّائِم من الرَّفَث واللغو
فَهِيَ وَاجِبَة على كل صَائِم غَنِي ذِي جدة أَو فَقير يجدهَا فضلا عَن قوته إِذا كَانَ وُجُوبهَا لعِلَّة التَّطْهِير وكل الصائمين محتاجون إِلَيْهَا فَإِذا اشْتَركُوا فِي الْعلَّة اشْتَركُوا فِي الْوُجُوب انْتهى
وَقَالَ الْحَافِظ أَبُو بكر بن الْمُنْذر أجمع عوام أهل الْعلم على أَن صَدَقَة الْفطر فرض وَمِمَّنْ حفظنا ذَلِك عَنهُ من أهل الْعلم مُحَمَّد بن سِيرِين وَأَبُو الْعَالِيَة وَالضَّحَّاك وَعَطَاء وَمَالك وسُفْيَان الثَّوْريّ وَالشَّافِعِيّ وَأَبُو ثَوْر وَأحمد وَإِسْحَاق وَأَصْحَاب الرَّأْي وَقَالَ إِسْحَاق هُوَ كالإجماع من أهل الْعلم انْتهى
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৫৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাদকা-ই-ফিতরের প্রতি উৎসাহ দান ও এর তাকীদ প্রসঙ্গ
১৬৫৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন সা'লাবা অথবা সা'লাবা ইবন আবদুল্লাহ ইবন আবু সুআয়র থেকে তাঁর পিতা (রা) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেন। প্রত্যেক ছোট-বড়, আযাদ ও দাস, পুরুষ ও মহিলা, ধনী ও নির্ধন ব্যক্তির উপর (সাদকা-ই-ফিতর হিসাবে) এক সা' গম অথবা যব নির্ধারিত রয়েছে। তোমাদের ধনীদেরকে আল্লাহ এরদ্বারা পবিত্র করবেন। আর গরীবদেরকে তাদের প্রদত্ত পরিমাণের চেয়ে বেশি দান করবেন।
(হাদীসটি আহমদ ও আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَدَقَة الْفطر وَبَيَان تأكيدها
1659- وَعَن عبد الله بن ثَعْلَبَة أَو ثَعْلَبَة بن عبد الله بن أبي صعير عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَاع من بر أَو قَمح على كل صَغِير أَو كَبِير حر أَو عبد ذكر أَو أُنْثَى غَنِي أَو فَقير أما غنيكم فيزكيه الله وَأما فقيركم فَيرد الله عَلَيْهِ أَكثر مِمَّا أعْطى

رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৬০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাদকা-ই-ফিতরের প্রতি উৎসাহ দান ও এর তাকীদ প্রসঙ্গ
১৬৬০. হযরত জারীর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: রমযান মাসের রোযা আসমান ও যমীনের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। একে সাদকা-ই-ফিতর আদায় করা ব্যতীত ঊর্ধ্ব জগতে উঠানো হয় না।
(হাদীসটি আবূ হাফস ইব্‌ন শাহীন 'ফাযাইলে রমযান' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, হাদীসটি গরীব হলেও এর সনদ উত্তম।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَدَقَة الْفطر وَبَيَان تأكيدها
1660- وَعَن جرير رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَوْم شهر رَمَضَان مُعَلّق بَين السَّمَاء وَالْأَرْض وَلَا يرفع إِلَّا بِزَكَاة الْفطر

رَوَاهُ أَبُو حَفْص بن شاهين فِي فَضَائِل رَمَضَان وَقَالَ حَدِيث غَرِيب جيد الْإِسْنَاد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৬১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাদকা-ই-ফিতরের প্রতি উৎসাহ দান ও এর তাকীদ প্রসঙ্গ
১৬৬১. হযরত কাসীর ইবন আবদুল্লাহ আল-মুযানী (রা) থেকে তাঁর পিতা-পিতামহের সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে এ আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলঃ
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تزكَّى وذكر اسْمَ رَبِّهِ فصلی
অর্থ: নিশ্চয়ই সাফল্য লাভ করবে সে, যে শুদ্ধ হয় এবং তার পালনকর্তার নাম স্মরণ করে, অতঃপর নামায আদায় করে।
তিনি উত্তরে বললেন, এটি সাদকা-ই-ফিতর সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। হাদীসটি ইবুন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। (হাফিয বলেন) কাসীর ইবন আবদুল্লাহ্ অনির্ভরযোগ্য।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صَدَقَة الْفطر وَبَيَان تأكيدها
1661- وَعَن كثير بن عبد الله الْمُزنِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن أَبِيه عَن جده قَالَ سُئِلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن هَذِه الْآيَة {قد أَفْلح من تزكّى وَذكر اسْم ربه فصلى} الْأَعْلَى 41 51
قَالَ أنزلت فِي زَكَاة الْفطر

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه
قَالَ الْحَافِظ كثير بن عبد الله واه
tahqiq

তাহকীক: