আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৫ টি

হাদীস নং: ১৬০৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬০৭. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বিজয়ের বছর মক্কার দিকে রওয়ানা হয়ে 'গামীম' নামক স্থানে এসে পৌঁছলেন। তিনি ও তাঁর সফরসঙ্গী সকলেই রোযা রেখেছিলেন। একটু পর তিনি পানির একটি পেয়ালা আনতে বললেন এবং এটিকে উপরে ধরলেন। এমনকি লোকজন তা দেখতে পেল। তারপর পানিপান করে ফেললেন। এই ঘটনার পর তাঁকে বলা হল যে, অনেকেই এ পর্যন্ত রোযার উপরই রয়ে গেছে। তখন তিনি বললেন ওরা হল অবাধ্য। অপর এক বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলা হল, কতিপয় লোক এখনও রোযা অবস্থায় রয়েছে। তখন তিনি বললেন, ওরা হল অবাধ্য। ওরা হল অবাধ্য। অন্য বর্ণনায় রয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলা হল কিছু লোকের জন্য রোযা রাখা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তারা আপনার অপেক্ষায় রয়েছে যে, আপনি কি করেন। তখন আসরের পর তিনি পানির পাত্র আনতে বললেন।……………… হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1607- عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خرج عَام الْفَتْح إِلَى مَكَّة فِي رَمَضَان حَتَّى بلغ كرَاع الغميم فصَام وَصَامَ النَّاس ثمَّ دَعَا بقدح من مَاء فرفعه حَتَّى نظر النَّاس إِلَيْهِ ثمَّ شرب فَقيل لَهُ بعد ذَلِك إِن بعض النَّاس قد صَامَ فَقَالَ أُولَئِكَ العصاة
وَفِي رِوَايَة فَقيل لَهُ إِن بعض النَّاس قد صَامَ فَقَالَ أُولَئِكَ العصاة أُولَئِكَ العصاة
وَفِي رِوَايَة فَقيل لَهُ إِن بعض النَّاس قد شقّ عَلَيْهِم الصّيام وَإِنَّمَا ينظرُونَ فِيمَا فعلت فَدَعَا بقدح من مَاء بعد الْعَصْر الحَدِيث
رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬০৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬০৮. হযরত জাবির (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সফরে ছিলেন। তিনি দেখলেন যে, এক ব্যক্তির নিকট অনেক লোকজন সমবেত হয়ে তাকে ঘিরে আছে এবং তাকে ছায়া দিচ্ছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ওর কি হয়েছে? লোকেরা বলল, এ একজন রোযাদার ব্যক্তি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন বললেন, এটা কোন পুণ্যের কাজ নয় যে, তোমরা সফরে রোযা রাখবে।
অপর এক বর্ণনায় এ অতিরিক্তটুকুও রয়েছে: আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে সুবিধা দিয়েছেন, তোমরা তা গ্রহণ কর।
অন্য আরেক বর্ণনায় রয়েছে: সফরে রোযা পালনে কোন পুণ্য নেই।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1608- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي سفر فَرَأى رجلا قد اجْتمع النَّاس عَلَيْهِ وَقد ظلل عَلَيْهِ فَقَالَ مَا لَهُ قَالُوا رجل صَائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْسَ الْبر أَن
تَصُومُوا فِي السّفر
زَاد فِي رِوَايَة وَعَلَيْكُم بِرُخْصَة الله الَّتِي رخص لكم
وَفِي رِوَايَة لَيْسَ من الْبر الصَّوْم فِي السّفر

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬০৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬০৯. নাসাঈর এক বর্ণনায় রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ একবার জনৈক ব্যক্তির পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেন। একটি গাছের ছায়ায় তার গায়ে পানি ঢালা হচ্ছিল। তিনি বললেন, তোমাদের সাথীটির কি হয়েছে। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। লোকটি রোযা রেখেছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলবেন, মনে রেখো এটি কোন পুণ্যের কাজ নয় যে, তোমরা সফরে রোযা রাখবে। আল্লাহ্ তোমাদেরকে রোযা না রাখার যে অনুমতি দিয়েছেন, তা গ্রহণ কর।
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1609- وَفِي رِوَايَة للنسائي أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم مر على رجل فِي ظلّ شَجَرَة يرش عَلَيْهِ المَاء قَالَ مَا بَال صَاحبكُم قَالُوا يَا رَسُول الله صَائِم قَالَ إِنَّه لَيْسَ من الْبر أَن تَصُومُوا فِي السّفر وَعَلَيْكُم بِرُخْصَة الله عز وَجل الَّتِي رخص لكم فاقبلوها
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১০. হযরত আম্মার ইব্‌ন ইয়াসির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার এক যুদ্ধ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ফিরে আসছিলাম। প্রচণ্ড গরমের দিনে পথ চলছিলাম। তাই রাস্তায় এক স্থানে অবতরণ করলাম। আমাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি গিয়ে একটি গাছের নীচে আশ্রয় নিল। হঠাৎ দেখা গেল, তার সাথীগণ তাকে ঘিরে রেখেছে, আর সে অসুস্থ মানুষের মত পড়ে আছে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ যখন তাদেরকে দেখলেন, তখন জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের এ সার্থীটির কি হয়েছে? তারা বলল, লোকটি রোযা রেখেছে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, এটি পুণ্যের কাজ নয় যে, সফরেও তোমরা রোযা রাখবে। আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে রেয়াত দিয়েছেন তা গ্রহণ কর।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1610- وَعَن عمار بن يَاسر رَضِي الله عَنهُ قَالَ أَقبلنَا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من غَزْوَة فسرنا فِي يَوْم شَدِيد الْحر فنزلنا فِي بعض الطَّرِيق فَانْطَلق رجل منا فَدخل تَحت شَجَرَة فَإِذا أَصْحَابه يلوذون بِهِ وَهُوَ مُضْطَجع كَهَيئَةِ الوجع فَلَمَّا رَآهُمْ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مَا بَال صَاحبكُم قَالُوا صَائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْسَ من الْبر أَن تَصُومُوا فِي السّفر عَلَيْكُم بِالرُّخْصَةِ الَّتِي أرخص الله لكم فاقبلوها

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ একবার সফর করলেন এবং আপন সাথীদের নিয়ে একস্থানে অবতরণ করলেন। হঠাৎ দেখলেন, লোকজন তাদের এক সাথীর উপর একটি সামিয়ানা টানিয়ে রেখেছে। আর ঐ সাথী লোকটি রোযাদার। রাসূলুল্লাহ ﷺ তার পাশ দিয়ে গেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের সাথীটির কি হয়েছে। সে কি অসুস্থ? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। সে অসুস্থ নয়, বরং সে রোযা রেখেছে। ঘটনাটি ছিল প্রচণ্ড গরমের দিনের। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বললেন, সফর অবস্থায় রোযা রাখা কোন পুণ্যকর্ম নয়।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীরে' বর্ণনা করেছেন। এর বর্ণনাকারীগণ সহীহ-এর বর্ণনাকারীদের মতই।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1611- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ سَار رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَنزل بِأَصْحَابِهِ وَإِذا نَاس قد جعلُوا عَرِيشًا على صَاحبهمْ وَهُوَ صَائِم فَمر بِهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ مَا شَأْن صَاحبكُم أوجع قَالُوا يَا رَسُول الله وَلكنه صَائِم وَذَلِكَ فِي يَوْم حرور فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا بر أَن يصام فِي سفر

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১২. হযরত কা'ব ইবন 'আসিম আশ'আরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, সফর অবস্থায় রোযা রাখাতে কোন পূণ্য নেই।
(হাদীসটি নাসাঈ ও ইবন মাজাহ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন। আহমদের বর্ণনায় এ হাদীসের শব্দসমূহ
নিম্নরূপ:
ليس من أم بر أم صيام في أم سفر
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1612- وَعَن كَعْب بن عَاصِم الْأَشْعَرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول لَيْسَ من الْبر الصّيام فِي السّفر

رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه بِإِسْنَاد صَحِيح وَهُوَ عِنْد أَحْمد بِلَفْظ لَيْسَ من ام بر ام صِيَام فِي ام سفر
وَرِجَاله رجال الصَّحِيح
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৩. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। সফর অবস্থায় রোযা রাখাতে কোন পুণ্য নেই।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এবং ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1613- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَيْسَ من الْبر الصَّوْم فِي السّفر

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৪. হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: সফর অবস্থায় রোযা পালনকারী বাড়িতে রোযা ভঙ্গকারীর মতই।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এভাবে মারফু' পদ্ধতিতে বর্ণনা করেছেন। নাসাঈও এটি উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন।
তবে তাঁর বর্ণনাটি এরূপ:
আবদুর রহমান বলেন, বলা হতো যে, সফর অবস্থায় রোযা পালন বাড়িতে রোযা ভঙ্গ করার শামিল।
অপর বর্ণনায়, সফর অবস্থায় রোযা পালনকারী বাড়িতে অবস্থান করে রোযা ভঙ্গকারীর মতই।)

(হাফিয (র) বলেন: কোন সাহাবীর এই কথা যে, 'এরূপ বলা হতো' এতে কি হাদীসটি মারফু'-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে নাকি মাওকূফ থাকবে, এ ব্যাপারে মুহাদ্দিস ও উসূলশাস্ত্রবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, যা বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ এখানে নেই। তবে অধিকাংশের মতে যদি "রাসূল ﷺ -এর যুগে" এ কথাটি যুক্ত না হয়, তবে এটি মাওকূফ পর্যায়ে থাকবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1614- وَعَن عبد الرَّحْمَن بن عَوْف رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم صَائِم رَمَضَان فِي السّفر كالمفطر فِي الْحَضَر

رَوَاهُ ابْن مَاجَه مَرْفُوعا هَكَذَا وَالنَّسَائِيّ بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَنه قَالَ كَانَ يُقَال الصّيام فِي السّفر كالإفطار فِي الْحَضَر
وَفِي رِوَايَة الصَّائِم فِي السّفر كالمفطر فِي الْحَضَر
قَالَ الْحَافِظ قَول الصَّحَابِيّ كَانَ يُقَال كَذَا هَل يلْتَحق بالمرفوع أَو الْمَوْقُوف فِيهِ خلاف مَشْهُور بَين الْمُحدثين والأصوليين لَيْسَ هَذَا مَوضِع بَسطه لَكِن الْجُمْهُور على أَنه إِذا لم يضفه إِلَى زمن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يكون مَوْقُوفا وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৫. হযরত আবূ তু'মআ (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার ইবন উমর (রা)-এর নিকট ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবু আবদুর রহমান। আমি সফরে রোযা পালনের শক্তি রাখি। ইব্‌ন উমর (রা) বললেন, আনি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ প্রদত্ত রুখসত তথা রেয়াতটুকু গ্রহণ করল না, তার উপর আরাফার পাহাড়তুল্য গুনাহ আপতিত হবে।
(হাদীসটি আহমদ এবং তাবারানী তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
(আমাদের উস্তাদ শায়খ আবুল হাসান (র) বলতেন, আহমদের সনদটি হাসান। বুখারী তাঁর 'কিতাবুদ-দু'আফায়' বলেছেন যে, হাদীসটি মুনকার। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1615- وَعَن أبي طعمة قَالَ كنت عِنْد ابْن عمر فَجَاءَهُ رجل فَقَالَ يَا أَبَا عبد الرَّحْمَن إِنِّي أقوى على الصّيام فِي السّفر فَقَالَ ابْن عمر رَضِي الله عَنهُ إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من لم يقبل رخصَة الله عز وَجل كَانَ عَلَيْهِ من الْإِثْم مثل جبال عَرَفَة

رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
وَكَانَ شَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن رَحمَه الله يَقُول إِسْنَاد أَحْمد حسن وَقَالَ البُخَارِيّ فِي كتاب الضُّعَفَاء هُوَ حَدِيث مُنكر وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৬. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ্ একথা ভালবাসেন যে, তাঁর রেয়াতসমূহ গ্রহণ করা হোক যেমন তিনি একথা অপসন্দ করেন যে, তাঁর অবাধ্যতা করা হোক।
(হাদীসটি আহমদ বিশুদ্ধ সনদে বর্ণনা করেছেন। বাযযার এবং তাবারানীও এটি 'আওসাত' নামক গ্রন্থে হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। ইব্‌ন খুযায়মা ও ইব্‌ন হিব্বানও হাদীসটি তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন।ইবন খুযায়মার অপর এক বর্ণনায় রয়েছে। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ এ বিষয়টি পসন্দ করেন যে, তাঁর রুখসতসমূহ কবুল করা হোক, ঠিক যেমনটি তিনি পসন্দ করেন যে, তাঁর অবাধ্যতা পরিহার করা হোক।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1616- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله تبَارك وَتَعَالَى يحب أَن تُؤْتى رخصه كَمَا يكره أَن تُؤْتى مَعْصِيَته

رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح وَالْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
وَفِي رِوَايَة لِابْنِ خُزَيْمَة قَالَ إِن الله يحب أَن تُؤْتى رخصه كَمَا يحب أَن تتْرك مَعْصِيَته
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৭. তাবারানী তাঁর 'আওসাত' এবং 'কবীর' নামক গ্রন্থদ্বয়ে আবদুল্লাহ্ ইবন ইয়াযীদ ইবন আদম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ বলেন, হযরত আমাকে আবুদ-দারদা, ওয়াসিলা ইবনুল-আস্‌কা, আবু উমামা ও আনাস ইবন মালিক (রা) হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ্ একথা পসন্দ করেন যে, তাঁর রুখসতসমূহ কবুল করা হোক, যেমনটি বান্দা তার প্রতিপালকের ক্ষমা পসন্দ করে।
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1617- وروى الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط أَيْضا وَالْكَبِير عَن عبد الله بن يزِيد بن آدم قَالَ
حَدثنِي أَبُو الدَّرْدَاء وواثلة بن الْأَسْقَع وَأَبُو أُمَامَة وَأنس بن مَالك أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِن الله يحب أَن تقبل رخصه كَمَا يحب العَبْد مغْفرَة ربه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৮. হযরত ইব্‌ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ্ একথা পসন্দ করেন যে, তাঁর রুখসতসমূহের উপরও আমল করা হোক, যেমন তিনি আযীমতের* উপর আমল করা পসন্দ করেন।
(হাদীসটি বায্‌যার হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন। তাবারানীও এটি বর্ণনা করেন। ইবন হিব্বানও হাদীসটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)

*আমলের কঠিনতার দিক-যা পালনে প্রাণান্তকর কষ্ট হয়, যেমন কোন ব্যক্তি যদি কুফরী কালাম উচ্চারণ করে কোন যালিমের হাত থেকে নিজের প্রাণ বাঁচায়, এটা হচ্ছে রুখসত। আর যদি কুফরী কালাম উচ্চারণ না করে জীবন দান করে, তবে এটা হবে আযীমত
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1618- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله يحب أَن تُؤْتى رخصه كَمَا يحب أَن تُؤْتى عَزَائِمه

رَوَاهُ الْبَزَّار بِإِسْنَاد حسن وَالطَّبَرَانِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬১৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬১৯. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা এক সফরে নবী করীম ﷺ -এর সাথে ছিলাম। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রোযা রেখেছিল, আর কেউ কেউ রোযা রাখে নাই। আনাস বলেন, আমরা প্রচণ্ড গরমে এক স্থানে অবতরণ করলাম। আমাদের মধ্যে যার সাথে চাদর ছিল, সেই সবচেয়ে বেশি ছায়ার সুবিধা লাভ করেছিল। আমাদের মধ্যে অনেকে এমনও ছিল, যারা নিজেদের হাত দ্বারা সূর্যের উত্তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছিল। আনাস বলেন, এক সময় রোযাদারগণ মাটিতে ঢলে পড়ল আর বে-রোযাদারগণ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়ে গেল। এঁরা তখন তাঁবু তৈরি করতে লাগল ও বাহনের পশুগুলোকে পানিপান করাতে লাগল। রাসূলুল্লাহ তখন বললেন: আজ বে-রোযাদারগণই সওয়ার নিয়ে গেল।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1619- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي السّفر فمنا الصَّائِم وَمنا الْمُفطر
قَالَ فنزلنا منزلا فِي يَوْم حَار أكثرنا ظلا صَاحب الكساء فمنا من يَتَّقِي الشَّمْس بِيَدِهِ
قَالَ فَسقط الصوام وَقَامَ المفطرون فَضربُوا الْأَبْنِيَة وَسقوا الركاب فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذهب المفطرون الْيَوْم بِالْأَجْرِ

رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ কষ্টকর সফরে মুসাফিরের রোযা পালন প্রসঙ্গে সতর্কবাণী ও রোযা ছেড়ে দেয়ার প্রতি উৎসাহ দান
১৬২০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: একবার আমরা রমযানের ১৬ তারিখে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে জিহাদে গিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রোযা রেখেছিল, আর কেউ কেউ রোযা ভঙ্গ করেছিল। কিন্তু বে-রোযাদারগণ রোযাদারদের উপর কোন আপত্তি করে নাই এবং রোযাদারগণও বে-রোযাদারদের উপর কোন আপত্তি করে নাই।
(অপর বর্ণনায় এও রয়েছে। তাঁরা মনে করতেন যে, যার শক্তি রয়েছে এবং এজন্য সে রোযা রেখেছে, সে ভালই করেছে। আর যে দুর্বলতার কথা চিন্তা করে রোযা ছেড়ে দিয়েছে, সেও ঠিকই করেছে।
(হাফিয় (র) বলেন। সফর অবস্থায় রোযা রাখা উত্তম না ছেড়ে দেয়া উত্তম? এ ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। হযরত আনাস ইবন মালিক (রা)-এর মত এই যে, রোযা রেখে দেয়াই উত্তম। উসমান ইবন আবুল 'আস-এরও এই মতই বর্ণিত হয়েছে। ইবারাহীম নাখঈ, সাঈদ ইবন জুবায়র, সাওরী, আবু সাওর এবং কিয়াসপন্থীরাও এমতের দিকেই গিয়েছেন। ইমাম মালিক, ফুযায়ল ইব্‌ন ইয়ায ও শাফিঈ বলেন যে, যে ব্যক্তি রোযা রাখতে সক্ষম, তার জন্য রোযা রেখে দেয়াই ভাল। অপরদিকে আবদুল্লাহ ইবন উমর, আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস, সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব, শাবী, আওযাঈ আহমদ ইবন হাম্বল ও ইসহাক ইবন রাহওয়া বলেন যে, রোযা না রাখাই উত্তম। উমর ইবন আবদুল আযীয, কাতাদা, ও মুজাহিদ থেকে বর্ণিত যে, এ দুটির মধ্যে মানুষের জন্য সহজতরটি উত্তম। হাফিয আবু বকর ইবনুল মুনযির এ মতটিই পোষণ করেছেন। আর এ বক্তব্যটিই উত্তম। আর আল্লাহ্ সবচেয়ে ভাল জানেন।
كتاب الصَّوْم
ترهيب الْمُسَافِر من الصَّوْم إِذا كَانَ يشق عَلَيْهِ وترغيبه فِي الْإِفْطَار
1620- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ غزونا مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لست عشرَة مَضَت من رَمَضَان فمنا من صَامَ وَمنا من أفطر فَلم يعب الصَّائِم على الْمُفطر وَلَا الْمُفطر على الصَّائِم
وَفِي رِوَايَة يرَوْنَ أَن من وجد قُوَّة فصَام فَإِن ذَلِك حسن ويرون أَن من وجد ضعفا فَأفْطر فَإِن ذَلِك حسن

رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
قَالَ الْحَافِظ اخْتلف الْعلمَاء أَيّمَا أفضل فِي السّفر الصَّوْم أَو الْفطر فَذهب أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ إِلَى أَن الصَّوْم أفضل وَحكي ذَلِك أَيْضا عَن عُثْمَان بن أبي العَاصِي
وَإِلَيْهِ ذهب إِبْرَاهِيم النَّخعِيّ وَسَعِيد بن جُبَير وَالثَّوْري وَأَبُو ثَوْر وَأَصْحَاب الرَّأْي
وَقَالَ مَالك والفضيل بن عِيَاض وَالشَّافِعِيّ الصَّوْم أحب إِلَيْنَا لمن قوي عَلَيْهِ
وَقَالَ عبد الله بن عمر وَعبد الله بن عَبَّاس وَسَعِيد بن الْمسيب وَالشعْبِيّ وَالْأَوْزَاعِيّ وَأحمد بن حَنْبَل وَإِسْحَاق بن رَاهَوَيْه الْفطر أفضل وَرُوِيَ عَن عمر بن عبد الْعَزِيز وَقَتَادَة وَمُجاهد أفضلهما أيسرهما على الْمَرْء وَاخْتَارَ هَذَا القَوْل الْحَافِظ أَبُو بكر بن الْمُنْذر وَهُوَ قَول حسن وَالله أعلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২১. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমরা সাহরী গ্রহণ কর। কেননা সাহরীতে বরকত রয়েছে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1621- عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تسحرُوا فَإِن فِي السّحُور بركَة

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২২. হযরত আমর ইবনুল আস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন। আমাদের রোযা ও আহলে কিতাবের* রোযার মধ্যে পার্থক্য হল সাহরী গ্রহণ।
(হাদীসটি মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন খুযায়মা বর্ণনা করেছেন।)

*ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান যারা আল্লাহর কিতাব প্রাপ্ত হয়েছে
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1622- وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : فَصْلُ مَا بَيْنَ صِيَامِنَا وَصِيَام أَهْلِ الْكِتَابِ أكْلَةُ السَّحرِ

رواه مسلم ، وأبو داود والترمذى والنسائي وابن خزيمة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৩. হযরত সালমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: বরকত তিন জিনিসের মধ্যে নিহিত, জামা'আতের মধ্যে, সারীদের* মধ্যে ও সাহরীর মধ্যে।
(হাদীসটি তাবারানী তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, এর বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। তবে এঁদের মধ্যে আবু আবদুল্লাহ্ বাস্‌রী নামের একজন রাবী রয়েছেন। তাঁর কোন পরিচিতি পাওয়া যায় না।)

*ঝোলে ভেজানো রুটিকে সারীদ বলা হয়ে থাকে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1623 - وَعَن سلمَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْبركَة فِي ثَلَاثَة فِي الْجَمَاعَة والثريد والسحور

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَرُوَاته ثِقَات وَفِيهِمْ أَبُو عبد الله الْبَصْرِيّ لَا يدرى من هُوَ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৪. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। সাহরী গ্রহণকারীদের উপর আল্লাহ্ অনুগ্রহ বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণও তাদের জন্য দু'আ করে।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1624- وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الله وَمَلَائِكَته يصلونَ على المتسحرين

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৫. হযরত ইরবায ইবন সারিয়্যা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রমযানে একদিন রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাকে সাহরীর দিকে আহবান করলেন এবং বললেন: বরকতময় খাবারের দিকে এসো হে!
(হাদীসটি আবু দাউদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থন্বয়ে বর্ণনা করেন।)

(সংকলক (র) বলেন: এ হাদীসটি সবাই হারিস ইবন যিয়াদ.... আবু রুহম... ইবরায ইবন সারিয়্যা সূত্রে বর্ণনা করেন। অথচ হারিস থেকে ইউনুস ইবন সায়ফ ব্যতীত অন্য কেউ হাদীস বর্ণনা করেননি। ইউনুস বলেন: আবু উমর নুমায়রী হাদীস বর্ণনায় অপরিচিত। সে আবু রুহম থেকে রিওয়ায়াত করেছে। তার হাদীস মুনকার।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1625- وَعَن الْعِرْبَاض بن سَارِيَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ دَعَاني رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَى السّحُور فِي رَمَضَان فَقَالَ هَلُمَّ إِلَى الْغذَاء الْمُبَارك

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ رَوَوْهُ كلهم عَن الْحَارِث بن زِيَاد عَن أبي رهم عَن الْعِرْبَاض والْحَارث لم يرو عَنهُ غير يُونُس بن سيف وَقَالَ أَبُو عمر النميري مَجْهُول يروي عَن أبي رهم حَدِيثه مُنكر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৬. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: এটি হল বরকতময় খাবার। অর্থাৎ সাহরী।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1626- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هُوَ الْغذَاء الْمُبَارك يَعْنِي السّحُور
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক: