আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

الترغيب والترهيب للمنذري

৯. অধ্যায়ঃ রোযা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২১৫ টি

হাদীস নং: ১৬২৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৭. হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: তোমরা সাহরী খাওয়ার দ্বারা রোযার এবং দুপুরের নিদ্রার দ্বারা রাতের ইবাদত (অর্থাৎ তাহাজ্জুদ)-এর শক্তি সঞ্চয় কর।
(হাদীসটি ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এবং বায়হাকীও বর্ণনা করেছেন। তাঁরা সবাই যামু'আ ইবন সালিহ... সালামা ইবন ওয়াহরান... ইকরামা সুত্রে ইবন আব্বাস (রা) থেকে এটি বর্ণনা করেন। তবে ইবুন খুযায়মার বর্ণনায় শব্দের সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1627- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اسْتَعِينُوا بِطَعَام السحر على
صِيَام النَّهَار والقيلولة على قيام اللَّيْل

رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْبَيْهَقِيّ كلهم من طَرِيق زَمعَة بن صَالح عَن سَلمَة هُوَ ابْن وهران عَن عِكْرِمَة عَنهُ إِلَّا أَن ابْن خُزَيْمَة قَالَ وبقيلولة النَّهَار على قيام اللَّيْل
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৮. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনুল হারিস (র) জনৈক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন: আমি একবার নবী করীম ﷺ-এর কাছে গেলাম। তখন তিনি সাহরী গ্রহণ করছিলেন। তিনি বললেন: এটি একটি বরকতের বস্তু যা আল্লাহ তোমাদেরকে দিয়েছেন। অতএব তোমরা এটা ছেড়ে দেবে না।
(হাদীসটি নাসাঈ হাসান সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1628- وَعَن عبد الله بن الْحَارِث عَن رجل من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ دخلت على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ يتسحر فَقَالَ إِنَّهَا بركَة أَعْطَاكُم الله إِيَّاهَا فَلَا تَدعُوهُ

رَوَاهُ النَّسَائِيّ بِإِسْنَاد حسن
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬২৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬২৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম ﷺ বলেছেন: তিন ধরনের মানুষ যা আহার করবে, যদি তা হালাল হয়, তবে তাদের কোন হিসাব দিতে হবে না। রোযাদার, সাহরী গ্রহণকারী ও আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারায় নিয়োজিত ব্যক্তি।
(হাদীসটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। তারাবানীও এটি তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1629- وَرُوِيَ عَن عبد الله بن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة لَيْسَ عَلَيْهِم حِسَاب فِيمَا طعموا إِن شَاءَ الله تَعَالَى إِذا كَانَ حَلَالا الصَّائِم والمتسحر والمرابط فِي سَبِيل الله

رَوَاهُ الْبَزَّار وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩০. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: সাহরীর সবুটুকুই বরকতে পরিপূর্ণ, তাই তোমরা সাহরী খাওয়া ছাড়বে না- যদিও তোমাদের কেউ একঢোক পানিপান করেই সাহরী সেরে নেয়। কেননা সাহরী গ্রহণকারীর প্রতি আল্লাহ তা'আলা রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফিরিশতাগণ তাদের জন্য দু'আ করে থাকেন।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি শক্তিশালী।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1630- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم السّحُور كُله بركَة فَلَا تَدعُوهُ وَلَو أَن يجرع أحدكُم جرعة من مَاء فَإِن الله عز وَجل وَمَلَائِكَته يصلونَ على المتسحرين
رَوَاهُ أَحْمد وَإِسْنَاده قوي
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩১. হযরত আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও তোমরা সাহরী গ্রহণ করবে।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1631- وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تسحرُوا وَلَو بجرعة من مَاء

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩২. হযরত সাইব ইবন ইয়াযীদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: খুরমা কত উৎকৃষ্ট সাহরী। তিনি আরও বলেছেন, আল্লাহ্ সাহরী গ্রহণকারীদের উপর রহমত বর্ষণ করুন।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1632- وَرُوِيَ عَن السَّائِب بن يزِيد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعم السّحُور التَّمْر
وَقَالَ يرحم الله المتسحرين

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ সাহরী খাওয়া, বিশেষত খুরমা দ্বারা সাহরী গ্রহণের প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৩. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: খুরমা মু'মিনের কত উত্তম সাহরী।
(হাদীসটি আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বানও এটি তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي السّحُور سِيمَا بِالتَّمْرِ
1633- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ نعم سحور الْمُؤمن التَّمْر

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ তাড়াতাড়ি ইফতার গ্রহণ ও দেরীতে সাহরী খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৪. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: লোকেরা কল্যাণের উপর থাকবে-যতদিন পর্যন্ত তারা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে।
(হাদীসটি বুখারী, মুসলিম ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي تَعْجِيل الْفطر وَتَأْخِير السّحُور
1634- عَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يزَال النَّاس بِخَير مَا عجلوا الْفطر

رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالتِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ তাড়াতাড়ি ইফতার গ্রহণ ও দেরীতে সাহরী খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৫. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকেই বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: আমার উম্মত আমার আদর্শের উপর থাকবে যতদিন তারা ইফতারের জন্য সন্ধ্যাতারার* অপেক্ষা করবে না।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)

*অন্ধকার বৃদ্ধি পেয়ে তারকা উজ্জ্বল্য বৃদ্ধির অপেক্ষার কথাই হাদীসে বলা হয়েছে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي تَعْجِيل الْفطر وَتَأْخِير السّحُور
1635- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا تزَال أمتِي على سنتي مَا لم تنْتَظر بفطرها النُّجُوم

رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ তাড়াতাড়ি ইফতার গ্রহণ ও দেরীতে সাহরী খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন যে, মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় আমার বান্দাদের মধ্যে তারাই আমার কাছে বেশি প্রিয়, যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে নেয়।
(হাদিসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। তিরমিযীও এটি বর্ণনা করে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও হাদীসটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي تَعْجِيل الْفطر وَتَأْخِير السّحُور
1636- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الله عز وَجل إِن أحب عبَادي إِلَيّ أعجلهم فطرا

رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৭
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ তাড়াতাড়ি ইফতার গ্রহণ ও দেরীতে সাহরী খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৭. হযরত ইয়ালা ইবন মুর্‌রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ তিনটি বিষয় আল্লাহ ভালবাসেন: (১) ইফতারে তাড়াতাড়ি করা, (২) সাহরী বিলম্বে খাওয়া ও (৩) সালাত আদায়কালে এক হাত অপর হাতের উপর বেঁধে রাখা।
(হাদীসটি তাবারানী 'আওসাত' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي تَعْجِيل الْفطر وَتَأْخِير السّحُور
1637 - وَرُوِيَ عَن يعلى بن مرّة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة يُحِبهَا الله عز وَجل تَعْجِيل الْإِفْطَار وَتَأْخِير السّحُور وَضرب الْيَدَيْنِ إِحْدَاهمَا على الْأُخْرَى فِي الصَّلَاة

رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৮
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ তাড়াতাড়ি ইফতার গ্রহণ ও দেরীতে সাহরী খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৮. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: ইসলাম ততদিন পর্যন্ত বিজয়ী থাকবে যতদিন মুসলমানগণ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কেননা ইয়াহুদী ও নাসারাগণ ইফতারকে পিছিয়ে দেয়।
(হাদীসটি আবু দাউদ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহর শব্দসমূহ নিম্নরূপঃ মুসলমানগণ কল্যাণ পথে থাকবে………………।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي تَعْجِيل الْفطر وَتَأْخِير السّحُور
1638- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يزَال الدّين ظَاهرا مَا عجل النَّاس الْفطر لَان الْيَهُود وَالنَّصَارَى يؤخرون

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَعند ابْن مَاجَه لَا يزَال النَّاس بِخَير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৩৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ তাড়াতাড়ি ইফতার গ্রহণ ও দেরীতে সাহরী খাওয়ার প্রতি উৎসাহ দান প্রসঙ্গ
১৬৩৯. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে ইফতার না করে মাগরিবের সালাত আদায় করতে দেখিনি। সামান্য পানি দিয়ে হলেও তিনি আগে ইফতার করে নিতেন।
(হাদীসটি আবু ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। ইবন খুযায়মা এবং ইবন হিব্বানও এটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করে।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي تَعْجِيل الْفطر وَتَأْخِير السّحُور
1639- وَعَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ مَا رَأَيْت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قطّ صلى صَلَاة الْمغرب حَتَّى يفْطر وَلَو على شربة من مَاء

رَوَاهُ أَبُو يعلى وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪০
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ খুরমা দ্বারা ইফতার করার প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা পাওয়া না গেলে পানি দ্বারাই ইফতার সেরে ফেলা
১৬৪০. হযরত সালমান ইবন আমির দাব্বি (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন ইফতার করে। তখন যেন খুরমা দ্বারা ইফতার করে। কেননা এটি বরকতের বস্তু। আর যদি খুরমা না পায়, তবে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে নেয়। কেননা এটি পবিত্রকারী।
(হাদীসটি আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ ও ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الْفطر على التَّمْر فَإِن لم يجد فعلى المَاء
1640- عَن سلمَان بن عَامر الضَّبِّيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا أفطر أحدكُم فليفطر على تمر فَإِنَّهُ بركَة فَإِن لم يجد تَمرا فالماء فَإِنَّهُ طهُور

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
হাদীস নং: ১৬৪১
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ খুরমা দ্বারা ইফতার করার প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা পাওয়া না গেলে পানি দ্বারাই ইফতার সেরে ফেলা
১৬৪১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ ﷺ মাগরিবের নামাযের পূর্বে টাটকা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। তা পাওয়া না গেলে খুরমা দিয়ে। আর যদি তাও না পেতেন তবে কয়েক চুমুক পানি পান করে নিতেন।
(হাদীসটি আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الْفطر على التَّمْر فَإِن لم يجد فعلى المَاء
1641- وَعَن أنس رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يفْطر قبل أَن يُصَلِّي على رطبات فَإِن لم تكن رطبات فتمرات فَإِن لم تكن حسا حسوات من مَاء

رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن
হাদীস নং: ১৬৪২
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ খুরমা দ্বারা ইফতার করার প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা পাওয়া না গেলে পানি দ্বারাই ইফতার সেরে ফেলা
১৬৪২. হযরত আবু ইয়ালা বর্ণনা করেন যে, আনাস (রা) বলেছেন: রাসূলুল্লাহ্ ﷺ তিনটি খুরমা দিয়ে ইফতার করতে ভালবাসতেন। অথবা এমন জিনিস দিয়ে যাকে আগুন স্পর্শ করেনি।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الْفطر على التَّمْر فَإِن لم يجد فعلى المَاء
1642- وَرَوَاهُ أَبُو يعلى قَالَ كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يحب أَن يفْطر على ثَلَاث تمرات أَو شَيْء لم تصبه النَّار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৩
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ খুরমা দ্বারা ইফতার করার প্রতি উৎসাহ প্রদান, তা পাওয়া না গেলে পানি দ্বারাই ইফতার সেরে ফেলা
১৬৪৩. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: যার নিকট খুরমা রয়েছে, সে যেন তা দিয়েই ইফতার করে। আর যে খুরমা পেল না, সে যেন পানি দ্বারাই ইফতার করে ফেলে। কেননা এটি পবিত্রকারী।
(হাদীসটি ইব্‌ন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। হাকিমও এটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের বিশুদ্ধতার মাপকাঠিতে সহীহ।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الْفطر على التَّمْر فَإِن لم يجد فعلى المَاء
1643- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من وجد تَمرا فليفطر عَلَيْهِ وَمن لم يجد فليفطر على المَاء فَإِنَّهُ طهُور

رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
হাদীস নং: ১৬৪৪
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে আহার্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৬৪৪. হযরত যায়দ ইবন খালিদ জুহানী (রা) সূত্রে নবী করীম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন । যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, সে রোযাদারের সমান পুণ্য লাভ করবে। অথচ তাতে রোযাদারের পুণ্য মোটেও কমবে না।
(হাদীসটি তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের নিজ নিজ 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি সহীহ। ইবন খুযায়মা ও নাসাঈর ভাষ্যটি নিম্নরূপ: যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদকে (জিহাদের উপরকরণ দিয়ে) অথবা কোন হাজীকে সজ্জিত করে দিল* অথবা তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের পরিবার-পরিজনের দেখাশুনা করল, অথবা কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, সে তাদের সমপরিমাণ পুণ্য লাভ করবে। অথচ তাদের পুণ্য তাতে মোটেও কমবে না।

* প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে তাকে সাহায্য করল।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام
1644- عَن زيد بن خَالِد الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من فطر صَائِما كَانَ لَهُ مثل أجره غير أَنه لَا ينقص من أجر الصَّائِم شَيْء

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث صَحِيح
وَلَفظ ابْن خُزَيْمَة وَالنَّسَائِيّ من جهز غازيا أَو جهز حَاجا أَو خَلفه فِي أَهله أَو فطر صَائِما كَانَ لَهُ مثل أُجُورهم من غير أَن ينقص من أُجُورهم شَيْء
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারকে আহার্যদানের প্রতি উৎসাহ প্রদান
১৬৪৫. হযরত সালমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছন: হালাল খাদ্য ও পানীয় দিয়ে যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে, ফিরিশতাগণ রমযান মাসব্যাপী, তার জন্য দু'আ করতে থাকবে এবং লায়লাতুল কদরে জিবরাঈল (আ) তার জন্য দু'আ করবেন।
(হাদীসটি তাবারানী 'কবীর' নামক গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইব্‌ন হিব্বানও হাদীসটি তাঁর 'কিতাবুস সওয়াবে' বর্ণনা করেছেন। তবে সেখানে বলা হয়েছে: জিবরাঈল (আ) লায়লাতুল কদরে তার সাথে মুফাফাহা করবেন।)
এই বর্ণনায় এই অতিরিক্তটুকুও রয়েছে যে: জিবরাঈল (আ) যার সাথে মুসাফাহা করবেন, তার অন্তর কোমল হয়ে যাবে এবং তার অশ্রুপাতও বেশি হবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! বলুনতো যার কাছে এরূপ আহার্য নেই? তিনি বললেন, তাহলে একমুঠো খাদ্য। আমি বললাম তার কাছে যদি এক টুকরো রুটিও না থাকে? তিনি বললেন, তাহলে একঢোক দুধ। আমি বললাম, তাও যদি না থাকে? তিনি বললেন, তাহলে সামান্য পানি।
ইতিপূর্বে সালমান বর্ণিত হাদীসটি, যা ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, উল্লেখ করা হয়েছে, এতে এও রয়েছেঃ
যে ব্যক্তি রমযান মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করাবে তার গুনাহরাশি মাফ করে দেয়া হবে এবং জাহান্নাম থেকে তার গ্রীবা মুক্ত হবে। তাছাড়া রোযাদারের সমপরিমাণ পুণ্য তাকের দেয়া হবে। তবে রোযাদারের পুণ্যে কোন ঘাটতি আসবে না। সাহাবীগণ বললেন, আমাদের সবাইতো রোযাদারকে ইফতার করাতে সক্ষম নয়? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন, এই পুণ্য তো আল্লাহ্ এমন ব্যক্তিকেও দান করবেন যে কোন বোযাদারকে একটি খুরমা, সামান্য পানি অথবা দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে ইফতার করাবে ..... হাদীসের শেষ পর্যন্ত।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي إطْعَام الطَّعَام
1645- وَرُوِيَ عَن سلمَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من فطر صَائِما على طَعَام وشراب من حَلَال صلت عَلَيْهِ الْمَلَائِكَة فِي سَاعَات شهر رَمَضَان وَصلى عَلَيْهِ جِبْرَائِيل لَيْلَة الْقدر
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَأَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي كتاب الثَّوَاب إِلَّا أَنه قَالَ وَصَافحهُ جِبْرَائِيل لَيْلَة الْقدر
وَزَاد فِيهِ وَمن صافحه جِبْرَائِيل عَلَيْهِ السَّلَام يرق قلبه وتكثر دُمُوعه قَالَ فَقلت يَا رَسُول الله أَفَرَأَيْت من لم يكن عِنْده قَالَ فقبصة من طَعَام
قلت أَفَرَأَيْت إِن لم يكن عِنْده قَالَ فشربة من مَاء
القبصة بالصَّاد الْمُهْملَة هُوَ مَا يتَنَاوَلهُ الْآخِذ بأنامله الثَّلَاث
وَتقدم حَدِيث سلمَان الَّذِي رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَفِيه من فطر فِيهِ صَائِما يَعْنِي فِي رَمَضَان كَانَ مغْفرَة لذنوبه وَعتق رَقَبَة من النَّار وَكَانَ لَهُ مثل أجره من غير أَن
ينقص من أجره شَيْء
قَالُوا لَيْسَ كلنا يجد مَا يفْطر الصَّائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُعْطي الله هَذَا الثَّوَاب من فطر صَائِما على تَمْرَة أَو شربة مَاء أَو مذقة لبن
الحَدِيث
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬৪৬
অধ্যায়ঃ রোযা
পরিচ্ছেদঃ রোযাদারের নিকট বে-রোযাদারদের খাদ্য গ্রহণ প্রসঙ্গ
১৬৪৬. হযরত উম্মে উমারা আনসারিয়া (রা) থেকে বর্ণিত। যে, একবার নবী করীম ﷺ তাঁর কাছে আসলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সামনে খানা পেশ করলে তিনি বললেন, তুমিও খাও। উম্মে উমারা বললেন: আমি রোযাদার। রাসূলুল্লাহ্ তখন বললেন, রোযাদারের কাছে বসে যখন খানা খাওয়া হয়, তখন খানা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরিশতাগণ রোযাদারের জন্য দু'আ করতে থাকেন।
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন মাজাহ এবং ইব্‌ন খুযায়মা ও ইব্‌ন হিব্বানও হাদীসটি তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণনা করেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ।)
তিরমিযীর অন্য বর্ণনায় রয়েছে:
রোযাদারের কাছে বসে যখন বে-রোযাদারগণ খাদ্য গ্রহণ করে, তখন ফিরিশতাগণ তার জন্য দু'আ করে।
كتاب الصَّوْم
ترغيب الصَّائِم فِي أكل المفطرين عِنْده
1646- عَن أم عمَارَة الْأَنْصَارِيَّة رَضِي الله عَنْهَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم دخل عَلَيْهَا فَقدمت إِلَيْهِ طَعَاما فَقَالَ كلي فَقَالَت إِنِّي صَائِمَة فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الصَّائِم تصلي عَلَيْهِ الْمَلَائِكَة إِذا أكل عِنْده حَتَّى يفرغوا وَرُبمَا قَالَ حَتَّى يشبعوا

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث حسن صَحِيح
وَفِي رِوَايَة لِلتِّرْمِذِي الصَّائِم إِذا أكل عِنْده المفاطير صلت عَلَيْهِ الْمَلَائِكَة
tahqiq

তাহকীক: