আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৪০১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের জওয়াব দানের প্রতি উৎসাহ দান, কি ভাবে জওয়াব দেবে এবং আযানের পরে কি বলবে? (আযানের দু'আ)
৪০১. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ যখন মুআযযিনের কণ্ঠে আযানের ধ্বনি শুনতেন, তখন এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على مُحَمَّد وأعطه سؤله يَوْم الْقِيَامَة
"হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও উপকারী সালাতের তুমিই রব। তুমি দরূদ পাঠ কর মুহাম্মদ-এর প্রতি। তুমি আমার প্রতি এমনভাবে সন্তুষ্ট হও, যারপর আর কখনো অসন্তুষ্ট হবে না।"
তিনি তাঁর কাছের লোকদের তা পাঠ করতে শুনতেন এবং মুআযযিন যা বলে, তিনি তা শ্রোতাদের পাঠ করা পসন্দ করতেন। তিনি বলেন: মুআযযিনের আযান শুনে যে অনুরূপ বলবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য মুহাম্মদ-এর শাফা'আত ওয়াজিব হবে।
(তাবারানীর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এর শব্দমালা হলো: রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মুআযযিনের কন্ঠে আযান শুনতে পেতেন, তখন তিনি এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على عَبدك وَرَسُولك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة
"হে আল্লাহ্। এই পরিপূর্ণ আহবান ও সালাতের তুমিই রব। তুমি তোমার বান্দা ও রাসূলের প্রতি দরূদ বর্ষণ করণ এবং কিয়ামতের দিন তাঁর শাফাআত আমার নসীব করো।" রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন: আযানের সময় যে ব্যক্তি এই দু'আ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তাকে আমার শাফাআত দ্বারা ধন্য করবেন। এই সনদে সাদাকা ইবন আবদুল্লাহ সামীন নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।
اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على مُحَمَّد وأعطه سؤله يَوْم الْقِيَامَة
"হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান ও উপকারী সালাতের তুমিই রব। তুমি দরূদ পাঠ কর মুহাম্মদ-এর প্রতি। তুমি আমার প্রতি এমনভাবে সন্তুষ্ট হও, যারপর আর কখনো অসন্তুষ্ট হবে না।"
তিনি তাঁর কাছের লোকদের তা পাঠ করতে শুনতেন এবং মুআযযিন যা বলে, তিনি তা শ্রোতাদের পাঠ করা পসন্দ করতেন। তিনি বলেন: মুআযযিনের আযান শুনে যে অনুরূপ বলবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য মুহাম্মদ-এর শাফা'আত ওয়াজিব হবে।
(তাবারানীর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। এর শব্দমালা হলো: রাসূলুল্লাহ (সা) যখন মুআযযিনের কন্ঠে আযান শুনতে পেতেন, তখন তিনি এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على عَبدك وَرَسُولك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة
"হে আল্লাহ্। এই পরিপূর্ণ আহবান ও সালাতের তুমিই রব। তুমি তোমার বান্দা ও রাসূলের প্রতি দরূদ বর্ষণ করণ এবং কিয়ামতের দিন তাঁর শাফাআত আমার নসীব করো।" রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন: আযানের সময় যে ব্যক্তি এই দু'আ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তাকে আমার শাফাআত দ্বারা ধন্য করবেন। এই সনদে সাদাকা ইবন আবদুল্লাহ সামীন নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي إِجَابَة الْمُؤَذّن وبماذا يجِيبه وَمَا يَقُول بعد الْأَذَان
401 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول إِذا سمع الْمُؤَذّن اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على مُحَمَّد وأعطه سؤله يَوْم الْقِيَامَة وَكَانَ يسْمعهَا من حوله وَيُحب أَن يَقُولُوا مثل ذَلِك إِذا سمعُوا الْمُؤَذّن قَالَ وَمن قَالَ مثل ذَلِك إِذا سمع الْمُؤَذّن وَجَبت لَهُ شَفَاعَة مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط
وَلَفظه كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا سمع النداء قَالَ اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على عَبدك وَرَسُولك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ هَذَا عِنْد النداء جعله الله فِي شَفَاعَتِي يَوْم الْقِيَامَة
وَفِي إسنادهما صَدَقَة بن عبد الله السمين
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط
وَلَفظه كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا سمع النداء قَالَ اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة وَالصَّلَاة الْقَائِمَة صل على عَبدك وَرَسُولك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة
قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ هَذَا عِنْد النداء جعله الله فِي شَفَاعَتِي يَوْم الْقِيَامَة
وَفِي إسنادهما صَدَقَة بن عبد الله السمين
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪০২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের জওয়াব দানের প্রতি উৎসাহ দান, কি ভাবে জওয়াব দেবে এবং আযানের পরে কি বলবে? (আযানের দু'আ)
৪০২. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা আমার জন্য আল্লাহর কাছে ওয়াসিলার প্রার্থনা কর। কেননা যে ব্যক্তি দুনিয়ায় আমার জন্য ওয়াসিলার প্রার্থনা করবে, আমি কিয়ামতের দিন তার জন্য সাক্ষী হব অথবা শাফাআতকারী হব।
(তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক হাররানী হতে মূসা ইবন আয্যূন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ওয়ালীদ বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীদের মধ্যে অন্যতম। ইবন আয়্যুন বিশ্বস্ত ও খ্যাতিমান ব্যক্তি।)
(তাবারানী তাঁর 'আওসাতে' ওয়ালীদ ইবন আবদুল মালিক হাররানী হতে মূসা ইবন আয্যূন সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ওয়ালীদ বিশ্বস্ত বর্ণনাকারীদের মধ্যে অন্যতম। ইবন আয়্যুন বিশ্বস্ত ও খ্যাতিমান ব্যক্তি।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي إِجَابَة الْمُؤَذّن وبماذا يجِيبه وَمَا يَقُول بعد الْأَذَان
402 - وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم سلوا الله لي الْوَسِيلَة فَإِنَّهُ لم يسْأَلهَا لي عبد فِي الدُّنْيَا إِلَّا كنت لَهُ شَهِيدا أَو شَفِيعًا يَوْم الْقِيَامَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة الْوَلِيد بن عبد الْملك الْحَرَّانِي عَن مُوسَى بن أعين والوليد مُسْتَقِيم الحَدِيث فِيمَا رَوَاهُ عَن الثِّقَات وَابْن أعين ثِقَة مَشْهُور
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة الْوَلِيد بن عبد الْملك الْحَرَّانِي عَن مُوسَى بن أعين والوليد مُسْتَقِيم الحَدِيث فِيمَا رَوَاهُ عَن الثِّقَات وَابْن أعين ثِقَة مَشْهُور
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের জওয়াব দানের প্রতি উৎসাহ দান, কি ভাবে জওয়াব দেবে এবং আযানের পরে কি বলবে? (আযানের দু'আ)
৪০৩. তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে বর্ণিত আছে যে, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আযান শুনে বলেঃ
أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ وَأَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله اللَّهُمَّ صل على مُحَمَّد وبلغه دَرَجَة الْوَسِيلَة عنْدك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة
"আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ-এর প্রতি রহমত নাযিল কর এবং তোমার নিকট তাঁর ওয়াসিলার মর্যাদা বুলন্দ কর। কিয়ামতের দিন তাঁর শাফাআত আমাদের জন্য নির্ধারণ করো।" তার জন্য শাফাআত অবধারিত।
(হাদীসটির সনদে ইসহাক ইবন আবদুল্লাহ ইবন ফায়সাল নামে একজন রাবী রয়েছেন। তিনি সাধারণ সনদে হাদীস বর্ণনাকারী।)
أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ وَأَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله اللَّهُمَّ صل على مُحَمَّد وبلغه دَرَجَة الْوَسِيلَة عنْدك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة
"আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ-এর প্রতি রহমত নাযিল কর এবং তোমার নিকট তাঁর ওয়াসিলার মর্যাদা বুলন্দ কর। কিয়ামতের দিন তাঁর শাফাআত আমাদের জন্য নির্ধারণ করো।" তার জন্য শাফাআত অবধারিত।
(হাদীসটির সনদে ইসহাক ইবন আবদুল্লাহ ইবন ফায়সাল নামে একজন রাবী রয়েছেন। তিনি সাধারণ সনদে হাদীস বর্ণনাকারী।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي إِجَابَة الْمُؤَذّن وبماذا يجِيبه وَمَا يَقُول بعد الْأَذَان
403 - وَرَوَاهُ فِي الْكَبِير أَيْضا وَلَفظه قَالَ من سمع النداء فَقَالَ أشهد أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ وَأَن مُحَمَّدًا عَبده وَرَسُوله اللَّهُمَّ صل على مُحَمَّد وبلغه دَرَجَة الْوَسِيلَة عنْدك واجعلنا فِي شَفَاعَته يَوْم الْقِيَامَة وَجَبت لَهُ الشَّفَاعَة
وَفِيه إِسْحَاق بن عبد الله بن كيسَان وَهُوَ لين الحَدِيث
وَفِيه إِسْحَاق بن عبد الله بن كيسَان وَهُوَ لين الحَدِيث
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের জওয়াব দানের প্রতি উৎসাহ দান, কি ভাবে জওয়াব দেবে এবং আযানের পরে কি বলবে? (আযানের দু'আ)
৪০৪. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। যখন রাসূলুল্লাহ মুআযযিনের কণ্ঠে اشهد ان محمدا رسول الله বলতে শুনতেন, তখন তিনি বলতেন: আমিও, আর আমিও।
(আবু দাউদ নিজ শব্দযোগে, ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ।)
(আবু দাউদ নিজ শব্দযোগে, ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন: হাদীসটির সনদ সহীহ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي إِجَابَة الْمُؤَذّن وبماذا يجِيبه وَمَا يَقُول بعد الْأَذَان
404 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ إِذا سمع الْمُؤَذّن يتَشَهَّد قَالَ وَأَنا وَأَنا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ইকামত দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪০৫. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যখন সালাতের আযান দেওয়া হয়, তখন শয়তান বায়ু ছাড়তে ছাড়তে এমন স্থানে চলে যায়, যেন সে আযানের ধ্বনি শুনতে না পায়। আযানশেষে সে আবার ফিরে আসে, আবার ইকামতকালে চলে যায়।
(হাদীসটি ইতোপূর্বে এসেছে [التثويب] এখানে ইকামত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।)
(হাদীসটি ইতোপূর্বে এসেছে [التثويب] এখানে ইকামত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِقَامَة
405 - عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا نُودي بِالصَّلَاةِ أدبر الشَّيْطَان وَله ضراط حَتَّى لَا يسمع التأذين فَإِذا قضي الْأَذَان أقبل فَإِذا ثوب أدبر الحَدِيث تقدم وَالْمرَاد بالتثويب هُنَا الْإِقَامَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ইকামত দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪০৬. হযরত জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: যখন সালাতের ইকামত দেওয়া হয়, তখন আসমানের (রহমতের) দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দু'আ কবুল করা হয়।
(আহমদ (রা) ইবন লাহীয়া সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আহমদ (রা) ইবন লাহীয়া সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِقَامَة
406 - وَعَن جَابر رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا ثوب بِالصَّلَاةِ فتحت أَبْوَاب السَّمَاء واستجيب الدُّعَاء
رَوَاهُ أَحْمد من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة
رَوَاهُ أَحْمد من رِوَايَة ابْن لَهِيعَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ইকামত দেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪০৭. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: ইকামতের সময় এবং সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে জিহাদ করাকালীন সময়ের দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না।
(ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِقَامَة
407 - وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ساعتان لَا ترد على دَاع دَعوته حِين تُقَام الصَّلَاة وَفِي الصَّفّ فِي سَبِيل الله
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের পর বিনা ওযরে মসজিদ থেকে বের হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০৮. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মুআযযিনের আযানের পর (মসজিদ থেকে) বেরিয়ে গেল। তিনি বললেনঃ সে আবুল কাসিম-এর নাফরমানী করল। এরপর তিনি বললেনঃ রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন যে, মসজিদে থাকাকালে সালাতের আযান দেওয়া হলে তোমাদের কেউ যেন সালাত আদায় না করে মসজিদ থেকে বেরিয়ে না যায়।
(আহমদ নিজ শব্দযোগে সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন।
মাজাহ ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন মাজাহ শারীফে أمرنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন) এ কথার উল্লেখ নেই।)
(আহমদ নিজ শব্দযোগে সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। মুসলিম, আবূ দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবন।
মাজাহ ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে ইবন মাজাহ শারীফে أمرنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন) এ কথার উল্লেখ নেই।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْخُرُوج من الْمَسْجِد بعد الْأَذَان لغير عذر
408 - عَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ خرج رجل بَعْدَمَا أذن الْمُؤَذّن فَقَالَ أما هَذَا فقد عصى أَبَا الْقَاسِم صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثمَّ قَالَ أمرنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا كُنْتُم فِي الْمَسْجِد فَنُوديَ
بِالصَّلَاةِ فَلَا يخرج أحدكُم حَتَّى يُصَلِّي
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَإِسْنَاده صَحِيح وَرَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه دون قَوْله أمرنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الخ
بِالصَّلَاةِ فَلَا يخرج أحدكُم حَتَّى يُصَلِّي
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَإِسْنَاده صَحِيح وَرَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه دون قَوْله أمرنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الخ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪০৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের পর বিনা ওযরে মসজিদ থেকে বের হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪০৯. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার মসজিদে অবস্থানকালে আযান শুনবে এবং বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাবে এবং ফিরে আসবে না, সে অবশ্যই মুনাফিক।
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাটি দলীল হিসেবে গ্রহণ করা সহীহ।)
(তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাটি দলীল হিসেবে গ্রহণ করা সহীহ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْخُرُوج من الْمَسْجِد بعد الْأَذَان لغير عذر
409 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا يسمع النداء فِي مَسْجِدي هَذَا ثمَّ يخرج مِنْهُ إِلَّا لحَاجَة ثمَّ لَا يرجع إِلَيْهِ إِلَّا مُنَافِق
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের পর বিনা ওযরে মসজিদ থেকে বের হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১০. হযরত উসমান ইবন আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মসজিদে আযান শুনতে পেল, পরে সে কোন প্রয়োজন ছাড়াই বেরিয়ে গেল এবং ফিরে এলো না। সে মুনাফিক।
(ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْخُرُوج من الْمَسْجِد بعد الْأَذَان لغير عذر
410 - وَرُوِيَ عَن عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من أدْركهُ الْأَذَان فِي الْمَسْجِد ثمَّ خرج لم يخرج لحَاجَة وَهُوَ لَا يُرِيد الرّجْعَة فَهُوَ مُنَافِق
رَوَاهُ ابْن مَاجَه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযানের পর বিনা ওযরে মসজিদ থেকে বের হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৪১১. হযরত সা'ঈদ ইবন মুসায়্যাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: মুনাফিক ব্যতীত মসজিদ থেকে আযানের পর কেউ বের হয় না। তবে যদি কোন ওযরবশত কেউ বেরিয়ে যায় এবং প্রত্যাবর্তনের আশা রাখে, তবে তা ভিন্ন কথা।
(আবূ দাউদ তাঁর 'মারাসীলে' হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আবূ দাউদ তাঁর 'মারাসীলে' হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من الْخُرُوج من الْمَسْجِد بعد الْأَذَان لغير عذر
411 - وَعَن سعيد بن الْمسيب رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَا يخرج من الْمَسْجِد أحد بعد النداء إِلَّا مُنَافِق إِلَّا لعذر أخرجته حَاجَة وَهُوَ يُرِيد الرُّجُوع
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد فِي مراسيله
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد فِي مراسيله
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মাঝে দু'আ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১২. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আযান ও ইকামতের মধ্যকার দু‘আ প্রত্যাখ্যাত হয় না।
(আবু দাউদ, তিরমিযী নিজ শব্দে, নাসাঈ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, হিব্বানের বর্ণনায় আরো আছে যে,فَادعوا তোমরা দু'আ কর)। ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে যে, একদা সাহাবায়ে কিরাম বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি বলব? তিনি বললেনঃ তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করবে।)
(আবু দাউদ, তিরমিযী নিজ শব্দে, নাসাঈ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, হিব্বানের বর্ণনায় আরো আছে যে,فَادعوا তোমরা দু'আ কর)। ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে যে, একদা সাহাবায়ে কিরাম বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি বলব? তিনি বললেনঃ তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতের জীবনের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করবে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء بَين الْأَذَان وَالْإِقَامَة
412 - عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الدُّعَاء بَين الْأَذَان وَالْإِقَامَة لَا يرد
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَزَاد فَادعوا وَزَاد التِّرْمِذِيّ فِي رِوَايَة قَالُوا فَمَاذَا نقُول يَا رَسُول الله قَالَ سلوا الله الْعَافِيَة فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَزَاد فَادعوا وَزَاد التِّرْمِذِيّ فِي رِوَايَة قَالُوا فَمَاذَا نقُول يَا رَسُول الله قَالَ سلوا الله الْعَافِيَة فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মাঝে দু'আ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৩. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: দুই সময়ে আসমানের দরজা উন্মুক্ত করা হয় এবং তখন দু'আকারীর দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না। তাহল: ১. আযানের সময় এবং ২. সারিবদ্ধ হয়ে জিহাদ করার সময়।
অন্য শব্দে বর্ণিত আছে যে ثِنْتَانِ لَا تردان দুই সময়ের দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না। অথবা তিনি বলেছেন: আযান ও জিহাদের সময়ের দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না, যখন জিহাদে একে অন্যের উপর আক্রমণোদ্যত হয়।।
(আবু দাউদ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান (র) তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান আরো বলেছেন عِنْد حُضُور الصَّلَاة সালাতের সময়)।)
অন্য শব্দে বর্ণিত আছে যে ثِنْتَانِ لَا تردان দুই সময়ের দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না। অথবা তিনি বলেছেন: আযান ও জিহাদের সময়ের দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না, যখন জিহাদে একে অন্যের উপর আক্রমণোদ্যত হয়।।
(আবু দাউদ, ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান (র) তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন হিব্বান আরো বলেছেন عِنْد حُضُور الصَّلَاة সালাতের সময়)।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء بَين الْأَذَان وَالْإِقَامَة
413 - وَعَن سهل بن سعد رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ساعتان تفتح فيهمَا أَبْوَاب السَّمَاء وقلما ترد على دَاع دَعوته عِنْد حُضُور النداء والصف فِي سَبِيل الله
وَفِي لفظ قَالَ ثِنْتَانِ لَا تردان أَو قَالَ مَا يردان الدُّعَاء عِنْد النداء وَعند الْبَأْس حِين يلحم بعض بَعْضًا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا إِلَّا أَنه قَالَ فِي هَذِه عِنْد حُضُور الصَّلَاة
وَفِي لفظ قَالَ ثِنْتَانِ لَا تردان أَو قَالَ مَا يردان الدُّعَاء عِنْد النداء وَعند الْبَأْس حِين يلحم بعض بَعْضًا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا إِلَّا أَنه قَالَ فِي هَذِه عِنْد حُضُور الصَّلَاة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মাঝে দু'আ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৪. হযরত সাহল ইবন সা'দ (রা)-এর বর্ণনায় আছে যে, দুই সময়ে দু'আকারীর দু'আ প্রত্যাখ্যাত হয় না। তা হলঃ ১. সালাতের ইকামতকালে এবং ২. সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে জিহাদকালীন সময়ে।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন এবং মালিক (র) মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেন।)
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন এবং মালিক (র) মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء بَين الْأَذَان وَالْإِقَامَة
414 - وَفِي رِوَايَة لَهُ ساعتان لَا ترد على دَاع دَعوته حِين تُقَام الصَّلَاة وَفِي الصَّفّ فِي سَبِيل الله
وَرَوَاهُ الْحَاكِم وَصَححهُ وَرَوَاهُ مَالك مَوْقُوفا
وَرَوَاهُ الْحَاكِم وَصَححهُ وَرَوَاهُ مَالك مَوْقُوفا
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মাঝে দু'আ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৫. হযরত আবূ উমামা (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: মুআযযিন যখন আযান দেয়, তখন আসমানের দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং দু'আ কবুল করা হয়। যখন কারো উপর বিপদ আসে অথবা মুসীবত আসে, তখন সে যেন মুআযযিনের আযানের অপেক্ষায় থাকে। আর সে যখন আল্লাহু আকবর বলে, তখন সেও যেন আল্লাহু আকবার বলে। যখন সে আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ (সা) বলে, তখন সেও যেন আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ (সা) বলে। যখন সে হাইয়্যা আলাস সালাহ বলে, তখন সেও যেন হাইয়্যা আলাস সালাহ বলে। যখন সে হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলে, সেও যেন হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলে এরপর সে যেন নিম্নোক্ত দু'আ পাঠ করেঃ
اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة الصادقة المستجابة المستجاب لَهَا دَعْوَة الْحق وَكلمَة التَّقْوَى أحينا عَلَيْهَا وأمتنا عَلَيْهَا وابعثنا عَلَيْهَا واجعلنا من خِيَار أَهلهَا أَحيَاء وأمواتا
হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ সত্যের আহ্বান যা গ্রহণীয় ও গৃহীত, যা সত্যের আহ্বান, যা তাকওয়ার বাণী, আপনি আমাদেরকে এর উপর জীবিত রাখুন, এর উপর মৃত্যু দিন এবং এর উপরই আমাদের পুনরুত্থান করুন। আমাদের জীবনে মরণে এই দলের সর্বোত্তম করুন।"
এরপর আল্লাহর কাছে নিজ প্রয়োজনের কথা প্রার্থনা করবে।
হাকিম উফায়র ইবন মাদান হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। যিনি একজন অজ্ঞাত রাবী। হাকিম বলেনঃ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।
[فليتحين الْمُنَادِي] মুআযযিন যখন আযান দেয়, তখন সে যেন দু'আ করার প্রতীক্ষায় থাকে। তাহলে তার দু'আ কবুল করা হবে। এরপর সে আল্লাহর কাছে তার প্রয়োজনীয় বিষয় প্রার্থনা করবে
اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة الصادقة المستجابة المستجاب لَهَا دَعْوَة الْحق وَكلمَة التَّقْوَى أحينا عَلَيْهَا وأمتنا عَلَيْهَا وابعثنا عَلَيْهَا واجعلنا من خِيَار أَهلهَا أَحيَاء وأمواتا
হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ সত্যের আহ্বান যা গ্রহণীয় ও গৃহীত, যা সত্যের আহ্বান, যা তাকওয়ার বাণী, আপনি আমাদেরকে এর উপর জীবিত রাখুন, এর উপর মৃত্যু দিন এবং এর উপরই আমাদের পুনরুত্থান করুন। আমাদের জীবনে মরণে এই দলের সর্বোত্তম করুন।"
এরপর আল্লাহর কাছে নিজ প্রয়োজনের কথা প্রার্থনা করবে।
হাকিম উফায়র ইবন মাদান হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। যিনি একজন অজ্ঞাত রাবী। হাকিম বলেনঃ হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।
[فليتحين الْمُنَادِي] মুআযযিন যখন আযান দেয়, তখন সে যেন দু'আ করার প্রতীক্ষায় থাকে। তাহলে তার দু'আ কবুল করা হবে। এরপর সে আল্লাহর কাছে তার প্রয়োজনীয় বিষয় প্রার্থনা করবে
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء بَين الْأَذَان وَالْإِقَامَة
415 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِذا نَادَى الْمُنَادِي فتحت أَبْوَاب السَّمَاء واستجيب الدُّعَاء فَمن نزل بِهِ كرب أَو شدَّة فليتحين الْمُنَادِي فَإِذا كبر كبر وَإِذا تشهد تشهد وَإِذا قَالَ حَيّ على الصَّلَاة قَالَ حَيّ على الصَّلَاة وَإِذا قَالَ حَيّ على الْفَلاح قَالَ حَيّ على الْفَلاح ثمَّ يَقُول اللَّهُمَّ رب هَذِه الدعْوَة التَّامَّة الصادقة المستجابة المستجاب لَهَا دَعْوَة الْحق وَكلمَة التَّقْوَى أحينا عَلَيْهَا وأمتنا عَلَيْهَا وابعثنا عَلَيْهَا واجعلنا من خِيَار أَهلهَا أَحيَاء وأمواتا ثمَّ يسْأَل الله حَاجته
رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة عفير بن معدان وَهُوَ واه وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَوْله فليتحين الْمُنَادِي أَي ينْتَظر بدعوته حِين يُؤذن الْمُؤَذّن فَيُجِيبهُ ثمَّ يسْأَل الله تَعَالَى حَاجته
رَوَاهُ الْحَاكِم من رِوَايَة عفير بن معدان وَهُوَ واه وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد
قَوْله فليتحين الْمُنَادِي أَي ينْتَظر بدعوته حِين يُؤذن الْمُؤَذّن فَيُجِيبهُ ثمَّ يسْأَل الله تَعَالَى حَاجته
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ আযান ও ইকামতের মাঝে দু'আ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি বলল: ইয়া রাসূলুল্লাহ(সা) মুআযযিনগণ তো আমাদের চেয়ে অধিক মর্যাদা লাভ করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তাদের অনুরূপ তুমিও বলবে। আর যখন বলা শেষ করবে, তখন তুমি যা প্রার্থনা করবে, তোমাকে তা দেওয়া হবে।
(আবূ দাউদ, নাসাঈ ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁদের দু'জনের বর্ণনায় فسل تعطه এর স্থলে فسل تعط বলেছেন।)
(আবূ দাউদ, নাসাঈ ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁদের দু'জনের বর্ণনায় فسل تعطه এর স্থলে فسل تعط বলেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الدُّعَاء بَين الْأَذَان وَالْإِقَامَة
416 - وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رجلا قَالَ يَا رَسُول الله إِن المؤذنين يفضلوننا فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قل كَمَا يَقُولُونَ فَإِذا انْتَهَيْت فسل تعطه
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالا تعط بِغَيْر هَاء
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَقَالا تعط بِغَيْر هَاء
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রয়োজনীয় স্থানে মসজিদ নির্মাণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৭. হযরত উসমান ইব্ন আফফান (রা) থেকে বর্ণিত। যখন তিনি রাসূলুল্লাহ (সা) এর মসজিদ নির্মাণ করেন, তখন লোকেরা তাঁর সমালোচনা করে। তখন তিনি বলেনঃ আমার ব্যাপারে তোমরা খুব বাড়াবাড়ি করছ। অথচ আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে বালাখানা তৈরি করবেন।
অন্য বর্ণনায় আছে: জান্নাতে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য অনুরূপ বালাখানা তৈরি করবেন।
(বুখারী মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
অন্য বর্ণনায় আছে: জান্নাতে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য অনুরূপ বালাখানা তৈরি করবেন।
(বুখারী মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي بِنَاء الْمَسَاجِد فِي الْأَمْكِنَة المحتاجة إِلَيْهَا
417 - وَعَن عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ أَنه قَالَ عِنْد قَول النَّاس فِيهِ حِين بنى مَسْجِد رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّكُم أَكثرْتُم عَليّ وَإِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من بنى مَسْجِدا
يَبْتَغِي بِهِ وَجه الله بنى الله لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة وَفِي رِوَايَة بنى الله لَهُ مثله فِي الْجنَّة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
يَبْتَغِي بِهِ وَجه الله بنى الله لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة وَفِي رِوَايَة بنى الله لَهُ مثله فِي الْجنَّة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَغَيرهمَا
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রয়োজনীয় স্থানে মসজিদ নির্মাণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৮. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তিতির পাখির বাসার অনুরূপ একটি মসজিদ তৈরি করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে বালাখানা তৈরি করবেন।
(বাযযার নিজ শব্দযোগে, তাবারানী 'সগীর' গ্রন্থে ও ইবন হিব্বান 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(বাযযার নিজ শব্দযোগে, তাবারানী 'সগীর' গ্রন্থে ও ইবন হিব্বান 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي بِنَاء الْمَسَاجِد فِي الْأَمْكِنَة المحتاجة إِلَيْهَا
418 - وَعَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من بنى لله مَسْجِدا قدر مفحص قطاة بنى الله لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة
رَوَاهُ الْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَالطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ الْبَزَّار وَاللَّفْظ لَهُ وَالطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৪১৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রয়োজনীয় স্থানে মসজিদ নির্মাণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪১৯. হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমন মসজিদ তৈরি করবে, যেখানে তাঁর যিকির করা হবে, তার জন্য আল্লাহ তা'আলা একটি বালাখানা তৈরি করবেন।
(ইবন মাজাহ ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(ইবন মাজাহ ইবন হিব্বানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي بِنَاء الْمَسَاجِد فِي الْأَمْكِنَة المحتاجة إِلَيْهَا
419 - وَعَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من بنى لله مَسْجِدا يذكر فِيهِ بنى الله لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ প্রয়োজনীয় স্থানে মসজিদ নির্মাণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৪২০. হযরত জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পানির কূপ খনন করবে, আর তা থেকে যে কোন পিপাসার্ত আত্মা যেমন জিন্ন, ইনসান ও (পশু) পাখি পানি পান করুক না কেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তাকে পুরস্কার দেবেন। আর যে ব্যক্তি তিতির পাখির বাসার অনুরূপ একটি মসজিদ কিংবা তদপেক্ষা ছোট মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তা'আলা তার জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরি করে রাখবেন।
(ইবন খুযায়মা 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। আর ইবন মাজাহ (রা) কেবল الْمَسْجِد (মসজিদ) শব্দের উল্লেখ করেছেন। সনদের দিক থেকে হাদীসটি সহীহ। আহমদ ও বাযযার হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে لبيضها শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছেন।)
(ইবন খুযায়মা 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। আর ইবন মাজাহ (রা) কেবল الْمَسْجِد (মসজিদ) শব্দের উল্লেখ করেছেন। সনদের দিক থেকে হাদীসটি সহীহ। আহমদ ও বাযযার হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে لبيضها শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي بِنَاء الْمَسَاجِد فِي الْأَمْكِنَة المحتاجة إِلَيْهَا
420 - وَعَن جَابر بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من حفر بِئْر مَاء لم يشرب مِنْهُ كبد حرى من جن وَلَا إنس وَلَا طَائِر إِلَّا آجره الله يَوْم الْقِيَامَة وَمن بنى لله مَسْجِدا كمفحص قطاة أَو أَصْغَر بنى الله لَهُ بَيْتا فِي الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وروى ابْن مَاجَه مِنْهُ ذكر الْمَسْجِد فَقَط بِإِسْنَاد صَحِيح وَرَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار عَن ابْن عَبَّاس عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا كمفحص قطاة لبيضها
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وروى ابْن مَاجَه مِنْهُ ذكر الْمَسْجِد فَقَط بِإِسْنَاد صَحِيح وَرَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار عَن ابْن عَبَّاس عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِلَّا أَنَّهُمَا قَالَا كمفحص قطاة لبيضها
তাহকীক: