আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৬৮১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৮১. হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) ফজরের সালাত আদায় করার পর সূর্য পূর্ণরূপে উদিত হওয়া পর্যন্ত মুসাল্লায় চার জানু হয়ে বসে থাকতেন।
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাবারানীর বর্ণনার শব্দমালা হলঃ সূর্যোদয় হওয়া অবধি তিনি ফজরের সালাত আদায় করে মুসাল্লায় যিকর করতেন। ইবন খুযায়মা নিজ শব্দযোগে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: সিমাক থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের সালাত আদায় শেষে কি করতেন? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের সালাত আদায় করে সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত মুসাল্লায় বসে থাকতেন।)
(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাবারানীর বর্ণনার শব্দমালা হলঃ সূর্যোদয় হওয়া অবধি তিনি ফজরের সালাত আদায় করে মুসাল্লায় যিকর করতেন। ইবন খুযায়মা নিজ শব্দযোগে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: সিমাক থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত জাবির ইবন সামুরা (রা)-কে জিজ্ঞাসা করলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের সালাত আদায় শেষে কি করতেন? তিনি বললেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের সালাত আদায় করে সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত মুসাল্লায় বসে থাকতেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
681 - وَعَن جَابر بن سَمُرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كَانَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا صلى الْفجْر تربع فِي مَجْلِسه حَتَّى تطلع الشَّمْس حسنا
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ وَلَفظه كَانَ إِذا صلى الصُّبْح جلس يذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ عَن سماك أَنه سَأَلَ جَابر بن سَمُرَة كَيفَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يصنع إِذا صلى الصُّبْح قَالَ كَانَ يقْعد فِي مُصَلَّاهُ إِذا صلى الصُّبْح حَتَّى تطلع الشَّمْس
رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَالطَّبَرَانِيّ وَلَفظه كَانَ إِذا صلى الصُّبْح جلس يذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه قَالَ عَن سماك أَنه سَأَلَ جَابر بن سَمُرَة كَيفَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يصنع إِذا صلى الصُّبْح قَالَ كَانَ يقْعد فِي مُصَلَّاهُ إِذا صلى الصُّبْح حَتَّى تطلع الشَّمْس
হাদীস নং: ৬৮২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮২. হযরত আবু যর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায়ের পর মুসাল্লায় সালাতের ন্যায় বসে কারো সাথে কথা বলার আগে দশবার নিম্ন বর্ণিত (দু'আ) পাঠ করবে:
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁর। সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ তাকে দশটি নেকী দান করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন। আর সেদিন সে থাকবে যাবতীয় বিপদাপদ থেকে মুক্ত এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে তাকে নিরাপদ রাখা হবে, আর সেদিন তার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করা হবে, তবে আল্লাহর সাথে শিরক ব্যতীত।
(ইমাম তিরমিযী নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব-সহীহ। ইমাম নাসাঈ তাঁর বর্ণনাতে আরো বলেছেন: তাঁর হাতেই রয়েছে প্রভূত কল্যাণ। তিনি আরো বাড়িয়ে বলেছেন: তার প্রত্যেকবার পাঠের বিনিময়ে এক-একটি মুমিন দাস মুক্তির সওয়াব রয়েছে।
ইমাম নাসাঈ হযরত মুআয (রা) সূত্রে আরো বাড়িয়ে বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের সালাত আদায় করে এ যিকর পাঠ করবে, সারারাত পড়লে যে সওয়াব হবে, তাকে তা-ই দেয়া হবে।)
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁর। সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ তাকে দশটি নেকী দান করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন। আর সেদিন সে থাকবে যাবতীয় বিপদাপদ থেকে মুক্ত এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে তাকে নিরাপদ রাখা হবে, আর সেদিন তার যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করা হবে, তবে আল্লাহর সাথে শিরক ব্যতীত।
(ইমাম তিরমিযী নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেনঃ হাদীসটি হাসান-গরীব-সহীহ। ইমাম নাসাঈ তাঁর বর্ণনাতে আরো বলেছেন: তাঁর হাতেই রয়েছে প্রভূত কল্যাণ। তিনি আরো বাড়িয়ে বলেছেন: তার প্রত্যেকবার পাঠের বিনিময়ে এক-একটি মুমিন দাস মুক্তির সওয়াব রয়েছে।
ইমাম নাসাঈ হযরত মুআয (রা) সূত্রে আরো বাড়িয়ে বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের সালাত আদায় করে এ যিকর পাঠ করবে, সারারাত পড়লে যে সওয়াব হবে, তাকে তা-ই দেয়া হবে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
682 - عَن أبي ذَر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ فِي دبر صَلَاة الْفجْر وَهُوَ ثَان رجلَيْهِ قبل أَن يتَكَلَّم لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات كتب الله لَهُ عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات وَكَانَ يَوْمه ذَلِك كُله فِي حرز من كل مَكْرُوه وحرس من الشَّيْطَان وَلم يَنْبغ لذنب أَن يُدْرِكهُ فِي ذَلِك الْيَوْم إِلَّا الشّرك بِاللَّه تَعَالَى
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب صَحِيح وَالنَّسَائِيّ وَزَاد فِيهِ بِيَدِهِ الْخَيْر وَزَاد فِيهِ أَيْضا وَكَانَ لَهُ بِكُل وَاحِدَة قَالَهَا عتق رَقَبَة مُؤمنَة
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ أَيْضا من حَدِيث معَاذ وَزَاد فِيهِ من قالهن حِين ينْصَرف من صَلَاة الْعَصْر أعطي مثل ذَلِك فِي ليلته
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب صَحِيح وَالنَّسَائِيّ وَزَاد فِيهِ بِيَدِهِ الْخَيْر وَزَاد فِيهِ أَيْضا وَكَانَ لَهُ بِكُل وَاحِدَة قَالَهَا عتق رَقَبَة مُؤمنَة
وَرَوَاهُ النَّسَائِيّ أَيْضا من حَدِيث معَاذ وَزَاد فِيهِ من قالهن حِين ينْصَرف من صَلَاة الْعَصْر أعطي مثل ذَلِك فِي ليلته
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৩. হযরত হারিস ইবন মুসলিম তামিমী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী আমাকে বলেছেন: ফজরের সালাত আদায় করে কথা বলার আগে তুমি সাতবার বলবে اللَّهُمَّ أجرني من النَّار “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দাও।" আর তুমি যদি সেদিন মাঁরা যাও, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেবেন। আর মাগরিবের সালাত আদায় করে কথা বলার আগে তুমি সাতবার বলবে اللَّهُمَّ أجرني من النَّار “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দাও।" আর তুমি যদি সে রাতে মারা যাও, তাহলে আল্লাহ তোমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেবেন।
(ইমাম নাসাঈ উপরোক্ত শব্দযোগে এবং আবু দাউদ হারিস ইবন মুসলিম সূত্রে তদীয় পিতা মুসলিম ইবন হারিস থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবূ যুরআ এবং আবূ হাতীম রাযী বলেছেন: সঠিক কথা হল হারিস ইবন মুসলিম একজন তাবিঈ।
(ইমাম নাসাঈ উপরোক্ত শব্দযোগে এবং আবু দাউদ হারিস ইবন মুসলিম সূত্রে তদীয় পিতা মুসলিম ইবন হারিস থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবূ যুরআ এবং আবূ হাতীম রাযী বলেছেন: সঠিক কথা হল হারিস ইবন মুসলিম একজন তাবিঈ।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
683 - وَعَن الْحَارِث بن مُسلم التَّمِيمِي رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ لي النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا صليت الصُّبْح فَقل قبل أَن تَتَكَلَّم اللَّهُمَّ أجرني من النَّار سبع مَرَّات فَإنَّك إِن مت من يَوْمك كتب الله لَك جوارا من النَّار وَإِذا صليت الْمغرب فَقل قبل أَن تَتَكَلَّم اللَّهُمَّ أجرني من النَّار سبع مَرَّات فَإنَّك إِن مت من ليلتك كتب الله لَك جوارا من النَّار
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَهَذَا لَفظه وَأَبُو دَاوُد عَن الْحَارِث بن مُسلم عَن أَبِيه مُسلم بن الْحَارِث
قَالَ الْحَافِظ وَهُوَ الصَّوَاب لِأَن الْحَارِث بن مُسلم تَابِعِيّ قَالَه أَبُو زرْعَة وَأَبُو حَاتِم الرَّازِيّ
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَهَذَا لَفظه وَأَبُو دَاوُد عَن الْحَارِث بن مُسلم عَن أَبِيه مُسلم بن الْحَارِث
قَالَ الْحَافِظ وَهُوَ الصَّوَاب لِأَن الْحَارِث بن مُسلم تَابِعِيّ قَالَه أَبُو زرْعَة وَأَبُو حَاتِم الرَّازِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৪. হযরত ইমারা ইবন শাবীব সাবায়ী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায় করে দশবার বলবেঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁর। সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি সমস্ত বস্তুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ শয়তান থেকে হিফাযত করার জন্য তার কাছে ফজর পর্যন্ত একজন সশস্ত্র ফিরিশতা নিয়োগ করে রাখবেন, তাঁকে দান করবেন অবধারিত দশটি নেকী এবং ক্ষমা করে দিবেন তার দশটি ধ্বংসাত্মক গুনাহ এবং তা হবে তার জন্য দশজন মুমিন দাস স্বাধীন করার সওয়াব সমতুল্য।
(নাসাঈ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান। তবে আমি লায়স ইবন সা'দ ব্যতীত এর অন্য সনদ জানি না এবং আরো জানি না যে, ইমারা (রা) সরাসরি নবী শুনেছেন কি না।)
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁর। সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি সমস্ত বস্তুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ শয়তান থেকে হিফাযত করার জন্য তার কাছে ফজর পর্যন্ত একজন সশস্ত্র ফিরিশতা নিয়োগ করে রাখবেন, তাঁকে দান করবেন অবধারিত দশটি নেকী এবং ক্ষমা করে দিবেন তার দশটি ধ্বংসাত্মক গুনাহ এবং তা হবে তার জন্য দশজন মুমিন দাস স্বাধীন করার সওয়াব সমতুল্য।
(নাসাঈ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান। তবে আমি লায়স ইবন সা'দ ব্যতীত এর অন্য সনদ জানি না এবং আরো জানি না যে, ইমারা (রা) সরাসরি নবী শুনেছেন কি না।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
684 - وَعَن عمَارَة بن شبيب السبائي رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات على إِثْر الْمغرب بعث الله لَهُ مسلحة يَحْفَظُونَهُ من الشَّيْطَان حَتَّى يصبح وَكتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات مُوجبَات ومحا عَنهُ عشر سيئات موبقات وَكَانَت لَهُ بِعدْل عشر رقبات مؤمنات
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث لَيْث بن سعد وَلَا نَعْرِف لعمارة سَمَاعا من النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن لَا نعرفه إِلَّا من حَدِيث لَيْث بن سعد وَلَا نَعْرِف لعمارة سَمَاعا من النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৫. হযরত আবূ আইয়ুব (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালবেলা দশবারঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী"। আল্লাহ তাকে দশটি নেকী দেবেন, তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন, এগুলো তার জন্য হবে চারটি দাসমুক্তি (সওয়াবের) সমতুল্য এবং তা তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিফাযত করবে। আর যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায়ের পর উপরোক্ত বাক্যগুলো বলবে, ফজর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাকে অনুরূপ সওয়াব দেবেন।
(আহমদ ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর ইবন হিব্বান নিম্নেক্ত শব্দযোগে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন: "এগুলো হবে তার জন্য দশটি দাস মুক্তির সমতুল্য"।)
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী"। আল্লাহ তাকে দশটি নেকী দেবেন, তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন, এগুলো তার জন্য হবে চারটি দাসমুক্তি (সওয়াবের) সমতুল্য এবং তা তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিফাযত করবে। আর যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায়ের পর উপরোক্ত বাক্যগুলো বলবে, ফজর হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাকে অনুরূপ সওয়াব দেবেন।
(আহমদ ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আর ইবন হিব্বান নিম্নেক্ত শব্দযোগে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন: "এগুলো হবে তার জন্য দশটি দাস মুক্তির সমতুল্য"।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
685 - وَعَن أبي أَيُّوب رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قَالَ إِذا أصبح لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد وَهُوَ على كل شَيْء قدير
عشر مَرَّات كتب الله لَهُ بِهن عشر حَسَنَات ومحا بِهن عشر سيئات وَرفع لَهُ بِهن عشر دَرَجَات وَكن لَهُ عدل عتاقة أَربع رِقَاب وَكن لَهُ حرسا حَتَّى يُمْسِي وَمن قالهن إِذا صلى الْمغرب دبر صلَاته فَمثل ذَلِك حَتَّى يصبح
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَهَذَا لَفظه
وَفِي رِوَايَة لَهُ وَكن لَهُ عدل عشر رِقَاب
عشر مَرَّات كتب الله لَهُ بِهن عشر حَسَنَات ومحا بِهن عشر سيئات وَرفع لَهُ بِهن عشر دَرَجَات وَكن لَهُ عدل عتاقة أَربع رِقَاب وَكن لَهُ حرسا حَتَّى يُمْسِي وَمن قالهن إِذا صلى الْمغرب دبر صلَاته فَمثل ذَلِك حَتَّى يصبح
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَهَذَا لَفظه
وَفِي رِوَايَة لَهُ وَكن لَهُ عدل عشر رِقَاب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৬. হযরত মুআয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্ললাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে দশবার বলবে: لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর, তাঁর হাতেই প্রভৃত কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ তা'আলা তাকে সাতটি মর্যাদা দান করবেন, তাকে আল্লাহ দশটি নেকী দেবেন, তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন, দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন, তা হবে দশটি পশু (আল্লাহর পথে) দানের সমতুল্য, এগুলো হবে তার জন্য শয়তান থেকে হিফাযতকারী, বিপদ মুক্তকারী, আর সেদিন শিরক ব্যতীত তার অন্য গুনাহ হবে না (অর্থাৎ কেবল কবীরা গুণাহ ধর্তব্য হবে, সগীরা গুনাহ ক্ষমা করা হবে)। অনুরূপ যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায়ের পর এ বাকগুলো বলবে, তাকে সারারাত অনুরূপ সওয়াব দেওয়া হবে।
(ইবন আবিদ-দুনিয়া এবং তাবারানী নিজ শব্দযোগে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর, তাঁর হাতেই প্রভৃত কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ তা'আলা তাকে সাতটি মর্যাদা দান করবেন, তাকে আল্লাহ দশটি নেকী দেবেন, তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন, দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন, তা হবে দশটি পশু (আল্লাহর পথে) দানের সমতুল্য, এগুলো হবে তার জন্য শয়তান থেকে হিফাযতকারী, বিপদ মুক্তকারী, আর সেদিন শিরক ব্যতীত তার অন্য গুনাহ হবে না (অর্থাৎ কেবল কবীরা গুণাহ ধর্তব্য হবে, সগীরা গুনাহ ক্ষমা করা হবে)। অনুরূপ যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায়ের পর এ বাকগুলো বলবে, তাকে সারারাত অনুরূপ সওয়াব দেওয়া হবে।
(ইবন আবিদ-দুনিয়া এবং তাবারানী নিজ শব্দযোগে উত্তম সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
686 - وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ حِين ينْصَرف من صَلَاة الْغَدَاة لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات أعطي بِهن سبعا كتب الله لَهُ بِهن عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ بِهن عشر سيئات وَرفع لَهُ بِهن عشر دَرَجَات وَكن لَهُ عدل عشر نسمات وَكن لَهُ حفظا من الشَّيْطَان وحرزا من الْمَكْرُوه وَلم يلْحقهُ فِي ذَلِك الْيَوْم ذَنْب إِلَّا الشّرك بِاللَّه وَمن قالهن حِين ينْصَرف من صَلَاة الْمغرب أعطي مثل ذَلِك ليلته
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن وَاللَّفْظ لَهُ
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا وَالطَّبَرَانِيّ بِإِسْنَاد حسن وَاللَّفْظ لَهُ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৭. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত
আদায় করে (মুসাল্লায়) সালাতের সূরাতে বসে একশবার বলবেঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন, তাঁর হাতেই প্রভৃত কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" সে হবে পৃথিবীবাসীর মধ্যে আমলের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ, তবে যে ব্যক্তি তার ন্যায় বলবে, তার জন্যও অনুরূপ সওয়াব রয়েছে। অথবা যা সে বলেছে তদপেক্ষা বেশি।
হাদীসটি তাবারানী উত্তম সনদে 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং 'কাবীর' গ্রন্থে হযরত আবুদ-দারদা (রা) সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে কথা বলার পূর্বে দশবার বলবে:
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা, তিনি জীবন দেন এবং তিনি মৃত্যু দেন, তাঁর হাতেই প্রভৃত কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ তা'আলা তাকে প্রতিবারের বিনিময়ে দশটি করে নেকী দেবেন। দশটি পাপ মোচন করবেন এবং দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন। আর সেদিন তা তাকে যাবতীয় বিপদ থেকে মুক্ত রাখবে এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে হিফাযত করবে। আর প্রতিবার পাঠের বিনিময়ে রয়েছে, এক-একটি ইসমাঈল বংশীয় দাস মুক্তির সওয়াব। আর তার প্রতিটি দাসের মূল্য রয়েছে বার হাজার দিরহাম। সেদিন তার কোন গুনাহ থাকবে না, তবে আল্লাহর সাথে শিরক ব্যতীত। যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায় করে অনুরূপ বলবে, তার জন্য রয়েছে অনুরূপ সওয়াব।
আদায় করে (মুসাল্লায়) সালাতের সূরাতে বসে একশবার বলবেঃ
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, সকল প্রশংসা তাঁর। তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন, তাঁর হাতেই প্রভৃত কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" সে হবে পৃথিবীবাসীর মধ্যে আমলের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ, তবে যে ব্যক্তি তার ন্যায় বলবে, তার জন্যও অনুরূপ সওয়াব রয়েছে। অথবা যা সে বলেছে তদপেক্ষা বেশি।
হাদীসটি তাবারানী উত্তম সনদে 'আওসাত' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং 'কাবীর' গ্রন্থে হযরত আবুদ-দারদা (রা) সূত্রে নিম্নোক্ত শব্দযোগে বর্ণনা করেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে কথা বলার পূর্বে দশবার বলবে:
لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর, তাঁরই সমস্ত প্রশংসা, তিনি জীবন দেন এবং তিনি মৃত্যু দেন, তাঁর হাতেই প্রভৃত কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপর শক্তিশালী।" আল্লাহ তা'আলা তাকে প্রতিবারের বিনিময়ে দশটি করে নেকী দেবেন। দশটি পাপ মোচন করবেন এবং দশটি মর্যাদা সমুন্নত করবেন। আর সেদিন তা তাকে যাবতীয় বিপদ থেকে মুক্ত রাখবে এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে হিফাযত করবে। আর প্রতিবার পাঠের বিনিময়ে রয়েছে, এক-একটি ইসমাঈল বংশীয় দাস মুক্তির সওয়াব। আর তার প্রতিটি দাসের মূল্য রয়েছে বার হাজার দিরহাম। সেদিন তার কোন গুনাহ থাকবে না, তবে আল্লাহর সাথে শিরক ব্যতীত। যে ব্যক্তি মাগরিবের সালাত আদায় করে অনুরূপ বলবে, তার জন্য রয়েছে অনুরূপ সওয়াব।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
687 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قَالَ دبر صَلَاة الْغَدَاة لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير مائَة مرّة قبل أَن يثني رجلَيْهِ كَانَ يَوْمئِذٍ من أفضل أهل الأَرْض عملا إِلَّا من قَالَ مثل مَا قَالَ أَو زَاد على مَا قَالَ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد جيد وَرَوَاهُ فِيهِ وَفِي الْكَبِير أَيْضا من حَدِيث أبي الدَّرْدَاء وَلَفظه من قَالَ بعد صَلَاة الصُّبْح وَهُوَ ثَان رجلَيْهِ قبل أَن يتَكَلَّم لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات
كتب الله لَهُ بِكُل مرّة عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات وَكن لَهُ فِي يَوْمه ذَلِك حرْزا من كل مَكْرُوه وحرسا من الشَّيْطَان الرَّجِيم وَكَانَ لَهُ بِكُل مرّة عتق رَقَبَة من ولد إِسْمَاعِيل ثمن كل رَقَبَة اثْنَا عشر ألفا وَلم يلْحقهُ يَوْمئِذٍ ذَنْب إِلَّا الشّرك بِاللَّه وَمن قَالَ ذَلِك بعد صَلَاة الْمغرب كَانَ لَهُ مثل ذَلِك
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد جيد وَرَوَاهُ فِيهِ وَفِي الْكَبِير أَيْضا من حَدِيث أبي الدَّرْدَاء وَلَفظه من قَالَ بعد صَلَاة الصُّبْح وَهُوَ ثَان رجلَيْهِ قبل أَن يتَكَلَّم لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت بِيَدِهِ الْخَيْر وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات
كتب الله لَهُ بِكُل مرّة عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات وَكن لَهُ فِي يَوْمه ذَلِك حرْزا من كل مَكْرُوه وحرسا من الشَّيْطَان الرَّجِيم وَكَانَ لَهُ بِكُل مرّة عتق رَقَبَة من ولد إِسْمَاعِيل ثمن كل رَقَبَة اثْنَا عشر ألفا وَلم يلْحقهُ يَوْمئِذٍ ذَنْب إِلَّا الشّرك بِاللَّه وَمن قَالَ ذَلِك بعد صَلَاة الْمغرب كَانَ لَهُ مثل ذَلِك
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৮. হযরত আবদুর রহমান ইবন গুনম্ (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের সালাত আদায়ের পরে বাড়িতে ফেরার পূর্বে দশবার সালাতের সূরাতে বসে নিম্নোক্ত দু'আ পাঠ করবে: لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর। সকল প্রশংসা তাঁর, তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন এবং তিনি সব কিছুর উপর শক্তি রাখেন।" আল্লাহ তাকে প্রতিবারের বিনিময়ে দেবেন দশটি করে নেকী, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা সমুন্নত
করবেন, তাকে রক্ষা করবেন বিপদাপদ থেকে এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে। তার শিরক ব্যতীত অন্য গুনাহ ধর্তব্য হবে না। সে হবে আমলের দিক থেকে মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম, তবে সে ব্যতীত, যার রয়েছে অধিক আমল। তিনি বলেন, উপরোক্ত ব্যক্তি থেকে যে ব্যক্তি বেশি বলেছে।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর সনদের মধ্যে শাহর ইবন হাওশাব ব্যতীত সবাই সহীহ সনদে এ হাদীস বর্ণনা করেন। আবদুর রহমান ইবন গুনম সাহাবী হওয়ার বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে অন্য সূত্রে তাঁদের বর্ণনা সহীহ। এ হাদীসটি একদল সাহাবা (রা) বর্ণনা করেছেন।)
"আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই, সমস্ত রাজত্ব তাঁর। সকল প্রশংসা তাঁর, তিনি জীবন দেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন এবং তিনি সব কিছুর উপর শক্তি রাখেন।" আল্লাহ তাকে প্রতিবারের বিনিময়ে দেবেন দশটি করে নেকী, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা সমুন্নত
করবেন, তাকে রক্ষা করবেন বিপদাপদ থেকে এবং অভিশপ্ত শয়তান থেকে। তার শিরক ব্যতীত অন্য গুনাহ ধর্তব্য হবে না। সে হবে আমলের দিক থেকে মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম, তবে সে ব্যতীত, যার রয়েছে অধিক আমল। তিনি বলেন, উপরোক্ত ব্যক্তি থেকে যে ব্যক্তি বেশি বলেছে।
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর সনদের মধ্যে শাহর ইবন হাওশাব ব্যতীত সবাই সহীহ সনদে এ হাদীস বর্ণনা করেন। আবদুর রহমান ইবন গুনম সাহাবী হওয়ার বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে। তবে অন্য সূত্রে তাঁদের বর্ণনা সহীহ। এ হাদীসটি একদল সাহাবা (রা) বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
688 - وَعَن عبد الرَّحْمَن بن غنم رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ من قَالَ قبل أَن ينْصَرف ويثني رجلَيْهِ من صَلَاة الْمغرب وَالصُّبْح لَا إِلَه إِلَّا الله وَحده لَا شريك لَهُ لَهُ الْملك وَله الْحَمد يحيي وَيُمِيت وَهُوَ على كل شَيْء قدير عشر مَرَّات كتب الله لَهُ بِكُل وَاحِدَة عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات وَكَانَت لَهُ حرْزا من كل مَكْرُوه وحرزا من الشَّيْطَان الرَّجِيم وَلم يحل للذنب أَن يُدْرِكهُ إِلَّا الشّرك وَكَانَ من أفضل النَّاس عملا إِلَّا رجلا يفضله يَقُول أفضل مِمَّا قَالَ
رَوَاهُ أَحْمد وَرِجَاله رجال الصَّحِيح غير شهر بن حَوْشَب وَعبد الرَّحْمَن بن غنم مُخْتَلف فِي صحبته وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث عَن جمَاعَة من الصَّحَابَة رَضِي الله عَنْهُم
رَوَاهُ أَحْمد وَرِجَاله رجال الصَّحِيح غير شهر بن حَوْشَب وَعبد الرَّحْمَن بن غنم مُخْتَلف فِي صحبته وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث عَن جمَاعَة من الصَّحَابَة رَضِي الله عَنْهُم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৮৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর, আসর ও মাগরিবের পর যে সকল যিকর করার প্রতি অনুপ্রাণিত করা হয়েছে, তার বিবরণ
৬৮৯. হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি: যে ব্যক্তি ফজর ও আসরের সালাত আদায়ের পর তিনবার বলবেঃ
أسْتَغْفر الله الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم وَأَتُوب إِلَيْهِ
“আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ আল্লাহর কাছে, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।" তার পাপরাশি মোচন করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির অনুরূপ হয়।
ইবনুস-সুন্নী তাঁর কিতাবে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] নবী (সা) এর বাণী دبر الصَّلَوَات إِذا أصبح وَإِذا أَمْسَى (সালাতের পরে সকালবেলা ও সন্ধ্যাবেলা) প্রত্যেকটির জন্য সামনে পৃথক পৃথক অনুচ্ছেদ আসবে ইনশা আল্লাহ। "যানবাহনের ইল্ল্ম অর্জন" শীর্ষক অনুচ্ছেদে কাবীসা (রা) সূত্রে বর্ণিত আছে যে, নবী কাবীসা (রা)-কে বলেনঃ হে কাবীসা! তুমি যখন সকালের সালাত আদায় করবে, তখন তুমি নিম্নোক্ত দু'আ তিনবার পড়বে: سُبْحَانَ الله الْعَظِيم وَبِحَمْدِهِ تعافى من الْعَمى والجذام والفلج মহান আল্লাহ পূত পবিত্র, তাঁর ও তাঁর প্রশংসায় রহিত হয় অন্ধত্ব, কুষ্ঠরোগ এবং অবশ্য রোগ।"
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
أسْتَغْفر الله الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ الْحَيّ القيوم وَأَتُوب إِلَيْهِ
“আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ আল্লাহর কাছে, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং আমি তাঁরই নিকট তওবা করছি।" তার পাপরাশি মোচন করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির অনুরূপ হয়।
ইবনুস-সুন্নী তাঁর কিতাবে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] নবী (সা) এর বাণী دبر الصَّلَوَات إِذا أصبح وَإِذا أَمْسَى (সালাতের পরে সকালবেলা ও সন্ধ্যাবেলা) প্রত্যেকটির জন্য সামনে পৃথক পৃথক অনুচ্ছেদ আসবে ইনশা আল্লাহ। "যানবাহনের ইল্ল্ম অর্জন" শীর্ষক অনুচ্ছেদে কাবীসা (রা) সূত্রে বর্ণিত আছে যে, নবী কাবীসা (রা)-কে বলেনঃ হে কাবীসা! তুমি যখন সকালের সালাত আদায় করবে, তখন তুমি নিম্নোক্ত দু'আ তিনবার পড়বে: سُبْحَانَ الله الْعَظِيم وَبِحَمْدِهِ تعافى من الْعَمى والجذام والفلج মহান আল্লাহ পূত পবিত্র, তাঁর ও তাঁর প্রশংসায় রহিত হয় অন্ধত্ব, কুষ্ঠরোগ এবং অবশ্য রোগ।"
(আহমদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي أذكار يَقُولهَا بعد الصُّبْح وَالْعصر وَالْمغْرب
689 - وَرُوِيَ عَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من قَالَ بعد صَلَاة الْفجْر ثَلَاث مَرَّات وَبعد الْعَصْر ثَلَاث مَرَّات أسْتَغْفر الله الَّذِي لَا إِلَه إِلَّا هُوَ
الْحَيّ القيوم وَأَتُوب إِلَيْهِ كفرت عَنهُ ذنُوبه وَإِن كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ ابْن السّني فِي كِتَابه
قَالَ الْحَافِظ وَأما مَا يَقُوله دبر الصَّلَوَات إِذا أصبح وَإِذا أَمْسَى فَلِكُل مِنْهُمَا بَاب يَأْتِي إِن شَاءَ الله تَعَالَى وَتقدم فِي بَاب الرحلة فِي طلب الْعلم حَدِيث قبيصَة وَفِيه أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهُ يَا قبيصَة إِذا صليت الصُّبْح فَقل ثَلَاثًا سُبْحَانَ الله الْعَظِيم وَبِحَمْدِهِ تعافى من الْعَمى والجذام والفلج
رَوَاهُ أَحْمد
الْحَيّ القيوم وَأَتُوب إِلَيْهِ كفرت عَنهُ ذنُوبه وَإِن كَانَت مثل زبد الْبَحْر
رَوَاهُ ابْن السّني فِي كِتَابه
قَالَ الْحَافِظ وَأما مَا يَقُوله دبر الصَّلَوَات إِذا أصبح وَإِذا أَمْسَى فَلِكُل مِنْهُمَا بَاب يَأْتِي إِن شَاءَ الله تَعَالَى وَتقدم فِي بَاب الرحلة فِي طلب الْعلم حَدِيث قبيصَة وَفِيه أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لَهُ يَا قبيصَة إِذا صليت الصُّبْح فَقل ثَلَاثًا سُبْحَانَ الله الْعَظِيم وَبِحَمْدِهِ تعافى من الْعَمى والجذام والفلج
رَوَاهُ أَحْمد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে আসরের সালাত ছুটে যাওয়ার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯০. হযরত বুরায়দা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আসরের সালাত তরক করবে, তার আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে।
(বুখারী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজার শব্দমালা হলোঃ তোমরা মেঘাচ্ছন্ন দিনে সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করবে, কেননা যে তার আসরের সালাত ছেড়ে দেবে, তাঁর আমল নিষ্ফল হবে।)
(বুখারী, নাসাঈ ও ইবন মাজাহ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজার শব্দমালা হলোঃ তোমরা মেঘাচ্ছন্ন দিনে সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করবে, কেননা যে তার আসরের সালাত ছেড়ে দেবে, তাঁর আমল নিষ্ফল হবে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من فَوَات الْعَصْر بِغَيْر عذر
690 - عَن بُرَيْدَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ترك صَلَاة الْعَصْر فقد حَبط عمله
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ بَكرُوا بِالصَّلَاةِ فِي يَوْم الْغَيْم فَإِنَّهُ من فَاتَتْهُ صَلَاة الْعَصْر حَبط عمله
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَلَفظه قَالَ بَكرُوا بِالصَّلَاةِ فِي يَوْم الْغَيْم فَإِنَّهُ من فَاتَتْهُ صَلَاة الْعَصْر حَبط عمله
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৯১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে আসরের সালাত ছুটে যাওয়ার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯১. হযরত আবুদ-দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আসরের সালাত তরক করবে, সে তার আমল নিষ্ফল করবে।
(হাদীসটি আহমদ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি আহমদ সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من فَوَات الْعَصْر بِغَيْر عذر
691 - وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من ترك صَلَاة الْعَصْر مُتَعَمدا فقد حَبط عمله
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد صَحِيح
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৯২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে আসরের সালাত ছুটে যাওয়ার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯২. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যার আসরের সালাত ছুটে যায়, তার অবস্থা এমন হয়, যেন তার পরিবার ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি আরো বাড়িয়ে বলেছেন যে, এর অর্থ হলঃ সময় চলে যাওয়া।)
(মালিক, বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি আরো বাড়িয়ে বলেছেন যে, এর অর্থ হলঃ সময় চলে যাওয়া।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من فَوَات الْعَصْر بِغَيْر عذر
692 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ الَّذِي تفوته صَلَاة الْعَصْر فَكَأَنَّمَا وتر أَهله وَمَاله
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَزَاد فِي آخِره قَالَ مَالك تَفْسِيره ذهَاب الْوَقْت
رَوَاهُ مَالك وَالْبُخَارِيّ وَمُسلم وَأَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَزَاد فِي آخِره قَالَ مَالك تَفْسِيره ذهَاب الْوَقْت
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে আসরের সালাত ছুটে যাওয়ার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯৩. হযরত নাওফাল ইবন মুআবিয়া (রা) রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছেন: যার আসরের সালাত ছুটে যায়, তার অবস্থা এমন হয় যে, যেন তার পরিবার ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে।
অন্য সূত্রে নাওফাল (রা) বলেনঃ যে ব্যক্তির সালাত ছুটে যায়, তার অবস্থা হয়, যেন তার পরিবার ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে। হযরত ইবন উমর (রা) বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন। তা হল আসরের সালাত।
(নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
অন্য সূত্রে নাওফাল (রা) বলেনঃ যে ব্যক্তির সালাত ছুটে যায়, তার অবস্থা হয়, যেন তার পরিবার ও সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে। হযরত ইবন উমর (রা) বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন। তা হল আসরের সালাত।
(নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من فَوَات الْعَصْر بِغَيْر عذر
693 - وَعَن نَوْفَل بن مُعَاوِيَة رَضِي الله عَنهُ أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من فَاتَتْهُ صَلَاة الْعَصْر فَكَأَنَّمَا وتر أَهله وَمَاله
وَفِي رِوَايَة قَالَ نَوْفَل صَلَاة من فَاتَتْهُ فَكَأَنَّمَا وتر أَهله وَمَاله
قَالَ ابْن عمر قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هِيَ الْعَصْر
رَوَاهُ النَّسَائِيّ
وَفِي رِوَايَة قَالَ نَوْفَل صَلَاة من فَاتَتْهُ فَكَأَنَّمَا وتر أَهله وَمَاله
قَالَ ابْن عمر قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هِيَ الْعَصْر
رَوَاهُ النَّسَائِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৯৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ পূর্ণতা ও একাগ্রতার সাথে সালাতের ইমামতি করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং এ দু'টি ছাড়া ইমামতি করার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯৪. হযরত আবু আলী মিসরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার হযরত উকবা ইবন আমির জুহানী (রা)-এর সফর সঙ্গী ছিলাম। ইতোমধ্যে সালাতের ওয়াক্ত হলে আমরা সালাতের ইমামতি করার ইচ্ছা করলাম। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন কওমের ইমামতি পূর্ণভাবে করবে, তার জন্য রয়েছে পূর্ণভাবে আদায়ের সওয়াব এবং তাদেরও। আর যদি সে পূর্ণভাবে আদায় না করে, তাহলে তাদের জন্য রয়েছে পূর্ণ সওয়াব অথচ তার জন্য রয়েছে গুনাহ।
(হাদীসটি আহমদ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ ইবন মাজাহ এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তবে ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানের শব্দ হলঃ যে ব্যক্তি যথাসময়ে লোকের সালাতের ইমামতি করবে এবং সালাত পূর্ণভাবে আদায় করবে, তা হবে তার এবং তাদের সকলের জন্যই। আর যদি সে কিছু ত্রুটিপূর্ণভাবে সালাত আদায় করে, তবে তার দায়-দায়িত্ব। তার, তাদের (মুসুল্লীর) নয়।)
[হাফিয (র) বলেন):] তিনি (রাবী) তাদের কাছে আবদুর রহমান ইবন হারমালা থেকে আবূ আলী মিসরী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর আবদুর রহমান ইবন হারমালা সম্পর্কে সামনে আলোচনা আসবে।
(হাদীসটি আহমদ নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেছেন। আবূ দাউদ ইবন মাজাহ এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি একে সহীহ বলেছেন। ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বান তাঁদের 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। তবে ইবন খুযায়মা ও ইবন হিব্বানের শব্দ হলঃ যে ব্যক্তি যথাসময়ে লোকের সালাতের ইমামতি করবে এবং সালাত পূর্ণভাবে আদায় করবে, তা হবে তার এবং তাদের সকলের জন্যই। আর যদি সে কিছু ত্রুটিপূর্ণভাবে সালাত আদায় করে, তবে তার দায়-দায়িত্ব। তার, তাদের (মুসুল্লীর) নয়।)
[হাফিয (র) বলেন):] তিনি (রাবী) তাদের কাছে আবদুর রহমান ইবন হারমালা থেকে আবূ আলী মিসরী সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর আবদুর রহমান ইবন হারমালা সম্পর্কে সামনে আলোচনা আসবে।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِمَامَة مَعَ الْإِتْمَام وَالْإِحْسَان والترهيب مِنْهَا عِنْد عدمهما
694 - عَن أبي عَليّ الْمصْرِيّ قَالَ سافرنا مَعَ عقبَة بن عَامر الْجُهَنِيّ رَضِي الله عَنهُ فحضرتنا الصَّلَاة فأردنا أَن يتقدمنا
فَقَالَ إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من أم قوما فَإِن أتم فَلهُ التَّمام وَلَهُم التَّمام وَإِن لم يتم فَلهم التَّمام وَعَلِيهِ الْإِثْم
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَصَححهُ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَلَفْظهمَا من أم النَّاس فَأصَاب الْوَقْت وَأتم الصَّلَاة فَلهُ وَلَهُم وَمن انْتقصَ من ذَلِك شَيْئا فَعَلَيهِ وَلَا عَلَيْهِم
قَالَ الْحَافِظ هُوَ عِنْدهم من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن حَرْمَلَة عَن أبي عَليّ الْمصْرِيّ وَعبد الرَّحْمَن يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ
فَقَالَ إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من أم قوما فَإِن أتم فَلهُ التَّمام وَلَهُم التَّمام وَإِن لم يتم فَلهم التَّمام وَعَلِيهِ الْإِثْم
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَصَححهُ وَابْن خُزَيْمَة وَابْن حبَان فِي صَحِيحَيْهِمَا وَلَفْظهمَا من أم النَّاس فَأصَاب الْوَقْت وَأتم الصَّلَاة فَلهُ وَلَهُم وَمن انْتقصَ من ذَلِك شَيْئا فَعَلَيهِ وَلَا عَلَيْهِم
قَالَ الْحَافِظ هُوَ عِنْدهم من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن حَرْمَلَة عَن أبي عَليّ الْمصْرِيّ وَعبد الرَّحْمَن يَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ পূর্ণতা ও একাগ্রতার সাথে সালাতের ইমামতি করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং এ দু'টি ছাড়া ইমামতি করার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯৫. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কওমের ইমামতি করে, তার আল্লাহকে ভয় করা উচিত এবং সে যেন জেনে নেয় যে, সে যামিনদার এবং সে তার যামানত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। যদি সে তা পূর্ণরূপে আদায় করে, তবে তার পেছনে যারা সালাত আদায় করবে, তাদের সমান সওয়াব তাকেও দেওয়া হবে, তবে এতে তাদের সওয়াব কম হবে না। আর যদি এতে ঘাটতি হয়, তবে এর দায়-দায়িত্ব তার উপরে বর্তাবে।
(মা'আরিক ইবন আব্বাদ সূত্রে তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(মা'আরিক ইবন আব্বাদ সূত্রে তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِمَامَة مَعَ الْإِتْمَام وَالْإِحْسَان والترهيب مِنْهَا عِنْد عدمهما
695 - وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من أم قوما فليتق الله وليعلم أَنه ضَامِن مسؤول لما ضمن وَإِن أحسن كَانَ لَهُ من الْأجر مثل أجر من صلى خَلفه من غير أَن ينقص من أُجُورهم شَيْئا وَمَا كَانَ من نقص فَهُوَ عَلَيْهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة معارك بن عباد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة معارك بن عباد
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ পূর্ণতা ও একাগ্রতার সাথে সালাতের ইমামতি করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং এ দু'টি ছাড়া ইমামতি করার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের সালাত আদায়ের জন্য ইমাম বানানো হবে, যদি তারা তা যথার্থভাবে আদায় করে, তবে তাতো তোমাদের জন্যই। আর যদি ভুল করে, তবে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই এবং তাদের গুনাহ তাদের উপর বর্তাবে।
(বুখারী এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ইবন হিব্বান নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, অচিরেই তোমাদের কাছে এমন কওম আসবে, অথবা বলেছেন: অচিরেই এমন একটি কওম হবে, যারা সালাতের ইমামতি করবে, যদি তারা তা যথাযথভাবে আদায় করে, তবে তা তোমাদের জন্য, আর যদি তারা তা অসম্পূর্ণরূপে আদায় করে, তবে তার দায়-দায়িত্ব তাদের, তোমাদের নয়।)
(বুখারী এবং অপরাপর হাদীস গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ইবন হিব্বান নিজ শব্দযোগে বর্ণনা করেন যে, অচিরেই তোমাদের কাছে এমন কওম আসবে, অথবা বলেছেন: অচিরেই এমন একটি কওম হবে, যারা সালাতের ইমামতি করবে, যদি তারা তা যথাযথভাবে আদায় করে, তবে তা তোমাদের জন্য, আর যদি তারা তা অসম্পূর্ণরূপে আদায় করে, তবে তার দায়-দায়িত্ব তাদের, তোমাদের নয়।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِمَامَة مَعَ الْإِتْمَام وَالْإِحْسَان والترهيب مِنْهَا عِنْد عدمهما
696 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يصلونَ لكم فَإِن أَصَابُوا فلكم وَإِن أخطؤوا فلكم وَعَلَيْهِم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَغَيره وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه
سَيَأْتِي أَو سَيكون أَقوام يصلونَ الصَّلَاة فَإِن أَتموا فلكم وَإِن انتقصوا فَعَلَيْهِم وَلكم
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَغَيره وَابْن حبَان فِي صَحِيحه وَلَفظه
سَيَأْتِي أَو سَيكون أَقوام يصلونَ الصَّلَاة فَإِن أَتموا فلكم وَإِن انتقصوا فَعَلَيْهِم وَلكم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ পূর্ণতা ও একাগ্রতার সাথে সালাতের ইমামতি করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং এ দু'টি ছাড়া ইমামতি করার ভয়াবহ পরিণাম
৬৯৭. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তিনদল লোক মিশকের স্তূপের উপর অবস্থান করবে। রাবী বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছেনঃ "কিয়ামতের দিন" তারা হলঃ: ১. ঐ বান্দা, যে আল্লাহর এবং তার মনিবের হক আদায় করে, ২. ঐ ব্যক্তি, যে লোকদের (সালাতের) ইমামতি করে, আর তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট এবং ৩. ঐ ব্যক্তি, যে দিন-রাতে প্রত্যহ পাঁচবার সালাতের জন্য আযান দেয়।
(আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। ইমাম তাবারানী তাঁর 'সগীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে এ হাদীসটি নিজ শব্দযোগে ত্রুটিমুক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। তাঁর শব্দমালা হলঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তিনদল লোককে মহাভীতি বিষাদক্লিষ্ট করবে না, তাদের হিসাব দিতে হবে না, তারা অবস্থান করবে মিশকের স্তূপের উপর, এমন কি আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টিলোকের হিসাব শেষ করবেন। তারা হলঃ ১. ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরআন তিলাওয়াত করে, ২. ঐ ব্যক্তি, যে লোকদের ইমামতি করে আর তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট, এবং ৩. ঐ ব্যক্তি, যে দিন-রাতে প্রত্যহ পাঁচবার সালাতের জন্য আযান দেয়।
আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান।)
অন্য অনুচ্ছেদে এ পর্যায়ে অনেক হাদীস রয়েছে: ইমাম হল যামিনদার এবং মুআযযিন হল আমানতদার ইত্যাদি। এ বিষয়ে আযান অধ্যায়ে হাদীস আলোচিত হয়েছে।
(আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। ইমাম তাবারানী তাঁর 'সগীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে এ হাদীসটি নিজ শব্দযোগে ত্রুটিমুক্ত সনদে বর্ণনা করেছেন। তাঁর শব্দমালা হলঃ রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তিনদল লোককে মহাভীতি বিষাদক্লিষ্ট করবে না, তাদের হিসাব দিতে হবে না, তারা অবস্থান করবে মিশকের স্তূপের উপর, এমন কি আল্লাহ তা'আলা সৃষ্টিলোকের হিসাব শেষ করবেন। তারা হলঃ ১. ঐ ব্যক্তি, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কুরআন তিলাওয়াত করে, ২. ঐ ব্যক্তি, যে লোকদের ইমামতি করে আর তারা তার প্রতি সন্তুষ্ট, এবং ৩. ঐ ব্যক্তি, যে দিন-রাতে প্রত্যহ পাঁচবার সালাতের জন্য আযান দেয়।
আহমদ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ হাদীসটি হাসান।)
অন্য অনুচ্ছেদে এ পর্যায়ে অনেক হাদীস রয়েছে: ইমাম হল যামিনদার এবং মুআযযিন হল আমানতদার ইত্যাদি। এ বিষয়ে আযান অধ্যায়ে হাদীস আলোচিত হয়েছে।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْإِمَامَة مَعَ الْإِتْمَام وَالْإِحْسَان والترهيب مِنْهَا عِنْد عدمهما
697 - وَعَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة على كُثْبَان الْمسك أرَاهُ قَالَ يَوْم الْقِيَامَة عبد أدّى حق الله وَحقّ موَالِيه وَرجل أم قوما وهم بِهِ راضون وَرجل يُنَادي بالصلوات الْخمس فِي كل يَوْم وَلَيْلَة
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا يهولهم الْفَزع الْأَكْبَر وَلَا ينالهم الْحساب وهم على كثيب من مسك حَتَّى يفرغ من حِسَاب الْخَلَائق رجل قَرَأَ الْقُرْآن ابْتِغَاء وَجه الله وَأم بِهِ قوما وهم بِهِ راضون الحَدِيث وَفِي الْبَاب أَحَادِيث الإِمَام ضَامِن والمؤذن مؤتمن وَغَيرهَا وَتقدم فِي الْأَذَان
رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الصَّغِير والأوسط بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ وَلَفظه قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ثَلَاثَة لَا يهولهم الْفَزع الْأَكْبَر وَلَا ينالهم الْحساب وهم على كثيب من مسك حَتَّى يفرغ من حِسَاب الْخَلَائق رجل قَرَأَ الْقُرْآن ابْتِغَاء وَجه الله وَأم بِهِ قوما وهم بِهِ راضون الحَدِيث وَفِي الْبَاب أَحَادِيث الإِمَام ضَامِن والمؤذن مؤتمن وَغَيرهَا وَتقدم فِي الْأَذَان
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ যার ইমামতিতে তার কওম অসন্তুষ্ট, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৯৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আল্লাহ তিন ব্যক্তির সালাত কবুল করেন না। তারা হলো : ১. যে ইমামতি করে, অথচ তার কওম তার প্রতি অসন্তুষ্ট, ২. যে ব্যক্তি দেবারে সালাত আদায় করে। আর দেবার বলে ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর সালাত আদায় করাকে এবং ৩. যে স্বাধীন ব্যক্তিকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে।
আবূ দাউদ ও ইবন মাজাহ, তাঁরা উভয়ে আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ আফ্রিকী থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
আবূ দাউদ ও ইবন মাজাহ, তাঁরা উভয়ে আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ আফ্রিকী থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من إِمَامَة الرجل الْقَوْم وهم لَهُ كَارِهُون
698 - عَن عبد الله بن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كَانَ يَقُول ثَلَاثَة لَا يقبل
الله مِنْهُم صَلَاة من تقدم قوما وهم لَهُ كَارِهُون وَرجل يَأْتِي الصَّلَاة دبارا والدبار أَن يَأْتِيهَا بعد أَن تفوته وَرجل اعتبد محررا
رواه أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه كِلَاهُمَا من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن زِيَاد الإفْرِيقِي
الله مِنْهُم صَلَاة من تقدم قوما وهم لَهُ كَارِهُون وَرجل يَأْتِي الصَّلَاة دبارا والدبار أَن يَأْتِيهَا بعد أَن تفوته وَرجل اعتبد محررا
رواه أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه كِلَاهُمَا من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن زِيَاد الإفْرِيقِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৯৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ যার ইমামতিতে তার কওম অসন্তুষ্ট, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৬৯৯. হযরত তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি একদল লোকের সালাতে ইমামতি করেন। তিনি সালাত শেষ করে বললেন: আমি ইমামতি করার পূর্বে তোমাদের অনুমতি নিতে ভুলে গিয়েছিলাম। তোমরা কি আমার ইমামতিতে সন্তুষ্ট? তারা বললঃ হ্যাঁ, হে রাসূলের হাওয়ারী! এ কাজ কে অপসন্দ করবে? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন কওমের সালাতের ইমামতি করে অথচ তার কওম তার প্রতি অসন্তুষ্ট, তার সালাত দুই কানের উপরে উত্থিত হয় না।
(তাবারানী সুলায়মান ইবন আইয়ুব তাহা কূফীর সূত্রে 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ বলেন: তার সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে।)
(তাবারানী সুলায়মান ইবন আইয়ুব তাহা কূফীর সূত্রে 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ বলেন: তার সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من إِمَامَة الرجل الْقَوْم وهم لَهُ كَارِهُون
699 - وَعَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّه رَضِي الله عَنْهُمَا أَنه صلى بِقوم فَلَمَّا انْصَرف قَالَ إِنِّي نسيت أَن أستأمركم قبل أَن أتقدم أرضيتم بصلاتي قَالُوا نعم وَمن يكره ذَلِك يَا حوارِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول أَيّمَا رجل أم قوما وهم لَهُ كَارِهُون لم تجَاوز صلَاته أُذُنَيْهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة سُلَيْمَان بن أَيُّوب وَهُوَ الطلحي الْكُوفِي قيل فِيهِ لَهُ مَنَاكِير
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير من رِوَايَة سُلَيْمَان بن أَيُّوب وَهُوَ الطلحي الْكُوفِي قيل فِيهِ لَهُ مَنَاكِير
তাহকীক:
হাদীস নং: ৭০০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ যার ইমামতিতে তার কওম অসন্তুষ্ট, তার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
৭০০. হযরত আতা ইবন দীনার হুযালী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: আল্লাহ তা'আলা তিনদল লোকের সালাত কবুল করেন না, তাদের সালাত আসমানে উত্থিত হয় না, তাদের সালাত তাদের মাথার উপরে উঠে না। তারা হলঃ ১. ঐ ব্যক্তি যে কোন কওমের ইমামতি করে, অথচ তার কওম তার প্রতি অসন্তুষ্ট, ২. ঐ ব্যক্তি যে বিনানুমতিতে জানাযার সালাতের ইমামতি করে এবং ৩. ঐ মহিলা, যাকে তার স্বামী রাতে ডাকে, অথচ সে তার ডাকে সাড়া দেয় না।
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন, অন্য সনদে হাদীসটি হযরত আনাস (রা) সূত্রে মারফুরূপে বর্ণিত হয়েছে।)
(ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে মুরসাল সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেন, অন্য সনদে হাদীসটি হযরত আনাস (রা) সূত্রে মারফুরূপে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْهِيب من إِمَامَة الرجل الْقَوْم وهم لَهُ كَارِهُون
700 - وَعَن عَطاء بن دِينَار الْهُذلِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة لَا يقبل الله مِنْهُم صَلَاة وَلَا تصعد إِلَى السَّمَاء وَلَا تجَاوز رؤوسهم رجل أم قوما وهم لَهُ كَارِهُون وَرجل صلى على جَنَازَة وَلم يُؤمر وَامْرَأَة دَعَاهَا زَوجهَا من اللَّيْل فَأَبت عَلَيْهِ
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه هَكَذَا مُرْسلا وَرُوِيَ لَهُ سَنَد آخر إِلَى أنس يرفعهُ
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه هَكَذَا مُرْسلا وَرُوِيَ لَهُ سَنَد آخر إِلَى أنس يرفعهُ
তাহকীক: