আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৫. অধ্যায়ঃ নামাজ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪৮২ টি
হাদীস নং: ৬৬১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাত আদায়ের পর (অন্য) সালাতের অপেক্ষা করার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬১. রাসূল (সা) এর হাতে বায়আতকারিণী জনৈক মহিলা সাহাবী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সালামা গোত্রের একদল সাহাবী নিয়ে আসলেন, আর আমরা তখন তাঁর কাছে খানা পরিবেশন করছিলাম। এরপর তিনি খানা খেলেন। পরে আমরা তাঁকে পানি দিলাম এবং তিনি উযূ করলেন। এরপর তিনি তাঁর সাহাবীদের দিকে ফিরে বললেনঃ আমি কি তোমাদের পাপমুক্ত হওয়ার বিষয়ে বলে দেব না? তারা বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন, কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও পূর্ণরূপে উযূ করা, মসজিদের উদ্দেশ্যে অধিক পদচারণা এবং এক সালাত আদায় করার পর অপর সালাতের প্রতীক্ষায় থাকা।
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে একজন রাবী রয়েছেন, যার নাম জানা যায়নি। আর সনদের অন্যান্যরা সহীহ বর্ণনাকারীদের অনুরূপ।)
(হাদীসটি আহমদ বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সনদে একজন রাবী রয়েছেন, যার নাম জানা যায়নি। আর সনদের অন্যান্যরা সহীহ বর্ণনাকারীদের অনুরূপ।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي انْتِظَار الصَّلَاة بعد الصَّلَاة
661 - وَعَن امْرَأَة من المبايعات رَضِي الله عَنْهَا أَنَّهَا قَالَت جَاءَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَمَعَهُ أَصْحَابه من بني سَلمَة فَقَرَّبْنَا إِلَيْهِ طَعَاما فَأكل ثمَّ قربنا إِلَيْهِ وضُوءًا فَتَوَضَّأ ثمَّ أقبل على أَصْحَابه فَقَالَ أَلا أخْبركُم بمكفرات الْخَطَايَا قَالُوا بلَى قَالَ إسباغ الْوضُوء على المكاره وَكَثْرَة الخطا إِلَى الْمَسَاجِد وانتظار الصَّلَاة بعد الصَّلَاة
رَوَاهُ أَحْمد وَفِيه رجل لم يسم وَبَقِيَّة إِسْنَاده مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
رَوَاهُ أَحْمد وَفِيه رجل لم يسم وَبَقِيَّة إِسْنَاده مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬২. হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি দুটি ঠাণ্ডা সময়ের সালাত আদায় করবে, সে জান্নাতী।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[البردان] - অর্থ হচ্ছে ফজর ও আসর।
(বুখারী ও মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[البردان] - অর্থ হচ্ছে ফজর ও আসর।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
662 - عَن أبي مُوسَى رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صلى البردين دخل الْجنَّة
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
البردان هما الصُّبْح وَالْعصر
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم
البردان هما الصُّبْح وَالْعصر
হাদীস নং: ৬৬৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৩. আবূ যুহায়রা ইমারা ইবন রুয়াইনা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বের সালাত আদায় করবে, সে কখনো জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ ফজর ও আসরের সালাত।
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
(হাদীসটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
663 - وَعَن أبي زهيرة عمَارَة بن رويبة رَضِي الله عَنهُ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم
يَقُول لن يلج النَّار أحد صلى قبل طُلُوع الشَّمْس وَقبل غُرُوبهَا يَعْنِي الْفجْر وَالْعصر
رَوَاهُ مُسلم
يَقُول لن يلج النَّار أحد صلى قبل طُلُوع الشَّمْس وَقبل غُرُوبهَا يَعْنِي الْفجْر وَالْعصر
رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৪. হযরত আবূ মালিক আশজাঈ (রা)-এর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, তার যিম্মাদারী আল্লাহর উপর এবং তার হিসাব-নিকাশ আল্লাহর উপর
ন্যস্ত।
(তাবারানীর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কেবলমাত্র হায়সাম ইবন ইয়ামান ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণের বর্ণনা গ্রহণযোগ্য। তাঁর সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ সমালোচনা করেছেন। আর এ হাদীসের সহায়ক অনেক হাদীস রয়েছে। আবু মালিক হলেন সা'দ ইবন তারিক।)
ন্যস্ত।
(তাবারানীর 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। কেবলমাত্র হায়সাম ইবন ইয়ামান ব্যতীত এ হাদীসের রাবীগণের বর্ণনা গ্রহণযোগ্য। তাঁর সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ সমালোচনা করেছেন। আর এ হাদীসের সহায়ক অনেক হাদীস রয়েছে। আবু মালিক হলেন সা'দ ইবন তারিক।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
664 - وَعَن أبي مَالك الْأَشْجَعِيّ عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الصُّبْح فَهُوَ فِي ذمَّة الله وحسابه على الله
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح إِلَّا الْهَيْثَم بن يمَان وَتكلم فِيهِ فللحديث شَوَاهِد
أَبُو مَالك هُوَ سعد بن طَارق
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط وَرُوَاته رُوَاة الصَّحِيح إِلَّا الْهَيْثَم بن يمَان وَتكلم فِيهِ فللحديث شَوَاهِد
أَبُو مَالك هُوَ سعد بن طَارق
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৫. হযরত জুন্দুব ইবন আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, সে আল্লাহর দায়িত্বে থাকবে। কাজেই আল্লাহ যেন নিজ দায়িত্বের কোন বিষয় সম্পর্কে তোমাদের বিপক্ষে বাদী না হন। কেননা তিনি যার বিপক্ষে নিজ দায়িত্বের কোন বিষয় সম্পর্কে বাদী হবেন, তাকে তিনি পাকড়াও করবেনই। এরপর তিনি তাকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
(মুসলিম এবং অপরাপর গ্রন্থাবলীতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(মুসলিম এবং অপরাপর গ্রন্থাবলীতে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
665 - وَعَن جُنْدُب بن عبد الله رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الصُّبْح فَهُوَ فِي ذمَّة الله فَلَا يطلبنكم الله من ذمَّته بِشَيْء فَإِنَّهُ من يَطْلُبهُ من ذمَّته بِشَيْء يُدْرِكهُ ثمَّ يكبه على وَجهه فِي نَار جَهَنَّم
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
رَوَاهُ مُسلم وَغَيره
হাদীস নং: ৬৬৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৬. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে এবং তার উপর ন্যস্ত যিম্মাদারী পূরা করবে, সে আল্লাহর নির্দেশ পালন করলো এবং আল্লাহর যিম্মাদারী পূর্ণ করলো। আর আমি তার যিম্মাদারী সম্পর্কে খবর নেব।
(আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
666 - وَرُوِيَ عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الْغَدَاة فأصيبت ذمَّته فقد استبيح حمى الله وأخفرت ذمَّته وَأَنا طَالب بِذِمَّتِهِ
رَوَاهُ أَبُو يعلى
رَوَاهُ أَبُو يعلى
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৬৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৭. হযরত আবু বাসরা গিফারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (সা) আমাদের নিয়ে মুখাম্মাসে (একটি রাস্তার নাম) আসরের সালাত আদায় করেন। এরপর তিনি বলেন, এই সালাত তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা তা ধ্বংস করে ফেলেছিল। কাজেই যে ব্যক্তি তা সংরক্ষণ করবে, তার জন্য রয়েছে, দ্বিগুণ পুরস্কার।
(মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(মুসলিম ও নাসাঈ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
667 - وَعَن أبي بصرة الْغِفَارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ صلى بِنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم الْعَصْر بالمخمص وَقَالَ إِن هَذِه الصَّلَاة عرضت على من كَانَ قبلكُمْ فضيعوها وَمن حَافظ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أجره مرَّتَيْنِ الحَدِيث
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
رَوَاهُ مُسلم وَالنَّسَائِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৬৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৮. হযরত আবূ বকর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে ফজরের সালাত আদায় করবে, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকবে। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর যিম্মা লংঘন করবে, আল্লাহ তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
(ইবন মাজাহ ও তাবারানী নিজ শব্দযোগে 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সকল রাবীই সহীহ সনদের বর্ণনাকারী।)
(ইবন মাজাহ ও তাবারানী নিজ শব্দযোগে 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসের সকল রাবীই সহীহ সনদের বর্ণনাকারী।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
668 - وَعَن أبي بكر رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الصُّبْح فِي جمَاعَة فَهُوَ فِي ذمَّة الله فَمن أَخْفَر ذمَّة الله كَبه الله فِي النَّار لوجهه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَاللَّفْظ لَهُ وَرِجَال إِسْنَاده رجال الصَّحِيح
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَاللَّفْظ لَهُ وَرِجَال إِسْنَاده رجال الصَّحِيح
হাদীস নং: ৬৬৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৬৯. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকবে। কাজেই তোমরা আল্লাহর যিম্মা বিনষ্ট করো না। কেননা যে ব্যক্তি আল্লাহর যিম্মা বিনষ্ট করবে, আল্লাহ তার থেকে যিম্মা তলব করবেন, এমনকি তাকে অধোমুখী করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
(আহমদ ও বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তাবারানী তার 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
[এ হাদীসের প্রথমে রয়েছে একটি ঘটনাঃ] হাজ্জাজ-সালিম ইবন আবদুল্লাহকে জনৈক ব্যক্তিকে হত্যা করার নির্দেশ দিল। সালিম (র) তাকে বললেনঃ তুমি কি ফজরের সালাত আদায় করেছ? লোকটি বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি চলে যাও। হাজ্জাজ তাকে বলল। তাকে হত্যা করতে তোমাকে কে বারণ করল?' সালিম (র) বললেনঃ আমার পিতা আমার কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ -কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, সে ঐ দিন আল্লাহর যিম্মায় থাকবে। কাজেই আল্লাহ যার নিরাপত্তা বিধান করেছেন, তাকে হত্যা করা আমি অপসন্দ করলাম। হাজ্জাজ ইবন উমর (রা)-কে বললেন: আপনি কি এই হাদীস রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে শুনেছেন? ইবন উমর (রা) বললেনঃ হ্যাঁ!
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] প্রথম হাদীসে ইবন লাহীয়া এবং দ্বিতীয় হাদীসে ইয়াহইয়া ইবন আবদুল হামীদ হাম্মানী রয়েছেন।
(আহমদ ও বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তাবারানী তার 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে অনুরূপ বর্ণনা করেন।)
[এ হাদীসের প্রথমে রয়েছে একটি ঘটনাঃ] হাজ্জাজ-সালিম ইবন আবদুল্লাহকে জনৈক ব্যক্তিকে হত্যা করার নির্দেশ দিল। সালিম (র) তাকে বললেনঃ তুমি কি ফজরের সালাত আদায় করেছ? লোকটি বলল: হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে তুমি চলে যাও। হাজ্জাজ তাকে বলল। তাকে হত্যা করতে তোমাকে কে বারণ করল?' সালিম (র) বললেনঃ আমার পিতা আমার কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ -কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে, সে ঐ দিন আল্লাহর যিম্মায় থাকবে। কাজেই আল্লাহ যার নিরাপত্তা বিধান করেছেন, তাকে হত্যা করা আমি অপসন্দ করলাম। হাজ্জাজ ইবন উমর (রা)-কে বললেন: আপনি কি এই হাদীস রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে শুনেছেন? ইবন উমর (রা) বললেনঃ হ্যাঁ!
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] প্রথম হাদীসে ইবন লাহীয়া এবং দ্বিতীয় হাদীসে ইয়াহইয়া ইবন আবদুল হামীদ হাম্মানী রয়েছেন।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
669 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صلى الصُّبْح فَهُوَ فِي ذمَّة الله تبَارك وَتَعَالَى فَلَا تخفروا الله تبَارك وَتَعَالَى فِي ذمَّته فَإِنَّهُ من أَخْفَر ذمَّته طلبه الله تبَارك وَتَعَالَى حَتَّى يكبه على وَجهه
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِنَحْوِهِ
وَفِي أول قصَّة وَهُوَ أَن الْحجَّاج أَمر سَالم بن عبد الله بقتل رجل فَقَالَ لَهُ سَالم أصليت الصُّبْح فَقَالَ الرجل نعم
فَقَالَ لَهُ انْطلق فَقَالَ لَهُ الْحجَّاج مَا مَنعك من قَتله فَقَالَ سَالم حَدثنِي أبي أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى الصُّبْح كَانَ فِي جوَار الله يَوْمه فَكرِهت أَن أقتل رجلا أجاره الله فَقَالَ الْحجَّاج لِابْنِ عمر أَنْت سَمِعت هَذَا من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ ابْن عمر نعم
قَالَ الْحَافِظ وَفِي الأولى ابْن لَهِيعَة وَفِي الثَّانِيَة يحيى بن عبد الحميد الْحمانِي
رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَزَّار وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط بِنَحْوِهِ
وَفِي أول قصَّة وَهُوَ أَن الْحجَّاج أَمر سَالم بن عبد الله بقتل رجل فَقَالَ لَهُ سَالم أصليت الصُّبْح فَقَالَ الرجل نعم
فَقَالَ لَهُ انْطلق فَقَالَ لَهُ الْحجَّاج مَا مَنعك من قَتله فَقَالَ سَالم حَدثنِي أبي أَنه سمع رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى الصُّبْح كَانَ فِي جوَار الله يَوْمه فَكرِهت أَن أقتل رجلا أجاره الله فَقَالَ الْحجَّاج لِابْنِ عمر أَنْت سَمِعت هَذَا من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ ابْن عمر نعم
قَالَ الْحَافِظ وَفِي الأولى ابْن لَهِيعَة وَفِي الثَّانِيَة يحيى بن عبد الحميد الْحمانِي
হাদীস নং: ৬৭০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ সালাতুল ফজর ও আসর সংরক্ষণের প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে পরপর একদল ফিরিশতা আসে রাতে এবং একদল ফিরিশতা আসে দিনে এবং উভয় দল ফজর ও আসরের সালাতের সময় মিলিত হয়। এরপর যারা তোমাদের মধ্যে ছিল, তারা উপরে চলে যায়। তখন তাদের রব তাদের জিজ্ঞেস করেন, অথচ তিনি তাদের অবস্থা সম্পর্কে সর্বাধিক জ্ঞাতঃ তোমরা আমার বান্দাদের কি অবস্থায় রেখে এসেছ? তখন তারা বলে: আমরা তাদের ছেড়ে এসেছি সালাতরত অবস্থায় এবং আমরা যখন
তাদের নিকট পৌছাই, তখনও তারা সালাতরত ছিল।
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাঁর এক বর্ণনায় নিম্নোক্ত শব্দযোগে বর্ণিত হয়েছে: রাতে আগমনকারী ফিরিশতা এবং দিনে আগমনকারী ফিরিশতা একত্র হয় ফজর ও আসরের সালাতে। আবার তারা ফজরের সালাতের সময় একত্র হয়। এরপর রাতের ফিরিশতা উপরে চলে যায় এবং দিনের ফিরিশতা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে এবং তারা আসরের সালাতের সময় একত্র হয়। এরপর দিনের ফিরিশতা উপরে চলে যায় এবং দায়িত্বে অবস্থান নেয় রাতের ফিরিশতা। এরপর তাদের রব তাদের জিজ্ঞেস করেন: তোমরা কিভাবে আমার বান্দাদের ছেড়ে এসেছ? তখন তারা বলে: আমরা তাদের ছেড়ে এসেছি সালাতরত অবস্থায় এবং আমরা যখন তাদের নিকট পৌছাই, তখনও তারা সালাতরত ছিল। কাজেই আপনি কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তাদের ক্ষমা করে দিন।)
তাদের নিকট পৌছাই, তখনও তারা সালাতরত ছিল।
(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তাঁর এক বর্ণনায় নিম্নোক্ত শব্দযোগে বর্ণিত হয়েছে: রাতে আগমনকারী ফিরিশতা এবং দিনে আগমনকারী ফিরিশতা একত্র হয় ফজর ও আসরের সালাতে। আবার তারা ফজরের সালাতের সময় একত্র হয়। এরপর রাতের ফিরিশতা উপরে চলে যায় এবং দিনের ফিরিশতা দায়িত্বে নিয়োজিত থাকে এবং তারা আসরের সালাতের সময় একত্র হয়। এরপর দিনের ফিরিশতা উপরে চলে যায় এবং দায়িত্বে অবস্থান নেয় রাতের ফিরিশতা। এরপর তাদের রব তাদের জিজ্ঞেস করেন: তোমরা কিভাবে আমার বান্দাদের ছেড়ে এসেছ? তখন তারা বলে: আমরা তাদের ছেড়ে এসেছি সালাতরত অবস্থায় এবং আমরা যখন তাদের নিকট পৌছাই, তখনও তারা সালাতরত ছিল। কাজেই আপনি কিয়ামতের দিন পর্যন্ত তাদের ক্ষমা করে দিন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي الْمُحَافظَة على الصُّبْح وَالْعصر
670 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يتعاقبون فِيكُم مَلَائِكَة بِاللَّيْلِ وملائكة بِالنَّهَارِ ويجتمعون فِي صَلَاة الْفجْر وَصَلَاة الْعَصْر ثمَّ يعرج الَّذين باتوا فِيكُم فيسألهم رَبهم وَهُوَ أعلم بهم كَيفَ تركْتُم عبَادي فَيَقُولُونَ تركناهم وهم يصلونَ وأتيناهم وهم يصلونَ
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه فِي إِحْدَى رواياته قَالَ تَجْتَمِع مَلَائِكَة اللَّيْل وملائكة النَّهَار فِي صَلَاة الْفجْر وَصَلَاة الْعَصْر فيجتمعون فِي صَلَاة الْفجْر فتصعد مَلَائِكَة اللَّيْل وَتثبت مَلَائِكَة النَّهَار ويجتمعون فِي صَلَاة الْعَصْر فتصعد مَلَائِكَة النَّهَار وتبيت مَلَائِكَة اللَّيْل فيسألهم رَبهم كَيفَ تركْتُم عبَادي فَيَقُولُونَ أتيناهم وهم يصلونَ وتركناهم وهم يصلونَ فَاغْفِر لَهُم يَوْم الدّين
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَالنَّسَائِيّ وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَلَفظه فِي إِحْدَى رواياته قَالَ تَجْتَمِع مَلَائِكَة اللَّيْل وملائكة النَّهَار فِي صَلَاة الْفجْر وَصَلَاة الْعَصْر فيجتمعون فِي صَلَاة الْفجْر فتصعد مَلَائِكَة اللَّيْل وَتثبت مَلَائِكَة النَّهَار ويجتمعون فِي صَلَاة الْعَصْر فتصعد مَلَائِكَة النَّهَار وتبيت مَلَائِكَة اللَّيْل فيسألهم رَبهم كَيفَ تركْتُم عبَادي فَيَقُولُونَ أتيناهم وهم يصلونَ وتركناهم وهم يصلونَ فَاغْفِر لَهُم يَوْم الدّين
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭১
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭১. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করবে এবং সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত (মুসাল্লায়) বসে আল্লাহর যিকর করবে, এরপর সে দুই রাকআত সালাত আদায় করবে, তাকে একটি হজ্জ ও উমরার অনুরূপ সওয়াব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তাকে পুরা একটি হজ্জ ও একটি উমরার সওয়াব দেওয়া হবে।
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
(তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন: হাদীসটি হাসান-গরীব।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
671 - عَن أنس بن مَالك رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى الصُّبْح فِي
جمَاعَة ثمَّ قعد يذكر اللهحتى تطلع الشَّمْس ثمَّ صلى رَكْعَتَيْنِ كَانَت لَهُ كَأَجر حجَّة وَعمرَة قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تَامَّة تَامَّة تَامَّة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
جمَاعَة ثمَّ قعد يذكر اللهحتى تطلع الشَّمْس ثمَّ صلى رَكْعَتَيْنِ كَانَت لَهُ كَأَجر حجَّة وَعمرَة قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم تَامَّة تَامَّة تَامَّة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن غَرِيب
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭২
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭২. হযরত আনাস ইবন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন: ফজরের সালাতের পরে আল্লাহর যিকরকারী বান্দার সাথে ফজর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যিকরে লিপ্ত থাকা আমার নিকট বনী ইসমাঈলের চারজন দাস মুক্ত করা অপেক্ষা বেশি প্রিয়। আসরের সালাতের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত আল্লাহর যিকরকারী বান্দার সাথে বসা চারজন দাস মুক্ত করার চেয়ে আমার নিকট বেশি প্রিয়।
(আবু দাউদ ও আবূ ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালা বলেনঃ "বনী ইসমাঈলের চারজন দাস মুক্ত করার চেয়ে তা আমার কাছে প্রিয়, এই বাক্যে প্রতিটি দাসের মুক্তিপণ বারো হাজার দিরহাম (বুঝান হয়েছে)।"
ইবন আবুদ-দুনিয়া হাদীসের প্রথমার্ধ বর্ণনা করার পর বলেনঃ "ঐ কাজ আমার কাছে সূর্যোদয় স্থান অপেক্ষাও অধিক প্রিয়।")
(আবু দাউদ ও আবূ ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবু ইয়ালা বলেনঃ "বনী ইসমাঈলের চারজন দাস মুক্ত করার চেয়ে তা আমার কাছে প্রিয়, এই বাক্যে প্রতিটি দাসের মুক্তিপণ বারো হাজার দিরহাম (বুঝান হয়েছে)।"
ইবন আবুদ-দুনিয়া হাদীসের প্রথমার্ধ বর্ণনা করার পর বলেনঃ "ঐ কাজ আমার কাছে সূর্যোদয় স্থান অপেক্ষাও অধিক প্রিয়।")
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
672 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لِأَن أقعد أُصَلِّي مَعَ قوم يذكرُونَ الله تَعَالَى من صَلَاة الْغَدَاة حَتَّى تطلع الشَّمْس أحب إِلَيّ من أَن أعتق أَرْبَعَة من ولد إِسْمَاعِيل وَلِأَن أقعد مَعَ قوم يذكرُونَ الله من صَلَاة الْعَصْر إِلَى أَن تغرب الشَّمْس أحب إِلَيّ من أَن أعتق أَرْبَعَة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَأَبُو يعلى
قَالَ فِي الْمَوْضِعَيْنِ أحب إِلَيّ من أَن أعتق أَرْبَعَة من ولد إِسْمَاعِيل دِيَة كل وَاحِد مِنْهُم اثْنَا عشر ألفا
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا بالشطر الأول إِلَّا أَنه قَالَ أحب إِلَيّ مِمَّا طلعت عَلَيْهِ الشَّمْس
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَأَبُو يعلى
قَالَ فِي الْمَوْضِعَيْنِ أحب إِلَيّ من أَن أعتق أَرْبَعَة من ولد إِسْمَاعِيل دِيَة كل وَاحِد مِنْهُم اثْنَا عشر ألفا
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا بالشطر الأول إِلَّا أَنه قَالَ أحب إِلَيّ مِمَّا طلعت عَلَيْهِ الشَّمْس
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৩
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৩. হযরত সাহল ইবন মু'আয তাঁর পিতা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায়ের পর মুসাল্লায় বসে রইল, এমন কি দুই রাকা'আত সালাতুদ্দোহা আদায় করল এবং কেবল উত্তম কথাই বলল, তার পাপরাশি ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার চেয়েও অধিক হয়।
(আহমদ, আবু দাউদ ও আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ ইয়ালা বলেন, আমার ধারণায় তিনি বলেছেন: "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত মুসাল্লায় বসে থেকে আল্লাহর যিকর করল, তার জন্য জান্নাত অবধারিত।")
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন]: যবান ইবন ফায়িদ সাহল থেকে তিনটি সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আমি হাদীসটিকে হাসান মনে করি এবং কেউ কেউ সহীহ মনে করেন।
(আহমদ, আবু দাউদ ও আবু ইয়ালা হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবূ ইয়ালা বলেন, আমার ধারণায় তিনি বলেছেন: "যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করল, তারপর সূর্যোদয় পর্যন্ত মুসাল্লায় বসে থেকে আল্লাহর যিকর করল, তার জন্য জান্নাত অবধারিত।")
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন]: যবান ইবন ফায়িদ সাহল থেকে তিনটি সূত্রে হাদীসটি বর্ণনা করেন। আমি হাদীসটিকে হাসান মনে করি এবং কেউ কেউ সহীহ মনে করেন।
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
673 - وَعَن سهل بن معَاذ عَن أَبِيه رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من قعد فِي مُصَلَّاهُ حِين ينْصَرف من صَلَاة الصُّبْح حَتَّى يسبح رَكْعَتي الضُّحَى لَا يَقُول إِلَّا خيرا غفر لَهُ خطاياه وَإِن كَانَت أَكثر من زبد الْبَحْر
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَأَبُو يعلى وَأَظنهُ قَالَ من صلى صَلَاة الْفجْر ثمَّ قعد يذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس وَجَبت لَهُ الْجنَّة
قَالَ الْحَافِظ رَوَاهُ الثَّلَاثَة من طَرِيق زبان بن فائد عَن سهل وَقد حسنت وصححها بَعضهم
رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد وَأَبُو يعلى وَأَظنهُ قَالَ من صلى صَلَاة الْفجْر ثمَّ قعد يذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس وَجَبت لَهُ الْجنَّة
قَالَ الْحَافِظ رَوَاهُ الثَّلَاثَة من طَرِيق زبان بن فائد عَن سهل وَقد حسنت وصححها بَعضهم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৭৪
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৪. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে মারফু সনদে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করবে এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করবে, এর পর যে দুই রাক'আত অথবা বলেছেন, চার রাকআত সালাত আদায় করবে, তার শরীর জাহান্নামে দগ্ধীভূত ভূত হবে না। এই বলে হাসান তাঁর নিজের চামড়া টেনে ধরে দেখালেন।
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণিত।)
(হাদীসটি বায়হাকী বর্ণিত।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
674 - وَرُوِيَ عَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ من صلى الْفجْر ثمَّ ذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس ثمَّ صلى رَكْعَتَيْنِ أَو أَربع رَكْعَات لم تمس جلده النَّار وَأخذ الْحسن بجلده فمده
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৭৫
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৫. হযরত আবূ উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: বনী ইসমাঈলের দুজন গোলাম মুক্ত করার চেয়ে ফজরের সালাত আদায়ের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত আমি বসে আল্লাহর যিকর, তাকবীর, তাহমীদ, তাসবীহ ও তাহলীল পাঠ করা অধিক পসন্দ করি। এমনিভাবে আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বনী ইসমাঈলের চারজন দাসমুক্ত করার চেয়ে আল্লাহর যিকরে লিপ্ত থাকা আমার কাছে অধিক প্রিয়।
(আহমদ হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেন।)
(আহমদ হাদীসটি হাসান সনদে বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
675 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لِأَن أقعد أذكر الله تَعَالَى وأكبره وأحمده وأسبحه وأهلله حَتَّى تطلع الشَّمْس أحب إِلَيّ من أَن أعتق رقبتين من ولد إِسْمَاعِيل وَمن بعد الْعَصْر حَتَّى تغرب الشَّمْس أحب إِلَيّ من أَن أعتق أَربع رقبات من ولد إِسْمَاعِيل
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৭৬
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৬. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করবে, এরপর সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করবে, এরপর দাঁড়িয়ে দুই রাকআত সালাত আদায় করবে, তাকে দান করা হবে একটি হজ্জ ও একটি উমরার সওয়াব।
(তাবারানী উত্তম সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী উত্তম সনদে এ হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
676 - وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من صلى صَلَاة الْغَدَاة فِي جمَاعَة ثمَّ جلس يذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس ثمَّ قَامَ فصلى رَكْعَتَيْنِ انْقَلب بِأَجْر حجَّة وَعمرَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده جيد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَإِسْنَاده جيد
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৭৭
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৭. হযরত ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সা) ফজরের সালাত আদায় করার পর তাঁর বসা থেকে উঠতেন না, যতক্ষণ না (ইশরাক) সালাতের সময় হতো। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের সালাত আদায় করে তার মুসাল্লায় (ইশরাক) সালাত পর্যন্ত বসে রইল, তার এই বসায় একটি কবুলকৃত হজ্জ ও উমরা আদায়ের তুল্য সওয়াব রয়েছে।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ফযল ইবন মুয়াফিক ব্যতীত তাঁর বর্ণনাকারী সবাই বিশ্বস্ত। তাঁর ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে।)
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। ফযল ইবন মুয়াফিক ব্যতীত তাঁর বর্ণনাকারী সবাই বিশ্বস্ত। তাঁর ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
677 - وَعَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِذا صلى الْفجْر لم يقم من مَجْلِسه حَتَّى تمكنه الصَّلَاة وَقَالَ من صلى الصُّبْح ثمَّ جلس فِي مَجْلِسه حَتَّى تمكنه الصَّلَاة كَانَ بِمَنْزِلَة عمْرَة وَحجَّة مُتَقَبَّلَتَيْنِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا الْفضل بن الْمُوفق فَفِيهِ كَلَام
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَرُوَاته ثِقَات إِلَّا الْفضل بن الْمُوفق فَفِيهِ كَلَام
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৮
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৮. হযরত আবদুল্লাহ ইবন গাবির (রা) থেকে বর্ণিত। হযরত উমামা এবং উতবা ইবন আব্দ (রা) উভয়ে রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামা'আতে আদায় করে মুসাল্লায় অবস্থান নিল, এমন কি আল্লাহর উদ্দেশ্যে সালাতুদ্দোহা আদায় করল, তার জন্য রয়েছে একজন হাজীর এবং একজন উমরাকারীর ন্যায় সওয়াব এবং তা হবে তার জন্য একটি পূর্ণ হজ্জ ও পূর্ণ উমরাতুল্য।
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর কোন কোন বর্ণনাকারী-সম্পর্কে দ্বিমত হয়েছে। তবে এ হাদীসের সমর্থনে অনেক বর্ণনা আছে।)
(তাবারানী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তাঁর কোন কোন বর্ণনাকারী-সম্পর্কে দ্বিমত হয়েছে। তবে এ হাদীসের সমর্থনে অনেক বর্ণনা আছে।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
678 - وَعَن عبد الله بن غابر أَن أُمَامَة وَعتبَة بن عبد رَضِي الله عَنْهُمَا حَدَّثَاهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من صلى صَلَاة الصُّبْح فِي جمَاعَة ثمَّ ثَبت حَتَّى يسبح لله سبْحَة الضُّحَى كَانَ لَهُ كَأَجر حَاج ومعتمر تَاما لَهُ حجه وعمرته
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَبَعض رُوَاته مُخْتَلف فِيهِ وَلِلْحَدِيثِ شَوَاهِد كَثِيرَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَبَعض رُوَاته مُخْتَلف فِيهِ وَلِلْحَدِيثِ شَوَاهِد كَثِيرَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ৬৭৯
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৭৯. হযরত আমরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি উন্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ফজরের সালাত অথবা তিনি বলেছেন, ভোরের সালাত আদায়ের পর মুসাল্লায় বসে থাকে এবং পার্থিব কোন অনর্থক কাজে জড়িয়ে পড়ে না এবং আল্লাহর যিকর করে, এমনকি চার রাকআত সালাতুদ্দোহা আদায় করে, সে গুনাহ থেকে এমনিভাবে
বেরিয়ে আসে, যেমন তার মা তাকে নিষ্পাপ প্রসব করেছে।
(আবু ইয়ালা নিজস্ব শব্দযোগে এবং তাবারানীও হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
বেরিয়ে আসে, যেমন তার মা তাকে নিষ্পাপ প্রসব করেছে।
(আবু ইয়ালা নিজস্ব শব্দযোগে এবং তাবারানীও হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
679 - وَرُوِيَ عَن عمْرَة رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت أم الْمُؤمنِينَ تَعْنِي عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا تَقول سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من صلى الْفجْر أَو قَالَ الْغَدَاة فَقعدَ فِي مَقْعَده فَلم يلغ بِشَيْء من أَمر الدُّنْيَا وَيذكر الله حَتَّى يُصَلِّي الضُّحَى أَربع رَكْعَات خرج من ذنُوبه كَيَوْم وَلدته أمه لَا ذَنْب لَهُ
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَاللَّفْظ لَهُ وَالطَّبَرَانِيّ
رَوَاهُ أَبُو يعلى وَاللَّفْظ لَهُ وَالطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৬৮০
অধ্যায়ঃ নামাজ
পরিচ্ছেদঃ ফজর ও আসরের সালাতের পর লোকের মুসাল্লায় বসার প্রতি অনুপ্রেরণা
৬৮০. হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) থেকে নবী (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি নজদের উদ্দেশ্যে একটি অভিযান প্রেরণ করেন। তারা প্রচুর গনীমত সামগ্রী নিয়ে (অতি দ্রুত) ফিরে আসে। আমাদের মধ্যকার একব্যক্তি বলল, এ অভিযান সব চাইতে দ্রুতগামী অভিযান এবং এই অভিযানে প্রাপ্ত গনীমতের ন্যায় উত্তম গনীমত লাভ করতে আমি আর কখনো দেখি নি। নবী বললেনঃ আমি কি তোমাদের এমন একদল লোকের কথা বলে দেব না, যারা লাভ করেছে এর চাইতে উত্তম গনীমত এবং প্রত্যাবর্তন করেছে (আরো) দ্রুত? তারা হল: এমন একদল লোক, যারা ফজরের জামাআতে উপস্থিত হয়েছে এরপর সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর যিকর করেছে, তারাই হল অধিক দ্রুত আগমনকারী ও উত্তম গনীমত অর্জনকারী দল।
(তিরমিযী (র) তাঁর জামে গ্রন্থে 'দাওয়াত অধ্যায়ে' এ হাদীস বর্ণনা করেন। আরো বর্ণনা করেন, বাযযার, আবু ইয়ালা এবং ইবন হিব্বান হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। বাযযার বর্ণনা করেন যে, যিনি এ কথা বলেছেন, তিনি হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা), আর হাদীসের শেষাংশে তিনি বলেনঃ তারপর রসূলুল্লাহ (সা) বললেন: হে আবু বকর আমি কি তোমাকে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করব না? যে এদের চেয়ে দ্রুত প্রত্যাবর্তনকারী এবং উত্তম গনীমত অর্জনকারী। সে ব্যক্তি হলো, যে ফজরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করল এরপর সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর যিক্র করল, সে এদের চেয়ে দ্রুত প্রত্যাবর্তনকারী এবং উত্তম গনীমত অর্জনকারী।)
(তিরমিযী (র) তাঁর জামে গ্রন্থে 'দাওয়াত অধ্যায়ে' এ হাদীস বর্ণনা করেন। আরো বর্ণনা করেন, বাযযার, আবু ইয়ালা এবং ইবন হিব্বান হযরত আবূ হুরায়রা (রা) সূত্রে তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। বাযযার বর্ণনা করেন যে, যিনি এ কথা বলেছেন, তিনি হলেন হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা), আর হাদীসের শেষাংশে তিনি বলেনঃ তারপর রসূলুল্লাহ (সা) বললেন: হে আবু বকর আমি কি তোমাকে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করব না? যে এদের চেয়ে দ্রুত প্রত্যাবর্তনকারী এবং উত্তম গনীমত অর্জনকারী। সে ব্যক্তি হলো, যে ফজরের সালাত জামাআতের সাথে আদায় করল এরপর সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর যিক্র করল, সে এদের চেয়ে দ্রুত প্রত্যাবর্তনকারী এবং উত্তম গনীমত অর্জনকারী।)
كتاب الصَّلَاة
التَّرْغِيب فِي جُلُوس الْمَرْء فِي مُصَلَّاهُ بعد صَلَاة الصُّبْح وَصَلَاة الْعَصْر
680 - وَرُوِيَ عَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ أَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بعث بعثا قبل نجد فغنموا غَنَائِم كَثِيرَة وأسرعوا الرّجْعَة فَقَالَ رجل منا لم يخرج مَا رَأينَا بعثا أسْرع رَجْعَة وَلَا أفضل غنيمَة من هَذَا الْبَعْث فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَلا أدلكم على قوم أفضل غنيمَة وأسرع رَجْعَة قوم شهدُوا صَلَاة الصُّبْح ثمَّ جَلَسُوا يذكرُونَ الله حَتَّى طلعت الشَّمْس أُولَئِكَ أسْرع رَجْعَة وَأفضل غنيمَة
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي الدَّعْوَات من جَامعه وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة بِنَحْوِهِ وَذكر الْبَزَّار فِيهِ أَن الْقَائِل مَا رَأينَا هُوَ أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ وَقَالَ فِي آخِره فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا بكر أَلا أدلك على مَا هُوَ أسْرع إيابا وَأفضل مغنما من صلى الْغَدَاة فِي جمَاعَة ثمَّ ذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ فِي الدَّعْوَات من جَامعه وَرَوَاهُ الْبَزَّار وَأَبُو يعلى وَابْن حبَان فِي صَحِيحه من حَدِيث أبي هُرَيْرَة بِنَحْوِهِ وَذكر الْبَزَّار فِيهِ أَن الْقَائِل مَا رَأينَا هُوَ أَبُو بكر رَضِي الله عَنهُ وَقَالَ فِي آخِره فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَا أَبَا بكر أَلا أدلك على مَا هُوَ أسْرع إيابا وَأفضل مغنما من صلى الْغَدَاة فِي جمَاعَة ثمَّ ذكر الله حَتَّى تطلع الشَّمْس
তাহকীক: