আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
الترغيب والترهيب للمنذري
৪. অধ্যায়ঃ পবিত্রতা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১৯ টি
হাদীস নং: ২৬২
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬২. হযরত আবু বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) আমার ও জনৈক ব্যক্তির মাঝে পথ চলছিলেন। এ সময় তিনি দু'টি কবরের কাছে আসেন। তিনি বলেনঃ এই দুই কবরবাসীকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে (কাজেই তোমরা আমার কাছে একটি ডাল নিয়ে এসো)। আবু বাকরা (রা) বলেনঃ আমি এবং আমার অপর বন্ধুটি দৌড়ে গিয়ে একটি ডাল নিয়ে তাঁর কাছে এলাম। তিনি তা দুই টুকরা করে কবর দুটিতে পুঁতে দিলেন। এরপর তিনি বললেন। ডাল দুটো তাজা থাকা পর্যন্ত তাদের কবরে শাস্তি হালকা করা হবে। তাদের কোন বড় গুনাহের কারণে এ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না; বরং তা ছিল গীবত ও পেশাব করার পর তারা
যথাযথভাবে পবিত্রতা হাসিল করত না।
(ইমাম আহমদ ও তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে তার নিজ শব্দে, ইবন মাজাহ সংক্ষেপে, বাহর ইব্ন মিরার হতে তাঁর দাদা আবূ বাকরা (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি (বাহর) তাঁর সাক্ষাত পাননি।)
যথাযথভাবে পবিত্রতা হাসিল করত না।
(ইমাম আহমদ ও তাবারানী 'আওসাত' গ্রন্থে তার নিজ শব্দে, ইবন মাজাহ সংক্ষেপে, বাহর ইব্ন মিরার হতে তাঁর দাদা আবূ বাকরা (রা) থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি (বাহর) তাঁর সাক্ষাত পাননি।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
262 - وَعَن أبي بكرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ بَيْنَمَا النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يمشي بيني وَبَين رجل آخر إِذْ أَتَى على قبرين فَقَالَ إِن صَاحِبي هذَيْن القبرين يعذبان فائتياني بجريدة
قَالَ أَبُو بكرَة فاستبقت أَنا وصاحبي فَأَتَيْته بجريدة فَشَقهَا نِصْفَيْنِ فَوضع فِي هَذَا الْقَبْر وَاحِدَة وَفِي ذَا الْقَبْر وَاحِدَة وَقَالَ لَعَلَّه يُخَفف عَنْهُمَا مَا دامتا رطبتين إنَّهُمَا يعذبان بِغَيْر كَبِير الْغَيْبَة وَالْبَوْل
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا من رِوَايَة بَحر بن مرار عَن جده أبي بكرَة وَلم يُدْرِكهُ
قَالَ أَبُو بكرَة فاستبقت أَنا وصاحبي فَأَتَيْته بجريدة فَشَقهَا نِصْفَيْنِ فَوضع فِي هَذَا الْقَبْر وَاحِدَة وَفِي ذَا الْقَبْر وَاحِدَة وَقَالَ لَعَلَّه يُخَفف عَنْهُمَا مَا دامتا رطبتين إنَّهُمَا يعذبان بِغَيْر كَبِير الْغَيْبَة وَالْبَوْل
رَوَاهُ أَحْمد وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه مُخْتَصرا من رِوَايَة بَحر بن مرار عَن جده أبي بكرَة وَلم يُدْرِكهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৬৩
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬৩. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: পেশাব থেকে অসতর্কতাজনিত কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কবরে আযাব দেওয়া হবে।
(ইমাম আহমদও ইব্ন মাজাহ নিজ শব্দেযোগে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, শায়খায়নের শর্তে হাদীসটি সহীহ। তবে এর কারণ আমার জানা নেই।)
(ইমাম আহমদও ইব্ন মাজাহ নিজ শব্দেযোগে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাকিম বলেন, শায়খায়নের শর্তে হাদীসটি সহীহ। তবে এর কারণ আমার জানা নেই।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
263 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَكثر عَذَاب الْقَبْر من الْبَوْل
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ وَلَا أعلم لَهُ عِلّة
رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط الشَّيْخَيْنِ وَلَا أعلم لَهُ عِلّة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৪
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬৪. হযরত উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা প্রচণ্ড গরমের দিনে নবী (সা) 'বাকীউল বারকাদ' নামক স্থানের দিকে বের হন। তিনি বলেন: লোকেরা তাঁর পেছনে হেঁটে যেত। তিনি (রাবী) বলেন, যখন তিনি জুতার আওয়াজ শুনতেন তখন তাঁর কাছে তা অপ্রিয় মনে হত। তখন তিনি বসে পড়তেন এবং লোকেরা তাঁর আগে চলে যেত। যখন তিনি বাকীউল গারকাদ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি দু'টি কবর দেখতে পেলেন, যাতে দু'জন লোককে দাফন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, নবী (সা) সেখানে দাঁড়ালেন। এরপর তিনি বললেন: তোমরা আজ এখানে কাদের দাফন করেছ? তারা বলল, অমুক অমুককে। তারা বললঃ ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ্! আপনি কেন তা জিজ্ঞেসা করছেন? তিনি বললেনঃ তাদের একজন পেশাব থেকে ঠিকমত পবিত্রতা হাসিল করত না, অপরজন চোগলখুরী করে বেড়াত। এরপর তিনি একটি তাজা ডাল নিলেন এবং তা দুই টুকরা করলেন। এরপর তিনি তা কবর দুটিতে পুঁতে দিলেন। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি কেন এমনটি করলেন? তিনি বললেন: যাতে তাদের কবরের আযাব কিছুটা হালকা করা হয়। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কতদিন যাবত তাদের শাস্তি হালকা করা হবে? তিনি বললেনঃ গায়বের বিষয় আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেন না। যদি তোমাদের অন্তর পরিবর্তন না হত, যদি তোমরা অনর্থক বাক্যালাপে মত্ত না থাকতে, তাহলে আমি যেরূপ শুনতে পাই, তোমরা তদ্রুপ শুনতে পেতে।
(ইমাম আহমদ নিজ শব্দযোগে এবং ইবন মাজাহ উভয়ে আলী ইবন ইয়াযীদ আলহানী সূত্রে কাসিম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(ইমাম আহমদ নিজ শব্দযোগে এবং ইবন মাজাহ উভয়ে আলী ইবন ইয়াযীদ আলহানী সূত্রে কাসিম থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
264 - وَعَن أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ مر النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي يَوْم شَدِيد الْحر نَحْو بَقِيع الْغَرْقَد
قَالَ وَكَانَ النَّاس يَمْشُونَ خَلفه قَالَ فَلَمَّا سمع صَوت النِّعَال وقر ذَلِك فِي نَفسه فَجَلَسَ حَتَّى قدمهم أَمَامه فَلَمَّا مر ببقيع الْغَرْقَد إِذا بقبرين قد دفنُوا فيهمَا رجلَيْنِ
قَالَ فَوقف النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ من دفنتم هَاهُنَا الْيَوْم
قَالُوا فلَان وَفُلَان
قَالُوا يَا نَبِي الله وَمَا ذَاك قَالَ أما أَحدهمَا فَكَانَ لَا يتنزه من الْبَوْل وَأما الآخر فَكَانَ يمشي بالنميمة وَأخذ جَرِيدَة رطبَة فَشَقهَا ثمَّ جعلهَا على القبرين قَالُوا يَا نَبِي الله لم فعلت هَذَا قَالَ ليخففن عَنْهُمَا
قَالُوا يَا رَسُول الله حَتَّى مَتى هما يعذبان قَالَ غيب لَا يُعلمهُ إِلَّا الله وَلَوْلَا تمرغ قُلُوبكُمْ وتزيدكم فِي الحَدِيث لسمعتم مَا أسمع
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه كِلَاهُمَا من طَرِيق عَليّ بن يزِيد الالهاني عَن الْقَاسِم عَنهُ
قَالَ وَكَانَ النَّاس يَمْشُونَ خَلفه قَالَ فَلَمَّا سمع صَوت النِّعَال وقر ذَلِك فِي نَفسه فَجَلَسَ حَتَّى قدمهم أَمَامه فَلَمَّا مر ببقيع الْغَرْقَد إِذا بقبرين قد دفنُوا فيهمَا رجلَيْنِ
قَالَ فَوقف النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ من دفنتم هَاهُنَا الْيَوْم
قَالُوا فلَان وَفُلَان
قَالُوا يَا نَبِي الله وَمَا ذَاك قَالَ أما أَحدهمَا فَكَانَ لَا يتنزه من الْبَوْل وَأما الآخر فَكَانَ يمشي بالنميمة وَأخذ جَرِيدَة رطبَة فَشَقهَا ثمَّ جعلهَا على القبرين قَالُوا يَا نَبِي الله لم فعلت هَذَا قَالَ ليخففن عَنْهُمَا
قَالُوا يَا رَسُول الله حَتَّى مَتى هما يعذبان قَالَ غيب لَا يُعلمهُ إِلَّا الله وَلَوْلَا تمرغ قُلُوبكُمْ وتزيدكم فِي الحَدِيث لسمعتم مَا أسمع
رَوَاهُ أَحْمد وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه كِلَاهُمَا من طَرِيق عَليّ بن يزِيد الالهاني عَن الْقَاسِم عَنهُ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৬৫
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬৫. হযরত আবদুর রহমান ইব্ন হাসানা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা) একটি ঢাল নিয়ে আমাদের মাঝে আসেন এবং তিনি সেটা আড়াল করে ইস্তিনজা করেন। কতিপয় লোক তখন বলাবলি করছিল যে, তাঁর প্রতি তাকাও, তিনি মহিলাদের মত পেশাব করছেন। নবী (সা) তাদের কথা শুনে বললেন: তোমাদের জন্য আফসোস! তোমাদের জানা নেই যে, বনী ইসলাঈলের সেই ব্যক্তির কি দশা হয়েছিল যে বলেছিল, যেখানে পেশাব লাগবে সে অংশ কাঁচি দ্বারা কেটে ফেল। কিন্তু সে তাদের পেশাব লেগে যাওয়া অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটতে নিষেধ করেছিল। সে কারণে ঐ ব্যক্তিকে কবরে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
(ইবন মাজাহ ও ইবন হিববানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
(ইবন মাজাহ ও ইবন হিববানের 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
265 - وَعَن عبد الرَّحْمَن بن حَسَنَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ خرج علينا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي يَده الدرقة فوضعها ثمَّ جلس فَبَال إِلَيْهَا فَقَالَ بَعضهم انْظُرُوا إِلَيْهِ يَبُول كَمَا تبول الْمَرْأَة فَسَمعهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ وَيحك مَا علمت مَا أصَاب صَاحب بني إِسْرَائِيل كَانُوا إِذا أَصَابَهُم الْبَوْل قرضوه بِالْمَقَارِيضِ فنهاهم فعذب فِي قَبره
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَابْن حبَان فِي صَحِيحه
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৬৬
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬৬. হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সা) এর সাথে পথ চলছিলাম। আমরা দুটি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি দাঁড়ালেন এবং আমরাও তাঁর সাথে দাঁড়ালাম। তাঁর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল, এমনকি তার জামার আস্তিন থরথর করে কাঁপছিল। আমরা বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনার কি হল? তিনি বললেনঃ আমি যা শুনতে পাই, তোমরা কি তা শুনতে পাও? আমরা বললামঃ ইয়া নাবীয়্যাল্লাহ্। তা আবার কি? তিনি বললেন: এই দুই ব্যক্তিকে ছোট গুনাহের কারণে তাদের কবরে কঠিন শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। আমরা বললামঃ তা কি? তিনি বললেন: তাদের একজন পেশাব করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করত না এবং অপরজন মুখদ্বারা মানুষকে কষ্ট দিত এবং তাদের মাঝে চোগলখুরী করে বেড়াত। তিনি দুটি খেজুর ডাল আনালেন। এরপর তা প্রত্যেক কবরে পুঁতে দিলেন। আমরা বললামঃ এ ডাল কী তাদের কোন উপকারে আসবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, এ দু'টি যতক্ষণ তাজা থাকবে, ততক্ষণ তাদের কবরের আযাব হালকা করা হবে।
(ইব্ন হিববান তার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[فِي ذَنْب هَين] অর্থাৎ তাদের ধারণামতে কাজটি সহজ অথবা তা থেকে বিরত থাকা তাদের জন্য সহজ ব্যাপার ছিল। একথা দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে, মূলত কাজটি সাধারণ। কেননা চোগলখুরী সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
(ইব্ন হিববান তার 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
[فِي ذَنْب هَين] অর্থাৎ তাদের ধারণামতে কাজটি সহজ অথবা তা থেকে বিরত থাকা তাদের জন্য সহজ ব্যাপার ছিল। একথা দ্বারা উদ্দেশ্য এই নয় যে, মূলত কাজটি সাধারণ। কেননা চোগলখুরী সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
266 - وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالَ كُنَّا نمشي مَعَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فمررنا على قبرين فَقَامَ فقمنا مَعَه فَجعل لَونه يتَغَيَّر حَتَّى رعد كم قَمِيصه فَقُلْنَا مَا لَك يَا رَسُول الله فَقَالَ أما تَسْمَعُونَ مَا أسمع فَقُلْنَا وَمَا ذَاك يَا نَبِي الله قَالَ هَذَانِ رجلَانِ يعذبان فِي قبورهما عذَابا شَدِيدا فِي ذَنْب هَين قُلْنَا فيمَ ذَلِك قَالَ كَانَ أَحدهمَا لَا يستنزه من الْبَوْل وَكَانَ الآخر يُؤْذِي النَّاس بِلِسَانِهِ وَيَمْشي بَينهم بالنميمة فَدَعَا بجريدتين من جرائد النّخل فَجعل فِي كل قبر وَاحِدَة قُلْنَا وَهل يَنْفَعهُمْ ذَلِك قَالَ نعم يُخَفف عَنْهُمَا مَا دامتا رطبتين
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَوْله فِي ذَنْب هَين يَعْنِي هَين عِنْدهمَا وَفِي ظنهما أَو هَين عَلَيْهِمَا اجتنابه لَا إِنَّه هَين فِي نفس الْأَمر لِأَن النميمة مُحرمَة اتِّفَاقًا
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه
قَوْله فِي ذَنْب هَين يَعْنِي هَين عِنْدهمَا وَفِي ظنهما أَو هَين عَلَيْهِمَا اجتنابه لَا إِنَّه هَين فِي نفس الْأَمر لِأَن النميمة مُحرمَة اتِّفَاقًا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৭
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬৭. হযরত শাফি ইব্ন মাতি আসবাহী সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন: চার শ্রেণীর লোকের শাস্তির কারণে জাহান্নামীরাও কষ্ট পাবে। তারা জাহান্নামের আগুন এবং ফুটন্ত পানির মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে। তারা ধ্বংস ও নিপাত কামনা করবে। জাহান্নামীরা একে অপরকে বলবে, এ সকল লোকের কি হল, এমনিতেই আমরা কষ্ট পাচ্ছি, তদুপরি তারা আমাদের আরো কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বলেনঃ এদের একজনের মুখে পেরেক মারা হবে। অপর ব্যক্তি তার নিজের নাড়িভুড়ি টানাটানি করবে। অন্য ব্যক্তির মুখ থেকে বমি ও রক্ত প্রবাহিত হবে এবং অপর এক ব্যক্তি নিজ দেহের গোশত কামড়াবে। তিনি বলেন: তথন পেরেক মারা ব্যক্তিকে বলা হবে, এই হতভাগার কী হল যে, আমাদের কষ্টের উপরেও সে আমাদের কষ্ট দিচ্ছে? তখন ফিরিশতা উত্তরে বলবেনঃ এই হতাভাগ্য ঋণের বোঝা নিয়েই মৃত্যুবরণ করেছে, সে ঋণ পরিশোধ বা আদায় করার খেয়াল করেনি। এরপর যে ব্যক্তি তার ভুড়ি টানাহেঁচড়া করবে, তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবেঃ এই হতভাগ্যের কী হল, সে আমাদের নিজ (পাপের) উপর আমাদের আরো কষ্ট দিচ্ছে? তখন ফিরিশতা উত্তরে বলবেন? এই হতভাগ্য তার শরীর থেকে পেশাব ধৌত করার ব্যাপারে কোন পরওয়াই করত না। এরপর তিনি (রাবী) হাদীসের অবশিষ্ট অংশ বর্ণনা করেন।
(ইবন আবিদ-দুনিয়া তাঁর কিতাবুস-সামত-এ ও 'গীবতের পরিণতি' অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তাবারানী সাধারণ সনদে তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে এবং আবু নাঈম বর্ণিত। আবু নাঈম শাফি ইব্ন মাতি সম্পর্কে বলেন: লোকটি বিতর্কিত। কারো কারো মতে তিনি নবী-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ।)
(ইবন আবিদ-দুনিয়া তাঁর কিতাবুস-সামত-এ ও 'গীবতের পরিণতি' অধ্যায়ে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তাবারানী সাধারণ সনদে তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে এবং আবু নাঈম বর্ণিত। আবু নাঈম শাফি ইব্ন মাতি সম্পর্কে বলেন: লোকটি বিতর্কিত। কারো কারো মতে তিনি নবী-এর সাহচর্য লাভ করেছেন। পূর্ণ হাদীসটি সামনে আসবে ইনশা আল্লাহ।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
267 - وَعَن شفي بن ماتع الأصبحي رَضِي الله عَنهُ عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنه قَالَ أَرْبَعَة
يُؤْذونَ أهل النَّار على مَا بهم من الْأَذَى يسعون بَين الْحَمِيم والجحيم يدعونَ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور يَقُول أهل النَّار بَعضهم لبَعض مَا بَال هَؤُلَاءِ قد آذونا على مَا بِنَا من الْأَذَى قَالَ فَرجل مغلق عَلَيْهِ تَابُوت من جمر وَرجل يجر أمعاءه وَرجل يسيل فوه قَيْحا ودما وَرجل يَأْكُل لَحْمه
قَالَ فَيُقَال لصَاحب التابوت مَا بَال الْأَبْعَد قد آذَانا على مَا بِنَا من الْأَذَى فَيَقُول إِن الْأَبْعَد مَاتَ وَفِي عُنُقه أَمْوَال النَّاس مَا يجد لَهَا قَضَاء أَو وَفَاء ثمَّ يُقَال للَّذي يجر أمعاءه مَا بَال الْأَبْعَد قد آذَانا على مَا بِنَا من الْأَذَى فَيَقُول إِن الْأَبْعَد كَانَ لَا يُبَالِي أَيْن أصَاب الْبَوْل مِنْهُ لَا يغسلهُ
وَذكر بَقِيَّة الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الصمت وَكتاب ذمّ الْغَيْبَة وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد لين وَأَبُو نعيم وَقَالَ شفي بن ماتع مُخْتَلف فِيهِ
فَقيل لَهُ صُحْبَة وَيَأْتِي الحَدِيث بِتَمَامِهِ فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
يُؤْذونَ أهل النَّار على مَا بهم من الْأَذَى يسعون بَين الْحَمِيم والجحيم يدعونَ بِالْوَيْلِ وَالثُّبُور يَقُول أهل النَّار بَعضهم لبَعض مَا بَال هَؤُلَاءِ قد آذونا على مَا بِنَا من الْأَذَى قَالَ فَرجل مغلق عَلَيْهِ تَابُوت من جمر وَرجل يجر أمعاءه وَرجل يسيل فوه قَيْحا ودما وَرجل يَأْكُل لَحْمه
قَالَ فَيُقَال لصَاحب التابوت مَا بَال الْأَبْعَد قد آذَانا على مَا بِنَا من الْأَذَى فَيَقُول إِن الْأَبْعَد مَاتَ وَفِي عُنُقه أَمْوَال النَّاس مَا يجد لَهَا قَضَاء أَو وَفَاء ثمَّ يُقَال للَّذي يجر أمعاءه مَا بَال الْأَبْعَد قد آذَانا على مَا بِنَا من الْأَذَى فَيَقُول إِن الْأَبْعَد كَانَ لَا يُبَالِي أَيْن أصَاب الْبَوْل مِنْهُ لَا يغسلهُ
وَذكر بَقِيَّة الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب الصمت وَكتاب ذمّ الْغَيْبَة وَالطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِإِسْنَاد لين وَأَبُو نعيم وَقَالَ شفي بن ماتع مُخْتَلف فِيهِ
فَقيل لَهُ صُحْبَة وَيَأْتِي الحَدِيث بِتَمَامِهِ فِي الْغَيْبَة إِن شَاءَ الله تَعَالَى
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৬৮
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ পোশাক-পরিচ্ছদে প্রস্রাব লাগা এবং পাক না হওয়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৬৮. হযরত আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেন: তোমরা পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করবে। কেননা কবরে প্রথমেই সে বিষয়ের হিসাব গ্রহণ করা হবে।
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে ত্রুটিমুক্ত সনদে বর্ণিত।)
(হাদীসটি তাবারানীর 'কাবীর' গ্রন্থে ত্রুটিমুক্ত সনদে বর্ণিত।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من إِصَابَة الْبَوْل الثَّوْب وَغَيره وَعدم الِاسْتِبْرَاء مِنْهُ
268 - وَعَن أبي أُمَامَة رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ اتَّقوا الْبَوْل فَإِنَّهُ أول مَا يُحَاسب بِهِ العَبْد فِي الْقَبْر
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير أَيْضا بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير أَيْضا بِإِسْنَاد لَا بَأْس بِهِ
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৬৯
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৬৯. হযরত জাবির (রা) সূত্রে নবী (সা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস
রাখে, সে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় হাম্মামখানায় প্রবেশ না করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী, সে যেন তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর হাম্মামখানায় প্রবেশ না করে।
(নাসাঈ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। ইমাম হাকিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এই হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ্।)
রাখে, সে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় হাম্মামখানায় প্রবেশ না করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী, সে যেন তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর হাম্মামখানায় প্রবেশ না করে।
(নাসাঈ ও তিরমিযী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান। ইমাম হাকিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ এই হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ্।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
269 - عَن جَابر رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل الْحمام إِلَّا بمئزر وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل حليلته الْحمام
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالتِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭০
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭০. হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: অচিরেই তোমরা অসংখ্য অনারব দেশ জয় করবে এবং তাতে হাম্মাম নামক অসংখ্য ঘর দেখবে। পুরুষরা যেন তাতে বিবস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ না করে এবং মহিলাদেরও প্রবেশ করতে নিষেধ করবে। তবে যারা রোগাক্রান্ত ও ঋতুমতী, তাদের কথা স্বতন্ত্র।
(ইবন মাজাহ ও আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদে আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনআম নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।)
(ইবন মাজাহ ও আবু দাউদ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদে আবদুর রহমান ইবন যিয়াদ ইবন আনআম নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
270 - وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ستفتح عَلَيْكُم أَرض الْعَجم وستجدون فِيهَا بُيُوتًا يُقَال لَهَا الحمامات فَلَا يدخلنها الرِّجَال إِلَّا بالأزر وامنعوها النِّسَاء إِلَّا مَرِيضَة أَو نفسَاء
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَأَبُو دَاوُد وَفِي إِسْنَاده عبد الرَّحْمَن بن زِيَاد بن أنعم
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَأَبُو دَاوُد وَفِي إِسْنَاده عبد الرَّحْمَن بن زِيَاد بن أنعم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭১
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭১. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। প্রথমে রাসূলুল্লাহ (সা) এরপর তিনি পুরুষের জন্য বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অবকাশ দিয়েছেন।
(আবূ দাউদ নিজ শব্দে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি এই হাদীসকে যঈফ বলে মনে করেন না। তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ গ্রন্থে আরো আছেঃ "তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে (সবাইকে) নিষেধ করেছেন।" ইব্ন মাজাহ-এর অন্য সূত্রে বর্ণিত আছে যে, "মহিলাদের জন্য কোন অবকাশ নেই।")
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি আবূ উযরা সূত্রে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। আবু ঘুরআ রাযী (র)-কে আবূ উযরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: তাকে কেউ সমালোচনা করেছে বলে আমার জানা নেই। আবু বকর ইব্ন হাযম (র) বলেন: উপরোক্ত সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আবু উযরা অপ্রসিদ্ধ ব্যক্তি। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটির সনদ ততটা সবল নয়।
(আবূ দাউদ নিজ শব্দে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তবে তিনি এই হাদীসকে যঈফ বলে মনে করেন না। তিরমিযী ও ইব্ন মাজাহ ও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন মাজাহ গ্রন্থে আরো আছেঃ "তিনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে (সবাইকে) নিষেধ করেছেন।" ইব্ন মাজাহ-এর অন্য সূত্রে বর্ণিত আছে যে, "মহিলাদের জন্য কোন অবকাশ নেই।")
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি আবূ উযরা সূত্রে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। আবু ঘুরআ রাযী (র)-কে আবূ উযরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন: তাকে কেউ সমালোচনা করেছে বলে আমার জানা নেই। আবু বকর ইব্ন হাযম (র) বলেন: উপরোক্ত সূত্র ব্যতীত অন্য কোন সূত্রে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আবু উযরা অপ্রসিদ্ধ ব্যক্তি। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (র) বলেনঃ হাদীসটির সনদ ততটা সবল নয়।
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
271 - وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن دُخُول الحمامات ثمَّ رخص للرِّجَال أَن يدخلوها فِي المآزر
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلم يُضعفهُ وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَلم يرخص للنِّسَاء
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله رَوَوْهُ كلهم من حَدِيث أبي عذرة عَن عَائِشَة وَقد سُئِلَ أَبُو زرْعَة الرَّازِيّ عَن أبي عذرة هَل يُسمى فَقَالَ لَا أعلم أحدا سَمَّاهُ وَقَالَ أَبُو بكر بن حَازِم لَا يعرف هَذَا الحَدِيث إِلَّا من هَذَا الْوَجْه وَأَبُو عذرة غير مَشْهُور وَقَالَ التِّرْمِذِيّ إِسْنَاده لَيْسَ بِذَاكَ الْقَائِم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَلم يُضعفهُ وَاللَّفْظ لَهُ وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه وَلم يرخص للنِّسَاء
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله رَوَوْهُ كلهم من حَدِيث أبي عذرة عَن عَائِشَة وَقد سُئِلَ أَبُو زرْعَة الرَّازِيّ عَن أبي عذرة هَل يُسمى فَقَالَ لَا أعلم أحدا سَمَّاهُ وَقَالَ أَبُو بكر بن حَازِم لَا يعرف هَذَا الحَدِيث إِلَّا من هَذَا الْوَجْه وَأَبُو عذرة غير مَشْهُور وَقَالَ التِّرْمِذِيّ إِسْنَاده لَيْسَ بِذَاكَ الْقَائِم
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭২
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭২. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছি: আমার উম্মতের নারীদের জন্য হাম্মাম হারাম।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: এই হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।)
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: এই হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
272- وعنها رَضِي الله عَنْهَا قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول الْحمام حرَام على نسَاء أمتِي
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ هَذَا حَدِيث صَحِيح الْإِسْنَاد
رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ هَذَا حَدِيث صَحِيح الْإِسْنَاد
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৩
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৩. হযরত আবূ আইয়ুব আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় হাম্মামে প্রবেশ না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন কল্যাণকর কথা বলে অথবা চুপ থাকে। তোমাদের নারীদের যারা আল্লাহ্ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, তারা যেন হাম্মামে প্রবেশ না করে।
তিনি (রাবী) বলেন, আমি হাদীসটি নিয়ে উমর ইব্ন আবদুল আযীয (র)-এর শাসনামলে তাঁর নিকট গেলাম। এরপর তিনি আবূ বাকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হাযম (র)-কে লিখলেন, তিনি যেন মুহাম্মদ ইবন সাবিতকে তাঁর বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি হাদীসটির সনদে সন্তুষ্ট হন এবং তাকে প্রশ্ন করেন। এরপর তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর কাছে হাদীসটির (বিশুদ্ধতা) সম্পর্কে লিখেন।
এরপর তিনি মহিলাদেরকে হাম্মামে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন।
(ইবন হিববান নিজ শব্দে তার 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: হাদীসটির সনদ বিশুদ্ধ। তাবারানী তার 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে লায়সের সচিব আবদুল্লাহ ইবন সালিহ হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁর সনদে উমর ইবন আবদুল আযীযের প্রসঙ্গ উল্লেখিত হয়নি।)
তিনি (রাবী) বলেন, আমি হাদীসটি নিয়ে উমর ইব্ন আবদুল আযীয (র)-এর শাসনামলে তাঁর নিকট গেলাম। এরপর তিনি আবূ বাকর ইবন মুহাম্মদ ইবন আমর ইবন হাযম (র)-কে লিখলেন, তিনি যেন মুহাম্মদ ইবন সাবিতকে তাঁর বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি হাদীসটির সনদে সন্তুষ্ট হন এবং তাকে প্রশ্ন করেন। এরপর তিনি উমর ইবন আবদুল আযীয (র)-এর কাছে হাদীসটির (বিশুদ্ধতা) সম্পর্কে লিখেন।
এরপর তিনি মহিলাদেরকে হাম্মামে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন।
(ইবন হিববান নিজ শব্দে তার 'সহীহ' গ্রন্থে এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: হাদীসটির সনদ বিশুদ্ধ। তাবারানী তার 'কাবীর' ও 'আওসাত' গ্রন্থে লায়সের সচিব আবদুল্লাহ ইবন সালিহ হতে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তাঁর সনদে উমর ইবন আবদুল আযীযের প্রসঙ্গ উল্লেখিত হয়নি।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
273- وَعَن أبي أَيُّوب الْأنْصَارِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَليُكرم جَاره وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل الْحمام إِلَّا بمئزر وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلْيقل خيرا أَو ليصمت وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر من نِسَائِكُم فَلَا يدْخل الْحمام
قَالَ فنهيت بذلك إِلَى عمر بن عبد الْعَزِيز رَضِي الله عَنهُ فِي خِلَافَته فَكتب إِلَى أبي بكر بن مُحَمَّد بن عَمْرو بن حزم أَن سل مُحَمَّد بن ثَابت عَن حَدِيثه فَإِنَّهُ رَضِي فَسَأَلَهُ ثمَّ كتب إِلَى عمر فَمنع النِّسَاء عَن الْحمام
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث وَلَيْسَ عِنْده ذكر عمر بن عبد الْعَزِيز
قَالَ فنهيت بذلك إِلَى عمر بن عبد الْعَزِيز رَضِي الله عَنهُ فِي خِلَافَته فَكتب إِلَى أبي بكر بن مُحَمَّد بن عَمْرو بن حزم أَن سل مُحَمَّد بن ثَابت عَن حَدِيثه فَإِنَّهُ رَضِي فَسَأَلَهُ ثمَّ كتب إِلَى عمر فَمنع النِّسَاء عَن الْحمام
رَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير والأوسط من رِوَايَة عبد الله بن صَالح كَاتب اللَّيْث وَلَيْسَ عِنْده ذكر عمر بن عبد الْعَزِيز
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৪
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৪. হযরত ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা হাম্মাম থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবে। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তা তো ময়লা দূর করে। তিনি বললেনঃ তোমরা পর্দা করবে।
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, লোকেরা তাউস থেকে মুরসাল হিসেবে এটি বর্ণনা করেছে।)
[হাফিয মুনযিরী (রা) বলেনঃ] হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারীদের মতই। হাকিম এটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ। তাঁর শব্দমালা হচ্ছেঃ "তোমরা হাম্মাম সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করবে। তারা বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা তো ময়লা দূর করে এবং রোগীর রোগ নিরাময় করে। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি হাম্মামে প্রবেশ করবে, সে যেন পর্দা করে।"
তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে হাকিমের বর্ণিত শব্দের কাছাকাছি শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি হাদীসের প্রথমাংশে বলেন: "সকল ঘর থেকে হাম্মামখানা নিকৃষ্ট। যেহেতু সেখানে চিৎকার করা হয় এবং লজ্জাস্থান খোলা হয়।"
(বাযযার হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেন, লোকেরা তাউস থেকে মুরসাল হিসেবে এটি বর্ণনা করেছে।)
[হাফিয মুনযিরী (রা) বলেনঃ] হাদীসটির বর্ণনাকারীগণ সহীহ হাদীসের বর্ণনাকারীদের মতই। হাকিম এটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্তে সহীহ। তাঁর শব্দমালা হচ্ছেঃ "তোমরা হাম্মাম সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করবে। তারা বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা তো ময়লা দূর করে এবং রোগীর রোগ নিরাময় করে। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি হাম্মামে প্রবেশ করবে, সে যেন পর্দা করে।"
তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে হাকিমের বর্ণিত শব্দের কাছাকাছি শব্দে বর্ণনা করেন। তিনি হাদীসের প্রথমাংশে বলেন: "সকল ঘর থেকে হাম্মামখানা নিকৃষ্ট। যেহেতু সেখানে চিৎকার করা হয় এবং লজ্জাস্থান খোলা হয়।"
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
274- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم احْذَرُوا بَيْتا يُقَال لَهُ الْحمام
قَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّه ينقي الْوَسخ قَالَ فاستتروا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَقَالَ رَوَاهُ النَّاس عَن طَاوس مُرْسلا
قَالَ الْحَافِظ وَرُوَاته كلهم مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَرَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَلَفظه اتَّقوا بَيْتا يُقَال لَهُ الْحمام
قَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّه يذهب الدَّرن
وينفع الْمَرِيض قَالَ فَمن دخله فليستتر
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِنَحْوِ الْحَاكِم وَقَالَ فِي أَوله شَرّ الْبيُوت الْحمام ترفع فِيهِ الْأَصْوَات وَتكشف فِيهِ العورات
قَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّه ينقي الْوَسخ قَالَ فاستتروا
رَوَاهُ الْبَزَّار وَقَالَ رَوَاهُ النَّاس عَن طَاوس مُرْسلا
قَالَ الْحَافِظ وَرُوَاته كلهم مُحْتَج بهم فِي الصَّحِيح وَرَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط مُسلم وَلَفظه اتَّقوا بَيْتا يُقَال لَهُ الْحمام
قَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّه يذهب الدَّرن
وينفع الْمَرِيض قَالَ فَمن دخله فليستتر
وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِنَحْوِ الْحَاكِم وَقَالَ فِي أَوله شَرّ الْبيُوت الْحمام ترفع فِيهِ الْأَصْوَات وَتكشف فِيهِ العورات
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৫
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৫. কনস্টান্টিনোপলের কাসুল আজনাদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ হযরত উমর ইবন খাত্তাব (রা) বলেছেনঃ হে লোকেরা! আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন এমন দস্তরখানে না বসে, যেখানে মদ পরিবেশন করা হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় হাম্মামে প্রবেশ না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস করে, সে যেন তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর হাম্মামে প্রবেশ না।
(আহমদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: কাসুল আজনাদ সম্পর্কে আমার জানা নেই। তিনি ব্যতীত অন্যান্যগণ হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তাঁদের বর্ণনায়ও আবূ খায়রা নামে একজন রাবী আছেন, যার সম্পর্কে আমার জানা নেই।)
(আহমদ (র) হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং তিনি বলেন: কাসুল আজনাদ সম্পর্কে আমার জানা নেই। তিনি ব্যতীত অন্যান্যগণ হযরত আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তাঁদের বর্ণনায়ও আবূ খায়রা নামে একজন রাবী আছেন, যার সম্পর্কে আমার জানা নেই।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
275- وَعَن قاص الأجناد بِالْقُسْطَنْطِينِيَّةِ أَنه حدث أَن عمر بن الْخطاب رَضِي الله عَنهُ قَالَ يَا أَيهَا النَّاس إِنِّي سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يقعدن على مائدة يدار عَلَيْهَا الْخمر وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل الْحمام إِلَّا بإزار وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل حليلته الْحمام
رَوَاهُ أَحْمد
وَقاص الأجناد لَا أعرفهُ وَرُوِيَ آخِره أَيْضا عَن أبي هُرَيْرَة وَفِيه أَبُو خيرة لَا أعرفهُ أَيْضا
رَوَاهُ أَحْمد
وَقاص الأجناد لَا أعرفهُ وَرُوِيَ آخِره أَيْضا عَن أبي هُرَيْرَة وَفِيه أَبُو خيرة لَا أعرفهُ أَيْضا
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৬
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৬. হযরত আবুল মালীহ হুযালী (রা) থেকে বর্ণিত একদা হিমস অথবা সিরিয়ার নারী সমাজ হযরত আয়েশা (রা)-এর কাছে প্রবেশ করল। তিনি বললেনঃ তোমাদের নারী সমাজ তো হাম্মামে প্রবেশ করে থাকে। আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ কোন মহিলা যখন তার স্বামীর ঘর ছাড়া অন্যের ঘরে কাপড় রাখল, তখন সে তার এবং তার প্রতিপালকের মধ্যকার পর্দা ছিন্ন করে দিল।
(তিরমিযী নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান। আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম হাকিম বলেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তে সহীহ।
আহমদ, আবু ইয়ালা, তাবারানী ও হাকিম সূত্রেই দাররাজ আবু সামূহ কর্তৃক (র) সায়িব (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদল মহিলা হযরত উম্মে সালামা (রা)-এর কাছে প্রবেশ করল। তিনি তাদের জিজ্ঞেসা করলেনঃ তোমরা কোন দেশের অধিবাসী? তারা বলল: হিমসের অধিবাসী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি হাম্মাম ব্যবহার কর? তারা বলল: তাতে অসুবিধার কি আছে? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহকে (সা) বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা তার বস্ত্র অন্যের ঘরে খুলে রাখে, আল্লাহ্ তাকে বিবস্ত্র করবেন।)
(তিরমিযী নিজ শব্দযোগে হাদীসটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: হাদীসটি হাসান। আবূ দাউদ, ইবন মাজাহ এবং হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম হাকিম বলেনঃ হাদীসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তে সহীহ।
আহমদ, আবু ইয়ালা, তাবারানী ও হাকিম সূত্রেই দাররাজ আবু সামূহ কর্তৃক (র) সায়িব (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদল মহিলা হযরত উম্মে সালামা (রা)-এর কাছে প্রবেশ করল। তিনি তাদের জিজ্ঞেসা করলেনঃ তোমরা কোন দেশের অধিবাসী? তারা বলল: হিমসের অধিবাসী। তিনি বললেনঃ তোমরা কি হাম্মাম ব্যবহার কর? তারা বলল: তাতে অসুবিধার কি আছে? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহকে (সা) বলতে শুনেছিঃ যে মহিলা তার বস্ত্র অন্যের ঘরে খুলে রাখে, আল্লাহ্ তাকে বিবস্ত্র করবেন।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
276- وَعَن أبي الْمليح الْهُذلِيّ رَضِي الله عَنهُ أَن نسَاء من أهل حمص أَو من أهل الشأم دخلن على عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا فَقَالَت أنتن اللَّاتِي تدخلن نساءكن الحمامات سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول مَا من امْرَأَة تضع ثِيَابهَا فِي غير بَيت زَوجهَا إِلَّا هتكت السّتْر بَينهَا وَبَين رَبهَا
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
وروى أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَالْحَاكِم أَيْضا من طَرِيق دراج أبي السَّمْح عَن السَّائِب أَن نسَاء دخلن على أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا فسألتهن من أنتن قُلْنَ من أهل حمص
قَالَت من أَصْحَاب الحمامات قُلْنَ وَبهَا باس
قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول أَيّمَا امْرَأَة نزعت ثِيَابهَا فِي غير بَيتهَا خرق الله عَنْهَا ستره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَقَالَ حَدِيث حسن وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرطهمَا
وروى أَحْمد وَأَبُو يعلى وَالطَّبَرَانِيّ وَالْحَاكِم أَيْضا من طَرِيق دراج أبي السَّمْح عَن السَّائِب أَن نسَاء دخلن على أم سَلمَة رَضِي الله عَنْهَا فسألتهن من أنتن قُلْنَ من أهل حمص
قَالَت من أَصْحَاب الحمامات قُلْنَ وَبهَا باس
قَالَت سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَقُول أَيّمَا امْرَأَة نزعت ثِيَابهَا فِي غير بَيتهَا خرق الله عَنْهَا ستره
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৭৭
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৭. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী, সে যেন বিবস্ত্র অবস্থায় হাম্মামে প্রবেশ না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী, সে যেন তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর হাম্মামের প্রবেশ না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী, সে যেন জুমু'আয় আগত মুসল্লীদের জায়গা প্রশস্ত করে দেয়। আর যে ব্যক্তি ক্রীড়া-কৌতুক অথবা ব্যবসা-বাণিজ্যে মশগুল থেকে জুমু'আ পরিত্যাগ করে, আল্লাহ্ তার থেকে অমুখাপেক্ষী। কেননা আল্লাহ্ তা'আলা অমুখাপেক্ষী ও প্রশংসার্হ।
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে নিজ শব্দে হাদীসটি বর্ণিত। বাযযার জুমুআর বিষয়টি ব্যতীত এটি উল্লেখ করেন। তবে তাঁর বর্ণনায় আলী ইব্ন ইয়াযীদ আলহানী নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।)
(তাবারানীর 'আওসাত' গ্রন্থে নিজ শব্দে হাদীসটি বর্ণিত। বাযযার জুমুআর বিষয়টি ব্যতীত এটি উল্লেখ করেন। তবে তাঁর বর্ণনায় আলী ইব্ন ইয়াযীদ আলহানী নামে একজন সন্দিগ্ধ রাবী রয়েছেন।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
277- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل الْحمام إِلَّا بمئزر وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل حليلته الْحمام وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فليسع إِلَى الْجُمُعَة
وَمن اسْتغنى عَنْهَا بلهو أَو تِجَارَة اسْتغنى الله عَنهُ وَالله غَنِي حميد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَزَّار دون ذكر الْجُمُعَة وَفِيه عَليّ بن يزِيد الْأَلْهَانِي
وَمن اسْتغنى عَنْهَا بلهو أَو تِجَارَة اسْتغنى الله عَنهُ وَالله غَنِي حميد
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط وَاللَّفْظ لَهُ وَالْبَزَّار دون ذكر الْجُمُعَة وَفِيه عَليّ بن يزِيد الْأَلْهَانِي
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৭৮
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৮. হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে হাম্মাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বললেনঃ আমার ইনতিকালের পরে অচিরেই অসংখ্য হাম্মাম হবে। মহিলাদের জন্য হাম্মামে কোন কল্যাণ নেই। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তারা কি পোশাক-পরিচ্ছদ পরিহিত অবস্থায় তাতে প্রবেশ করবে? তিনি বললেন: না, যদিও তারা ইযার, কামিস ও ওড়না পরিধান করে থাকে। যে মহিলা তার স্বামীর ঘর ব্যতীত অন্যের ঘরে ওড়না খুলে রাখবে, সে তার প্রতিপালক ও তার মধ্যকার পর্দা ছিন্ন করবে।
(তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইব্ন লাহীয়া থেকে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
(তাবারানী তাঁর 'আওসাত' গ্রন্থে আবদুল্লাহ ইব্ন লাহীয়া থেকে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
278- وَعَن عَائِشَة رَضِي الله عَنْهَا أَنَّهَا سَأَلت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن الْحمام فَقَالَ إِنَّه سَيكون بعدِي حمامات وَلَا خير فِي الحمامات للنِّسَاء فَقَالَت يَا رَسُول الله إِنَّهَا تدخله بإزار فَقَالَ لَا وَإِن دَخلته بإزار وَدرع وخمار وَمَا من امْرَأَة تنْزع خمارها فِي غير بَيت زَوجهَا إِلَّا كشفت السّتْر فِيمَا بَينهَا وَبَين رَبهَا
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة عبد الله بن لَهِيعَة
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْأَوْسَط من رِوَايَة عبد الله بن لَهِيعَة
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৭৯
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৭৯. হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন হাম্মামে প্রবেশ না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীর হাম্মামে প্রবেশ না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন মদ্যপান না করে। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন ঐ দস্তরখানে না বসে, যাতে মদ্য পরিবেশন করা হয়।। যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে, সে যেন মুহরিম ব্যতীত কোন মহিলার সাথে নির্জনে একত্র না হয়। (তাবারানী তাঁর 'কাবীর' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে তাঁর বর্ণনায় ইয়াহইয়া ইব্ন সুলায়মান মাদানী নামে একজন বিতর্কিত রাবী রয়েছেন।)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
279- وَعَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل الْحمام وَمن كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يدْخل حليلته الْحمام من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يشرب الْخمر من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يجلس على مائدة يشرب عَلَيْهَا الْخمر من كَانَ يُؤمن بِاللَّه وَالْيَوْم الآخر فَلَا يخلون بِامْرَأَة لَيْسَ بَينه وَبَينهَا محرم
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِيه يحيى بن أبي سُلَيْمَان الْمدنِي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير وَفِيه يحيى بن أبي سُلَيْمَان الْمدنِي
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮০
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিবস্ত্র অবস্থায় পুরুষের এবং বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় নারীর হাম্মামখানায় প্রবেশের প্রতি ভীতি প্রদর্শন, তবে যারা ঋতুমতী ও রোগী, তারা নয় এবং এ থেকে নিষেধের বর্ণনা
২৮০. হযরত মিকদাম ইবুন মাদী কারিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তোমরা অচিরেই এমন দেশ জয় করবে, যেখানে অসংখ্য হাম্মাম রয়েছে। আমার উম্মতের জন্য তাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তারা বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তাতো রোগ নিরাময় করে এবং ময়লা দূর করে (তবুও নয়কি)। তিনি বললেন: তা আমার পুরুষ উম্মতের জন্য বস্ত্র পরিহিত অবস্থায় হালাল, আর তা আমার উম্মতের নারী সমাজের জন্য সর্বাবস্থায় হারাম।
(তাবারানী)
(তাবারানী)
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من دُخُول الرِّجَال الْحمام بِغَيْر أزر وَمن دُخُول النِّسَاء بأزر وَغَيرهَا إِلَّا نفسَاء أَو مَرِيضَة وَمَا جَاءَ فِي النَّهْي عَن ذَلِك
280- وَرُوِيَ عَن الْمِقْدَام بن معديكرب رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنَّكُم ستفتحون أفقا فِيهَا بيُوت يُقَال لَهَا الحمامات حرَام على أمتِي دُخُولهَا
فَقَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّهَا تذْهب الوصب وتنقي الدَّرن قَالَ فَإِنَّهَا حَلَال لذكور أمتِي فِي الأزر حرَام على إناث أمتِي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
فَقَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّهَا تذْهب الوصب وتنقي الدَّرن قَالَ فَإِنَّهَا حَلَال لذكور أمتِي فِي الأزر حرَام على إناث أمتِي
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ
তাহকীক:
হাদীস নং: ২৮১
অধ্যায়ঃ পবিত্রতা
পরিচ্ছেদঃ বিনা ওযরে (জানাবাতের) গোসলে বিলম্ব করার প্রতি ভীতি প্রদর্শন
২৮১. হযরত আম্মার ইবন ইয়াসির (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন: তিন ধরনের লোকের কাছে ফিরিশতা আসে না। তারা হলোঃ (১) কাফিরের মরদেহ, (২) খালুক রং ব্যবহারকারী ও (৩) অপবিত্র ব্যক্তি যতক্ষণ সে উযু না করে।
(আবূ দাউদ (র) হাসান ইবন আবুল হাসান সূত্রে আম্মার (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর থেকে এই বর্ণনাটি শুনেননি। ইয়াহ্ইয়া ইব্ন ইয়ামার (র) আম্মার (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমার স্ত্রীর সাথে রাত্রি যাপন করলাম। সে আমার উভয় হাত জাফরানের রং দ্বারা রঙ্গীন করে দিল। আমি সকালবেলা রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। কিন্তু তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না এবং আমাকে মুবারকবাদও জানালেন না। তিনি বললেনঃ চলে যাও এবং রং ধুয়ে এসো। আমি তা ধুয়ে নিলাম, এরপর আমি তাঁর নিকট আসলাম এবং সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন এবং আমাকে মুবারকবাদ জানালেন। তিনি বললেন: কাফিরের জানাযায়, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির কাছে রহমতের ফিরিশতা উপস্থিত হয় না। তিনি বললেন: অপবিত্র ব্যক্তি যদি নিদ্রাবস্থায় থাকে কিংবা খাবার খেতে থাকে অথবা পানি পান করতে থাকে এবং উযু করে নেয়, তাহলে স্বতন্ত্র কথা।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] হাদীসটিতে ফিরিশতা বলতে রহমত ও বরকতের ফিরিশতা বুঝানো হয়েছে, রক্ষাকারী ফিরিশতা নয়। কেননা রক্ষাকারী ফিরিশতা কোন অবস্থায় বান্দা থেকে বিচ্ছিন্ন হন না। এরপর বলা হল, এতো কেবল ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে প্রযোজ্য যে ব্যক্তি বিনা ওযরে গোসলে বিলম্ব করে। উযূ করা সম্ভব হওয়া সত্ত্বেও উযু না করা অপরাধ। কারো কারো মতে অলসতাবশত জানাবাতের গোসলে দেরী এবং তা অভ্যাসে পরিণত করা। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
(আবূ দাউদ (র) হাসান ইবন আবুল হাসান সূত্রে আম্মার (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে তিনি তাঁর থেকে এই বর্ণনাটি শুনেননি। ইয়াহ্ইয়া ইব্ন ইয়ামার (র) আম্মার (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমার স্ত্রীর সাথে রাত্রি যাপন করলাম। সে আমার উভয় হাত জাফরানের রং দ্বারা রঙ্গীন করে দিল। আমি সকালবেলা রাসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। কিন্তু তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন না এবং আমাকে মুবারকবাদও জানালেন না। তিনি বললেনঃ চলে যাও এবং রং ধুয়ে এসো। আমি তা ধুয়ে নিলাম, এরপর আমি তাঁর নিকট আসলাম এবং সালাম দিলাম। তিনি আমার সালামের জবাব দিলেন এবং আমাকে মুবারকবাদ জানালেন। তিনি বললেন: কাফিরের জানাযায়, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র ব্যক্তির কাছে রহমতের ফিরিশতা উপস্থিত হয় না। তিনি বললেন: অপবিত্র ব্যক্তি যদি নিদ্রাবস্থায় থাকে কিংবা খাবার খেতে থাকে অথবা পানি পান করতে থাকে এবং উযু করে নেয়, তাহলে স্বতন্ত্র কথা।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] হাদীসটিতে ফিরিশতা বলতে রহমত ও বরকতের ফিরিশতা বুঝানো হয়েছে, রক্ষাকারী ফিরিশতা নয়। কেননা রক্ষাকারী ফিরিশতা কোন অবস্থায় বান্দা থেকে বিচ্ছিন্ন হন না। এরপর বলা হল, এতো কেবল ঐ ব্যক্তির ব্যাপারে প্রযোজ্য যে ব্যক্তি বিনা ওযরে গোসলে বিলম্ব করে। উযূ করা সম্ভব হওয়া সত্ত্বেও উযু না করা অপরাধ। কারো কারো মতে অলসতাবশত জানাবাতের গোসলে দেরী এবং তা অভ্যাসে পরিণত করা। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
كتاب الطَّهَارَة
التَّرْهِيب من تَأْخِير الْغسْل لغير عذر
281 - عَن عمار بن يَاسر رَضِي الله عَنهُ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ ثَلَاثَة لَا تقربهم الْمَلَائِكَة جيفة الْكَافِر والمتضمخ بالخلوق وَالْجنب إِلَّا أَن يتَوَضَّأ
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد عَن الْحسن بن أبي الْحسن عَن عمار وَلم يسمع مِنْهُ وَرَوَاهُ هُوَ وَغَيره عَن عَطاء الْخُرَاسَانِي عَن يحيى بن يعمر عَن عمار قَالَ قدمت على أَهلِي لَيْلًا وَقد تشققت يداي فخلقوني بزعفران فَغَدَوْت على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَسلمت عَلَيْهِ فَلم يرد عَليّ السَّلَام وَلم يرحب بِي وَقَالَ اذْهَبْ فاغسل عَنْك هَذَا
فغسلته ثمَّ جِئْت فَسلمت عَلَيْهِ فَرد عَليّ ورحب بِي وَقَالَ إِن الْمَلَائِكَة لَا تحضر جَنَازَة الْكَافِر بِخَير وَلَا المتضمخ بزعفران وَلَا الْجنب
قَالَ وَرخّص للْجنب إِذا نَام أَو أكل أَو شرب أَن يتَوَضَّأ
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله المُرَاد بِالْمَلَائِكَةِ هُنَا هم الَّذين ينزلون بِالرَّحْمَةِ وَالْبركَة دون الْحفظَة فَإِنَّهُم لَا يفارقونه على حَال من الْأَحْوَال ثمَّ قيل هَذَا فِي حق كل من أخر الْغسْل لغير عذر ولعذر إِذا أمكنه الْوضُوء فَلم يتَوَضَّأ وَقيل هُوَ الَّذِي يُؤَخِّرهُ تهاونا وكسلا ويتخذ ذَلِك عَادَة وَالله أعلم
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد عَن الْحسن بن أبي الْحسن عَن عمار وَلم يسمع مِنْهُ وَرَوَاهُ هُوَ وَغَيره عَن عَطاء الْخُرَاسَانِي عَن يحيى بن يعمر عَن عمار قَالَ قدمت على أَهلِي لَيْلًا وَقد تشققت يداي فخلقوني بزعفران فَغَدَوْت على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَسلمت عَلَيْهِ فَلم يرد عَليّ السَّلَام وَلم يرحب بِي وَقَالَ اذْهَبْ فاغسل عَنْك هَذَا
فغسلته ثمَّ جِئْت فَسلمت عَلَيْهِ فَرد عَليّ ورحب بِي وَقَالَ إِن الْمَلَائِكَة لَا تحضر جَنَازَة الْكَافِر بِخَير وَلَا المتضمخ بزعفران وَلَا الْجنب
قَالَ وَرخّص للْجنب إِذا نَام أَو أكل أَو شرب أَن يتَوَضَّأ
قَالَ الْحَافِظ رَحمَه الله المُرَاد بِالْمَلَائِكَةِ هُنَا هم الَّذين ينزلون بِالرَّحْمَةِ وَالْبركَة دون الْحفظَة فَإِنَّهُم لَا يفارقونه على حَال من الْأَحْوَال ثمَّ قيل هَذَا فِي حق كل من أخر الْغسْل لغير عذر ولعذر إِذا أمكنه الْوضُوء فَلم يتَوَضَّأ وَقيل هُوَ الَّذِي يُؤَخِّرهُ تهاونا وكسلا ويتخذ ذَلِك عَادَة وَالله أعلم
তাহকীক:
বর্ণনাকারী: