মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

২২. আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৪৫৪
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৪

হযরত উসামা ইব্ন শুরাইক (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর খেদমতে হাযির হয়েছি, এ সময় কতিপয় গ্রাম্য লোক তাঁর কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করছিল। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল। বান্দাকে যা কিছু দেয়া হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম বস্তু কি ? তখন তিনি বললেনঃ সচ্চরিত্র।
عَنْ زِيَادٍ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ شَرِيكٍ، قَالَ: شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْأَعْرَابُ يَسْأَلُونَهُ، قَالُوا: " يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا خَيْرُ مَا أُعْطِيَ الْعَبْدُ؟ قَالَ: خُلُقٌ حَسَنٌ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৫৫
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৫

হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি বিনয় ও সচ্চবিত্র দৈহিক আকৃতিতে প্রদর্শন করা হতো, তাহলে আল্লাহ তা'আলার সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে এর থেকে সুন্দর ও উত্তম কোন বস্তু দৃষ্টিগোচর হতো না। যদি অসচ্চবিত্র দৈহিক আকৃতিতে প্রকাশ হতো, তা হলে আল্লাহ্ পাকের সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে এর চেয়ে অধিক খারাপ আকৃতির কোন বস্তু দৃষ্টিগোচর হতো না।
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ أَنَّ الرِّفْقَ خَلْقٌ يُرَى، لَمَا رُئِيَ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ تَعَالَى خَلْقٌ أَحْسَنُ مِنْهُ، وَلَوْ أَنَّ الْخَرَقَ خَلْقٌ يُرَى، لَمَا رُئِيَ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ تَعَالَى خَلْقٌ أَقْبَحُ مِنْهُ»
হাদীস নং:৪৫৬
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৬

হযরত আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন বৈঠকে উপবেশন কারীদের মধ্যে স্বীয় হাঁটু কখনো সামনে বাড়িয়ে দিয়ে বসতেন না, বরং সর্বদা সমান্তরাল হয়ে উপবেশন করতেন। কেউ কখনো তাঁর হাত আঁকড়িয়ে ধরেনি যে, তিনি স্বীয় হাত তার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন, যতক্ষণ না সে স্ব ইচ্ছায় তার হাত ছাড়িয়ে নিয়েছে এবং কেউ কখনো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে বসেনি এ অবস্থায় যে, ঐ ব্যক্তি দাঁড়ানোর পূর্বে তিনি দাঁড়িয়েছেন। হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র দেহের চেয়ে অধিক সুগন্ধিময় আর কোন বস্তু পাইনি।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, কোন ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট কোন প্রয়োজনে দাঁড়ায়নি, এ অবস্থায় যে, তিনি পবিত্র মুখমণ্ডল ফিরিয়ে নিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি মুখ না ফিরিয়ে নিয়েছে।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো কারো সাথে মুসাফাহা করে হাত ছাড়েননি যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি হাত না ছাড়তো।
عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: «مَا أَخْرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُكْبَتَهُ بَيْنَ يَدَيْ جَلِيسٍ لَهُ قَطُّ، بَلْ يَقْعُدُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسَاوِيًا لَهُمْ، وَلَا تَنَاوَلَ أَحَدٌ يَدَهُ، فَتَرَكَهَا قَطُّ حَتَّى يَكُونَ يَدَعُهَا، وَمَا جَلَسَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَدٌ قَطُّ، فَقَامَ حَتَّى يَقُومَ قَبْلَهُ، وَمَا وَجَدْتُ شَيْئًا قَطُّ أَطْيَبَ مِنْ رِيحِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ، قَالَ: «وَمَا قَامَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فِي حَاجَةٍ فَانْصَرَفَ قَبْلَهُ، حَتَّى يَكُونَ هُوَ الْمُنْصَرِفَ» .
وَفِي رِوَايَةٍ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «إِذَا صَافَحَ أَحَدًا لَا يَتْرُكُ يَدَهُ، إِلَّا أَنْ يَكُونَ هُوَ الَّذِي يَتْرُكُ»
হাদীস নং:৪৫৭
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৭

হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে আহবান জানালো। তখন তিনি বাড়িতেই ছিলেন এবং আমি হাযির আছি, বলেই তিনি তার নিকট বেরিয়ে এলেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَجُلًا نَادَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَنْزِلِهِ، فَقَالَ: «لَبَّيْكَ قَدْ أَجَبْتُكَ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ»
হাদীস নং:৪৫৮
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৮

হযরত উমায়মা বিনতে রুকায়কা (রাযিঃ) বলেন, আমি বায়আত গ্রহণের জন্য নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে হাযির হলাম। তখন তিনি বললেন আমি মহিলাদের সাথে হাত মিলাই না।
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أُمَيْمَةَ بِنْتِ رَقِيقَةَ، قَالَتْ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأُبَايِعَهُ، فَقَالَ: «إِنِّي لَسْتُ أُصَافِحُ النِّسَاءَ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৫৯
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৫৯

হযরত বুরায়দা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি ওযর পেশকারী কোন মুসলমানের ওযর গ্রহণ করে না, তার পাপ সাহেবে মাকসের (صاحب مكس) পাপের সমান হবে। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! صاحب مكس কে? তিনি বলেন: عشار অর্থাৎ ঐ ব্যক্তি যে অত্যন্ত কঠোরতার সাথে ও নির্যাতন দ্বারা উশর আদায় করে।
عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنْ لَمْ يَقْبَلْ عُذْرَ مُسْلِمٍ يَعْتَذِرُ إِلَيْهِ، فَوِزْرُهُ كَوِزْرِ صَاحِبِ مَكْسٍ، فَقِيلَ: قَالُوا: يَا رَسُولُ، وَمَا صَاحِبُ مَكْسٍ؟ قَالَ: عَشَّارٌ "
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:৪৬০
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৬০

হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তির নিকট তার কোন মুসলমান ভাই (কোন কথা ও কাজের কষ্টের কারণে) ওযর পেশ করে কিন্তু সে ওযর গ্রহণ না করে, তা হলে তার পাপ صاحب مكس অর্থাৎ অত্যাচারের মাধ্যমে উপর আদায়কারীর পাপের সমান হবে।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَال رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " مَنِ اعْتَذَرَ إِلَيْهِ أَخُوهُ الْمُسْلِمُ، فَلَمْ يَقْبَلْ عُذْرَهُ، فَوِزْرُهُ كَوِزْرِ صَاحِبِ مَكْسٍ يَعْنِي: عَشَّارًا "
হাদীস নং:৪৬১
বিনয় ও সচ্চরিত্র
হাদীস নং- ৪৬১

হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) বলেছেন: যখন তোমাদেরকে সুগন্ধি প্রদান করা হয়, তখন এটা অবশ্যই গ্রহণ করবে।
عن أبي الزبير، عن جابر، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «إذا أتى أحدكم بطيب، فليصب منه»