মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

৬. রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:২০১
রোযার ফযীলত
২০১। হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন মানুষের সমস্ত আমল তার নিজের জন্য। কেবল রোযা ব্যতীত। কেননা রোযা আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর পুরস্কার দান করব।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الزَّيَّاتِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَقُولُ اللَّهُ: كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ، إِلَّا الصِّيَامَ، فَهُوَ لِي، وَأَنَا أَجْزِي بِهِ
হাদীস নং:২০২
রোযার ফযীলত
২০২। হযরত উম্মে হানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে কোন মুমিন ব্যক্তি সারাদিন অভুক্ত থাকে এবং হারাম কাজ (যেমন গীবত ইত্যাদি) থেকে মুক্ত থাকে, অবৈধভাবে কোন মুসলমানের মাল না খায়, তাহলে আল্লাহ তা'আলা তাকে বেহেশতের ফল থেকে আহার করাবেন।
عَنْ إسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أُمِّ هَانِئٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا مِنْ مُؤْمِنٍ جَاعَ يَوْمًا، فَاجْتَنَبَ الْمَحَارِمَ، وَلَمْ يَأْكُلْ مَالَ الْمُسْلِمِينَ بَاطِلًا، إِلَّا أَطْعَمَهُ اللَّهُ تَعَالَى مِنْ ثِمَارِ الْجَنَّةِ»
হাদীস নং:২০৩
রোযার ফযীলত
২০৩। হযরত হুমায়দ ইবনে আব্দুর রহমান হিময়ারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আশুরার দিন তাঁর সাহাবায়ে কিরামের মধ্য হতে একজনকে বললেন : তোমার কওমকে নির্দেশ প্রদান কর যেন তারা আজ রোযা রাখে। তিনি আরয করলেন, তারা তো আহার করে ফেলেছে। হুযূর (ﷺ) তখন বলেনঃ যদিও তারা খাবার খেয়ে থাকে (অর্থাৎ ঐ দিনের বাকী অংশে কিছু খাবে না)।
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحِمْيَرِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِرَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ: " مُرْ قَوْمَكَ، فَلْيَصُومُوا هَذَا الْيَوْمَ، قَالَ: إِنَّهُمْ طَعِمُوا، قَالَ: قَالَ: وَإِنْ كَانَ قَدْ طَعِمُوا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীস নং:২০৪
রোযার ফযীলত
২০৪। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর খেদমতে (রান্না করা) খরগোশ পেশ করা হয়। তিনি তাঁর সাহাবাদেরকে বলেনঃ খাও। তখন তাঁরা খাওয়া শুরু করেন। হুযূর (ﷺ) (এই খাদ্য) নিয়ে আগমণকারী ব্যক্তিকে বললেনঃ তুমি কেন খাও না? তিনি বলেনঃ আমি রোয়া রেখেছি। হুযূর (ﷺ) বললেনঃ এটা কিসের রোয়া তিনি বললেন, নফল রোযা। তখন হুযূর (ﷺ) বললেনঃ আইয়ামে বীর্যের রোয়া কেন রাখ না?
عَنِ الْهَيْثَمِ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنِ ابْنِ الْحَوْتَكِيَّةِ، عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: " أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَرْنَبٍ، فَأَمَرَ أَصْحَابَهُ، فَأَكَلُوا، وَقَالَ لِلَّذِي جَاءَ بِهَا: مَالِكَ لَا تَأْكُلْ مِنْهَا؟ قَالَ: إِنِّي صَائِمٌ، قَالَ: وَمَا صَوْمُكَ؟ قَالَ: تَطَوُّعٌ، قَالَ: فَهَلَّا الْبِيضَ
হাদীস নং:২০৫
রোযার ফযীলত
২০৫। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, বিলাল যখন রাতে আযান দিতে থাকে তখন তোমরা পানাহার করতে থাক, যতক্ষণ পর্যন্ত ইবনে উম্মে মাকতূম আযান না দেয়। কেননা যখন সে আযান দেয়, তখন নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ بِلَالًا يُنَادِي بِلَيْلٍ، فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يُنَادِيَ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، فَإِنَّهُ يُؤَذِّنُ، وَقَدْ حَلَّتِ الصَّلَاةُ»