মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي

৪. নামায অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:১৭৪
ফজরের সুন্নত
১৭৪। কোন ব্যক্তি হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর সাথে সাক্ষাত করতে গিয়ে দেখতে পায় যে, হুমরান (রাযিঃ) মজলিসের মধ্যে সবার চেয়ে হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকটবর্তী উপবিষ্ট। একদিন হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, হে হুমরান ! আমি তোমাকে সর্বদা আমার সাহচর্যে থাকতে এইজন্য দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি তোমার জীবনের জন্য কোন কল্যাণের আশা করছ ? তখন তিনি উত্তরে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান ! আপনি ঠিকই বলেছেন। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ আমি তোমাকে দু'টি কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করছি এবং অপর একটি কাজ করার জন্য আদেশ করছি। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে এই কাজ সম্পর্কে নির্দেশ দিতে শুনেছি। তখন হুমরান (রাযিঃ) বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান ! ঐ তিনটি কাজ কি ? তখন হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেনঃ তুমি ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ কর না। তবে এরূপ ঋণ গ্রহণ করতে পার যা তোমার মৃত্যুর পর পরিত্যক্ত সম্পত্তি দ্বারা পরিশোধ করা যায় এবং (বিয়ার উদ্দেশ্যে মানুষকে শুনানোর জন্য পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও তিলাওয়াত করবে না। নতুবা কিয়ামতের দিন তোমার এই অপকর্ম (মানুষের মধ্যে) প্রচার করে দেওয়া। হবে। এটা শুধু তোমার অপকর্মের প্রতিদান স্বরূপ। কেননা আল্লাহ্ কারো উপর যুলুম করেন না।
এবার ঐ বিষয় সম্পর্কে তোমাকে নির্দেশ দিচ্ছি, যে ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে নির্দেশ প্রদান করেছেন। তা হলো এই যে, ফজর নামাযে দু'রাকাআত সুন্নত রয়েছে, তা কখনো পবিত্যাগ করবে না। কেননা এর মধ্যে অনেক ফযীলত ও বরকত রয়েছে।
عَنْ عَلْقَمَةَ عَنِ ابْنِ الْأَقْمَرِ، عَنْ حُمْرَانَ، قَالَ: مَا أَلْقَى ابْنَ عُمَرَ قَطُّ إِلَّا وَأَقْرَبُ النَّاسِ مَجْلِسًا حُمْرَانُ، فَقَالَ ذَاتَ يَوْمٍ: يَا حُمْرَانُ، أَلَا أَرَاكَ تُوَاظِبُنَا إِلَّا وَأَنْتَ تُرِيدُ لِنَفْسِكَ خَيْرًا؟ فَقَالَ: أَجَلْ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: أَمَّا اثْنَتَانِ، فَإِنِّي أَنْهَاكَ عَنْهُمَا، أَمَّا وَاحِدَةٌ، فَإِنِّي آمُرُكَ بِهَا، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُ بِهَا، قَالَ: مَا هِيَ تِلْكَ الْخِصَالُ الثَّلَاثَةُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: «لَا تَمُوتَنَّ وَعَلَيْكَ دَيْنٌ إِلَّا دَيْنًا تَدَعُ لَهُ وَفَاءً، وَلَا تَسَّمَّعَنَّ مِنْ تِلَاوَةِ آيَةٍ، فَإِنَّهُ يَسَّمَّعُ بِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ كَمَا سَمَّعْتَ بِهِ قِصَاصًا، وَلَا يَظْلِمُ رَبُّكَ أَحَدًا.
وَأَمَّا الَّذِي آمُرَكَ كَمَا أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَكْعَتَيِ الْفَجْرِ لَا تَدَعْهُمَا، فَإِنَّ فِيهِمَا الرَّغَائِبَ»
হাদীস নং:১৭৫
ফজরের সুন্নত
১৭৫। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ কঠোরভাবে অন্য কোন নফল নামাযের উপর গুরুত্ব আরোপ করতেন না যেরূপ ফজরের দু'রাকাআত সুন্নতের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতেন।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُميَرٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: «مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى شَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أَشَدَّ مُعَاهَدَةً مِنْهُ عَلَى رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ»
হাদীস নং:১৭৬
ফজরের সুন্নত
১৭৬। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন : আমি নবী করীম (ﷺ)-কে দেখেছি, তিনি চল্লিশ দিন অথবা এক মাস পর্যন্ত ফজর নামাযের দু'রাকাআত সুন্নত قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ এবং قُلْ يَاأَيُّهَا الْكَافِرُونَ তিলাওয়াত করেছেন।
عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: " رَمَقْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، أَوْ شَهْرًا، فَسَمِعْتُهُ يَقْرَأُ فِي رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ: بِقُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ، وَقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
হাদীস নং:১৭৭
ফজরের সুন্নত
১৭৭। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফজর নামায আদায় করার পর সূর্য উদিত হয়ে ফর্সা না হওয়া পর্যন্ত স্বীয় জায়গা থেকে প্রস্থান করতেন না।
عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى الصُّبْحَ، لَمْ يَبْرَحْ عَنْ مَكَانِهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ وَتَبْيَضَّ»