মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ

৪. নামায অধ্যায়

হাদীস নং: ১৭৫
ফজরের সুন্নত
১৭৫। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ কঠোরভাবে অন্য কোন নফল নামাযের উপর গুরুত্ব আরোপ করতেন না যেরূপ ফজরের দু'রাকাআত সুন্নতের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করতেন।
عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ عُميَرٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: «مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى شَيْءٍ مِنَ النَّوَافِلِ أَشَدَّ مُعَاهَدَةً مِنْهُ عَلَى رَكْعَتَيِ الْفَجْرِ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

উপরোক্ত হাদীসে এই বিষয়টির প্রতি সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে, মুসলমানগণ যাতে অন্যান্য নফল ও সুন্নতের তুলনায় ফজর নামাযের সুন্নতের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করে; কোনমতেই যেন এটা পরিত্যাগ করা না হয়। সহীহ হাদীসে বিভিন্ন বাক্যের দ্বারা এর ফযীলত ও গুরুত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। কোথাও হুযূর (সা) বলেছেনঃ “এই দু'রাকাআত নামায আমার নিকট দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু রয়েছে এর চেয়েও অধিক পসন্দনীয়।" (মুসলিম) কোথাও তিনি বলেছেন : “কখনোও এই সুন্নাত পরিত্যাগ করো না, যদিও ঘোড়া তোমাকে পদদলিত করে।” (আবূ দাউদ) তিবরানী কিতাবে বর্ণিত আছে, উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা (রা) বলেছেনঃ নবী করীম (সা) কখনো ফজরের সুন্নত পরিত্যাগ করেননি। এমন কি ভ্রমণকালে, বাড়িতে এবং অসুখের সময়ও এই নামায ত্যাগ করেন নি।
এই গুরুত্বের কারণেই হানাফী মাযহাব এবং অধিকাংশ আইম্মায়ে কিরামের মতে সুন্নতে মুয়াক্কাদা হলো ৫টি। প্রথম ফজর নামাযের দু'রাকাআত সুন্নত, দ্বিতীয় যোহর নামাযের পূর্বে চার রাকাআত, তৃতীয় যোহরের ফরযের পরে দু'রাকাআত সুন্নত, চতুর্থ মাগরিব নামাযের ফরযের পর দু'রাকাআত সুন্নত, এবং পঞ্চম ইশার নামাযের ফরযের পর দু'রাকাআত সুন্নত।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
মুসনাদে আবু হানীফা রহঃ - হাদীস নং ১৭৫ | মুসলিম বাংলা