আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১৮২১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কোনো মহিলার জন্য তার দেবর বা ভাসুর কিংবা তার স্বামীর ভগ্নিপতি এবং অন্যান্য গাইরে মাহরাম আত্মীয়স্বজন যেমন স্বামীর মামা, খালু, ফুফা ইত্যাদি এদের সাথে পর্দার অন্তরালে থেকে বা ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা কিংবা খোঁজখবর নেওয়া জায়েয হবে কি?

বা ঐ সকল লোকেরা ঐ মহিলার সাথে কথাবার্তা বলতে গেলে জায়েয হবে কি না? এমনিভাবে স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর ঐ সকল আত্মীয়স্বজন যাদের সাথে পর্দা করা ফরয তাদের সাথে পর্দা করে বা ফোনের মাধ্যমে কথাবার্তা বলা বা খোঁজ-খবর নেওয়া জায়েয হবে কি? বা ঐ সকল মহিলারা ঐ পুরুষের সাথে কথা বলতে চাইলে তা জায়েয হবে কি?

 

 

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
১৭৫৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

জনৈক ব্যক্তি সার্বিকভাবে দ্বীনদার ও সম্ভ্রান্ত। পরিবারের সবাই দ্বীন-ধর্ম বিশেষত পর্দা-পুশিদার ব্যাপারে খুবই সচেতন। বর্তমানে উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হয়েছে। হজ্বে যেতে হলে আইডি কার্ড ও পাসপোর্ট করতে হবে। এগুলোতে ছবি অত্যাবশ্যকীয়। ছবি যদিও কোনো মহিলার মাধ্যমে তোলা সম্ভব হবে কিন্তু পাসপোর্টের ছবি অনেক পরপুরুষের নজরে পড়বে। বিশেষ করে জেদ্দায় পাসপোর্টের ছবি দেখিয়ে তার বাহককে তালাশ করা হয়। মুফতী ছাহেবের খেদমতে আরজ এই যে, এসব বিবেচনায় উক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর জন্য নিজে হজ্বে না গিয়ে বদলি হজ্ব করানোর সুযোগ আছে কি?

 


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৯৫৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি একজন সাবালক, হাফেজে কুরআন। গত রমযান মাসে আমার বোনের বাড়িতে বোনের উপস্থিতিতে মহিলাদেরকে নিয়ে আমি তারাবির নামায পড়াই। আমি দাঁড়াতাম বাহিরে। মহিলারা থাকত পর্দার ভেতরে। উল্লেখ্য যে, বোনের বাড়িতে জামাতের আয়োজন থাকায় এমন কিছু মহিলা তারাবীর নামাযে অংশগ্রহণ করেছে যারা একাকী ফরয নামাযও পড়ে না। অন্যান্য ক্ষেত্রে পর্দার বিষয়ে যেভাবেই থাকুক না কেন নামাযে আসা-যাওয়ার সময় মহিলারা যথাসাধ্য পর্দার প্রতি গুরুত্বারোপ করত। এভাবে দূর দূরান্ত থেকেও কিছু মহিলা জামাতে হাজির হত। পরবর্তীতে এলাকার আলেমদের মাঝে এ নিয়ে মতানৈক্য শুরু হয়। কেউ বলেন, মহিলাদের জন্য জামাতের আয়োজন করা মাকরূহ। কেউ বলেন, মাকরূহ নয়; জায়েয। আমার জানার বিষয় হল, উক্ত বিষয়ে শরীয়তের সঠিক সমাধান কী? দলীল-প্রমাণসহ জানালে চিরকৃতজ্ঞ হব।
 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৩৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার জানার বিষয় হল, আমাদের মাদরাসায় লিল্লাহ বোডিং আছে। আমাদের ছাত্রদের থেকে মৌখিক স্বীকৃতি নেওয়া আছে যে, তারা তাদের পক্ষ হতে উস্তাযদেরকে যাকাত গ্রহণ করার জন্য প্রতিনিধি সাব্যস্ত করেছে। এমতাবস্থায় উস্তাদগণ তাদের পক্ষ হতে উকিল সাব্যস্ত হয়ে যাকাত গ্রহণ করতঃ টাকা হস্তগত করলে মালিকদের পক্ষ হতে যাকাত আদায় হবে কি না?

অতঃপর উক্ত টাকা ছাত্রদেরকে মালিক বানানো ছাড়াই সেখান থেকে উসূলকারীগণ আমেল হিসাবে ২০% গ্রহণ করতে পারবে কি না? এব্যাপারে শরীয়তের সঠিক নির্দেশনা জানতে চাই।

পাশাপাশি শরীয়তসম্মত পদ্ধতিতে আমেল হওয়ার সঠিক সূরাত  বর্তমান সময়ে কী হতে পারে জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৩৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

হযরত আমাদের এলাকায় আজীমুদ্দিন তালুকদার নামে এক লোক আছে। সে দুটি বিবাহ করেছে। প্রথম বিবির নাম আমিরুন নেসা। তার ছেলের নাম ইসমাঈল তালুকদার। এই ইসমাঈলের বড় ছেলের নাম আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার। তার একজন মেয়ে আছে মুক্তানামে।

আর এই আজিমুদ্দিনের অপর স্ত্রী আছে তার নাম মারিয়ম। তার ছেলের নাম ইবরাহীম তালুকদার। এই ইবরাহীম তালুকদারে সাথে ঐ মুক্তা বেগমের বিবাহ হয়েছে। এখন কথা হল, যার সাথে মুক্তার বিবাহ হয়েছে সে হল তার সৎ দাদা। অর্থাৎ মুক্তার আপন দাদা হল ইসমাঈল। আর ইসমাঈল ও ইবরাহীম হল সৎ ভাই। মা ভিন্ন বাপ একএখন সেই সৎ দাদা স্বীয় নাতনীকে বিবাহ করেছে। এখন প্রশ্ন হল, তাদের মধ্যকার বিবাহ বন্ধনের বিধান কী? জানালে উপকৃত হতাম।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
২৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন আগে আমি ওয়ালটনের একটি ফ্রিজ ক্রয় করি। তখন ওয়ালটনের একটি ছাড় চলছিল। (এখনও চলছে) এর নাম হল ক্যাশভাউচার। ফ্রিজ ক্রয়ের পর নিয়ম অনুযায়ী আমি দোকানে লাগানো ওয়ালটনের বারকোডের উপর মোবাইল ফোন স্ক্যান করে নাম দেওয়ার পর আমার ফোনে সাতশত টাকা চলে আসে। টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ নির্দিষ্ট কিছু পন্যে ওয়ালটন ক্রেতাদের এ সুবিধা দিচ্ছে। তাদের লিফলেট অনুযায়ী এবং দোকানীদের কথা অনুযায়ী ৩০০ টাকা থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত ক্রেতারা এ সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে এ টাকা ঐসব দোকান থেকে নগদ ওঠানো যায় না। বরং ওয়ালটনেরই অন্য কোনো পণ্য কিনলে ঐ পরিমাণ টাকা কম নেওয়া হয়। তাই আমিও ঐ সাতশত টাকার সাথে আরো কিছু টাকা দিয়ে একটি আয়রন ক্রয় করে ফেলি।

মুহতারামের কাছে জানতে চাই, ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটন ক্যাশভাউচারের নামে যা দিচ্ছে তা নেওয়া জায়েয হবে কি না? আর আমি যে ঐ টাকা দিয়ে আয়রণ ক্রয় করেছি তা জায়েয হবে কি না? দয়া করে সঠিক উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০