আপনার জিজ্ঞাসা/মাসায়েল

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

১০৩
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি ব্যবসায়ী। প্রতি বছর নিয়মিত আমার মালের যাকাত আদায় করে থাকি। এ বছরও আদায় করেছি। এবার যাকাত আদায়ের দিনগুলোতে আমার এক বন্ধু আমার বাসায় এসে দেখে যে, আমি যাকাতের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত। তখন সে আমার বাসার দামি দামি সামান পত্র যেমন ৩/৪ রঙের সোফা, দু-তিন কালারের ফার্নিচার, একাধিক কাঠের আলমারী, ১০/১৫ ডিনার সেট, ওভেন, এসি, ওয়াশিং মেশিন ইত্যাদি। সে আমাকে জিজ্ঞেস করে এসব সরঞ্জামাদির দাম কত? আমি বললাম; ১০/১২ লাখ টাকা হবে। সে বলল, এগুলির যাকাত আদায় করেছিস? কত দিন হয় এগুলি নিলি? আমি বললাম, দেড় বছরের মতো হবে। সে বলল, এগুলোর যাকাত দিতে হবে। আমি বললাম, কেন? আমার প্রয়োজনীয় সামানের কেন যাকাত দিব? আমি তো শুধু ব্যবসায়ী পণ্যের যাকাত আদায় করে থাকি। হুযূরের নিকট জানার বিষয় হল, আমার ব্যবসার মালের যাকাত আদায়ের সময় কি আমার ঘরের এ পণ্যগুলোরও যাকাত দিতে হবে? তার কথা কি ঠিক?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৭৮
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

কিছুদিন আগে আমার বাবা কাকরাইলের একটি শোরুমে গেলে একটি নতুন মডেলের গাড়ী তার অনেক পছন্দ হয়। এ উদ্দেশ্যে তিনি গত এপ্রিলে ব্যক্তিগত গাড়িটি ২৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেন। অতঃপর শো রুমে যোগাযোগ করলে তারা গাড়িটির মূল্য ৩৫ লক্ষ বলে। বাবার কাছে অতিরিক্ত টাকা না থাকায় তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। একপর্যায়ে এ বছরের এপ্রিল চলে আসলেও অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা আর জোগাড় করতে সক্ষম হননি। হুজুরের কাছে যে বিষয়ে জানতে চাচ্ছি তা হচ্ছে, কিছুদিনের মাঝেই বাবাকে যাকাত দিতে হবে। এখন তিনি কি শুধু তার ব্যবসার মালের যাকাত দেবেন, নাকি এ ২৫ লক্ষ টাকারও যাকাত দেবেন? একজন বলল, এ ২৫ লক্ষ টাকার যাকাত দিতে হবে না। কারণ এগুলো হচ্ছে ব্যবহৃত গাড়ীর বিক্রি করা টাকা, যা নতুন গাড়ী কেনার জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৭৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার পরিচিত এক ড্রাইভার আমাকে বললেন, ভাই, প্রায়ই আমি রোযার ঈদে সদকায়ে ফিতর দিয়ে থাকি। কারণ রমযানে ডাবল বোনাস ও যাকাতের মাল অর্জন হওয়ায় ঈদের সময় আমার কাছে প্রয়োজন অতিরিক্ত নেসাব সমপরিমাণ টাকা থাকে। কিন্তু বড় সংসার একা চালানোর কারণে ৪-৫ মাসের ভিতর তা খরচ হয়ে যায়। ফলে রমযান পর্যন্ত আমার কাছে অতিরিক্ত আর কোনো টাকা থাকে না। বেতনের টাকা দিয়েই কোনো রকম সংসার চলে। তাই এ সময় আমি যাকাতের টাকা গ্রহণ করে থাকি। আমার জন্য এভাবে রমযানে যাকাত গ্রহণ করতে অসুবিধা নেই তো? জানালে উপকৃত হব। উল্লেখ্য, যাকাত গ্রহণের সময় তার কাছে নেসাব সমপরিমাণ টাকা থাকে না।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৭২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার উপর প্রতিবছর যে পরিমাণ যাকাত আসে তার অর্ধেক আমি ঢাকায় নিজ এলাকায় বিতরণ করি। আর বাকি অর্ধেক আমার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। বাড়ির মসজিদের ইমাম সাহেব তা গ্রামে যাকাতের উপযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বণ্টন করে দেন। গতবার যখন যাকাতের টাকা গ্রামে পাঠাই তখন এক ব্যক্তিকে (যিনি নিজ প্রয়োজনে সাহায্য চাওয়ার জন্য আমার কাছে ঢাকায় এসেছিলেন) ৭৫ হাজার টাকা দিতে বলি। এটা শুনে ইমাম সাহেব বলেন, একজনকে ৪০ হাজার টাকার বেশি যাকাত দেয়া জায়েয নেই। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি আমার না বুঝে আসায় আমি তাকীদ করলে তিনি সেই ব্যক্তিকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন।

হযরতের কাছে আমি এটার সঠিক সমাধান জানতে চাচ্ছি। কোনো ব্যক্তিকে (যদিও সে যাকাতের উপযুক্ত হয়) ৪০ হাজার টাকার বেশি যাকাত দেওয়া কি আদৌ জায়েয নেই? আমার উপরোক্ত ৭৫ হাজার টাকার যাকাত কি আদায় হয়েছে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৭১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমার বিয়ের সময় আত্মীয়স্বজন ও বান্ধবীগণ আমাকে বিভিন্ন জিনিস গিফট করেন। যার মধ্যে বেশ কিছু সোনার গয়নাও ছিল। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। এবং বিয়ের সময় আমার মহর নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লক্ষ  ৩০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা বিয়ের সময় নগদ আদায় করা হয়। আর বাকি ১ লক্ষ ১০ হাজার পরে আদায় করার কথা রয়েছে। কিছুদিন আগে আমার বিয়ের ১ বছর পূর্ণ হয়েছে। এখন আমি আমার গয়নার যাকাত দিতে চাচ্ছি।

মুফতী সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হল আমি যখন গয়নার যাকাত আদায় করব তখন কি আমাকে এই ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনাদায়ি মহরেরও যাকাত আদায় করতে হবে? মুহতারামের কাছে মাসআলার সঠিক সমাধানের আবেদন করছি।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৬৯
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

গোপালগঞ্জ শহরে আমার একটি মটরসাইকেলের শো-রুম রয়েছে। আমার দোকানে প্রায়ই বিভিন্ন লোক সাহায্য চাওয়ার জন্য আসতে থাকে। আমি তাদেরকে টাকা দেওয়ার সময় যাকাতের নিয়ত করে দেই। এবং তার হিসাব নির্ধারিত খাতায় লিখে রাখি। বছরের শেষে যখন আমার মোট সম্পদের যাকাত হিসাব করা হয় তখন তা পূর্বের দেয়া টাকার পরিমাণের সাথে মিলিয়ে দেখি। পূর্বের দেয়া টাকা যাকাতের নির্ধারিত পরিমাণের কম হলে (সাধারণত তাই হয়ে থাকে) বাকি টাকা আদায় করে দেই।

হুযুরের কাছে আমার জানার বিষয় হল, আমার এইভাবে যাকাত আদায় করা কি শরীয়তসম্মত হচ্ছে? বছর শেষ হওয়ার আগের বিভিন্নজনকে দেয়া টাকা আমার জন্য যাকাত হিসাবে গণ্য করা কি বৈধ হবে?

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
৪৭
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি বে-সরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। প্রতিষ্ঠানটি বাসা থেকে দূরে হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাকে একটি গাড়ি গিফ্ট করা হয়। কোনো এক কারণে গাড়িটি এক ভদ্র লোকের কাছে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিই। গাড়িটির মূল্য নগদ দেওয়ার কথা থাকলেও সে বিলম্ব করে ৫ বছর পর পরিশোধ করে। হুযুরের কাছে যে বিষয়টি জানতে চাচ্ছি তা হচ্ছে, মসজিদের ইমাম সাহেব বিষয়টি আগ থেকেই জানতেন। গত রাতে তার সাথে দেখা হলে তিনি আমাকে বললেন, আপনাকে ৫ বছরের যাকাত দিতে হবে। তাই সত্যি কি আমাকে ৫ বছরের যাকাত দিতে হবে? জানালে উপকৃত হবো।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
২৯৩২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

ক) আমি শৈশবে গ্রামের বাড়িতে কাচারি ঘরের হুজুরের কাছে কুরআন তিলাওয়াত শিখেছিলাম। অতঃপর গত চার-পাঁচ বছর ঢাকায় সহীহ নূরানী পদ্ধতির সাথে পরিচিত হয়ে উক্ত পদ্ধতিতে কুরআন তিলাওয়াত করতে শিখি। এরপর হতে নামাযে ও নামাযের বাইরে নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন তিলাওয়াত করি। আমি বুঝতে পারছি যে, পূর্বের পদ্ধতি অশুদ্ধ ছিল। এখন আমার প্রশ্ন এই যে, পূর্বের পদ্ধতিতে আমি যে তেলাওয়াত করেছি সে বিষয়ে আমার কী করণীয়? সেভাবে পড়ার কারণে আমার নামায কি নষ্ট হয়েছে? জানালে উপকৃত হব। খ) আলহামদুলিল্লাহ, আমি যথাসাধ্য পর্দার বিধান মেনে চলতে চেষ্টা করি। কিন্তু গ্রামে গেলে চাচাতো বা মামাতে ভাইরা (বিশেষত যারা বয়সে ছোট) খোঁজ খবর নিতে আসে এবং কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে। আবার কখনো কখনো (বছরে হয়তো ২/১বার) তাদের কেউ কেউ ঢাকায় বেড়াতে আসে। তখনও একই অবস্থার উদ্ভব হয়। এ সকল অবস্থায় তাদের সাথে দেখা না করলে হয়তো আত্মীয়তার সম্পর্কই ছিন্ন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঘরে নামাযের সময় যেভাবে সতর ঢাকি সেভাবে কাপড় পরা অবস্থায় তাদের সাথে দেখা করা জায়েয কি না জানালে কৃতজ্ঞ হব।

question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০
২০৬২
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

এক মেযের সাথে আমার গোপনে পরিচয় হয়। স্থায়ী সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে আমার কয়েকজন বন্ধুবান্ধবসহ একটি রেস্টুরেন্টে একত্রিত হই। আমার এক বন্ধু কাজী অফিসের পিয়ন হিসেবে একজনকে নিয়ে আসে। সে কাজী অফিস থেকে বিবাহ রেজিস্ট্রি করার কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসে। এছাড়াও সরকারি দলিল-স্ট্যাম্পে একটি বিবাহ হলফনামা নিয়ে আসে। সেখানে আমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার নিমিত্তে স্বাক্ষর করি এবং নিকাহনামা রেজিস্টারেও উভয়ে স্বাক্ষর করি। সেখানে চারজন পুরুষও উপস্থিত ছিল। এছাড়া বিবাহ পড়ানোর উপযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা কাজী অফিসের কেউ উপস্থিত ছিল না। উক্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১,০০,০০১ টাকা দেনমোহরের শর্তে আমরা বিবাহ সম্পন্ন করি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা কেউই ইজাব-কবুল বলিনি। পিয়ন আমাদের বললেন, আপনারা দুজন স্বামী স্ত্রী। এরপর আমরা যার যার মতো চলে আসি।

বিয়ের ২-৩ মাসের পর থেকে আমাদের মধ্যে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। ৩-৪ মাস পর এক পুরুষ শিক্ষক নিয়ে পর্দার ব্যাপারে আমার সাথে ওর ঝগড়া হয়। আমি রাগ করে একপর্যায়ে বলেছিলাম, তুমি যদি কালকে, পরশু এবং এর পরের দিন তার কাছে পড় তাহলে তুমি যথাক্রমে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক। পরে জানতে পারি, সে তিন দিনই পড়েছিল। এখন প্রশ্ন হল, ক) আমাদের বিবাহ কি সঠিক হয়েছিল? খ) আমাদের মধ্যে তালাক হয়েছিল কি? গ) এখন আমি পারিবারিকভাবে ওকে ঘরে তুলতে বা বিয়ে করতে চাই। এজন্য আমার কী করা উচিত বা আদৌ কি তা সম্ভব?


question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মাসিক আলকাউসার
৮ অক্টোবর, ২০২০