সুদখোর ঘুষখোর ইমামের পেছনে নামাজ
প্রশ্নঃ ৯২৩৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, জনাব আমার প্রশ্ন যাহারা শুধ এর সাথে লিপ্ত বা সুদ, ঘুষ খায় তাদের পিছনে নামায আদায় করতে পারবো কিনা? অথবা এ ধরনের লোক ইমামতি করতে পারবে কিনা?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইমামের জন্য একটি বৈশিষ্ট্য হলো মুত্তাকী তথা আল্লাহ ভীরু হওয়া। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ইমাম বিদআতে লিপ্ত না হওয়া, সহশিক্ষাকে সমর্থনকারী না হওয়া, শিক্ষকতার নামে বেপর্দা নারীদের সামনাসামনি না হওয়া, সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট না হওয়া ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য একজন যোগ্য ইমামের থাকা চাই। এসব বিষয়গুলো ইমামকে অবশ্যই বেছে চলতে হবে।
গুনাহের দুইটি স্তর রয়েছে।
ক. অপ্রকাশ্য ও ব্যক্তিগত।
খ. প্রকাশ্য ও সামাজিক।
যিনি প্রকাশ্য - সামাজিকভাবে গুনাহ করে বেড়ান। তার পিছনে ইকতিদা করা মাকরুহ।
কোন লোক ব্যক্তিজীবনে মুত্তাকী হলে এবং প্রকাশ্য কোন গুনাহে লিপ্ত না হলে তার পিছনে ইকতিদা করতে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোন আপত্তি নেই।
সুদ খাওয়া, সুদ দেওয়া উভয়টি ইসলামের দৃষ্টিতে অভিশপ্ত কাজ। সুদ এর সাথে সংশ্লিষ্ট হয়ে থাকা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা দেয়ার শামিল।
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَذَرُوۡا مَا بَقِیَ مِنَ الرِّبٰۤوا اِنۡ کُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِیۡنَ
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সুদের বকেয়া যা আছে তা ছেড়ে দাও যদি তোমরা মু’মিন হও।
—আল বাকারা - ২৭৮
فَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلُوۡا فَاۡذَنُوۡا بِحَرۡبٍ مِّنَ اللّٰہِ وَرَسُوۡلِہٖ ۚ وَاِنۡ تُبۡتُمۡ فَلَکُمۡ رُءُوۡسُ اَمۡوَالِکُمۡ ۚ لَا تَظۡلِمُوۡنَ وَلَا تُظۡلَمُوۡنَ
যদি তোমরা না ছাড় তবে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সঙ্গে যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত হও। কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। এতে তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না।
—আল বাকারা - ২৭৯
কোন লোককে সুদের অন্যায় থেকে বারণ করার পরেও ফিরে না আসলে তার পিছনে নামায পড়া কিছুতেই উচিত হবে না।
الْأَوْلَى بِالْإِمَامَةِ أَعْلَمُهُمْ بِأَحْكَامِ الصَّلَاةِ. هَكَذَا فِي الْمُضْمَرَاتِ وَهُوَ الظَّاهِرُ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ هَذَا إذَا عَلِمَ مِنْ الْقِرَاءَةِ قَدْرَ مَا تَقُومُ بِهِ سُنَّةُ الْقِرَاءَةِ هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَلَمْ يُطْعَنْ فِي دِينِهِ، كَذَا فِي الْكِفَايَةِ وَهَكَذَا فِي النِّهَايَةِ. وَيَجْتَنِبُ الْفَوَاحِشَ الظَّاهِرَةَ وَإِنْ كَانَ غَيْرُهُ أَوْرَعَ مِنْهُ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ. وَهَكَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ ====== . قَالَ الْمَرْغِينَانِيُّ تَجُوزُ الصَّلَاةُ خَلْفَ صَاحِبِ هَوًى وَبِدْعَةٍ وَلَا تَجُوزُ خَلْفَ الرَّافِضِيِّ وَالْجَهْمِيِّ وَالْقَدَرِيِّ وَالْمُشَبِّهَةِ وَمَنْ يَقُولُ بِخَلْقِ الْقُرْآنِ وَحَاصِلُهُ إنْ كَانَ هَوًى لَا يَكْفُرُ بِهِ صَاحِبُهُ تَجُوزُ الصَّلَاةُ خَلْفَهُ مَعَ الْكَرَاهَةِ وَإِلَّا فَلَا.
—ফাতাওয়া হিন্দিয়া
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন