আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

স্বামী আমাকে নামাজ পড়তে নিষেধ করে

প্রশ্নঃ ৯১৫৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বাচ্চা কনসিভ হচ্ছে না।এজন্য আমার স্বামী চায় সহবাস করার পর যেন আমি সারা রাত শুয়ে থাকি, সকাল ৮/৯ টায় গোসল করি,কিন্তু আমি আল্লাহর রহমতে ফজরের আগেই আমার স্বামী যেন টের না পায় চুপিচুপি উঠে,ফরজ গোসল করে,ফজর এর নামাজ পড়ি।আমি আমার স্বামীর কথা মানছি না, এজন্য কি আমার গুনাহ হচ্ছে?আমার স্বামীর কথা অমান্য করার জন্য,আমার যদি গুনাহ হয়ে থাকে আমার করনীয় কি?

২৫ জুলাই, ২০২৫
ময়মনসিংহ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সন্তান দেওয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা। আল্লাহর বিধান লংঘন করে কার কাছ থেকে কিসের আশা করবেন?

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর অবাধ্য হয়ে অন্য কারো আনুগত্য করা যাবে না।
لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ কাজা করে স্বামীর আনুগত্য কোনই অবকাশ নেই।

অতএব সন্তানের জন্য দোয়া করতে থাকুন। চেষ্টা তদবির করতে থাকুন। আল্লাহর হুকুমগুলো পূর্ণরূপে মানতে থাকুন। নিম্নবর্ণিত আমলগুলো চালিয়ে যান।

সন্তান হওয়ার জন্য আমল:
নামাজের শেষ বৈঠকে সালাম এর পূর্বে অথবা সালামের পর পড়ুন।

رَبَّنَا ہَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّاجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا

‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জন্যে এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্যে নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্যে অনুসরণযোগ্য।
—আল ফুরকান - ৭৪

فَہَبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡکَ وَلِیًّا ۙ

সুতরাং তুমি তোমার নিকট হতে আমাকে দান কর উত্তরাধিকারী,
—মারইয়াম - ৫

رَبِّ لَا تَذَرۡنِیۡ فَرۡدًا وَّاَنۡتَ خَیۡرُ الۡوٰرِثِیۡنَ ۚۖ

‘হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে একা রেখ না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী।’
—আল আম্বিয়া - ৮৯

رَبِّ ہَبۡ لِیۡ مِنَ الصّٰلِحِیۡنَ . فَبَشَّرۡنٰہُ بِغُلٰمٍ حَلِیۡمٍ

‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান কর।’
এরপর আমি তাকে এক স্থিরবুদ্ধি পুত্রের সুসংবাদ দিলাম।
—আস ছাফ্‌ফাত - ১০০-১০১

وَلَقَدۡ خَلَقۡنَا الۡاِنۡسَانَ مِنۡ سُلٰلَۃٍ مِّنۡ طِیۡنٍ ۚ . ثُمَّ جَعَلۡنٰہُ نُطۡفَۃً فِیۡ قَرَارٍ مَّکِیۡنٍ ۪ . ثُمَّ خَلَقۡنَا النُّطۡفَۃَ عَلَقَۃً فَخَلَقۡنَا الۡعَلَقَۃَ مُضۡغَۃً فَخَلَقۡنَا الۡمُضۡغَۃَ عِظٰمًا فَکَسَوۡنَا الۡعِظٰمَ لَحۡمًا ٭  ثُمَّ اَنۡشَاۡنٰہُ خَلۡقًا اٰخَرَ ؕ  فَتَبٰرَکَ اللّٰہُ اَحۡسَنُ الۡخٰلِقِیۡنَ ؕ

আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মৃত্তিকার উপাদান হতে,
এরপর আমি একে শুক্রবিন্দুরূপে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে;
পরে আমি শুক্রবিন্দুকে পরিণত করি আলাক-এ, এরপর আলাক্কে পরিণত করি পিণ্ডে এবং পিণ্ডকে পরিণত করি অস্থি-পঞ্জরে ; এরপর অস্থি-পঞ্জরকে ঢাকিয়া দেই গোশ্ত দিয়ে; অবশেষে একে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ কত মহান!
—আল মুমিনূন - ১২-১৪

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন