মহিলাদের জন্য ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম করা হালাল হবে কি?
প্রশ্নঃ ১১৭১৮৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোন মেয়ে যদি মাস্ক পরে রান্নার ভিডিও আপলোড করে তাহলে কি হারাম
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
১. মনে রাখা উচিত যে, পর্দার সর্বোচ্চ স্তর হলো, নারী নিজ গৃহেই অবস্থান করবে—যাতে কোনো ননমাহরাম তাকে দেখতে না পায় এবং প্রয়োজন ছাড়া তার কণ্ঠস্বরও শুনতে না পায়।
এবিষয়ে আল্লাহ তাআলা সর্বোচ্চ সতর্কতা করতে মহিলাদেরকে নির্দেষ দিয়েছেন,
یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ لَسۡتُنَّ کَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَیۡتُنَّ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِالۡقَوۡلِ فَیَطۡمَعَ الَّذِیۡ فِیۡ قَلۡبِہٖ مَرَضٌ وَّقُلۡنَ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا
হে নবী পত্নীগণ! তোমরা সাধারণ নারীদের মত নও যদি তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। ২৫ সুতরাং তোমরা কোমল কণ্ঠে কথা বলো না, পাছে অন্তরে ব্যাধি আছে এমন ব্যক্তি লালায়িত হয়ে পড়ে। আর তোমরা বলো ন্যায়সঙ্গত কথা। ২৬
সূরা আহযাব, আয়াত নং ৩২।
তাফসীর:
এ আয়াত নারীদেরকে গায়রে মাহরাম বা পর-পুরুষের সাথে কথা বলার নিয়ম শিক্ষা দিয়েছে। বলা হয়েছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের সাথে মধুর ও আকর্ষণীয় ভাষায় কথা বলা উচিত নয়। তাই বলে তিক্ত ও রুক্ষ্ম ভাষা ব্যবহার করাও ঠিক নয়; বরং সাদামাটাভাবে প্রয়োজনীয় কথাটুকু বলে দেবে। এর দ্বারা অনুমান করা যায় যে, সাধারণ কথাবার্তায়ও যখন নারীদেরকে এরূপ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তখন পর-পুরুষের সামনে সুর দিয়ে কবিতা পড়া বা গান-বাদ্য করা কী পরিমাণ গর্হিত হবে!
অর্থাৎ নবী-পত্নীগণের মর্যাদা সাধারণ নারীদের অনেক ঊর্ধ্বে। কাজেই তাকওয়া অবলম্বন করলে তারা সওয়াবও লাভ করবেন অন্যদের দ্বিগুণ। আবার তারা যদি কোন গুনাহ করে ফেলেন, তবে তার শাস্তিও দ্বিগুণই হবে। এর দ্বারা শিক্ষা লাভ হয় যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে যার ঘনিষ্টতা যত বেশি হবে তাকে সাবধানতাও তত বেশিই অবলম্বন করতে হবে।
তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন।
https://muslimbangla.com/sura/33/verse/32
সুতরাং জিজ্ঞাসিত ক্ষেত্রে যদি আপনার কাছে কোনো প্রয়োজন না থাকে এবং প্রয়োজনীয় খরচাপাতি সহজেই চলতে থাকে, তাহলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা থেকে বিরত থাকা উচিত।
কিন্তু যদি এমন বাধ্যতামূলক অবস্থা হয় যে জীবিকার আর কোনো উপায় না থাকে এবং সংসারের ব্যয় নির্বাহে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তবে এ ধরনের *বাধ্যতামূলক অবস্থায়* যদি ফিতনার আশঙ্কা না থাকে, তাহলে নিচে বর্ণিত শর্তগুলো পূর্ণভাবে মানার শর্তে ইউটিউব চ্যানেল খোলা হারাম হবে না:
প্রথম শর্ত: মুখমণ্ডল যেন প্রকাশ না পায়। এবংকি চোখ দেখানো থেকেও বিরত থাকা উচিত। এতে পরপুরুষের আকর্ষন বাড়ে।
قال - صلّى الله عليه وسلم - النظرة سهم مسموم من سهام إبليس فمن تركها خوفاً من الله آتاه الله إيماناً يجد حلاوته في قلبه).
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: (নারীর প্রতি কামনা উদ্রেককারী) দৃষ্টি হলো ইবলিসের বিষাক্ত তীরসমূহের একটি তীর। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহভীতির কারণে তা (অর্থাৎ সেই দৃষ্টি) ত্যাগ করে, আল্লাহ তাকে এমন এক ঈমান দান করবেন যার মিষ্টতা সে তার অন্তরে অনুভব করবে।”
তাখরীজু আহাদিসি ইহয়াউ উলুমুদ্দীন, ২/৬১১, শামেলা, (মুরতাজা আয যাবিদী)
সুতরাং অন্যকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে নিজেই সতর্ক হওয়া উচিত।
দ্বিতীয় শর্ত: ভিডিও ব্যকরাউন্ডে কোন হারাম মিউজিক থাকতে পারবেনা।
যেমন: গান-বাজনা ইত্যাদি।
https://muslimbangla.com/masail/101217
https://muslimbangla.com/masail/70766
তৃতীয় শর্ত: যথাসম্ভব হাত মোজা/ দস্তানা ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
উপরিউক্ত শর্তগুলো যথাযথভাবে পাওয়া গেলে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন।
شرح النووي على مسلم: (212/13، دار إحياء التراث العربي)
(فأتى رجلا من الأنصار فقالت مرحبا وأهلا).... وفيه جواز سماع كلام الأجنبية ومراجعتها الكلام للحاجة.
الدر المختار: (405/1، ط: دار الفکر)
(وللحرة) ولو خنثى (جميع بدنها) حتى شعرها النازل في الاصح (خلا الوجه والكفين) فظهر الكف عورة على المذهب (والقدمين) على المعتمد، وصوتها على الراجح.
২. ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করা:
ইউটিউবে ভালো–মন্দ সব ধরনের ভিডিও থাকে। এর আয়ের প্রধান মাধ্যম হলো **গুগল অ্যাডসেন্স**, যা মূলত বিভিন্ন কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচার করে।
এ বিজ্ঞাপনগুলোর অধিকাংশই (প্রায় সব) অশ্লীলতা, হারাম পণ্য বা অনৈতিক বিষয়ভিত্তিক। তাই—even যদি কন্টেন্ট হালাল হয়—তবুও এ আয়ের উৎস হারাম হয়ে যায়।
কুরআন ও হাদীসে অশ্লীলতার প্রচার ও হারামে সহযোগিতা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ:
* সূরা আন-নূর : ১৯
* সূরা আল-আ‘রাফ : ৩৩
* সূরা আল-মায়িদাহ : ২
শায়খ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ, ইসলাম ওয়েবসহ সমকালীন ফুকাহা বলেন: **হারাম বিজ্ঞাপন প্রচার করে আয় করা হারাম**।
নীতিমালা: যেখানে হালাল-হারাম একত্র হয়, সেখানে হারামই প্রাধান্য পাবে।
(বুখারী ৫২, মুসলিম ৩৯৮৬)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
লেখক ও গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৪৬১২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রশ্ন: আমি অনেকদিন ইউটিউবে ইসলামিক কনটেন্ট বানিয়ে আসছি, উদ্দেশ্য ছিল দাওয়াহ ও হালালভাবে আয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু পরে শুনি ইউটিউব থেকে আয়ের টাকা নাকি হারাম। তাই আমি ইউটিউবিং ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো: ইউটিউব মনিটাইজেশন চালু রেখে আয় করা কি ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ? যদি বৈধ হয়, তাহলে আমি আবার কাজ শুরু করতে চাই। আর যদি বৈধ না হয়, তাহলে মুসলিমদের কি উচিত ইউটিউব থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়া? এটা তো বাস্তবে অসম্ভব, কারণ বাতিলপন্থীরা তো ইউটিউবেই সক্রিয় থেকে ইসলামবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, একটি ইসলামিক কনটেন্ট তৈরি করতে অনেক সময়, শ্রম ও গবেষণা দরকার হয়—যা একটি পূর্ণাঙ্গ পেশার মতোই। যেমন, মাদরাসায় পড়িয়ে বা ইমামতি করে যদি বৈধ উপার্জন করা যায়, তাহলে ইসলাম প্রচারে করা ভিডিও থেকে উপার্জন কেন হারাম হবে? হ্যাঁ, ইউটিউবে অনেক সময় অশ্লীল অ্যাড দেখানো হয়, এটা ঠিক। কিন্তু যেমন দোকানে নারী-পুরুষ আসা-যাওয়ার কারণে দোকানদারি হারাম হয় না, তেমনি ইউটিউবেও দৃষ্টি নত রাখাই কি যথেষ্ট নয়? আর এমনিতেই, আমরা মনিটাইজেশন বন্ধ রাখলেও ইউটিউব আমাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখায়। তাহলে কি শুধুই এই কারণে আমাদের ইউটিউব ছেড়ে দেওয়া উচিত? আমি চাই, দলিল ও যুক্তিসহ স্পষ্টভাবে জানানো হোক—ইউটিউব থেকে আয় করা বৈধ কি না।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইউটিউব এমন একটা জগত যেখানে ভালো মন্দ সব ধরনের ভিডিও রয়েছে। আর ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন হয় এড দেখিয়ে। এড এর মধ্যে রয়েছে দুই ধরনের। কিছু হারাম বস্তুর ও অশ্লীলতা পূর্ণ, আর কিছু আছে সে সব মুক্ত।
ইউটিউবে আপলোড করা ভিডিওর বিষয়বস্তু যদি হারাম হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে এর উপার্জন হারাম হবে।
আর যদি কন্টেন্ট হালাল হয়, তবুও এর থেকে উপার্জন হারাম।
ইউটিউব-এর মাধ্যমে যে অর্থোপার্জন করা হয় তার মূল উৎস কী? কেন গুগল টাকা দিচ্ছে? মূলত গুগলের একটি বিশেষ সার্ভিসের নাম হল : ‘গুগল এডসেন্স’। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন কোম্পানির নোংরা, অশ্লীল ও হারাম পণ্যের বিজ্ঞাপন বিপুল অর্থের বিনিময়ে ইউটিউবসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করে। আর ঐ খাত থেকে অর্জিত লভ্যাংশের একটা অংশ ইউটিউবারদের দিয়ে থাকে।
তাদের বিজ্ঞাপনগুলোর ৯৯.৯% অশ্লীল ও হারাম পণ্যের। তাই এর থেকে প্রাপ্ত অর্থ হালাল হবে না। বরং তা হারাম হওয়ার পাশাপাশি হারামের প্রচার ও সহযোগিতা করার পাপও হবে। আল্লাহ তা‘আলা এদের শাস্তি সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করে বলেন,
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَہُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ اللّٰہُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
‘নিশ্চয় যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জানো না’ -সূরা আন-নূর : ১৯
মহান আল্লাহ আরো বলেন, ‘বলুন, আমার প্রতিপালক নিষিদ্ধ করেছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতাকে, পাপাচারকে ও অসংগত বিদ্রোহকে’ -সূরা আল-আ‘রাফ : ৩৩
শায়খ ছালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন, হারাম ও অশ্লীল বিজ্ঞাপন প্রচার করা এবং তা প্রচার করে অর্থ উপার্জন করা উভয়-ই হারাম। কেননা তা অন্যায়, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও পাপাচারে সহযোগিতা করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়ায় পরস্পরকে সহযোগিতা কর। এবং মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগিতা কর না। আর আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে অত্যধিক কঠোর’
-সূরা আল-মায়িদাহ : ২; মুসলিম, হা/২৬৭৪, ৬৬৯৭, ইসলাম সাওয়াল জাওয়াব, ফাতাওয়া নং-২৬৭১৭৩
উপরিউক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনে কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইমাম কুরতুবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘এখানে আল্লাহ তা‘আলা মুমিন ব্যক্তিদেরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে আদেশ করেছেন এবং অন্যায়, অসৎ ও হারাম কাজে সাহায্য, সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছেন’ -তাফসীর ইবনে কাছীর, ২য় খণ্ড, পৃ. ১২; তাফসীরে কুরতুবী, ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃ. ৪৬-৪৭
‘ইসলাম ওয়েব’-এর আলেমগণ বলেন, ‘হারাম ও নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন সম্প্রচারিত করে অর্থোপার্জন করা জায়েয নয়। সুতরাং আপনার উপর অপরিহার্য হল নিজেকে এর থেকে মুক্ত করা’
-ইসলাম ওয়েব, ফাতাওয়া নং-২৬৫১০২, ১৩২১৩৯
তৃতীয়তঃ ইসলামী শরী‘আতের স্থিরীকৃত নীতিমালা সমূহের মধ্যে রয়েছে, إذا اجتَمَع الحلالُ والحرامُ غُلِّبَ الحرامُ ‘যখন কোন বিষয়ে হালাল ও হারামের মাসআলা একত্রিত হয়, তখন হারামের মাসআলা প্রাধান্য পায়’ (অর্থাৎ সেটাকে হারাম বলে গণ্য করতে হবে)। হাদীছেও এমন বক্তব্য এসেছে।
-বুখারী, হা/৫২; মুসলিম, হা/৩৯৮৬)। অন্য হাদীছে নবী (ﷺ) বলেন,
دَعْ مَا يَرِيْبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيْبُكَ فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِيْنَةٌ وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيْبَةٌ
‘যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ কর। যেহেতু সত্য হল শান্তি ও স্বস্তি এবং মিথ্যা হল দ্বিধা-সন্দেহ’
-তিরমিযী, হা/২৫১৮, সনদ ছহীহ
অতএব প্রত্যেক মুসলিমের উচিত সন্দেহমুক্ত, বৈধ ও উৎকৃষ্ট পন্থায় অর্থোপার্জন করার প্রচেষ্টা করা এবং পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন উপার্জনের পথ অন্বেষণ করা’ -ফাতাওয়া আল-লাজনাতুদ্ দায়িমাহ, ২৬তম খণ্ড, পৃ. ২৭৪-২৭৫ ও ১৪তম খণ্ড, পৃ. ৪২০
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন