প্রশ্নঃ ৮৬৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন হলো, অনেক ধর্মের মানুষ বাস করে এমন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধান যদি শরিয়াহভিত্তিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করে, তবে অন্য ধর্মের মানুষেরা তা না মানতে পারে, এক্ষেত্রে তার কি করা? আর একজন মুসলিম নাগরিক ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যাবস্থা মেনে নিলে কি গুনাহগার হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়াভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে গেলে কারো পক্ষ থেকে কোনো বাধা আসবে না, কি করে কল্পনা করা যায়?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাতে শরিয়াভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের উদ্যোগ নিয়ে তিনি যা করেছেন সেগুলো গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। মদীনা তাইয়্যেবাতে প্রথমদিকে ইয়াহুদীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। নবীজি তাদের সঙ্গে সন্ধীতে আসলেন। এ সন্ধি উভয় পক্ষের জন্য কল্যাণকর ছিল।
ধীরে ধীরে বিধি-বিধান বাড়ছিল। ইয়াহুদীদের আপত্তি ও ষড়যন্ত্র কঠোর হচ্ছিল। পরিশেষে তাদের চুক্তি ভঙ্গের দরুন তাদেরকে উচ্ছেদ করে দিতে হয়েছে।
এখান থেকে শিক্ষনীয়, বিধর্মীরা ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা মেনে না নিলে তাদেরকে দারুল হরব-এ (শত্রু রাষ্ট্রে) চলে যেতে বলা হবে। আমাদের এখানে থাকতে চাইলে কুরআন ও সুন্নাহর রাষ্ট্রব্যবস্থা মেনেই থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা বিধর্মীদেরকে সুযোগ-সুবিধা অনেকাংশেই বেশি দিয়েছে। যা তাদের কাফির রাষ্ট্রে গিয়ে পরিপূর্ণ পাবে না।
একজন মুসলিম প্রকৃতপক্ষেই ঈমানদার হলে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থা মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারে না। বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ করে থাকতে পারে। কিন্তু দিল থেকে সমর্থন জানানোর কোন সুযোগ নেই। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র মেনে নেওয়া ভিন্ন অর্থে কুরআনুল কারীমের বেশকিছু আয়াত অস্বীকার করা।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন