মসজিদের অপ্রয়োজনী মালামাল দিয়ে ঘর নির্মাণ করার বিধান
প্রশ্নঃ ৭৩২৮৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হলো মসজিদের মালামাল যেমন টিন ইট কাঠ ইত্যাদি আমি ক্রয় করার পর বাথরুমে বা গোয়াল ঘরে অথবা পাক ঘরে ব্যাবহার করতে পারবো কি? বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মসজিদের যেসব বস্তু মসজিদের কোন উপকারে আসে না, তা বিক্রি করে মসজিদের কাজে লাগানো জায়েজ আছে।
তবে এক্ষেত্রে এসব এমন ব্যক্তির কাছেই বিক্রি করবে, যে তা পেশাবখানা বা টয়লেটের জন্য ব্যবহার না করে।
বরং অন্য কোন কাজে ব্যবহার করে।
তাই টয়লেটের জন্য মসজিদের ইট ক্রয় করতে চাচ্ছে, তার কাছে তা বিক্রি করা যাবে না।
আর যেসব বস্তু অপ্রয়োজনীয় এবং বিক্রিযোগ্য নয়, তাও এমন স্থানে ফেলে দেয়া উচিত, যেখানে নাপাকী পড়ে এর সাথে বেআদবী হবে না।
ويصرف نقضه إلى عمارته إن احتاج وإلا حفظه للاحتياج وقدمنا أنه لا فرق بين المتولى والحاكم فى الإجارة والتعمير فكذا فى النقض قال فى الهداية: وإن تعذر إعادة عينه إلى موضعه بيع وصرف ثمنه إلى مرمة صرفا للبدل إلى مصروف المبدل (البحر الرائق، زكريا-5/367، كويته-5/219-220)
ويصفر إلى عمارته إن احتاج وإلا حفظ إلى وقت الحاجة وإن تعذر صرف عينه يباع ويصرف ثمنه إليها (ملتقى الأبحر-9/589)
ولا ترمى براية القلم المستعمل لاحترامه كحشيش المسجد وكناستة لا يلقى فى موضع يخل بالتعظيم (الدر المختار مع رد المحتار، زكريا-1/322، كرتاشى-1/178)
-লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১৪০৪২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাসজিদের থালা বাসন, কাপড় ব্যক্তিগত কাজে ব্যাবহার করা জায়েজ কি না?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মসজিদে দানকৃত মালামাল, জায়গা-জমি, আসবাবপত্র ইত্যাদি পুরাতন কিংবা নতুন, ব্যবহৃত কিংবা অব্যবহৃত কোন কিছু সাধারণের জন্য ব্যবহার করা কোন অবস্থাতেই জায়েয নেই। এমনকি এক মসজিদের যাবতীয় আসবাবপত্র অন্য মসজিদে ব্যবহার করা জায়েয নেই। মসজিদের আমদানী বা দান অন্য কোন ওয়াকফ/খাতে খরচ করা হারাম, যদিও উক্ত মসজিদের প্রয়োজন না হয়। তবে মসজিদে ব্যবহৃত বা মসজিদের জন্য দানকৃত যে কোন মালামাল ও আসবাব অব্যবহৃত থাকার দারুন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা হলে বিশেষ প্রয়োজনে বিক্রয় করতে পারবে। আর উক্ত অর্থ মসজিদ ফান্ডে জমা হবে।
প্রমাণাদিঃ দুররুল মুখতার
রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৪]
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন