প্রশ্নঃ ৬২৪৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম।
আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে জানার জন্য প্রশ্ন
হলো : এই যে,কেউ যদি ফরজ নামাজ একাকী ভাবে আদায় করে ফেলে ,এবং পরবর্তীতে দেখছে যে , জামাতে নামাজ শুরু হচ্ছে , ওই ওয়াক্তের নামাজ আদায় কারী অলা কি আবার ও জামায়াতের সাথে সওয়াবের
আশায় পুণরায় দাড়িয়ে জামায়াতের সাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন???
জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফরয নামায একা একা আদায় করার পর ঐ ওয়াক্তের নামাযের জামাত চলতে দেখলে নফলের নিয়তে জামাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে।
অবশ্য লক্ষণীয় বিষয় হল, ফজর ও আসরের পর নফল পড়তে হাদীসে নিষেধ করা হয়েছে বিধায় ফজর ও মাগরিবের নামায একা একা পড়ার পর জামাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত নয়।
এমনিভাবে নফল নামায তিন রাকাত হয় না, বিধায় মাগরিবের নামায একা একা পড়ার পর জামাতে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত হবে না।
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ أَبِي أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ خُبَيْبِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ بَيْعَتَيْنِ وَعَنْ لِبْسَتَيْنِ وَعَنْ صَلاَتَيْنِ نَهَى عَنِ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ، وَعَنِ اشْتِمَالِ الصَّمَّاءِ وَعَنْ الاِحْتِبَاءِ فِي ثَوْبٍ وَاحِدٍ يُفْضِي بِفَرْجِهِ إِلَى السَّمَاءِ، وَعَنِ الْمُنَابَذَةِ وَالْمُلاَمَسَةِ.
আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’ধরনের বেচা-কেনা করতে, দু’ভাবে পোষাক পরিধান করতে এবং দু’সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ফজরের পর সূর্য পূর্ণরূপে উদিত না হওয়া পর্যন্ত এবং ‘আসরের পর সূর্য অস্তমিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। আর পুরো শরীর জড়িয়ে কাপড় পরতে এবং এক কাপড়ে (যেমন লুঙ্গি ইত্যাদি পরে) হাঁটু খাড়া করে এমনভাবে বসতে নিষেধ করেছেন যাতে লজ্জাস্থান উপরের দিকে খুলে যায়। আর মুনাবাযাহ ও মুলামাসাহ (এর পন্থায় বেচা-কেনা) নিষেধ করেছেন।
টীকা :
১. মুনাবাযাঃ বিভিন্ন দরের একাধিক পণ্যদ্রব্য একস্থানে রেখে মূল্য হিসেবে একটি অংক নির্ধারণ করে এ শর্তে বিক্রি করা যে, ক্রেতা নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব থেকে পাথর নিক্ষেপ করে যে পণ্যের গায়ে লাগাতে পারবে, উল্লেখিত মূল্যে তাকে তা বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করতে হবে। এ পন্থার বেচা-কেনা “মুনাবাযা” বলে অভিহিত।
২. মুলামাসাঃ একাধিক পণ্যের প্রত্যেকটির ভিন্ন ভিন্নভাবে মূল্য নির্ধারণ করে এভাবে বিক্রি করা যে, ক্রেতা যেটি স্পর্শ করবে, পূর্ব নির্ধারিত মূল্যে তাকে অবশ্যই তা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের বেচাকেনা শরয়ী পরিভাষায় ‘মুলামাসা’ বলে অভিহিত। যেহেতু এতে পসন্দ অপসন্দের স্বাধীনতা থাকে না, তাই শরীয়াত এ দু’টো পন্থাকে নিষিদ্ধ করেছে।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৪
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন