মজি বের হলে করণীয়
প্রশ্নঃ ৪৯৫৫০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মনের দূর্বলতার কারনে পেচ্ছাবের রাস্তায় মনি(বীর্য নয়) বার হলে, ফরজ গোসল কি আবশ্যিক?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মনি আর বীর্জ একই জিনিস। তবে উত্তেজনা ছাড়া বীর্জ নির্গত হলেও গোসল ফরজ হয় না। আর যদি বীর্জ ছাড়া আঠালো ভিন্ন কিছু বের হয়, সেটাকে মযি বলে।
মযি বের হলে আপনি অযু করে নামায পড়তে পারবেন। তবে মযি শরীর বা কাপড়ের যে জায়গায় লেগেছে সে জায়গা ধুয়ে নিবেন। কেননা, শরিয়তের দৃষ্টিতে মযী বা কামরস নাপাক। এটি শরীরে বা কাপড়ে লাগলে, যেখানে লেগেছে ওই জায়গা ধুয়ে নেয়া আবশ্যক। আর মযি বা কামরস নির্গত হলে ওযূ নষ্ট হয় এবং গোসল ওয়াজিব হয় না। আলী রাযি. বলেন,
كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَأَمَرْتُ رَجُلًا أَنْ يَسْأَلَ النَّبِيَّ ﷺ ، لِمَكَانِ ابْنَتِهِ، فَسَأَلَ فَقَالَ: تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ
আমার অধিক মযি বের হত। নবী ﷺ এর কন্যা আমার স্ত্রী হওয়া লজ্জার কারণে আমি একজনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পাঠালাম। তিনি প্রশ্ন করলে রাসূল ﷺ তাকে বললেন যে, তুমি ওযূ কর ও লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেল। (বুখারী ২৬৯)
সংযুক্ত প্রশ্নোত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ২৪৬৫৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হুজুর আমার প্রশ্ন হচ্ছে, নাপাক পদার্থ অর্থাৎ বীর্য শরীর থেকে বার হলে তাতে শরীর নাপাক হয়ে যায় । কিন্তু ইসতেঞ্জা করার সময় গোপন অঙ্গের কোনো রোগ থাকলে যদি শরীর থেকে ঘন বীর্য বার হয় প্রতিদিন তাহলে কি নামাজ হবে? তখন কী করণীয়? দয়া করে উত্তরটা দেবেন হুজুর।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উত্তেজনা ব্যতীত বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হয় না। সুতরাং পেশাব করার সময় পেশাবের সাথে বীর্য বের হলে গোসল ফরজ হবে না। বরং তখন বীর্য যে জায়গায় লাগে শুধু ওই জায়গা ধুয়ে ফেলে অজু করে নিলেই চলবে এবং ওই অজু দিয়ে নামাজ পড়া যাবে। কেননা, গোসল ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হল, বীর্য বের হওয়ার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن كُنتُمْ جُنُبًا فَاطَّهَّرُواْ
তোমরা জুনুবি হও তবে (গোসল করে) সারা দেহ পবিত্র করে নাও। (সূরা মায়েদাহ ৬)
আর জুনুবি বলা হয়, ওই ব্যক্তিকে যার বীর্য সবেগে ও উত্তেজনার সঙ্গে বের হয়েছে। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ مِمَّ خُلِقَ خُلِقَ مِن مَّاءٍ دَافِقٍ
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে, সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। (সূরা আত্ব-তারিক্ব ৫, ৬)
রাসূলুল্লাহ ﷺ আলী রাযি.-কে বলেছিলেন,
فَإِذَا فَضَخْتَ الْمَاءَ فَاغْتَسِلْ
যদি উত্তেজনা বশতঃ বীর্য নির্গত হয় তবে গোসল করবে। (আবুদাউদ ২০৬) অন্যথায় নয়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন