মেয়েদের চুলে রং থাকলে অজু-গোসলের বিধান
প্রশ্নঃ ৫৩৪৪৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মেয়েদের চুল এ রং থাকলে পবিত্রতা অরজন হবে কি না???
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
চুলে রঙ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান মূলত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে:
১. আবরণযুক্ত রঙের বিধান
যদি রঙটি এমন হয় যা ব্যবহারের ফলে চুলের ওপর আলাদা একটি আবরণ বা প্রলেপ পড়ে যায় এবং ভেতরে পানি পৌঁছাতে বাধা দেয়, তবে এমন রঙ ব্যবহার করা **সর্বসম্মতিক্রমে হারাম**।
পবিত্রতা ও নামাজ: ওজু ও গোসলের সময় প্রতিটি চুলে পানি পৌঁছানো ফরজ। যেহেতু এই প্রলেপ পানি পৌঁছাতে বাধা দেয়, তাই এটি ব্যবহারে ওজু, গোসল এবং নামাজ—কোনোটিই শুদ্ধ হবে হবে না।
ফতোয়ার কিতাবে এসেছে—
"وَالْخِضَابُ إذَا تَجَسَّدَ وَيَبِسَ يَمْنَعُ تَمَامَ الْوُضُوءِ وَالْغُسْلِ" (অর্থ: খেজাব যখন জমে গিয়ে শুকিয়ে যাবে, তখন তা ওজু কিংবা গোসল পূর্ণ হতে বাধা প্রদান করবে)। (ফাতাওয়া আলমগিরি, ১/৪)
২. আবরণহীন ও কালো রঙের বিধান
যে রঙ ব্যবহারে চুলে কোনো আবরণ পড়ে না, তা ব্যবহারে ওজু বা গোসলে কোনো অসুবিধা নেই। তবে এই রঙ যদি কুচকুচে কালো হয়, তবে মুজাহিদ ব্যতীত অন্য কারো জন্য তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেছেন—
"يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ قَوْمٌ يُسَوِّدُونَ أَشْعَارَهُمْ لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلَيْهِم"
(অর্থ: শেষ যমানায় এমন কিছু লোক বের হবে যারা তাদের চুল-দাঁড়ি কালো করবে। আল্লাহ তাদের প্রতি [রহমতের দৃষ্টিতে] তাকাবেন না)। (মু’জামুল আওছাত: ৩৮০৩, মাজমাউয যাওয়ায়েদ: ৮৭৯৩)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মদিনা মুনাওয়ারা ৷
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন