আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৪৭৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, এল্যকহল আছে ঐ সব ধরনের খাওয়ার খাওয়া যাবে কি? আর ব্যবহার করা যাবে কি দয়া করে জানাবেন বিস্তারিত ভাবে জানাবেন

১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
Benalmadena

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


وعلیکم السلام ورحمة الله وبركاته

নেশাজাত দ্রব্যের ব্যাপারে শরীয়তের নীতিমালা হলো, এক পেয়ালা পান করলে যদি নেশা হয় তবে তা থেকে এক ফোঁটা পান করাও হারাম। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে অ্যালকোহলের ব্যবহার কমবেশ সবটাই হারাম।
বর্তমান মার্কেটের অধিকাংশ ফ্রোজেন খাবার নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ভালো রাখার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যালকোহল মিক্স করে থাকে। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, যে অ্যালকোহলের উৎপত্তি খেজুর ও আঙ্গুর থেকে তার সামান্য পরিমাণ মিশ্রণেও খাবার হারাম হয়ে যায়। আর যদি ভেজিটেবল থেকে অ্যালকোহলের উৎপত্তি হয়, তবে এসব অ্যালকোহল মিশ্রিত খাবার গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
দুই অ্যালকোহলের মাঝে পার্থক্য হল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খেজুর ও আঙ্গুর দেখিয়ে বলেছিলেন, এই দুইটি থেকে শরাব হয়ে থাকে। যেহেতু খেজুর ও আঙ্গুরের তৈরি শরাব অকাট্যভাবে নিষিদ্ধ। সুতরাং এর থেকে প্রস্তুতকৃত অ্যালকোহলের ব্যবহার ও অকাট্যভাবে নিষিদ্ধ হয়ে থাকবে।
বর্তমানে সচরাচর যেসব খাবারে অ্যালকোহলের মিশ্রণ থাকে সেসব অ্যালকোহল ভেজিটেবল থেকে হয়ে থাকে। খেজুর ও আঙ্গুর থেকে অর্জিত অ্যালকোহল উচ্চমূল্যের হওয়ার কারণে সচরাচর খাবারে তা মিশ্রন করার সুযোগ থাকে না।
অতএব বর্তমান বাজারের প্যাকেটজাত খাবার ও ফ্রোজেন খাবারগুলো গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو كَثِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ الْخَمْرُ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ النَّخْلَةِ وَالْعِنَبَةِ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, মদ তৈরি হয় ঐ দু’টি গাছ (এর ফল) থেকে, তা হলো- খেজুর ও আঙ্গুর গাছ (এর ফল)।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫০৩৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন:

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন