প্রশ্নঃ ২১৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার পিতার উপর হজ্ব ফরয ছিল। তিনি হজ্ব না করেই মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি হজ্ব করার অসিয়ত করে যাননি। তার মৃত্যুর পর আমরা তার সম্পদ ভাগ করে নিয়েছি। আমার পিতা যেহেতু হজ্ব করেননি তাই আমি তার পক্ষ থেকে বদিল হজ্ব করার জন্য টাকা জমা করতে থাকি। চাকরির টাকা ও কিছু জমি বিক্রি করে হজ্ব করার মতো টাকা জমা করেছি। ইতিপূর্বে আমার উপর হজ্ব ফরয ছিল না। একজন আলেম বলেছেন, এই সম্পদ জমা করার কারণে তোমার উপর হজ্ব ফরয হয়ে গেছে। তুমি নিজের হজ আদায় করে নাও। তোমার পিতার বদলি হজ্ব করা তোমার উপর জরুরি নয়। এখন আমি আমার নিজের হজ্ব আদায় করব নাকি পিতার বদলি হজ্ব আদায় করব? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
উক্ত আলেম ঠিকই বলেছেন। আপনার গচ্ছিত ঐ টাকার কারণে আপনার নিজের উপরই হজ্ব ফরয হয়ে গেছে। তাই আগে আপনার নিজের হজ্ব আদায় করা জরুরি।
প্রকাশ থাকে যে, আপনার পিতা যদিও তার পক্ষ থেকে হজ্ব করার অসিয়ত করে যাননি। কিন্তু যেহেতু তার উপর হজ্ব ফরয ছিল আর তিনি ফরয হজ্ব আদায় না করেই ইন্তিকাল করেছেন এবং পর্যাপ্ত সম্পদও রেখে গেছেন তাই তার ওয়ারিসদের কর্তব্য হবে তার পক্ষ থেকে বদলি হজ্ব আদায় করানো। বালেগ ওয়ারিসদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যয়ের মাধ্যমে এই হজ্ব করানো উচিত। হাদীস শরীফে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, এক মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমার মা মান্নত করেছিলেন যে, তিনি হজ্ব করবেন। কিন্তু তা পূর্ণ করার আগেই তিনি মারা গেছেন। (এখন আমার করণীয় কী?) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অর্থ : তুমি তার পক্ষ থেকে হজ্ব আদায় করে নাও। বল তো, যদি তোমার মা কারো নিকট ঋণী হতেন তুমি কি তার ঋণ পরিশোধ করতে না? মহিলাটি বলল, হ্যাঁ। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আল্লাহর ঋণ পরিশোধ কর। কেননা তিনি প্রাপ্য পাওয়ার অধিক হকদার।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন