নাবালকের আজান مع الدلائل
প্রশ্নঃ ১৮৬৭৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নাবালকের আজান দেওয়া কী বৈধ? দলিলসহ জানতে চাই।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আযান ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দশন-যার মাধ্যমে নামাজের ওয়াক্তের ব্যাপারে মানুষ জানতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্ক বালকদের দিয়েই আজান দেয়াতে হবে। তবে নাবালক যদি বুঝমান ও বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন হয় তাহলে তার আজানও সহিহ হবে। এবং এতে নামাজেরও কোনো ক্ষতি হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছে:
عن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ قَالَ : ” كَانَ عُمُومَتِي يَأْمُرُونَنِي أَنْ أُؤَذِّنَ لَهُمْ وَأَنَا غُلَامٌ لَمْ أَحْتَلِمْ ، وَأَنَسُ بْنُ مَالِكٍ شَاهِدٌ، فلَمْ يُنْكِرْ ذَلِكَ ” .
আব্দুল্লাহ ইবনে আবি বকর বিন আনাস বলেন,“আমার চাচারা আামকে আজান দেয়ার আদেশ করতেন তাই (আমি আজান দিতাম)। সে সময় আমি অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক ছিলাম। আনাস বিন মালিক রা. বিষয়টি দেখলেও প্রতিবাদ করেননি।” (ইবনুল মুনজির আওসাত গ্রন্থে ৩/১৭৬)
তবে শিশু যদি এতই ছোট হয় যে, আজান সম্পর্কে জানে না তাহলে তার আজান গ্রহনযোগ্য হবে না। বরং প্রাপ্ত বয়স্ক লোক থাকতে তারা আজান দিলে তা মাকরূহ হবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 391):
"(ويجوز) بلا كراهة (أذان صبي مراهق).
(قوله: بلا كراهة) أي تحريمية؛ لأن التنزيهية ثابتة؛ لما في البحر عن الخلاصة: أن غيرهم أولى منهم. اهـ. ح.
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন