প্রশ্নঃ ১৪৩১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আসসালামু আলাইকুম।আমাদের ঘরে অনেক পুরোনো কিছু কুরআন শরীফ রয়েছে যেগুলোর অনেক অংশ ছিড়ে গিয়েছে।তাই ওগুলো পড়তে অনেক অসুবিধায় হয় বিধায় ওগুলো কি করব বুঝতেছি না।আসলে কুরআন শরীফ পুরোনো হলে কি করা হয় এই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে. যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন সেটা আগে সার্চ অপশনে খুঁজে দেখুন। উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হল।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০১৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কুরআন কারীমের আয়াত সম্বলিত কাগজ বা লেখা কোথায় - কিভাবে রিসাইক্লিন করব? আশা করি প্রশ্নটি বুঝাতে পেরেছি।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআনুল কারীমের পুরনো নুসখাহ (কপি) যা এখন আর পাড়ার উপযুক্ত নয়, ছিড়ে ফেটে গিয়েছে, এই ধরনের নুসখাগুলো পবিত্র কাপড়ে পেঁচিয়ে মুসলমানদের কবরস্থানে অথবা পবিত্র ভূমিতে (যেই ভূমির সঙ্গে বেয়াদবি করা হবে না) আদবের সঙ্গে দাফন করে দিবে। যেভাবে আল্লাহর সৃষ্টির সেরা মানুষকে দাফন করা হয়।
অথবা ভারী কোন বস্তু সঙ্গে দিয়ে পবিত্র প্রবাহমান পানিতে ডুবিয়ে দিবে। যেভাবে সমুদ্রে চলা অবস্থায় মানুষের লাশ পানিতে (দাফনের বিকল্প হিসেবে) ডুবিয়ে দেয়া হয়।
কোন কোন আলিমের ভিন্নমত থাকলেও অন্যান্য বিজ্ঞ আলিমগণ বলেছেন, আদবের সঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে ছাইগুলোকে দাফন করে দেবে।
হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খিলাফতের সময় তিনি কুরআনুল কারীমের সকল কিরাতের সমন্বয় করে নুসখা তৈরি করে এর আদলে নুসখা তৈরি করার জন্য শাহী ফরমান জারী করেছেন। অন্যান্য নুসখাগুলোকে দাফন করেছেন। ঐতিহাসিকদের মতে জোরালো মত হল, সেগুলোকে জ্বালিয়ে ভষ্ম করে তারপর দাফন করেছেন। কোন কোন ঐতিহাসিক বলেছেন, সেগুলোকে জালানো ছাড়াই মসজিদে নববীর মিম্বর এবং রওজা শরীফের মাঝে রিয়াজুল জান্নাহ-য় দাফন করা হয়েছে।
مَا يُصْنَعُ بِالْمُصْحَفِ إِِذَا بَلِيَ
36 - ذَهَبَ الْحَنَفِيَّةُ إِِلَى أَنَّ الْمُصْحَفَ إِِذَا بَلِيَ وَصَارَ بِحَال لاَ يُقْرَأُ فِيهِ يُجْعَل فِي خِرْقَةٍ طَاهِرَةٍ وَيُدْفَنُ فِي مَحَلٍّ غَيْرِ مُمْتَهَنٍ لاَ يُوطَأُ، كَمَا أَنَّ الْمُسْلِمَ إِِذَا مَاتَ يُدْفَنُ إِِكْرَامًا لَهُ، وَقَال الْحَنَفِيَّةُ: وَلاَ يُهَال عَلَيْهِ التُّرَابُ إِِلاَّ إِِذَا جُعِل فَوْقَهُ سَقْفٌ بِحَيْثُ لاَ يَصِل إِِلَيْهِ التُّرَابُ.
وَقَالُوا: وَلاَ يَجُوزُ إِِحْرَاقُهُ بِالنَّارِ، وَنُقِل ذَلِكَ عَنْ إِِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ، وَوَافَقَهُمْ الْقَاضِي حُسَيْنٌ مِنَ الشَّافِعِيَّةِ، وَقَال النَّوَوِيُّ: يُكْرَهُ ذَلِكَ.
وَقَال الْمَالِكِيَّةُ: يَجُوزُ إِِحْرَاقُهُ، بَل رُبَّمَا وَجَبَ، وَذَلِكَ إِِكْرَامٌ لَهُ، وَصِيَانَةٌ عَنِ الْوَطْءِ بِالأَْقْدَامِ، قَال الْقُرْطُبِيُّ مِنَ الْمَالِكِيَّةِ: قَدْ فَعَلَهُ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَيْنَ كَتَبَ الْمَصَاحِفَ وَبَعَثَ بِهَا إِِلَى الأَْمْصَارِ، فَقَدْ أَمَرَ بِمَا سِوَاهَا مِنْ صَحِيفَةٍ أَوْ مُصْحَفٍ أَنْ يُحْرَقَ، وَوَافَقَهُ
الصَّحَابَةُ رِضْوَانُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ عَلَى ذَلِكَ (1) .
وَقَال الْحَنَابِلَةُ: لَوْ بَلِيَ الْمُصْحَفُ أَوِ انْدَرَسَ دُفِنَ نَصًّا، ذَكَرَ أَحْمَدُ أَنَّ أَبَا الْجَوْزَاءِ بَلِيَ لَهُ مُصْحَفٌ فَحَفَرَ لَهُ فِي مَسْجِدِهِ فَدَفَنَهُ، وَفِي الْبُخَارِيِّ أَنَّ الصَّحَابَةَ حَرَّقَتْهُ لَمَّا جَمَعُوهُ، وَقَال ابْنُ الْجَوْزِيِّ ذَلِكَ لِتَعْظِيمِهِ وَصِيَانَتِهِ، وَذَكَرَ الْقَاضِي أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ أَبِي دَاوُدَ رَوَى بِإِِِسْنَادِهِ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ قَال: دَفَنَ عُثْمَانُ الْمَصَاحِفَ بَيْنَ الْقَبْرِ وَالْمِنْبَرِ، وَبِإِِِسْنَادِهِ عَنْ طَاوُوسٍ أَنَّهُ لَمْ يَكُنْ يَرَى بَأْسًا أَنْ تُحْرَقَ الْكُتُبُ، وَقَال: إِِنَّ الْمَاءَ وَالنَّارَ خَلْقٌ مِنْ خَلْقِ اللَّهِ. (2)
—আল মাওসূআ আল ফিকহিয়্যাহ
ফাতাওয়া হিন্দিয়্যাহ 5 / 322,
রদ্দুল মুহতার 1/119,
তাফসীর ক্বুরত্বুবী 1/54 ,
ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়াহ 2/599, কাশফুল ক্বনা 1/137
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন