সতর খোলা অবস্থায় তেলাওয়াত করা যাবে কি?
প্রশ্নঃ ১০২৫৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এই প্রচন্ড গরমে যদি রাতে একা একা খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পড়ে ঘুমাই তখন কি কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে কিনা। এতে কি সওয়াবের বদলে গুনাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা আমার সন্দেহ হচ্ছে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তেলাওয়াতের সময় যতটা সম্ভব আদব রক্ষা করা উচিত। তাই উত্তম হলো তেলাওয়াতের সময় সম্ভব হলে ভালো পোশাক পরা, টুপি বা পাগড়ি পরে তেলাওয়াত করা। মুছহাফ সামনে নিয়ে ওযুর সাথে পূর্ণ আযমতের সাথে তেলাওয়াত করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। তবে শুয়ে শুয়ে তেলাওয়াত করাও জায়েজ আছে।
কিন্তু সতর খোলা অবস্থায় তেলাওয়াত জায়েজ নেই। তাই অন্তত কাঁথা বা চাদর দিয়ে সতরের অংশটুকু ঢেকে তারপরে তেলাওয়াত করতে পারেন।
رجل أراد أن یقرأ القرآن فینبغي أں یکون علی أحسن أحوالہ، یلبس صالح ثیابہ ویتعمم ویستقبل القبلة ۔ (ہندیة: ۵/۳۶۵، اتحاد)
تلاوت کے دوران بھی ستر کا چھپانا واجب ہے؛ لہذا برہنہ حالت میں تلاوت کرنا ناجائز ہے۔ عورت کے چہرے، ہتھیلی اور قدموں کے علاوہ اس کا پورا جسم ستر ہے؛ لہذا ستر چھپا کر تلاوت کرے۔
فتوی نمبر : 144203201221
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, হাদীস ও ফিকহ বিভাগ
মারকাযুশ শরীয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১৪০৩০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মোবাইলে কুরআন শুয়ে শুয়ে অথবা হাঁটতে হাঁটতে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কী
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন তেলাওয়াত এবং আল্লাহর যিকির বসা অবস্থায়, হেলান দিয়ে, চিৎ হয়ে শুয়ে তথা সর্ব হালতে করা জায়েয আছে। যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
عن أم المؤمنين عائشة رضي الله عنها أنها قالت : كان النبي صلى الله عليه وسلم : ( يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ) আমার হায়েয অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাঃ আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন পড়লেন। সহীহ বোখারী-২৯৭,সহীহ মুসলিম-৩০১ ইবনে রজব হাম্বলী রাহ বলেন,
"وفي الحديث : دلالة على جواز قراءة القرآن متكئاً ، ومضطجعاً ، وعلى جنبه ، ويدخل ذَلِكَ في قول الله عز وجل : ( الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَاماً وَقُعُوداً وَعَلَى جُنُوبِهِمْ ) آل عمران/191" انتهى .
এই হাদীস দ্বারা বুঝা গেল যে,হেলান দিয়ে,কাৎ হয়ে,চিৎ হয়ে কুরআন তেলাওয়াত জায়েয। এবং এ হুকুম নিম্নোক্ত আয়াত থেকে ও বুঝা যায়।
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَىَ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذا بَاطِلاً سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষযে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও।সূরা আলে ইমরান-১৯১ (সূত্র ফাতহুল বারী-১/৪০৬)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন