প্রশ্নঃ ১৩২৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি বাড়ি বানানোর নিয়তে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছি। আমার নিজের থাকার জন্য কোনো বাড়ি নেই। এখন হজ্বের মাস চলে এসেছে। ইচ্ছা করলে ঐ টাকা দিয়ে আমি হজ্ব করতে পারি। কিন্তু তখন আমি আর বাড়ি বানাতে পারব না। আমি জানি যে, বাড়ি হল, হাজতে আসলিয়া অর্থাৎ মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। তাই এ অবস্থায় আমার উপর কি হজ্ব ফরয হবে? ফরয হলে হাজতে আসলিয়ার অর্থ কী? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নিজে ও পরিবার-পরিজনের বসবাসের ব্যবস্থা থাকা হাজতে আসলিয়া অর্থাৎ ব্যক্তির মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। এই প্রয়োজন ভাড়া বাসার দ্বারাও পূর্ণ হতে পারে। নিজের মালিকানাধীন হওয়া জরুরি নয়।
সুতরাং যার জন্য ভাড়া বাড়িতে থাকার সুব্যবস্থা আছে তার জন্য নিজস্ব বাড়ি বানানো মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত নয়। কেননা ভাড়া বাসা দ্বারা তো তার বসবাসের প্রয়োজন পূর্ণ হয়েই যাচ্ছে।
অতএব এমন ব্যক্তি যদি বাড়ি বানানোর নিয়তে টাকা জমা করে যা দিয়ে তার হজ্বের খরচ হয়ে যাবে তাহলে নির্ভরযোগ্য মত অনুযায়ী এ টাকার কারণে তার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যাবে। তাই হজ্বের মৌসুমে এ টাকা দিয়ে হজ্ব করা তার জন্য আবশ্যক হয়ে যাবে। তবে হজ্বের মৌসুম আসার আগেই যদি ঐ টাকা বাড়ি বানানো বা অন্য কোনো প্রয়োজনে খরচ করে ফেলে এবং তার কাছে হজ্ব করার মতো আর টাকা না থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে তার উপর হজ্ব ফরয হবে না।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তির বসবাসের জন্য ভাড়া বাসারও ব্যবস্থা নেই এবং বসবাসের প্রয়োজন পূরণের জন্যই তাকে বাড়ি বানাতে হবে তার জন্য নিজস্ব বাড়ি মৌলিক প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত। এমন ব্যক্তি যদি বাড়ি বানানোর জন্য টাকা জমা করে এবং হজ্বের মৌসুম আসার পর তার কাছে এ পরিমাণ টাকা থাকে, যা দিয়ে হজ্ব করলে বাড়ি বানানো যাবে না তাহলে তার উপর ঐ টাকার কারণে হজ্ব ফরয হবে না।والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন