নামাজ আদায়ের পর অজুর অঙ্গ শুকনা রয়ে গেলে করণীয় কি?
প্রশ্নঃ ১২৫৬৩৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোন ব্যক্তি অজু করল নামাজ ও আদাই করল পরবর্তীতে দেখল তার কোন অঙ্গে এমন কিছু লেগে আছে যা অজুর প্রতিবন্দক এমতাবস্থায় করনিয় কি? উক্ত ব্যক্তি যদি ঈমাম হয় তাহলে তার জন্য করনীয় কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
অজুতে যেসব অঙ্গ ধোয়া ফরজ, অজুর সময় সেসব অঙ্গের কোনো অংশ যদি সামান্যতমও (সুইয়ের আগার সমান) শুকনা থেকে যায়, যে কারণেই হোক না কেন, তাহলে অজু হবে না।
তবে যদি অজু করার পর (অজু ভঙ্গকারী কোনো কাজ ঘটার আগেই) জানা যায় যে অজুর অঙ্গগুলোর কোনো জায়গা শুকনা রয়ে গিয়েছিল, তাহলে পুনরায় সম্পূর্ণ অজু করার প্রয়োজন নেই। বরং যে জিনিসটি সেই জায়গায় পানি পৌঁছাতে বাধা হয়েছিল তা সরিয়ে কেবলমাত্র শুকনা থাকা অংশটুকু ধুয়ে নিলেই হবে।
তবে এ সময়ের মধ্যে যদি কোনো নামাজ পড়ে থাকে, তাহলে সেই নামাজগুলো পুনরায় আদায় করা ওয়াজিব হবে।”
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব উক্ত নামাজ পূনরায় আদায় করতে হবে। নামাজের সময় বিলম্বিত হয়ে গেলে (আদায়ের সময় পার হয়ে কাযাতে চলে গেলে) মুসল্লীদেরকে উক্ত নামাজ কাযা আদায়ের জন্য আহবান করতে হবে।
শরঈ দলীল:
الفتاوى الهندية :
"في فتاوى ما وراء النهر إن بقي من موضع الوضوء قدر رأس إبرة أو لزق بأصل ظفره طين يابس أو رطب لم يجز وإن تلطخ يده بخمير أو حناء جاز."
(كتاب الطهارة، الباب الأول في الوضوء، الفصل الأول في فرائض الوضوء، ج: 1، ص: 4، ط: رشيدية)
الدر المختار :
"(ويجب) أي يفرض (غسل) كل ما يمكن من البدن بلا حرج مرة كأذن و (سرة وشارب وحاجب و) أثناء (لحية)... (ولا يمنع) الطهارة (ونيم) أي خرء ذباب وبرغوث لم يصل الماء تحته (وحناء) ولو جرمه به يفتى (ودرن ووسخ) عطف تفسير وكذا دهن ودسومة (وتراب) وطين ولو (في ظفر مطلقا)... (و) لا يمنع (ما على ظفر صباغ و) لا (طعام بين أسنانه) أو في سنه المجوف به يفتى. وقيل إن صلبا منع، وهو الأصح."
(شامي، كتاب الطهارة، ج: 1، ص: 154،152، ط: سعید)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
লেখক ও গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন