এমনিতে বীর্যপাত হলে রোজা ও নামাযের বিধান
প্রশ্নঃ ৩২৪৩৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রোজা অবস্থায় যদি বীর্য এমনি এমনি বের হয় তাহলে কি রোজার সমস্যা হবে? আর যদি লজ্জাস্থান ধৌত করে নেয় আর নামাজ পড়লে কি হবে নাকি হবে না? আর মসজিদে কি প্রবেশ করা যাবে নাকি যাবেনা?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি কোনো প্রকার ঘর্ষণ-মর্দন ছাড়া যদি এমনিতে বীর্যপাত হয় তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না।
জাবির ইবনে যায়েদকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীর দিকে কামভাবের সাথে তাকিয়েছে। ফলে তার বীর্যপাত হয়ে গেছে তার রোজা কি ভেঙ্গে গেছে? তিনি বললেন, না। সে রোজা পূর্ণ করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৬-২৫৯)
সুখানুভূতি ছাড়া এমনিতে কোনো কারণে বীর্য বের হলে যতটুকুতে লেগেছে, ততটুকু এমনভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে যেন নাপাকি পুরোপুরি দূর হয়ে যায়। তারপর অজু করে নামায পড়তে পারবে এবং মসজিদেও প্রবেশ করতে পারবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا كَانَ يُجْزِئُكَ إِنْ رَأَيْتَهُ أَنْ تَغْسِلَ مَكَانَهُ
তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, যেখানে বীর্য (নাপাকি) দেখবে সে জায়গাটুকু ধুয়ে ফেলবে। (মুসলিম ৪৬৭)
আর সুখানুভূতির সাথে বীর্যপাত হলে গোসল ফরয হয়; সেটা ঘুমের মধ্যে বের হোক কিংবা জাগ্রত অবস্থায় কিংবা স্বপ্নদোষের কারণে কিংবা অন্য যে কোন কারণে। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ
পানি (বীর্যপাত দ্বারা) পানি (গোসল) আবশ্যক হয়। (মুসলিম ৩৪৩)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন