অজু চলাকালে অজু ভেঙে গেলে করণীয়
প্রশ্নঃ ১২৫৯০৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি যখন অযু করি অনেক সময় অজুর মাঝে বা অজু চলা কালীন বায়ু বের হয় তখন কী আবার অযু করব? আর যদি করি তাহলে একবার করে ধৌত করলে হবে?। তিনবার করলে তো পানি অপচয় হবে।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি অজু করার সময় এমন কোনো বিষয় ঘটে যা অজু ভেঙে দেয়—যেমন বায়ু বের হয়ে যায়—তাহলে পুনরায় শুরু থেকে অজু করা জরুরি হবে।
তবে কেউ যদি শরয়ীভাবে মাজুর (যেমন স্থায়ীভাবে বায়ু বা পেশাবের ফোঁটা বের হওয়া ইত্যাদি) হয়, তাহলে তার জন্য পুনরায় অজু করা জরুরি নয়। রেফারেন্সে মাজুরের বিস্তারিত দেওয়া হল।
الفقه على المذاهب الأربعة (ج:1، ص:49، ط: دار الكتب العلمية):
’’ومنها أن لا يوجد من المتوضئ ما ينافي الوضوء، مثل أن يصدر منه ناقض للوضوء في أثناء الوضوء، فلو غسل وجهه ويديه مثلاً ثم أحدث فإنه يجب عليه أن يبدأ الوضوء من أوله إلا إذا كان من أصحاب الأعذار الآتي بيانها، فإذا كان مصاباً بسلس البول ونزلت منه قطرة أو قطرات أثناء الوضوء فإنه لا يجب عليه استئناف الوضوء.‘‘
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن, فتویٰ نمبر : 144209201876
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, দারুল কুরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা
মুহাম্মদপুর, ঢাকা
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৯১৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম হুজুর,মাযুর সংক্রান্ত মাসআলা জানার জন্য হুজুর:• গ্যাসের কারণে প্রত্যেক ওয়াক্তের প্রতি নামাজের (ফরয,সুন্নাহ) আগে আমাকে অজু করতে হয়, নামাজ শেষ হবার পর বা নামাজের মাঝেই অজু ভেঙে যায়, দেখা যায় এর কারণে প্রতি ওয়াক্তে আমাকে দুবার, তিনবার করে অজু করতে হয়! মাঝে মাঝে অজু করা অবস্থায় অজু ভাঙ্গে, অজু শেষ হবার পর ভাঙ্গে আবার অজু করে নামাজে দাড়াই, নামাজের মাঝেই অজু ভেঙে যায়, আবার যাই অজু করতে!মাঝে মাঝে নামাজের শেষ রাকাতে অজু ভাঙ্গে, তখন অজু করে আবার নামাজ শুরু করি তখন আবার প্রথম রাকাতেই অজু ভাঙার উপক্রম!এসব কারণে নামাজে খুশু খুজু ধরে রাখতে পারি না, চেষ্টা থাকে তারাতারি নামাজ শেষ করার যাতে আবার অজু না ভেঙে যায়! এমন অবস্থা আমার সপ্তাহে প্রায় ৪,৫দিন হয়, মাঝে মাঝে পুরো সপ্তাহ!হুজুর, আমি কি মাজুর বলে গণ্য হবো?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যখন সারা ওয়াক্ত ব্যাপী উযর দেখা দিবে,তখন আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন।
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়াজ জন্য শর্ত হলো,
شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে,বায়ু উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়,তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায় শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
কেউ শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত হলে,তার জন্য প্রতি ওয়াক্তে একটি ওজুই যথেষ্ট।আর শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত না হলে,তখন প্রতি নামাযের জন্য পৃথক পৃথক ওজু করতে হবে।নামাযে যখনই ওজু চলে যাবে,তখন আবার ওজু করে নামাযকে পড়তে হবে।
কিন্তু যদি উযর কখনো কমে আসে,সারা ওয়াক্ত ব্যাপী না থাকে,বরং কমপক্ষে এতটুকু সময় পাওয়া যায় যে,উক্ত ওয়াক্তের ফরয সুন্নত নামায পড়া যায়,তাহলে তখন ঐ ব্যক্তি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবে না।সুতরাং তখন হুকম হলো,প্রয়োজন হলেও বারবার ওজু করে নামাযকে সম্পন্ন করবে।
সুতরাং,
যখন আপনার এ রোগ কমে আসবে,তখন আপনি প্রয়োজনে বারংবার অজু করে ঐ নামাযকে সম্পন্ন করবেন।
(২)
মা'যুর অবস্থায় এক অজু দ্বারা এক ওয়াক্তের ভিতর যত সম্ভব নামায পড়া যাবে,এবং অন্যান্য ইবাদত যেমন কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদিও করা যাবে।
(৩)
যদি কারো পূর্ব থেকেই অজু থাকে,এবং পরবর্তীতে সন্দেহ হয় যে,অজু রয়েছে কি না?তাহলে এমতাবস্থায় অজু রয়েছে বলেই ধরে নেয়া হবে।তবে যদি কারো পূর্ব থেকে না থাকে,এবং পরবর্তীতে সন্দেহ হয় যে,অজু করেছি কি না? তাহলে অজু নেই বলেই ধরে নেয়া হবে।কেননা ফিকহের উসূল হল,ইয়াকিন বিশ্বাস সন্দেহ দ্বারা দূরবিত হয় না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন