প্রশ্নঃ ১০৬৫২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
প্রস্রাব কিংবা পায়খানার ক্ষেত্রে শুধু পানি ব্যবহার কতটুকু উত্তম? মানে শুধু পানি ব্যবহার ই কি যথেষ্ট নাকি টিসু ব্যবহার বাধ্যতামুলক?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে. যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন সেটা আগে সার্চ অপশনে খুঁজে দেখুন। উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হল।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৫৫৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম,প্রসাব করার পর পানি ব্যবহার করা সুন্নাত নাকি মস্তাহাব...?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইস্তিঞ্জার সময় কী কী আদাবের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে, সে সম্পর্কে ফিকহের কিতাবসমূহে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।এখানে দুইটি বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হোল ।
এক. কাযায়ে হাজতের (পেশাব-পায়খানা করার) পর পবিত্রতা অর্জন করার পদ্ধতি।
দুই. ইস্তিবরা অর্থাৎ পেশাব করার পর অবশিষ্ট পেশাব থেকে পরিপূর্ণভাবে পবিত্রতা অর্জন করার হুকুম ও তরীকা।
প্রথম মাসআলা : কাযায়ে হাজতের পর পবিত্রতা অর্জন করার পদ্ধতি
পেশাব-পায়খানার পর পবিত্রতা অর্জন করার তিনটি পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে।
প্রথম পদ্ধতি : শুধু ঢিলা ব্যবহার করা
কাযায়ে হাজতের পর শুধু ঢিলা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয। এ বিষয়ে বহু হাদীস ও আছার বর্ণিত হয়েছে।
সাহাবা-তাবেয়ীগণের আমল ও ফতোয়া
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত আমল ও বাণী মুতাবেক অনেক সাহাবা ও তাবেয়ীনের আমল ছিল। তাঁরা পানি থাক বা না থাক শুধু ঢিলা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতেন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি : পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা
কাযায়ে হাজতের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করার বিষয়ে সাহাবা ও তাবেয়ীন-যুগে দু-একজনের ভিন্নমত থাকলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো ইমামের মতবিরোধ নেই যে, কাযায়ে হাজতের পর পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা যাবে; বরং উলামায়ে কেরাম বলেন, পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করাই উত্তম।
তৃতীয় পদ্ধতি : ঢিলা ও পানি উভয়টা দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা
কাযায়ে হাজতের পর ঢিলা ব্যবহার করে পানি দ্বারা ধোয়া কুরআন-সুন্নাহ ও সালাফে সালেহীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত। নিম্নে এ সম্পর্কে কয়েকটি দলীল পেশ করা হল-
১. আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ .
তাতে (কোবায়) এমন লোক আছে, যারা অধিকতর পবিত্রতা পছন্দ করে। আর আল্লাহ তাআলা অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদের পছন্দ করেন। -সূরা তাওবা (৯) : ১০৮
এখানে আল্লাহ তাআলা কোবা এলাকার সাহাবীদের প্রশংসা করেছেন যে, তারা পাক-পবিত্রতা পছন্দ করেন। তাদের সে পবিত্রতা কী ছিল? এ সম্পর্কে কয়েকটি বর্ণনা উদ্ধৃত করছি-
ইমাম বায়হাকী রাহ. বর্ণনা করেন, আবু আইয়ূব রা., জাবের বিন আব্দুল্লাহ রা. ও আনাস বিন মালেক রা.-এই আনসারী সাহাবীগণ বলেন,
فِیْهِ رِجَالٌ یُّحِبُّوْنَ اَنْ یَّتَطَهَّرُوْا وَ اللهُ یُحِبُّ الْمُطَّهِّرِیْنَ.
আয়াতটি নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে আনসারীদের দল! আল্লাহ তোমাদের পবিত্রতার উত্তম প্রসংশা করেছেন। তোমাদের ঐ পবিত্রতা কী? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা নামাযের জন্য অযু করি এবং গোসল ফরয হলে গোসল করি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এর সাথে কি আরো কোনো বিষয় আছে? তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আর কোনো বিষয় নেই, তবে শৌচাগার থেকে বের হলে আমাদের প্রত্যেকেই পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করতে পছন্দ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই সেই পবিত্রতা (আল্লাহ যার কারণে তোমাদের প্রসংশা করেছেন)। সুতরাং এটাকে তোমরা গুরুত্বের সাথে ধরে রাখবে।
খোলাসা হল, পেশাবের পর ইস্তিবরা করা আবশ্যক। তবে এর জন্য কোন্ পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে, তা নির্ধারিত নেই। হাদীস ও আছারে বিভিন্ন পদ্ধতি পাওয়া যায়। সবই মুবাহ। কোনটাই বিদআত বা শরীয়ত পরিপন্থি নয়। নির্দিষ্টভাবে এর কোনোটাই জরুরি নয়; জরুরি হল ইস্তিবরা। অর্থাৎ উত্তম রূপে পবিত্রতা অর্জন করা,।
সুতরাং ইস্তিবরার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ নিজ অভ্যাস অনুযায়ী যে পন্থা কার্যকর মনে হয় সে পন্থা গ্রহণ করবে। একই সাথে পেশাবের ব্যাপারে ওয়াসওয়াসা বা সংশয় গ্রস্ততার শিকার হয়ে যায়। এ রকম বাড়াবাড়িও কাম্য নয়। একথাগুলোই বলেছেনইমামুল হারামাইন রাহ.।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন