এক নজরে হজ্ব-উমরার প্রয়োজনীয় পরামর্শ/টিপস সমূহ
প্রশ্নঃ ১০১৬৬২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হজ্ব-উমরার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরামর্শ/টিপস গুলো কিকি?
১ মে, ২০২৫
ঢাকা ১২০৭
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. মুয়াল্লিম
সুন্নত তরীকায় হজ্ব/উমরা আদায় করার জন্য একজন অভিজ্ঞ মুয়াল্লিমের কোন বিকল্প নেই, বিশেষত যখন আপনি প্রথমবারের মত যাচ্ছেন। তাই আপনার মুয়াল্লিম কে? তিনি অভিজ্ঞ ও আলেম কিনা তা জেনে নিন। অনেক এজেন্সি হাজীদের সঠিক দিকনির্দেশনা না দিয়ে দায়িত্বহীনভাবে ছেড়ে দেয়, ফলে সমস্যা হয়। অভিজ্ঞ মুয়াল্লিম না হলে হজ্বের নিয়ম-কানুন পালনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। আ'মালী হজ্বের জন্য আল্লাহ্ভীরু চৌকশ মুয়াল্লিম একটি অত্যাবশ্যকীয় অংশ।
২. এজেন্সি
(ক) যারা বেসরকারিভাবে হজ্বে যাওয়ার প্রস্তুতি নেবেন, তারা অবশ্যই এজেন্সির ব্যাপারে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নেবেন। নিশ্চিত হয়ে নিন, এজেন্সির নিজস্ব লাইসেন্স কিনা, তারা 'হাব' ( HAAB) এর সদস্য কিনা।
(খ) আপনার পরিচিতি কারা আগে এই এজেন্সির সাথে গিয়েছেন, তাদের অভিজ্ঞতা কেমন এগুলো যাচাই করুন।
(গ) উপরের দুটি তথ্য সন্তোষজনক হলে, এজেন্সির অফিস পরিদর্শন করে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে নিন।
১. যেই হোটেলে এজেন্সি রাখবে, সেই হোটেল থেকে হারামের দূরত্ব কেমন হবে ?
২. প্যাকেজের খরচ কেমন হবে?
৩. মুয়াল্লিম (গাইড) হিসাবে আপনি কাকে সাথে পাবেন?
হজ্বের ক্ষেত্রে, প্রি-রেজিস্ট্রেশন ও রেজিস্ট্রেশনের টাকা জমা দিয়ে এসএমএস আসলো কিনা নিশ্চিত হোন, পাশাপাশি ওয়েবসাইটে ( https://hajj.gov.bd/) ট্র্যাকিং নাম্বার বসিয়ে নিজের তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
৩. হজ্ব/উমরার প্যাকেজ
হজ্ব-উমরার প্যাকেজ খরচে বিশাল ফারাক হয়। হজ্বে ২ থেকে ৩ লাখ টাকাও পার্থক্য হয়ে যায়। প্যাকেজে মূল্য পার্থক্যের প্রধান কারণ হয় হোটেল। যত কাছে হোটেল চাইবেন, ততো খরচ বাড়বে। অবশ্য অনেক এজেন্সি টাকা বেশী নিয়েও প্রতিশ্রুত দূরত্বে হোটেল দেয় না।
হাঁটার হিম্মত বা শারীরিক সামর্থ্য কম হলে কাছে হোটেল নিতে হবে আপনাকে প্যাকেজ মূল্য বাড়িয়ে। আর হাঁটার অভ্যাস থাকলে অথবা আপনি বেশিরভাগ সময় হারামে অবস্থান করলে স্বল্প মূল্যের প্যাকেজে দূরে হোটেলে যেতে পারেন।
তবে আপনার পরিচিত/ মহল্লার কাফেলার সাথে গেলে সামগ্রিক বিবেচনাকে ব্যক্তি পছন্দের উপরে প্রাধান্য দিন।
৪. সৌদি রিয়াল
প্রয়োজনীয় সৌদি রিয়াল সংগ্রহ করুন তবে অনেক বেশী রিয়াল ভাঙ্গিয়ে অহেতুক ঝুঁকি ও পেরেশানি নেবেন না। এক্সচেঞ্জ দোকান মক্কা, মদিনায় সহজলভ্য তবে রেট একটু বেশী।
প্রবাসে থাকা বেশীর ভাগ বাঙ্গালী আরও কম রেটে রিয়াল দিতে পারবেন আপনাকে, বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, ক্যাশ টাকা নিয়ে আপনাকে ঘুরতে হবে না। টাকা দেশে দেবার কেউ থাকলে, আপনি সৌদি থেকে রিয়াল নিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় সৌদি রিয়াল গলায় ঝুলানো ব্যাগে রাখুন যেটা অজু / ইস্তেঞ্জা সর্বাবস্থায় সঙ্গে থাকে। খুলে কোথাও রাখলে রিয়াল হারানোর সম্ভাবনা আছে।
৫. গলার ও কাঁধের ব্যাগ, জুতার পলিথিন
(ক) প্রয়োজনীয় সকল কাগজ , টাকা ইত্যাদি রাখার জন্য কোমরের বেল্টে বা গলায় ঝুলানো একটি ছোট ব্যাগ রাখবেন।
(খ) কাঁধের জন্য একটি আলাদা ব্যাগ রাখবেন যেখানে ছোট জায়নামায, ছাতা এবং পানি বোতল নেয়া যায়। কাঁধের ব্যাগটি যেন ফুলে না থাকে। চাইলে যেন ছোট করা যায়। কারণ, হারামে ঢোকার সময় যদি বড় বড় বোতল কাঁধের ব্যাগে থাকে, তবে ব্যাগ ফোলা মনে হলেই পুলিশ ব্যাগ চেক করবে। বড় বোতল পেলে আপনাকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেবে না। কিন্তু বের হবার সময় কোন চেক নেই।
(গ) মসজিদে প্রবেশ করার সময় জুতা সাথে নিয়ে ঢুকবেন, বাইরে রেখে গেলে পরিচ্ছন্নতাকারী কর্মীরা ফেলে দেয়। জুতা কাঁধের ব্যাগে নিতে একটি পলিথিন সাথে রাখুন।
৬. সিম কার্ড
সিম কার্ড যদি নিতে চান সফরের শুরুতে নেয়াই উত্তম। সিমে থাকা টকটাইম দিয়ে দেশে / সৌদিতে উভয় দেশেই কথা বলা যায়। সিমের সাথে আরেকটা ফ্রি সিমও পাওয়া যায়, আপনার সঙ্গের সাথীকে দিলে তিনি শুধু কল রিসিভ করতে পারবেন। তবে আপনার সফর কত দিনের এবং কেমন ডাটা ও টকটাইম লাগতে পারে সেই হিসাব করে প্যাকেজ নিন। নতুবা পরে টকটাইম ও ডাটা রিচার্জ করতে নূন্যতম ৩৫-৪০ রিয়াল খরচ হবে। (উল্লেখ্য, এটি উমরার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তথা যারা ১৫দিন বা তার কম থাকবেন তাদের ক্ষেত্রে।)
৭. হারিয়ে যাবার ভয় নেই
যত চৌকশ হাজীই বাইতুল্লাহতে গিয়েছেন, ২-৪ বার কাফেলা থেকে হারিয়ে যাননি এমন নজীর বিরল। সফরে স্ত্রী, বাচ্চা সাথে থাকলে তো আরও সাবধানী থাকতে হয়। এজন্য, ২টি পদ্ধতি এখতিয়ার করতে পারেন।
১. ইমিগ্রেশন পার হয়ে এয়ারপোর্টেই সিম পাওয়া যায়। নিজে নাম্বার নিয়ে অন্যদের দিন। কাফেলার অন্যদের নাম্বার আপনি রাখুন।
২. মক্কা/ মদিনা পৌঁছেই সকল সাথীদেরকে হোটেলের কার্ড বুঝিয়ে দিন। হোটেলের কার্ড যেন সব সময় সাথে রাখে। হারিয়ে গেলে পুলিশ / অন্য কাউকে দেখালেই ওরা রাস্তা দেখিয়ে দেবে।
৩. আপনার সাথীর নাম্বার মোবাইল / কাগজে লিখে ব্যাগে রাখুন, হারিয়ে গেলেও কাউকে অনুরোধ করলে ওই নাম্বারে কল দিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে।
৮. কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইটেম
ঘ্রাণ বিহীন (সাবান, ওয়েট/ভেজা টিস্যু, লোশন, ভেসলিন), ছাতা, পাতলা জায়নামায, ফোলানো বালিশ, কাঁচি ও সান-ক্যাপ ( মহিলা হাজীদের লাগবে), পানি স্প্রে করার নজল (১), ফোল্ডিং হাত পাখা, চুল কাটার রেজার মেশিন ও ব্লেড (২), যমযমের পানি নিতে ফোল্ডিং ওয়াটার ব্যাগ(৩)।
(১) একটা নজল সাথে রাখলে যে কোন পানির বোতলের মাথায় লাগিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন।
(২) কাফেলাতে অন্তত একজনের কাছে চুল কাটার রেজার মেশিন ও ব্লেড থাকা দরকার। নতুবা যতবার মাথা হলক্ব করতে হবে, প্রতিবার সেলুনে ১০ রিয়াল করে খরচ হবে।
(৩) মক্কা , মদিনায় যমযমের পানি ছাড়া খাবেন না নিয়ত রাখুন। এই নিয়ত থাকলে হারাম শরীফ থেকে হোটেলে ফেরত আসার সময় আপনাকে ৩/৫ লিটার পানি নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু বড়ো বোতল পেলে পুলিশ আপনাকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেবে না, বের করে দেবে। এজন্য ফোল্ডিং ওয়াটার ব্যাগ সাথে রাখুন। ৫ রিয়াল করে মক্কা,মদিনায় দোকানে পাবেন।
৯. ঔষধ
সৌদিতে ফার্মেসি আছে। তবে আপনার কাঙ্ক্ষিত ওষুধ পাওয়া মুশকিল, দামও অত্যাধিক। তাই নিয়মিত যেসব ওষুধ আপনাকে সেবন করতে হয় সেগুলো দেশ থেকে নিয়ে যান। এর বাইরে পেট খারাপ, ঠাণ্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, প্রেসার এই জাতীয় সমস্যার কিছু ওষুধ খেদমতের নিয়তে সাথে রাখতে পারেন। আল্লাহ্ চাহেন তো নিজের প্রয়োজন না পড়লেও কাফেলার কারো কাজে আসতে পারে।
১০. লাগেজ ও মালপত্র
সাধারণত হাজ্বী সাহেবগণ মোট তিনটি ব্যাগ বহন করে থাকেন।
(ক) বুকিং লাগেজ। যা এয়ারপোর্টে বুকিংয়ে দেয়া হয়। এটার মধ্যে শুকনো খাবার, ব্যবহারের সামগ্রী, ভারী জিনিসপত্র, এমনকি প্রয়োজনীয় মেসওয়াক, ব্রাশ, টুথপেস্ট, সাবান, টিস্যু, নখ কাটার মেশিন, ছোট চাকু, ছুরি, ছাতা, স্পঞ্জ স্যান্ডেল, সুগন্ধিমুক্ত তেল, ভেসলিন, খাতা-কলম, ইলেকট্রনিক্স আসবাব, আয়রন, হিটার ইত্যাদি এবং আরো যা প্রয়োজন নেওয়া যেতে পারে।
(খ) হ্যান্ড ব্যাগ অথবা হ্যান্ড লাগেজ। এটা হাতে বহন করে বিমানের ভেতর নেয়া যায় এবং বিমানের সিটের উপরে কেবিনেটের মধ্যে রাখা যায়। সাধারণত এটা সর্বোচ্চ ৭ কেজি ওজনের হতে পারে। এটার মধ্যে অতিরিক্ত একসেট ইহরামের কাপড় এবং গামছা, লুঙ্গি, গেঞ্জি, টুপি, সেলোয়ার, পাঞ্জাবি এবং অতিব প্রয়োজনীয় এক-দুই সেট পোশাক, মহিলাদের জন্য পর্দার চাদর, শীতের কাপড় (শীতের মৌসুমে), ব্যাটারি-চালিত ছোট হাতপাখা (গরমের মৌসুমে), ওয়েট টিস্যু, জরুরী ঔষধ (যদি সাথে প্রেসক্রিপশন থাকে), মোবাইলের চার্জার, তায়াম্মুমের মাটি এগুলো নেয়া যায়।
(গ) গলায় বা কাঁধে ঝুলানোর মত খুব ছোট ব্যাগ। এটায় কুরআন শরীফ, হজ্বের মাসায়েল ও দু'আ সংক্রান্ত মুসলিম বাংলা কিতাব, মোবাইল, মানিব্যাগ, সাথে বহন করা ঔষধের প্রেসক্রিপশন, ভিসা, পাসপোর্ট, বিমানের টিকেট, আইডি কার্ডের কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছোট একটি নোটপ্যাড, লেখার কলম বহন করবে।
যদি দেশ থেকে কিছু নিতে ঝামেলা মনে হয়, মক্কা-মদিনার মার্কেট থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করা যায়।
১১. এয়ারপোর্টে ইহরামের পোষাক পরিধান করা বা নিয়ত করা
যদি আপনার গন্তব্য আগে জেদ্দা/ মক্কা হয়, তাহলে অবশ্যই ইহরাম বাঁধতে হবে। তবে যত সময় ফ্লাইট কনফার্ম না হচ্ছে ততো সময় ইহরামের কাপড় পরিহিত থাকলেও ইহরামের নিয়ত করবে না। আল্লাহ্ না করেন, ফ্লাইট কোন কারণে অনেক দেরি হলে ইহরাম অবস্থায় লম্বা সময় থাকাটা কষ্টকর হয়ে যাবে।
যদি ট্রানজিটে জেদ্দা যান, তবে ট্রানজিটে এসে ইহরামের কাপড় পড়তে পারেন। ট্রান্সজিট থেকে বোর্ডিং এর সময় ধীরস্থির ভাবে দু রাকআত নামায পড়ে ইহরামের নিয়ত করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, এই ক্ষেত্রে ভুলে ইহরামের কাপড় দেশ থেকে মূল লাগেজে দেবেন না। ইহরামের কাপড় হ্যান্ড লাগেজে থাকবে।
১২. মিনার ব্যাগ
মিনা, মুজদালিফা ও আরাফায় ওকুফে অনেক হাঁটতে হয় ও খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে। ব্যাগের ওজন বাড়লে কষ্ট হয়ে যাবে। তাই ৭/৮ যুলহিজ্জাহ মিনা যাবার আগেই একান্ত প্রয়োজনীয় সামানা ছাড়া সব মক্কায় রেখে যান।
সাথে যথাসম্ভব যমযমের পানি ( এটা বেশী নিলে সমস্যা নেই কারণ মিনাতেই ১ দিনে আপনার এই পানি শেষ হয়ে যাবে। মিনাতে যমযমের পানি সরবরাহ করে না) নিন।
কিছু শুকনা খাবার, মিসওয়াক, ঘ্রাণ বিহীন (সাবান, ওয়েট/ভেজা টিস্যু, ভেসলিন), ছাতা, পাতলা জায়নামায, ফোলানো বালিশ, পানি স্প্রে করার নজল, ফোল্ডিং হাত পাখা - ব্যাগে রাখুন।
১৩. মুজদালিফা
একটি ছোট্ট ব্যাগে ৭০টি কংকর সংগ্রহ করুন জামারাতে নিক্ষেপের জন্য। মনে রাখবেন, প্রয়োজন পড়লে জামারাতে পড়ে থাকা কংকর আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করার জন্য একটা পাটি বা বিছানা চাদর আর বাতাস-বালিশ হলে সুবিধা হবে।
১৪. জামারাহ
একটি ছোট্ট ব্যাগে পাথর আগে থেকেই সংগ্রহ করা; জামারাতে (পাথর নিক্ষেপের জায়গা) বড় ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেবে না। বড় ব্যাগ নিলে ফেলে দিতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সাবধান। নিক্ষেপ করার কংকর তো আপনি ইতিমধ্যে মুজদালিফা থেকে সংগ্রহ করেছেন। অন্তত মুআল্লিমের মাধ্যমে সংগ্রহে রাখুন।
১৫. নারী / অসুস্থ / বয়স্কদের জন্য বিশেষ সুবিধা
ওযর না থাকলেও নারীদের জন্য হজ্বের সময় যে সমস্ত আমলে অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। অসুস্থ বা বয়স্করাও এই সুবিধার আওতায় আসতে পারেন।
১. আরোহী হয়ে তাওয়াফ করা, তথা তাওয়াফে হুইলচেয়ার ব্যবহার করার সুযোগ।
২. তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল না করার অনুমতি।
৩. সায়ীতে বতনে মাসীলে (সবুজ বাতি এলাকায়) রমল না করা।
৪. আরাফায় দাড়িয়ে উকূফ না করা।
৫. মুজদালিফার রাত্রিতে মুজদালিফায় অবস্থান না করে, মিনার জামারার কাছাকাছি চলে আসার সুযোগ।
৬. মিনার রাত্রিগুলোতে মিনায় অবস্থান না করা, হারামের বাসায় বা হোটেলে থাকার সুবিধা গ্রহণ করা।
৭. এগারো তারিখে কিংবা বারো তারিখে একদিন এসে দু'দিনের পাথর মারার সুযোগ গ্রহণ করা।
৮. আট তারিখে মিনায় আসার আগে ইহরাম গ্রহণ করে একটি নফল তাওয়াফ শেষে হজ্বের ১০ তারিখের সায়ী অগ্রিম করে রাখার সুযোগ। রাসূলুল্লাহ ﷺ ১০ তারিখের এই সায়ী মিনায় যাওয়ার আগে অগ্রিম করে ছিলেন।
والله اعلم بالصواب
ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১