কাদরিয়া কারা?
প্রশ্নঃ ১০০৪৪১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত বুরাইদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা কাদরিয়াদের লা'নত করেছেন এবং অতীতে এমন কোন নবী-রাসূল আগমণ করেননি যারা তাদের উপর লা'নত করেননি এবং স্বীয় উম্মতকে তাদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করেননি। এখানে কাদরিয়া বলতে কাদেরকে বুঝানো হয়েছে?
২৪ এপ্রিল, ২০২৫
M৫৬X+FP৯
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقَدَرِيَّةُ مَجُوسُ هَذِهِ الأُمَّةِ إِنْ مَرِضُوا فَلاَ تَعُودُوهُمْ وَإِنْ مَاتُوا فَلاَ تَشْهَدُوهُمْ " .
ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) বলেছেনঃ কাদেরীয়ারা* এ উম্মতের মধ্যে মাজুস বা অগ্নি-উপাসকদের মত। যদি তারা পীড়িত হয়, তবে তোমরা তাদের সেবা-শুশ্রূষা করবে না। আর যদি তারা মারা যায়, তবে তাদের জানাযায় শরীক হবে না।
* কাদেরীয়াদের মতবাদ এই যে, বান্দা নিজেই তার কাজের স্রষ্টা । তারা এ কারণে অগ্নি-উপাসকদের মত, যেহেতু তারা বলেঃ ভাল কাজের স্রষ্টা ‘ইয়াযদান' এবং খারাপ কাজের স্রষ্টা আহরমন'। কিন্তু আহলে -সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের মত এই যে, আল্লাহ-ই সব কাজের স্রষ্টা ও নিয়ামক। যেমন তিনি বলেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের এবং তোমাদের সব কাজকে সৃষ্টি করেছেন। - অনুবাদক
কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ (সুনানে আবু দাউদ)
হাদীস নং: ৪৬১৮ আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৯১
https://muslimbangla.com/hadith/18965
অন্য বর্ণনায়
وعن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لكل أمة مجوس ومجوس أمتي الذين يقولون لا قدر، إن مرضوا فلا تعودوهم، وإن ماتوا فلا تشهدوهم
আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রা) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) বলেছেন, প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে একদল ‘মাজসূ' বা (অগ্নি উপাসক) রয়েছে আমার উম্মতের মধ্যে 'মাজূস'- হচ্ছে ঐসব লোক যারা বলে থাকে 'তাকদীর নেই' । ঐ সব লোক পীড়িত হলে তোমরা দেখতে যাবে না। মৃত্যু হলে জানাযায় হাযির হবে না।
(একই বর্ণনাকারী থেকে অন্যভাবে) রাসূল (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক উম্মতে অগ্নিপূজকদল রয়েছে, আমার উম্মতের অগ্নিপূজক হচ্ছে তাকদীরকে অস্বীকারকারীর দল। এরা মৃত্যুমুখে পতিত হলে, তোমরা জানাযায় শরীক হবে না, এবং পীড়িত হলে তাদের দেখতে যাবে না।
অর্থাৎ অগ্নিপূজা বা সূর্য উপাসনা যেমন শিরকের মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট বা গর্হিত কাজ, তাকদীর অস্বীকার করাও মূলত যারপর নাই গর্হিত কাজ ও বেঈমানীর প্রধান লক্ষণ।)
আলমুসনাদ - ইমাম আহমদ রহঃ (আলফাতহুর রব্বানী) (আলমুসনাদ - ইমাম আহমদ রহঃ)
হাদীস নং: ৩৮ আন্তর্জাতিক নং: ৫৫৮৪ - ১
https://muslimbangla.com/hadith/63845
والله اعلم بالصواب
শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা
গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
আল কুরআনুল কারীম
৪
হাদীস ও সুন্নাহ
৬
তাসাউফ-আত্মশুদ্ধি । ইসলাহী পরামর্শ
৩
শরীআত সম্পর্কিত
১৪
ফিতনাসমুহ; বিবরণ - করণীয়
২
আখিরাত - মৃত্যুর পরে
৩
ঈমান বিধ্বংসী কথা ও কাজ
৬
ফিরাকে বাতিলা - ভ্রান্ত দল ও মত
২
পবিত্রতা অর্জন
৮
নামাযের অধ্যায়
১৯
যাকাত - সদাকাহ
৫
রোযার অধ্যায়
৬
হজ্ব - ওমরাহ
২
কাফন দাফন - জানাযা
৫
কসম - মান্নত
১
কুরবানী - যবেহ - আকীকা
৪
বিবাহ শাদী
৮
মীরাছ-উত্তরাধিকার
২
লেনদেন - ব্যবসা - চাকুরী
৯
আধুনিক মাসায়েল
৬
দন্ড বিধি
২
দাওয়াত ও জিহাদ
৩
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
৬
সীরাতুন নবী সাঃ । নবীজীর জীবনচরিত
৩
সাহাবা ও তাবেঈন
৩
ফাযায়েল ও মানাকেব
৩
কিতাব - পত্রিকা ও লেখক
৩
পরিবার - সামাজিকতা
৭
মহিলা অঙ্গন
২
আখলাক-চরিত্র
২
আদব- শিষ্টাচার
১২
রোগ-ব্যধি। চিকিৎসা
২
দোয়া - জিকির
২
নাম। শব্দ জ্ঞান
৩
নির্বাচিত
২
সাম্প্রতিক
১
বিবিধ মাসআলা
১