আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

#১২৯৬১
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী।আমি স্কুল শেষ করলাম। এখন আমার কলেজ জীবন শুরু । আমি উলামায়ে কেরামের সাথে সম্পর্ক রাখি। তাদের বই পড়ি ও বয়ান শুনি।আমি কলেজে যেসব বই পড়ব সেসব বইয়ের লেখক কেউরেই সঠিক ইমান নেই। সবাই তো দুনিয়াদার। আমার ভয় লাগে তাদের লেখা বই পড়তে গিয়ে আমার ইমানের উপর তাছির পড়ে কিনা। এমনিতেই দুর্বল ইমান। তবে আমি ইমানের জন্য অনেক ফিকির করি। পূর্বের বই পড়ে তো বুঝতে পারলামএসব বই তো আমাকে আখিরাতের বা ইমানের কোনো কিছুই তো শিক্ষা দেয় না।প্রত্যেকটা বইয়ের মধ্যে একটু না একটু ইসলাম বিরোধী কথা থাকে ই।বড়ই আফসোস লাগে ছোট বেলা থেকে কেন কওমি মাদ্রাসায় পড়ানো হলো না। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার ইমান ঠিক রাখার জন্য আমি আর কি কি করতে পারি? সেসব লেখক দের দিলের তাছির আমার ওপর না পড়ার জন্য আমার কি করণীয়। পড়াশোনা করি হালাল রিজিকের জন্য। সারদের সাথে উপরে উপরে অনেক ভালো সম্পর্ক রাখি কিন্তু মন লাগাতে চাই না।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
২২ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা
#১২৪৯৫
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি দশম শ্রেণিতে GPA-5পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। এখন ৮-১৫জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের কলেজে ভর্তির আবেদনের সময়।আমি করোনার বন্ধের দিনে বিভিন্ন ধরনের অনেক ইসলামিজ বই পড়েছি। আলহামদুলিল্লাহ্ ইসলাম সম্পর্কে আমার ধারণা হয়ে গেছে । তাই আমি এসএসসি পরীক্ষাও দিতে না করে ছিলাম । তবুও কষ্ট করে পরীক্ষাটা দেই। গত৩১ই ডিসেম্বর আমার ফল প্রকাশ করে। এখন আমার ইচ্ছা আমি আর পড়াশোনা করব না। কিন্তু আমার আন্মুর ইচ্ছা আমি কলেজে পড়াশোনা করি । আমি আমার আম্মুকে বলি, আমি কলেজে পড়াশোনা করব না যদি পড়াশোনা করতে হয় তাহলে আমি কওমি মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করব। কিন্তু আমার আম্মু আমাকে বললেন আমাকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাবেন বা। আর আমি যদি ওনাকে বুঝাতে যাই তাহলে ওনি আমাকে বলেন আমাকে বুঝাতে আসছিস নাকি? তাছাড়া ওনি রেগেযান। এই বিষয় নিয়ে ওনার সাথে আমার ঝগড়া পর্যন্ত হয়েছে। আমাদের পরিবারের সবাই রাজি থাকলেও ওনি কিছুতেই রাজী হন না। এদিকে সময়ও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে আমার কি করণীয় অনুগ্রহ করে যদি জানিয়ে দিন তাহলে আমি অনেক উপকৃত হতাম। আমি আমার আম্মুর সাথে ঝগড়া করে পাড়ি না। আমি আমার আম্মুর মুখের ওপর কখনো কথা বলি না। কিন্তু এই বিষয়ে বলতে হচ্ছে। কিন্তু তবুও তিনি মানেন তো নাই আবার তিনি আমাকে অনেক বকাঝকা করেন। ওনার ইচ্ছে আমি বড় হয়ে চাকরি করি। কিন্তু আমার ইচ্ছা আমি চাকরি করব না। আমি ইসলামের সকল নিয়ম মেনে চলব। ওনার মধ্যে একেবারে দিনধারিত্ব নেই এরকমও না। কিন্তু ওনার আত্মশুদ্দি নেই। আলহামদুলিল্লাহ আমার মুফতী মনসুরুল হকের বই পড়ে ও বয়ান শুনতে শুনতে কিছু একটা আত্মশুদ্ধি হয়ে গেছে। আবার আমার ভাই ও আমার সাথে GPA-5 পেয়েছে। এখন এক ঘরে ২টা A+ পেয়ে ওনি ওবাড়ির আশেপাশের সকলেই অনেক উপর খুশি। আলহামদুলিল্লাহ A+ আমার গায়ে ও লাগে নাই যার কারণে আমার মধ্যে রিয়াও আসে নাই। আমি জানি কলেজে পড়লে আমার কি ক্ষতি হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য :আমি একজন বালেগা মেয়ে।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম
৯ জানুয়ারী, ২০২২
ঢাকা
#১২২৫৪
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমি বাইরে গেলে যতটা সম্ভব পর্দা করে চলি, বোরকা, নিকাব সব পড়ি। অনেকদিন ধরে আমি খুব ডিপ্রেশনে আছি। আমার অনেক বয়স কিন্তু এখনো বিয়ে হয়নি। শারীরিক, মানুষিক সব দিক থেকে অসুস্থ আমি। আর আমার পরিবার থেকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয়, তারা দ্বীন বোঝেনা। আমি আল্লাহর ফয়সালার অপেক্ষায় আছি। তবুও খারাপ লাগে। অনেক সময় গুণাগ করতে ইচ্ছা করে।
আমি কখনোই সাজগোজ তেমন করতাম না। শুধুমাত্র এই বিষন্নতা কাটাতে ইদানিং মায়ের গাড়িগুলো পড়ে সাজি আর অনেক ছবি তুলি। আমি কোন পুরুষের সামনে ছবি তুলি না বা কেউ আমাকে দেখে না। ঘরেই সব হয়। এমনকি আমার ছবি ফেসবুক বা অন্য কোথাও কেউ দেখে না। আমার প্রশ্ন হলো, কোন সমস্যা আছে কি না। মিজানুর রহমান আজহারীর একটি ওয়াজে শুনেছি ফোনের ছবি পিক্সেল আকারে থাকে, তাই সমস্যা নেই। আপনাদের কাছে জানতে চাই বিষয়টি।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৩ জানুয়ারী, ২০২২
টঙ্গী