শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৬৬২১
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২১। ইউনুস ..... আতা হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি তোমাদের এই দুর্গন্ধময় সবজি আহার করবে, সে যেন আমাদের মসজিদসমূহের কাছেও না আসে। কারণ মানুষ যাতে কষ্ট পায়, ফিরিশতাগণও তাতে কষ্ট পান।
بَابُ أَكْلِ الثُّومِ وَالْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ
6621 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي طَلْحَةُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ خَضْرَاوَاتِكُمْ هَذِهِ , ذَوَاتِ الرِّيحِ , فَلَا يَقْرَبَنَّا فِي مَسَاجِدِنَا , فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬২২
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২২। আহমদ ইবন দাউদ ….. নাফে হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই গাছ হতে কিছু খাবে, সে যেন মসজিদসমূহে না আসে।
6622 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ , فَلَا يَأْتِ الْمَسَاجِدَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২৩
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৩। ফাহদ …… হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন যে, ব্যক্তি এই তরকারি হতে খাবে, সে যেন মসজিদের নিকটবর্তী না হয় যাবত না তার অর্থাৎ রসূনের দুর্গন্ধ দূর হয়।
6623 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ الْمَسْجِدَ , حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا يَعْنِي: الثُّومَ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২৪
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৪। মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা ও ফাহদ …… নাফে হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খায়বারে রসূন খেতে নিষেধ করেছেন।
6624 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، وَفَهْدٌ قَالَا: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: «نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِ الثُّومِ بِخَيْبَرَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬২৫
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৫। ফাহদ ……. হযরত আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এই তরকারি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদে আমাদের নিকটবর্তী না হয় অথবা তিনি বলেন, সে যেন আমাদেরকে কষ্ট না দেয়।
6625 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا قَيْسٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّا أَوْ يُؤْذِيَنَّا فِي مَسْجِدِنَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২৬
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৬। ইবন আবু দাউদ ….. আব্বাদ ইবন তামীম তার চাচা হতে বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এই গাছ হতে খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয় অর্থাৎ রসূন।
6626 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو صَالِحٍ الْحَنَفِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ , قَالَ: ثنا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسَاجِدَنَا يَعْنِي الثُّومَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২৭
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৭। আহমদ ইবন দাউদ …… এক ব্যক্তি হযরত আনাস (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞেস করল, রসূন সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে আপনি কি বলতে শুনেছেন? অতঃপর তিনি বললেন, অর্থাৎ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কথা বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি এই গাছ হতে খাবে, সে যেন আমাদের নিকটবর্তী না হয় আর সে যেন আমাদের সাথে নামাযও আদায় না করে।
6627 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ أَنَسًا: مَا سَمِعْتَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي الثُّومِ؟ . فَقَالَ: يَعْنِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّا , وَلَا يُصَلِّيَنَّ مَعَنَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২৮
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৮। মুহাম্মাদ ইবন আমর ..... আতা হযরত জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই তরকারি হতে খাবে, সে যেন কিছুতেই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয় । অথবা তিনি বলেন, সে যেন কিছুতেই আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয় ।
6628 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى، عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ فَلَا يَقْرَبَنَّا فِي مَسْجِدِنَا , أَوْ لَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬২৯
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৯। ইবন মারযূক ....... বিশর ইবন বশীর তার পিতা হতে বর্ণনা করেন এবং তিনি (বশীর) ছিলেন আসহাবুশ শাজারা (যারা হুদায়বিয়ায় গাছের নীচে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর হাতে বায়আত গ্রহণ করেছিলেন)-এর একজন সদস্য। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি এই গাছ হতে খাবে, সে যেন আমাদের সাথে কথা না বলে।
6629 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ، عَنْ بِشْرِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ الشَّجَرَةِ , قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ , فَلَا يُنَاجِينَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩০
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩০। আলী ইবন মা'বাদ ...... হযরত মা'কাল ইবন ইয়াসার বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম এবং আমরা এমন এক স্থানে অবতরণ করলাম যেখানে রসূন গাছ ছিল। তাঁর সাহাবীগণ সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং তারা তা হতে খেলেন। তারপর তারা নামাযের জন্য মুসল্লায় উপস্থিত হলেন । তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রসূনের দুর্গন্ধ পেয়ে বললেন, এমন যেন না হয় যে, তোমরা এই গাছের কাছে আসবে এবং তা হতে খাবে, তারপর তোমরা মসজিদে আসবে। রাবী বলেন, তারা দ্বিতীয়বারও মুসল্লায় উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের থেকে দুর্গন্ধ পেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এই গাছ হতে খাবে, সে যেন কিছুতেই মুসল্লায় না আসে।
6630 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا حَكَمُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي الرَّبَابِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسِيرٍ لَهُ وَإِنَّا نَزَلْنَا فِي مَكَانٍ فِيهِ شَجَرُ ثُومٍ , فَبَثَّ أَصْحَابُهُ فِيهِ , فَأَكَلُوا مِنْهُ , ثُمَّ غَدَوْا إِلَى الْمُصَلَّى. [ص:238] فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِيحَ الثُّومِ , فَقَالَ: «لَا تَقْرَبُوا هَذِهِ الشَّجَرَةَ , ثُمَّ تَأْتُوا الْمَسَاجِدَ» . قَالَ: ثُمَّ جَاءُوا الثَّانِيَةَ إِلَى الْمُصَلَّى , فَوَجَدَ رِيحَهَا , فَقَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ الْمُصَلَّى»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৬৬৩১
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩১। আবু জাফর (তাহাবী র) বলেন, একদল উলামা-ই কিরাম দুর্গন্ধময় তরকারি খাওয়া মাকরূহ বলে মন্তব্য করেন এবং তাঁরা উল্লেখিত এসব হাদীস দলীল হিসেবে পেশ করেন।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা শরীক, ইবন হাম্বল আল-কূফী, আতা এবং যাহিরিয়া দলের উলামা এ মত পোষণ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত আলী (রাযিঃ) হতে এ মত বর্ণিত আছে।
অপরপক্ষে অন্য একদল উলামা-ই কিরাম তাদের বিপরীত মত পোষণ করে বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা হারাম হওয়ার কারণে নয়। এ কারণে যে, এর দুর্গন্ধে যেন তার সাথে লোকেরা কষ্ট না পায়। আর এ সম্পর্কে অন্যান্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা এ কথাই প্রমাণ করে।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, জমহূরে উলামা-ই সালাফ এবং আইম্মা-ই ফাতওয়া। তাদের মধ্যে রয়েছেন চার ইমাম ও তাঁদের শাগরিদগণ।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম দ্বারা শরীক, ইবন হাম্বল আল-কূফী, আতা এবং যাহিরিয়া দলের উলামা এ মত পোষণ করেন। অতঃপর তিনি বলেন, হযরত আলী (রাযিঃ) হতে এ মত বর্ণিত আছে।
অপরপক্ষে অন্য একদল উলামা-ই কিরাম তাদের বিপরীত মত পোষণ করে বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা হারাম হওয়ার কারণে নয়। এ কারণে যে, এর দুর্গন্ধে যেন তার সাথে লোকেরা কষ্ট না পায়। আর এ সম্পর্কে অন্যান্য যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তা এ কথাই প্রমাণ করে।
আল্লামা আইনী (রাযিঃ) বলেন, এ উলামা-ই কিরাম হলেন, জমহূরে উলামা-ই সালাফ এবং আইম্মা-ই ফাতওয়া। তাদের মধ্যে রয়েছেন চার ইমাম ও তাঁদের শাগরিদগণ।
6631 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا قَيْسٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ حَنْبَلٍ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ هَذِهِ الْبَقْلَةِ فَلَا يَقْرَبَنَّا , أَوْ يُؤْذِيَنَّا فِي مَسَاجِدِنَا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَكَرِهَ قَوْمٌ أَكْلَ الْبُقُولِ , ذَوَاتِ الرِّيحِ أَصْلًا , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , وَقَالُوا: إِنَّمَا نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَكْلِهَا , لَا لِأَنَّهَا حَرَامٌ , وَلَكِنْ لِئَلَّا يُؤْذَى بِرِيحِهَا , مَنْ يَحْضُرُ مَعَهُ الْمَسْجِدَ , وَقَدْ جَاءَ فِي ذَلِكَ آثَارٌ أُخَرُ , مَا قَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩২
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩২। আলী ইবন মা'বাদ ...... মা'দান ইবন আবু তালহা আল-ইয়ামুরী বর্ণনা করেন, একবার হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে লোক সকল! তোমরা এ দুটি খাবীস গাছ রসূন ও পিঁয়াজ খেয়ে থাক, অথচ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যামানায় কোন ব্যক্তিকে দেখতাম যে, তার মুখে এর দুর্গন্ধ পাওয়া যেত, তার হাত ধরে 'বাক্বী' নামক স্থানে বের করে দেয়া হতো। অতএব যে ব্যক্তি এই দু'তরকারি খেতে ইচ্ছুক, সে যেন রান্না করে তার মৃত্যু ঘটিয়ে খায় (অর্থাৎ তার দুর্গন্ধ দূর করে খায়)।
এই তো হযরত উমর (রাযিঃ) খবর দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যামানায় তাঁরা তা খাবার ব্যাপারে কি ব্যবস্থা করতেন এবং তিনি নিজে তা রান্না করার পর খাওয়া মুবাহ বলে মন্তব্য করলেন। তাঁর এ মন্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, তা খাওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা তাহরীমের জন্য নয়।
এই তো হযরত উমর (রাযিঃ) খবর দিলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর যামানায় তাঁরা তা খাবার ব্যাপারে কি ব্যবস্থা করতেন এবং তিনি নিজে তা রান্না করার পর খাওয়া মুবাহ বলে মন্তব্য করলেন। তাঁর এ মন্তব্য এ কথাই প্রমাণ করে যে, তা খাওয়ার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা তাহরীমের জন্য নয়।
6632 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَطَاءٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمُرِيِّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ , إِنَّكُمْ لَتَأْكُلُونَ مِنْ شَجَرَتَيْنِ خَبِيثَتَيْنِ , هَذَا الثُّومُ , وَهَذَا الْبَصَلُ , وَلَقَدْ كُنْتُ أَرَى الرَّجُلَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُوجَدُ مِنْهُ رِيحُهُ , فَيُؤْخَذُ بِيَدِهِ , فَيُخْرَجُ إِلَى الْبَقِيعِ , فَمَنْ كَانَ أَكِلَهُمَا , فَلْيُمِتْهُمَا طَبْخًا " فَهَذَا عُمَرُ , قَدْ أَخْبَرَ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ , بِمَنْ أَكَلَهَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أَبَاحَ هُوَ أَكْلَهُمَا , بَعْدَ أَنْ يُمَاتَا طَبْخًا. فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ النَّهْيَ عَنْهُ , لَمْ يَكُنْ لِلتَّحْرِيمِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৩
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৩। আলী ইবন মা'বাদ ..... মুআবিয়া ইবন কুররা তার পিতা হতে এবং তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এই দু'টি খাবীস গাছ হতে খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের কাছে না আসে, যদি তোমাদের তা খেতেই হয়, তবে তা রান্না করে তার দুর্গন্ধ দূর করে খাও।
এইতো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুর্গন্ধ দূর হবার পর তা খাওয়া মুবাহ বলে ঘোষণা করেছেন। অতএব এটা প্রমাণ করে যে, এ দু'প্রকার সবজি খেতে তাঁর নিষেধাজ্ঞা কেবল দুর্গন্ধের কারণ ছিল, এ কারণে নয় যে, তা আসলেই হারাম।
এইতো রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুর্গন্ধ দূর হবার পর তা খাওয়া মুবাহ বলে ঘোষণা করেছেন। অতএব এটা প্রমাণ করে যে, এ দু'প্রকার সবজি খেতে তাঁর নিষেধাজ্ঞা কেবল দুর্গন্ধের কারণ ছিল, এ কারণে নয় যে, তা আসলেই হারাম।
6633 - وَقَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ , قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ , قَالَ: ثنا خَالِدُ بْنُ مَيْسَرَةَ , عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَاتَيْنِ الشَّجَرَتَيْنِ الْخَبِيثَتَيْنِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا , فَإِنْ كُنْتُمْ لَا بُدَّ آكِلِيهِمَا , فَأَمِيتُوهُمَا طَبْخًا» فَهَذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَبَاحَ أَكْلَهُمَا بَعْدَ ذَهَابِ رِيحِهِمَا. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ نَهْيَهُ عَنْ أَكْلِهِمَا إِنَّمَا كَانَ لِكَرَاهَتِهِ رِيحَهُمَا , لَا أَنَّهُمَا حَرَامٌ فِي أَنْفُسِهِمَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৪
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৪। আলী ইবন শায়বা ….. আবু বুরদা ইবন আবু মুসা হযরত মুগীরা ইবন শুবা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর যামানায় একবার আমি রসূন খেয়ে মসজিদে এলাম এবং তখন এক রাকাআতে আমি মাসবূক হয়েছি আমি তখন তাদের সাথে নামাযে প্রবেশ করলাম। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার দুর্গন্ধ টের পেলেন। যখন সালাম ফিরালেন, তখন তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এই খাবীস গাছ হতে খেয়েছে, সে যেন আমাদের মুসল্লার নিকটবর্তী না হয় যাবত না তার দুর্গন্ধ দূর হয়। অতঃপর আমি আমার নামায শেষ করে যখন সালাম ফিরালাম, তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আপনার ওপর কসম খেয়ে বলছি, অনুগ্রহ পূর্বক আপনি আপনার একখানা হাত আমাকে দিন। তিনি তাঁর একখানা হাত আমাকে ধরিয়ে দিলেন, আমি তাঁর হাতখানা আমার আস্তিনের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে আমার বুক পর্যন্ত পৌছিয়ে দিলাম। তিনি আমার বুকে পট্টি বাধা পেয়ে বললেন, তোমার তো ওযর আছে।
অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ বক্তব্যে যে ব্যক্তি এই খাবীস গাছ হতে খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়, যাবত না তার দুর্গন্ধ দূর হয়। এ কথারই প্রমাণ যে, তাঁর নিষেধ করার কারণ শুধু এই যে, তার দুর্গন্ধ যেন মানুষকে কষ্ট না দেয়, এ কারণে নয় যে, তা খাওয়াই হারাম।
অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ বক্তব্যে যে ব্যক্তি এই খাবীস গাছ হতে খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটবর্তী না হয়, যাবত না তার দুর্গন্ধ দূর হয়। এ কথারই প্রমাণ যে, তাঁর নিষেধ করার কারণ শুধু এই যে, তার দুর্গন্ধ যেন মানুষকে কষ্ট না দেয়, এ কারণে নয় যে, তা খাওয়াই হারাম।
6634 - وَقَدْ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ , قَالَ: ثنا أَبُو هِلَالٍ الرَّاسِبِيُّ وَغَيْرُهُ , عَنْ حُمَيْدِ بْنِ هِلَالٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى , عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ: أَكَلْتُ الثُّومَ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَتَيْتُ الْمَسْجِدَ , وَقَدْ سُبِقْتُ بِرَكْعَةٍ , فَدَخَلْتُ مَعَهُمْ فِي الصَّلَاةِ , فَوَجَدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِيحَهُ , فَلَمَّا سَلَّمَ قَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْخَبِيثَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا , حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا» . فَأَتْمَمْتُ صَلَاتِي , فَلَمَّا سَلَّمْتُ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَقْسَمْتُ عَلَيْكَ إِلَّا أَعْطَيْتَنِي يَدَكَ , فَنَاوَلَنِي يَدَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَدْخَلْتُهَا فِي كُمِّي , حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى صَدْرِي فَوَجَدَهُ مَعْصُوبًا فَقَالَ: «إِنَّ لَكَ عُذْرًا» [ص:239] فَفِي قَوْلِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ الْخَبِيثَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَا فِي مَسْجِدِنَا , حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا دَلِيلٌ عَلَى أَنَّهُ إِنَّمَا نَهَى عَنْ أَكْلِهَا لِئَلَّا يُؤْذِيَ رِيحُهَا مَنْ يَحْضُرُ الْمَسْجِدَ , لَا لِأَنَّ أَكْلَهَا حَرَامٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৫
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৫। ইবন মারযূক ....... সিমাক ইবন হারব হযরত জাবির ইবন সামুরা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন খাবার খেয়ে অবসর হতেন তখন তার অতিরিক্ত অংশ আর আবু আইয়্যূব (রাযিঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দিতেন । তিনি বলেন, একবার দিনের বেলা তিনি খাবার পেয়ালা ফেরত পাঠালেন তা হতে তিনি কিছুই খাননি। তখন হযরত আবু আইয়্যূব এসে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটা কি হারাম বস্তু? তিনি বললেন, না, তবে এর দুর্গন্ধের কারণে আমি অপছন্দ করেছি। তখন তিনি বললেন, আপনি যা অপছন্দ করেছেন, আমিও অপছন্দ করি।
6635 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَكَلَ مِنْ طَعَامٍ , بَعَثَ بِفَضْلِهِ إِلَى أَبِي أَيُّوبَ. قَالَ: فَبَعَثَ إِلَيْهِ ذَاتَ يَوْمٍ بِقَصْعَةٍ لَمْ يَأْكُلْ مِنْهَا فَأَتَاهُ أَبُو أَيُّوبَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَحَرَامٌ هُوَ؟ قَالَ: «لَا , وَلَكِنْ كَرِهْتُهُ لِرِيحِهِ» ، قَالَ: فَأَنَا أَكْرَهُ مَا كَرِهْتَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৬
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৬। ইউনুস …… উবায়দুল্লাহ ইবন আবু ইয়াযীদ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত আবু আইয়্যূব (রাযিঃ)-এর আম্মা- যাদের বাড়িতে নবী (ﷺ) অবতরণ করেছিলেন, তিনি আমার বাড়িতে একদিন অবতরণ করেন। তখন তিনি আমাকে বললেন, তারা একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য খাবার তৈরী করলেন, যার মধ্যে এই তরকারি (রসুন) ছিল। কিন্তু তা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) অপছন্দ করলেন এবং তাঁর সাহাবাগণকে বললেন, তোমরা এটা খেয়ে নাও। কারণ আমি তো আর তোমাদের মত নই। আমার এই আশংকা হয়, আমার সঙ্গীকে আমি কষ্ট দিব।
6636 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي يَزِيدَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: نَزَلْتُ عَلَى أُمِّ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّةِ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَزَلَ عَلَيْهِمْ , فَحَدَّثَتْنِي أَنَّهُمْ تَكَلَّفُوا لَهُ طَعَامًا , فِيهِ بَعْضُ هَذِهِ الْبُقُولِ , فَأَتَوْهُ , فَكَرِهَهُ , فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: «كُلُوهُ , فَإِنِّي لَسْتُ كَأَحَدِكُمْ , إِنِّي أَخَافُ أَنْ أُوذِيَ صَاحِبِي»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৭
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৭। ইউনুস আর একবার ..... উবায়দুল্লাহ বলেন, আমি হযরত আবু আইয়্যুব আনসারীর আম্মাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নিকট অবতরণ করলে একবার আমি তাঁর নিকট খাবার উপস্থিত করলাম, যার মধ্যে কিছু এই সবজি (রসূন) ছিল। কিন্তু তিনি তা খেলেন না এবং বললেন, আমার সঙ্গী (ফিরিশতা)-কে কষ্ট দেয়া আমি অপছন্দ করি ।
6637 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، مَرَّةً أُخْرَى , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، قَالَ: سَمِعْتُ أُمَّ أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيَّةَ، قَالَتْ: نَزَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَّبْتُ إِلَيْهِ طَعَامًا , فِيهِ مِنْ بَعْضِ هَذِهِ الْبُقُولِ فَلَمْ يَأْكُلْهُ , وَقَالَ: «إِنِّي أَكْرَهُ أَنْ أُوذِيَ صَاحِبِي»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৬৬৪১
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩৮-৪১। রাবী আল-মুয়াযযিন …… আবুল খায়ের, আবু রুহম আস-সামাঈ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, হযরত আবু আইয়ূব (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন, একবার আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি আপনার অবশিষ্ট খাবার পাঠিয়ে দিতেন, তখন আমি তা দেখতাম। যখন আমি তার মধ্যে আপনার আঙ্গুলের আলামত দেখতে পেতাম, সেখানে আমার হাত রেখে দিতাম (এবং আমি তা খেয়ে নিতাম)। অবশেষে এই খাবার আপনি পাঠিয়েছেন, তার মধ্যেও আমি লক্ষ্য করেছি, কিন্তু এর মধ্যে আপনার আঙ্গুলের কোন চিহ্ন আমি দেখতে পাইনি । তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ এর মধ্যে পিঁয়াজ রয়েছে, অতএব ঐ ফিরিশতার কারণে আমি তা খাওয়া অপছন্দ করেছি, যিনি আমার নিকট আগমন করেন। তবে তোমরা তা আহার কর ।
সালিহ ইবন আব্দুর রহমান আনসারী …… ইবন লাহীয়া ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইবন আবু দাউদ ...... হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি الشَّجَرَةَ শব্দটি উল্লেখ করেননি।
ইউনুস ……. হযরত আবু আইয়্যূব আনসারী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি (রাবী) তার বর্ণনায় بصل أو كراث (পিঁয়াজ অথবা কুরাস)-এর কথা উল্লেখ করেছেন এবং তার বর্ণনার শেষে ليس بمحرم (তা হারাম নয়) কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মানুষের জন্য পিঁয়াজ ও কুরাস মুবাহ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এসব হারাম নয় । যদি কেউ বলেন, আপনি যে সব পিঁয়াজ-রসূন ও কুরাস মুবাহ বলেছেন তা তো হলো পাকানো। আর যা পাকানো হয়নি, তা সেই নিষেধাজ্ঞারই অন্তর্ভুক্ত, যা পূর্বে উল্লেখিত হাদীসে রয়েছে।
তবে তাকে বলা হবে, উল্লেখিত হাদীসসমূহের এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কথা বলেছেন যে, তিনি এর দুর্গন্ধের কারণেই অপছন্দ করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর সাহাবা-ই কিরামের জন্য মুবাহ করেছেন। অতএব রান্না করার পরও যে পিঁয়াজ-রসূনের মধ্যে দুর্গন্ধ থাকবে, তার ঐ হুকুমই বহাল থাকবে যা রান্না করার পূর্বে ছিল। কারণ তিনি তো দুর্গন্ধের কারণে উভয়টাই অপছন্দ করেছেন। অতএব রান্না করার পর তার মধ্যে দুর্গন্ধ থাকা সত্ত্বেও সাহাবা-ই কিরামের জন্য তা মুবাহ করা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের জন্য রান্না করার পূর্বেও তা জায়েয।
সালিহ ইবন আব্দুর রহমান আনসারী …… ইবন লাহীয়া ইয়াযীদ ইবন আবু হাবীব হতে বর্ণনা করেন, অতঃপর তিনি নিজস্ব সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইবন আবু দাউদ ...... হযরত আবু উমামা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তিনি الشَّجَرَةَ শব্দটি উল্লেখ করেননি।
ইউনুস ……. হযরত আবু আইয়্যূব আনসারী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি (রাবী) তার বর্ণনায় بصل أو كراث (পিঁয়াজ অথবা কুরাস)-এর কথা উল্লেখ করেছেন এবং তার বর্ণনার শেষে ليس بمحرم (তা হারাম নয়) কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
এসব হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) মানুষের জন্য পিঁয়াজ ও কুরাস মুবাহ বলে উল্লেখ করেছেন এবং এসব হারাম নয় । যদি কেউ বলেন, আপনি যে সব পিঁয়াজ-রসূন ও কুরাস মুবাহ বলেছেন তা তো হলো পাকানো। আর যা পাকানো হয়নি, তা সেই নিষেধাজ্ঞারই অন্তর্ভুক্ত, যা পূর্বে উল্লেখিত হাদীসে রয়েছে।
তবে তাকে বলা হবে, উল্লেখিত হাদীসসমূহের এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কথা বলেছেন যে, তিনি এর দুর্গন্ধের কারণেই অপছন্দ করেছেন। কিন্তু তিনি তাঁর সাহাবা-ই কিরামের জন্য মুবাহ করেছেন। অতএব রান্না করার পরও যে পিঁয়াজ-রসূনের মধ্যে দুর্গন্ধ থাকবে, তার ঐ হুকুমই বহাল থাকবে যা রান্না করার পূর্বে ছিল। কারণ তিনি তো দুর্গন্ধের কারণে উভয়টাই অপছন্দ করেছেন। অতএব রান্না করার পর তার মধ্যে দুর্গন্ধ থাকা সত্ত্বেও সাহাবা-ই কিরামের জন্য তা মুবাহ করা এ কথাই প্রমাণ করে যে, তাদের জন্য রান্না করার পূর্বেও তা জায়েয।
6638 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ , قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ , عَنْ أَبِي الْخَيْرِ , عَنْ أَبِي رُهْمٍ السَّمَاعِيِّ , أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ حَدَّثَهُ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ كُنْتَ تُرْسِلُ بِالطَّعَامِ فَأَنْظُرُ , فَإِذَا رَأَيْتُ أَثَرَ أَصَابِعِكَ , وَضَعْتُ يَدِي فِيهِ , حَتَّى كَانَ هَذَا الطَّعَامُ الَّذِي أَرْسَلْتَ بِهِ , فَنَظَرْتُ فِيهِ , فَلَمْ أَرَ فِيهِ أَثَرَ أَصَابِعِكَ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَجَلْ , إِنَّ فِيهِ بَصَلًا , فَكَرِهْتُ أَنْ آكُلَهُ مِنْ أَجْلِ الْمَلَكِ الَّذِي يَأْتِينِي , وَأَمَّا أَنْتُمْ فَكُلُوهُ»
6639 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
6640 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَيَّاشُ بْنُ وَلِيدٍ الرَّقَّامُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُسَمِّ الشَّجَرَةَ
6641 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: بَصَلٌ , أَوْ كُرَّاثٌ وَزَادَ فِي آخِرِهِ وَلَيْسَ بِمُحَرَّمٍ فَقَدْ أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لِلنَّاسِ , أَكْلَ الْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ , وَأَنَّ ذَلِكَ غَيْرُ مُحَرَّمٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: هَذَا الَّذِي ذَكَرْتُ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُمَا قَدْ طُبِخَ. [ص:240] فَأَمَّا مَا كَانَ غَيْرَ مَطْبُوخٍ , فَهُوَ دَاخِلٌ فِي النَّهْيِ الَّذِي فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ. قِيلَ لَهُ: قَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا ذَكَرْنَا عَنْهُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ إِنَّمَا كَرِهَهُ لِرِيحِهِ وَقَدْ أَبَاحَ أَصْحَابُهُ أَكْلَهُ. فَمَا كَانَتْ رِيحُهُ فِيهِ قَائِمَةً بَعْدَ الطَّبْخِ , كَانَ عَلَى حُكْمِهِ قَبْلَ الطَّبْخِ , إِذْ كَانَ إِنَّمَا كَرِهَ أَكْلَهُ فِيهِمَا جَمِيعًا , مِنْ أَجْلِ رِيحِهِ. فَدَلَّ إِبَاحَتُهُ أَكْلَهُ لَهُمْ بَعْدَ الطَّبْخِ وَرِيحُهُ مَوْجُودَةٌ عَلَى أَنَّ أَكْلَهُمْ إِيَّاهُ قَبْلَ الطَّبْخِ , مُبَاحٌ لَهُمْ أَيْضًا
6639 - حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
6640 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا عَيَّاشُ بْنُ وَلِيدٍ الرَّقَّامُ، قَالَ: ثنا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ لَمْ يُسَمِّ الشَّجَرَةَ
6641 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، أَنَّ سُفْيَانَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، حَدَّثَهُ , عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَحْوِهِ , إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: بَصَلٌ , أَوْ كُرَّاثٌ وَزَادَ فِي آخِرِهِ وَلَيْسَ بِمُحَرَّمٍ فَقَدْ أَبَاحَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي هَذِهِ الْآثَارِ لِلنَّاسِ , أَكْلَ الْبَصَلِ وَالْكُرَّاثِ , وَأَنَّ ذَلِكَ غَيْرُ مُحَرَّمٍ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: هَذَا الَّذِي ذَكَرْتُ , إِنَّمَا هُوَ عَلَى مَا كَانَ مِنْهُمَا قَدْ طُبِخَ. [ص:240] فَأَمَّا مَا كَانَ غَيْرَ مَطْبُوخٍ , فَهُوَ دَاخِلٌ فِي النَّهْيِ الَّذِي فِي الْآثَارِ الْأُوَلِ. قِيلَ لَهُ: قَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا ذَكَرْنَا عَنْهُ فِي هَذِهِ الْآثَارِ إِنَّمَا كَرِهَهُ لِرِيحِهِ وَقَدْ أَبَاحَ أَصْحَابُهُ أَكْلَهُ. فَمَا كَانَتْ رِيحُهُ فِيهِ قَائِمَةً بَعْدَ الطَّبْخِ , كَانَ عَلَى حُكْمِهِ قَبْلَ الطَّبْخِ , إِذْ كَانَ إِنَّمَا كَرِهَ أَكْلَهُ فِيهِمَا جَمِيعًا , مِنْ أَجْلِ رِيحِهِ. فَدَلَّ إِبَاحَتُهُ أَكْلَهُ لَهُمْ بَعْدَ الطَّبْخِ وَرِيحُهُ مَوْجُودَةٌ عَلَى أَنَّ أَكْلَهُمْ إِيَّاهُ قَبْلَ الطَّبْخِ , مُبَاحٌ لَهُمْ أَيْضًا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৩৯
empty
৬৬৩৯।
6639 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৬৬৪০
empty
৬৬৪০।
6640 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান