শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা
হাদীস নং: ৬৬৩০
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬৩০। আলী ইবন মা'বাদ ...... হযরত মা'কাল ইবন ইয়াসার বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে এক সফরে ছিলাম এবং আমরা এমন এক স্থানে অবতরণ করলাম যেখানে রসূন গাছ ছিল। তাঁর সাহাবীগণ সেখানে দাঁড়িয়ে পড়লেন এবং তারা তা হতে খেলেন। তারপর তারা নামাযের জন্য মুসল্লায় উপস্থিত হলেন । তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) রসূনের দুর্গন্ধ পেয়ে বললেন, এমন যেন না হয় যে, তোমরা এই গাছের কাছে আসবে এবং তা হতে খাবে, তারপর তোমরা মসজিদে আসবে। রাবী বলেন, তারা দ্বিতীয়বারও মুসল্লায় উপস্থিত হলে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদের থেকে দুর্গন্ধ পেলেন। অতঃপর তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এই গাছ হতে খাবে, সে যেন কিছুতেই মুসল্লায় না আসে।
6630 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا حَكَمُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي الرَّبَابِ، عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَسِيرٍ لَهُ وَإِنَّا نَزَلْنَا فِي مَكَانٍ فِيهِ شَجَرُ ثُومٍ , فَبَثَّ أَصْحَابُهُ فِيهِ , فَأَكَلُوا مِنْهُ , ثُمَّ غَدَوْا إِلَى الْمُصَلَّى. [ص:238] فَوَجَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِيحَ الثُّومِ , فَقَالَ: «لَا تَقْرَبُوا هَذِهِ الشَّجَرَةَ , ثُمَّ تَأْتُوا الْمَسَاجِدَ» . قَالَ: ثُمَّ جَاءُوا الثَّانِيَةَ إِلَى الْمُصَلَّى , فَوَجَدَ رِيحَهَا , فَقَالَ: «مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ الْمُصَلَّى»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
