শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

২১. মাকরুহ বিষয়াদির বর্ণনা

হাদীস নং: ৬৬২৩
রসূন, পিঁয়াজ ও কুরাস (পিঁয়াজ ও রসূন সদৃশ এক প্রকার দুর্গন্ধময় তরকারি)খাওয়া প্রসঙ্গে
৬৬২৩। ফাহদ …… হযরত ইবন উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন যে, ব্যক্তি এই তরকারি হতে খাবে, সে যেন মসজিদের নিকটবর্তী না হয় যাবত না তার অর্থাৎ রসূনের দুর্গন্ধ দূর হয়।
6623 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ " مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ , فَلَا يَقْرَبَنَّ الْمَسْجِدَ , حَتَّى يَذْهَبَ رِيحُهَا يَعْنِي: الثُّومَ "

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, পিঁয়াজ-রসুন খেয়ে মাসজিদে আসা যাবে না। অবশ্য এ নিষেধাজ্ঞা শুধু উক্ত দ্রব্যদ্বয়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। বরং মুখের দুর্গন্ধে মানুষ ও ফেরেশতারা কষ্ট পায় এমন যে কোন জিনিসের ব্যাপারেই এ হুকুম প্রযোজ্য হবে। কারণ মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলমান এবং মসজিদের ফেরেশতা কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে বেঁচে থাকা। যেমনটি বর্ণিত হয়েছে মুসলিম শরীফ-১১৩৪ নাম্বার হাদীসে। সুতরাং বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা, গুল বা এ জাতীয় কোন জিনিস ব্যবহার করা অথবা গুরম্নত্ব সহকারে মেসওয়াক ব্যবহার না করা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে যা মানুষের জন্য পীড়াদায়ক হয় সবই এ হুকুমের আওতাভুক্ত। রসূলুল্লাহ স.-এর উদ্দেশ্য এটা নয় যে, কেউ এগুলো ব্যবহার করবে, আর মাসজিদ ছেড়ে দিবে। বরং উদ্দেশ্য হলো মাসজিদে নিয়মিত আসবে। আর যে সব জিনিসের দ্বারা মানুষ কষ্ট পায় তা ছেড়ে দিবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
ত্বহাবী শরীফ - হাদীস নং ৬৬২৩ | মুসলিম বাংলা