শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৮ টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫৬৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৪১
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৩৯-৪১। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল সে যেন তা বিক্রয় না করে যাবত না কবযা করবে।*

আলী ইবন শায়বা বলেন,...... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।**

আলী ইবন মা'বাদ বলেন, …… হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।***
بَابٌ مَا نُهِيَ عَنْ بَيْعِهِ حَتَّى يُقْبَضَ
5639 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا وَهْبٌ، وَعَفَّانُ، قَالَا: ثنا شُعْبَةُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ " مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا , فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ

5640 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

5641 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: ثنا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪০
empty
৫৬৪০।
5640 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪১
empty
৫৬৪১।
5641 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪২
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪২। আবু বিশর আররুকী বলেন, নাফে' হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন তা বিক্রয় না করে যাবত না তা পুরাপুরী নিয়ে নেয় (অর্থাৎ কবযা করে)।**
5642 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا , فَلَا يَبِيعُهُ , حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৩
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪৩। নসর ইবন মারযূক বলেন, …… আব্দুল্লাহ্ ইবন দীনার হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করল, সে যেন তা বিক্রয় না করে যাবত না সে কবযা করে।**
5643 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عَلِيُّ بْنُ مَعْبَدٍ، قَالَ: ثنا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ , حَتَّى يَقْبِضَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৪৫
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪৪-৪৫। ইউনুস বলেন, …… নাফে' হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল সে যেন তা বিক্রয় না করে যাবত না সে তা পুরোপুরী গ্রহণ করে।

৫২০৯. ইউনুস বলেন, ..... হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে মালেক তাঁর রিওয়ায়াতে يستوفيه এর স্থলে يقبضه বর্ণনা করেছেন ।**
5644 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ، وَعُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ , وَمَالِكٌ وَغَيْرُهُمْ: أَنَّ نَافِعًا، حَدَّثَهُمْ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ «مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ» [ص:38]

5645 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , قَالَ مَالِكٌ " حَتَّى يَقْبِضَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৫
empty
৫৬৪৫।
5645 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৬
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪৬। ইউনুস বলেন, …… কাসেম হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কায়েল করে খাদ্য ক্রয় করেছে রাসূল (ﷺ) তাকে তা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, যাবত না সে তা কবযা করে।**
5646 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، وَغَيْرُهُ، عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ عُبَيْدٍ الْمَدَنِيِّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يَبِيعَ أَحَدٌ طَعَامًا اشْتَرَاهُ بِكَيْلٍ , حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৭
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪৭। ইউনুস বলেন, ….. হযরত জাবির (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন তা বিক্রয় না করে যাবত না তা কবযা করে।
5647 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৮
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪৮। আহমদ ইবন দাউদ বলেন, …… সুলায়মান ইবন ইয়াসার হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করল, সে যেন তা বিক্রয় না করে যাবত না সে পুরোপুরি গ্রহণ করে।**
5648 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا يَعْقُوبُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالَ: ثنا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الضَّحَّاكِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْأَشَجِّ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ «مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلَا يَبِيعُهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৫০
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৪৯-৫০। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেন, আমাকে তো জানানো হয়েছে যে, তুমি খাদ্য বিক্রয় কর, তবে যাবত না তুমি (ক্রয়ের পর) কবযা করবে তুমি তা বিক্রয় কর না।*

ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, ..... আব্দুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মাদ ইবন ছায়ফী, হযরত হাকীম ইবন হিযাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তিনি يستوفي (পূর্ণ উসুল ও শুল করবে) এর স্থলে يقبضه (কবযা করবে) উল্লেখ করেছেন।**
5649 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عِصْمَةَ الْجُشَمِيِّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «أَلَمْ أُنَبَّأْ أَوْ أَلَمْ أُخْبِرْكَ أَنَّكَ تَبِيعُ الطَّعَامَ , فَلَا تَبِعْهُ حَتَّى تَسْتَوْفِيَهُ»

5650 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ صَفْوَانَ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ صَيْفِيٍّ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ «حَتَّى يَقْبِضَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫০
empty
৫৬৫০।
5650 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫১
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৫১। ইবন আবী দাউদ বলেন, ..... হিযাম ইবন হাকীম হযরত হাকীম ইবন হিযাম, (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি খাদ্য ক্রয় করে কবযা করার পূর্বেই তা বিক্রয় করে লাভ করতাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, তুমি তা বিক্রয় করনা যাবত না কবযা করবে।
আলোচনা
আবু জা'ফর (রাহঃ) বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম* এমত পোষণ করেন, যে ব্যক্তি খাদ্য ক্রয় করবে তার পক্ষে তা কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়িয নয়। অবশ্য যে ব্যক্তি খাদ্য ব্যতীত অন্য কোন বস্তু ক্রয় করবে তার পক্ষে তা কবযা না করেও বিক্রয় করা বৈধ। তাঁরা উল্লেখিত এসব রিওয়ায়াতকেই প্রমাণরূপে পেশ করেন । তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যখন তাঁর নিষেধাজ্ঞা দ্বারা খাদ্যকেই উদ্দেশ্য করেছেন, তখন এটা প্রমাণ করে যে, 'অ-খাদ্যের' হুকুম খাদ্যের হুকুমের বিপরীত। এ বিষয়ে উলামা-ই কিয়াসের অন্য একটি জামাত** এদের বিপরীত মত পোষণ করেন। তারা বলেন, উল্লেখিত হাদীসসমূহে যদিও রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞা খাদ্য সম্পর্কেই উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ নিষেধাজ্ঞা খাদ্য এবং 'অ-খাদ্য' সর্বত্র প্রযোজ্য । আর এ ব্যাপারে তারা নিম্নের এ হাদীসসমূহ দলীল হিসেবে পেশ করেনঃ
5651 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ: ثنا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ حِزَامِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ، قَالَ: كُنْتُ أَشْتَرِي طَعَامًا , فَأَرْبَحُ فِيهَا قَبْلَ أَنْ أَقْبِضَهُ فَسَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا تَبِعْهُ حَتَّى تَقْبِضَهُ» قَالَ: أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا مَا , لَمْ يَجُزْ لَهُ بَيْعُهُ حَتَّى يَقْبِضَهُ , وَمَنِ اشْتَرَى غَيْرَ الطَّعَامِ , حَلَّ لَهُ بَيْعُهُ وَإِنْ لَمْ يَقْبِضْهُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذِهِ الْآثَارِ. وَقَالُوا: لَمَّا قَصَدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّهْيِ إِلَى الطَّعَامِ , دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ حُكْمَ غَيْرِ الطَّعَامِ فِي ذَلِكَ , بِخِلَافِ حُكْمِ الطَّعَامِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا ذَلِكَ النَّهْيُ قَدْ وَقَعَ عَلَى الطَّعَامِ وَغَيْرِ الطَّعَامِ , وَإِنْ كَانَ الْمَذْكُورُ فِي الْآثَارِ الَّتِي ذُكِرَ ذَلِكَ النَّهْيُ فِيهَا هُوَ الطَّعَامُ
وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِمَا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫২
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৫২। ইবন আবী দাউদ বলেন, ....... উবাইদ ইবন হুনাইন হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার আমি বাজার হতে তেল ক্রয় করলাম, অতঃপর যখন আমি বুঝে নিলাম তখন এক জনের সাথে দেখা হলো এবং সে আমাকে ভাল লাভ দিতে চাইল, আমি সম্মত হয়ে তার সাথে হাত মিলাতে ইচ্ছা করলাম। ঠিক এমন সময় পেছন হতে এক ব্যক্তি আমার দু' হাত ধরলো, ফিরে দেখি, তিনি যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ)। তিনি বললেন, যে স্থান হতে ক্রয় করেছ, ঠিক সেই স্থানে বিক্রয় করনা, যাবত না নিজের ঘরে তা নিয়ে রাখ। (অর্থাৎ কবযা কর) কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদেরকে ঐ স্থানে জিনিস বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, যেখান হতে তা ক্রয় করা হয়, যাবত না ব্যবসায়ীরা তা নিজ নিজ বাসস্থানে নিয়ে রাখে।*
হযরত যয়িদ ইবন সাবিত (রাযিঃ) যখন এ সংবাদ দিলেন যে, তেল ঐ বস্তুরই অন্তর্ভুক্ত, যা কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়িয নয়, অথচ তেল এমন কোন খাদ্য নয়, যা ক্রয় করে কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা নিষিদ্ধ বলে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে পূর্বেই জানতেন। আর তেল খাদ্য নয় বলেই তিনি তা কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করার ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু তিনি হযরত যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) হতে নিষেধাজ্ঞা শুনবার পর তা তিনি গ্রহণ করেন এবং রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে যে হাদীস তিনি শুনেছেন (অর্থাৎ ক্রয় করা খাদ্য কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা জায়িয নয়।) তা 'অ-খাদ্যকে খাদ্যের হুকুমভুক্ত হতে বাধা দেয়নি। অতঃপর যায়দ ইবন সাবিত (রাযিঃ) তাঁর বক্তব্যকে আরো জোরদার করে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যেখান হতে মাল ক্রয় করা হয় সেখানেই তা বিক্রয় করতে আমাদেরকে নিষেধ করেছেন, যাবত না ব্যবসায়ীরা নিজ নিজ বাসস্থানে তা নিয়ে রাখে। এ হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সর্বপ্রকার মালকে একই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত করেছেন, যার মধ্যে 'অ-খাদ্য দ্রব্যও' রয়েছে। এটা একথাই প্রমাণ করে যে, খাদ্য, অ-খাদ্য কোন দ্রব্যই ক্রয় করার পর কবযা করার পূর্বে তা বিক্রি করা যাবে না। আর ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে জানা যায় যে, তিনি যে কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা হতে নিষেধ করেছেন, তা দ্বারা তার উদ্দেশ্য হলো খাদ্যদ্রব্য, যা নিম্নের হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ
5652 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْوَهْبِيُّ , قَالَ: ثنا ابْنُ إِسْحَاقَ , عَنْ أَبِي الزِّنَادِ , عَنْ عُبَيْدِ بْنِ حُنَيْنٍ , عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: ابْتَعْتُ زَيْتًا بِالسُّوقِ , فَلَمَّا اسْتَوْجَبْتُهُ , لَقِيَنِي رَجُلٌ فَأَعْطَانِي بِهِ [ص:39] رِبْحًا حَسَنًا , فَأَرَدْتُ أَنْ أَضْرِبَ عَلَى يَدِهِ فَأَخَذَ رَجُلٌ مِنْ خَلْفِي بِذِرَاعَيَّ , فَالْتَفَتُّ إِلَيْهِ , فَإِذَا هُوَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ فَقَالَ لَا تَبِعْهُ حَيْثُ ابْتَعْتَهُ حَتَّى تَحُوزَهُ إِلَى رَحْلِكَ , فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا أَنْ نَبِيعَ السِّلَعَ حَيْثُ تُبْتَاعُ , حَتَّى تَحُوزَهَا التُّجَّارُ إِلَى رِحَالِهِمْ فَلَمَّا أَخْبَرَ زَيْدٌ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّ الزَّيْتَ قَدْ دَخَلَ فِيمَا كَانَ نَهَى عَنْ بَيْعِهِ قَبْلَ قَبْضِهِ , وَهُوَ غَيْرُ الطَّعَامِ الَّذِي كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَلِمَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّهْيَ عَنْ بَيْعِهِ بَعْدَ ابْتِيَاعِهِ حَتَّى يُقْبَضَ , وَعَمِلَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَلَى ذَلِكَ , فَأَرَادَ بَيْعَ الزَّيْتِ قَبْلَ قَبْضِهِ , لِأَنَّهُ لَيْسَ مِنَ الطَّعَامِ , فَقَبِلَ ذَلِكَ مِنْهُ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , وَلَمْ يَكُنْ كَانَ مَا سَمِعَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّا قَدْ ذَكَرْنَاهُ عَنْهُ فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ , مِنْ قَصْدِهِ إِلَى الطَّعَامِ , بِمَانِعِ أَنْ يَكُونَ غَيْرُ الطَّعَامِ فِي ذَلِكَ بِخِلَافِ الطَّعَامِ , ثُمَّ أَكَّدَ زَيْدُ بْنُ ثَابِتٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ فِي ذَلِكَ فَقَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَانَا عَنِ ابْتِيَاعِ السِّلَعِ حَيْثُ تُبْتَاعُ , حَتَّى تَحُوزَهَا التُّجَّارُ إِلَى رِحَالِهِمْ» فَجَمَعَ فِي ذَلِكَ كُلَّ السِّلَعِ , وَفِيهَا غَيْرُ الطَّعَامِ , فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّهُ لَا يَجُوزُ بَيْعُ شَيْءٍ ابْتِيعَ إِلَّا بَعْدَ قَبْضِ مُبْتَاعِهِ إِيَّاهُ , طَعَامًا كَانَ أَوْ غَيْرَ الطَّعَامِ. وَقَدْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , وَقَدْ عَلِمَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصْدَهُ بِالنَّهْيِ عَنْ بَيْعِ مَا لَمْ يُقْبَضْ إِلَى الطَّعَامِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫৩
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৫৩। ইউনুস বলেন, ..... তাউস হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কবয়া করারপূর্বে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন, তা হলো খাদ্যদ্রব্য। হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) নিজস্ব মত হিসাবে বলেন, আমার ধারণা, অন্যসব বস্তুও অনুরূপ (কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা) নিষিদ্ধ।*
তো হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-এর মতে আলোচ্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য যে খাদ্যদ্রব্য, তা এমন বস্তুকে উক্ত নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হতে বাধার সৃষ্টি করে না, যা খাদ্য নয়। হযরত জাবির ইবন আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে অনুরূপ মত বর্ণিত আছে।
5653 - مَا حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ , عَنْ عَمْرٍو , عَنْ طَاوُسٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: أَمَّا الَّذِي نَهَى عَنْهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَيْعُ الطَّعَامِ قَبْلَ أَنْ يُسْتَوْفَى. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِرَأْيِهِ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَيْءٍ مِثْلَهُ فَهَذَا ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , لَمْ يَمْنَعْهُ قَصْدُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّهْيِ إِلَى الطَّعَامِ , أَنْ يُدْخِلَ فِي ذَلِكَ النَّهْيِ , غَيْرَ الطَّعَامِ. وَقَدْ رَوَى ابْنُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا , مِثْلَ ذَلِكَ أَيْضًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫৪
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৫৪। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, আবু যুবাইর হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার তিনি এমন এক ব্যক্তিকে বললেন, যে কোন বস্তু ক্রয় করে এবং তা কবযা করার পূর্বেই বিক্রয় করে, “আমি এরূপ ক্রয়-বিক্রয় পছন্দ করিনা।"
এই যে হযরত জাবির (রাযিঃ) তিনি সব বস্তুকেই এ ব্যাপারে (কবযা করার পূর্বে বিক্রয় নিষিদ্ধ হবার ব্যাপারে) সমান করে দেখিয়েছেন। খাদ্য ও অ-খাদ্য দ্রব্যের মাঝে কোন পার্থক্য করেন নি। অথচ তিনি জানতেন যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য শুধু খাদ্যদ্রব্য। এটা একথাই প্রমাণ করে যে, নিষেধাজ্ঞা দ্বারা উদ্দেশ্য তা-ই, যার বর্ণনা আমরা পূর্বে পেশ করেছি।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, হাদীসে উল্লেখিত নিষেধাজ্ঞা দ্বারা শুধু খাদ্যদ্রব্য উদ্দেশ্য করা হয়েছে অন্য সব বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত নয় তা কি করে বুঝা গেল? জবাবে তাকে বলা হবে, কুরআন মজীদে আমরা এর উদাহরণ পেয়েছি। আল্লাহ্ তা'আলা ইরশাদ করেন, لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا অর্থাৎ তোমরা ইহরামের অবস্থায় কোন শিকার হত্যা করনা, আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইচ্ছাপূর্বক হত্যা করবে। আল্লাহ্ তা'আলা শিকার হত্যাকারীর উপর جزاء ওয়াজিব করেছেন, যা তিনি আয়াতে উল্লেখ করেছেন । অথচ উলামা-ই কিরাম ইচ্ছাপূর্বক শিকার হত্যাকারী ও ভুল করে হত্যাকারীর মধ্যে কোন পার্থক্য করেন নি।
তারা উভয়ের উপর একই جزاء ওয়াজিব করেন। আর আয়াতে যে শুধু ইচ্ছা পূর্বক হত্যা করা এর উল্লেখ করা হয়েছে, তা উক্ত হুকুমে ভুল করে হত্যাকারীর অন্তর্ভুক্ত হবার জন্য বাধার সৃষ্টি করেনি। একইভাবে আলোচ্য হাদীসে কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা সম্পর্কে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাতে খাদ্যের কথা উল্লেখ করা, ‘অ-খাদ্যদ্রব্য'কে নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হতে বাধার সৃষ্টি করেনা ।

আমরা এ বিষয় প্রত্যক্ষ করেছি যে, طعام (খাদ্য দ্রব্য) এর মধ্যে بيع سلم জায়িয আছে,অথচ অন্যান্য মালে بيع سلم জায়িয নেই। বস্তুতঃ খাদ্যদ্রব্য এমন বস্তু, যার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় (بيوع) এর ব্যাপারে অধিকতর প্রশস্ততা রয়েছে, আর অন্যান্য বস্তুর তুলনায় ক্রয়-বিক্রয়ের বৈধতার পরিমাণও বেশী। অথচ এই খাদ্যদ্রব্যই কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং যে সব বস্তুর মধ্যে بيع سلم জায়িয নয়, তা কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা নিষিদ্ধ হওয়া অধিকতর সংগত। অতএব রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তার নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য এমন বস্তুকে করেছেন যে, তা নিষিদ্ধ হলে অন্য সব বস্তুও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসে যায়। অন্য সব বস্তুকে আর পৃথকভাবে নিষেধ করার প্রয়োজন হয় না। পক্ষান্তরে নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য যদি খাদ্যদ্রব্য ব্যতীত অন্য সব বস্তু হত, তবে শ্রোতার পক্ষে খাদ্যের হুকুম কি তা বুঝা জটিল হয়ে পড়ত। শ্রোতা বুঝতেই পারতনা যে, খাদ্য দ্রব্যের হুকুমও কি অন্য সব বস্তুর মতই হবে, না কি তার জন্য ভিন্ন হুকুম। (অর্থাৎ কবযা করার পূর্বে তা বিক্রয় করা বৈধ হবে) কারণ, খাদ্যদ্রব্যে, بيع سلم জায়িয আছে, অথচ তখন তা মাওজুদ থাকেনা। অথচ, অন্যান্য বস্তুর মধ্যে بيع سلم জায়িয নয়। অতএব এক্ষেত্রে শ্রোতা একথা বলতে পারে যে, بيع سلم জায়িয হবার ব্যাপারে যেমন طعام (খাদ্য দ্রব্য) عروض (মাল আসবাব) হতে ভিন্ন। অনুরূপভাবে এখানেও এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, কবযা করার পূর্বে আসবাবপত্র তো বিক্রয় করা জায়িয নয়, কিন্তু খাদ্যদ্রব্য কবযা করার পূর্বেও বিক্রয় করা জায়িয হবে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিশেষভাবে খাদ্য দ্রব্যের উল্লেখ করেছেন।
এর মধ্যে আরো একটি দলীল রয়েছে, আর তা হলো, যে কারণে কবযা করার পূর্বে ক্রেতার জন্য খাদ্য বিক্রয় করা হারাম, তা হলো, যে বস্তু ক্রেতার ; ضمان (দায়িত্ব) এ আসেনি, তার মুনাফা হালাল না হওয়া। কিন্তু ক্রেতা যখন উক্ত বস্তুর উপর (কবযা করার মাধ্যমে) দায়িত্ব গ্রহণ করল, তখন তার মুনাফা তার জন্য হালাল হয়ে গেল। অতএব যখনই সে ইচ্ছা করবে তখনই তা বিক্রয় করা তার জন্য বৈধ হবে। আর 'অ-খাদ্য দ্রব্যেও' তো এই একই কারণ বিদ্যমান। অর্থাৎ কবযা করার পূর্বে ক্রেতার পক্ষে তা বিক্রয় করে মুনাফা লাভ করা হালাল না হওয়া। কারণ নবী (ﷺ) যে বস্তু ক্রেতার ضمان (দায়িত্বে) এ আসেনি, তার মুনাফা গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন। অতএব যেমন ضمان (দায়িত্ব) ভুক্ত হবার পূর্বে মুনাফা গ্রহণ করা হালাল না হবার হুকুমে খাদ্য, এবং আসবাবপত্র সবই দাখিল, অর্থাৎ বিক্রয় করার পূর্বে তার ضمان এ না এলে তার মুনাফা তার জন্য হালাল নয়। অনুরূপভাবে বিক্রয় করা এমন যাবতীয় বস্তু যার মুনাফা বিক্রেতার জন্য হালাল তার জন্য তা বিক্রয় করাও হালাল। আর যে বস্তুর মুনাফা গ্রহণ করা বিক্রেতার উপর হারাম, তা বিক্রয় করাও তার উপর হারাম।
রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এমন হাদীসও বর্ণিত হয়েছে, যাতে খাদ্য অখাদ্য নির্বিশেষে কবযা করার পূর্বে বিক্রয় করা নিষিদ্ধ হবার কবযা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমনঃ
5654 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، فِي الرَّجُلِ يَبْتَاعُ الْمَبِيعَ , فَيَبِيعُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَهُ , قَالَ: أَكْرَهُهُ فَهَذَا جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ سَوَّى بَيْنَ الْأَشْيَاءِ الْمَبِيعَةِ فِي ذَلِكَ , وَقَدْ عَلِمَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَصْدَهُ بِالنَّهْيِ عَنِ الْبَيْعِ فِيهِ حَتَّى يُقْبَضَ إِلَى الطَّعَامِ بِعَيْنِهِ , فَدَلَّ ذَلِكَ النَّهْيُ , عَلَى مَا قَدْ تَقَدَّمَ وَصْفُنَا لَهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ , فَكَيْفَ قَصَدَ بِالنَّهْيِ فِي ذَلِكَ إِلَى الطَّعَامِ بِعَيْنِهِ , وَلَمْ يَعُمَّ الْأَشْيَاءَ؟ [ص:40] قِيلَ لَهُ: قَدْ وَجَدْنَا مِثْلَ هَذَا فِي الْقُرْآنِ , قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ {لَا تَقْتُلُوا الصَّيْدَ وَأَنْتُمْ حُرُمٌ وَمَنْ قَتَلَهُ مِنْكُمْ مُتَعَمِّدًا} [المائدة: 95] فَأَوْجَبَ عَلَيْهِ الْجَزَاءَ الْمَذْكُورَ فِي الْآيَةِ. وَلَمْ يَخْتَلِفْ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي قَاتِلِ الصَّيْدِ خَطَأً , أَنَّ عَلَيْهِ مِثْلَ ذَلِكَ , وَأَنَّ ذِكْرَهُ الْعَمْدَ , لَا يَنْفِي الْخَطَأَ. فَكَذَلِكَ ذِكْرُهُ الطَّعَامَ , فِي النَّهْيِ عَنْ بَيْعِهِ قَبْلَ الْقَبْضِ , لَا يَنْفِي غَيْرَ الطَّعَامِ. وَقَدْ رَأَيْنَا الطَّعَامَ يَجُوزُ السَّلَمُ فِيهِ , وَلَا يَجُوزُ السَّلَمُ فِي الْعُرُوضِ , وَكَانَ الطَّعَامُ أَوْسَعَ أَمْرًا فِي الْبُيُوعِ مِنْ غَيْرِ الطَّعَامِ ; لِأَنَّ الطَّعَامَ يَجُوزُ السَّلَمُ فِيهِ , وَإِنْ لَمْ يَكُنْ عِنْدَ الْمُسْلَمِ إِلَيْهِ , وَلَا يَكُونُ ذَلِكَ فِي غَيْرِهِ. فَلَمَّا كَانَ الطَّعَامُ أَوْسَعَ أَمْرًا فِي الْبُيُوعِ وَأَكْثَرَ جَوَازًا , وَرَأَيْنَاهُ قَدْ نَهَى عَنْ بَيْعِهِ حَتَّى يُقْبَضَ , كَانَ ذَلِكَ فِيمَا لَا يَجُوزُ السَّلَمُ فِيهِ أَحْرَى أَنْ لَا يَجُوزَ بَيْعُهُ حَتَّى يُقْبَضَ. فَقَصَدَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّهْيِ إِلَى الَّذِي إِذَا نَهَى عَنْهُ , دَلَّ نَهْيُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ عَلَى نَهْيِهِ عَنْ غَيْرِهِ , وَأَغْنَاهُ ذِكْرُهُ لَهُ عَنْ ذِكْرِهِ لِغَيْرِهِ , فَقَامَ ذَلِكَ مَقَامَ النَّهْيِ , لَوْ عَمَّ بِهِ الْأَشْيَاءَ كُلَّهَا. وَلَوْ قَصَدَ بِالنَّهْيِ إِلَى غَيْرِ الطَّعَامِ , أَشْكَلَ حُكْمُ الطَّعَامِ فِي ذَلِكَ عَلَى السَّامِعِ , فَلَمْ يَدْرِ , هَلْ هُوَ كَذَلِكَ أَمْ لَا؟ لِأَنَّهُ يَجِدُ الطَّعَامَ يَجُوزُ السَّلَمُ فِيهِ , وَلَيْسَ هُوَ بِقَائِمٍ حِينَئِذٍ , وَلَيْسَ يَجُوزُ ذَلِكَ فِي الْعُرُوضِ , فَيَقُولُ كَمَا خَالَفَ الطَّعَامُ الْعُرُوضَ فِي جَوَازِ السَّلَمِ فِيهِ , وَلَيْسَ عِنْدَ الْمُسْلَمِ إِلَيْهِ , وَلَيْسَ ذَلِكَ فِي الْعُرُوضِ , فَكَذَلِكَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ مُخَالِفًا لَهُ فِي جَوَازِ بَيْعِهِ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ , وَإِنْ كَانَ ذَلِكَ غَيْرَ جَائِزٍ فِي الْعُرُوضِ. فَهَذَا هُوَ الْمَعْنَى الَّذِي لَهُ قَصَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّهْيِ عَنْ بَيْعِ مَا لَمْ يُقْبَضْ , إِلَى الطَّعَامِ خَاصَّةً. وَفِي ذَلِكَ حُجَّةٌ أُخْرَى , وَذَلِكَ أَنَّ الْمَعْنَى الَّذِي حَرُمَ بِهِ عَلَى مُشْتَرِي الطَّعَامِ بَيْعُهُ قَبْلَ قَبْضِهِ , هُوَ أَنْ لَا يَطِيبَ لَهُ رِبْحُ مَا فِي ضَمَانِ غَيْرِهِ , فَإِذَا قَبَضَهُ , صَارَ فِي ضَمَانِهِ , فَطَابَ لَهُ رِبْحُهُ فَجَازَ أَنْ يَبِيعَهُ حَيْثُ أَحَبَّ. وَالْعُرُوضُ الْمَبِيعَةُ , هَذَا الْمَعْنَى بِعَيْنِهِ , مَوْجُودٌ فِيهَا , وَذَلِكَ أَنَّ الرِّبْحَ فِيهَا قَبْلَ قَبْضِهَا , غَيْرُ حَلَالٍ لِمُبْتَاعِهَا , لِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ رِبْحِ مَا لَمْ يُضْمَنْ. فَكَمَا كَانَ ذَلِكَ قَدْ دَخَلَ فِيهِ الطَّعَامُ وَغَيْرُ الطَّعَامِ , وَلَمْ يَكُنِ الرِّبْحُ يَطِيبُ لِأَحَدٍ إِلَّا بِتَقَدُّمِ ضَمَانِهِ , لِمَا كَانَ عَنْهُ وَذَلِكَ الرِّبْحُ. فَكَذَلِكَ الْأَشْيَاءُ الْمَبِيعَةُ كُلُّهَا , مَا كَانَ مِنْهَا يَطِيبُ الرِّبْحُ فِيهِ لِبَائِعِهِ , فَحَلَالٌ لَهُ بَيْعُهُ , وَمَا كَانَ مِنْهَا يَحْرُمُ الرِّبْحُ فِيهِ عَلَى بَائِعِهِ , فَحَرَامٌ عَلَيْهِ بَيْعُهُ. وَقَدْ جَاءَتْ أَيْضًا آثَارٌ أُخَرُ , عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّهْيِ عَنْ بَيْعِ مَا لَمْ يُقْبَضْ , لَمْ يَقْصِدْ فِيهَا إِلَى الطَّعَامِ وَلَا إِلَى غَيْرِهِ.
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫৫
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৫৫। আবু খাযিম আব্দুল হামীদ ইবন আব্দিল আযীয বলেন, ..... হাকীম ইবন হিযাম বলেন, একবার নবী (ﷺ) আমার হাত ধরে আমাকে বললেন, যখন কোন বস্তু তুমি ক্রয় করবে তা তুমি বিক্রয় করবেনা, যাবত না তা কবযা করবে।”*
5655 - حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ بُنْدَارٌ , قَالَ: ثنا حَبَّانُ بْنُ هِلَالٍ , عَنْ أَبَانَ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ يَعْلَى بْنَ حَكِيمٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ يُوسُفَ بْنَ مَاهَكَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عِصْمَةَ أَخْبَرَهُ , أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ أَخْبَرَهُ قَالَ: أَخَذَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِي فَقَالَ «إِذَا ابْتَعْتَ شَيْئًا , فَلَا تَبِعْهُ حَتَّى تَقْبِضَهُ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫৬৫৬
৯. যা বিক্রয় করা হতে নিষেধ করা হয়েছে যাবত না তা কবযা করা হবে
৫৬৫৬। মুহাম্মাদ ইবন আব্দিল্লাহ্ ইবন মায়মূন বলেন, …… ইয়া'লা ইবন হাকীম ইবন হিযাম বলেছেন, একবার তাঁর পিতা নবী (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি বিভিন্ন বস্তু ক্রয় করি, আমার জন্য তার কোনটি জায়িয? তিনি বললেন, যখন তুমি কোন বস্তু ক্রয় করবে, তা তুমি বিক্রয় করবেনা, যাবত না তা তুমি কবযা করবে।*
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীসকে আমরা দলীল হিসেবে গ্রহণ করি। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মত। তবে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেন, বাড়ি ও জমীন, ক্রেতা কবযা করার পূর্বেও বিক্রয় করতে পারবে। কারণ এসব বস্তু স্থানান্তরিত করা যায় না, সরানো যায়না। কিন্তু অন্য সব বস্তু এমন নয়, তা স্থানান্তর করা যায়, সরানোও যায়।
আর এ ব্যাপারে আমাদের মতে যুক্তি হলো, আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সব বস্তু এ ব্যাপারে সমান, যেমন আমরা طعام এর আলোচনায় উল্লেখ করেছি।
5656 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَيْمُونٍ قَالَ: ثنا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ , عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ قَالَ: حَدَّثَنِي يَعْلَى بْنُ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ أَنَّ أَبَاهُ سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنِّي أَشْتَرِي بُيُوعًا فَمَا يَحِلُّ لِي مِنْهَا؟ . قَالَ: «إِذَا اشْتَرَيْتَ بَيْعًا , فَلَا تَبِعْهُ حَتَّى تَقْبِضَهُ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَبِهَذَا نَأْخُذُ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ. غَيْرَ أَنَّ أَبَا حَنِيفَةَ قَالَ: لَا بَأْسَ بِبَيْعِ الدُّورِ وَالْأَرَضِينَ , قَبْلَ قَبْضِ مُشْتَرِيهَا إِيَّاهَا , لِأَنَّهَا لَا تُنْقَلُ وَلَا تُحَوَّلُ , وَسَائِرُ الْبَيْعَاتِ لَيْسَتْ كَذَلِكَ. وَالنَّظَرُ فِي هَذَا عِنْدَنَا أَنْ يَكُونَ الْعُرُوضَ وَسَائِرُ الْأَشْيَاءِ فِي ذَلِكَ سَوَاءً , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا فِي الطَّعَامِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান