শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৮ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৬৫৭
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৫৭। আলী ইবন শায়বা বলেন, ..... শা'বী হযরত জাবির ইবন আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, একবার তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সহিত একটা উটের ওপর আরোহন করে সফর করছিলেন, কিন্তু এক পর্যায়ে উট চলতে অক্ষম হয়ে পড়ল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) (পেছন হতে এসে) তাঁকে ধরে ফেললেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, জাবির! তোমার কি অবস্থায়? তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার উট চলতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে। তিনি তাঁকে একটা বাঁশ কিংবা একটা কাঠ দিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তা দিয়ে উটকে তাড়া করলেন, কিংবা আঘাত করলেন। ফলে উট এত দ্রুত চলতে লাগল, যেমন পূর্বে কখনো চলেনি। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাকে বললেন, উটটা আমার নিকট এক উকিয়ার (চল্লিশ দিরহাম) বিনিময়ে বিক্রয় কর। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এটা আপনারই উট (বিক্রয়ের প্রয়োজন নেই) অবশেষে এক উকিয়ার বিনিময়ে বিক্রয় করতেই হলো। কিন্তু তার উপর সোয়ার হয়ে আমার পরিবার পর্যন্ত পৌঁছবার শর্ত করলাম। আমি যখন মদীনায় আগমন করলাম, তখন উট নিয়ে তাঁর দরবারে উপস্থিত হলাম। তাঁকে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই আপনার উট। তখন তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তুমি ধারণা করেছ, আমি তোমার উট নিয়ে নিব। হে বিলাল! থলে হতে তাকে একটি উকিয়া প্রদান কর। আর হযরত জাবিরকে বললেন, তুমি তোমার উট নিয়ে যাও, উট ও উকিয়া দুটোই তোমার।
আলোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ উলামা-ই কিরামের একটি জামাত বলেন, যখন কেউ কারো কাছে নির্দিষ্ট মূল্যে কোন চতুষ্পদ প্রাণী এই শর্তে বিক্রয় করে যে, সে কোন নির্দিষ্ট স্থানে আরোহণ করে যাবে, তবে এ বিক্রয় জায়িয এবং তার শর্তও জায়িয। হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন।
উলামা-ই কিরাম অন্য একটি জামাত এর বিপরীত মত পোষণ করেন। এরপর তারা আবার দু দলে বিভক্ত হয়েছেন। একদল বলেন, এরূপ শর্ত করে বিক্রয় করলে বিক্রয় তো জায়িয, কিন্তু শর্ত বাতিল। অপর দলটি বলেন, বিক্রয়ই ফাসিদ। এ অনুচ্ছেদে আমরা দু'দলের মতামতেরই বিস্তারিত আলোচনা করব। ইনশাআল্লাহ্। প্রথম দলের বিপরীতে এ দুটি দল যে দলীল পেশ করেন, তা এই যে, হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত যে হাদীস আমরা উল্লেখ করেছি, তার দুটি অর্থ রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, প্রথম দলের পক্ষে তা কোনভাবেই দলীল হতে পারে না। একটি অর্থ হলো উল্লেখিত ঘটনায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর সহিত যখন ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করছিলেন, তখন হযরত জাবির (রাযিঃ) এর সোয়ার হতে যাবার কোন শর্ত ছিলনা। হযরত জাবির (রাযিঃ) বললেন, আমি বিক্রয় করলাম। এবং আমার পরিবার পর্যন্ত পৌঁছবার জন্য বাহন হিসেবে পেতে চাই।
এ হাদীসের ব্যাখ্যা হলো এই যে, উট বিক্রয় তো ঐ কথার ওপরই হয়েছে, যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ক্রয় বিক্রয়ের আলোচনার সময় করেছিলেন। এবং হযরত জাবির (রাযিঃ) মদীনায় তাঁর পরিবার পর্যন্ত সোয়ার হবার যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তা হয়েছিল বিক্রয়ের পরে। সওয়ার হবার বিষয়টি بيع (বিক্রয়) হতে পৃথক ভাবে আলোচনায় এসেছিল। সুতরাং এ ঘটনা একথা প্রমাণ করে না যে, ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তির মধ্যে যদি সওয়ার হবার শর্ত আরোপ করা হয়, তবে তখন তার হুকুম কি হবে? চুক্তি হতে পৃথক হয়ে শর্ত আরোপ করলে যে হুকুম হয় তা-ই হবে, না কি ভিন্ন কোন হুকুম হবে? দ্বিতীয় দলীল হলো, হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, যখন আমি মদীনায় আগমন করলাম, তখন আমি উটটা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই আপনার উট। তখন তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তুমি ধারণা করেছ, আমি তোমার উট নেয়ার জন্য তোমাকে আটকিয়ে রেখেছি। হে বিলাল। তুমি তাকে একটি উকিয়া প্রদান কর। [আর জাবির (রাযিঃ)-কে বললেন] তুমি তোমার উট নিয়ে যাও। উট ও উকিয়া দু'টিই তোমার।
এ বক্তব্য একথাই প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর প্রথম বক্তব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ছিল না। সুতরাং সওয়ার হওয়ার শর্ত মূল চুক্তিভুক্ত হলেও তা প্রমাণযোগ্য নয়। কারণ, যে চুক্তির মধ্যে এ শর্ত আরোপ করা হয়েছিল, বাস্তবে তা কোন ক্রয়-বিক্রয়ই ছিল না। আর যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উটের মালিক হননি, সুতরাং হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর পক্ষ হতে সওয়ার হবার শর্ত আরোপ করা এমন জিনিসের মধ্যেই আরোপ করা, যার মালিক তিনি নিজেই। সুতরাং যে ক্রয়-বিক্রয় ক্রেতার মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তার মধ্যে শর্ত আরোপ করা হলে যে কি হুকুম হবে, এ ঘটনায় তা প্রমাণ করার জন্য কোন দলীল নেই।
যারা 'শর্ত বাতিল, বিক্রয় বৈধ' বলেন, তারা হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেনঃ
আলোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ উলামা-ই কিরামের একটি জামাত বলেন, যখন কেউ কারো কাছে নির্দিষ্ট মূল্যে কোন চতুষ্পদ প্রাণী এই শর্তে বিক্রয় করে যে, সে কোন নির্দিষ্ট স্থানে আরোহণ করে যাবে, তবে এ বিক্রয় জায়িয এবং তার শর্তও জায়িয। হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত এ হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন।
উলামা-ই কিরাম অন্য একটি জামাত এর বিপরীত মত পোষণ করেন। এরপর তারা আবার দু দলে বিভক্ত হয়েছেন। একদল বলেন, এরূপ শর্ত করে বিক্রয় করলে বিক্রয় তো জায়িয, কিন্তু শর্ত বাতিল। অপর দলটি বলেন, বিক্রয়ই ফাসিদ। এ অনুচ্ছেদে আমরা দু'দলের মতামতেরই বিস্তারিত আলোচনা করব। ইনশাআল্লাহ্। প্রথম দলের বিপরীতে এ দুটি দল যে দলীল পেশ করেন, তা এই যে, হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত যে হাদীস আমরা উল্লেখ করেছি, তার দুটি অর্থ রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, প্রথম দলের পক্ষে তা কোনভাবেই দলীল হতে পারে না। একটি অর্থ হলো উল্লেখিত ঘটনায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর সহিত যখন ক্রয়-বিক্রয়ের আলোচনা করছিলেন, তখন হযরত জাবির (রাযিঃ) এর সোয়ার হতে যাবার কোন শর্ত ছিলনা। হযরত জাবির (রাযিঃ) বললেন, আমি বিক্রয় করলাম। এবং আমার পরিবার পর্যন্ত পৌঁছবার জন্য বাহন হিসেবে পেতে চাই।
এ হাদীসের ব্যাখ্যা হলো এই যে, উট বিক্রয় তো ঐ কথার ওপরই হয়েছে, যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ক্রয় বিক্রয়ের আলোচনার সময় করেছিলেন। এবং হযরত জাবির (রাযিঃ) মদীনায় তাঁর পরিবার পর্যন্ত সোয়ার হবার যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন তা হয়েছিল বিক্রয়ের পরে। সওয়ার হবার বিষয়টি بيع (বিক্রয়) হতে পৃথক ভাবে আলোচনায় এসেছিল। সুতরাং এ ঘটনা একথা প্রমাণ করে না যে, ক্রয়-বিক্রয়ের চুক্তির মধ্যে যদি সওয়ার হবার শর্ত আরোপ করা হয়, তবে তখন তার হুকুম কি হবে? চুক্তি হতে পৃথক হয়ে শর্ত আরোপ করলে যে হুকুম হয় তা-ই হবে, না কি ভিন্ন কোন হুকুম হবে? দ্বিতীয় দলীল হলো, হযরত জাবির (রাযিঃ) বলেন, যখন আমি মদীনায় আগমন করলাম, তখন আমি উটটা নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! এই আপনার উট। তখন তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তুমি ধারণা করেছ, আমি তোমার উট নেয়ার জন্য তোমাকে আটকিয়ে রেখেছি। হে বিলাল। তুমি তাকে একটি উকিয়া প্রদান কর। [আর জাবির (রাযিঃ)-কে বললেন] তুমি তোমার উট নিয়ে যাও। উট ও উকিয়া দু'টিই তোমার।
এ বক্তব্য একথাই প্রমাণ করে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর প্রথম বক্তব্য ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ছিল না। সুতরাং সওয়ার হওয়ার শর্ত মূল চুক্তিভুক্ত হলেও তা প্রমাণযোগ্য নয়। কারণ, যে চুক্তির মধ্যে এ শর্ত আরোপ করা হয়েছিল, বাস্তবে তা কোন ক্রয়-বিক্রয়ই ছিল না। আর যেহেতু রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) উটের মালিক হননি, সুতরাং হযরত জাবির (রাযিঃ)-এর পক্ষ হতে সওয়ার হবার শর্ত আরোপ করা এমন জিনিসের মধ্যেই আরোপ করা, যার মালিক তিনি নিজেই। সুতরাং যে ক্রয়-বিক্রয় ক্রেতার মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠা করে তার মধ্যে শর্ত আরোপ করা হলে যে কি হুকুম হবে, এ ঘটনায় তা প্রমাণ করার জন্য কোন দলীল নেই।
যারা 'শর্ত বাতিল, বিক্রয় বৈধ' বলেন, তারা হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেনঃ
بَابُ الْبَيْعِ يُشْتَرَطُ فِيهِ شَرْطٌ لَيْسَ مِنْهُ
5657 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ شَيْبَةَ قَالَ: ثنا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ , عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّهُ كَانَ يَسِيرُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَمَلٍ لَهُ فَأَعْيَاهُ , فَأَدْرَكَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «مَا شَأْنُكَ يَا جَابِرُ؟» فَقَالَ: أُعْيِيَ نَاضِحِي يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ: «أَمَعَكَ شَيْءٌ؟» فَأَعْطَاهُ قَضِيبًا أَوْ عُودًا , فَنَخَسَهُ بِهِ , أَوْ قَالَ ضَرَبَهُ , فَسَارَ سَيْرَةً لَمْ يَكُنْ يَسِيرُ مِثْلَهَا. فَقَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بِعْنِيهِ بِأُوقِيَّةٍ» قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , هُوَ نَاضِحُكَ. قَالَ: فَبِعْتُهُ بِأُوقِيَّةٍ , وَاسْتَثْنَيْتُ حُمْلَانَهُ , حَتَّى أُقْدِمَ عَلَى أَهْلِي , فَلَمَّا قَدِمْتُ أَتَيْتُهُ بِالْبَعِيرِ، فَقُلْتُ: هَذَا بَعِيرُكَ يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: «لَعَلَّكَ تَرَى أَنِّي إِنَّمَا حَبَسْتُكَ , لِأَذْهَبَ بِبَعِيرِكَ , يَا بِلَالُ , أَعْطِهِ مِنَ الْعَيْبَةِ أُوقِيَّةً وَقَالَ انْطَلِقْ بِبَعِيرِكَ , فَهُمَا لَكَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الرَّجُلَ إِذَا بَاعَ مِنْ رَجُلٍ دَابَّةً , بِثَمَنٍ مَعْلُومٍ , عَلَى أَنْ يَرْكَبَهَا الْبَائِعُ إِلَى مَوْضِعٍ مَعْلُومٍ , أَنَّ الْبَيْعَ جَائِزٌ , وَالشَّرْطَ جَائِزٌ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثِ جَابِرٍ هَذَا. [ص:42] وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , ثُمَّ افْتَرَقَ الْمُخَالِفُونَ لَهُمْ عَلَى فِرْقَتَيْنِ , فَقَالَتْ فِرْقَةٌ: الْبَيْعُ جَائِزٌ , وَالشَّرْطُ بَاطِلٌ. وَقَالَتْ فِرْقَةٌ: الْبَيْعُ فَاسِدٌ , وَسَنُبَيِّنُ مَا ذَهَبَتْ إِلَيْهِ الْفِرْقَتَانِ جَمِيعًا , فِي هَذَا الْبَابِ , إِنْ شَاءَ اللهُ تَعَالَى. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لِهَاتَيْنِ الْفِرْقَتَيْنِ جَمِيعًا , عَلَى الْفِرْقَةِ الْأُولَى فِي حَدِيثِ جَابِرٍ الَّذِي ذَكَرْنَا , أَنَّ فِيهِ مَعْنَيَيْنِ , يَدُلَّانِ أَنْ لَا حُجَّةَ لَهُمْ فِيهِ. فَأَمَّا أَحَدُ الْمَعْنَيَيْنِ , فَإِنَّ مُسَاوَمَةَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , إِنَّمَا كَانَتْ عَلَى الْبَعِيرِ , وَلَمْ يَشْتَرِطْ فِي ذَلِكَ لِجَابِرٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ رُكُوبًا , قَالَ جَابِرٌ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: فَبِعْتُهُ وَاسْتَثْنَيْتُ حُمْلَانَهُ إِلَى أَهْلِي. فَوَجْهُ هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ الْبَيْعَ إِنَّمَا كَانَ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ الْمُسَاوَمَةُ , مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ كَانَ الِاسْتِثْنَاءُ لِلرُّكُوبِ مِنْ بَعْدُ , فَكَانَ ذَلِكَ الِاسْتِثْنَاءُ مَفْصُولًا مِنَ الْبَيْعِ , لِأَنَّهُ إِنَّمَا كَانَ بَعْدَهُ , فَلَيْسَ فِي ذَلِكَ حُجَّةٌ تَدُلُّنَا كَيْفَ حُكْمُ الْبَيْعِ , لَوْ كَانَ ذَلِكَ الِاسْتِثْنَاءُ مَشْرُوطًا فِي عُقْدَتِهِ , هَلْ هُوَ كَذَلِكَ أَمْ لَا؟ وَأَمَّا الْحُجَّةُ الْأُخْرَى , فَإِنَّ جَابِرًا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: فَلَمَّا قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَعِيرِ , فَقُلْتُ: هَذَا بَعِيرُكَ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ لَعَلَّكَ تَرَى أَنِّي إِنَّمَا حَبَسْتُكَ لِأَذْهَبَ بِبَعِيرِكَ , يَا بِلَالُ أَعْطِهِ أُوقِيَّةً , وَخُذْ بَعِيرَكَ. فَهُمَا لَكَ، فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ ذَلِكَ الْقَوْلَ الْأَوَّلَ , لَمْ يَكُنْ عَلَى التَّبَايُعِ. فَلَوْ ثَبَتَ أَنَّ الِاشْتِرَاطَ لِلرُّكُوبِ , كَانَ فِي أَصْلِهِ بَعْدَ ثُبُوتِ هَذِهِ الْعِلَّةِ , لَمْ يَكُنْ فِي هَذَا الْحَدِيثِ حُجَّةٌ , لِأَنَّ الْمُشْتَرَطَ فِيهِ ذَلِكَ الشَّرْطُ , لَمْ يَكُنْ بَيْعًا. وَلِأَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ مَلَكَ الْبَعِيرَ عَلَى جَابِرٍ , فَكَانَ اشْتِرَاطُ جَابِرٍ لِلرُّكُوبِ , اشْتِرَاطًا فِيمَا هُوَ لَهُ مَالِكٌ. فَلَيْسَ فِي هَذَا دَلِيلٌ عَلَى حُكْمِ ذَلِكَ الشَّرْطِ , لَوْ وَقَعَ فِي بَيْعٍ يُوجِبُ الْمِلْكَ لِلْمُشْتَرِي كَيْفَ كَانَ حُكْمُهُ؟ وَذَهَبَ الَّذِينَ أَبْطَلُوا الشَّرْطَ فِي ذَلِكَ , وَجَوَّزُوا الْبَيْعَ إِلَى حَدِيثِ بَرِيرَةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৫৮
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৫৮। ইউনুস বলেন, ..... নাফে হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে ক্রয় করে আযাদ করার ইচ্ছা করলে হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীব তাঁকে বললো, আপনার নিকট আমরা তাকে এই শর্তে বিক্রয় করব যে, তার ولاء (তার মৃত্যুর পরে তার উত্তরাধিকার) আমাদের হবে। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি হযরত রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট উল্লেখ করলেন। তিনি তাঁকে বললেন, তাদের এ শর্ত যেন তোমাকে ক্রয় করা হতে বিরত না রাখে। বস্তুতঃ ولاء তারই, যে আযাদ করে।
5658 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ عَائِشَةَ، أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ فَتُعْتِقَهَا , فَقَالَ لَهَا أَهْلُهَا نَبِيعُكِهَا عَلَى أَنَّ وَلَاءَهَا لَنَا. فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا يَمْنَعُكَ ذَلِكَ , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৫৯
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৫৯। ইউনুস বলেন, ..... আমরাহ বিনত আব্দির রহমান বলেন, বারীরা (রাহঃ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট সাহায্যের জন্য আগমন করলেন। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, “তোমার মনীব যদি পছন্দ করে যে, আমি একবারই তোমার মূল্য তাদেরকে পরিশোধ করে তোমাকে আযাদ করব, তবে আমি তা-ই করব।” হযরত বারীরা (রাহঃ) তাঁর মনীবের নিকট গিয়ে বললে তারা বললো, আমরা এতে রাজী নই, তবে হ্যাঁ ولاء আমাদের হলে আমরা রাজী।
হাদীসের রাবী মালেক বলেন, তার শাইখ ইয়াহ্ইয়া বলেন, হযরত আমরা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট একথা উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও । বস্তুতঃ ولاء তো তারই হবে, যে তাকে আযাদ করেছে।
হাদীসের রাবী মালেক বলেন, তার শাইখ ইয়াহ্ইয়া বলেন, হযরত আমরা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট একথা উল্লেখ করলে তিনি বললেন, তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও । বস্তুতঃ ولاء তো তারই হবে, যে তাকে আযাদ করেছে।
5659 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ بِنْتِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ بَرِيرَةَ، جَاءَتْ تَسْتَعِينُ عَائِشَةَ , فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكَ أَنْ أَصُبَّ لَهُمْ ثَمَنَكَ صَبَّةً وَاحِدَةً وَأُعْتِقَكَ , فَعَلْتُ. فَذَكَرَتْ ذَلِكَ بَرِيرَةُ لِأَهْلِهَا , فَقَالُوا: لَا , إِلَّا أَنْ يَكُونَ وَلَاؤُكَ لَنَا ". قَالَ [ص:43] مَالِكٌ: قَالَ يَحْيَى: فَزَعَمَتْ عَمْرَةُ أَنَّ عَائِشَةَ ذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ «اشْتَرِيهَا , فَأَعْتِقِيهَا , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬০
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬০। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, .... আসওয়াদ হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, “একবার তিনি হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে ক্রয় করে আযাদ করার ইচ্ছা করলেন। তখন তার মনীবরা তার ولاء এর শর্ত করল। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আলোচনা করলে তিনি বললেন, তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও। ولاء তো তারই হবে, যে তাকে আযাদ করবে।
5660 - وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنِ الْحَكَمِ , عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَ بَرِيرَةَ فَتُعْتِقَهَا , فَاشْتَرَطَ مَوَالِيهَا وَلَاءَهَا. فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اشْتَرِيهَا فَأَعْتِقِيهَا , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬১
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬১। আবু বিশর আর রুকী, বলেন, …… আসওয়াদ হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, হযরত বারীবার মনীবরা তাকে বিক্রয় করার ইচ্ছা করল এবং তাঁর 'ওয়ালা'-এর শর্ত আরোপ করল। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আলোচনা করলে তিনি বললেন, তুমি তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দাও, 'ওয়ালা' তো তারই, যে তাকে আযাদ করবে।
5661 - وَحَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ , عَنِ الْأَعْمَشِ. عَنْ إِبْرَاهِيمَ , عَنِ الْأَسْوَدِ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أَهْلَ بَيْتِ بَرِيرَةَ أَرَادُوا أَنْ يَبِيعُوهَا وَيَشْتَرِطُوا الْوَلَاءَ. فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اشْتَرِيهَا فَأَعْتِقِيهَا , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬২
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬২। আলী ইবন আব্দির রহমান বলেন, ..... কাসেম ইবন মুহাম্মাদ হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বারীরা (রাযিঃ) তাঁর নিকট তাঁর ‘কিতাবাত চুক্তির অর্থ' আদায়ের ব্যাপারে সাহায্য প্রার্থনার জন্য আগমন করলেন। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, তোমার মনীবরা ইচ্ছা করলে আমি একবারই সব মূল্য পরিশোধ করে তোমাকে ক্রয় করব। হযরত বারীরা (রাযিঃ) তার মনীবদের নিকট গিয়ে তাদেরকে একথা বললে তাকে তারা বিক্রয় করতে অস্বীকার করল, তবে হ্যাঁ, তার 'ওয়ালা' তাদের হলে তারা রাজী। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) একথা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর নিকট আলোচনা করলেন। অতঃপর তিনি তাঁকে বললেন, তুমি তাকে ক্রয় কর, তারা যা বলেছে, তা তোমার কোন ক্ষতির কারণ নয়। 'ওয়ালা' তো তারই হবে, যে তাকে আযাদ করবে।
“শর্ত বাতিল” একথা যারা বলেন, তাদের বক্তব্য হলো, হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবরা যখন 'ওয়ালা'-এর শর্ত আরোপ করলো তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বললেন, “তাদের এ শর্ত তোমার কোন ক্ষতি করবেনা। কারণ 'ওয়ালা' তো পাবে সে-ই, যে তাকে আযাদ করবে।" এ হাদীস একথাই প্রমাণ করে যে, এ ধরনের অন্যায় যেসব শর্ত ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে করা হবে, তা সবই বাতিল হবে এবং ক্রয়-বিক্রয় সঠিক হবে।
যারা এমত পোষণ করেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীল এই যে, হাদীসগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, তা তো এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে আযাদ করার উদ্দেশ্যে ক্রয় করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর মনীবরা তাদের জন্য ‘ওয়ালা' না হলে বিক্রয় করতে অস্বীকার করে। অথচ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ এর বিপরীত বর্ণনা করেনঃ
“শর্ত বাতিল” একথা যারা বলেন, তাদের বক্তব্য হলো, হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবরা যখন 'ওয়ালা'-এর শর্ত আরোপ করলো তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বললেন, “তাদের এ শর্ত তোমার কোন ক্ষতি করবেনা। কারণ 'ওয়ালা' তো পাবে সে-ই, যে তাকে আযাদ করবে।" এ হাদীস একথাই প্রমাণ করে যে, এ ধরনের অন্যায় যেসব শর্ত ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে করা হবে, তা সবই বাতিল হবে এবং ক্রয়-বিক্রয় সঠিক হবে।
যারা এমত পোষণ করেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীল এই যে, হাদীসগুলি উল্লেখ করা হয়েছে, তা তো এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে আযাদ করার উদ্দেশ্যে ক্রয় করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তাঁর মনীবরা তাদের জন্য ‘ওয়ালা' না হলে বিক্রয় করতে অস্বীকার করে। অথচ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ এর বিপরীত বর্ণনা করেনঃ
5662 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ: ثنا الْقَعْنَبِيُّ، قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ بَرِيرَةَ، جَاءَتْ تَسْتَعِينُهَا فِي كِتَابَتِهَا فَقَالَتْ عَائِشَةُ: إِنْ شَاءَ أَهْلُكِ اشْتَرَيْتُكِ , وَنَقَدْتُهُمْ ثَمَنَكِ صَبَّةً وَاحِدَةً. فَذَهَبَتْ إِلَى أَهْلِهَا , فَقَالَتْ لَهُمْ ذَلِكَ , فَأَبَوْا إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ. فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «اشْتَرِيهَا , وَلَا يَضُرُّكِ مَا قَالُوا , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» قَالُوا: فَلَمَّا كَانَ أَهْلُ بَرِيرَةَ أَرَادُوا بَيْعَهَا عَلَى أَنْ تُعْتَقَ , وَيَكُونَ وَلَاؤُهَا لَهُمْ , فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا: «لَا يَضُرُّكِ ذَلِكَ , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» دَلَّ ذَلِكَ أَنَّ هَكَذَا الشُّرُوطُ كُلُّهَا , الَّتِي تُشْتَرَطُ فِي الْبُيُوعِ , وَأَنَّهَا تَبْطُلُ , وَتَثْبُتُ الْبُيُوعُ. فَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ عَلَيْهِمْ أَنَّ هَذِهِ الْآثَارَ هَكَذَا رُوِيَتْ أَنَّهَا أَرَادَتْ أَنْ تَشْتَرِيَهَا فَتُعْتِقَهَا , فَأَبَى أَهْلُهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ وَلَاؤُهَا لَهُمْ. وَقَدْ رَوَاهَا آخَرُونَ عَلَى خِلَافِ ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৩
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬৩। ইউনুস বলেন, …… উরওয়া ইবন যুবাইর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর স্ত্রী হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার হযরত বারীরা (রাহঃ) তাঁর নিকট এসে বললো, আমি আমার মনীবদের সহিত প্রতি বছর এক উকিয়া পরিশোধ করার শর্তে (এভাবে নয় বছরে) নয় উকিয়ার বিনিময়ে আযাদ হবার চুক্তি করেছি। অতএব আপনি আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করুন। আর তখন তিনি (বারীরা রা) চুক্তির কিছুই পরিশোধ করেননি। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, তুমি তোমার মনীবদের কাছে যাও। তারা যদি পছন্দ করে যে, আমি সবটাই পরিশোধ করে দেই এবং তোমার 'ওয়ালা' হবে আমার, তবে আমি তোমার কিতাবাত চুক্তির অর্থ আদায় করব। হযরত বারীরা (রাযিঃ) তাঁর মনীবদের নিকট গমন করেন এবং তাদের নিকট এ প্রস্তাব পেশ করেন। কিন্তু তারা এ প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করে বললো, তিনি যদি তোমার প্রতি অনুগ্রহ করে ছাওয়াবের আশায় তোমার 'বাদালে কিতাবাত’ আদায় করেন, তবে তা করতে পারেন। ওয়ালা হবে আমাদের। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) এ কথা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট আলোচনা করলে তিনি বললেন,, “তাদের এই শর্ত যেন তোমাকে এ কাজ হতে বিরত না রাখে। তুমি তাকে ক্রয় কর এবং আযাদ করে দাও। ওয়ালা তারই হবে, যে আযাদ করবে।” তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোক সমাবেশে দাঁড়িয়ে আল্লাহ্ পাকের হামদ ও ছানার পর বললেন, “ঐ সমস্ত লোকের কি হলো যে, তারা এমন সব শর্ত আরোপ করে যা কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই। যে শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই তা বাতিল। একশবার শর্ত করলেও তা বাতিল। আল্লাহর ফায়সালা অধিকতর গ্রহণযোগ্য এবং আল্লাহর শর্তই অধিকতর মযবুত ও শক্তিশালী। ওয়ালা তারই, যে আযাদ করবে।"
এ হাদীসের মধ্যে ক্রেতার আযাদ করা ও আযাদকৃত (গোলাম বাঁদী) এর ওয়ালা বিক্রেতার হবে, এ শর্তে বিক্রয় করা যে মুবাহ, তার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু যখন এরূপ ঘটনা সংঘটিত হবে, তখন বিক্রয় তো হয়ে যাবে, কিন্তু শর্ত বাতিল হবে এবং ওয়ালা হবে তারই যে আযাদ করবে। হযরত উরওয়া (রাহঃ) কর্তৃক হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, আমি তোমার 'বাদালে কিতাবাত' একবারই আদায় করে দেই, তোমার মনীবরা এটা পছন্দ করলে আমি তা-ই করব এবং সে ক্ষেত্রে ওয়ালা হবে আমার। কিন্তু হযরত বারীরা (রাযিঃ) যখন তাদের নিকট এ প্রস্তাব পেশ করলেন, তখন তারা বললো, তিনি যদি সাওয়াবের উদ্দেশ্যে এ কাজ করতে চান, করতে পারেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বললেন, তাদের একথা যেন তোমাকে একাজ করতে বিরত না রাখে। তুমি তাকে ক্রয় কর, এবং আযাদ করে দাও, ওয়ালা হবে তার-ই যে আযাদ করবে।
এ হাদীসে হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবদের পক্ষ হতে ওয়ালা-এর যে শর্ত করা হয়েছে, তা তাদের বিক্রয়ের ব্যাপারে নয়, বরং হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর পক্ষ হতে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) যে 'বাদালে কিতাব' আদায় করবেন, তারা সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য ওয়ালা-এর শর্ত আরোপ করেছে, তাদের জন্য ওয়ালা-এর শর্ত মেনে নেয়া না হলে তারা কিতাবাত চুক্তি হতে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে। অতঃপর হযরত আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এ বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি তাঁকে বললেন, তাদের এরূপ শর্ত আরোপ করা যেন তোমাকে তোমার একাজ হতে বিরত না রাখে। অর্থাৎ বারীরা (রাযিঃ)-কে আযাদ করে সাওয়াব হাসিল করার যে নিয়ত তুমি করেছ তা হতে তুমি এ কারণে বিরত থেকনা। বরং তুমি তাকে ক্রয় কর এবং আযাদ করে দাও। বস্তুতঃ ওয়ালা তারই হবে, যে আযাদ করবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে ক্রয়ের কথা প্রথম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-ই বলেছেন, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) ও বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবদের মধ্যে পূর্বে এ ব্যাপারে কোন আলোচনাই হয়নি। আর এর পরেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা প্রদান করলেন, তিনি বললেন, সে সব লোকদের কি হলো, যারা এমন সব শর্ত আরোপ করে, যা কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই। যে সব শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই তা বাতিল, যদিও তা একশ বারই করা হোক না কেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) যে (হযরত বারীরা রা এর) ওয়ালা দাবী করেছিলেন, অথচ মালিক হিসাবে তার সাথে কিতাবাত চুক্তি করেছে অন্য লোক। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কারণেই হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওয়ালা-এর দাবী অপসন্দ করে একথা বলেছেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে সতর্ক করে শিক্ষা দিয়েছেন যে, 'ওয়ালা'-এর মালিক হবে সে-ই ব্যক্তি, যে তাকে আযাদ করেছে। অর্থাৎ মুকাতাব যখন বাদালে কিতাবাত আদায়ের পর আযাদ হবে তখন তার মনীব যে তাকে 'বাদালে কিতাবও গ্রহণ করে আযাদ করেছে, সে-ই তার ওয়ালা-এর মালিক হবে।
এ হাদীসে পূর্ববর্তী হাদীসসমূহের বিপরীত কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ হাদীসে বিক্রয়ের সময় ولاء এর শর্ত আরোপ করা হলে তার হুকুম কি হবে, বিক্রয় ফাসিদ হবে, না কি ফাসিদ হবে না, এ বিষয়ের কোন দলীল নেই।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে, হিশাম ইবন উরওয়া তার পিতা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তার মধ্যে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
আমরা তাকে বলব, আপনি সত্যই বলেছেন।
এ হাদীসের মধ্যে ক্রেতার আযাদ করা ও আযাদকৃত (গোলাম বাঁদী) এর ওয়ালা বিক্রেতার হবে, এ শর্তে বিক্রয় করা যে মুবাহ, তার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু যখন এরূপ ঘটনা সংঘটিত হবে, তখন বিক্রয় তো হয়ে যাবে, কিন্তু শর্ত বাতিল হবে এবং ওয়ালা হবে তারই যে আযাদ করবে। হযরত উরওয়া (রাহঃ) কর্তৃক হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত অন্য এক হাদীসে উল্লেখ আছে, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, আমি তোমার 'বাদালে কিতাবাত' একবারই আদায় করে দেই, তোমার মনীবরা এটা পছন্দ করলে আমি তা-ই করব এবং সে ক্ষেত্রে ওয়ালা হবে আমার। কিন্তু হযরত বারীরা (রাযিঃ) যখন তাদের নিকট এ প্রস্তাব পেশ করলেন, তখন তারা বললো, তিনি যদি সাওয়াবের উদ্দেশ্যে এ কাজ করতে চান, করতে পারেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বললেন, তাদের একথা যেন তোমাকে একাজ করতে বিরত না রাখে। তুমি তাকে ক্রয় কর, এবং আযাদ করে দাও, ওয়ালা হবে তার-ই যে আযাদ করবে।
এ হাদীসে হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবদের পক্ষ হতে ওয়ালা-এর যে শর্ত করা হয়েছে, তা তাদের বিক্রয়ের ব্যাপারে নয়, বরং হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর পক্ষ হতে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) যে 'বাদালে কিতাব' আদায় করবেন, তারা সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য ওয়ালা-এর শর্ত আরোপ করেছে, তাদের জন্য ওয়ালা-এর শর্ত মেনে নেয়া না হলে তারা কিতাবাত চুক্তি হতে বিরত থাকার কথা জানিয়েছে। অতঃপর হযরত আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট এ বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি তাঁকে বললেন, তাদের এরূপ শর্ত আরোপ করা যেন তোমাকে তোমার একাজ হতে বিরত না রাখে। অর্থাৎ বারীরা (রাযিঃ)-কে আযাদ করে সাওয়াব হাসিল করার যে নিয়ত তুমি করেছ তা হতে তুমি এ কারণে বিরত থেকনা। বরং তুমি তাকে ক্রয় কর এবং আযাদ করে দাও। বস্তুতঃ ওয়ালা তারই হবে, যে আযাদ করবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, হযরত বারীরা (রাযিঃ)-কে ক্রয়ের কথা প্রথম রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-ই বলেছেন, হযরত আয়েশা (রাযিঃ) ও বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবদের মধ্যে পূর্বে এ ব্যাপারে কোন আলোচনাই হয়নি। আর এর পরেই রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দাঁড়িয়ে খুতবা প্রদান করলেন, তিনি বললেন, সে সব লোকদের কি হলো, যারা এমন সব শর্ত আরোপ করে, যা কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই। যে সব শর্ত কিতাবুল্লাহর মধ্যে নেই তা বাতিল, যদিও তা একশ বারই করা হোক না কেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) যে (হযরত বারীরা রা এর) ওয়ালা দাবী করেছিলেন, অথচ মালিক হিসাবে তার সাথে কিতাবাত চুক্তি করেছে অন্য লোক। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এ কারণেই হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর ওয়ালা-এর দাবী অপসন্দ করে একথা বলেছেন এবং পরবর্তীতে তাঁকে সতর্ক করে শিক্ষা দিয়েছেন যে, 'ওয়ালা'-এর মালিক হবে সে-ই ব্যক্তি, যে তাকে আযাদ করেছে। অর্থাৎ মুকাতাব যখন বাদালে কিতাবাত আদায়ের পর আযাদ হবে তখন তার মনীব যে তাকে 'বাদালে কিতাবও গ্রহণ করে আযাদ করেছে, সে-ই তার ওয়ালা-এর মালিক হবে।
এ হাদীসে পূর্ববর্তী হাদীসসমূহের বিপরীত কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ হাদীসে বিক্রয়ের সময় ولاء এর শর্ত আরোপ করা হলে তার হুকুম কি হবে, বিক্রয় ফাসিদ হবে, না কি ফাসিদ হবে না, এ বিষয়ের কোন দলীল নেই।
যদি কেউ এ প্রশ্ন করে, হিশাম ইবন উরওয়া তার পিতা হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং তার মধ্যে কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন।
আমরা তাকে বলব, আপনি সত্যই বলেছেন।
5663 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي رِجَالٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ , مِنْهُمْ يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ , وَاللَّيْثُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَهُمْ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ: جَاءَتْ بَرِيرَةُ إِلَيَّ , فَقَالَتْ: يَا عَائِشَةُ , إِنِّي قَدْ كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ , فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ , فَأَعِينِينِي , وَلَمْ تَكُنْ قَضَتْ مِنْ كِتَابَتِهَا شَيْئًا. فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: ارْجِعِي إِلَى أَهْلِكَ , فَإِنْ أَحَبُّوا أَنْ أُعْطِيَهُمْ ذَلِكَ جَمِيعًا , وَيَكُونَ وَلَاؤُكَ لِي فَعَلْتُ. فَذَهَبَتْ إِلَى أَهْلِهَا , فَعَرَضَتْ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ , فَأَبَوْا وَقَالُوا: إِنْ شَاءَتْ أَنْ تَحْتَسِبَ عَلَيْكَ فَلْتَفْعَلْ , وَيَكُونَ وَلَاؤُكَ لَنَا. فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَا يَمْنَعُكَ ذَلِكَ مِنْهَا ابْتَاعِي وَأَعْتِقِي , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . [ص:44] وَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ , فَحَمِدَ اللهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «أَمَّا بَعْدُ , فَمَا بَالُ نَاسٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ كُلُّ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللهِ , فَهُوَ بَاطِلٌ , وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ , قَضَاءُ اللهِ أَحَقُّ , وَشَرْطُ اللهِ أَوْثَقُ , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ غَيْرُ مَا فِي الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , وَذَلِكَ أَنَّ فِي الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , أَنَّ أَهْلَ بَرِيرَةَ , أَرَادُوا أَنْ يَبِيعُوهَا عَلَى أَنْ تُعْتِقَهَا عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا , وَيَكُونَ وَلَاؤُهَا لَهُمْ , فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا يَمْنَعُكَ ذَلِكَ , اشْتَرِيهَا فَأَعْتِقِيهَا , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . فَكَانَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِبَاحَةُ الْبَيْعِ , عَلَى أَنْ يُعْتِقَ الْمُشْتَرِي , وَعَلَى أَنْ يَكُونَ وَلَاءُ الْمُعْتَقِ لِلْبَائِعِ , فَإِذَا وَقَعَ ذَلِكَ , ثَبَتَ الْبَيْعُ , وَبَطَلَ الشَّرْطُ , وَكَانَ الْوَلَاءُ لِلْمُعْتِقِ. وَفِي حَدِيثِ عُرْوَةَ , عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تعالى عَنْهَا , أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا قَالَتْ لَهَا: إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكَ أَنْ أُعْطِيَهُمْ ذَلِكَ تُرِيدُ الْكِتَابَةَ صَبَّةً وَاحِدَةً فَعَلْتُ , وَيَكُونَ وَلَاؤُكَ لِي. فَلَمَّا عَرَضَتْ عَلَيْهِمْ بَرِيرَةُ ذَلِكَ قَالُوا: إِنْ شَاءَتْ أَنْ تَحْتَسِبَ عَلَيْكَ فَلْتَفْعَلْ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا لَا يَمْنَعُكَ ذَلِكَ مِنْهَا , اشْتَرِيهَا فَأَعْتِقِيهَا , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ. فَكَانَ الَّذِي فِي هَذَا الْحَدِيثِ , مِمَّا كَانَ مِنْ أَهْلِ بَرِيرَةَ , مِنِ اشْتِرَاطِ الْوَلَاءِ , لَيْسَ فِي بَيْعٍ , وَلَكِنْ فِي أَدَاءِ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا إِلَيْهِمِ الْكِتَابَةَ عَنْ بَرِيرَةَ , وَهُمْ تَوَلَّوْا عَقْدَ تِلْكَ الْكِتَابَةِ , وَلَمْ يَكُنْ تَقَدَّمَ ذَلِكَ الْأَدَاءُ مِنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , مِلْكٌ [ص:45] فَذَكَرَتْ ذَلِكَ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ «لَا يَمْنَعُكِ ذَلِكَ مِنْهَا» أَيْ: لَا تَرْجِعِينَ لِهَذَا الْمَعْنَى , عَمَّا كُنْتِ نَوَيْتِ فِي عَتَاقِهَا مِنَ الثَّوَابِ «اشْتَرِيهَا فَأَعْتِقِيهَا فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . فَكَانَ ذِكْرُ ذَلِكَ الشِّرَاءِ هَاهُنَا ابْتِدَاءً , مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ مِمَّا كَانَ قَبْلَ ذَلِكَ , بَيْنَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , وَبَيْنَ أَهْلِ بَرِيرَةَ , فِي شَيْءٍ. ثُمَّ كَانَ «قَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَطَبَ فَقَالَ مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَشْتَرِطُونَ شُرُوطًا لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ كُلُّ شَرْطٍ لَيْسَ فِي كِتَابِ اللهِ , فَهُوَ بَاطِلٌ , وَإِنْ كَانَ مِائَةَ شَرْطٍ» إِنْكَارًا مِنْهُ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , فِي طَلَبِهَا وَلَاءَ مَنْ تَوَلَّى غَيْرُهَا كِتَابَتَهَا بِحَقِّ مِلْكِهِ عَلَيْهَا ثُمَّ نَبَّهَهَا وَعَلَّمَهَا بِقَوْلِهِ «فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» أَيْ أَنَّ الْمُكَاتَبَ إِذَا أُعْتِقَ بِأَدَاءِ الْكِتَابَةِ , فَمُكَاتِبُهُ هُوَ الَّذِي أَعْتَقَهُ , فَوَلَاؤُهُ لَهُ. فَهَذَا حَدِيثٌ فِيهِ , ضِدُّ مَا فِي غَيْرِهِ مِنَ الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , وَلَيْسَ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى اشْتِرَاطِ الْوَلَاءِ فِي الْبَيْعِ كَيْفَ حُكْمُهُ؟ هَلْ يَجِبُ بِهِ فَسَادُ الْبَيْعِ أَمْ لَا؟ فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّ هِشَامَ بْنَ عُرْوَةَ , قَدْ رَوَاهُ عَنْ أَبِيهِ , فَزَادَ فِيهِ شَيْئًا. قُلْنَا لَهُ: صَدَقْتَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৬৫
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬৪-৬৫। ইসমাঈল ইবন ইয়াহ্ইয়া বলেন, হিশাম ইবন উরওয়া (রাহঃ) তার পিতা হতে, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, একবার বারীরা (রাযিঃ) আমার নিকট এসে বললো, আমি আমার মনীবদের সহিত নয় উকিয়ার উপর প্রতি বছরে এক উকিয়ার শর্তে কিতাবাত চুক্তি করেছি, সুতরাং আপনি এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করুন। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, তোমার মনীবরা যদি পছন্দ করে, আমি একবারই তাদেরকে সব উকিয়া প্রদান করব এবং তোমার ولاء আমার হবে, তবে আমি তা-ই করব। অতঃপর হযরত বারীরা (রাযিঃ) তাঁর মনীবদের নিকট গমন করে তাদেরকে একথা বললে তারা তা অস্বীকার করে । তিনি তার মনীবীদের নিকট হতে পুনরায় হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট প্রত্যাবর্তন করেন। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সেখানে বসা ছিলেন।
হযরত বারীরা এসে বললেন, আমি তাদের নিকট প্রস্তাব পেশ করেছিলাম, কিন্তু তারা ব্যতীত এ প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করেছে। তার এ বক্তব্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শ্রবণ করে বিষয়টি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাঁকে বিস্তারিত জানালেন। তখন তিনি বললেন, তুমি তাকে গ্রহণ কর এবং তাদের শর্ত মেনে নাও। বস্তুতঃ ولاء তারই হবে, যে তাকে আযাদ করবে। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তেমনই করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোক সমাবেশে বললেন, অতঃপর যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করেন।
ইউনুস বলেন, ...... মালেক বলেন, অতঃপর তিনি স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
এ হাদীসে তা-ই বর্ণিত হয়েছে, যা যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ উভয় হাদীসেই রয়েছে যে, ولاء -এর শর্ত পেশ করেছিল হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবরা এবং হযরত আয়েশা (রাযিঃ) ولاء ব্যতীত হযরত বারারী (রাহঃ) এর بدل كتابت আদায় করতে অস্বীকার করেছেন। ইমাম যুহরী ও হিশাম উভয়ই এ বিষয়ে অভিন্ন রিওয়ায়াত করেন। এবং প্রথমে বর্ণিত হাদীসসমূহের রাবীদের থেকে ভিন্ন রিওয়ায়াত করেছেন। তবে হিশাম, ইমাম যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের উপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ বক্তব্য خذيها واشترطي (তুমি তাকে গ্রহণ কর এবং তাদের শর্ত মেনে নাও)। বস্তুত, ولاء তো তারই হবে যে তাঁকে আযাদ করবে। অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। হিশাম (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছে। অথচ ইমাম যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এখানে ابتاعي وأعتقي (তুমি তাকে ক্রয় কর এবং আযাদ করে দাও)। বস্তুতঃ ولاء তো তারই হবে, যে তাকে আযাদ করবে, বর্ণিত হয়েছে। এই স্থানে হিশাম ও ইমাম যুহরী ভিন্ন রিওয়ায়াত করেছেন। (এ দুজনের রিওয়ায়াতের মধ্য হতে কার রিওয়াত গ্রহণযোগ্য হবে।) এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠী যদি ضبط ও حفظ (হাদীস সংরক্ষণের যোগ্যতা) হয়, তবে যিনি এর যোগ্যতর ব্যক্তি, তাঁর বর্ণিত রিওয়ায়াতই গ্রহণ করা এবং অন্যদের রিওয়ায়াত পরিত্যাগ করা হবে। এ বিবেচনায় এখানে ইমাম যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসই গ্রহণযোগ্য। কারণ তিনি হিশাম অপেক্ষা অধিকতর ضبط ও حفظ অধিকারী। আর যদি تاويل ও ব্যাখ্যা নিরিখে বিবেচনা করা হয় তবে হিশাম (রাহঃ) কর্তৃক হাদীসে خذيها যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কখনও এর অর্থ ابتاعيا (তুমি তাকে ক্রয় কর) ও হতে পারে। যেমন এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করল بكم آخذ هذا العبد যার অর্থ হয় بكم أبتاع هذا العبد (এ গোলামটি কতমূল্যে সে ক্রয় করেছে?) তদ্রূপ কেউ কাউকে বললো خذ هذا العبد بألف درهم এর অর্থ হয় এ গোলামটি তুমি এক দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় কর। (অর্থাৎ الاخذ শব্দটি কোন কোন সময় ক্রয়-বিক্রয়ের অর্থে ব্যবহৃত হয়) خذيها বলার পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) اشترطي (তুমি শর্ত কর) বললেন। অথচ তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে একথা বলেননি যে, তিনি কি শর্ত করবেন। অতএব এখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেছেন, বিশুদ্ধ ক্রয়-বিক্রয়ে যে সব শর্ত আরোপ করা হয়, তুমি সেই সব শর্ত আরোপ কর। অতএব হযরত হিশাম কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের যখন এরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে, এবং তার অর্থ স্পষ্ট হবে, তখন আর তা হযরত যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিরোধী হবেনা। তবে এ হাদীসে একথার কোন উল্লেখ নেই যে, যখন ক্রয়-বিক্রয়ে এ ধরনের শর্ত আরোপ করা হবে, তখন ক্রয়-বিক্রয়ের হুকুম কি হবে? ফাসিদ হবে, না কি জায়িয হবে?
যে সমস্ত উলামা-ই কিরাম শর্ত আরোপের কারণে ক্রয়-বিক্রয়কে ফাসিদ বলেন, তারা দলীল হিসেবে এসব হাদীস বর্ণনা করেনঃ
হযরত বারীরা এসে বললেন, আমি তাদের নিকট প্রস্তাব পেশ করেছিলাম, কিন্তু তারা ব্যতীত এ প্রস্তাব মানতে অস্বীকার করেছে। তার এ বক্তব্য রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) শ্রবণ করে বিষয়টি সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাঁকে বিস্তারিত জানালেন। তখন তিনি বললেন, তুমি তাকে গ্রহণ কর এবং তাদের শর্ত মেনে নাও। বস্তুতঃ ولاء তারই হবে, যে তাকে আযাদ করবে। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তেমনই করলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) লোক সমাবেশে বললেন, অতঃপর যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস বর্ণনা করেন।
ইউনুস বলেন, ...... মালেক বলেন, অতঃপর তিনি স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
এ হাদীসে তা-ই বর্ণিত হয়েছে, যা যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ উভয় হাদীসেই রয়েছে যে, ولاء -এর শর্ত পেশ করেছিল হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর মনীবরা এবং হযরত আয়েশা (রাযিঃ) ولاء ব্যতীত হযরত বারারী (রাহঃ) এর بدل كتابت আদায় করতে অস্বীকার করেছেন। ইমাম যুহরী ও হিশাম উভয়ই এ বিষয়ে অভিন্ন রিওয়ায়াত করেন। এবং প্রথমে বর্ণিত হাদীসসমূহের রাবীদের থেকে ভিন্ন রিওয়ায়াত করেছেন। তবে হিশাম, ইমাম যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের উপর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর এ বক্তব্য خذيها واشترطي (তুমি তাকে গ্রহণ কর এবং তাদের শর্ত মেনে নাও)। বস্তুত, ولاء তো তারই হবে যে তাঁকে আযাদ করবে। অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন। হিশাম (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এরূপ বর্ণিত হয়েছে। অথচ ইমাম যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এখানে ابتاعي وأعتقي (তুমি তাকে ক্রয় কর এবং আযাদ করে দাও)। বস্তুতঃ ولاء তো তারই হবে, যে তাকে আযাদ করবে, বর্ণিত হয়েছে। এই স্থানে হিশাম ও ইমাম যুহরী ভিন্ন রিওয়ায়াত করেছেন। (এ দুজনের রিওয়ায়াতের মধ্য হতে কার রিওয়াত গ্রহণযোগ্য হবে।) এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠী যদি ضبط ও حفظ (হাদীস সংরক্ষণের যোগ্যতা) হয়, তবে যিনি এর যোগ্যতর ব্যক্তি, তাঁর বর্ণিত রিওয়ায়াতই গ্রহণ করা এবং অন্যদের রিওয়ায়াত পরিত্যাগ করা হবে। এ বিবেচনায় এখানে ইমাম যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসই গ্রহণযোগ্য। কারণ তিনি হিশাম অপেক্ষা অধিকতর ضبط ও حفظ অধিকারী। আর যদি تاويل ও ব্যাখ্যা নিরিখে বিবেচনা করা হয় তবে হিশাম (রাহঃ) কর্তৃক হাদীসে خذيها যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, কখনও এর অর্থ ابتاعيا (তুমি তাকে ক্রয় কর) ও হতে পারে। যেমন এক ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করল بكم آخذ هذا العبد যার অর্থ হয় بكم أبتاع هذا العبد (এ গোলামটি কতমূল্যে সে ক্রয় করেছে?) তদ্রূপ কেউ কাউকে বললো خذ هذا العبد بألف درهم এর অর্থ হয় এ গোলামটি তুমি এক দিরহামের বিনিময়ে ক্রয় কর। (অর্থাৎ الاخذ শব্দটি কোন কোন সময় ক্রয়-বিক্রয়ের অর্থে ব্যবহৃত হয়) خذيها বলার পর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) اشترطي (তুমি শর্ত কর) বললেন। অথচ তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে একথা বলেননি যে, তিনি কি শর্ত করবেন। অতএব এখানে এ সম্ভাবনা রয়েছে যে, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-কে বলেছেন, বিশুদ্ধ ক্রয়-বিক্রয়ে যে সব শর্ত আরোপ করা হয়, তুমি সেই সব শর্ত আরোপ কর। অতএব হযরত হিশাম কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের যখন এরূপ ব্যাখ্যা প্রদান করা হবে, এবং তার অর্থ স্পষ্ট হবে, তখন আর তা হযরত যুহরী (রাহঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের বিরোধী হবেনা। তবে এ হাদীসে একথার কোন উল্লেখ নেই যে, যখন ক্রয়-বিক্রয়ে এ ধরনের শর্ত আরোপ করা হবে, তখন ক্রয়-বিক্রয়ের হুকুম কি হবে? ফাসিদ হবে, না কি জায়িয হবে?
যে সমস্ত উলামা-ই কিরাম শর্ত আরোপের কারণে ক্রয়-বিক্রয়কে ফাসিদ বলেন, তারা দলীল হিসেবে এসব হাদীস বর্ণনা করেনঃ
5664 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ , عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ , عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ , عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: جَاءَتْنِي بَرِيرَةُ فَقَالَتْ: إِنِّي كَاتَبْتُ أَهْلِي عَلَى تِسْعِ أَوَاقٍ , فِي كُلِّ عَامٍ أُوقِيَّةٌ , فَأَعِينِينِي. فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: إِنْ أَحَبَّ أَهْلُكَ أَنْ أَعُدَّهَا لَهُمْ , عَدَدْتُهَا لَهُمْ , وَيَكُونُ وَلَاؤُكَ لِي , فَعَلْتُ. فَذَهَبَتْ بَرِيرَةُ إِلَى أَهْلِهَا , فَقَالَتْ لَهُمْ ذَلِكَ , فَأَبَوْا عَلَيْهَا. فَجَاءَتْ مِنْ عِنْدِ أَهْلِهَا وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ فَقَالَتْ: إِنِّي قَدْ عَرَضْتُ ذَلِكَ عَلَيْهِمْ فَأَبَوْا إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ. فَسَمِعَ بِذَلِكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهَا , فَأَخْبَرَتْهُ عَائِشَةُ فَقَالَ: «خُذِيهَا وَاشْتَرِطِي , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» فَفَعَلَتْ عَائِشَةُ , ثُمَّ قَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ , " فَذَكَرَ مِثْلَ مَا فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ
5665 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مِثْلُ مَا فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ الَّذِي كَانَ فِيهِ الِاشْتِرَاطُ مِنْ أَهْلِ بَرِيرَةَ , أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ وَإِبَاءُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهَا هُوَ أَدَاءُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , عَنْ بَرِيرَةَ الْكِتَابَةَ. فَقَدِ اتَّفَقَ الزُّهْرِيُّ وَهِشَامٌ عَلَى هَذَا , وَخَالَفَا فِي ذَلِكَ أَصْحَابَ الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , وَزَادَ هِشَامٌ عَلَى الزُّهْرِيِّ , قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خُذِيهَا وَاشْتَرِطِي , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» هَكَذَا فِي حَدِيثِ هِشَامٍ [ص:46] وَمَوْضِعُ هَذَا الْكَلَامِ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ «ابْتَاعِي وَأَعْتِقِي , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . فَفِي هَذَا اخْتَلَفَ هِشَامٌ وَالزُّهْرِيُّ. فَإِنْ كَانَ الَّذِي يُعْتَبَرُ فِي هَذَا , هُوَ الضَّبْطُ وَالْحِفْظُ , فَيُؤْخَذُ بِمَا رَوَى أَهْلُهُ , وَيَتْرُكُ مَا رَوَى الْآخَرُونَ , فَإِنَّ مَا رَوَى الزُّهْرِيُّ أَوْلَى , لِأَنَّهُ أَتْقَنُ وَأَضْبَطُ وَأَحْفَظُ , مِنْ هِشَامٍ. وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُعْتَبَرُ فِي ذَلِكَ , هُوَ التَّأْوِيلُ , فَإِنَّ قَوْلَهُ «خُذِيهَا» قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعْنَاهُ: ابْتَاعِيهَا , كَمَا يَقُولُ الرَّجُلُ لِصَاحِبِهِ «بِكَمْ آخُذُ هَذَا الْعَبْدَ» يُرِيدُ بِذَلِكَ «بِكَمْ أَبْتَاعُ هَذَا الْعَبْدَ؟» . وَكَمَا يَقُولُ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ «خُذْ هَذَا الْعَبْدَ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ» يُرِيدُ بِذَلِكَ الْبَيْعَ. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاشْتَرِطِي «فَلَمْ يُبَيِّنْ مَا تَشْتَرِطُ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ» وَاشْتَرِطِي مَا يُشْتَرَطُ فِي الْبِيَاعَاتِ الصِّحَاحِ " فَلَيْسَ فِي حَدِيثِ هِشَامٍ هَذَا لَمَّا كَشَفَ مَعْنَاهُ , خِلَافٌ لِشَيْءٍ مِمَّا فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ , وَلَا بَيَانٌ فِيهِمَا كَيْفَ حُكْمُ الْبَيْعِ إِذَا وَقَعَ فِيهِ مِثْلُ هَذَا الشَّرْطِ , هَلْ يَكُونُ فَاسِدًا , أَوْ هَلْ يَكُونُ جَائِزًا؟ وَأَمَّا مَا احْتَجَّ بِهِ الَّذِينَ أَفْسَدُوا الْبَيْعَ بِذَلِكَ الشَّرْطِ
5665 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي مَالِكٌ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مِثْلُ مَا فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ الَّذِي كَانَ فِيهِ الِاشْتِرَاطُ مِنْ أَهْلِ بَرِيرَةَ , أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهُمْ وَإِبَاءُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا إِلَّا أَنْ يَكُونَ الْوَلَاءُ لَهَا هُوَ أَدَاءُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا , عَنْ بَرِيرَةَ الْكِتَابَةَ. فَقَدِ اتَّفَقَ الزُّهْرِيُّ وَهِشَامٌ عَلَى هَذَا , وَخَالَفَا فِي ذَلِكَ أَصْحَابَ الْأَحَادِيثِ الْأُوَلِ , وَزَادَ هِشَامٌ عَلَى الزُّهْرِيِّ , قَوْلَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «خُذِيهَا وَاشْتَرِطِي , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» هَكَذَا فِي حَدِيثِ هِشَامٍ [ص:46] وَمَوْضِعُ هَذَا الْكَلَامِ فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ «ابْتَاعِي وَأَعْتِقِي , فَإِنَّمَا الْوَلَاءُ لِمَنْ أَعْتَقَ» . فَفِي هَذَا اخْتَلَفَ هِشَامٌ وَالزُّهْرِيُّ. فَإِنْ كَانَ الَّذِي يُعْتَبَرُ فِي هَذَا , هُوَ الضَّبْطُ وَالْحِفْظُ , فَيُؤْخَذُ بِمَا رَوَى أَهْلُهُ , وَيَتْرُكُ مَا رَوَى الْآخَرُونَ , فَإِنَّ مَا رَوَى الزُّهْرِيُّ أَوْلَى , لِأَنَّهُ أَتْقَنُ وَأَضْبَطُ وَأَحْفَظُ , مِنْ هِشَامٍ. وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُعْتَبَرُ فِي ذَلِكَ , هُوَ التَّأْوِيلُ , فَإِنَّ قَوْلَهُ «خُذِيهَا» قَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ مَعْنَاهُ: ابْتَاعِيهَا , كَمَا يَقُولُ الرَّجُلُ لِصَاحِبِهِ «بِكَمْ آخُذُ هَذَا الْعَبْدَ» يُرِيدُ بِذَلِكَ «بِكَمْ أَبْتَاعُ هَذَا الْعَبْدَ؟» . وَكَمَا يَقُولُ الرَّجُلُ لِلرَّجُلِ «خُذْ هَذَا الْعَبْدَ بِأَلْفِ دِرْهَمٍ» يُرِيدُ بِذَلِكَ الْبَيْعَ. ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاشْتَرِطِي «فَلَمْ يُبَيِّنْ مَا تَشْتَرِطُ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أَرَادَ» وَاشْتَرِطِي مَا يُشْتَرَطُ فِي الْبِيَاعَاتِ الصِّحَاحِ " فَلَيْسَ فِي حَدِيثِ هِشَامٍ هَذَا لَمَّا كَشَفَ مَعْنَاهُ , خِلَافٌ لِشَيْءٍ مِمَّا فِي حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ , وَلَا بَيَانٌ فِيهِمَا كَيْفَ حُكْمُ الْبَيْعِ إِذَا وَقَعَ فِيهِ مِثْلُ هَذَا الشَّرْطِ , هَلْ يَكُونُ فَاسِدًا , أَوْ هَلْ يَكُونُ جَائِزًا؟ وَأَمَّا مَا احْتَجَّ بِهِ الَّذِينَ أَفْسَدُوا الْبَيْعَ بِذَلِكَ الشَّرْطِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৫
empty
৫৬৬৫।
5665 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৬
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬৬। নসর ইবন মারযূক বলেন, ...... আমর ইবন শুআইব তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিক্রয় করা ও করয দেয়া হতে এবং বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্ত আরোপ করা হতে নিষেধ করেছেন।*
5666 - فَمَا حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا الْخَصِيبُ بْنُ نَاصِحٍ , قَالَ: أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعٍ وَسَلَفٍ , وَعَنْ شَرْطَيْنِ فِي بَيْعَةٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৬৯
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৬৭-৬৯। ইবন আবী দাউদ বলেন,..... আমর ইবন শু'আইব তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ঋণ ও বিক্রয় একত্রে হালাল নয় আর বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্ত আরোপ করাও হালাল নয়।*
ইবন আবী দাউদ বলেন, …… হাম্মাদ ইবন যায়েদ স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।**
আবু উমাইয়্যা বলেন, ..... হাম্মাদ ইবন যায়েদ স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।***
ইবন আবী দাউদ বলেন, …… হাম্মাদ ইবন যায়েদ স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।**
আবু উমাইয়্যা বলেন, ..... হাম্মাদ ইবন যায়েদ স্বীয় সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।***
5667 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ سَلَفٌ وَبَيْعٌ , وَلَا شَرْطَانِ فِي بَيْعٍ»
5668 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ , ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
5669 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
5668 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ , ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
5669 - حَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৮
empty
৫৬৬৮।
5668 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৬৯
empty
৫৬৬৯।
5669 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৭১
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৭০-৭১। হাসান ইবন আব্দিল্লাহ্ ইবন মনসুর বলেন, …… আমর ইবন শুআইব তার পিতার মাধ্যমে তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্ত করতে এবং একত্রে ঋণ দেয়া ও বিক্রয় করা হতে নিষেধ করেছেন।*
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা বলেন, …… আমর ইবন শুআইব তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে, তিনি নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।*
মুহাম্মাদ ইবন খুযায়মা বলেন, …… আমর ইবন শুআইব তার পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে, তিনি নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।*
5670 - حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا الْهَيْثَمُ بْنُ جَمِيلٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ شَرْطَيْنِ فِي بَيْعٍ , وَعَنْ سَلَفٍ وَبَيْعٍ "
5671 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
5671 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ، قَالَ: أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ عَامِرٍ الْأَحْوَلِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭২
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৭১। ইউনূস বলেন, ....... আমর ইবন শু'আইব তাঁর পিতা হতে তিনি তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) একত্রে বিক্রয় করা ও ঋণ দেয়া হতে নিষেধ করেছেন।*
তারা বলেন, বিক্রয় করা নিজেই একটি শর্ত, অতঃপর যখন তার সহিত অন্য আর একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, তখন বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্ত হয়ে যায়। তাদের মতে উল্লেখিত হাদীসে এই দুটি শর্তের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে, যা হতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তাদের এ মতের বিরোধিতাও করা হয়েছে। এর বিপরীতে বলা হয়, বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্তের অর্থ হলো, নগদ হলে বিক্রয় হবে, “এক হাযার দিরহামে" (উদাহরণ স্বরূপ) আর এক বছর বিলম্বের হলে বিক্রয় হবে একশ দীনারে। এমতাবস্থায় যদি এভাবে বিক্রয় সংঘটিত হয় যে, ক্রেতা এর যে কোন একটিকে গ্রহণ করে জিনিসের মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। এ নিয়মে ক্রয়-বিক্রয় হলে তা হবে ফাসিদ ক্রয়-বিক্রয়। কারণ, ক্রয়-বিক্রয়ের এ চুক্তি অজ্ঞাত মূল্যের বিনিময়ে হয়েছে। আর এ পক্ষের দলীল হলো ঐ সব হাদীস, যা সাহাবা-ই কিরাম হতে বর্ণিত হয়েছেঃ
তারা বলেন, বিক্রয় করা নিজেই একটি শর্ত, অতঃপর যখন তার সহিত অন্য আর একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়, তখন বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্ত হয়ে যায়। তাদের মতে উল্লেখিত হাদীসে এই দুটি শর্তের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে, যা হতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে তাদের এ মতের বিরোধিতাও করা হয়েছে। এর বিপরীতে বলা হয়, বিক্রয়ের মধ্যে দুটি শর্তের অর্থ হলো, নগদ হলে বিক্রয় হবে, “এক হাযার দিরহামে" (উদাহরণ স্বরূপ) আর এক বছর বিলম্বের হলে বিক্রয় হবে একশ দীনারে। এমতাবস্থায় যদি এভাবে বিক্রয় সংঘটিত হয় যে, ক্রেতা এর যে কোন একটিকে গ্রহণ করে জিনিসের মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। এ নিয়মে ক্রয়-বিক্রয় হলে তা হবে ফাসিদ ক্রয়-বিক্রয়। কারণ, ক্রয়-বিক্রয়ের এ চুক্তি অজ্ঞাত মূল্যের বিনিময়ে হয়েছে। আর এ পক্ষের দলীল হলো ঐ সব হাদীস, যা সাহাবা-ই কিরাম হতে বর্ণিত হয়েছেঃ
5672 - حَدَّثَنَا يُونُسُ، قَالَ: أنا عَبْدُ اللهِ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعٍ وَسَلَفٍ قَالُوا: فَالْبَيْعُ فِي نَفْسِهِ شَرْطٌ , فَإِذَا شُرِطَ فِيهِ شَرْطٌ آخَرُ , فَكَانَ هَذَا شَرْطَيْنِ فِي بَيْعٍ , فَهَذَا هُوَ الشَّرْطَانِ الْمَنْهِيُّ عَنْهُمَا عِنْدَهُمْ , الْمَذْكُورَانِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَقَدْ خُولِفُوا فِي ذَلِكَ فَقِيلَ: الشَّرْطَانِ فِي الْبَيْعِ , هُوَ: أَنْ يَقَعَ الْبَيْعُ عَلَى أَلْفِ دِرْهَمٍ حَالٍّ أَوْ عَلَى مِائَةِ دِينَارٍ إِلَى سَنَةٍ , فَيَقَعُ الْبَيْعُ عَلَى أَنْ يُعْطِيَهُ الْمُشْتَرِي أَيَّهُمَا شَاءَ , فَالْبَيْعُ فَاسِدٌ , لِأَنَّهُ وَقَعَ بِثَمَنٍ مَجْهُولٍ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ , مِمَّا قَدْ رُوِيَ عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭৩
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৭৩। বিশর ইবনুল হাসান বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর স্ত্রী হযরত যায়নাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত । একবার তিনি তাঁর একটি বাদী হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট বিক্রয় করলেন, এবং তার সেবা গ্রহণ করার শর্ত করলেন। উমার (রাযিঃ) কে এটা জানানো হলো তিনি বললেন, তিনি (ইবন মাসউদ) যেন তার নিকটবর্তী না হন, কারণ তার মাঝে আমি কোন কল্যাণ দেখতে পাচ্ছি না।
5673 - أَنَّ مُبَشِّرَ بْنَ الْحَسَنِ حَدَّثَنَا قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ , قَالَ: ثنا شُعْبَةُ , عَنْ خَالِدِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ: سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ , يُحَدِّثُ عَنْ زَيْنَبَ , امْرَأَةِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهَا بَاعَتْ عَبْدَ اللهِ جَارِيَةً , وَاشْتَرَطَتْ خِدْمَتَهَا. فَذَكَرَ ذَلِكَ لِعُمَرَ فَقَالَ «لَا يَقْرَبَنَّهَا , وَلَا أَجِدُ فِيهَا مَثُوبَةً»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭৪
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৭৪। ফাহদ বলেন, ….. নাফে' হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, কোন (বাঁদীর) যৌন অঙ্গ কারো জন্য হালাল নয়। কিন্তু এ বাঁদীর যৌন অঙ্গ হালাল, যার মালিক ইচ্ছা করলে তাকে বিক্রয় করতে পারে আর ইচ্ছা করলে হিবা করতে পারে। আর ইচ্ছা করলে তাকে রেখেও দিতে পারে। অর্থাৎ ঐ ব্যাপারে তার উপর কোন শর্ত আরোপ করা হয়নি।
5674 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ، قَالَ: ثنا زُهَيْرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: لَا يَحِلُّ فَرْجٌ إِلَّا فَرْجٌ إِنْ شَاءَ صَاحِبُهُ بَاعَهُ , وَإِنْ شَاءَ وَهَبَهُ , وَإِنْ شَاءَ أَمْسَكَهُ , لَا شَرْطَ فِيهِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭৫
১০. যে বিক্রয়ে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা তার অংশ নয়
৫৬৭৫। মুহাম্মাদ ইবন নু'মান বলেন নাফে' হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি একথা অপছন্দ করতেন যে, কোন ব্যক্তি কোন বাঁদীকে এ শর্তে ক্রয় করবে যে, সে না তাকে বিক্রয় করতে পারবে, আর না হিবা করতে পারবে।
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রকাশ পায় যে, হযরত উমার (রাযিঃ) হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট বিক্রয় করাকে বাতিল করে দেন। এবং আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ বিরোধিতা না করে তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন । অথচ, তাঁর বিরোধিতা করার অধিকার ছিল। কারণ, এটা হযরত উমার (রাযিঃ) এর নির্দেশ ছিল না, ছিল ফতোয়া। আর আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) এর স্ত্রীও তা মেনে নিয়েছেন। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর একজন সাহাবিয়া ছিলেন। আর হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) তাদের সকলের অনুসরণ করেছেন। অথচ হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কে যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বলেছিলেন তা তিনি জানতেন যা আমরা তাঁর থেকে এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি।
অতএব এটা প্রমাণ করে যে, হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)-এর মতে এ হাদীসের অর্থ ঐ অর্থের বিপরীত, যা তাঁর হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশকারীরা গ্রহণ করেছেন। আর যে কয়েকজন সাহাবা কিরামের আমরা উল্লেখ করেছি তারা ছাড়া আর কেউ হযরত উমার (রাযিঃ) ও তাঁর অনুবর্তীদের থেকে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এ অর্থকেই মূল এবং সাহাবা-ই কিরামের ইজমা ও সর্বসম্মত মত বিবেচনা করা সঙ্গত এবং বিপরীত কোন মত পোষণ না করা উচিত। হাদীসের আলোকে এটাই হলো আলোচ্য বিষয়ের ব্যাখ্যা।
নযর ও যুক্তি
আর এ বিষয়ে যুক্তিগত বক্তব্য এই যে, আমরা একটা সর্বসম্মত নীতি দেখেছি যে, বিক্রয় দ্রব্যে কখনো কখনো কিছু বিশুদ্ধ শর্ত আরোপ করা হয়, যেমন বিক্রেতা ও ক্রেতার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইখতিয়ার কার শর্ত। সুতরাং এ শর্তে এর বিক্রয় করা জায়িয। অনুরূপভাবে ক্রয় করা বস্তুর মূল্য পরিশোধের জন্য কোন কোন সময় ক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের শর্ত করে থাকে, তখন নির্দিষ্টভাবে জানা হলে এ সময়ের মধ্যে উক্ত বস্তুর মূল্য পরিশোধ করা অপরিহার্য হবে এবং ক্রয় করা বস্তু ক্রেতার দায়িত্বভূক্ত হবে।
অপর পক্ষে এটাও দেখেছি যে, বিক্রয় চুক্তিতে শর্তকৃত মেয়াদ যদি ফাসিদ হয়, তাহলে বিক্রয় ফাসিদ হবে। এমন হয় না যে, বিক্রয় সাব্যস্ত হলো, আর শর্তটি রহিত হয়ে গেলো। অতঃপর বিক্রয় দ্রব্যের মূল্যের সাথে যুক্ত এই সকল শর্তের সাথে যখন সহীহ হওয়া এবং ফাসিদ হওয়ার ক্ষেত্রে বিক্রয় চুক্তি আব্দ্ধ হয়। অর্থাৎ ঐসব শর্ত জায়িয হলে بيع জায়িয হয় এবং তা ফাসিদ হলে بيع ফাসিদ হয়। অতঃপর বিক্রয় দ্রব্য যদি গোলাম হয়, আর এই শর্তে বিক্রয় হয় যে, এক মাস যাবত উক্ত গোলাম বিক্রেতার খিদমত করবে, তাহলে তো বিক্রতা ক্রেতাকে তার গোলামের এই শর্তে মালিক করে দিল যে, ক্রেতা বিক্রেতাকে এক হাজার দিরহাম ও এক মাসের জন্য গোলামের খিদমতের মালিক করে দিবে। অথচ ক্রেতা তখন গোলামের মালিক নয়, এবং তার খিদমতেরও মালিক নয়। কারণ সে তো গোলামের মালিক হবে, বিক্রয় পূর্ণ হবার পর। সুতরাং এই বিক্রয় সাব্যস্ত হলো মালের বিনিময়ে ও এমন এক গোলামের খিদমতের বিনিময়ে, যার তখন পর্যন্ত ক্রেতা মালিকই হতে পারেনি। অথচ আমরা এ বিষয়টি দেখেছি যে, যদি কেউ এমন এক বাঁদীর খিদমতের বিনিময়ে কোন গোলাম ক্রয় করে, যে বাঁদীর তখন পর্যন্ত সে মালিকই নয়, তবে এ ক্রয়-বিক্রয় ফাসিদ হবে। অতএব যুক্তির দাবী এটাই হবে যে, এই বিক্রয়ের হুকুমও এমন হবে, যখন গোলামের খেদমতের বিনিময়ে বিক্রয়ের চুক্তি করবে, যার সে এই আকদ'-এর পূর্বে মালিক হয়নি (অর্থাৎ উপরোল্লেখিত ক্ষেত্রে যেমন ক্রেতার জন্য ক্রয় করা নাজায়িয, বিক্রেতার জন্য বিক্রয়ও নাজায়িয হবে।) কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ জিনিস বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন যা তোমার নিকট মওজুদ নেই।
আর মূল্য যখন বিশুদ্ধ মেয়াদ এবং ফাসিদ মেয়াদের সাথে দায়বদ্ধ হয় তখন মূল্য ধার্যকৃত বিক্রয় বিক্রয় দ্রব্যও বিশুদ্ধ শর্ত ও ফাসিদ শর্তের সাথে দায়বদ্ধ হবে (ফলে ফাসিদ শর্তের কারণে বিক্রয় ফাসিদ হবে এবং বিশুদ্ধ শর্তের কারণে বিক্রয় শুদ্ধ হবে।) সুতরাং এ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, যে بيع এর মধ্যে ফাসিদ শর্ত করা হবে তা শর্ত ফাসিদ হবার কারণে ফাসিদ হবে। যেমন আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি। অতএব যারা একথা বলেন যে, بيع তো صحيح হবে, কিন্তু শর্ত বাতিল হবে, তাদের মত অপ্রমাণিত হলো। অনুরূপভাবে তাদের মত অশুদ্ধ বলে প্রমাণিত হলো, যারা বলেন, শর্তও বহাল থাকবে এবং বিক্রয়ও বহাল থাকবে। আর তৃতীয় মত হলো যখন بيع -এর মধ্যে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা কোন ভাবে بيع এর অংশ নয়, তবে সে ক্ষেত্রে শর্ত বাতিল হবার কারণে بيع বাতিল হবে। যখন প্রথম দু'টি মত বাতিল প্রমাণিত হলো তখন শেষ মতই সঠিক বলে সাব্যস্ত হলো। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মত।
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা প্রকাশ পায় যে, হযরত উমার (রাযিঃ) হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ)-এর নিকট বিক্রয় করাকে বাতিল করে দেন। এবং আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ বিরোধিতা না করে তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন । অথচ, তাঁর বিরোধিতা করার অধিকার ছিল। কারণ, এটা হযরত উমার (রাযিঃ) এর নির্দেশ ছিল না, ছিল ফতোয়া। আর আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) এর স্ত্রীও তা মেনে নিয়েছেন। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর একজন সাহাবিয়া ছিলেন। আর হযরত ইবন উমার (রাযিঃ) তাদের সকলের অনুসরণ করেছেন। অথচ হযরত বারীরা (রাযিঃ)-এর ব্যাপারে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) কে যে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বলেছিলেন তা তিনি জানতেন যা আমরা তাঁর থেকে এ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করেছি।
অতএব এটা প্রমাণ করে যে, হযরত ইবন উমার (রাযিঃ)-এর মতে এ হাদীসের অর্থ ঐ অর্থের বিপরীত, যা তাঁর হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশকারীরা গ্রহণ করেছেন। আর যে কয়েকজন সাহাবা কিরামের আমরা উল্লেখ করেছি তারা ছাড়া আর কেউ হযরত উমার (রাযিঃ) ও তাঁর অনুবর্তীদের থেকে ভিন্নমত পোষণ করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এ অর্থকেই মূল এবং সাহাবা-ই কিরামের ইজমা ও সর্বসম্মত মত বিবেচনা করা সঙ্গত এবং বিপরীত কোন মত পোষণ না করা উচিত। হাদীসের আলোকে এটাই হলো আলোচ্য বিষয়ের ব্যাখ্যা।
নযর ও যুক্তি
আর এ বিষয়ে যুক্তিগত বক্তব্য এই যে, আমরা একটা সর্বসম্মত নীতি দেখেছি যে, বিক্রয় দ্রব্যে কখনো কখনো কিছু বিশুদ্ধ শর্ত আরোপ করা হয়, যেমন বিক্রেতা ও ক্রেতার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ইখতিয়ার কার শর্ত। সুতরাং এ শর্তে এর বিক্রয় করা জায়িয। অনুরূপভাবে ক্রয় করা বস্তুর মূল্য পরিশোধের জন্য কোন কোন সময় ক্রেতা নির্দিষ্ট সময়ের শর্ত করে থাকে, তখন নির্দিষ্টভাবে জানা হলে এ সময়ের মধ্যে উক্ত বস্তুর মূল্য পরিশোধ করা অপরিহার্য হবে এবং ক্রয় করা বস্তু ক্রেতার দায়িত্বভূক্ত হবে।
অপর পক্ষে এটাও দেখেছি যে, বিক্রয় চুক্তিতে শর্তকৃত মেয়াদ যদি ফাসিদ হয়, তাহলে বিক্রয় ফাসিদ হবে। এমন হয় না যে, বিক্রয় সাব্যস্ত হলো, আর শর্তটি রহিত হয়ে গেলো। অতঃপর বিক্রয় দ্রব্যের মূল্যের সাথে যুক্ত এই সকল শর্তের সাথে যখন সহীহ হওয়া এবং ফাসিদ হওয়ার ক্ষেত্রে বিক্রয় চুক্তি আব্দ্ধ হয়। অর্থাৎ ঐসব শর্ত জায়িয হলে بيع জায়িয হয় এবং তা ফাসিদ হলে بيع ফাসিদ হয়। অতঃপর বিক্রয় দ্রব্য যদি গোলাম হয়, আর এই শর্তে বিক্রয় হয় যে, এক মাস যাবত উক্ত গোলাম বিক্রেতার খিদমত করবে, তাহলে তো বিক্রতা ক্রেতাকে তার গোলামের এই শর্তে মালিক করে দিল যে, ক্রেতা বিক্রেতাকে এক হাজার দিরহাম ও এক মাসের জন্য গোলামের খিদমতের মালিক করে দিবে। অথচ ক্রেতা তখন গোলামের মালিক নয়, এবং তার খিদমতেরও মালিক নয়। কারণ সে তো গোলামের মালিক হবে, বিক্রয় পূর্ণ হবার পর। সুতরাং এই বিক্রয় সাব্যস্ত হলো মালের বিনিময়ে ও এমন এক গোলামের খিদমতের বিনিময়ে, যার তখন পর্যন্ত ক্রেতা মালিকই হতে পারেনি। অথচ আমরা এ বিষয়টি দেখেছি যে, যদি কেউ এমন এক বাঁদীর খিদমতের বিনিময়ে কোন গোলাম ক্রয় করে, যে বাঁদীর তখন পর্যন্ত সে মালিকই নয়, তবে এ ক্রয়-বিক্রয় ফাসিদ হবে। অতএব যুক্তির দাবী এটাই হবে যে, এই বিক্রয়ের হুকুমও এমন হবে, যখন গোলামের খেদমতের বিনিময়ে বিক্রয়ের চুক্তি করবে, যার সে এই আকদ'-এর পূর্বে মালিক হয়নি (অর্থাৎ উপরোল্লেখিত ক্ষেত্রে যেমন ক্রেতার জন্য ক্রয় করা নাজায়িয, বিক্রেতার জন্য বিক্রয়ও নাজায়িয হবে।) কারণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঐ জিনিস বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন যা তোমার নিকট মওজুদ নেই।
আর মূল্য যখন বিশুদ্ধ মেয়াদ এবং ফাসিদ মেয়াদের সাথে দায়বদ্ধ হয় তখন মূল্য ধার্যকৃত বিক্রয় বিক্রয় দ্রব্যও বিশুদ্ধ শর্ত ও ফাসিদ শর্তের সাথে দায়বদ্ধ হবে (ফলে ফাসিদ শর্তের কারণে বিক্রয় ফাসিদ হবে এবং বিশুদ্ধ শর্তের কারণে বিক্রয় শুদ্ধ হবে।) সুতরাং এ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, যে بيع এর মধ্যে ফাসিদ শর্ত করা হবে তা শর্ত ফাসিদ হবার কারণে ফাসিদ হবে। যেমন আমরা পূর্বে উল্লেখ করেছি। অতএব যারা একথা বলেন যে, بيع তো صحيح হবে, কিন্তু শর্ত বাতিল হবে, তাদের মত অপ্রমাণিত হলো। অনুরূপভাবে তাদের মত অশুদ্ধ বলে প্রমাণিত হলো, যারা বলেন, শর্তও বহাল থাকবে এবং বিক্রয়ও বহাল থাকবে। আর তৃতীয় মত হলো যখন بيع -এর মধ্যে এমন শর্ত আরোপ করা হয়, যা কোন ভাবে بيع এর অংশ নয়, তবে সে ক্ষেত্রে শর্ত বাতিল হবার কারণে بيع বাতিল হবে। যখন প্রথম দু'টি মত বাতিল প্রমাণিত হলো তখন শেষ মতই সঠিক বলে সাব্যস্ত হলো। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (রাযিঃ)-এর মত।
5675 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ: ثنا هُشَيْمٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عُبَيْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أَنْ يَشْتَرِيَ، الرَّجُلُ الْأَمَةَ , عَلَى أَنْ لَا يَبِيعَ وَلَا يَهَبَ فَقَدْ أَبْطَلَ عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ , بَيْعَ عَبْدِ اللهِ , وَتَابَعَهُ عَبْدُ اللهِ عَلَى ذَلِكَ , وَلَمْ يُخَالِفْهُ فِيهِ. وَقَدْ كَانَ لَهُ خِلَافُهُ , أَنْ لَوْ كَانَ يَرَى خِلَافَ ذَلِكَ , لِأَنَّ مَا كَانَ مِنْ عُمَرَ , لَمْ يَكُنْ عَلَى جِهَةِ الْحُكْمِ , وَإِنَّمَا كَانَ عَلَى جِهَةِ الْفُتْيَا. وَتَابَعَتْهُمَا زَيْنَبُ , امْرَأَةُ عَبْدِ اللهِ عَلَى ذَلِكَ , وَلَهَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُحْبَةٌ. وَتَابَعَهُمْ عَلَى ذَلِكَ , عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمَا , وَقَدْ عَلِمَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا كَانَ مِنْ قَوْلِهِ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهَا فِي أَمْرِ بَرِيرَةَ , عَلَى مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْهُ فِي هَذَا الْبَابِ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ مَعْنَاهُ , كَانَ عِنْدَهُ , عَلَى خِلَافِ مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ الَّذِينَ احْتَجُّوا بِحَدِيثِهِ , وَلَمْ نَعْلَمْ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرَ مَنْ ذَكَرْنَا , ذَهَبَ فِي ذَلِكَ إِلَى غَيْرِ مَا ذَهَبَ إِلَيْهِ عُمَرُ , وَمَنْ تَابَعَهُ عَلَى ذَلِكَ , مِمَّنْ ذَكَرْنَا فِي هَذِهِ الْآثَارِ. فَكَانَ يَنْبَغِي أَنْ يَجْعَلَ هَذَا أَصْلًا وَإِجْمَاعًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ عَنْهُمْ , وَلَا يُخَالِفُ. فَهَذَا وَجْهُ هَذَا الْبَابِ مِنْ طَرِيقِ الْآثَارِ. [ص:48] وَأَمَّا وَجْهُهُ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَإِنَّا رَأَيْنَا الْأَصْلَ الْمُجْتَمَعَ عَلَيْهِ , أَنَّ شُرُوطًا صِحَاحًا , قَدْ تُعْقَدُ فِي الشَّيْءِ الْمَبِيعِ , مِثْلُ الْخِيَارِ إِلَى أَجَلٍ مَعْلُومٍ , لِلْبَائِعِ وَلِلْمُبْتَاعِ , فَيَكُونُ الْبَيْعُ عَلَى ذَلِكَ جَائِزًا. وَكَذَلِكَ الْأَثْمَانُ , قَدْ تُعْقَدُ فِيهَا آجَالٌ يَشْتَرِطُهَا الْمُبْتَاعُ , فَتَكُونُ لَازِمَةً إِذَا كَانَتْ مَعْلُومَةً وَيَكُونُ الْبَيْعُ بِهَا مُضَمَّنًا. وَرَأَيْنَا ذَلِكَ الْأَجَلَ , لَوْ كَانَ فَاسِدًا , فَسَدَ بِفَسَادِهِ الْبَيْعُ , وَلَمْ يَثْبُتِ الْبَيْعُ , وَيَنْتَفِي هُوَ إِذَا كَانَ مَعْقُودًا فِيهِ. فَلَمَّا جُعِلَ الْبَيْعُ مُضَمَّنًا بِهَذِهِ الشَّرَائِطِ الْمَشْرُوطَةِ فِي ثَمَنِهِ , فِي صِحَّتِهَا وَفَسَادِهَا , فَجُعِلَ جَائِزًا بِجَوَازِهَا , وَفَاسِدًا بِفَسَادِهَا , ثُمَّ كَانَ الْبَيْعُ إِذَا وَقَعَ عَلَى الْمَبِيعِ , وَكَانَ عَبْدًا , عَلَى أَنْ يَخْدُمَ الْبَائِعَ شَهْرًا , فَقَدْ مَلَّكَ الْبَائِعُ الْمُشْتَرِيَ عَبْدَهُ عَلَى أَنْ مَلَّكَهُ الْمُشْتَرِي أَلْفَ دِرْهَمٍ وَخِدْمَةَ الْعَبْدِ شَهْرًا وَالْمُشْتَرِي حِينَئِذٍ , غَيْرُ مَالِكٍ لِلْخِدْمَةِ , وَلَا لِلْعَبْدِ , لِأَنَّ مِلْكَهُ لِلْعَبْدِ إِنَّمَا يَكُونُ بَعْدَ تَمَامِ الْبَيْعِ , فَصَارَ الْبَيْعُ وَاقِعًا بِمَالٍ وَبِخِدْمَةِ عَبْدٍ , لَا يَمْلِكُهُ الْمُشْتَرِي فِي وَقْتِ ابْتِيَاعِهِ بِالْمَالِ , وَبِخِدْمَتِهِ , وَقَدْ رَأَيْنَاهُ لَوِ ابْتَاعَ عَبْدًا لِخِدْمَةِ أَمَةٍ , لَا يَمْلِكُهَا , كَانَ الْبَيْعُ فَاسِدًا. فَالنَّظَرُ عَلَى ذَلِكَ أَنْ يَكُونَ الْبَيْعُ أَيْضًا كَذَلِكَ إِذَا عَقَدَ لِخِدْمَةِ مَنْ لَمْ يَكُنْ تَقَدَّمَ مِلْكُهُ لَهُ قَبْلَ ذَلِكَ الْعَقْدِ , لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ بَيْعِ مَا لَيْسَ عِنْدَكَ. وَلَمَّا كَانَتِ الْأَثْمَانُ مُضَمَّنَةً بِالْآجَالِ الصَّحِيحَةِ وَالْفَاسِدَةِ , عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا , كَانَ كَذَلِكَ , الْأَشْيَاءُ الْمَثْمُونَةُ , أَيْضًا الْمُضَمَّنَةُ بِالشَّرَائِطِ الْفَاسِدَةِ وَالصَّحِيحَةِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الْبَيْعَ , لَوْ وَقَعَ وَاشْتُرِطَ فِيهِ شَرْطٌ مَجْهُولٌ , أَنَّ الْبَيْعَ يَفْسُدُ بِفَسَادِ ذَلِكَ الشَّرْطِ عَلَى مَا قَدْ ذَكَرْنَا. فَقَدِ انْتَفَى قَوْلُ مَنْ قَالَ «يَجُوزُ الْبَيْعُ وَيَبْطُلُ الشَّرْطُ» وَقَوْلُ مَنْ قَالَ «يَجُوزُ الْبَيْعُ , وَيَثْبُتُ الشَّرْطُ» . وَلَمْ يَكُنْ فِي هَذَا الْبَابِ قَوْلٌ غَيْرُ هَذَيْنِ الْقَوْلَيْنِ , وَغَيْرُ الْقَوْلِ الْآخَرِ «إِنَّ الْبَيْعَ يَبْطُلُ إِذَا اشْتُرِطَ فِيهِ مَا لَيْسَ مِنْهُ» . فَلَمَّا انْتَفَى الْقَوْلَانِ الْأَوَّلَانِ , ثَبَتَ هَذَا الْقَوْلُ الْآخَرُ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান