শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১৪ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৬৭৬
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৭৬। রাওহ ইবনুল ফারাজ বলেন, ..... মুজাহিদ হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবন আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, মক্কার বাড়ীঘর বিক্রয় করা হালাল নয় এবং তা ভাড়া দেয়াও জায়িয নয়।*
بَابُ بَيْعِ أَرْضِ مَكَّةَ وَإِجَارَتُهَا
5676 - حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الرَّحِيمِ بْنُ سُلَيْمَانَ , عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ , عَنْ أَبِيهِ , عَنْ مُجَاهِدٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ , أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَحِلُّ بَيْعُ بُيُوتِ مَكَّةَ وَلَا إِجَارَتُهَا»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭৭
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৭৭। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, ….. আলকামা ইবন নায়লা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বকর উমার ও উসমান (রাযিঃ)-এর ইন্তেকাল হলো আর তখন মক্কার বাড়ী-ঘরকে বলা হতো 'সাওয়াইব', যার প্রয়োজন সে বসবাস করত। প্রয়োজন না হলে অন্যকে বসবাস করতে দিত।*
5677 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ [ص:49] نَضْلَةَ - بِفَتْحِ وَسُكُونِ الْمُعْجَمَةِ - قَالَ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ وَعُثْمَانُ , وَرِبَاعُ مَكَّةَ تُدْعَى السَّوَائِبَ مَنِ احْتَاجَ سَكَنَ , وَمَنِ اسْتَغْنَى أَسْكَنَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭৮
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৭৮। রাবী আল-মুয়াযযিন বলেন, ...... আলকামা ইবন নাযলা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আবু বকর, উমার ও উসমান (রাযিঃ)-এর যুগে (মক্কার) বাড়ীঘর না তো বিক্রয় করা হতো আর না ভাড়া দেয়া হত। এসব বাড়ী ঘরকে বলা হতো, 'সাওয়া-ইব'। যার প্রয়োজন হত, বসবাস করত আর যার প্রয়োজন হত না সে অন্যকে বসবাস করতে দিত।*
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ উলামা কিরামের একটি দল** এসব হাদীসের ভিত্তিতে বলেন, মক্কার জমীন বিক্রয় করা জায়িয নয় এবং তা ভাড়া দেয়াও জায়িয নয়। যারা এমত পোষণ করেন, তারা হলেন, ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্মাদ ও সুফয়ান ছাওরী। আতা ও মুজাহিদ (রাহঃ) হতেও এমত বর্ণিত আছে।
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ উলামা কিরামের একটি দল** এসব হাদীসের ভিত্তিতে বলেন, মক্কার জমীন বিক্রয় করা জায়িয নয় এবং তা ভাড়া দেয়াও জায়িয নয়। যারা এমত পোষণ করেন, তারা হলেন, ইমাম আবু হানীফা, মুহাম্মাদ ও সুফয়ান ছাওরী। আতা ও মুজাহিদ (রাহঃ) হতেও এমত বর্ণিত আছে।
5678 - حَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُثْمَانُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ نَضْلَةَ، قَالَ: كَانَتِ الدُّورُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَعُثْمَانَ , مَا تُبَاعُ , وَلَا تُكْرَى , وَلَا تُدْعَى إِلَّا السَّوَائِبَ , مَنِ احْتَاجَ سَكَنَ , وَمَنِ اسْتَغْنَى أَسْكَنَ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى هَذِهِ الْآثَارِ فَقَالُوا: لَا يَجُوزُ بَيْعُ أَرْضِ مَكَّةَ وَلَا إِجَارَتُهَا. وَمِمَّنْ قَالَ بِهَذَا الْقَوْلِ , أَبُو حَنِيفَةَ , وَمُحَمَّدٌ , وَسُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ رَحِمَهُ اللهُ وَقَدْ رُوِيَ ذَلِكَ أَيْضًا عَنْ عَطَاءٍ وَمُجَاهِدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৭৯
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৭৯। আহমদ ইবন দাউদ বলেন, …… আতা ইবন আবী রাবাহ হতে বর্ণিত, তিনি, মক্কার ঘরবাড়ীর ভাড়া গ্রহণ করা অপছন্দ করতেন।
5679 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَ: ثنا قُرَّةُ بْنُ حَبِيبٍ، قَالَ: ثنا شُعْبَةُ، عَنِ الْعَوَّامِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، أَنَّهُ كَانَ يَكْرَهُ أُجُورَ بُيُوتِ مَكَّةَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮০
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৮০। ফাহদ বলেন, ..... মুজাহিদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'মক্কা' একটি মুহাব স্থান। এর বাড়ী বিক্রয় করা জায়িয নয় এবং ইজারা দেয়াও জায়িয নয়।
অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল* এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। তারা বলেন, মক্কার যমীন বিক্রয় করা ও ইজারা দেয়ায় কোন অসুবিধা নেই। তারা মক্কাকে অন্যান্য শহরের সমতুল্য মনে করেন। যারা এমত পোষণ করে, তাদের মধ্যে একজন হলেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)। এ ব্যাপারে তারা নিম্নের হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেনঃ
অপর পক্ষে উলামা-ই কিরামের অন্য একটি দল* এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। তারা বলেন, মক্কার যমীন বিক্রয় করা ও ইজারা দেয়ায় কোন অসুবিধা নেই। তারা মক্কাকে অন্যান্য শহরের সমতুল্য মনে করেন। যারা এমত পোষণ করে, তাদের মধ্যে একজন হলেন, ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)। এ ব্যাপারে তারা নিম্নের হাদীসকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেনঃ
5680 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ، قَالَ: ثنا ابْنُ الْأَصْبَهَانِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُهَاجِرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُ قَالَ: مَكَّةُ مُبَاحٌ , لَا يَحِلُّ بَيْعُ رِبَاعِهَا , وَلَا إِجَارَةُ بُيُوتِهَا وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: لَا بَأْسَ بِبَيْعِ أَرْضِهَا وَإِجَارَتِهَا , وَجَعَلُوهَا فِي ذَلِكَ كَسَائِرِ الْبُلْدَانِ. وَمِمَّنْ ذَهَبَ إِلَى هَذَا الْقَوْلِ , أَبُو يُوسُفَ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৮২
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৮১-৮২। ইউনুস বলেন, .... আমর ইবন উসমান হযরত উসামা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ) আপনি মক্কায় আপনার বাড়ীর কোন্ স্থানে অবস্থান করবেন? জবাবে তিনি বললেন, আক্বীল কি আর আমাদের জন্য কোন বাড়ী অবশিষ্ট রেখেছে।” বস্তুতঃ আক্বীল ও তা-লিব আবু তালিবের ওয়ারিস হয়েছিল। হযরত জাফর ও আলী (রাযিঃ) তার ওয়ারিস হননি। কারণ তারা দু'জনই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আর আক্বীল ও তা-লিব ছিল কাফির। আর এ কারণেই হযরত উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলতেন, কোন মু'মিন কোন কাফিরের ওয়ারিস হবেনা।
বাহর ইবন নসর বলেন, ইবন ওয়াহব তাঁর সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীস প্রমাণ করে যে, মক্কার যমীনে মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তার উত্তরাধিকারও জারী হবে। কারণ, এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, আবু তালিব সেখানে যে বাড়ীঘর রেখে গিয়েছিলেন, আক্বীল ও তালিব তার ওয়ারিস হয়েছিল। অতএব এ হাদীস প্রথম হাদীসের বিপরীত বিষয় প্রমাণ করে । আর দু'হাদীস যখন আপাত বিরোধপূর্ণ হলো তখন যুক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন দেখা দেবে, যেন আমরা সঠিক মত বের করতে পারি।
দু' হাদীসের সনদের প্রতি যদি দৃষ্টিপাত করা হয় তবে আলী ইবন হুসাইন (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস অধিক বিশুদ্ধ প্রমাণিত হবে। কিন্তু যুক্তির নিরীখে আমরা সঠিক মতটি উন্মুক্ত করার মুখাপেক্ষী হয়েছি। আমরা 'মাসজিদুল হারাম' কে দেখেছি, সেখানে সমস্ত লোকই সমান। সেখানে কোন ব্যক্তির পক্ষে ঘর নির্মাণ করা জায়িয নেই এবং তার কোন একটি স্থান প্রাচীর ঘিরে দখল করারও কারো অধিকার নেই। অনুরূপ সে সব স্থানের হুকুমও তাই, যেখানে সমস্ত লোকের সমান অধিকার। কারোর কোন মালিকানাসত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। দেখুন না, আরাফার ময়দান, যেখানে মানুষ (হজ্জের সময়) অবস্থান করে, সেখানে যদি কেউ ঘর নির্মাণ করতে চায় তবে তার সে অধিকার নেই। অনুরূপভাবে যদি কেউ মিনায় কোন বাড়ি করতে চায় তবে তাও তাঁর জন্য নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়েছেঃ
বাহর ইবন নসর বলেন, ইবন ওয়াহব তাঁর সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
আবু জা'ফর (রাহঃ) বলেনঃ এ হাদীস প্রমাণ করে যে, মক্কার যমীনে মালিকানা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তার উত্তরাধিকারও জারী হবে। কারণ, এ হাদীসে বলা হয়েছে যে, আবু তালিব সেখানে যে বাড়ীঘর রেখে গিয়েছিলেন, আক্বীল ও তালিব তার ওয়ারিস হয়েছিল। অতএব এ হাদীস প্রথম হাদীসের বিপরীত বিষয় প্রমাণ করে । আর দু'হাদীস যখন আপাত বিরোধপূর্ণ হলো তখন যুক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন দেখা দেবে, যেন আমরা সঠিক মত বের করতে পারি।
দু' হাদীসের সনদের প্রতি যদি দৃষ্টিপাত করা হয় তবে আলী ইবন হুসাইন (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস অধিক বিশুদ্ধ প্রমাণিত হবে। কিন্তু যুক্তির নিরীখে আমরা সঠিক মতটি উন্মুক্ত করার মুখাপেক্ষী হয়েছি। আমরা 'মাসজিদুল হারাম' কে দেখেছি, সেখানে সমস্ত লোকই সমান। সেখানে কোন ব্যক্তির পক্ষে ঘর নির্মাণ করা জায়িয নেই এবং তার কোন একটি স্থান প্রাচীর ঘিরে দখল করারও কারো অধিকার নেই। অনুরূপ সে সব স্থানের হুকুমও তাই, যেখানে সমস্ত লোকের সমান অধিকার। কারোর কোন মালিকানাসত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনা। দেখুন না, আরাফার ময়দান, যেখানে মানুষ (হজ্জের সময়) অবস্থান করে, সেখানে যদি কেউ ঘর নির্মাণ করতে চায় তবে তার সে অধিকার নেই। অনুরূপভাবে যদি কেউ মিনায় কোন বাড়ি করতে চায় তবে তাও তাঁর জন্য নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত হয়েছেঃ
5681 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: ثنا وَهْبٌ , قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ , عَنِ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ , عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , أَتَنْزِلُ فِي دَارِكَ بِمَكَّةَ؟ . فَقَالَ: «وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مِنْ رِبَاعٍ أَوْ دُورٍ؟» . وَكَانَ عَقِيلٌ وَرِثَ أَبَا طَالِبٍ , هُوَ وَطَالِبٌ , وَلَمْ يَرِثْهُ جَعْفَرٌ , وَلَا عَلِيٌّ , لِأَنَّهُمَا كَانَا مُسْلِمَيْنِ , وَكَانَ عَقِيلٌ وَطَالِبٌ , كَافِرَيْنِ. وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ يَقُولُ «لَا يَرِثُ الْمُؤْمِنُ الْكَافِرَ» [ص:50]
5682 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ أَنَّ أَرْضَ مَكَّةَ تُمْلَكُ , وَتُورَثُ , لِأَنَّهُ قَدْ ذَكَرَ فِيهَا مِيرَاثَ عَقِيلٍ وَطَالِبٍ , لَمَّا تَرَكَهُ أَبُو طَالِبٍ فِيهَا مِنْ رِبَاعٍ وَدُورٍ , فَهَذَا خِلَافُ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. وَلَمَّا اخْتَلَفَا , احْتِيجَ إِلَى النَّظَرِ فِي ذَلِكَ , لِنَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. وَلَوْ صَارَ إِلَى طَرِيقِ اخْتِيَارِ الْأَسَانِيدِ , وَصَرَفَ الْقَوْلَ إِلَى ذَلِكَ , لَكَانَ حَدِيثُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَصَحَّهُمَا إِسْنَادًا. وَلَكِنَّا نَحْتَاجُ إِلَى كَشْفِ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ , الَّذِي كُلُّ النَّاسِ فِيهِ سَوَاءٌ , لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَبْنِيَ فِيهِ بِنَاءً , وَلَا يَحْتَجِرَ مِنْهُ مَوْضِعًا , وَكَذَلِكَ حُكْمُ جَمِيعِ الْمَوَاضِعِ الَّتِي لَا يَقَعُ لِأَحَدٍ فِيهَا مِلْكٌ , وَجَمِيعُ النَّاسِ فِيهَا سَوَاءٌ. أَلَا تَرَى أَنَّ «عَرَفَةَ» لَوْ أَرَادَ رَجُلٌ أَنْ يَبْنِيَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي يَقِفُ فِيهِ النَّاسُ فِيهَا بِنَاءً لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لَهُ. وَكَذَلِكَ " مِنًى لَوْ أَرَادَ أَنْ يَبْنِيَ فِيهَا دَارًا , كَانَ مِنْ ذَلِكَ مَمْنُوعًا , وَكَذَلِكَ جَاءَ الْأَثَرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
5682 - حَدَّثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ: ثنا ابْنُ وَهْبٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ , مَا يَدُلُّ أَنَّ أَرْضَ مَكَّةَ تُمْلَكُ , وَتُورَثُ , لِأَنَّهُ قَدْ ذَكَرَ فِيهَا مِيرَاثَ عَقِيلٍ وَطَالِبٍ , لَمَّا تَرَكَهُ أَبُو طَالِبٍ فِيهَا مِنْ رِبَاعٍ وَدُورٍ , فَهَذَا خِلَافُ الْحَدِيثِ الْأَوَّلِ. وَلَمَّا اخْتَلَفَا , احْتِيجَ إِلَى النَّظَرِ فِي ذَلِكَ , لِنَسْتَخْرِجَ مِنَ الْقَوْلَيْنِ , قَوْلًا صَحِيحًا. وَلَوْ صَارَ إِلَى طَرِيقِ اخْتِيَارِ الْأَسَانِيدِ , وَصَرَفَ الْقَوْلَ إِلَى ذَلِكَ , لَكَانَ حَدِيثُ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَصَحَّهُمَا إِسْنَادًا. وَلَكِنَّا نَحْتَاجُ إِلَى كَشْفِ ذَلِكَ مِنْ طَرِيقِ النَّظَرِ , فَاعْتَبَرْنَا ذَلِكَ , فَرَأَيْنَا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ , الَّذِي كُلُّ النَّاسِ فِيهِ سَوَاءٌ , لَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَبْنِيَ فِيهِ بِنَاءً , وَلَا يَحْتَجِرَ مِنْهُ مَوْضِعًا , وَكَذَلِكَ حُكْمُ جَمِيعِ الْمَوَاضِعِ الَّتِي لَا يَقَعُ لِأَحَدٍ فِيهَا مِلْكٌ , وَجَمِيعُ النَّاسِ فِيهَا سَوَاءٌ. أَلَا تَرَى أَنَّ «عَرَفَةَ» لَوْ أَرَادَ رَجُلٌ أَنْ يَبْنِيَ فِي الْمَكَانِ الَّذِي يَقِفُ فِيهِ النَّاسُ فِيهَا بِنَاءً لَمْ يَكُنْ ذَلِكَ لَهُ. وَكَذَلِكَ " مِنًى لَوْ أَرَادَ أَنْ يَبْنِيَ فِيهَا دَارًا , كَانَ مِنْ ذَلِكَ مَمْنُوعًا , وَكَذَلِكَ جَاءَ الْأَثَرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮২
empty
৫৬৮২।
5682 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৮৫
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৮৩-৮৫। আবু বকরা বলেন, ….. হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমরা মিনায় কি আপনার জন্য কোন ঘর নির্মাণ করব না? যেখানে আপনি ছায়া লাভ করবেন? তখন তিনি বললেন, হে আয়েশা! মিনা তো হলো এমন স্থান, যেখানে যে প্রথম গমন করবে, সেটা তার উট বসাবার স্থান (অবস্থান করার স্থান) হবে।
দেখুন না, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে এমন কিছু করার অনুমতি দেননি, যা দ্বারা ছায়া লাভ করা যায়। কারণ, উক্ত স্থানটি হলো এমন যে, সেখানে যে ব্যক্তিই প্রথম গমন করবে উক্ত স্থান তারই অবস্থান স্থলে পরিণত হবে। আর সমস্ত লোকই সেখানে সমান অধিকার রাখে।
হুসাইন ইবন নসর ও আব্দুর রহমান ইবন আর দামেশকী নিজ নিজ সূত্রে ইউসুফ ইবন মাহাক হতে বর্ণনা করেন, তিনি তার আম্মা হতে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর খিদমত করতেন। তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইউসুফ ইবন মাহাক বলেন, তার আম্মা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট দরখাস্ত করলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পর যেন তাঁর স্থানটি তাকে দান করেন। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, আমি না তো তোমার জন্য আর না আমার আহলে বাইতের কারো জন্য এ স্থানটি হালাল মনে করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, মিনার যে স্থানে তিনি অবস্থান করছিলেন।
আবু জা'ফর (রাযিঃ) বলেনঃ যে সব স্থানে সমস্ত মানুষের সমান অধিকার, যেখানে ব্যক্তি মালিকানার কোন সুযোগ নেই, এটা হলো সেই সব স্থানের হুকুম। অথচ মক্কাকে আমরা দেখেছি ভিন্ন অবস্থায়। সেখানে অন্যের পক্ষে নির্মাণ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যে দিন মক্কায় প্রবেশ করেন সে দিন তিনি বলেছিলেন, من دخل دار أبي سفيان , فهو آمن , ومن أغلق عليه بابه , فهو آمن অর্থাৎ যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ, আর যে ব্যক্তি তার নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করবে সেও নিরাপদ। এ হাদীস আমাদের নিকট রাবী' আল মুয়াযযিন, তার সূত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন।
মক্কা যখন এমন স্থান, যেখানে ঘরের দরজা বন্ধ করা যায় এবং সেখানে (ব্যক্তিগতভাবে) ঘরবাড়ীও নির্মাণ করা যায়, তখন সেটা সে সব স্থানের মতই বিবেচিত হবে, যেখানে মালিকানা অধিকার এবং উত্তরাধিকার উভয় প্রতিষ্ঠিত হবে।
যদি কেউ এমতের বিপরীতে আল্লাহ্ পাকের এ আয়াত দ্বারা প্রমাণ করতে চায় যে আল্লাহ্ তো ইরশাদ করেন–
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ
অর্থাৎ যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথ এবং মসজিদুল হারাম হতে বিরত রাখতে চায় যেখানে আমি সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, স্থানীয় এবং বহিরাগত সকলের জন্য। তবে এর জবাবে বলা হবে, 'মুতাকাদ্দিমীম' উলামা-ই কিরাম হতে এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ বর্ণিত হয়েছেঃ
দেখুন না, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাদেরকে এমন কিছু করার অনুমতি দেননি, যা দ্বারা ছায়া লাভ করা যায়। কারণ, উক্ত স্থানটি হলো এমন যে, সেখানে যে ব্যক্তিই প্রথম গমন করবে উক্ত স্থান তারই অবস্থান স্থলে পরিণত হবে। আর সমস্ত লোকই সেখানে সমান অধিকার রাখে।
হুসাইন ইবন নসর ও আব্দুর রহমান ইবন আর দামেশকী নিজ নিজ সূত্রে ইউসুফ ইবন মাহাক হতে বর্ণনা করেন, তিনি তার আম্মা হতে বর্ণনা করেন, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর খিদমত করতেন। তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইউসুফ ইবন মাহাক বলেন, তার আম্মা হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট দরখাস্ত করলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পর যেন তাঁর স্থানটি তাকে দান করেন। তখন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) তাকে বললেন, আমি না তো তোমার জন্য আর না আমার আহলে বাইতের কারো জন্য এ স্থানটি হালাল মনে করি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, মিনার যে স্থানে তিনি অবস্থান করছিলেন।
আবু জা'ফর (রাযিঃ) বলেনঃ যে সব স্থানে সমস্ত মানুষের সমান অধিকার, যেখানে ব্যক্তি মালিকানার কোন সুযোগ নেই, এটা হলো সেই সব স্থানের হুকুম। অথচ মক্কাকে আমরা দেখেছি ভিন্ন অবস্থায়। সেখানে অন্যের পক্ষে নির্মাণ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) যে দিন মক্কায় প্রবেশ করেন সে দিন তিনি বলেছিলেন, من دخل دار أبي سفيان , فهو آمن , ومن أغلق عليه بابه , فهو آمن অর্থাৎ যে ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে, সে নিরাপদ, আর যে ব্যক্তি তার নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করবে সেও নিরাপদ। এ হাদীস আমাদের নিকট রাবী' আল মুয়াযযিন, তার সূত্রে হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি নবী (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন।
মক্কা যখন এমন স্থান, যেখানে ঘরের দরজা বন্ধ করা যায় এবং সেখানে (ব্যক্তিগতভাবে) ঘরবাড়ীও নির্মাণ করা যায়, তখন সেটা সে সব স্থানের মতই বিবেচিত হবে, যেখানে মালিকানা অধিকার এবং উত্তরাধিকার উভয় প্রতিষ্ঠিত হবে।
যদি কেউ এমতের বিপরীতে আল্লাহ্ পাকের এ আয়াত দ্বারা প্রমাণ করতে চায় যে আল্লাহ্ তো ইরশাদ করেন–
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ
অর্থাৎ যারা কুফরী করে এবং আল্লাহর পথ এবং মসজিদুল হারাম হতে বিরত রাখতে চায় যেখানে আমি সকল মানুষের জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, স্থানীয় এবং বহিরাগত সকলের জন্য। তবে এর জবাবে বলা হবে, 'মুতাকাদ্দিমীম' উলামা-ই কিরাম হতে এর ব্যাখ্যা নিম্নরূপ বর্ণিত হয়েছেঃ
86 - 5683 - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرَةَ، قَالَ: ثنا الْحَكَمُ بْنُ مَرْوَانَ الضَّرِيرُ الْكُوفِيُّ، قَالَ: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: قُلْتُ , يَا رَسُولَ اللهِ , أَلَا نَتَّخِذُ لَكَ بِمِنًى شَيْئًا تَسْتَظِلُّ بِهِ؟ . فَقَالَ: يَا عَائِشَةُ , إِنَّهَا مُنَاخٌ لِمَنْ سَبَقَ " أَفَلَا تَرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَأْذَنْ لَهُمْ أَنْ يَجْعَلُوا لَهُ فِيهَا شَيْئًا يَسْتَظِلُّ بِهِ , لِأَنَّهَا مُنَاخُ مَنْ سَبَقَ , وَلِأَنَّ النَّاسَ كُلَّهُمْ فِيهَا سَوَاءٌ
وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ دَخَلَهَا: «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ , فَهُوَ آمِنٌ , وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ , فَهُوَ آمِنٌ»
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ ح
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، وَكَانَتْ تَخْدُمُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ , فَحَدَّثَتْهُ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ. [ص:51] قَالَ: وَسَأَلَتْ أُمِّي مَكَانَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بَعْدَمَا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُعْطِيَهَا إِيَّاهُ. فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: «لَا أُحِلُّ لَكَ وَلَا لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي أَنْ يَسْتَحِلَّ هَذَا الْمَكَانَ» تَعْنِي «مِنًى» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا حُكْمُ الْمَوَاضِعِ الَّتِي النَّاسُ فِيهَا سَوَاءٌ , وَلَا مِلْكَ لِأَحَدٍ عَلَيْهَا , وَرَأَيْنَا مَكَّةَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ , قَدْ أُجِيزَ الْبِنَاءُ فِيهَا
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَتْ مَكَّةُ مِمَّا تُغْلَقُ عَلَيْهِ الْأَبْوَابُ , وَمِمَّا تُبْنَى فِيهَا الْمَنَازِلُ , كَانَتْ صِفَتُهَا , صِفَةَ الْمَوَاضِعِ الَّتِي يَجْرِي عَلَيْهَا الْأَمْلَاكُ , وَيَقَعُ فِيهَا الْمَوَارِيثُ. فَإِنِ احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ} [الحج: 25] . قِيلَ لَهُ: قَدْ رُوِيَ فِي تَأْوِيلِ هَذَا عَنِ الْمُتَقَدِّمِينَ ,
وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ دَخَلَهَا: «مَنْ دَخَلَ دَارَ أَبِي سُفْيَانَ , فَهُوَ آمِنٌ , وَمَنْ أَغْلَقَ عَلَيْهِ بَابَهُ , فَهُوَ آمِنٌ»
حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ ح
وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَمْرٍو الدِّمَشْقِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَا: ثنا إِسْرَائِيلُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الْمُهَاجِرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ مَاهَكَ، عَنْ أُمِّهِ، وَكَانَتْ تَخْدُمُ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ , فَحَدَّثَتْهُ عَنْ عَائِشَةَ، مِثْلَهُ. [ص:51] قَالَ: وَسَأَلَتْ أُمِّي مَكَانَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا بَعْدَمَا تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُعْطِيَهَا إِيَّاهُ. فَقَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: «لَا أُحِلُّ لَكَ وَلَا لِأَحَدٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِي أَنْ يَسْتَحِلَّ هَذَا الْمَكَانَ» تَعْنِي «مِنًى» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَهَذَا حُكْمُ الْمَوَاضِعِ الَّتِي النَّاسُ فِيهَا سَوَاءٌ , وَلَا مِلْكَ لِأَحَدٍ عَلَيْهَا , وَرَأَيْنَا مَكَّةَ عَلَى غَيْرِ ذَلِكَ , قَدْ أُجِيزَ الْبِنَاءُ فِيهَا
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ، رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ، قَالَ: ثنا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا كَانَتْ مَكَّةُ مِمَّا تُغْلَقُ عَلَيْهِ الْأَبْوَابُ , وَمِمَّا تُبْنَى فِيهَا الْمَنَازِلُ , كَانَتْ صِفَتُهَا , صِفَةَ الْمَوَاضِعِ الَّتِي يَجْرِي عَلَيْهَا الْأَمْلَاكُ , وَيَقَعُ فِيهَا الْمَوَارِيثُ. فَإِنِ احْتَجَّ مُحْتَجٌّ فِي ذَلِكَ بِقَوْلِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ {إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ} [الحج: 25] . قِيلَ لَهُ: قَدْ رُوِيَ فِي تَأْوِيلِ هَذَا عَنِ الْمُتَقَدِّمِينَ ,

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৪
empty
৫৬৮৪।
5684 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৫
empty
৫৬৮৫।
5685 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৬
empty
৫৬৮৬।

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৭
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৮৭। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন ...... সাঈদ ইবন জুবাইর (রাযিঃ) হযরত ইবন আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ এর এর অর্থ, মসজিদে হারামে আল্লাহর সকল মাখলুকের সমান অধিকার রয়েছে।
5687 - مَا قَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُسْلِمٍ , عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ «سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ» وَقَالَ: خَلْقُ اللهِ فِيهِ سَوَاءٌ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৮
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৮৮। ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, ….. আবু হুসাইন হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি ইতিকাফ করার ইচ্ছা করলাম। অতঃপর আমি সাঈদ ইবন জুবাইর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন আমি মক্কায় অবস্থান করছিলাম। তিনি বললেন, أَنْتَ عَاكِفٌ অর্থাৎ তুমি তো ই'তিকাফ করছ। অতঃপর তিনি سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ তিলাওয়াত করলেন।*
5688 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ، قَالَ: ثنا أَبُو حُذَيْفَةَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حُصَيْنٍ، قَالَ: أَرَدْتُ أَنْ أَعْتَكِفَ، فَسَأَلْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ وَأَنَا بِمَكَّةَ فَقَالَ: أَنْتَ عَاكِفٌ , ثُمَّ قَرَأَ {سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ} [الحج: 25]

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৮৯
১১. মক্কার জমীন বিক্রয় করা ও ভাড়া দেয়া
৫৬৮৯। ইবন আবী দাউদ বলেন, ...... আতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ এর অর্থ হলো, সমস্ত মানুষ বাইতুল্লার মধ্যে সমান অধিকারী। কেউ অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার নয়।*
এসব রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, যেখানে সমস্ত মানুষের সমান অধিকার, তা দ্বারা কেবল বাইতুল্লাহ্ ও মাসজিদুল হারাম উদ্দেশ্য। সমস্ত মক্কা উদ্দেশ্য নয়। এটাই ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ)-এর মত।
এসব রিওয়ায়াত দ্বারা প্রমাণিত হয়, যেখানে সমস্ত মানুষের সমান অধিকার, তা দ্বারা কেবল বাইতুল্লাহ্ ও মাসজিদুল হারাম উদ্দেশ্য। সমস্ত মক্কা উদ্দেশ্য নয়। এটাই ইমাম আবু ইউসুফ (রাযিঃ)-এর মত।
5689 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ، قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ، عَنْ عَطَاءٍ، قَالَ {سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ} [الحج: 25] قَالَ: النَّاسُ فِي الْبَيْتِ سَوَاءٌ , لَيْسَ أَحَدٌ أَحَقَّ بِهِ مِنْ أَحَدٍ فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّهُ إِنَّمَا قَصَدَ بِذَلِكَ إِلَى الْبَيْتِ أَوْ إِلَى الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ , لَا إِلَى سَائِرِ مَكَّةَ , وَهَذَا قَوْلُ أَبِي يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান