শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১৩. যাবতীয় ক্রয়-বিক্রয়র অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫৬৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৩১
৮. কেউ ফল ক্রয় করে কবয করার পর তা বিপদ গ্রস্ত হলে
৫৬৩০-৩১। ইসমাঈল ইব্ন ইয়াহইয়া আলমুযানী বলেন, .... হযরত জাবির ইব্ন আব্দিল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) একাধিক বছরের জন্য কেরায়া দেয়া হতে নিষেধ করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মাল (এর মূল্য) রহিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া বলেন, ..... হযরত জাবির নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইসমাঈল ইবন ইয়াহইয়া বলেন, ..... হযরত জাবির নবী (ﷺ) হতে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
بَابٌ الرَّجُلُ يَشْتَرِي الثَّمَرَةَ فَيَقْبِضُهَا فَيُصِيبُهَا جَائِحَةٌ
5630 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى الْمُزَنِيُّ، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ حُمَيْدٍ الْأَعْرَجِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَتِيقٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ بَيْعِ السِّنِينَ , وَأَمَرَ بِوَضْعِ الْجَوَائِحِ
5631 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
5631 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى، قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩১
empty
৫৬৩১।
5631 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩২
৮. কেউ ফল ক্রয় করে কবয করার পর তা বিপদ গ্রস্ত হলে
৫৬৩২। বাককার ইব্ন কুতায়বা বলেন, ..... হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী (ﷺ) ক্ষতিগ্রস্ত মাল (এর মূল্য) রহিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আলোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম -* আলোচ্য হাদীসে যে الجوائح শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে, এবং নবী (ﷺ) তা রহিত করার নির্দেশ প্রদান করেছেন, তাদের মতে তা দ্বারা ঐসব ফল উদ্দেশ্য যা কোন ব্যক্তি ক্রয় করার পর তা সে কবযা করে এবং উক্ত ক্রেতার হাতেই কোন বিপদ তাতে আঘাত হানে এবং তার এক-তৃতীয়াংশ বা তার চেয়ে বেশী নষ্ট হয়ে যায়। তারা বলেন, এই বিপদই ক্রেতার নিকট হতে উক্ত বিপদগ্রস্ত ফলের মূল্য বাতিল করে দেয়। তারা একথাও বলেন, ক্রেতার নিকট হতে যদি এক তৃতীয়াংশের কম বিপদগ্রস্ত হয়ে নষ্ট হয় তবে সে ক্ষেত্রে তা ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হবে। আর তার মূল্য কম হোক, কিংবা বেশী-ক্রেতার থেকে রহিত হবেনা। তারা বলেন, তাদের এ বক্তব্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত অন্য এক হাদীসের অনুরূপ। অতঃপর তারা উল্লেখ করেন।
আলোচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল উলামা-ই কিরাম -* আলোচ্য হাদীসে যে الجوائح শব্দের উল্লেখ করা হয়েছে, এবং নবী (ﷺ) তা রহিত করার নির্দেশ প্রদান করেছেন, তাদের মতে তা দ্বারা ঐসব ফল উদ্দেশ্য যা কোন ব্যক্তি ক্রয় করার পর তা সে কবযা করে এবং উক্ত ক্রেতার হাতেই কোন বিপদ তাতে আঘাত হানে এবং তার এক-তৃতীয়াংশ বা তার চেয়ে বেশী নষ্ট হয়ে যায়। তারা বলেন, এই বিপদই ক্রেতার নিকট হতে উক্ত বিপদগ্রস্ত ফলের মূল্য বাতিল করে দেয়। তারা একথাও বলেন, ক্রেতার নিকট হতে যদি এক তৃতীয়াংশের কম বিপদগ্রস্ত হয়ে নষ্ট হয় তবে সে ক্ষেত্রে তা ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হবে। আর তার মূল্য কম হোক, কিংবা বেশী-ক্রেতার থেকে রহিত হবেনা। তারা বলেন, তাদের এ বক্তব্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণিত অন্য এক হাদীসের অনুরূপ। অতঃপর তারা উল্লেখ করেন।
5632 - حَدَّثَنَا بَكَّارُ بْنُ قُتَيْبَةَ، قَالَ: ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي الْوَزِيرِ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ حُمَيْدٍ الْأَعْرَجِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَتِيقٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَ بِوَضْعِ الْجَائِحَةِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَعْنَى هَذِهِ الْجَوَائِحِ الَّتِي أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِوَضْعِهَا , هِيَ الثِّمَارُ , يَبْتَاعُهَا الرَّجُلُ فَيَقْبِضُهَا , فَيُصِيبُهَا فِي يَدِهِ جَائِحَةٌ , فَيَذْهَبُ بِثُلُثِهَا فَصَاعِدًا. قَالُوا: فَذَلِكَ يُبْطِلُ ثَمَنَهَا عَنِ الْمُشْتَرِي. قَالُوا: وَمَا أَصَابَهَا , فَأَذْهَبَ بِشَيْءٍ مِنْهَا دُونَ ثُلُثِهَا , ذَهَبَ ذَلِكَ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي , وَلَمْ يَبْطُلْ عَنْهُ مِنْ ثَمَنِهِ شَيْءٌ , قَلِيلٌ وَلَا كَثِيرٌ. قَالُوا: وَهَذَا مِثْلُ الْحَدِيثِ الْآخَرِ الْمَرْوِيِّ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৩৪
৮. কেউ ফল ক্রয় করে কবয করার পর তা বিপদ গ্রস্ত হলে
৫৬৩৩-৩৪। ইউনুস বলেন, ..... হযরত জাবির ইব্ন আব্দিল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যদি তুমি তোমার ভায়ের নিকট গাছের ফল বিক্রয় কর, অতঃপর তাতে কোন বিপদ পৌঁছাল তবে তোমার পক্ষে তার নিকট হতে কিছু গ্রহণ করা হালাল হবেনা। কোন হক ব্যতীত তুমি কিসের বিনিমযে তোমার ভায়ের মাল নিবে?
ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, ..... ইবন জুরাইজ নিজস্ব সনদে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।* তারা বলেন, এ হাদীস الجائحة এর ঐ অর্থ-ই বর্ণনা করেছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। উল্লেখিত উলামা-ই কিরামের এ ব্যাখ্যার বিরোধিতা করেছেন উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত।** তারা বলেন, ক্রেতা বিক্রেতার নিকট হতে ক্রয় করে কবযা করার পর কম-বেশী যাই নষ্ট হোক না কেন, তা ক্রেতার মাল হতে নষ্ট হবে। আর বিক্রেতার নিকট হতে কবযা করার পূর্বে যতটুকু নষ্ট হবে ক্রেতার থেকে ঐ পরিমাণের মূল্য বাতিল হবে। তাঁরা বলেন, আপনারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এই যে সব হাদীস উল্লেখ করেছেন, তা বিশুদ্ধ-গ্রহণযোগ্য, বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হবার কারণে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি না। তবে প্রথম মতের অনুসারীগণ এ হাদীসসমূহের যে ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, আমরা তার বিরোধিতা করি। এবং এসব হাদীসে যে الجوائح শব্দটি রয়েছে আমরা তার অর্থ করি, ‘ঐসব বিপদ' যা দ্বারা মানুষ বিপদগ্রস্ত হয় এবং এ বিপদ ঐ খেরাজী যমীনে, যার খেরাজ মুসলমানরা ভোগ করে তাদেরকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে। এ ক্ষেত্রে উক্ত খেরাজ তাদের থেকে রহিত করা ওয়াজিব। কারণ, এ অবস্থায় খেরাজ রহিত করায়-ই মুসলমানদের কল্যাণ নিহিত এবং তাদের যমীন আবাদ করায় সাহায্য ও শক্তি সঞ্চয় করে। এসব হাদীসে যে الجوائح ও বিপদ-আপদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা ক্রয়-বিক্রয়ের বস্তুসমূহের সহিত সম্পৃক্ত নয়। এটা হলো অনুচ্ছেদের শুরুতে হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যা। তবে হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক দ্বিতীয় যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার অর্থ এর থেকে ভিন্ন। আর দ্বিতীয় যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে বিক্রয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ ক্রেতা তার ক্রয় করা ফল যে কবযা করেছে হাদীসের মধ্যে তা উল্লেখ করা হয়নি। আর আমাদের মতে ক্রেতার কবযা করার পূর্বে যেসব ক্রয় করা বস্তু বিক্রেতার হাতে আপদ-বিপদের সম্মুখীন হয়ে নষ্ট হয়, বিক্রেতার জন্য তার মূল্য গ্রহণ করা হালাল নয়। কারণ এ ক্ষেত্রে বিক্রেতারা তার মূল্য গ্রহণ করলে কোন হক ছাড়াই তারা তার মূল্য গ্রহণ করবে। এ হাদীসের ব্যাখ্যা তাদের মতে এটাই ।
তবে ক্রেতারা যে ফল ক্রয় করার পর কবযা করে এবং ফল তাদের নিয়ন্ত্রণে এসে যায় সেটা অন্যান্য সকল ক্রয়-বিক্রয়ের মত বিবেচিত, যার মধ্যে ক্রেতাদের ক্রয় করা মাল কবযা করার পর তা বিপদ-আপদে নষ্ট হলে সে ক্ষেত্রে যেমন তা ক্রেতাদের মাল হতেই নষ্ট হয়, বিক্রেতার মাল নষ্ট হয় না; অনুরূপভাবে ক্রেতারা ফল কবযা করার পর তাদের হাতে তা নষ্ট হলে তাদের ফল হতেই তা নষ্ট হবে। এটাই হলো আমাদের যুক্তি এবং এ হাদীসকে এর ওপরই প্রয়োগ করা হয়েছে। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত, যা আমাদের এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ
ইবরাহীম ইবন মারযূক বলেন, ..... ইবন জুরাইজ নিজস্ব সনদে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।* তারা বলেন, এ হাদীস الجائحة এর ঐ অর্থ-ই বর্ণনা করেছে, যা আমরা উল্লেখ করেছি। উল্লেখিত উলামা-ই কিরামের এ ব্যাখ্যার বিরোধিতা করেছেন উলামা-ই কিরামের অন্য একটি জামাত।** তারা বলেন, ক্রেতা বিক্রেতার নিকট হতে ক্রয় করে কবযা করার পর কম-বেশী যাই নষ্ট হোক না কেন, তা ক্রেতার মাল হতে নষ্ট হবে। আর বিক্রেতার নিকট হতে কবযা করার পূর্বে যতটুকু নষ্ট হবে ক্রেতার থেকে ঐ পরিমাণের মূল্য বাতিল হবে। তাঁরা বলেন, আপনারা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে এই যে সব হাদীস উল্লেখ করেছেন, তা বিশুদ্ধ-গ্রহণযোগ্য, বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত হবার কারণে আমরা তা প্রত্যাখ্যান করি না। তবে প্রথম মতের অনুসারীগণ এ হাদীসসমূহের যে ব্যাখ্যা পেশ করেছেন, আমরা তার বিরোধিতা করি। এবং এসব হাদীসে যে الجوائح শব্দটি রয়েছে আমরা তার অর্থ করি, ‘ঐসব বিপদ' যা দ্বারা মানুষ বিপদগ্রস্ত হয় এবং এ বিপদ ঐ খেরাজী যমীনে, যার খেরাজ মুসলমানরা ভোগ করে তাদেরকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন করে। এ ক্ষেত্রে উক্ত খেরাজ তাদের থেকে রহিত করা ওয়াজিব। কারণ, এ অবস্থায় খেরাজ রহিত করায়-ই মুসলমানদের কল্যাণ নিহিত এবং তাদের যমীন আবাদ করায় সাহায্য ও শক্তি সঞ্চয় করে। এসব হাদীসে যে الجوائح ও বিপদ-আপদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা ক্রয়-বিক্রয়ের বস্তুসমূহের সহিত সম্পৃক্ত নয়। এটা হলো অনুচ্ছেদের শুরুতে হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যা। তবে হযরত জাবির (রাযিঃ) কর্তৃক দ্বিতীয় যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার অর্থ এর থেকে ভিন্ন। আর দ্বিতীয় যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্যে বিক্রয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ ক্রেতা তার ক্রয় করা ফল যে কবযা করেছে হাদীসের মধ্যে তা উল্লেখ করা হয়নি। আর আমাদের মতে ক্রেতার কবযা করার পূর্বে যেসব ক্রয় করা বস্তু বিক্রেতার হাতে আপদ-বিপদের সম্মুখীন হয়ে নষ্ট হয়, বিক্রেতার জন্য তার মূল্য গ্রহণ করা হালাল নয়। কারণ এ ক্ষেত্রে বিক্রেতারা তার মূল্য গ্রহণ করলে কোন হক ছাড়াই তারা তার মূল্য গ্রহণ করবে। এ হাদীসের ব্যাখ্যা তাদের মতে এটাই ।
তবে ক্রেতারা যে ফল ক্রয় করার পর কবযা করে এবং ফল তাদের নিয়ন্ত্রণে এসে যায় সেটা অন্যান্য সকল ক্রয়-বিক্রয়ের মত বিবেচিত, যার মধ্যে ক্রেতাদের ক্রয় করা মাল কবযা করার পর তা বিপদ-আপদে নষ্ট হলে সে ক্ষেত্রে যেমন তা ক্রেতাদের মাল হতেই নষ্ট হয়, বিক্রেতার মাল নষ্ট হয় না; অনুরূপভাবে ক্রেতারা ফল কবযা করার পর তাদের হাতে তা নষ্ট হলে তাদের ফল হতেই তা নষ্ট হবে। এটাই হলো আমাদের যুক্তি এবং এ হাদীসকে এর ওপরই প্রয়োগ করা হয়েছে। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) হতে বর্ণিত, যা আমাদের এ সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ
5633 - فَذَكَرُوا مَا قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ , أَنَّ أَبَا الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ , عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنْ بِعْتَ مِنْ أَخِيكَ ثَمَرًا فَأَصَابَتْهُ جَائِحَةٌ , فَلَا يَحِلُّ لَكَ أَنْ تَأْخُذَ مِنْهُ شَيْئًا , بِمَ تَأْخُذُ مَالَ أَخِيكَ بِغَيْرِ حَقٍّ»
5634 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالُوا. قَدْ بَيَّنَ هَذَا الْحَدِيثَ , الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَا ذَهَبَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ شَيْءٍ , قَلَّ أَوْ كَثُرَ , بَعْدَ أَنْ يَقْبِضَهُ الْمُشْتَرِي , ذَهَبَ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي. وَمَا ذَهَبَ فِي يَدِ الْبَائِعِ , قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَهُ الْمُشْتَرِي , بَطَلَ ثَمَنُهُ عَنِ الْمُشْتَرِي. وَقَالُوا: مَا هَذِهِ الْآثَارُ الْمَرْوِيَّةُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي ذَكَرْتُمُوهَا , فَمَقْبُولٌ صَحِيحٌ عَلَى مَا جَاءَ. وَلَسْنَا نَدْفَعُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا لِصِحَّةِ مَخْرَجِهِ , وَلَكِنَّا نُخَالِفُ التَّأْوِيلَ الَّذِي تَأَوَّلَهَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. وَنَقُولُ: إِنَّ مَعْنَى الْجَوَائِحِ الْمَذْكُورَةِ فِيهَا , هِيَ الْجَوَائِحُ الَّتِي يُصَابُ النَّاسُ بِهَا , وَيَجْتَاحُهُمْ فِي الْأَرْضِينَ الْخَرَاجِيَّةِ الَّتِي خَرَاجُهَا لِلْمُسْلِمِينَ , فَيُوضَعُ ذَلِكَ الْخَرَاجُ عَنْهُمْ وَاجِبٌ لَازِمٌ , لِأَنَّ فِي ذَلِكَ صَلَاحًا لِلْمُسْلِمِينَ , وَتَقْوِيَةً لَهُمْ فِي عِمَارَةِ أَرَضِيهِمْ فَأَمَّا فِي الْأَشْيَاءِ الْمَبِيعَاتِ , فَلَا. فَهَذَا تَأْوِيلُ حَدِيثِ جَابِرٍ , الَّذِي فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. وَأَمَّا حَدِيثُ جَابِرٍ الثَّانِي , فَمَعْنَاهُ غَيْرُ هَذَا الْمَعْنَى , وَذَلِكَ أَنَّهُ ذَكَرَ فِيهِ الْبَيْعَ , وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْقَبْضَ. فَذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى الْبِيَاعَاتِ الَّتِي تُصَابُ فِي أَيْدِي بَائِعِيهَا , قَبْلَ قَبْضِ الْمُشْتَرِي لَهَا , فَلَا يَحِلُّ لِلْبَاعَةِ أَخْذُ أَثْمَانِهَا , لِأَنَّهُمْ يَأْخُذُونَهَا بِغَيْرِ حَقٍّ. فَهَذَا تَأْوِيلُ هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَهُمْ. فَأَمَّا مَا قَبَضَهُ الْمُشْتَرُونَ , وَصَارَ فِي أَيْدِيهِمْ , فَذَلِكَ كَسَائِرِ الْبِيَاعَاتِ , الَّتِي يَقْبِضُهَا الْمُشْتَرُونَ لَهَا , فَيَحْدُثُ بِهَا الْآفَاتُ فِي أَيْدِيهِمْ. فَكَمَا كَانَ غَيْرُ الثِّمَارِ , يَذْهَبُ مِنْ أَمْوَالِ الْمُشْتَرِينَ لَهَا , لَا مِنْ أَمْوَالِ بَاعَتِهَا , فَكَذَلِكَ الثِّمَارُ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ أَوْلَى , مَا حُمِلَ عَلَيْهِ هَذَا الْحَدِيثُ
5634 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ , فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ قَالُوا. قَدْ بَيَّنَ هَذَا الْحَدِيثَ , الْمَعْنَى الَّذِي ذَكَرْنَا. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَا ذَهَبَ مِنْ ذَلِكَ مِنْ شَيْءٍ , قَلَّ أَوْ كَثُرَ , بَعْدَ أَنْ يَقْبِضَهُ الْمُشْتَرِي , ذَهَبَ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي. وَمَا ذَهَبَ فِي يَدِ الْبَائِعِ , قَبْلَ أَنْ يَقْبِضَهُ الْمُشْتَرِي , بَطَلَ ثَمَنُهُ عَنِ الْمُشْتَرِي. وَقَالُوا: مَا هَذِهِ الْآثَارُ الْمَرْوِيَّةُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي ذَكَرْتُمُوهَا , فَمَقْبُولٌ صَحِيحٌ عَلَى مَا جَاءَ. وَلَسْنَا نَدْفَعُ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا لِصِحَّةِ مَخْرَجِهِ , وَلَكِنَّا نُخَالِفُ التَّأْوِيلَ الَّذِي تَأَوَّلَهَا عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى. وَنَقُولُ: إِنَّ مَعْنَى الْجَوَائِحِ الْمَذْكُورَةِ فِيهَا , هِيَ الْجَوَائِحُ الَّتِي يُصَابُ النَّاسُ بِهَا , وَيَجْتَاحُهُمْ فِي الْأَرْضِينَ الْخَرَاجِيَّةِ الَّتِي خَرَاجُهَا لِلْمُسْلِمِينَ , فَيُوضَعُ ذَلِكَ الْخَرَاجُ عَنْهُمْ وَاجِبٌ لَازِمٌ , لِأَنَّ فِي ذَلِكَ صَلَاحًا لِلْمُسْلِمِينَ , وَتَقْوِيَةً لَهُمْ فِي عِمَارَةِ أَرَضِيهِمْ فَأَمَّا فِي الْأَشْيَاءِ الْمَبِيعَاتِ , فَلَا. فَهَذَا تَأْوِيلُ حَدِيثِ جَابِرٍ , الَّذِي فِي أَوَّلِ هَذَا الْبَابِ. وَأَمَّا حَدِيثُ جَابِرٍ الثَّانِي , فَمَعْنَاهُ غَيْرُ هَذَا الْمَعْنَى , وَذَلِكَ أَنَّهُ ذَكَرَ فِيهِ الْبَيْعَ , وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْقَبْضَ. فَذَلِكَ عِنْدَنَا عَلَى الْبِيَاعَاتِ الَّتِي تُصَابُ فِي أَيْدِي بَائِعِيهَا , قَبْلَ قَبْضِ الْمُشْتَرِي لَهَا , فَلَا يَحِلُّ لِلْبَاعَةِ أَخْذُ أَثْمَانِهَا , لِأَنَّهُمْ يَأْخُذُونَهَا بِغَيْرِ حَقٍّ. فَهَذَا تَأْوِيلُ هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَهُمْ. فَأَمَّا مَا قَبَضَهُ الْمُشْتَرُونَ , وَصَارَ فِي أَيْدِيهِمْ , فَذَلِكَ كَسَائِرِ الْبِيَاعَاتِ , الَّتِي يَقْبِضُهَا الْمُشْتَرُونَ لَهَا , فَيَحْدُثُ بِهَا الْآفَاتُ فِي أَيْدِيهِمْ. فَكَمَا كَانَ غَيْرُ الثِّمَارِ , يَذْهَبُ مِنْ أَمْوَالِ الْمُشْتَرِينَ لَهَا , لَا مِنْ أَمْوَالِ بَاعَتِهَا , فَكَذَلِكَ الثِّمَارُ. فَهَذَا هُوَ النَّظَرُ , وَهُوَ أَوْلَى , مَا حُمِلَ عَلَيْهِ هَذَا الْحَدِيثُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩৪
empty
৫৬৩৪।
5634 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৫৬৩৮
৮. কেউ ফল ক্রয় করে কবয করার পর তা বিপদ গ্রস্ত হলে
৫৬৩৫-৩৮। ইউনূস রাবী'আল মুয়াযযিন ও আবু উমাইয়্যা ..... হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি ফল ক্রয় করে বিপদগ্রস্ত হলে তার ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, একে তোমরা সাদকা কর। অতঃপর তাকে সদকা প্রদান করা হলো কিন্তু তাতে তার ঋণ পরিশোধ হয় সে পরিমাণ মাল তার হলোনা। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঋণদাতাদের বললেন, তোমরা যা পেয়েছ, তা-ই নিয়ে যাও। এছাড়া তোমাদের জন্য অতিরিক্ত কিছু নেই।
ফল নষ্ট হবার পরও যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাওনাদারদের ঋণ বাতিল করেননি, আর যাদের মধ্যে বিক্রেতারাও রয়েছে, অথচ বিক্রেতা ক্রেতার নিকট হতে ফলের মূল্য নিয়ে থাকলে তিনি ক্রেতাকে ফলের মূল্য ফেরত নেয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট প্রেরণ করেন নি। এতে প্রমাণিত হয় যে, ক্রেতার কবযায় ফল পৌঁছাবার পর কোন বিপদ-আপদে ফল নষ্ট হলে তার নিকট বিক্রেতার যে ফলের মূল্য পাওনা রয়েছে তার একটুও নষ্ট হবেনা।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে গাছের ফল অন্য বস্তুর সদৃশ নয়। কারণ, এ ফল তো খেজুর গাছের মাথায় ঝুলন্ত রয়েছে, যা কাটা ব্যতীত ক্রেতার হস্তগত হতে পারেনা, অথচ অন্যান্য বস্তু এমন নয়। অতএব ক্রয়-বিক্রয়ের যে বস্তু নতুনভাবে পৃথক না করেও ক্রেতার হস্তগত হতে পারে তা নষ্ট হলে তো ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হবে। আর যে বস্তু নতুনভাবে পৃথক করা ব্যতীত ক্রেতার হস্তগত হতে পারেনা তা নষ্ট হলে বিক্রেতার মাল হতে নষ্ট হবে।
তবে তার প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, তার এ প্রশ্ন দু কারণে বাতিলঃ ১. আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, এই ফল গাছের মাথায় ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় যখন বিক্রয় করা হলো অতঃপর বিক্রেতার কবযায় থাকা অবস্থায়ই তার পুরোটাই কিংবা কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গেল, তবে সে ক্ষেত্রে বিক্রেতার মালই নষ্ট হলো, ক্রেতার নয়। এক্ষেত্রে নষ্টের পরিমাণ কম হোক কিংবা বেশী, সবই সমান। কারণ ক্রেতা তা কবযা করেনি। আর যখন ক্রেতা কবয করল এবং তার হাতে এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হলো সে ক্ষেত্রে সকল উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন যে, এই মাল ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হয়েছে। কারণ সে কবযা করার পর উক্ত মাল তার হাতে নষ্ট হয়েছে। আর যে ক্ষেত্রে বিক্রেতার হাতে থাকা অবস্থায় নষ্টের পরিমাণ কম হোক কিংবা বেশী, বিক্রেতার মাল নষ্ট হয়েছে বলেই বিবেচিত হয় এবং ক্রেতার কবযা করার পর কম নষ্ট হলে তার মালই নষ্ট হয় অতএব তার কবযায় আসার পর বেশী মাল নষ্ট হলেও অনুরূপভাবে তার মালই নষ্ট হবে। আর বিক্রেতা তার দখল ত্যাগ করে ক্রেতা ও গাছের ফলের মাঝে বাধামুক্ত করে দেয়াতেই ক্রেতার কবযা প্রতিষ্টিত হয়, গাছ হতে ফল না কাটলেও এ কবযা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ হলো এক কারণ। আর দ্বিতীয় কারণ হলো, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করে কবযা করার পূর্বে তা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আর এ বিষয়ে সমস্ত মুসলমানই একমত, আর খেজুরও সর্বসম্মতিক্রমে খাদ্য সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত। উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন যে, যে ব্যক্তি খেজুর ক্রয় করল, যদি সে তা বিক্রেতার হাতে থাকা অবস্থায়ই বিক্রয় করে তবে তার বিক্রয় হবে বাতিল। আর যদি বিক্রেতা, ক্রেতা ও ফলের মাঝে বাধামুক্ত করে দেয় এবং তার পর ক্রেতা যদি ফল না কেটেই তা বিক্রয় করে তবে তা হবে জায়িয ও বৈধ। এতে একথা প্রমাণিত হয় যে, গাছ হতে ফল কাটার পূর্বেই ক্রেতা ও ফলের মাঝে বিক্রেতার বাধা মুক্ত করে দেয়াতেই ক্রেতার কবযা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সে তার অধিকারী হয়। এ আলোচনা দ্বারা একথা প্রমাণিত হলো যে, গাছে ঝুলন্ত ফলে ক্রেতার 'কবযা' করার অর্থ হলো, ফল কাটার পূর্বে ক্রেতা ও ফলের মাঝে বিক্রেতার বাধা মুক্ত করা । বিক্রেতা যখন তার এ কাজ সম্পন্ন করল, তখনই গাছের ফল ক্রেতার হস্তগত হলো এবং তারই দায়িত্বে অর্পিত হলো এবং বিক্রেতা সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বমুক্ত হলো। অতএব এরপর উক্ত ফল কোন বিপদ-আপদে আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে নষ্ট হলে তা ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হবে, বিক্রেতার মাল হতে নয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
ফল নষ্ট হবার পরও যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) পাওনাদারদের ঋণ বাতিল করেননি, আর যাদের মধ্যে বিক্রেতারাও রয়েছে, অথচ বিক্রেতা ক্রেতার নিকট হতে ফলের মূল্য নিয়ে থাকলে তিনি ক্রেতাকে ফলের মূল্য ফেরত নেয়ার জন্য বিক্রেতার নিকট প্রেরণ করেন নি। এতে প্রমাণিত হয় যে, ক্রেতার কবযায় ফল পৌঁছাবার পর কোন বিপদ-আপদে ফল নষ্ট হলে তার নিকট বিক্রেতার যে ফলের মূল্য পাওনা রয়েছে তার একটুও নষ্ট হবেনা।
যদি কেউ প্রশ্ন করে যে, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে গাছের ফল অন্য বস্তুর সদৃশ নয়। কারণ, এ ফল তো খেজুর গাছের মাথায় ঝুলন্ত রয়েছে, যা কাটা ব্যতীত ক্রেতার হস্তগত হতে পারেনা, অথচ অন্যান্য বস্তু এমন নয়। অতএব ক্রয়-বিক্রয়ের যে বস্তু নতুনভাবে পৃথক না করেও ক্রেতার হস্তগত হতে পারে তা নষ্ট হলে তো ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হবে। আর যে বস্তু নতুনভাবে পৃথক করা ব্যতীত ক্রেতার হস্তগত হতে পারেনা তা নষ্ট হলে বিক্রেতার মাল হতে নষ্ট হবে।
তবে তার প্রশ্নের জবাবে বলা হবে, তার এ প্রশ্ন দু কারণে বাতিলঃ ১. আমরা প্রত্যক্ষ করেছি যে, এই ফল গাছের মাথায় ঝুলন্ত থাকা অবস্থায় যখন বিক্রয় করা হলো অতঃপর বিক্রেতার কবযায় থাকা অবস্থায়ই তার পুরোটাই কিংবা কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গেল, তবে সে ক্ষেত্রে বিক্রেতার মালই নষ্ট হলো, ক্রেতার নয়। এক্ষেত্রে নষ্টের পরিমাণ কম হোক কিংবা বেশী, সবই সমান। কারণ ক্রেতা তা কবযা করেনি। আর যখন ক্রেতা কবয করল এবং তার হাতে এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হলো সে ক্ষেত্রে সকল উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন যে, এই মাল ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হয়েছে। কারণ সে কবযা করার পর উক্ত মাল তার হাতে নষ্ট হয়েছে। আর যে ক্ষেত্রে বিক্রেতার হাতে থাকা অবস্থায় নষ্টের পরিমাণ কম হোক কিংবা বেশী, বিক্রেতার মাল নষ্ট হয়েছে বলেই বিবেচিত হয় এবং ক্রেতার কবযা করার পর কম নষ্ট হলে তার মালই নষ্ট হয় অতএব তার কবযায় আসার পর বেশী মাল নষ্ট হলেও অনুরূপভাবে তার মালই নষ্ট হবে। আর বিক্রেতা তার দখল ত্যাগ করে ক্রেতা ও গাছের ফলের মাঝে বাধামুক্ত করে দেয়াতেই ক্রেতার কবযা প্রতিষ্টিত হয়, গাছ হতে ফল না কাটলেও এ কবযা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ হলো এক কারণ। আর দ্বিতীয় কারণ হলো, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করে কবযা করার পূর্বে তা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আর এ বিষয়ে সমস্ত মুসলমানই একমত, আর খেজুরও সর্বসম্মতিক্রমে খাদ্য সামগ্রীর অন্তর্ভুক্ত। উলামা-ই কিরাম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন যে, যে ব্যক্তি খেজুর ক্রয় করল, যদি সে তা বিক্রেতার হাতে থাকা অবস্থায়ই বিক্রয় করে তবে তার বিক্রয় হবে বাতিল। আর যদি বিক্রেতা, ক্রেতা ও ফলের মাঝে বাধামুক্ত করে দেয় এবং তার পর ক্রেতা যদি ফল না কেটেই তা বিক্রয় করে তবে তা হবে জায়িয ও বৈধ। এতে একথা প্রমাণিত হয় যে, গাছ হতে ফল কাটার পূর্বেই ক্রেতা ও ফলের মাঝে বিক্রেতার বাধা মুক্ত করে দেয়াতেই ক্রেতার কবযা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সে তার অধিকারী হয়। এ আলোচনা দ্বারা একথা প্রমাণিত হলো যে, গাছে ঝুলন্ত ফলে ক্রেতার 'কবযা' করার অর্থ হলো, ফল কাটার পূর্বে ক্রেতা ও ফলের মাঝে বিক্রেতার বাধা মুক্ত করা । বিক্রেতা যখন তার এ কাজ সম্পন্ন করল, তখনই গাছের ফল ক্রেতার হস্তগত হলো এবং তারই দায়িত্বে অর্পিত হলো এবং বিক্রেতা সম্পূর্ণরূপে দায়িত্বমুক্ত হলো। অতএব এরপর উক্ত ফল কোন বিপদ-আপদে আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে নষ্ট হলে তা ক্রেতার মাল হতেই নষ্ট হবে, বিক্রেতার মাল হতে নয়। আর এটাই ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর মত।
38 - 5635 - لِأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا قَدْ حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ ح
وَحَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ ح
وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ ح
وَحَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّيْلَحِينِيُّ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , قَالُوا: جَمِيعًا , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ , عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , قَالَ: أُصِيبَ رَجُلٌ مِنْ ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا , فَكَثُرَ دَيْنُهُ. [ص:36] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَصَدَّقُوا عَلَيْهِ» فَتُصُدِّقَ عَلَيْهِ , فَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ وَفَاءَ دَيْنِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذُوا مَا وَجَدْتُمْ , وَلَيْسَ لَكُمْ إِلَّا ذَلِكَ» فَلَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبْطِلْ دَيْنَ الْغُرَمَاءِ , بِذَهَابِ الثِّمَارِ , وَفِيهِمْ بَاعَتُهَا , وَلَمْ يَرُدَّهُ عَلَى الْبَاعَةِ بِالثَّمَنِ , إِنْ كَانُوا قَدْ قَبَضُوا ذَلِكَ مِنْهُ , ثَبَتَ أَنَّ الْجَوَائِحَ الْحَادِثَةَ فِي يَدِ الْمُشْتَرِي , لَا تَكُونُ مُطَالِبَةً عَنْهُ شَيْئًا مِنَ الثَّمَنِ , الَّذِي عَلَيْهِ لِلْبَائِعِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّ الثِّمَارَ لَا تُشْبِهُ سَائِرَ الْبِيَاعَاتِ لِأَنَّهَا مُعَلَّقَةٌ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ , لَا يَصِلُ إِلَيْهَا يَدُ مَنِ ابْتَاعَهَا إِلَّا بِقَطْعِهِ إِيَّاهَا , وَسَائِرُ الْأَشْيَاءِ لَيْسَتْ كَذَلِكَ. فَمَا يَكُونُ مَقْبُوضًا بِغَيْرِ قَطْعٍ مُسْتَأْنَفٍ , فَهُوَ الَّذِي يَذْهَبُ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي. وَمَا كَانَ لَا يُقْبَضُ إِلَّا بِقَطْعٍ مُسْتَأْنَفٍ , فَهُوَ الَّذِي يَذْهَبُ مِنْ مَالِ الْبَائِعِ. قِيلَ لَهُ: هَذَا الْكَلَامُ فَاسِدٌ مِنْ وَجْهَيْنِ: أَمَّا أَحَدُهُمَا , فَإِنَّا رَأَيْنَا هَذِهِ الثِّمَارَ , إِذَا بِيعَتْ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ , فَذَهَبَتْ بِكَمَالِهَا , أَوْ ذَهَبَ مِنْهَا شَيْءٌ فِي أَيْدِي بَاعَتِهَا , ذَهَبَ ذَلِكَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ دُونَ أَمْوَالِ الْمُشْتَرِينَ , فَكَانَ ذَهَابُ قَلِيلِهَا وَكَثِيرِهَا فِي ذَلِكَ سَوَاءً , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَقْبِضُوهَا فَإِذَا قَبَضُوهَا , فَذَهَبَ مِنْهَا مَا دُونَ الثُّلُثِ , فَقَدْ أُجْمِعَ أَنَّهُ ذَاهِبٌ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي , لِأَنَّهُ ذَهَبَ بَعْدَ قَبْضِهِ إِيَّاهُ. فَلَمَّا اسْتَوَى ذَهَابُ قَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ فِي يَدِ الْبَائِعِ , فَكَانَ قَلِيلُهُ إِذَا ذَهَبَ فِي يَدِ الْمُشْتَرِي , ذَهَبَ مِنْ مَالِهِ , كَانَ ذَهَابُ كَثِيرِهِ كَذَلِكَ. وَكَانَ الْمُشْتَرِي، لِتَخْلِيَةِ الْبَائِعِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ثَمَرِ النَّخْلِ، قَابِضًا لَهُ , وَإِنْ لَمْ يَقْطَعْهُ , فَهَذَا وَجْهٌ. وَوَجْهٌ آخَرُ , أَنَّا رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ , حَتَّى يُقْبَضَ , وَأَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى ذَلِكَ , وَكَانَتِ الثِّمَارُ فِي ذَلِكَ دَاخِلَةً بِاتِّفَاقِهِمْ وَأَجْمَعُوا أَنَّ الْمُشْتَرِيَ لَهَا لَوْ بَاعَهَا فِي يَدِ بَائِعِهَا , كَانَ بَيْعُهُ بَاطِلًا , وَلَوْ بَاعَهَا بَعْدَ أَنْ خَلَّى الْبَائِعُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , وَلَمْ يَقْطَعْهَا , كَانَ بَيْعُهُ جَائِزًا , فَصَارَ قَابِضًا لَهَا , بِتَخْلِيَةِ الْبَائِعِ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , قَبْلَ قَطْعِهِ إِيَّاهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ قَبْضَ الْمُشْتَرِي الْمُعَلَّقَةَ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ , هُوَ بِتَخْلِيَةِ الْبَائِعِ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , وَإِمْكَانِهِ إِيَّاهُ مِنْهَا. فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ بِهِ , فَقَدْ صَارَتْ فِي يَدِهِ وَضَمَانِهِ , وَبَرِئَ مِنْهَا الْبَائِعُ. فَمَا حَدَثَ فِيهَا مِنْ جَائِحَةٍ , أَتَتْ عَلَيْهَا كُلِّهَا , أَوْ عَلَى بَعْضِهَا , فَهِيَ ذَاهِبَةٌ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي , لَا مِنْ مَالِ الْبَائِعِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ
وَحَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ ح
وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ , قَالَ: ثنا شُعَيْبُ بْنُ اللَّيْثِ ح
وَحَدَّثَنَا أَبُو أُمَيَّةَ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ إِسْحَاقَ السَّيْلَحِينِيُّ قَالَ: ثنا اللَّيْثُ , قَالُوا: جَمِيعًا , عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ , عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللهِ , عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ , قَالَ: أُصِيبَ رَجُلٌ مِنْ ثِمَارٍ ابْتَاعَهَا , فَكَثُرَ دَيْنُهُ. [ص:36] فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَصَدَّقُوا عَلَيْهِ» فَتُصُدِّقَ عَلَيْهِ , فَلَمْ يَبْلُغْ ذَلِكَ وَفَاءَ دَيْنِهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خُذُوا مَا وَجَدْتُمْ , وَلَيْسَ لَكُمْ إِلَّا ذَلِكَ» فَلَمَّا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُبْطِلْ دَيْنَ الْغُرَمَاءِ , بِذَهَابِ الثِّمَارِ , وَفِيهِمْ بَاعَتُهَا , وَلَمْ يَرُدَّهُ عَلَى الْبَاعَةِ بِالثَّمَنِ , إِنْ كَانُوا قَدْ قَبَضُوا ذَلِكَ مِنْهُ , ثَبَتَ أَنَّ الْجَوَائِحَ الْحَادِثَةَ فِي يَدِ الْمُشْتَرِي , لَا تَكُونُ مُطَالِبَةً عَنْهُ شَيْئًا مِنَ الثَّمَنِ , الَّذِي عَلَيْهِ لِلْبَائِعِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: إِنَّ الثِّمَارَ لَا تُشْبِهُ سَائِرَ الْبِيَاعَاتِ لِأَنَّهَا مُعَلَّقَةٌ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ , لَا يَصِلُ إِلَيْهَا يَدُ مَنِ ابْتَاعَهَا إِلَّا بِقَطْعِهِ إِيَّاهَا , وَسَائِرُ الْأَشْيَاءِ لَيْسَتْ كَذَلِكَ. فَمَا يَكُونُ مَقْبُوضًا بِغَيْرِ قَطْعٍ مُسْتَأْنَفٍ , فَهُوَ الَّذِي يَذْهَبُ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي. وَمَا كَانَ لَا يُقْبَضُ إِلَّا بِقَطْعٍ مُسْتَأْنَفٍ , فَهُوَ الَّذِي يَذْهَبُ مِنْ مَالِ الْبَائِعِ. قِيلَ لَهُ: هَذَا الْكَلَامُ فَاسِدٌ مِنْ وَجْهَيْنِ: أَمَّا أَحَدُهُمَا , فَإِنَّا رَأَيْنَا هَذِهِ الثِّمَارَ , إِذَا بِيعَتْ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ , فَذَهَبَتْ بِكَمَالِهَا , أَوْ ذَهَبَ مِنْهَا شَيْءٌ فِي أَيْدِي بَاعَتِهَا , ذَهَبَ ذَلِكَ مِنْ أَمْوَالِهِمْ دُونَ أَمْوَالِ الْمُشْتَرِينَ , فَكَانَ ذَهَابُ قَلِيلِهَا وَكَثِيرِهَا فِي ذَلِكَ سَوَاءً , لِأَنَّهُمْ لَمْ يَقْبِضُوهَا فَإِذَا قَبَضُوهَا , فَذَهَبَ مِنْهَا مَا دُونَ الثُّلُثِ , فَقَدْ أُجْمِعَ أَنَّهُ ذَاهِبٌ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي , لِأَنَّهُ ذَهَبَ بَعْدَ قَبْضِهِ إِيَّاهُ. فَلَمَّا اسْتَوَى ذَهَابُ قَلِيلِهِ وَكَثِيرِهِ فِي يَدِ الْبَائِعِ , فَكَانَ قَلِيلُهُ إِذَا ذَهَبَ فِي يَدِ الْمُشْتَرِي , ذَهَبَ مِنْ مَالِهِ , كَانَ ذَهَابُ كَثِيرِهِ كَذَلِكَ. وَكَانَ الْمُشْتَرِي، لِتَخْلِيَةِ الْبَائِعِ بَيْنَهُ وَبَيْنَ ثَمَرِ النَّخْلِ، قَابِضًا لَهُ , وَإِنْ لَمْ يَقْطَعْهُ , فَهَذَا وَجْهٌ. وَوَجْهٌ آخَرُ , أَنَّا رَأَيْنَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ نَهَى عَنْ بَيْعِ الطَّعَامِ , حَتَّى يُقْبَضَ , وَأَجْمَعَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى ذَلِكَ , وَكَانَتِ الثِّمَارُ فِي ذَلِكَ دَاخِلَةً بِاتِّفَاقِهِمْ وَأَجْمَعُوا أَنَّ الْمُشْتَرِيَ لَهَا لَوْ بَاعَهَا فِي يَدِ بَائِعِهَا , كَانَ بَيْعُهُ بَاطِلًا , وَلَوْ بَاعَهَا بَعْدَ أَنْ خَلَّى الْبَائِعُ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , وَلَمْ يَقْطَعْهَا , كَانَ بَيْعُهُ جَائِزًا , فَصَارَ قَابِضًا لَهَا , بِتَخْلِيَةِ الْبَائِعِ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , قَبْلَ قَطْعِهِ إِيَّاهَا. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ قَبْضَ الْمُشْتَرِي الْمُعَلَّقَةَ فِي رُءُوسِ النَّخْلِ , هُوَ بِتَخْلِيَةِ الْبَائِعِ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا , وَإِمْكَانِهِ إِيَّاهُ مِنْهَا. فَإِذَا فَعَلَ ذَلِكَ بِهِ , فَقَدْ صَارَتْ فِي يَدِهِ وَضَمَانِهِ , وَبَرِئَ مِنْهَا الْبَائِعُ. فَمَا حَدَثَ فِيهَا مِنْ جَائِحَةٍ , أَتَتْ عَلَيْهَا كُلِّهَا , أَوْ عَلَى بَعْضِهَا , فَهِيَ ذَاهِبَةٌ مِنْ مَالِ الْمُشْتَرِي , لَا مِنْ مَالِ الْبَائِعِ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩৬
empty
৫৬৩৬।
5636 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩৭
empty
৫৬৩৭।
5637 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫৬৩৮
empty
৫৬৩৮।
5638 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান