শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫০৫৩
৭. কাসামা* যে গৃহে নিহত পাওয়া গিয়েছে এর বসবাসকারীদেরকে কসম দেয়া হবে অথবা এর মালিক কে?
৫০৫৩। ইউনুস (রাহঃ) ….. সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ) কে খায়বারের একটি কুয়ােতে মৃত পাওয়া যায়। তাঁর ভাই আব্দুর রহমান ইব্ন সাহল এবং তার দুই চাচা হুওয়াইসা (রাযিঃ) ও মুহায়্যিসা (রাযিঃ) যারা মাস্উদ -এর পুত্র ছিলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর দরবারে হাযির হলেন। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কথা বলতে গেলেন। তখন নবী(ﷺ) দু’বার বললেন, বড়কে (মর্যাদা দাও) বড়কে (মর্যাদা দাও) অনন্তর তাঁর এক চাচা হুওয়ায়্যিসা (রাযিঃ) অথবা মুহায়্যিসা (রাযিঃ) অর্থাৎ তাঁদের উভয়ের মধ্যে যে বড় ছিলেন, কথা বললেন। বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমরা আব্দুল্লাহ্ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-কে খায়বারের এক কুয়ােতে নিহত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি তাদের সঙ্গে ইয়াহুদীদের শত্রুতার বিষয়ও উল্লেখ করেলন। তিনি বললেন, ইয়াহুদীরা কি পঞ্চাশজন এই মর্মে কসম করে তােমাদেরকে মুক্ত করে দিবে যে, তারা তাকে হত্যা করেনি। রাবী বলেন, আমি বললাম, আমরা তাদের কসমসমূহের উপর কিভাবে সন্তুষ্ট হব?অথচ তারা মুশরিক। তিনি বললেন, তা হলে তােমাদের পঞ্চাশজন কসম করে বলবে যে, তারা (ইয়াহুদীরা) তাকে হত্যা করেছে। তারা বললেন, আমরা যা দেখিনি তার উপর কিভাবে কসম করব? অনন্তর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে তার দিয়াত আদায় করে দিলেন।
بَابُ الْقَسَامَةِ هَلْ تَكُونُ عَلَى سَاكِنِي الدَّارِ الْمَوْجُودِ فِيهَا الْقَتِيلُ أَوْ عَلَى مَالِكِهَا؟
5053 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ سَمِعَ بُشَيْرَ بْنَ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ قَالَ: " وُجِدَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَهْلٍ قَتِيلًا فِي قَلِيبٍ مِنْ قُلُبِ خَيْبَرَ. فَجَاءَ أَخُوهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَعَمَّاهُ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ. فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْكُبْرَ الْكُبْرَ فَتَكَلَّمَ أَحَدُ عَمَّيْهِ إِمَّا حُوَيِّصَةُ وَإِمَّا مُحَيِّصَةُ تَكَلَّمَ الْكَبِيرُ مِنْهُمَا. قَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ , إِنَّا وَجَدْنَا عَبْدَ اللهِ بْنَ سَهْلٍ قَتِيلًا فِي قَلِيبٍ مِنْ قُلُبِ خَيْبَرَ وَذَكَرَ عَدَاوَةَ يَهُودٍ لَهُمْ. قَالَ: أَفَتُبَرِّئُكَ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا أَنَّهُمْ لَمْ يَقْتُلُوهُ؟ قَالَ: قُلْتُ وَكَيْفَ نَرْضَى بِأَيْمَانِهِمْ وَهُمْ مُشْرِكُونَ؟ قَالَ فَيُقْسِمُ مِنْكُمْ خَمْسُونَ أَنَّهُمْ قَتَلُوهُ قَالُوا: كَيْفَ نَقْسِمُ عَلَى مَا لَمْ نَرَ؟ فَوَدَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫৪
৭. কাসামা যে গৃহে নিহত পাওয়া গিয়েছে এর বসবাসকারীদেরকে কসম দেয়া হবে অথবা এর মালিক কে?
৫০৫৪। ইউনুস (রাহঃ) ..... বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল আনসারী (রাযিঃ) ও মুহায়্যিসা ইব্ন মাস্উদ (রাযিঃ) খায়বার অভিমুখে বের হয়ে যান এবং তারা (খায়বার পৌছে) নিজ নিজ প্রয়ােজনে পরস্পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিকে চলে যান। পরে আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ) নিহত হয়ে যান। এ সংবাদ মুহায়্যিসা (রাযিঃ)-এর নিকট পৌছালে তিনি ও তার ভাই হুওয়ায়্যিসা (রাযিঃ) ও আব্দুর রহমান ইব্ন সাহল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর দরবারে এলেন। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) স্বীয় ভাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে গেলে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দু'বার বললেন, বড়কে মর্যাদা দাও (কথা বলতে দাও)। অনন্তর হুওয়ায়্যিসা ও মুহায়্যিসা (রাযিঃ) কথা বললেন এবং আব্দুল্লাহ্ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-এর ঘটনা বর্ণনা করলেন। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, তােমাদের থেকে পঞ্চাশজন কি কসম করতে পারবে? আর এর মাধ্যমে তােমরা তােমাদের হত্যাকারীর, অথবা বলেছেন তােমাদের সঙ্গীর খুনের অধিকার পেয়ে যাবে। তারা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তাে সেখানে উপস্থিত ছিলাম না এবং না ঘটনার সাক্ষী। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, তাহলে ইয়াহুদীদের পঞ্চাশজনের কসম কি তােমাদেরকে মুক্ত করবে? তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কাফির সম্প্রদায়ের কসম কিভাবে গ্রহণ করব? মালিক (রাযিঃ) বলেনঃ ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) বলেছেন, বুশায়র (রাহঃ)-এর ধারণা মতে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে তার দিয়াত আদায় করে দিয়েছিলেন।
5054 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ , أَنَّهُ أَخْبَرَهُ " أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَهْلٍ الْأَنْصَارِيَّ وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودٍ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ فَتَفَرَّقَا فِي حَوَائِجِهِمَا فَقُتِلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَهْلٍ فَبَلَغَ مُحَيِّصَةَ. فَأَتَى هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ لِيَتَكَلَّمَ لِمَكَانِهِ مِنْ أَخِيهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَبِّرْ كَبِّرْ. [ص:198] فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ وَمُحَيِّصَةُ فَذَكَرَا شَأْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَهْلٍ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا أَوْ تَسْتَحِقُّونَ دَمَ قَاتِلِكُمْ أَوْ صَاحِبِكُمْ؟ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ لَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَحْضُرْ. قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَفَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا؟ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ ". قَالَ مَالِكٌ: قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فَزَعَمَ بُشَيْرٌ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَاهُ مِنْ عِنْدِهِ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫৫
৭. কাসামা যে গৃহে নিহত পাওয়া গিয়েছে এর বসবাসকারীদেরকে কসম দেয়া হবে অথবা এর মালিক কে?
৫০৫৫। ফাহাদ (রাহঃ) ….. বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক আনসারী যাকে সাহল ইব্ন আবী হাসমা বলা হত, তিনি তাকে বলেছেন যে, তাঁর কওমের কিছু লােক খায়বার অভিমুখে গিয়েছে। এবং তারা সেখানে গিয়ে পরস্পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অনন্তর তারা তাদের এক লােককে সেখানে নিহত অবস্থায় পেয়েছে। তাঁরা সেই সমস্ত লােকদের বললেন, যাদের নিকট তাকে পেয়েছেন যে, তােমরা আমাদের সঙ্গীকে হত্যা করেছ। তারা বলল, আল্লাহর কসম! আমরা হত্যা করিনি এবং না হত্যাকারীকে জানি। তারা নবী(ﷺ) -এর নিকট চলে গেলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর নবী ! আমরা খায়বার গিয়েছিলাম এবং সেখানে আমাদের এক সঙ্গীকে নিহত অবস্থায় পেয়েছি। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) দু’বার বললেন, বড়কে মর্যাদা দাও (কথা বলতে দাও)। অতঃপর তিনি তাদেরকে বললেন, হত্যাকারীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পেশ কর। তারা বললেন, আমাদের কাছে সাক্ষ্য নেই। বললেন, তারা যদি তােমাদের সম্মুখে কসম করে, গ্রহণ করবে? তারা বললেন, আমরা ইয়াহুদীদের কসমের উপর সন্তুষ্ট নই। তাই নবী(ﷺ) ও তার রক্ত বাতিল হওয়াটাকে অপছন্দ করে সাদাকার উট থেকে একশত উট তার দিয়াত আদায় করে দিয়েছেন।
5055 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ قَالَ: ثنا أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ: ثنا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ الطَّائِيُّ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ " أَنَّ رَجُلًا مِنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ سَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ نَفَرًا مِنْ قَوْمِهِ انْطَلَقُوا إِلَى خَيْبَرَ فَتَفَرَّقُوا فِيهَا فَوَجَدُوا أَحَدَهُمْ قَتِيلًا. فَقَالُوا لِلَّذِينَ وَجَدُوهُ عِنْدَهُمْ: قَتَلْتُمْ صَاحِبَنَا قَالُوا: وَاللهِ مَا قَتَلْنَا وَلَا عَلِمْنَا قَاتِلًا. فَانْطَلَقُوا إِلَى نَبِيِّ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللهِ , انْطَلَقْنَا إِلَى خَيْبَرَ فَوَجَدْنَا أَحَدَنَا قَتِيلًا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْكُبْرَ الْكُبْرَ فَقَالَ لَهُمْ تَأْتُونَ بِالْبَيِّنَةِ عَلَى مَنْ قَتَلَ؟ قَالُوا: مَا لَنَا بَيِّنَةٌ. قَالَ أَفَيَحْلِفُونَ لَكُمْ؟ قَالُوا: لَا نَرْضَى بِأَيْمَانِ الْيَهُودِ. فَكَرِهَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَبْطُلَ دَمَهُ فَوَدَاهُ بِمِائَةٍ مِنْ إِبِلِ الصَّدَقَةِ "

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫৬
৭. কাসামা যে গৃহে নিহত পাওয়া গিয়েছে এর বসবাসকারীদেরকে কসম দেয়া হবে অথবা এর মালিক কে?
৫০৫৬। ইউনুস (রাহঃ) ….. সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তাকে তাঁর কাওমের কিছু বয়ােবৃদ্ধ লােক বলেছে যে, আব্দুল্লাহ্ ইব্ন সাহল (রাযিঃ) ও মুহায়্যিসা (রাযিঃ) তাদের উপর নিপতিত অভাব অনটনের কারণে খায়বার অভিমুখে বের হয়ে গেলেন। অতঃপর মুহায়্যিসা (রাযিঃ) এসে বললেন যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-কে হত্যা করে একটি কুয়ােতে অথবা একটি জলাধারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি ইয়াহুদীদের নিকট এসে বললেন, আল্লাহর কসম! তােমরা তাকে হত্যা করেছ। তারা বলল, আল্লাহর কসম! আমরা তাকে হত্যা করি নাই। অতঃপর তিনি আপন কাওমের নিকট ফিরে এসে তাদেরকে ঘটনার বিবরণ দিলেন। এরপর তিনি, তার বড় ভাই হুওয়ায়্যিসা (রাযিঃ) ও আব্দুর রহমান ইবন সাহল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর দরবারে হাযির হলেন, মুহায়্যিসা (রাযিঃ) কথা বলতে চাইলেন এবং তিনি খায়বারে উপস্থিত ছিলেন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) মুহায়্যিসা (রাযিঃ)-কে বললেন, বড়কে মর্যাদা দাও (দু’বার বললেন) এতে তাঁর উদ্দেশ্য ছিলাে বয়সে বড় হওয়া। অনন্তর প্রথমে হুওয়ায়্যিসা (রাযিঃ) কথা বললেন, এরপর কথা বললেন মুহায়্যিসা (রাযিঃ)। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) বললেন, হয়ত তারা (ইয়াহুদীগণ) তােমাদের সঙ্গীর দিয়াত প্রদান করবে, নয়ত যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও। অনন্তর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদেরকে লিখলেন। তারা (উত্তরে) লিখল, আল্লাহর কসম! আমরা তাকে হত্যা করি নাই। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হুওয়ায়্যিসা, মুহায়্যিসা ও আব্দুর রহমান (রাযিঃ)-কে বললেন, তােমরা কি কসম করবে এবং তােমাদের সঙ্গীর খুনের অধিকার পেয়ে যাবে? তারা বললেন, না। তিনি বললেন, ইয়াহুদীগণ কি তােমাদের জন্য কসম করবে? তারা বললেন, তারা তাে মুসলমান নয়। অনন্তর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে তার দিয়াত আদায় করে দিয়েছেন। তাদের জন্য একশত উষ্ট্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং সেগুলাে তাদের গৃহে প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়।
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেনঃ আমরা জানি যে খায়বার মুসলমানদের ছিল, কেননা তারা এটাকে জয় করেছিল এবং ইয়াহুদীগণ সেখানে তাদের পক্ষ থেকে নিযুক্ত কর্মচারী ছিল। যখন সেখানেই এই নিহত ব্যক্তিকে পাওয়া গিয়েছে তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ বিষয়ে কাসামা (শপথ) সেখানকার অধিবাসী ইয়াহুদীদের উপর নির্ধারণ করেছেন, মালিকদের (মুসলমান) উপরে নয়। তিনি বলেন, অনুরূপভাবে আমরাও একথা বলি যে, যে নিহত ব্যক্তিকে কোন এরূপ স্থানে বা ভুমিতে পাওয়া যায়, যেখানকার অধিবাসীগণ ভাড়া কিংবা ধার হিসাবে সেখানে বসবাস করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাসামা এবং দিয়াত সেখানকার অধিবাসীদের উপর প্রযােজ্য হবে, এর মালিকের উপর নয়। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দিয়াত ও কাসামা এর মালিকের উপর আরােপিত হবে, অধিবাসীদের উপর নয়।
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর বিপক্ষে এই দু'জনের দলীল হলাে যে, এই হাদীসে বলা হয়নি যে, সেই নিহত ব্যক্তিকে খায়বার এলাকায় খায়বার বিজয়ের পরে পাওয়া গিয়েছে, না পূর্বে। বিজয়ের পূর্বে পাওয়া গেলে তখন সেই হুকুম হবে, যেমনটি ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেছেন। আবার এমনও হতে পারে যে, তা এরূপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে যখন নবী(ﷺ) এবং সেখানকার অধিবাসীদের মাঝে চুক্তি ছিল । যদি বিজয়ের বা বিজিত হওয়ার পূর্বে চুক্তি চলাকালীন অবস্থায় পাওয়া গিয়ে থাকে তাহলে এই হাদীসে ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ)-এর পক্ষে কোন দলীল নেই। আবু লায়লা ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ)-এর হাদীস দ্বারা বােঝা যায় যে, তখন চুক্তিকালীন সময় ছিল। কারণ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আনসারদের (রাযিঃ) বলেছেন, হয়ত তারা তােমাদের সঙ্গীর দিয়াত প্রদান করবে, নয়ত যুদ্ধের ঘােষণা দিবে। আর একথা সেই সমস্ত লোকদেরকে বলা হয়ে থাকে, যারা নিরাপত্তা ও চুক্তির অধীনে এরূপ স্থানে অবস্থান করে, যেখানকার অধিবাসী এবং মুসলমানদের মাঝে চুক্তি থাকে।
এই বিষয়টি সুলায়মান ইব্ন বেলাল (রাহঃ) ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে স্বীয় হাদীসে বর্ণনা করেছেনঃ
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেনঃ আমরা জানি যে খায়বার মুসলমানদের ছিল, কেননা তারা এটাকে জয় করেছিল এবং ইয়াহুদীগণ সেখানে তাদের পক্ষ থেকে নিযুক্ত কর্মচারী ছিল। যখন সেখানেই এই নিহত ব্যক্তিকে পাওয়া গিয়েছে তখন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ বিষয়ে কাসামা (শপথ) সেখানকার অধিবাসী ইয়াহুদীদের উপর নির্ধারণ করেছেন, মালিকদের (মুসলমান) উপরে নয়। তিনি বলেন, অনুরূপভাবে আমরাও একথা বলি যে, যে নিহত ব্যক্তিকে কোন এরূপ স্থানে বা ভুমিতে পাওয়া যায়, যেখানকার অধিবাসীগণ ভাড়া কিংবা ধার হিসাবে সেখানে বসবাস করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাসামা এবং দিয়াত সেখানকার অধিবাসীদের উপর প্রযােজ্য হবে, এর মালিকের উপর নয়। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ) বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দিয়াত ও কাসামা এর মালিকের উপর আরােপিত হবে, অধিবাসীদের উপর নয়।
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ)-এর বিপক্ষে এই দু'জনের দলীল হলাে যে, এই হাদীসে বলা হয়নি যে, সেই নিহত ব্যক্তিকে খায়বার এলাকায় খায়বার বিজয়ের পরে পাওয়া গিয়েছে, না পূর্বে। বিজয়ের পূর্বে পাওয়া গেলে তখন সেই হুকুম হবে, যেমনটি ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেছেন। আবার এমনও হতে পারে যে, তা এরূপ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে যখন নবী(ﷺ) এবং সেখানকার অধিবাসীদের মাঝে চুক্তি ছিল । যদি বিজয়ের বা বিজিত হওয়ার পূর্বে চুক্তি চলাকালীন অবস্থায় পাওয়া গিয়ে থাকে তাহলে এই হাদীসে ইমাম আবু ইউসূফ (রাহঃ)-এর পক্ষে কোন দলীল নেই। আবু লায়লা ইব্ন আব্দুল্লাহ ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ)-এর হাদীস দ্বারা বােঝা যায় যে, তখন চুক্তিকালীন সময় ছিল। কারণ রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) আনসারদের (রাযিঃ) বলেছেন, হয়ত তারা তােমাদের সঙ্গীর দিয়াত প্রদান করবে, নয়ত যুদ্ধের ঘােষণা দিবে। আর একথা সেই সমস্ত লোকদেরকে বলা হয়ে থাকে, যারা নিরাপত্তা ও চুক্তির অধীনে এরূপ স্থানে অবস্থান করে, যেখানকার অধিবাসী এবং মুসলমানদের মাঝে চুক্তি থাকে।
এই বিষয়টি সুলায়মান ইব্ন বেলাল (রাহঃ) ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) থেকে রিওয়ায়াত করে স্বীয় হাদীসে বর্ণনা করেছেনঃ
5056 - حَدَّثَنَا يُونُسُ , قَالَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ , أَنَّ مَالِكًا , حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ , أَنَّهُ أَخْبَرَهُ رِجَالٌ مِنْ كُبَرَاءِ قَوْمِهِ " أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ مِنْ جُهْدٍ أَصَابَهُمْ فَأَتَى مُحَيِّصَةُ فَأَخْبَرَ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَهْلٍ قُتِلَ وَطُرِحَ فِي فَقِيرٍ أَوْ عَيْنٍ. فَأَتَى يَهُودًا فَقَالَ أَنْتُمْ وَاللهِ قَتَلْتُمُوهُ فَقَالُوا: وَاللهِ مَا قَتَلْنَاهُ. فَأَقْبَلَ حَتَّى قَدِمَ عَلَى قَوْمِهِ فَذَكَرَ لَهُمْ ذَلِكَ ثُمَّ أَقْبَلَ هُوَ وَأَخُوهُ حُوَيِّصَةُ وَهُوَ أَكْبَرُ مِنْهُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ. فَذَهَبَ مُحَيِّصَةُ لِيَتَكَلَّمَ وَهُوَ الَّذِي كَانَ بِخَيْبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمُحَيَّصَةَ كَبِّرْ كَبِّرْ يُرِيدُ السِّنَّ. [ص:199] فَتَكَلَّمَ حُوَيِّصَةُ قَبْلُ ثُمَّ تَكَلَّمَ مُحَيِّصَةُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ. فَكَتَبَ إِلَيْهِمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ فَكَتَبُوا إِنَّا وَاللهِ مَا قَتَلْنَاهُ. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِحُوَيِّصَةَ وَمُحَيِّصَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ صَاحِبِكُمْ؟ قَالُوا: لَا , قَالَ: أَفَتَحْلِفُ لَكُمْ يَهُودُ؟ قَالُوا: لَيْسُوا بِمُسْلِمِينَ. فَوْدَاهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ فَبَعَثَ إِلَيْهِمْ بِمِائَةِ نَاقَةٍ حَتَّى أُدْخِلَتْ عَلَيْهِمِ الدَّارَ " قَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ خَيْبَرَ كَانَتْ لِلْمُسْلِمِينَ لِأَنَّهُمُ افْتَتَحُوهَا وَكَانَتِ الْيَهُودُ عُمَّالَهُمْ فِيهَا. فَلَمَّا وُجِدَ فِيهَا هَذَا الْقَتِيلُ جَعَلَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْقَسَامَةَ فِيهِ عَلَى الْيَهُودِ السُّكَّانِ لَا عَلَى الْمَالِكِينَ. قَالَ: فَكَذَلِكَ نَقُولُ: كُلُّ قَتِيلٍ وُجِدَ فِي دَارٍ أَوْ أَرْضٍ فِيهَا سَاكِنٌ مُسْتَأْجِرٌ أَوْ مُسْتَعِيرٌ فَالْقَسَامَةُ فِي ذَلِكَ وَالدِّيَةُ عَلَى السَّاكِنِ لَا عَلَى رَبِّهَا الْمَالِكِ. وَكَانَ أَبُو حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ رَحِمَهُمَا اللهُ يَقُولَانِ: الدِّيَةُ وَالْقَسَامَةُ فِي ذَلِكَ عَلَى الْمَالِكِ لَا عَلَى السَّاكِنِ. وَكَانَ مِنْ حُجَّتِهِمَا عَلَى أَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ أَنَّ ذَلِكَ الْقَتِيلَ لَمْ يَذْكُرْ لَنَا فِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّهُ وُجِدَ بِخَيْبَرَ بَعْدَمَا افْتُتِحَتْ أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ. فَقَدْ يَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُصِيبَ فِيهَا بَعْدَمَا افْتُتِحَتْ فَيَكُونُ ذَلِكَ كَمَا قَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ وَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ أُصِيبَ فِي حَالِ مَا كَانَتْ صُلْحًا بَيْنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ أَهْلِهَا. فَإِنْ كَانَ مَوْجُودًا فِي حَالِ مَا كَانَتْ صُلْحًا قَبْلَ أَنْ تُفْتَتَحَ فَلَا حُجَّةَ لِأَبِي يُوسُفَ رَحِمَهُ اللهُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ. وَفِي حَدِيثِ أَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ مَا يَدُلُّ أَنَّهَا كَانَتْ يَوْمَئِذٍ صُلْحًا , وَذَلِكَ أَنَّهُ فِيهِ: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِلْأَنْصَارِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ «إِمَّا أَنْ يَدُوا صَاحِبَكُمْ وَإِمَّا أَنْ يُؤْذِنُوا بِحَرْبٍ» وَلَا يُقَالُ هَذَا إِلَّا لِمَنْ كَانَ فِي أَمَانٍ وَعَهْدٍ فِي دَارٍ هِيَ صُلْحٌ بَيْنَ أَهْلِهَا وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ. وَقَدْ بَيَّنَ ذَلِكَ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ فِي حَدِيثِهِ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫৭
৭. কাসামা যে গৃহে নিহত পাওয়া গিয়েছে এর বসবাসকারীদেরকে কসম দেয়া হবে অথবা এর মালিক কে?
৫০৫৭। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাহঃ) ….. ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল ইব্ন যায়দ (রাযিঃ) ও বানূ হারিসা গােত্রের মুহায়্যিসা ইব্ন মাসউদ ইব্ন যায়দ আনসারী তারা উভয়ে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর যুগে খায়বার অভিমুখে বেরিয়েছেন। তখন তা (খায়বার) চুক্তির অধীন ছিল এবং তার অধিবাসী ছিল ইয়াহুদীগণ। এ পর্যায়ে তারা উভয়ে নিজ নিজ প্রয়ােজনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন। অনন্তর আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-কে এক জলাধারে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল এবং তাঁর সঙ্গী তাঁকে দাফন করে দেয়। অতঃপর তিনি মদীনায় এলেন। ওই নিহতের ভাই আব্দুর রহমান ইব্ন সাহল (রাযিঃ), মুহায়্যিসা (রাযিঃ) ও হুওয়ায়্যিসা (রাযিঃ) (এই তিনজন) রাসূলুল্লাহ -এর দরবারে গিয়ে তাঁর কাছে আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-এর ঘটনা উল্লেখ করলেন এবং বললেন, তিনি কিভাবে নিহত হয়েছেন। যুবায়র ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) নবী(ﷺ)-এর কতক সাহাবা থেকে রিওয়ায়াত করেন, যাদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত ঘটেছে যে, তিনি তাদেরকে বলেছেন, তােমাদের থেকে কি পঞ্চাশজন কসম করে স্বীয় নিহত অথবা (বলেছেন) স্বীয় সঙ্গীর (হত্যাকারীর) খুনের অধিকার পেয়ে যাবে? তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তাে সেখানে না সাক্ষী ছিলাম না উপস্থিত ছিলাম। তিনি বললেন, তাহলে কি ইয়াহুদীরা পঞ্চাশজন কসম করে তােমাদের (কসম) করা থেকে মুক্ত করে দিবে? তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কাফির সম্প্রদায়ের কসমকে কিভাবে গ্রহণ করব? বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাযিঃ)-এর ধারণা যে, অতঃপর রাসূলুল্লাহ তার দিয়াত আদায় করে দিয়েছেন।
এই হাদীস প্রমাণ করে যে, যখন আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-কে সেখানে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায় তখন সেটা (খায়বার) সন্ধিপূর্ণ এলাকা ছিল, সুতরাং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর বিপক্ষে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এই হাদীস দ্বারা যা কিছু প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন, এর দ্বারা তা খণ্ডিত হয়ে গিয়েছে। কেননা খায়বার এর পরে বিজিত হয়েছিল ।
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, যুক্তিও আমাদের বক্তব্যকে সমর্থন করে। কারণ আমরা লক্ষ্য করছি যে, যে গৃহ ভাড়া কিংবা ধার হিসাবে নেয়া হয়েছে তা ভাড়াটিয়া কিংবা ধারকারীর নিকট থাকে, মালিকের নিকট থাকে না। তােমরা লক্ষ্য করছ না যে, যদি তারা দুজন এবং বাড়ির মালিক সেখানে পাওয়া গেলে কাপড় নিয়ে বিবাদ করে তখন তাদের দু'জনের বক্তব্য গ্রহণযােগ্য হয়, বাড়ির মালিকের বক্তব্য নয়। অনুরূপভাবে সেখানে যে নিহত পাওয়া যাবে এবং সেই গৃহ ভাড়াটিয়া কিংবা ধারকারীর নিয়ন্ত্রণে থাকে, মালিকের নিয়ন্ত্রণে নয় । এখন কাসামা (কসম) ও দিয়াত তার উপর আবশ্যক হবে যার নিয়ন্ত্রণে বাড়ী রয়েছে, মালিকানা যার উপর নয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর দলীলঃ এ বিষয়ে আলিমদের একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কাসামা (কসম) মালিকের উপর ওয়াজিব হবে, বসবাসকারীর উপর নয়। আর তা এভাবে যে, যদি স্বামীর মালিকানাধীন বাড়ি স্বামী ও তার স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং উভয়ে তাতে বসবাস করে সেখানে কোন নিহত পাওয়া গেলে কসম ও দিয়াত শুধু স্বামীর পিতৃসম্পর্কীয় আত্মীয়দের উপরে আসবে, স্ত্রীর আত্মীয়দের উপরে আসবে না।
অথচ আমরা জানি যে, ওই বাড়ি তাদের উভয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর যদি সেখানে কাপড় পাওয়া যায় তাহলে এর সাথে তাদের একজন অপেক্ষা অপরজন অধিক হকদার হবে না। হ্যাঁ, যদি কোন বস্তু তার মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণে থাকে (তাহলে তার হকদার হবে)। সুতরাং যদি কসম ওই ব্যক্তির উপর দেয়া হয়, যার নিয়ন্ত্রণে বাড়ি রয়েছে, তাহলে নারী-পুরুষ উভয়ের উপরে দেয়া হত। কেননা বাড়ি তাদের উভয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অধিকন্তু তারা উভয়ে সেখানে বসবাস করছে। অতএব যখন ওই অবস্থায় যা কিছু ওয়াজিব হয় তা শুধু স্বামীর উপর ওয়াজিব হয়, স্ত্রীর উপর নয়। কেননা বাড়ির মালিক তাে সেই স্বামীই। তাই যেখানেই নিহত পাওয়া যাবে কাসামা (কসম) ও দিয়াত মালিকের উপর প্রযােজ্য হবে, সেখানকার বাসিন্দাদের উপরে হবে না।
এই হাদীস প্রমাণ করে যে, যখন আব্দুল্লাহ ইব্ন সাহল (রাযিঃ)-কে সেখানে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায় তখন সেটা (খায়বার) সন্ধিপূর্ণ এলাকা ছিল, সুতরাং ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর বিপক্ষে ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) এই হাদীস দ্বারা যা কিছু প্রমাণ করতে সচেষ্ট হয়েছেন, এর দ্বারা তা খণ্ডিত হয়ে গিয়েছে। কেননা খায়বার এর পরে বিজিত হয়েছিল ।
ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) বলেন, যুক্তিও আমাদের বক্তব্যকে সমর্থন করে। কারণ আমরা লক্ষ্য করছি যে, যে গৃহ ভাড়া কিংবা ধার হিসাবে নেয়া হয়েছে তা ভাড়াটিয়া কিংবা ধারকারীর নিকট থাকে, মালিকের নিকট থাকে না। তােমরা লক্ষ্য করছ না যে, যদি তারা দুজন এবং বাড়ির মালিক সেখানে পাওয়া গেলে কাপড় নিয়ে বিবাদ করে তখন তাদের দু'জনের বক্তব্য গ্রহণযােগ্য হয়, বাড়ির মালিকের বক্তব্য নয়। অনুরূপভাবে সেখানে যে নিহত পাওয়া যাবে এবং সেই গৃহ ভাড়াটিয়া কিংবা ধারকারীর নিয়ন্ত্রণে থাকে, মালিকের নিয়ন্ত্রণে নয় । এখন কাসামা (কসম) ও দিয়াত তার উপর আবশ্যক হবে যার নিয়ন্ত্রণে বাড়ী রয়েছে, মালিকানা যার উপর নয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান (রাহঃ)-এর দলীলঃ এ বিষয়ে আলিমদের একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কাসামা (কসম) মালিকের উপর ওয়াজিব হবে, বসবাসকারীর উপর নয়। আর তা এভাবে যে, যদি স্বামীর মালিকানাধীন বাড়ি স্বামী ও তার স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকে, এবং উভয়ে তাতে বসবাস করে সেখানে কোন নিহত পাওয়া গেলে কসম ও দিয়াত শুধু স্বামীর পিতৃসম্পর্কীয় আত্মীয়দের উপরে আসবে, স্ত্রীর আত্মীয়দের উপরে আসবে না।
অথচ আমরা জানি যে, ওই বাড়ি তাদের উভয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর যদি সেখানে কাপড় পাওয়া যায় তাহলে এর সাথে তাদের একজন অপেক্ষা অপরজন অধিক হকদার হবে না। হ্যাঁ, যদি কোন বস্তু তার মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণে থাকে (তাহলে তার হকদার হবে)। সুতরাং যদি কসম ওই ব্যক্তির উপর দেয়া হয়, যার নিয়ন্ত্রণে বাড়ি রয়েছে, তাহলে নারী-পুরুষ উভয়ের উপরে দেয়া হত। কেননা বাড়ি তাদের উভয়ের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অধিকন্তু তারা উভয়ে সেখানে বসবাস করছে। অতএব যখন ওই অবস্থায় যা কিছু ওয়াজিব হয় তা শুধু স্বামীর উপর ওয়াজিব হয়, স্ত্রীর উপর নয়। কেননা বাড়ির মালিক তাে সেই স্বামীই। তাই যেখানেই নিহত পাওয়া যাবে কাসামা (কসম) ও দিয়াত মালিকের উপর প্রযােজ্য হবে, সেখানকার বাসিন্দাদের উপরে হবে না।
5057 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ مَسْلَمَةَ الْقَعْنَبِيُّ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ , عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ , أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَهْلِ بْنِ زَيْدٍ , وَمُحَيِّصَةَ بْنَ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ الْأَنْصَارِيَّ , مِنْ بَنِي حَارِثَةَ خَرَجَا إِلَى خَيْبَرَ فِي زَمَنِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ وَأَهْلُهَا يَهُودُ فَتَفَرَّقَا لِحَاجَتِهِمَا. فَقُتِلَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَهْلٍ فَوُجِدَ فِي شِرْبِهِ مَقْتُولًا فَدَفَنَهُ صَاحِبُهُ، ثُمَّ أَقْبَلَ إِلَى الْمَدِينَةِ. فَمَشَى أَخُو الْمَقْتُولِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ وَمُحَيِّصَةُ وَحُوَيِّصَةُ فَذَكَرُوا لِرَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَأْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَهْلٍ وَكَيْفَ قُتِلَ. [ص:200] فَزَعَمَ بُشَيْرُ بْنُ يَسَارٍ وَهُوَ يُحَدِّثُ عَمَّنْ أَدْرَكَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لَهُمْ " تَحْلِفُونَ خَمْسِينَ يَمِينًا وَتَسْتَحِقُّونَ دَمَ قَتِيلِكُمْ أَوْ صَاحِبِكُمْ؟ . فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , مَا شَهِدْنَا وَلَا حَضَرْنَا. قَالَ أَفَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا؟ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ , كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَزَعَمَ بُشَيْرٌ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَلَهُ " فَبَيَّنَ لَنَا هَذَا الْحَدِيثُ أَنَّهَا كَانَتْ فِي وَقْتِ وُجُودِ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَهْلٍ فِيهَا قَتِيلًا دَارَ صُلْحٍ وَمُهَادَنَةٍ فَانْتَفَى بِذَلِكَ أَنْ يَلْزَمَ أَبَا حَنِيفَةَ وَمُحَمَّدًا شَيْءٌ مِمَّا احْتَجَّ بِهِ عَلَيْهِمَا أَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مِنْ هَذَا الْحَدِيثِ؛ لِأَنَّ فَتْحَ خَيْبَرَ إِنَّمَا كَانَ بَعْدَ ذَلِكَ. قَالَ أَبُو يُوسُفَ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ: وَالنَّظَرُ يَدُلُّ عَلَى مَا قُلْنَا أَيْضًا. وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الدَّارَ الْمُسْتَأْجَرَةَ وَالْمُسْتَعَارَةَ فِي يَدِ مُسْتَأْجِرِهَا وَمُسْتَعِيرِهَا لَا فِي يَدِ رَبِّهَا. أَلَا تَرَى أَنَّهُمَا وَرَبَّهَا لَوِ اخْتَلَفَا فِي ثَوْبٍ وُجِدَ فِيهَا أَنَّ الْقَوْلَ فِيهِ قَوْلُهُمَا لَا قَوْلُ رَبِّ الدَّارِ. فَكَذَلِكَ مَا وُجِدَ فِيهَا مِنَ الْقَتْلَى فَهُمْ مَوْجُودُونَ فِيهَا وَهِيَ فِي يَدِ مُسْتَأْجِرِهَا وَيَدِ مُسْتَعِيرِهَا لَا فِي يَدِ رَبِّهَا. فَمَا وَجَبَ بِذَلِكَ مِنْ قَسَامَةٍ وَدِيَةٍ فَهِيَ عَلَى مَنْ هِيَ فِي يَدِهِ لَا عَلَى مَنْ لَيْسَتْ فِي يَدِهِ وَإِنْ كَانَ مَلَّكَهَا لَهُ. فَكَانَ مِنْ حُجَّةِ مُحَمَّدِ بْنِ الْحَسَنِ رَحِمَهُ اللهُ فِي ذَلِكَ أَنْ قَالَ: رَأَيْتُ إِجْمَاعَهُمْ قَدْ دَلَّ عَلَى أَنَّ الْقَسَامَةَ تَجِبُ عَلَى الْمَالِكِ لَا عَلَى السَّاكِنِ. وَذَلِكَ أَنَّ رَجُلًا وَامْرَأَتَهُ لَوْ كَانَتْ فِي أَيْدِيهِمَا دَارٌ يَسْكُنَانِهَا وَهِيَ لِلزَّوْجِ فَوُجِدَ فِيهَا قَتِيلٌ كَانَتِ الْقَسَامَةُ وَالدِّيَةُ عَلَى عَاقِلَةِ الزَّوْجِ خَاصَّةً دُونَ عَاقِلَةِ الْمَرْأَةِ. وَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ أَيْدِيَهُمَا عَلَيْهِمَا وَأَنَّ مَا وُجِدَ فِيهَا مِنْ ثِيَابٍ فَلَيْسَ أَحَدُهُمَا أَوْلَى بِهِ مِنَ الْآخَرِ إِلَّا لِمَعْنًى لَيْسَ مِنْ قِبَلِ الْمِلْكِ وَالْيَدِ فِي شَيْءٍ. فَلَوْ كَانَتِ الْقَسَامَةُ يُحْكَمُ بِهَا عَلَى مَنِ الدَّارُ فِي يَدِهِ لَحُكِمَ بِهَا عَلَى الْمَرْأَةِ وَالرَّجُلِ جَمِيعًا لِأَنَّ الدَّارَ فِي أَيْدِيهِمَا وَلِأَنَّهُمَا سَكَنَاهَا. فَلَمَّا كَانَ مَا يَجِبُ فِي ذَلِكَ عَلَى الزَّوْجِ خَاصَّةً دُونَ الْمَرْأَةِ إِذْ هُوَ الْمَالِكُ لَهَا كَانَتِ الْقَسَامَةُ وَالدِّيَةُ فِي كُلِّ الْمَوَاضِعِ الْمَوْجُودِ فِيهَا الْقَتْلَى عَلَى مَالِكِهَا لَا عَلَى سَاكِنِهَا

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
