শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ

شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام

১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

অনুসন্ধান করুন...

হাদীস নং:৫০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৪৭
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৪৬-৪৭। ইসমাঈল ইব্‌ন ইয়াহ্ইয়া (রাহঃ) ও রবীউল মুয়াযযিন (রাহঃ) ….. আবু জুহায়ফা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আলী (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার নিকট কি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) হতে কুরআন ব্যতীত অন্য কোন ইলম বিদ্যমান আছে? তিনি বললেন, কসম ঐ সত্তার, যিনি বীজ বিদীর্ণ করে চারা উদগত করেছেন এবং প্রাণের সৃষ্টি করেছেন, আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর পক্ষ থেকে কুরআন শরীফ এবং যা কিছু এই সহীফায় আছে, তাছাড়া কিছুই নাই। বললেন, আমি বললাম, এই সহীফায় কি আছে? তিনি বললেন, এতে আছে দিয়াত (সম্পৰ্কীয় আহকাম) ও গােলাম আযাদ করার কথা এবং এই কথা যে, অমুসলিমের কিসাসে মুসলিমকে হত্যা করা যাবে না।

পর্যালােচনা
আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ একদল আলিম এই মত গ্রহণ করেছে যে, যখন কোন মুসলিম অমুসলিমকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করে তখন তার বদলায় তাকে (মুসলিমকে) হত্যা করা যাবেনা। তারা এ বিষয়ে (উল্লেখিত) এই হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছন। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ এ বিষয়ে তাদের বিরােধিতা করে বলেছেন যে, বরং তাকে তার বদলায় হত্যা করা হবে। এ বিষয়ে তাদের দলীল হলাে যে,
এই হাদীসে আলী (রাযিঃ)-এর যে বাক্য আবু জুহায়ফা (রাহঃ) নকল করেছেন শুধু এই বাক্যই নয়, যদি শুধু এই বাক্যই হত তাহলে তার উক্তির সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু এর সঙ্গে অন্য বাক্যও মিলিত আছেঃ
بَابُ الْمُؤْمِنِ يَقْتُلُ الْكَافِرَ مُتَعَمِّدًا
5046 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ يَحْيَى قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ: أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ. ح

5047 - وَحَدَّثَنَا رَبِيعٌ الْمُؤَذِّنُ قَالَ: ثنا أَسَدٌ قَالَ: ثنا أَسْبَاطٌ عَنْ مُطَرِّفِ بْنِ طَرِيفٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ , عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ قَالَ: سَأَلْتُ عَلِيًّا: هَلْ عِنْدَكُمْ مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِوَى الْقُرْآنِ؟ . فَقَالَ وَالَّذِي فَلَقَ الْحَبَّةَ وَبَرَأَ النَّسَمَةَ مَا عِنْدَنَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سِوَى الْقُرْآنِ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ. قَالَ: قُلْتُ وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ؟ قَالَ: الْعَقْلُ وَفِكَاكُ الْأَسِيرِ وَأَنْ لَا يُقْتَلَ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ " قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا قَتَلَ الْكَافِرَ مُتَعَمِّدًا لَمْ يُقْتَلْ بِهِ وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ فَقَالُوا: بَلْ يُقْتَلُ بِهِ. وَكَانَ مِنَ الْحُجَّةِ لَهُمْ فِي ذَلِكَ أَنَّ هَذَا الْكَلَامَ الَّذِي حَكَاهُ أَبُو جُحَيْفَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ لَمْ يَكُنْ مُنْفَرِدًا وَلَوْ كَانَ مُنْفَرِدًا لَاحْتَمَلَ مَا قَالُوا وَلَكِنَّهُ كَانَ مَوْصُولًا بِغَيْرِهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৪৭
empty
৫০৪৭।
5047 -
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৪৮
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৪৮। ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. কায়স ইব্‌ন উব্বাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও আশতার (হারিস ইব্‌ন মালিক) আলী (রাযিঃ)-এর নিকট গেলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কি আপনার থেকে কোন প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন, যা সাধারণ লােকদের থেকে নেন নাই। তিনি বললেন, ‘না’ তবে যা কিছু আমার এই কিতাবে রয়েছে। অতঃপর তিনি স্বীয় তরবারির খাপ-থেকে একটি কিতাব বের করলেন, যাতে লেখা ছিল যে, মু'মিনদের খুন পারস্পরিক রূপে বরাবর এবং তাদের প্রতিশ্রুতি (পূর্ণ করার) জন্য নগণ্য মুসলমানও চেষ্টা করতে পারবে। তারা অন্যদের বিরুদ্ধে একটি শক্তি। কোন মু'মিন (মুসলিম) কে কাফিরের (অমুসলিমমের) বদলায় হত্যা করা হবেনা। এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে। যে ব্যক্তি দ্বীনের মাঝে কোন (এরূপ) নতুন বিষয় আবিস্কার করে (যা দ্বীনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়) এর অশুভ পরিণতি তারই উপর বর্তাবে। আর যে ব্যক্তি কোন (খারাপ) বিদ্'আত প্রবর্তন করবে অথবা কোন বিদ্'আতিকে আশ্রয় দিবে, তার উপর আল্লাহ্, ফিরিশতা ও সমস্ত লােকদের লা'নত (অভিসম্পাত)।

আলী (রাযিঃ)-এর পরিপূর্ণ হাদীস এটাই। এতে যে মু'মিনকে কাফিরের বদলায় হত্যা না করার উল্লেখ রয়েছে। তা হলাে তার এই উক্তিঃ কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় এবং কোন চুক্তিবদ্ধলােককে চুক্তি চলাকালীন সময় হত্যা করা হবে না। এর সেই মর্ম যা প্রথমােক্ত মতপােষণকারীগণ নিয়েছে তা অসম্ভব। কেননা তা হলে তা ভুল হত। আর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এ থেকে অপরাপর সমস্ত লোকদের অপেক্ষা সর্বাপেক্ষা দূরে অবস্থানকারী। এবং মর্ম এটা হত যে, কোন মু'মিনকে কাফির এবং কোন চুক্তিবদ্ধলােকের বদলায় তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না। যখন এর শব্দ এরূপ নয় বরং এর শব্দ হলাে নিম্নরূপঃ “কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না।” এতে আমরা জানতে পেরেছি যে, কিসাস দ্বারা চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)ই উদ্দেশ্য। সুতরাং এখন এই উক্তি এরূপ হবে যে, কোন মু'মিন এবং চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে তার চুক্তির সময়ে কোন কাফির (অযিম্মী)-এর বদলায় হত্যা করা হবে না।

আর এটা আমাদের জানা কথা যে, চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী) ও কাফির। সুতরাং প্রমাণিত হলাে যে, এই হাদীসে যে কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করা নিষিদ্ধ, সে অচুক্তিবদ্ধ (অযিম্মী) কাফির। আর এ সম্পর্কে মু'মিনদের মাঝে কোনরূপ বিরােধ নেই যে, হারবী কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করা হবে না এবং ওই যিম্মী কাফির যার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তাকেও হারবী কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না।

আমরা এরূপ বিষয় (বাক্যের মাঝে আগে পরে হওয়া) কুরআন মাজীদে প্রচুর পেয়ে থাকি। আল্লাহ্ তা'আলার বলেনঃ وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ

অর্থাৎঃ তােমাদের যেসকল স্ত্রী ঋতুমতি হবার আশা নাই তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস এবং যারা এখনও রজস্বলা হয় নাই। (সূরাঃ ৬৫ আয়াতঃ ৪) এর অর্থ হলাে তােমাদের যেসকল স্ত্রীর ঋতুমতী হবার আশা নাই এবং যারা এখনও ঋতুমতী হয় নাই, তাদের ইদ্দত সম্পর্কে তােমরা সন্দেহ করলে, তাদের ইদ্দতকাল হবে তিন মাস। (এ আয়াতে) আগে পরে করা হয়েছে। অনুরূপভাবে তাঁর উক্তিঃ কোন মু'মিনকে কাফিরের বদলায় এবং কোন চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না। এতে তাঁর উদ্দেশ্য হলােঃ (আল্লাহ্ই সর্বাধিক জ্ঞাত আছেন) কোন মু'মিন এবং যিম্মীকে তার চুক্তির সময়ে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না। (সংশ্লিষ্ট বাক্যে) আগে পরে করা হয়েছে। সুতরাং যে কাফিরের বদলায় মু'মিনকে হত্যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা দ্বারা ওই কাফির উদ্দেশ্য, যার সাথে কোন চুক্তি বা প্রতিশ্রুতি নাই (অর্থাৎ হারবী কাফির)। যদি কোন প্রশ্নকারী বলে যে, তাঁর উক্তি “এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে”- এর মর্ম হবে এই যে, তিনি “মু'মিনকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না” বলার পর বক্তব্য বিচ্ছিন্ন তথা শেষ করে দিয়েছেন। অতঃপর নতুনভাবে বলেছেন যে, কোন চুক্তিবদ্ধ লােককে তার চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে না।

তার বিরুদ্ধে আমাদের দলীল হলাে যে, এই হাদীসটি ওই খুনের ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে, যা কারাে বদলায় প্রবাহিত করা হয়। কেননা তিনি বলেছেন, মুসলমানদের অন্যের উপরে প্রাধান্য রয়েছে, তাদের রক্ত পারস্পরিকভাবে বরাবর এবং তাদের কৃত প্রতিশ্রুতি (পূর্ণ করার) জন্য নগণ্য মুসলমানও চেষ্টা করতে পারে। অতঃপর বলেছেনঃ কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না এবং না কোন চুক্তিবদ্ধ (যিম্মী)-কে স্বীয় চুক্তি চলাকালীন সময়ে হত্যা করা হবে। সুতরাং এই বাক্য ওই খুনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যা কিসাসরূপে প্রবাহিত করা হয়। পক্ষান্তরে চুক্তির কারণে খুনের হুরমত সম্পর্কে এই বাক্য বলা হয় নাই। সুতরাং এই হাদীসূকে এর উপরই প্রয়ােগ করা হবে। এই হলো একটি দলীল বা বিশ্লেষণ।

দ্বিতীয় দলীল এই যে, এই হাদীসটি আলী (রাযিঃ) সূত্রে নবী(ﷺ) থেকে বর্ণিত। আমাদের জানা নেই যে, সহীহ সনদের সাথে এটি অন্য কোন সাহাবী থেকেও বর্ণিত আছে। সুতরাং তিনি এর ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ অধিক অবহিত। যদি এটা তােমাদের নিকট কোন বিষয়ের সম্ভাবনা রাখে তাহলে ওই দুই অর্থের সম্ভাবনা হবে, যা তােমরা উল্লেখ করেছ। আর এটা এ কথার দলীল যে, বাস্তবে এর মর্ম সেটাই হবে, যা তিনি [আলী (রাযিঃ)] বর্ণনা করেছেন।
5048 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا مُسَدَّدٌ , قَالَ: ثنا يَحْيَى , عَنِ ابْنِ أَبِي عَرُوبَةَ , قَالَ: ثنا قَتَادَةُ , عَنِ الْحَسَنِ , " عَنْ قَيْسِ بْنِ عَبَّادٍ , قَالَ: انْطَلَقْتُ أَنَا وَالْأَشْتَرُ إِلَى عَلِيٍّ فَقُلْنَا هَلْ عَهِدَ إِلَيْكَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدًا لَمْ يَعْهَدْهُ إِلَى النَّاسِ عَامَّةً؟ قَالَ: «لَا إِلَّا مَا كَانَ فِي كِتَابِي هَذَا» فَأَخْرَجَ كِتَابًا مِنْ قِرَابِ سَيْفِهِ فَإِذَا فِيهِ الْمُؤْمِنُونَ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ وَيَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ وَهُمْ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ وَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا فَعَلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا أَوْ آوَى مُحْدِثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ «فَهَذَا هُوَ حَدِيثُ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِتَمَامِهِ وَالَّذِي فِيهِ مِنْ نَفْيِ قَتْلِ الْمُؤْمِنِ بِالْكَافِرِ هُوَ قَوْلُهُ» لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ «. [ص:193] فَاسْتَحَالَ أَنْ يَكُونَ مَعْنَاهُ عَلَى مَا حَمَلَهُ عَلَيْهِ أَهْلُ الْمَقَالَةِ الْأُولَى لِأَنَّهُ لَوْ كَانَ مَعْنَاهُ عَلَى مَا ذَكَرُوا لَكَانَ ذَلِكَ لَحْنًا وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْعَدُ النَّاسِ مِنْ ذَلِكَ وَلَكَانَ لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذِي عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ. فَلَمَّا لَمْ يَكُنْ لَفْظُهُ كَذَلِكَ وَإِنَّمَا هُوَ» وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ «عَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ ذَا الْعَهْدِ هُوَ الْمَعْنِيُّ بِالْقِصَاصِ. فَصَارَ ذَلِكَ كَقَوْلِهِ» لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ بِكَافِرٍ «. وَقَدْ عَلِمْنَا أَنَّ ذَا الْعَهْدِ كَافِرٌ فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ الْكَافِرَ الَّذِي مَنَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُقْتَلَ بِهِ الْمُؤْمِنُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ هُوَ الْكَافِرُ الَّذِي لَا عَهْدَ لَهُ. فَهَذَا مِمَّا لَا اخْتِلَافَ فِيهِ بَيْنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنَّ الْمُؤْمِنَ لَا يُقْتَلُ بِالْكَافِرِ الْحَرْبِيِّ وَأَنَّ ذَا الْعَهْدِ الْكَافِرِ الَّذِي قَدْ صَارَ لَهُ ذِمَّةٌ لَا يُقْتَلُ بِهِ أَيْضًا. وَقَدْ نَجِدُ مِثْلَ هَذَا كَثِيرًا فِي الْقُرْآنِ قَالَ اللهُ تَعَالَى {» وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ مِنْ نِسَائِكُمْ إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ "} [الطلاق: 4] . فَكَانَ مَعْنَى ذَلِكَ «وَاللَّائِي يَئِسْنَ مِنَ الْمَحِيضِ» وَاللَّائِي لَمْ يَحِضْنَ «إِنِ ارْتَبْتُمْ فَعِدَّتُهُنَّ ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ» فَقَدَّمَ وَأَخَّرَ. فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» إِنَّمَا مُرَادُهُ فِيهِ وَاللهُ أَعْلَمُ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ بِكَافِرٍ» فَقَدَّمَ وَأَخَّرَ. فَالْكَافِرُ الَّذِي مُنِعَ أَنْ يُقْتَلَ بِهِ الْمُؤْمِنُ هُوَ الْكَافِرُ غَيْرُ الْمُعَاهَدِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: قَوْلُهُ «وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» إِنَّمَا مَعْنَاهُ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ» فَانْقَطَعَ الْكَلَامُ ثُمَّ قَالَ «وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» كَلَامًا مُسْتَأْنَفًا أَيْ: «وَلَا يُقْتَلُ الْمُعَاهَدُ فِي عَهْدِهِ» . فَكَانَ مِنْ حُجَّتِنَا عَلَيْهِ أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ إِنَّمَا جَرَى فِي الدِّمَاءِ الْمَسْفُوكِ بَعْضُهَا بِبَعْضٍ لِأَنَّهُ قَالَ «الْمُسْلِمُونَ يَدٌ عَلَى مَنْ سِوَاهُمْ تَتَكَافَأُ دِمَاؤُهُمْ وَيَسْعَى بِذِمَّتِهِمْ أَدْنَاهُمْ» ثُمَّ قَالَ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ وَلَا ذُو عَهْدٍ فِي عَهْدِهِ» فَإِنَّمَا أَجْرَى الْكَلَامَ عَلَى الدِّمَاءِ الَّتِي تُؤْخَذُ قِصَاصًا وَلَمْ يَجْرِ عَلَى حُرْمَةِ دَمٍ بِعَهْدٍ فَيُحْمَلُ الْحَدِيثُ عَلَى ذَلِكَ فَهَذَا وَجْهٌ. وَحُجَّةٌ أُخْرَى أَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ إِنَّمَا رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَعْلَمُ أَنَّهُ رُوِيَ عَنْ غَيْرِهِ مِنْ طَرِيقٍ صَحِيحٍ فَهُوَ كَانَ أَعْلَمَ بِتَأْوِيلِهِ. وَتَأْوِيلُهُ فِيهِ إِذْ كَانَ مُحْتَمِلًا عِنْدَكُمْ يَحْتَمِلُ هَذَيْنِ الْمَعْنَيَيْنِ اللَّذَيْنِ ذَكَرْتُمْ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَعْنَاهُ فِي الْحَقِيقَةِ هُوَ مَا تَأَوَّلَهُ عَلَيْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৪৯
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৪৯। ইবরাহীম ইব্‌ন আবী দাউদ (রাহঃ) ….. ইব্‌ন শিহাব (যুহরী র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে সাঈদ ইব্‌ন মুসাইয়্যাব (রাহঃ) খবর দিয়েছেন যে, আব্দুর রহমান ইব্‌ন আবু বাকার (রাযিঃ) বলেন, যখন উমার (রাযিঃ) শাহাদাত বরণ করেন তখন আমি আবু লু'লুর কাছ দিয়ে অতিক্রম করেছি এবং তার সঙ্গে হুরমাযান ছিল। আমি যখন তাদের উপর অকস্মাৎ আক্রমণ করলাম তখন তারা পালিয়ে গেল এবং তাদের খঞ্জরটি পড়ে গেল যার দুটি মাথা ছিল আর হাতল ছিল এর মাঝে। বলেন, আমি বললাম, লক্ষ্য কর, সম্ভবত এটা সেই খঞ্জর, যা দ্বারা উমার (রাযিঃ)-কে শহীদ করা হয়েছে। তারা লক্ষ্য করলেন, দেখা গেল এটা সেই খঞ্জর ছিল, যে সম্পর্কে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) বর্ণনা দিয়েছেন। উবায়দুল্লাহ ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) যখন আব্দুর রহমান (রাযিঃ) থেকে এ কথা শুনলেন তখন তরবারি নিয়ে রওয়ানা হলেন। অবশেষে তিনি হুরমুযানকে আহবান করলেন। যখন সে তাঁর দিকে বের হলাে তখন বললেন, চল! গিয়ে আমার অশ্ব দেখ। যখন সে সম্মুখে চলতে লাগল তখন তিনি পিছনে সরে পড়লেন এবং তার উপর তরবারি উত্তোলন করলেন। সে যখন তরবারির স্পর্শ অনুভব করল তখন বললঃ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” তথা পবিত্র কালিমা পড়ল। উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, আমি হুফায়নাকে আহবান করলাম এবং সে হীরা নগরীর খ্রিস্টান ছিল। সে যখন আমার দিকে বেরিয়ে আসল আমি তার উপর তরবারি উত্তোলন করলাম, যা তার দু’চক্ষের মাঝে আঘাত হানে। অতঃপর উবায়দুল্লাহ্ (রাযিঃ) চলে গেলেন এবং তিনি আবু লু'লুর ছােট কন্যাকে, যে ইসলামের দাবি করত, হত্যা করে ফেলেন। যখন উসমান (রাযিঃ) খলীফা নিযুক্ত হলেন তখন তিনি মুহাজির ও আনসার সাহাবীদেরকে ডেকে বললেন, আমাকে এই ব্যক্তির হত্যা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান কর, যে কি না দ্বীনের মধ্যে বিশৃংখলা (ফাসাদ) সৃষ্টি করেছে। মুহাজির সাহাবীগণ সর্বসম্মতভাবে তাকে কঠোরতা অবলম্বনের এবং হত্যা করার পরামর্শ দিলেন। উবায়দুল্লাহর সঙ্গে লােকদের বিশাল এক বাহিনী ছিল। তারা বলতেন, হুফায়না ও হুরমুযানকে আল্লাহ্ দূর করে দিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে বিরােধ হয়েছে। অতঃপর আমর ইবন 'আস (রাযিঃ) বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন! এই ঘটনাটি
আপনার বায়'আত হওয়ার পর সংঘটিত হওয়ায় আপনাকে আল্লাহ্ রক্ষা করেছেন। ওটা তাে লােকদের উপর আপনার রাজত্ব তথা খিলাফত প্রতিষ্ঠার পূর্বেকার (ঘটনা)। অনন্তর তিনি উবায়দুল্লাহ্ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। আর সাহাবাগণ আমর ইব্‌ন আস (রাযিঃ)-এর ভাষণের কারণে (বৈঠক থেকে) চলে গেলেন। অবশেষে উসমান (রাযিঃ) ওই দুই ব্যক্তি এবং বালিকার দিয়াত আদায় করে দিলেন।

বস্তুত এই হাদীসে ব্যক্ত হয়েছে যে, উবায়দুল্লাহ (রাহঃ) হুফায়নাকে হত্যা করেছেন এবং সে মুশরিক ছিল। হুরমুযানকে আঘাত করেছেন এবং সে কাফির ছিল, অতঃপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করলে মুহাজিরগণ উসমান (রাযিঃ)-কে উবায়দুল্লাহ (রাহঃ)-এর হত্যার পরামর্শ দিয়েছেন। আলী (রাযিঃ) ও তাদের মাঝে বিদ্যমান ছিলেন। সুতরাং (ﷺ)-এর বক্তব্যঃ “কোন মু'মিনকে কোন কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না” দ্বারা হারবী কাফির ব্যতীত অন্য কাফির উদ্দেশ্য নেয়াটা অসম্ভব। অতঃপর মুহাজিরগণ যাদের মাঝে আলী (রাযিঃ) ও ছিলেন, উসমান (রাযিঃ)-কে একজন যিম্মী কাফিরের বদলায় উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে হত্যার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাই এর মর্ম সেটাই, যা আমরা উল্লেখ করেছি, অর্থাৎ তার উদ্দেশ্য হলাে হারবী কাফির।

যদি কোন ব্যক্তি বলে যে, এই হাদীসে এটাও ব্যক্ত হয়েছে যে, উবায়দুল্লাহ (রাযিঃ) আবু লু'লুর ছােট কন্যাকে হত্যা করেছেন এবং সে ইসলামের দাবি করত। হতে পারে তাঁরা এ কারণে (বালিকা হত্যা) উবায়দুল্লাহর রক্ত প্রবাহিত করাকে জায়িয সাব্যস্ত করেছেন, হুফায়না ও হুরমুযান এই দুই ব্যক্তির কারণে নয়।

তাকে উত্তরে বলা হবে যে, এই হাদীসে একথার সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে যে, তিনি (রাযিঃ) হুফায়না ও হুরমুযান এর হত্যার কারণে তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। আর এটা তাদের উক্তি যে, আল্লাহ্ তা'আলা ওই দু’জনকে (রহমত থেকে) দূর করে দিয়েছেন। সুতরাং এটা অসম্ভব যে, উসমান (রাযিঃ) ওই দুই জন ব্যতীত অন্যের কারণে তাকে হত্যা করার সংকল্প করেছিলেন, যখন কিনা লোকেরা তাঁকে এটা বলছিল যে, আল্লাহ্ তা'আলা সেই দু’জনকে দূর করে দিয়েছেন। এরপর তিনি বলবেন যে, আমি ওই দুজনের কারণে তাকে হত্যা করার সংকল্প করি নাই; বরং আমি ঐ বালিকার হত্যার কারণে এই ইচ্ছা করেছি, তাই তিনি ওই দুজন এবং এ বালিকার হত্যার কারণে তাকে হত্যা করার সংকল্প করেছেন।

তােমরা কি তাকে লক্ষ্য করছ না যে, সে বলছে, এতে মতবিরােধ অধিক হয়ে গিয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়। যে, উসমান (রাযিঃ) তাকে সেই সমস্ত লােকদের বদলায় হত্যা করার সংকল্প করেছেন, যাদের তিনি হত্যা করেছেন। আর তাদের (নিহতদের) মধ্যে হুরমুযান এবং খুফায়নাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সুতরাং আমাদের বক্তব্য দ্বারা সাব্যস্ত হয়ে গেছে যে, হাদীসের বিশুদ্ধ মর্ম ও বিষয়বস্তু সেটাই, যা আমরা বর্ণনা করেছি এবং একথার খণ্ডন হয়ে গিয়েছে যে, এই হাদীস যিম্মীর বদলায় মুসলিমকে হত্যা করার পরিপন্থী দলীল হতে পারে ।

রাসূল(ﷺ) থেকে বর্ণিত অন্য একটি হাদীসও এর অনুকূলে অত্যন্ত মজবুতভাবে সমর্থন ব্যক্ত করে ,যদিও তা মুনকাতি‘:
5049 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ أَبِي دَاوُدَ , قَالَ: ثنا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ , قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ , عَنِ [ص:194] ابْنِ شِهَابٍ , أَنَّهُ قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيِّبِ , أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ , قَالَ - حِينَ قُتِلَ عُمَرُ - مَرَرْتُ عَلَى أَبِي لُؤْلُؤَةَ وَمَعَهُ هُرْمُزَانُ. فَلَمَّا بَغَتَهُمْ ثَارُوا فَسَقَطَ مِنْ بَيْنِهِمْ خَنْجَرٌ لَهُ رَأْسَانِ مُمْسَكُهُ فِي وَسَطِهِ. قَالَ: قُلْتُ فَانْظُرُوا لَعَلَّهُ الْخَنْجَرُ الَّذِي قَتَلَ بِهِ عُمَرَ فَنَظَرُوا فَإِذَا هُوَ الْخَنْجَرُ الَّذِي وَصَفَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ. فَانْطَلَقَ عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ حِينَ سَمِعَ ذَلِكَ مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَمَعَهُ السَّيْفُ حَتَّى دَعَا الْهُرْمُزَانَ فَلَمَّا خَرَجَ إِلَيْهِ قَالَ: انْطَلِقْ حَتَّى تَنْظُرَ إِلَى فَرَسٍ لِي ثُمَّ تَأَخَّرَ عَنْهُ , إِذَا مَضَى بَيْنَ يَدَيْهِ عَلَاهُ بِالسَّيْفِ , فَلَمَّا وَجَدَ مَسَّ السَّيْفِ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ قَالَ عُبَيْدُ اللهِ وَدَعَوْتُ حُفَيْنَةَ وَكَانَ نَصْرَانِيًّا مِنْ نَصَارَى الْحِيرَةِ فَلَمَّا خَرَجَ إِلَيَّ عَلَوْتُهُ بِالسَّيْفِ فَصَلْتُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ , ثُمَّ انْطَلَقَ عُبَيْدُ اللهِ فَقَتَلَ ابْنَةَ أَبِي لُؤْلُؤَةَ صَغِيرَةً تَدَّعِي الْإِسْلَامَ. فَلَمَّا اسْتُخْلِفَ عُثْمَانُ دَعَا الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارَ فَقَالَ: أَشِيرُوا عَلَيَّ فِي قَتْلِ هَذَا الرَّجُلِ الَّذِي فَتَقَ فِي الدِّينِ مَا فَتَقَ. فَاجْتَمَعَ الْمُهَاجِرُونَ فِيهِ عَلَى كَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ يَأْمُرُونَهُ بِالشِّدَّةِ عَلَيْهِ وَيَحُثُّونَ عُثْمَانَ عَلَى قَتْلِهِ وَكَانَ فَوْجُ النَّاسِ الْأَعْظَمِ مَعَ عُبَيْدِ اللهِ يَقُولُونَ لِحُفَيْنَةَ وَالْهُرْمُزَانِ أَبْعَدُهُمَا اللهُ فَكَانَ فِي ذَلِكَ الِاخْتِلَافُ. ثُمَّ قَالَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّ هَذَا الْأَمْرَ قَدْ أَعْفَاكَ اللهُ مِنْ أَنْ تَكُونَ بَعْدَمَا قَدْ بُويِعْتَ وَإِنَّمَا كَانَ ذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ لَكَ عَلَى النَّاسِ سُلْطَانٌ فَأَعْرَضَ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ. وَتَفَرَّقَ النَّاسُ عَنْ خُطْبَةِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ وَوَدَى الرَّجُلَيْنِ وَالْجَارِيَةَ فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَتَلَ حُفَيْنَةَ وَهُوَ مُشْرِكٌ وَضَرَبَ الْهُرْمُزَانَ وَهُوَ كَافِرٌ ثُمَّ كَانَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ ذَلِكَ. فَأَشَارَ الْمُهَاجِرُونَ رِضْوَانُ اللهِ عَلَيْهِمْ عَلَى عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بِقَتْلِ عُبَيْدِ اللهِ , وَعَلِيٌّ فِيهِمْ. فَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ قَوْلُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا يُقْتَلُ مُؤْمِنٌ بِكَافِرٍ» يُرَادُ بِهِ غَيْرُ الْحَرْبِيِّ ثُمَّ يُشِيرُ الْمُهَاجِرُونَ وَفِيهِمْ عَلِيٌّ عَلَى عُثْمَانَ بِقَتْلِ عُبَيْدِ اللهِ بِكَافِرٍ ذِي عَهْدٍ وَلَكِنْ مَعْنَاهُ هُوَ عَلَى مَا ذَكَرْنَا مِنْ إِرَادَتِهِ الْكَافِرَ الَّذِي لَا ذِمَّةَ لَهُ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَفِي هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَتَلَ بِنْتًا لِأَبِي لُؤْلُؤَةَ صَغِيرَةً تَدَّعِي الْإِسْلَامَ فَيَجُوزُ أَنْ يَكُونَ إِنَّمَا اسْتَحَلُّوا سَفْكَ دَمِ عُبَيْدِ اللهِ بِهَا لَا بِحُفَيْنَةَ وَالْهُرْمُزَانِ. [ص:195] قِيلَ لَهُ: فِي هَذَا الْحَدِيثِ مَا يَدُلُّ عَلَى أَنَّهُ أَرَادَ قَتَلَهُ بِحُفَيْنَةَ وَالْهُرْمُزَانِ وَهُوَ قَوْلُهُمْ «أَبْعَدَهُمَا اللهُ» . فَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَرَادَ أَنْ يَقْتُلَهُ بِغَيْرِهِمَا وَيَقُولُ النَّاسُ لَهُ أَبْعَدَهُمَا اللهُ ثُمَّ لَا يَقُولُ لَهُمْ إِنِّي لَمْ أُرِدْ قَتْلَهُ بِهَذَيْنِ إِنَّمَا أَرَدْتُ قَتْلَهُ بِالْجَارِيَةِ وَلَكِنَّهُ أَرَادَ قَتْلَهُ بِهِمَا وَبِالْجَارِيَةِ. أَلَا تَرَاهُ يَقُولُ فَكَثُرَ فِي ذَلِكَ الِاخْتِلَافُ. فَدَلَّ ذَلِكَ أَنَّ عُثْمَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ إِنَّمَا أَرَادَ قَتْلَهُ بِمَنْ قَتَلَ وَفِيهِمُ الْهُرْمُزَانُ وَحُفَيْنَةُ. فَقَدْ ثَبَتَ بِمَا ذَكَرْنَا مَا صَحَّ عَلَيْهِ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ أَنَّ مَعْنَى حَدِيثِهِ عَلَى الْأَوَّلِ عَلَى مَا وَصَفْنَا فَانْتَفَى أَنْ يَكُونَ فِيهِ حُجَّةٌ تَدْفَعُ أَنْ يُقْتَلَ الْمُسْلِمُ بِالذِّمِّيِّ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ أَيْضًا رُشْدَهُ مَا قَدْ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِنْ كَانَ مُنْقَطِعًا
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫০
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৫০। ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. আব্দুর রহমান ইব্‌ন বায়লামানী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী(ﷺ) দরবারে এক মুসলমান পুরুষকে হাযির করা হয়, যে এক যিম্মীকে হত্যা করেছিল। অনন্তর তাঁর নির্দেশে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন, তার চুক্তি পূর্ণ করার অধিক দায়িত্ব আমার।
5050 - حَدَّثَنَا ابْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَامِرٍ , قَالَ: ثنا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلَالٍ , عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ , عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْبَيْلَمَانِيِّ , «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُتِيَ بِرَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَدْ قَتَلَ مُعَاهَدًا مِنْ أَهْلِ الذِّمَّةِ فَأَمَرَ بِهِ فَضُرِبَ عُنُقُهُ وَقَالَ أَنَا أَوْلَى مَنْ وَفَّى بِذِمَّتِهِ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫১
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৫১। সুলায়মান ইব্‌ন শু'আইব (রাহঃ) ….. মুহাম্মাদ ইব্‌ন মুনকাদির (রাহঃ) সূত্রে নবী(ﷺ) থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত করেছেন।

আমাদের মতে যুক্তি ও কিয়াসও এটা সমর্থন করে। আর তা এই যে, আমরা লক্ষ্য করছি, হারবী কাফিরের রক্ত হালাল, তার সম্পদও হালাল। পক্ষান্তরে যখন সে যিম্মী হয়ে যায় তখন তার রক্ত ও সম্পদ অনুরূপভাবে হারাম হয়ে যায়। যেমনিভাবে মুসলমানের রক্ত ও সম্পদ হারাম। আরাে আমরা লক্ষ্য করেছি যে, যে ব্যক্তি যিম্মী তথা চুক্তিবদ্ধ কোন লােকের এতটুকু সম্পদ চুরি করে, যাতে হাত কাটা হয়, তাহলে তার (এই চোরের) হাত অনুরূপভাবে কাটা হবে, যেভাবে মুসলমানের সম্পদে কাটা হয়। যখন যিম্মীর সম্পদের হুরমত বা নিষিদ্ধতা বিনষ্টে সেই শাস্তি প্রযােজ্য হয় যা মুসলমানের সম্পদের হুরমত বা নিষিদ্ধতা বিনষ্টে ওয়াজিব হয়ে থাকে। সুতরাং যুক্তির দাবি হলাে যে, যিম্মীর খুনের হুরমত বিনষ্টকারীরও সেই শাস্তি প্রযােজ্য হবে, যা মুসলমানের খুন প্রবাহিতকারীর জন্য হয়ে থাকে।

যদি কোন প্রশ্নকারী প্রশ্ন করে যে, সম্পদের হুরমত (নিষিদ্ধতা) বিনষ্টের শাস্তি এবং খুনের হুরমত বিনষ্টের শাস্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। কারণ যখন কোন ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদ চুরি করে তখন তার হাত কাটা হয় না। পক্ষান্তরে সে যদি তার মনিবকে হত্যা করে তাহলে তাকে কিসাস হিসাবে হত্যা করা হয়। সুতরাং উভয়ের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। তাই তােমরা এটাও অস্বীকার করতে পারবেনা যে, যিম্মীর সম্পদের হুরমত বিনষ্টে এবং তার রক্ত প্রবাহিত করার শাস্তিতে পার্থক্য বিদ্যমান।

তাকে উত্তরে বলা হবে যে, তােমার বক্তব্য তাে আমাদের মাযহাবেরই গুরুত্বকে বৃদ্ধি করে। কেননা তােমরা উল্লেখ করেছ, তাঁরা (ফকীহগণ) ঐকমত্য পােষণ করেছেন যে, মনিবের সম্পদ চুরি করাতে ক্রীতদাসের হাত কাটা হয় না। কিন্তু তাকে হত্যা করার অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়। অনুরূপভাবে মনিবের ক্রীতদাসদেরকে হত্যা করলে তখনও (কিসাসরূপে) হত্যা করা হয়। তাই এ বিষয়ে যা কিছু তােমরা উল্লেখ করেছে এ অনুযায়ী তারা সম্পদ সংক্রান্ত বিষয়ে সহজ এবং খুনের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করেছে। তারা হত্যার ব্যাপারে শাস্তি ওয়াজিব সাব্যস্ত করেছে। পক্ষান্তরে চুরির ব্যাপারে তা ওয়াজিব সাব্যস্ত করে নাই। সুতরাং খুনের বিষয়ে কঠোরতা এবং সম্পদ তথা আর্থিক ব্যাপরে সহজতা সাব্যস্ত হলাে। অতঃপর আমরা লক্ষ্য করছি যে, যিম্মীর সম্পদ চুরি করলেও মুসলমাননের জন্য সেই শাস্তি প্রযােজ্য হয়; যা মুসলমানের সম্পদ চুরির ক্ষেত্রে হয়। তাই এটা অধিকতর সংগত যে, যিম্মীকে হত্যা করার অবস্থায় তাকে সেই শাস্তিই দেয়া হবে, যা মুসলমানকে হত্যা করলে দেয়া হয়।

তাঁরা (ফকীগগণ) ঐকমত্য পােষণ করেছেন যে, যদি কোন যিম্মী কোন যিম্মীকে হত্যা করে, অতঃপর হত্যাকারী ইসলাম গ্রহণ করে, তাহলে তাকে (হত্যাকারীকে) ওই যিম্মীর কিসাসরূপে হত্যা করা হবে, যাকে সে কুফরী অবস্থায় হত্যা করেছিল। আর তার ইসলাম গ্রহণ ওই শাস্তিকে বাতিল করবেনা।

যখন আমরা লক্ষ্য করছি যে, হত্যা পরবর্তী ইসলাম গ্রহণ কুফরী অবস্থায় সংঘটিত হত্যাকে বাতিল করেনা। এবং সমস্ত হদসমূহ এক ও অভিন্ন। হদ এরূপ অবস্থায় পাওয়া যায় না যে, তা শুরুতে ওয়াজিব নয়।

তুমি কি লক্ষ্য করছ না যে, যদি কেউ কাউকে হত্যা করে এবং নিহত ব্যক্তি মুরতাদ (ধর্মত্যাগী) হয় তাহলে এই হত্যাকারীর উপর কিছুই ওয়াজিব হবে না। আর যদি সে কোন মুসলিমকে যখম করে অতঃপর সে (আল্লাহর পানাহ) মুরতাদ হয়ে মরে যায় তাহলে এই যখমকারীকে হত্যা করা হবে না। সুতরাং তার অপরাধের পূর্বে মুরতাদ হওয়া এবং পরে মুরতাদ হওয়া উভয়টি (কিসাসরূপে) হত্যাকে বিলুপ্ত করার ব্যাপারে অভিন্ন।

তাই যুক্তির দাবি এটাই যে, অপরাধ করার পূর্বে এবং পরে হত্যাকারীর হুকুম অভিন্ন হবে। তাই যখন অপরাধের পরে এবং কিসাসের পুর্বে তার ইসলাম গ্রহণ তার থেকে কিসাসকে বিলুপ্ত করেনা, অনুরূপভাবে অপরাধের পূর্বেকার ইসলাম গ্রহণও তার থেকে কিসাসকে বিলুপ্ত করবে না। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
5051 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ , قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ سَلَّامٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي حُمَيْدٍ الْمَدَنِيِّ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ , عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ وَالنَّظَرُ عِنْدَنَا شَاهِدٌ لِذَلِكَ أَيْضًا وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْحَرْبِيَّ دَمَهُ حَلَالٌ وَمَالَهُ حَلَالٌ , فَإِذَا صَارَ ذِمِّيًّا حَرُمَ دَمُهُ وَمَالُهُ كَحُرْمَةِ دَمِ الْمُسْلِمِ وَمَالِ الْمُسْلِمِ. ثُمَّ رَأَيْنَا مَنْ سَرَقَ مِنْ مَالِ الذِّمِّيِّ مَا يَجِبُ فِيهِ الْقَطْعُ , قُطِعَ كَمَا يُقْطَعُ فِي مَالِ الْمُسْلِمِ. فَلَمَّا كَانَتِ الْعُقُوبَاتُ فِي انْتِهَاكِ الْمَالِ الَّذِي قَدْ حَرُمَ بِالذِّمَّةِ كَالْعُقُوبَاتِ فِي انْتِهَاكِ الْمَالِ الَّذِي حَرُمَ بِالْإِسْلَامِ كَانَ يَجِيءُ فِي النَّظَرِ أَيْضًا أَنْ تَكُونَ الْعُقُوبَةُ فِي الدَّمِ الَّذِي قَدْ حَرُمَ بِالذِّمَّةِ كَالْعُقُوبَةِ فِي الَّذِي قَدْ حَرُمَ بِالْإِسْلَامِ. فَإِنْ قَالَ قَائِلٌ: فَإِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْعُقُوبَاتِ الْوَاجِبَاتِ فِي انْتِهَاكِ حُرْمَةِ الْأَمْوَالِ قَدْ فَرَّقَ بَيْنَهُمَا وَبَيْنَ الْعُقُوبَاتِ الْوَاجِبَاتِ فِي انْتِهَاكِ حُرْمَةِ الدَّمِ , وَذَلِكَ أَنَّا رَأَيْنَا الْعَبْدَ يَسْرِقُ مِنْ مَالِ مَوْلَاهُ فَلَا يُقْطَعُ وَيَقْتُلُ مَوْلَاهُ فَيُقْتَلُ , فَفَرَّقَ بَيْنَ ذَلِكَ فَمَا تُنْكِرُونَ أَيْضًا أَنْ يَكُونَ قَدْ فَرَّقَ بَيْنَ مَا يَجِبُ فِي انْتِهَاكِ مَالِ الذِّمِّيِّ وَدَمِهِ؟ قِيلَ لَهُ: هَذَا الَّذِي ذَكَرْتُ قَدْ زَادَ مَا ذَهَبْنَا إِلَيْهِ تَوْكِيدًا لِأَنَّكَ ذَكَرْتَ أَنَّهُمْ أَجْمَعُوا أَنَّ الْعَبْدَ لَا يُقْطَعُ فِي مَالِ مَوْلَاهُ وَأَنَّهُ يُقْتَلُ بِمَوْلَاهُ وَبِعَبِيدِ مَوْلَاهُ. فَمَا وَصَفْتُ مِنْ ذَلِكَ كَمَا ذَكَرْتُ فَقَدْ خَفَّفُوا أَمْرَ الْمَالِ وَوَكَّدُوا أَمْرَ الدَّمِ فَأَوْجَبُوا الْعُقُوبَةَ فِي الدَّمِ حَيْثُ لَمْ يُوجِبُوهَا بِالْمَالِ. فَلَمَّا ثَبَتَ تَوْكِيدُ أَمْرِ الدَّمِ وَتَخْفِيفُ أَمْرِ الْمَالِ ثُمَّ رَأَيْنَا مَالَ الذِّمِّيِّ يَجِبُ فِي انْتِهَاكِهِ عَلَى الْمُسْلِمِ مِنَ الْعُقُوبَةِ [ص:196] كَمَا يَجِبُ عَلَيْهِ فِي انْتِهَاكِ مَالِ الْمُسْلِمِ كَانَ دَمُهُ أَحْرَى أَنْ يَكُونَ عَلَيْهِ فِي انْتِهَاكِ حُرْمَتِهِ مِنَ الْعُقُوبَةِ مَا يَكُونُ عَلَيْهِ فِي انْتِهَاكِ حُرْمَةِ دَمِ الْمُسْلِمِ. وَقَدْ أَجْمَعُوا أَنَّ ذِمِّيًّا لَوْ قَتَلَ ذِمِّيًّا ثُمَّ أَسْلَمَ الْقَاتِلُ أَنَّهُ يُقْتَلُ بِالذِّمِّيِّ الَّذِي قَتَلَهُ فِي حَالِ كُفْرِهِ وَلَا يُبْطِلُ ذَلِكَ إِسْلَامُهُ. فَلَمَّا رَأَيْنَا الْإِسْلَامَ الطَّارِئَ عَلَى الْقَتْلِ لَا يُبْطِلُ الْقَتْلَ الَّذِي كَانَ فِي حَالِ الْكُفْرِ وَكَانَتِ الْحُدُودُ تَمَامُهَا أَحَدُهَا وَلَا يُوجَدُ عَلَى حَالٍ - لَا يَجِبُ فِي الْبَدْءِ مَعَ تِلْكَ الْحَالِ. أَلَا تَرَى أَنَّ رَجُلًا لَوْ قَتَلَ رَجُلًا وَالْمَقْتُولُ مُرْتَدٌّ أَنَّهُ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ شَيْءٌ وَأَنَّهُ لَوْ جَرَحَهُ وَهُوَ مُسْلِمٌ ثُمَّ ارْتَدَّ - عِيَاذًا بِاللهِ - فَمَاتَ لَمْ يُقْتَلْ. فَصَارَتْ رِدَّتُهُ الَّتِي تَقَدَّمَتِ الْجِنَايَةَ وَالَّتِي طَرَأَتْ عَلَيْهَا فِي دَرْءِ الْقَتْلِ - سَوَاءً. فَكَانَ كَذَلِكَ فِي النَّظَرِ أَنْ يَكُونَ الْقَاتِلُ قَبْلَ جِنَايَتِهِ وَبَعْدَ جِنَايَتِهِ سَوَاءً. وَلَمَّا كَانَ إِسْلَامُهُ بَعْدَ جِنَايَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُقْتَلَ بِهَا لَا يَدْفَعُ عَنْهُ الْقَوَدَ كَانَ كَذَلِكَ إِسْلَامُهُ الْمُتَقَدِّمُ لِجِنَايَتِهِ لَا يَدْفَعُ عَنْهُ الْقَوَدَ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ. وَقَدْ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

হাদীস নং:৫০৫২
৬. কোন মু'মিন কাফিরকে ইচ্ছাকৃত হত্যা করা প্রসঙ্গ
৫০৫২। ইবরাহীম ইব্‌ন মারযূক (রাহঃ) ….. নাযাল ইব্‌ন সাবরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মুসলমান এক ব্যক্তি (কাফির)-কে হত্যা করেছে। তার ভাই উমার (রাযিঃ)-এর দরবারে গেলে তিনি লিখে দিলেন যে, তাকে (হত্যাকারী) হত্যা করা হবে। তাঁরা (সাহাবাগণ) বলতে লাগলেন, হে যুবায়র! তাকে হত্যা কর। তিনি বললেন, থামুন! আমাকে রাগান্বিত হতে দিন। রাবী বলেন, অনন্তর উমার (রাযিঃ) লিখলেন যে, তার দিয়াত দেয়া হবে এবং (হত্যাকারীকে) হত্যা করা হবে না।

দেখুন ওমর (রাযিঃ)-এর মতেও মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে এবং তিনি এ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাদের উপস্থিতিতে তাঁর প্রশাসকদেরকে লিখেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিবাদ করেন নাই। তাই আমাদের মতে এটা তাদের (সাহাবা) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তাঁর অনুসরণ ছিল এবং এরপর তাঁর লিখা যে, “তাকে হত্যা করা হবে না” সম্ভবত তিনি হত্যার ধরন সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর তার হত্যাকে মুবাহ বা বৈধ মনে করেন নাই এবং এটাকে হয়ত সন্দেহযুক্ত হত্যা সাব্যস্ত করেছেন, যার ভিত্তিতে তিনি হত্যা থেকে বিরত থেকেছেন। আর তাকে সেই শাস্তি প্রদান করেছেন যা ইচ্ছাকৃত হত্যায় সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার অবস্থায় ওয়াজিব হয়, তা হলাে দিয়াত।

মদীনাবাসী আলিমগণ বলেন, যখন কোন মুসলমান কোন যিম্মীকে তার সম্পদ আত্মসাৎ করার নিমিত্ত প্রতারণা করে হত্যা করে তাহলে তাকে তার বদলায় হত্যা করা হবে যখন তাদের মতে এটা নবী(ﷺ) -এর এই বাণী থেকে বহির্ভূত যে, “মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবে না। তাই তােমরা স্বীয় বিরােধীদের ওই কথার উপর প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবে না যে, যিম্মী যার সাথে চুক্তি রয়েছে সে তাঁর এই বাণী থেকে বহির্ভূত যে, “মুসলমানকে কাফিরের বদলায় হত্যা করা হবেনা।” নবী(ﷺ) ওটাকে কোন কাফিরের সঙ্গে শর্ত করেন নাই। তাই যেভাবে তারা এই হুকুম থেকে এই কাফিরকে বের করে দিয়েছেন যার সম্পদ ছিনতাইর ইচ্ছা করা হয়েছে; তাদের বিরােধীদেরও এ কথার অধিকার থাকবে যে, সেই সমস্ত লােকদেরকে বের করে দিবে, যাদের সঙ্গে চুক্তি বহাল রাখা ওয়াজিব (যিম্মীকে)।
5052 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: ثنا وَهْبٌ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَيْسَرَةَ عَنِ النَّزَّالِ بْنِ سَبْرَةَ قَالَ: قَتَلَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ رَجُلًا مِنَ الْعِبَادِ فَذَهَبَ أَخُوهُ إِلَى عُمَرَ فَكَتَبَ عُمَرُ أَنْ يُقْتَلَ فَجَعَلُوا يَقُولُونَ: اقْتُلْ جُبَيْرُ فَيَقُولُ حَتَّى يَجِيءَ الْغَيْظُ قَالَ: فَكَتَبَ عُمَرُ أَنْ يُودِي وَلَا يُقْتَلَ فَهَذَا عُمَرُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَدْ رَأَى أَيْضًا أَنْ يُقْتَلَ الْمُسْلِمُ بِالْكَافِرِ، وَكَتَبَ بِهِ إِلَى عَامِلِهِ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ. فَهَذَا - عِنْدَنَا - مِنْهُمْ عَلَى الْمُتَابَعَةِ مِنْهُمْ لَهُ عَلَى ذَلِكَ وَكِتَابُهُ بَعْدَ هَذَا لَا يُقْتَلُ فَيَحْتَمِلُ أَنْ يَكُونَ ذَلِكَ كَانَ مِنْهُ عَلَى أَنَّهُ كَرِهَ أَنْ يُبِيحَهُ دَمَهُ لَمَا كَانَ مِنْ وُقُوفِهِ عَنْ قَتْلِهِ وَجَعَلَ ذَلِكَ شُبْهَةَ مَنْعِهِ بِهَا مِنَ الْقَتْلِ وَجَعَلَ لَهُ مَا يُجْعَلُ فِي الْقَتْلِ الْعَمْدِ الَّذِي تَدْخُلُهُ شُبْهَةٌ وَهُوَ الدِّيَةُ. وَقَدْ قَالَ أَهْلُ الْمَدِينَةِ إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا قَتَلَ الذِّمِّيَّ قَتْلَ غِيلَةٍ عَلَى مَالِهِ أَنَّهُ يُقْتَلُ بِهِ. فَإِذَا كَانَ هَذَا عِنْدَهُمْ خَارِجًا مِنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَا يُقْتَلُ مُسْلِمٌ بِكَافِرٍ؟» وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَشْتَرِطْ مِنَ الْكُفَّارِ أَحَدًا. فَكَمَا كَانَ لَهُمْ أَنْ يُخْرِجُوا مِنَ الْكُفَّارِ مَنْ أُرِيدَ مَالُهُ كَانَ لِمُخَالِفِيهِمْ أَنْ يَخْرُجَ أَيْضًا مَنْ وَجَبَتْ ذِمَّتُهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান