শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
১১. শরীআত বিধিত দন্ডের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৫০৫৮
৮. কাসামা (কসম) কিভাবে নেয়া হবে
৫০৫৮। ইমাম আবু জা'ফর তাহাবী (রাহঃ) বলেনঃ যদি কোন কওমের মহল্লায় নিহত পাওয়া যায় তাহলে সেখানে ওয়াজিব কাসামা বা কসমের ধরন কি হবে। একদল আলিম বলেন যে, বিবাদীগণ এভাবে কসম করবে যে, আল্লাহর কসম! আমরা হত্যা করিনি। যদি তারা কসম করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে তাহলে বাদীদের থেকে কসম নেয়া হবে এবং তারা যা দাবি করেছে তার হকদার হয়ে যাবে। তারা এ বিষয়ে সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ)-এর হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করেছেন, যা আমরা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছি। পক্ষান্তরে অপরাপর আলিমগণ বলেন যে, বিবাদীদের থেকেই কসম নেয়া হবে। যখন তারা কসম করে নিবে তখন দিয়াত আদায় করবে। তারা বলেন, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) কর্তৃক আনসারদেরকে, এটা বলা যে, তােমরা কি কসম করবে এবং স্বীয় নিহতের অধিকার প্রাপ্ত হবে? বস্তুত এটা তাঁর পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ছিল। যেন তিনি বলেছেন যে, তােমরা শুধু কি দাবি করবে আর নিয়ে নিবে?
আর এটা এভাবে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে বলেছেন ইয়াহুদীরা কি পঞ্চাশজন কসম করে তােমাদেরকে (কসম) করা থেকে মুক্ত করে দিবে ? তারা বলবে, আল্লাহর কসম! আমরা হত্যা করিনি। তাঁরা বলল, আমরা কাফির কওমের কসম কিভাবে গ্রহণ করব? রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে বললেন, তােমরা কি কসম করে আমি তােমাদের সঙ্গীর হত্যাকারীর অধিকার প্রাপ্ত হবে? অর্থাৎ ইয়াহুদীরা যদিও কাফির কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দাবির ব্যাপারে তােমরা শুধু তাদেরকে কসম দিতে পারবে। তােমরা মুসলমান হওয়ায় সত্বেও যেভাবে তােমরা শুধু কসম দ্বারা দিয়াতের হকদার হতে পার না, ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে তােমাদের দাবি দ্বারাও কসম ব্যতীত তাদের উপর কোন কিছু ওয়াজিব হয় না।
এই বিশ্লেষণ ও দাবির বিশুদ্ধতার দলীল হচ্ছে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -এর (ইন্তিকালের) পরে সাহাবাদের উপস্থিতিতে উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ) এর ফয়সালা এবং সাহাবা কেরামের প্রতিবাদ না করা। আর এটা অসম্ভব ব্যাপার যে, আনসারদের এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ হবে, বিশেষত মুহায়্যিসা (রাযিঃ)-এর ন্যায় ব্যক্তি যিনি তখন জীবিত ছিলেন এবং সাহল ইব্ন আবী হাসামা (রাযিঃ) ও বিদ্যমান ছিলেন। আর তাঁরা এ ব্যাপারে উমার (রাযিঃ)-কে সংবাদ দিবে না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষে ফয়সালা প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উমার (রাযিঃ) থেকে নিম্নরূপ বর্ণিতঃ
ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. হারিস ইব্ন আযমা' (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উমার (রাযিঃ)-কে বললেন, আমাদের সম্পদ কি আমাদের কসমসমূহকে দূর করে না এবং আমাদের কসমসমূহ কি আমাদের সম্পদের কারণে প্রতিরুদ্ধ হয় না? তিনি বললেন, না, তিনি তার উপর দিয়াত আবশ্যক করে দিলেন।
আর এটা এভাবে যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে বলেছেন ইয়াহুদীরা কি পঞ্চাশজন কসম করে তােমাদেরকে (কসম) করা থেকে মুক্ত করে দিবে ? তারা বলবে, আল্লাহর কসম! আমরা হত্যা করিনি। তাঁরা বলল, আমরা কাফির কওমের কসম কিভাবে গ্রহণ করব? রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে বললেন, তােমরা কি কসম করে আমি তােমাদের সঙ্গীর হত্যাকারীর অধিকার প্রাপ্ত হবে? অর্থাৎ ইয়াহুদীরা যদিও কাফির কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দাবির ব্যাপারে তােমরা শুধু তাদেরকে কসম দিতে পারবে। তােমরা মুসলমান হওয়ায় সত্বেও যেভাবে তােমরা শুধু কসম দ্বারা দিয়াতের হকদার হতে পার না, ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে তােমাদের দাবি দ্বারাও কসম ব্যতীত তাদের উপর কোন কিছু ওয়াজিব হয় না।
এই বিশ্লেষণ ও দাবির বিশুদ্ধতার দলীল হচ্ছে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) -এর (ইন্তিকালের) পরে সাহাবাদের উপস্থিতিতে উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ) এর ফয়সালা এবং সাহাবা কেরামের প্রতিবাদ না করা। আর এটা অসম্ভব ব্যাপার যে, আনসারদের এ বিষয়ে জ্ঞান লাভ হবে, বিশেষত মুহায়্যিসা (রাযিঃ)-এর ন্যায় ব্যক্তি যিনি তখন জীবিত ছিলেন এবং সাহল ইব্ন আবী হাসামা (রাযিঃ) ও বিদ্যমান ছিলেন। আর তাঁরা এ ব্যাপারে উমার (রাযিঃ)-কে সংবাদ দিবে না যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষে ফয়সালা প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উমার (রাযিঃ) থেকে নিম্নরূপ বর্ণিতঃ
ইবরাহীম ইব্ন মারযূক (রাহঃ) ….. হারিস ইব্ন আযমা' (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উমার (রাযিঃ)-কে বললেন, আমাদের সম্পদ কি আমাদের কসমসমূহকে দূর করে না এবং আমাদের কসমসমূহ কি আমাদের সম্পদের কারণে প্রতিরুদ্ধ হয় না? তিনি বললেন, না, তিনি তার উপর দিয়াত আবশ্যক করে দিলেন।
بَابُ الْقَسَامَةِ كَيْفَ هِيَ
قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: اخْتَلَفَ النَّاسُ فِي الْقَتِيلِ الْمَوْجُودِ فِي مَحَلَّةِ قَوْمٍ كَيْفَ الْقَسَامَةُ الْوَاجِبَةُ فِيهِ؟ فَقَالَ قَوْمٌ: يَحْلِفُ الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ بِاللهِ مَا قَتَلْنَا فَإِنْ أَبَوْا أَنْ يَحْلِفُوا اسْتُحْلِفَ الْمُدَّعُونَ وَاسْتَحَقُّوا مَا ادَّعَوْا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ بِحَدِيثِ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ الَّذِي ذَكَرْنَا فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا الْبَابِ. وَقَالَ آخَرُونَ: بَلْ يُسْتَحْلَفُ الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ فَإِذَا حَلَفُوا غَرِمُوا الدِّيَةَ. وَقَالُوا: قَوْلُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْأَنْصَارِ «أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ؟» إِنَّمَا كَانَ عَلَى النَّكِيرِ مِنْهُ عَلَيْهِمْ كَأَنَّهُ قَالَ «أَتَدَّعُونَ وَتَأْخُذُونَ؟» وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَهُمْ " أَفَتُبَرِّئُكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ يَمِينًا بِاللهِ مَا قَتَلْنَا. فَقَالُوا: كَيْفَ نَقْبَلُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ؟ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ؟ ". أَيْ: إِنَّ الْيَهُودَ وَإِنْ كَانُوا كُفَّارًا فَلَيْسَ عَلَيْهِمْ فِيمَا تَدَّعُونَ عَلَيْهِمْ غَيْرَ أَيْمَانِهِمْ. وَكَمَا لَا يُقْبَلُ مِنْكُمْ - وَإِنْ كُنْتُمْ مُسْلِمِينَ - أَيْمَانُكُمْ فَتَسْتَحِقُّونَ بِهَا كَذَلِكَ لَا يَجِبُ عَلَى الْيَهُودِ بِدَعْوَاكُمْ عَلَيْهِمْ غَيْرُ أَيْمَانِهِمْ. وَالدَّلِيلُ عَلَى صِحَّةِ هَذَا التَّأْوِيلِ مَا قَدْ حَكَمَ بِهِ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ بَعْدَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِحَضْرَةِ أَصْحَابِهِ فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ. وَمُحَالٌ أَنْ يَكُونَ عِنْدَ الْأَنْصَارِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمْ مِنْ ذَلِكَ عِلْمٌ وَلَا سِيَّمَا مِثْلُ مُحَيِّصَةَ وَقَدْ كَانَ حَيًّا يَوْمَئِذٍ وَسَهْلُ بْنُ أَبِي حَثْمَةَ وَلَا يُخْبِرُونَهُ بِهِ وَيَقُولُونَ: لَيْسَ هَكَذَا قَضَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَنَا عَلَى الْيَهُودِ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا
5058 - قَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ الْأَزْمَعِ أَنَّهُ قَالَ لِعُمَرَ: أَمَا تَدْفَعُ أَمْوَالُنَا أَيْمَانَنَا وَلَا أَيْمَانُنَا عَنْ أَمْوَالِنَا قَالَ: لَا وَعَقَلَهُ
5058 - قَدْ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ قَالَ: ثنا شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنِ الْحَارِثِ بْنِ الْأَزْمَعِ أَنَّهُ قَالَ لِعُمَرَ: أَمَا تَدْفَعُ أَمْوَالُنَا أَيْمَانَنَا وَلَا أَيْمَانُنَا عَنْ أَمْوَالِنَا قَالَ: لَا وَعَقَلَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০৫৯
৮. কাসামা (কসম) কিভাবে নেয়া হবে
৫০৫৯। ফাহাদ (রাহঃ) ….. হারিস ইব্ন আযমা‘ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ওয়াদা'আ গোত্র এবং অন্য এক গােত্রের মাঝে এক ব্যক্তি নিহত হয়, নিহত ব্যক্তি ওয়াদা'আ গােত্রের অধিক নিকটবর্তী ছিল। উমার (রাযিঃ), ওয়াদা'আ গােত্রের লােকদেরকে বললেন, তােমাদের থেকে পঞ্চাশজন এই মর্মে কসম করবে যে, আমরা না হত্যা করেছি, না আমরা হত্যাকারীকে জানি। অতঃপর তােমরা দিয়াত আদায় কর। হারিস (রাহঃ) তাকে বললেন, আমরা কসমও করব এবং দিয়াতও দিব? তিনি বললেন, হ্যাঁ!
5059 - حَدَّثَنَا فَهْدٌ , قَالَ: ثنا أَبُو غَسَّانَ , قَالَ: ثنا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ , قَالَ: ثنا أَبُو إِسْحَاقَ , عَنِ الْحَارِثِ بْنِ الْأَزْمَعِ , قَالَ: قُتِلَ قَتِيلٌ بَيْنَ وَادِعَةَ وَحَيٍّ آخَرَ وَالْقَتِيلُ إِلَى وَادَعَةَ أَقْرَبُ. فَقَالَ عُمَرُ لِوَادَعَةَ: يَحْلِفُ خَمْسُونَ رَجُلًا مِنْكُمْ: بِاللهِ مَا قَتَلْنَا وَلَا نَعْلَمُ قَاتِلًا ثُمَّ أَغْرِمُوا الدِّيَةَ. فَقَالَ لَهُ الْحَارِثُ: نَحْلِفُ وَتُغَرِّمُنَا؟ فَقَالَ: نَعَمْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০৬০
৮. কাসামা (কসম) কিভাবে নেয়া হবে
৫০৬০। মুহাম্মাদ ইব্ন খুযায়মা (রাযিঃ) ..... হারিস ওয়াদাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার লােকেরা দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে এক নিহত ব্যক্তিকে পেয়ে এ বিষয়ে তারা উমার ইব্ন খাত্তাব (রাযিঃ)-কে লিখল। উমার (রাযিঃ) তাদেরকে লিখলেন যে, ঔ গ্রামের মাঝে দুরত্বের অনুমান কর, যে গ্রাম তার অধিক নিকটবর্তী হবে তাদের পঞ্চাশজন লােক থেকে কাসামা (কসম) নাও, তারা আল্লাহর কসম করবে। অতঃপর তাদের থেকে দণ্ড হিসাবে দিয়াত আদায় কর। হারিস (রাহঃ) বলেন, আমিও কসমকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। এরপর আমরা দিয়াত আদায় করেছি।
বস্তুত এই কাসামা (কসম)-এর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাহগণ ফয়সালা করেছেন তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর ঐ সমস্ত হাদীসসমূহের অনুকূলবর্তী, যা আমরা অন্য স্থানে বর্ণনা করেছি। তিনি বলেছেনঃ যদি লােকদেরকে শুধু তাদের দাবি অনুযায়ী দেয়া হয় তাহলে লােকেরা অন্যদের খুন ও সম্পদসমূহের দাবি করবে। কিন্তু বিবাদীর উপর কসম প্রযােজ্য হবে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পদ ও খুনকে অভিন্ন সাব্যস্ত করে উভয়ের জন্য একই হুকুমের ফয়সালা দিয়েছেন এবং বিবাদীর উপর কসমকে আবশ্যক করেছেন। এতে সাব্যস্ত হলাে যে, সাহল (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্মও সেটা, যা আমরা এর উপর বিশ্লেষণ করেছি। এর উপর সেই রিওয়ায়াতও প্রমাণ বহন করে, যা আমরা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছিঃ সাঈদ ইব্ন উবায়দ (রাহঃ) বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে, তিনি সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করার হুকুম দিয়েছেন। যখন তারা বলল যে, তাদের কাছে সাক্ষ্য নেই তখন তিনি বললেন, তারা কি তােমাদের জন্য কসম করবে?
সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি তাতে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর হুকুম বা ফয়সালা এটাই ছিল এবং যা কিছু ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) ও আবু লায়লা ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে বৃদ্ধি রয়েছে তা ফয়সালা নয় বরং ওগুলাের মর্ম সেটাই যা আমরা এর উপর বিশ্লেষণ করেছি। অতঃপর এই ইমাম যুহরী (রাহঃ) যিনি অবশ্যই কাসামা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর ফয়সালা জ্ঞাত ছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর থেকে বর্ণিত কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
বস্তুত এই কাসামা (কসম)-এর রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর সাহাবাহগণ ফয়সালা করেছেন তা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর ঐ সমস্ত হাদীসসমূহের অনুকূলবর্তী, যা আমরা অন্য স্থানে বর্ণনা করেছি। তিনি বলেছেনঃ যদি লােকদেরকে শুধু তাদের দাবি অনুযায়ী দেয়া হয় তাহলে লােকেরা অন্যদের খুন ও সম্পদসমূহের দাবি করবে। কিন্তু বিবাদীর উপর কসম প্রযােজ্য হবে। রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পদ ও খুনকে অভিন্ন সাব্যস্ত করে উভয়ের জন্য একই হুকুমের ফয়সালা দিয়েছেন এবং বিবাদীর উপর কসমকে আবশ্যক করেছেন। এতে সাব্যস্ত হলাে যে, সাহল (রাযিঃ)-এর হাদীসের মর্মও সেটা, যা আমরা এর উপর বিশ্লেষণ করেছি। এর উপর সেই রিওয়ায়াতও প্রমাণ বহন করে, যা আমরা পূর্ববর্তী অনুচ্ছেদে উল্লেখ করেছিঃ সাঈদ ইব্ন উবায়দ (রাহঃ) বুশায়র ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে, তিনি সাহল ইব্ন আবী হাসমা (রাযিঃ) থেকে রিওয়ায়াত করেন যে, রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) তাদেরকে সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করার হুকুম দিয়েছেন। যখন তারা বলল যে, তাদের কাছে সাক্ষ্য নেই তখন তিনি বললেন, তারা কি তােমাদের জন্য কসম করবে?
সুতরাং যা কিছু আমরা উল্লেখ করেছি তাতে প্রতীয়মান হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর হুকুম বা ফয়সালা এটাই ছিল এবং যা কিছু ইয়াহ্ইয়া ইব্ন সাঈদ (রাহঃ) ও আবু লায়লা ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতে বৃদ্ধি রয়েছে তা ফয়সালা নয় বরং ওগুলাের মর্ম সেটাই যা আমরা এর উপর বিশ্লেষণ করেছি। অতঃপর এই ইমাম যুহরী (রাহঃ) যিনি অবশ্যই কাসামা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর ফয়সালা জ্ঞাত ছিলেন। এ বিষয়ে তাঁর থেকে বর্ণিত কিছু হাদীস নিম্নরূপঃ
5060 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خُزَيْمَةَ قَالَ: ثنا يُوسُفُ بْنُ عَدِيٍّ قَالَ: ثنا عُثْمَانُ بْنُ مَطَرٍ عَنْ أَبِي جَرِيرٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ الْحَارِثِ الْوَادِعِيِّ قَالَ: أَصَابُوا قَتِيلًا بَيْنَ قَرْيَتَيْنِ فَكَتَبُوا فِي ذَلِكَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ. فَكَتَبَ عُمَرُ أَنْ قِيسُوا بَيْنَ الْقَرْيَتَيْنِ فَأَيُّهُمَا كَانَ إِلَيْهِ أَدْنَى فَخُذُوا خَمْسِينَ قَسَامَةً فَيَحْلِفُونَ بِاللهِ ثُمَّ غَرَّمَهُمُ الدِّيَةَ. قَالَ الْحَارِثُ: فَكُنْتُ فِيمَنْ أَقْسِمُ ثُمَّ غَرِمْنَا الدِّيَةَ فَهَذِهِ الْقَسَامَةُ الَّتِي حَكَمَ بِهَا أَصْحَابُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ مَا قَدْ رَوَيْنَاهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَيْرِ هَذَا الْمَوْضِعِ أَنَّهُ قَالَ «لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمْ لَادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنَّ الْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ» . فَسَوَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ بَيْنَ الْأَمْوَالِ وَالدِّمَاءِ وَحَكَمَ فِيهَا بِحُكْمٍ وَاحِدٍ فَجَعَلَ الْيَمِينَ فِي ذَلِكَ كُلِّهِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ مَعْنَى حَدِيثِ سَهْلٍ أَيْضًا عَلَى مَا قَدْ تَأَوَّلْنَاهُ عَلَيْهِ. وَقَدْ دَلَّ عَلَى ذَلِكَ أَيْضًا مَا قَدْ ذَكَرْنَاهُ فِي الْبَابِ الَّذِي قَبْلَ هَذَا
عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَاهُمْ بِالْبَيِّنَةِ فَلَمَّا ذَكَرُوا أَنْ لَا بَيِّنَةَ لَهُمْ قَالَ «أَفَيَحْلِفُونَ لَكُمْ؟» فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَا كَانَ مِنْ حُكْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ هُوَ هَذَا وَكَانَ مَا زَادَ عَلَيْهِ مِمَّا فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَأَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللهِ لَيْسَ عَلَى الْحُكْمِ وَلَكِنْ عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي تَأَوَّلْنَاهُمَا عَلَيْهِ. ثُمَّ هَذَا الزُّهْرِيُّ قَدْ عَلِمَ بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَسَامَةِ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ
عَنْ سَعِيدِ بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَعَاهُمْ بِالْبَيِّنَةِ فَلَمَّا ذَكَرُوا أَنْ لَا بَيِّنَةَ لَهُمْ قَالَ «أَفَيَحْلِفُونَ لَكُمْ؟» فَدَلَّ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَا كَانَ مِنْ حُكْمِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ ذَلِكَ هُوَ هَذَا وَكَانَ مَا زَادَ عَلَيْهِ مِمَّا فِي حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ وَأَبِي لَيْلَى بْنِ عَبْدِ اللهِ لَيْسَ عَلَى الْحُكْمِ وَلَكِنْ عَلَى الْمَعْنَى الَّذِي تَأَوَّلْنَاهُمَا عَلَيْهِ. ثُمَّ هَذَا الزُّهْرِيُّ قَدْ عَلِمَ بِقَضَاءِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْقَسَامَةِ. فَمِمَّا رُوِيَ عَنْهُ فِي ذَلِكَ مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬২
৮. কাসামা (কসম) কিভাবে নেয়া হবে
৫০৬১-৬২। ইউনুস (রাহঃ) ….. ইব্ন শিহাব (রাহঃ) থেকে তিনি আবু সালমা (রাহঃ) ও সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে, তারা রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কতিপয় আনসারী সাহাবা থেকে রিওয়ায়াত করেছেন যে, জাহিলী যুগেও কাসামার প্রচলন ছিল। রাসূলুল্লাহু(ﷺ) সেটাকে বহাল রেখেছেন এবং রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) এক নিহত ব্যক্তির বিষয়ে কাসামার ফায়সালা করেছেন, যার পরিজন ইয়াহুদীদের উপর এর দাবি করত।
সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব (রাহঃ) ….. যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কতিপয় আনসারী সাহাবা থেকে আবু সালমা ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। অতঃপর ইমাম যুহরী (রাহঃ) কাসামা সম্পর্কে এটাও বলেছেনঃ
সুলায়মান ইব্ন শুআয়ব (রাহঃ) ….. যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্(ﷺ) -এর কতিপয় আনসারী সাহাবা থেকে আবু সালমা ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। অতঃপর ইমাম যুহরী (রাহঃ) কাসামা সম্পর্কে এটাও বলেছেনঃ
5061 - حَدَّثَنَا يُونُسُ قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أُنَاسٍ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ الْقَسَامَةَ كَانَتْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَأَقَرَّهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مَا كَانَتْ عَلَيْهِ وَقَضَى بِهَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أُنَاسٍ فِي قَتِيلٍ ادَّعَوْهُ عَلَى الْيَهُودِ "
5062 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ أُنَاسٍ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ ثُمَّ قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي الْقَسَامَةِ أَيْضًا مَا قَدْ
5062 - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ شُعَيْبٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ قَالَ: ثنا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ: ثنا الزُّهْرِيُّ قَالَ: ثنا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ أُنَاسٍ مِنَ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ ثُمَّ قَالَ الزُّهْرِيُّ فِي الْقَسَامَةِ أَيْضًا مَا قَدْ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০৬২
empty
৫০৬২।
5062 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৫০৬৩
৮. কাসামা (কসম) কিভাবে নেয়া হবে
৫০৬৩। আবু বিশর রকী (রাহঃ) ….. যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লহ্(ﷺ) বিবাদীদের উপর কাসামার ফায়সালা করেছেন।
বস্তুত এতে প্রতীয়মান হয় যে, কাসামা প্রযােজ্য হবে বিবাদীদের উপরে, বাদীদের উপরে নয়। ইমাম যুহরী (রাহঃ) এই হাদীসে এরূপ বর্ণনা করেছেন। কাসামার বিধান আবু সালমা ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে নেয়া হয়েছে। আর তাঁরা নিয়েছেন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবাদের থেকে । ইমাম যুহরী (রাহঃ) এটাকে ঐ সমস্ত সাহাবাদের থেকে গ্রহণ করেছেন। আর এই বিষয়টি উমার (রাযিঃ)-এর আমল ও তাঁর সেই হুকুমেরও অনুকূলবর্তী, যা আমরা তার থেকে রিওয়ায়াত করেছি এবং তিনি এ ফায়সালা সমস্ত সাহাবাদের উপস্থিতিতে প্রদান করেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিবাদ করে নাই। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
বস্তুত এতে প্রতীয়মান হয় যে, কাসামা প্রযােজ্য হবে বিবাদীদের উপরে, বাদীদের উপরে নয়। ইমাম যুহরী (রাহঃ) এই হাদীসে এরূপ বর্ণনা করেছেন। কাসামার বিধান আবু সালমা ইব্ন আব্দুর রহমান (রাহঃ) ও সুলায়মান ইব্ন ইয়াসার (রাহঃ) থেকে নেয়া হয়েছে। আর তাঁরা নিয়েছেন রাসূলুল্লাহ্(ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবাদের থেকে । ইমাম যুহরী (রাহঃ) এটাকে ঐ সমস্ত সাহাবাদের থেকে গ্রহণ করেছেন। আর এই বিষয়টি উমার (রাযিঃ)-এর আমল ও তাঁর সেই হুকুমেরও অনুকূলবর্তী, যা আমরা তার থেকে রিওয়ায়াত করেছি এবং তিনি এ ফায়সালা সমস্ত সাহাবাদের উপস্থিতিতে প্রদান করেছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিবাদ করে নাই। এটা ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
5063 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ قَالَ: ثنا أَبُو مُعَاوِيَةَ الضَّرِيرُ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ «أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى بِالْقَسَامَةِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ» فَدَلَّ ذَلِكَ عَلَى أَنَّ الْقَسَامَةَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِمْ لَا عَلَى الْمُدَّعِينَ عَلَى مَا بَيَّنَ الزُّهْرِيُّ فِي حَدِيثِهِ هَذَا. وَإِنَّمَا كَانَ أَخَذَ الْقَسَامَةَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أُنَاسٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَانَ هَذَا مِمَّا أَخَذَهُ عَنْهُمْ. [ص:203] وَقَدْ وَافَقَ ذَلِكَ مَا رَوَيْنَاهُ عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ مِمَّا فَعَلَهُ وَحَكَمَ بِهِ بِحَضْرَةِ سَائِرِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ عَنْهُمْ فَلَمْ يُنْكِرْهُ عَلَيْهِ مِنْهُمْ مُنْكِرٌ. وَهَذَا قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ وَأَبِي يُوسُفَ وَمُحَمَّدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান